এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জীবন তরঙ্গ  পর্ব ৪৬

    Sukdeb Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১১ জুন ২০২৪ | ১৯৭ বার পঠিত
  • জীবন তরঙ্গ  পর্ব ৪৬

    অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর, সতরঞ্চি, চেয়ার আর অন্যান্য জিনিসপত্র গাড়িতে তোলা হল। সূর্য তখন পূব থেকে মাঝ আকাশের দিকে অনেকটা এগিয়ে এসেছে। গরম পড়েনি,  আবার শীতের কামড়ও নেই। মনোরম আবহাওয়া। সকলে এসে গাড়িতে উঠল। মিরিক-শিলিগুড়ি হাইওয়ে দিয়ে গাড়ি চলতে শুরু করল। এক জায়গায় বোর্ডের লেখা  দেখে জানা গেল, জাগাটার উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৯০ মিটার। গ্রামটিকে ঘিরে রেখেছে নানা আয়তনের চা বাগান। দূরে পাহাড়, মাঝে মাঝে জঙ্গল, ধার দিয়ে বয়ে চলেছে বালাসোন নদী। প্রকৃতি যেন দুই বাহুতে ধরে রেখেছে গ্রামটিকে। নদীর ওপারে পানিঘাটা গ্রাম। পানিঘাটা থেকে কয়েক কিলোমিটার এগিয়ে গেলে পড়বে লোহাগাড়। লোহাগড় থেকে নেপালের গ্রাম পরিস্কার দেখা যায়। সব তথ্যই ড্রাইভারের কাছে পাওয়া গেল। কেউ কেউ নদীর ধারে ক্যাম্প খাটিয়ে থাকার আনন্দ উপভোগ করেন। কেউ আবার আসেন ট্রেক করতে। ঘন্টা দুয়েক নির্মল প্রকৃতির বুকে  ধীর গতিতে চক্কর লাগিয়ে গাড়ি ফিরে এল তার আগের জায়গায়। ছোট একটা রেস্তেরায় দিশি মুরগীর ঝোল দিয়ে দুপুরের খাওয়া সারা হল। ঠাকুমার জন্য ছিল ছানার ডালনা। 

    এবার ফেরার পালা। ঘড়িতে তখন তিনটে বাজে। নয়নকে রাতে গাড়ি ধরতে হবে তাই আর দেরি না করে গাড়ি শিলিগুড়ির পথ ধরল। আসার সময় ড্রাইভারের পাশে বসেছিল অসিত, মাঝে বসেছিলেন ঠাকুমা , নন্দিতা আর নীলিমা, আর পিছনে বসেছিল নয়ন আর তিমির।  ফেরার সময় একটু পরিবর্তন হল। নন্দিতা তিমিরকে বলল—ভাই তুই আমার জায়গায় গিয়ে বস। আমি পিছনে একটু পা ছড়িয়ে বসব, পাটা ব্যাথা করছে।

    তিমির স্থানচ্যুত হয়ে সোজা বাবার জায়গায় গিয়ে বসল, অসিত চলে এল মাঝখানে।  নন্দিতার পিছনে যাওয়ার কারণ যে ওর পা ব্যাথা নয় তা বুঝতে পেরে শাশুড়ি আর বৌ চাওয়া চাওয়ি করে মুচকি হাসল।

    যন্ত্রসংগীতে রবীন্দ্রনাথের গান বাজছে,  ঘন সবুজ বনানীর মধ্যে দিয়ে গাড়ি এগিয়ে চলেছে। এই মনোমুগ্ধকর পরিমন্ডলে আবেগ বাঁধ মানে না।

    নন্দিতা সিটের সামনেটায় এগিয়ে এসে, একটু ঝুঁকে নয়নের হাতটা নিজের হাতের মধ্যে নিয়ে,  পুরনো প্রশ্নটাই আবার করল—আমাকে তোমার সঙ্গে নেবে?

    --এখন সঙ্গে নিলে তো লোকে ছিঃ ছিঃ করবে। তোমার মা বাবাই বা আসতে দেবেন কেন!

    --আবার সেই পাশ কাটান কথা। মুখের ওপর না বলতে কি খুব সংকোচ হচ্ছে?

    নন্দিতা নয়নের হাত ছেড়ে দিয়ে সরে বসল। চোখটা ছলছল করছে।

    নয়ন স্মিত হেসে বলল—তোমার কথাই তোমাকে ফিরিয়ে দিচ্ছি। সব কথা বলতে লাগে না। মনের কথা মন দিয়েই বুঝে নিতে হয়। বোকা মেয়ে, না বুঝে মন খারাপ করছে। তোমার মত মেয়ে জীবনে এলে আমি খুব খুশি হব।

    নন্দিতা নয়নের হাতটা নিজের কোলের কাছে টেনে নিয়ে চুমু খেল। বুঝতে আমি পেরেছি।   তোমার প্রতিটা পদক্ষেপেই তার ইঙ্গিত ছিল। সকালে মিউজিকাল চেয়ারেও তার ইঙ্গিত পেয়েছি। অন্য কেউ না বুঝলেও আমি বুঝেছি। তবু, আমার বোঝায় ভুলও তো থাকতে পারে। মনের মধ্যে কিছুটা অনিশ্চয়তা ছিল। তাই তোমার মুখে একবার শুনতে চাইছিলাম। তোমাকে   পেলে আমার জীবন ধন্য হবে।

    --জীবন ধন্য হওয়া কাকে বলে আমার জানা নেই। তবে জীবন সুখের হয় অনেকটাই  নিজগুণে আর  কিছুটা  কপালে। আর আমি মহান কোন কেউকেটা নই। আমি দোষে গুণে একজন অতি সাধারণ মানুষ।  

    --আমার কাছে অনেক কিছু।

    --মাত্র এই ক’দিনে অনেক কিছু হলাম কি করে? তার জন্য তো মানুষটাকে বুঝতে হয়, ভাল  করে জানতে হয়। একটা মানুষকে চেনার জন্য মাত্র চারদিন যথেষ্ট নয়।

    --সময়, সান্নিধ্য যতই পাই না কেন, কোন মানুষেরই অন্তরের সব কটা গলি কখনো উঁকি  মেরে দেখা যায় না। মা, বাবা, সন্তান, স্বামী, স্ত্রী, বন্ধু, সব সম্পর্কের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য। কিছু অজানা দিক থেকেই যায়। কেবল রূপে আর চাকরিতে নয়, এই ক’দিনে তোমার চরিত্রের বেশ কিছু দিক আমাকে দারুণভাবে আকৃষ্ট করেছে। তোমার মধ্যে খুঁজে পেয়েছি  আমার মনের মানুষ।

    --দার্শনিক।

    --সে তুমি যাই বল না কেন। আমি একটা সাধারণ মেয়ের মনের কথা বললাম। এইটুকু সময়ে দমকা হাওয়ার মত আমায় লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে গেলে।

    --আগামী দিনের কথা ভাবার আগে, আমার অতীত নিয়ে কিছু কথা তোমাকে জানান  প্রয়োজন বলে আমি  মনে করি। 

    ঈজার সাথে ভালবাসা এবং বিচ্ছেদের ঘটনাটা নন্দিতাকে শোনাবার পর  জিজ্ঞেস করল—এবার বল, এখনো কি তুমি এই ছেলেটার সাথে পথ চলতে চাও?

    নন্দিতা কোন উত্তর না দিয়ে একটু চুপ করে রইল।

    --আমি জানতাম, এই ঘটনা শোনার পর তোমার ভাবনায় পরিবর্তন আসবে। আমি ঘটনাটা চেপে যেতে পারতাম, কিন্তু সেটা হত প্রতারণা। আমি জীবনের সব ক্ষেত্রেই স্বচ্ছতা বজায় রাখার চেষ্টা করি। আমার প্রতি তোমার মনোভাব জানার পর, এই ঘটনাটা তোমাকে আরো আগেই আমার জানান উচিৎ ছিল। কিন্তু বিশ্বাস কর, সুযোগের অভাবে বলে উঠতে পারিনি। সম্ভব হলে এই বাজে ছেলেটাকে মার্জনা করে দিও।

    --একটাও যেন আর বাজে কথা না শুনি। তুমি আমার কাছে যা ছিলে, এই ঘটনা শোনার পরেও তাই আছ। ঘটনায় তোমার তো কোন দোষ ছিল না, সব দোষ ঐ বাজে মেয়েটার। অতীতের ওরকম টুকরো ঘটনা  অনেকেরই থাকে, তোমার মত সততার সঙ্গে জানায় কজন!  আমাকেও কোন একটা সময়, তোমার মত আমাদের বাড়িতে আসা এক অতিথি হঠাৎ চুমু খেয়েছিল।  আমার কোন দোষ ছিল না, তাও সে কথা লজ্জায় আমি কাউকে জানাতে পারিনি। আজ তোমাকেই প্রথম জানালাম। তোমার প্রতি আমার সম্মান আরো বেড়ে গেল। জীবন সাথী নির্বাচন নিয়ে আমার কোন সংশয় নেই। এই কয়েক দিনে তুমি আমার সাথে দুষ্টুমি করার অনেক সুযোগ পেয়েছিলে, কিন্তু একবারের জন্যও সে চেষ্টা করনি। বরং আমিই তোমার কাছে একটু আদর খাওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে ছিলাম, কিন্তু আশা পূরণ  হয়নি।  তুমি খুব ভাল মানুষ  গো।   

    কথা আরো এগোত কিন্তু বাড়ি এসে গেল।  

    রাত এগারটায় ট্রেন, তখন বাজে চারটে। হাতে তখনো অনেক সময়। বাড়ি স্টেশনের থেকে দূরে নয়, ফলে খুব আগে বেরোবার দরকার নেই। নয়নের জিনিসপত্র সব সকালেই গুছিয়ে রেখেছে। হাত পা ধুয়ে এসে সকলে আবার লাস্ট রাউন্ডের আড্ডায় বসল। সকলে বললে ভুল  হবে, নীলিমা রান্নাঘরে গেল নয়নের রাতের খাবার তৈরি করতে। নয়ন বারে বারে মানা করা  সত্ত্বেও শোনেনি।

    --ক’টা দিন খুব আনন্দে কাটল। বিশেষ করে আজকের মত এত সুন্দর একটা দিন লাস্ট কবে কাটিয়েছি মনে নেই। আমরা তোমাকে খুব মিস করব নয়ন।

    --আমিও আপনাদের খুব মিস করব কাকু। ফোনে যোগাযোগ রাখবেন।

    --সে আর বলতে।

    পাশে  বসা  ঠাকুমাকে জড়িয়ে ধরে নয়ন বলল--এই চারদিন যে বাড়ির বাইরে এসেও বাড়ির লোকেদের মাঝেই রইলাম, তার জন্য ঠাকুমার ধন্যবাদ প্রাপ্য। ঠাকুমার জন্যই মহানন্দে কাটল এই ক’টা দিন।

    ঠাকুমাও নয়নকে জড়িয়ে ধরে বলল—বাড়ি ফিরে গিয়ে বুড়িটাকে যেন ভুলে যাস না দাদুভাই।  

    নয়নের রওনা হওয়ার সময় এসে গেল। অসিত বাড়ির গাড়িতে করে নিয়ে যাবে। নন্দিতা ওর স্টেশনে যাওয়ার কথা ঠাকুমাকে দিয়ে বলিয়ে রেখেছে। ওরা যখন স্টেশনে ঢুকল, তখনো গাড়ি প্ল্যাটফর্মে দেয়নি। অসিত নয়নের কাছ থেকে টিকিটটা নিয়ে রিজার্ভেশনের চার্ট দেখতে গেল। নন্দিতা চুপ করে দাঁড়িয়েছিল। 

    --কি হল ম্যাডাম, এত চুও কেন।

    নন্দিতা কাঁপা কাঁপা গলায় বলল—কি বলব! 

    নয়ন দেখে ওর চোখের কোনা চিকচিক করছে।

    --আমার বৌ তো এত অল্পে কাতর হওয়ার মেয়ে নয়।

    বৌ ডাক শুনে নন্দিতা স্থান কাল ভুলে গিয়ে নয়নকে জড়িয়ে ধরল।

    --আরে আরে করছ কি? লোকে দেখছে, আর  এখনি কাকু এসে যাবেন।

    অসিত কম্পার্টমেন্ট আর বার্থ নাম্বার দেখে ফিরে এল। তার অনেক আগেই নয়ন আলিঙ্গন মুক্ত হয়েছে। একটু বাদে যথা সময়ে ট্রেন ছেড়ে গেল। নন্দিতার চোখে জলের ছিটে ছিলা না, হাসিমুখেই বিদায় জানিয়েছে।

    নিচু গলায় শুধু বলেছিল—আবার এসো।

     

    চলবে
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন