এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জীবন তরঙ্গ পর্ব ৪৭

    Sukdeb Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৩ জুন ২০২৪ | ১৫৭ বার পঠিত
  • জীবন তরঙ্গ  পর্ব ৪৭

    ট্রেন শেয়ালদায় ঢুকতে ঢুকতে নটা বেজে গেল। অনেকটা দেরি হয়ে যাওয়ায়, নয়ন আর বাড়ি  না  গিয়ে সরাসরি অফিসের দিকে রওনা হল। ডিপার্টমেন্টে তখনো কেঊ আসেনি। নয়ন নিজের জায়গায় গিয়ে বসল। বাড়িতে ফোন করে ফিরে আসার খবরটা মাকে জানিয়ে দিল। শিলিগুড়িতেও পৌছন সংবাদ জানাল। রত্নাকর চা আর টোস্ট টেবিলে রেখে গেল। অফিসে ঢোকার  সময় ওকে বলে এসেছিল। সকাল থেকে কিছু খাওয়া হয়নি, খিদে পেয়ে গিয়েছিল। খাওয়ার মাঝপথেই দেখে অনামুখোটা ডিপার্টমেন্টে ঢুকছে। কুণাল হাসিমুখে নয়নের দিকে তাকাল, নয়ন ওকে উপেক্ষা করে চায়ে চুমুক দিল। একটু পরেই বড়বাবু এলেন। নয়নের খুব পছন্দের মানুষ। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর শিলিগুড়ি ট্যুরের খোঁজ খবর নিলেন। কথার মাঝেই অভিজিৎ সামন্ত ঢুকলেন।

    -- কাল রাতে ফিরেছ না আজ সকালে?

    -- সকালে স্যার। ট্রেন লেট করল, তাই সোজা অফিসে চলে এলাম।

    -- সেকি কথা! বাড়ি গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসতে পারতে। এস, আমার ঘরে এস।

    নয়ন সাহেবের ঘরে গিয়ে ফাইল থেকে কাগজপত্র বার করে টেবিলে রাখল।   

    সামন্ত স্যার ডকুমেন্ট গুলো একবার ভাল করে চোখ বুলিয়ে নিয়ে বললেন-- এক্সেলেন্ট। একেবারে পাকা কাজ হয়েছে। ক্লান্ত হয়ে আছ, আজকে আর বেশিক্ষণ অফিসে থাকতে হবে না। দু একটা জরুরি কাজ পেন্ডিং আছে,  ওগুলো ক্লিয়ার করে বাড়ি চলে যাও।  কিছু খেয়েছ?

    -- হ্যাঁ স্যার, অফিসে এসে চা আর টোস্ট খেয়েছি।

    -- ঠিক আছে। বেশি সময় লাগবে না, ফাইলগুলো ছেড়ে দিয়ে বাড়ি চলে যাও। 

    জমা কাজগুলো ছাড়ার পর, সহকর্মীদের সাথে একটু গল্প করে বেরোতে বেরোতে একটা বেজে গেল। মনটা বেশ ফুরফুরে হয়ে আছে।

    বাড়িতে ঢুকেই হাঁক পাড়ল — মা খেতে দাও।

    -- চান করবি না?

    -- খিদে পেয়ে গেছে, আজ চান বাদ।

    -- চান বাদ কিরে? ট্রেনে এতটা পথ এসেছিস, শিগগিরি চান করে আয়। আমি ততক্ষণে খাবার বাড়ছি।

    -- তোমার তো এসব ছুঁচিবাই ছিল না। এগুল হল বয়স বাড়ার লক্ষণ।

    -- চান করতে বলেছি বলে আমি ছুঁচিবাই! হাবু এবার বুড়ো বয়সে মার খাবি, নোংরা ছেলে কোথাকার। হ্যাঁরে, শিলিগুড়িতে কেমন কাটালি?

    -- সে অনেক গল্প আছে, সময় লাগবে। পরে গুছিয়ে বলব।

    খাওয়ার পর নয়ন নিশ্চিন্তে একটা ঘুম লাগাল। বিকেলে আড্ডাস্থলের দিকে একটু আগেই পা বাড়িয়েছিল। তখনো ঘাটের ওখানে বন্ধুরা কেউ আসেনি। নয়ন বুড়োদার চায়ের দোকানে এসে বসল। ওখানেও তখনো বিশেষ কেউ আসেনি। একটু পরে চয়ন আর শম্ভু এসে বসল। এরা  দুজনেই নয়নের থেকে অনেকটাই বড়। শম্ভু আর চয়ন বন্ধু হলেও, একটা ঘটনার পর থেকে,  মাঝে বেশ কিছুদিন একেবারে বনিবনা ছিল না।  দুজনকে একসাথে গল্প করতে করতে আসতে দেখে নয়ন একটু  আশ্চর্য হল।

    কৌতূহল চাপতে না পেরে একটু চুলকে দেওয়ার জন্য নয়ন জিজ্ঞেস করল—কিগো চয়নদা,  শান্তি ফিরেছে?

    -- শম্ভুর সাথে আবার কিসের অশান্তি! ও আমার ল্যাংটো বয়সের বন্ধু। একটু অভিমান হয়েছিল। ভুল বুঝতে পেরে মিটিয়ে নিয়েছে।

    -- কিসের ভুল? ব্যাটা অন্যায় করেছে নিজে আর বলে কিনা আমার ভুল।

    নয়ন হেসে বলে — আহা, এই তো বেশ গল্প করছিলে, হটাৎ ক্ষেপে উঠলে কেন?
    -- আটভাট বকলে ক্ষেপব না।

    ঘটনাটা নয়ন জানে। চয়ন বিয়ে থা করেনি। মিচকে বদমাইস। অনেকটা নয়নের মত। শম্ভুর কাছে বেশ কিছুদিন থেকে একটা মদের বোতল ছিল। বৌএর অশান্তির ভয়ে বাড়িতেই একটা গোপন জায়গায় রেখেছিল। অনুকুল পরিবেশের অভাবে খাওয়া আর  হয়ে উঠছিল না। সেদিন পাড়ার মাঠে ফাংশান ছিল। শম্ভুর বউ ফাংশানে গান শুনতে খুব ভালোবাসে। ওর বউ ফংশান  দেখতে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করতে, শম্ভু উৎসাহ দিয়ে বলেছিল—তোমার কোথাও যাওয়া হয় না, যাও যাও ঘুরে এস। তাড়াহুড়ো করার কোন দরকার নেই, ফাংশান শেষ হলে তারপর বাড়ি এস। তোমার কোন চিন্তা নেই, আমি বাড়িতেই থাকব। স্বামীর এ হেন উৎসাহে আহ্লাদে টইটম্বুর হয়ে শম্ভুর বউ ফাংশান দেখতে গেল। এমন সুযোগ চট করে আসে না। বউ বেরিয়ে যাওয়ার পর দু তিনজন বন্ধুকে ডেকে এনে বোতল খুলে বসল। সেই বন্ধুদের মধ্যে চয়নও ছিল।  ফ্রিজ থেকে বার করে আনল বৌএর রান্না করে রাখা সমস্ত আমিষ উপাদান। আসর জমে গেল। চয়ন খুব অল্প খায়। দু পেগ খেয়ে বাড়িতে কাজ আছে বলে চলে গেল। বাকিরা তখন তাকিয়ায় ঠেস দিয়ে জমিদারি মেজাজে মাল খাচ্ছে। চয়ন শম্ভুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে  সোজা চলে গেল পাড়ার ফাংশানের মাঠে। কিছুক্ষণ অনুসন্ধানের পর খুঁজে পেল শম্ভুর বৌকে। তখন দেবাশীষ নামে একজন, কিশোর কুমারের গান গাইছে। আসর একেবারে জমিয়ে দিয়েছে। শম্ভুর বৌ তাল ঠুকতে ঠুকতে মগ্ন হয়ে গান শুনছে। চয়ন ধীরে ধীরে ওর পাশটায় গিয়ে দাঁড়াল।

    চয়নকে দেখতে পেয়ে বলল — কি দারুণ গাইছে, তাই না চয়নদা? এত ভাল গানের আসর আমাদের পাড়ায় অনেকদিন পর হল।

    -- তুমি এদিকে গানের আসরে মগ্ন হয়ে রয়েছ, ওদিকে তোমার বাড়িতে তো মদের আসর বসেছে। শম্ভু তো বাড়িটাকে একেবারে বার বানিয়ে দিয়েছে।

    -- কি বলছেন?

    -- বিশ্বাস না হয় একবার নিজের চোখেই গিয়ে দেখে এস।  

    শম্ভুর বৌয়ের গান শোনা সেদিনকার মত ওখানেই শেষ। প্রায় দৌড়ে বাড়িতে ফিরে এসে দেখে চয়ন একেবারে সঠিক বলেছে। মদের গন্ধে ঘর ম ম করছে। পরের দিন ভাই আর ভাইয়ের বৌ আসবে বলে যত্ন করে পাঁঠার মাংস রেঁধে রেখেছিল। তার শ্রাদ্ধ হয়ে গেছে। দু একটা হাড়ের টুকরো ঘরের মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে।

    শম্ভু চমকে গেল, এমনটা তো হওয়ার কথা ছিল না। বন্ধুরা যে যার মত পালাল। শম্ভু রণচণ্ডী মূর্তিধারী বৌয়ের সামনে কেমন যেন কিশোরের মত হয়ে গেল। স্কুলে হেডস্যার যখন বেত নিয়ে মারতে আসতেন, ঠিক তখনকার মত। আত্মরক্ষার্থে অনেক কিছুই আমতা আমতা করে বলার চেষ্টা করল কিন্তু কিছুই বলে উঠতে পারল না। বাড়ির অশান্তি মিটতে অনেক সময় লেগেছিল।

    তাপমাত্রা একটু কমার পর শম্ভুর বৌ বলেছিল—ভাগ্যিস চয়নদা গিয়ে বলল, তা না হলে তো টেরই পেতাম না। আর তো তোমার ওপর ভরসা করে বাড়ি ছেড়ে কোথাও বেরনোই যাবে না।   

    তখনই শম্ভু জানতে পেরেছিল অভাবিত  দুর্যোগের আসল কারণ ছিল চয়ন।   

    আড্ডা থেকে বাড়ি ফেরার পরেই এল একটা বাজে খবর। ছোটমামা ফোন করে জানাল, ছোড়দাদুর হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। ছোট মামা আর ওর এক তুতো ভাই দাদুকে আর জি কর হাসপাতালে ভর্তি করে এসেছে। কন্ডিশন ভাল নয়, ডাক্তার বাহাত্তর ঘন্টার আগে কিছু বলতে পারবে না। নয়ন দেরি না করে মাকে নিয়ে হাসপাতালে চলে গেল। দাদু আইসিসিইউয়ে ছিল, একজনের বেশি ঢুকতে দেবে না। মাকে একটা বেঞ্চে বসিয়ে নয়ন ভেতরে গেল। নাকে নল, হাতে স্যালাইন, বুকে ইসিজির তার, নয়নের বড় কষ্ট হল দাদুকে ঐ অবস্থায় দেখে। কাছে যেতে চোখাচুখি হল। অত কষ্টের মধ্যেও একগাল হেসে বললেন—দাদুভাই, ইন্টারভিউ হয়ে গেল। মনে হচ্ছে সিলেক্টেড,  শিগগিরিই ডাক আসবে।

    নয়ন অতি কষ্টে কান্না চেপে দাদুকে আশ্বাস দিল। ওখানে বেশিক্ষণ দাঁড়াবার মত মনের জোর ছিল না। একটু বাদে বেরিয়ে এসে মাকে ভেতরে পাঠাল। 

    আহেলি সেদিন বাড়ি ফেরেনি, বাগবাজারেই থেকে গেল। নয়ন ছোটমামার সাথে রাতে হাসপাতালে রইল। রাতটা কোনমতে কাটল। ভোর বেলাই খবর এল, দাদু আর নেই। চলে গেল নয়নের ছোটবেলার সাথী। আহেলি খুব কান্নাকাটি করছিল। মাকে সামলালেও নয়ন নিজেকে কিছুতেই সামলাতে পারছিলা না। যার হাত ধরে শৈশবে হাঁটি হাঁটি পা পা করে কোলকাতা শহরকে চিনতে শিখেছিল, তাকে কাঁধে করে পৌঁছে দিয়ে এল অনন্ত যাত্রার দ্বারে। ছোটমামা মুখাগ্নি করার আগে চিতার পাশে দাঁড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতে নয়ন বলেছিল—দাদু যাও, ছোড়দিদা তোমার জন্য অপেক্ষা করছে। তোমাকে ছেড়ে এতদিন কখনো থাকেনি।

    হারিয়ে গেল নয়নের ছেলেবেলার সাথী, রেখে গেল অনেক সুখস্মৃতি। চিতার আগুনে দেহ লীন গেলেও ওই স্মৃতি নয়নের অন্তরে আজীবন লালিত হবে।  

    চলবে
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন