এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জীবন তরঙ্গ পর্ব ৫৫ 

    Sukdeb Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২২ জুন ২০২৪ | ১৪৩ বার পঠিত
  • জীবন তরঙ্গ পর্ব ৫৫

    হোটেল থেকেই গাড়ির ব্যবস্থা হয়েছিল। দু দিন মুন্নার, এক দিন পেরিয়ার আর একদিন কুমারক্কম ঘুরিয়ে আবার তিরুবন্তপুরমে ফিরিয়ে আনবে। এবার আর মোহন নয়, অন্য ড্রাইভার, নাম স্টিফেন। নয়নের মতই বয়স, হাসিখুশি ছেলে। ভরপেট জলখাবার খেয়ে সকাল সকাল ওরা মুন্নারের উদ্দেশ্যে রওনা হল। ‘আদুরে’ পৌঁছে ওরা দুপুরের খাওয়া সেরে নিল। কিছু পরেই শুরু হল পাহাড়ি রাস্তা। চার ধারের দৃশ্য বড় সুন্দর। বেশ কিছুক্ষণ যাওয়ার পর নন্দিতা হাঁপিয়ে উঠল — পৌছতে আর কতক্ষণ গো?

    -- এখনো একটু দেরি আছে।

    -- আমার শরীরটা আনচান করছে।

    -- আমি সামনে গিয়ে বসছি, তুমি এখানে শুয়ে থাক।

    ‘হুইস্পারিং মেডোস’ এ যখন গাড়ি ঢুকল, তখন সূর্য বিদায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। পাহাড়ের গায়ে ভারি সুন্দর হোটেল। বড় রাস্তা থেকে ঘুরে ঘুরে উঠে গেছে হোটেলের রাস্তা। এর এক একটা ধাপে হোটেলের এক একটা অংশ। ঘরে গিয়ে মুখ হাত ধুয়ে একটু বিশ্রাম নিতে নন্দিতার মোশান সিকনেশ কেটে গেল। চা আর জলখাবার খাবার পর শরীরটা চাঙ্গা হয়ে গেল।

    -- তুমি পাহাড়ের দিকের মানুষ, পাহাড়ি রাস্তায় লটকে পড়লে!

    -- কেন কে জানে, হঠাৎ শরীরটা পাক দিতে শুরু করল। এখন একদম ঠিক হয়ে গেছে। চল না, একটু ঘুরে আসি।

    -- সে যাওয়া যেতেই পারে। তবে এই হোটেলটা কিন্তু শহরের বাইরে। হোটেল থেকে বেরলেই বাইরে সব সুনসান। শুধু পোকামাকড়ের ডাক শুনতে পাবে।

    -- না বাবা, তাহলে আর গিয়ে কাজ নেই।

    -- চল, হোটেলের কম্পাউন্ডের মধ্যে একটু ঘোরাঘুরি করি। তারপর ডাইনিং হলে গিয়ে আর এক কাপ করে চা খাই।

    মুন্নার অত্যন্ত মনোরম হিল স্টেশন। এর উচ্চতা পাঁচ হাজার ফুটের কিছু বেশী। রাস্তার দু ধারে চা বাগান। নন্দিতার খুব চেনা ছবি।

    সকালে জলখাবার খেয়ে রেডি হয়ে ওরা গাড়িতে গিয়ে বসল। স্টিফেন গুড মর্নিং করে গাড়িতে স্টার্ট দিল। এখানকার সব ড্রাইভারই অনেকটাই গাইডের ভূমিকা পালন করে।

    -- আমি প্রথমে আপনাদের নিয়ে যাব এরাভিকুলাম জাতীয় উদ্যানে। ওখানে এন্ট্রি পয়েন্টে গিয়ে টিকিট কাটতে হবে। তারপর ওদের গাড়িতে চেপে আপনারা ভেতরে যাবেন।

    নয়ন জিজ্ঞেস করল
    -- ওখানে কি আছে?

    -- কিছু জীবজন্তু আছে।

    টিকিট কেটে নয়নরা উদ্যানের গাড়িতে গিয়ে বসল। ছোট বাসের মত, আরো অনেক পর্যটক রয়েছে। ঐ গাড়িতে করে ওদের পাহাড়ের আরো বেশ খানিকটা ওপরে নিয়ে গিয়ে নামিয়ে দিয়ে বলা হল—এবার আপনারা নিজেদের মত ঘোরা ঘুরি করুন। পঁয়তাল্লিশ মিনিট পর আবার এইখান থেকে বাস ছাড়বে।

    নামার পর নন্দিতা একটু ভয়ে ভয়ে বলল—হ্যাঁগো, অভয়ারণ্যে এরকমভাবে আমাদের ফাঁকা ছেড়ে দিয়ে গেল, জন্তু জানোয়ার এলে কি করব?

    -- লাফিয়ে আমার কোলে উঠে পড়বে।

    -- ছ্যাবলামো নয়, সিরিয়াসলি বলো না।

    -- আরে বাবা, তেমন কিছু থাকলে কি আর এভাবে আমাদের ছেড়ে দিয়ে যেত! চলো হাতে সময় বেশী নেই, হাঁটতে থাকি।

    বিস্তর হাঁটাহাঁটি করেও কয়েকটা একটু বিচিত্র ধরণের ছাগল ছাড়া আর কোন কিছুই কারো চোখে পড়ল না। তবে সিনিক বিউটি অসাধারণ। মাঝে একটা সুন্দর ঝরনা ছিল। একটু বিফল মনোরথ হয়ে সকলে বাসে কাছে ফিরে এল। অনেকেরই বক্তব্য যে, এরা ঢপ দিয়ে পয়সা নিচ্ছে।

    ঐ এলাকা থেকে বেরিয়ে এসে নয়নরা আবার গাড়িতে এসে বসল। শহরে এসে স্টিফেনকে নিয়ে একসাথে দুপুরের খাওয়া সারল। খাওয়ার পর মুন্নার থেকে একটু দূরে ‘পল্লিভাসাল’ জলপ্রপাত দেখতে গেল। সন্ধে হওয়ার আগেই ফিরে এল ‘হুইস্পারিং মেডোস’এ। শহর ছাড়িয়ে পাহাড়ের বুকে নিরিবিলি এই হোটেলটা দুজনেরই খুব পছন্দ হয়েছে। পছন্দ হওয়ারই কথা, নতুন দম্পতীর ভাললাগার সব উপকরণই এখানে রয়েছে। রাতগুলোও তাই কাটছে অপার সুখে।

    পরদিন একটু সকাল সকাল বেরিয়ে পড়ল। কুন্ডলা ড্যাম দেখে, স্পাইস গার্ডেনের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে পেরিয়ার। সব মিলিয়ে অনেকটা পথ। হোটেল থেকে টিফিন প্যাক করে দিয়ে দিয়েছিল। গাড়িতেই খাওয়ার পর্ব সেরে নিল। ড্যামে পৌঁছতে কিছুটা সময় লাগল। দারুণ জায়গা, অসাধারণ ভিউ। নয়ন কয়েকটা ছবি তুলল। তখন অনেক হিসেব করে ছবি তুলতে হত। একটা ফিল্ম ক্যামেরায় লোড করলে ছত্রিস সাঁইত্রিশটার মত ছবি তোলা যেত। অন্ধকার ঘরে খুব কায়দা করে লোড করলে খুব বেশী হলে চল্লিশ। এখনকার মত অসংখ্য ছবি তোলা আর ভাল না লাগলে ডিলিট করে দেওয়ার সুযোগ ছিল না। ড্যাম আর চারধারটা অনেকটা সময় নিয়ে ঘোরার পর রওনা দিল পরবর্তী গন্তব্যের উদ্দেশে। বেশ কিছুটা পথ রাস্তার দু ধারে চা বাগান দেখা গেল। এর পরেও বাগান এল, কিন্তু তা চায়ের নয়, মশলার বাগান। রাস্তার দু ধারে শয়ে শয়ে মশলার বাগান। ভেতরে গিয়ে দেখতে টিকিট লাগে। স্টিফেন একটা বড় বাগানের বাইরে গাড়ি রেখে টিকিট কেটে ভেতরে ঘুরে আসতে বলল। অনুরোধ করল এক ঘন্টার মধ্যে ফিরে আসতে। বিড়াট এলাকা জুড়ে বাগান। একজন মালায়ালি মেয়ে প্রতিটা গাছের ঠিকুজি কুষ্ঠি বলতে বলতে সারা বাগানটা ঘুরিয়ে দেখাল। কিছু চেনা হলেও অনেক গাছই নয়নদের অচেনা। একটা নতুন অভিজ্ঞতা হল। ফিরে গিয়ে বিলি বন্টন করার জন্য ওদের কাছে থেকে মশলার কিছু গিফট প্যাক কিনে বাইরে এসে গাড়িতে বসল। ড্রাইভারের দেওয়া সময়ের আগেই হয়ে গেছে। বেলা অনেকটাই হয়েছে, এবার পেটে কিছু না দিলেই নয়। ড্রাইভারকে একটা ভাল ভাতের হোটেলে নিয়ে যেতে বলল। মোটামুটি ভদ্রস্থ একটা হোটেলের সামনে ড্রাইভার গাড়ি রাখল। ভাত, ডাল, তরকারি, চিকেন, মাটন, ডিম, মাছ, সবই ছিল। ওরা ভাত, ডাল, তরকারি আর চিকেন নিল। কি মাছ জানা নেই, তাই রিস্ক নিল না। ড্রাইভার ওর দেশোয়ালি খানা অর্ডার করল।

    বিকেল চারটে নাগাদ ওরা পেরিয়ারে এসে পৌঁছল। হোটেলের নাম পেরিয়ার হাউস। চারদিকে হালকা জঙ্গলের মাঝে ঝকঝকে হোটেল। ঘরে গিয়ে একটু ফ্রেশ হয়ে দুজনে বাইরে হোটেলের লনে এসে বসল। হোটেলের একজন বয় এসে চা আর স্ন্যাক্স দিয়ে গেল। আরো কিছু ট্যুরিস্ট ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে রয়েছে। একটু বাদে নয়ন টয়লেটে যাওয়ার জন্যে উঠে ঘরে গেল। নন্দিতার ভাল লাগছিল, একাই বসে রইল। একটু বাদে নন্দিতারই বয়সী একটা বউ নন্দিতার সামনে এসে বসল।

    -- নমস্কার। বাঙালি দেখে আলাপ করতে এলাম।

    নন্দিতা প্রতিনমস্কার করে জিজ্ঞেস করল—আপনারাও কি আজকে এসেছেন?

    -- হ্যাঁ, আজ সকালে এসেছি। কাল সকালেই বেরিয়ে যাব।

    দুচার কথা হওয়ার পরে মেয়েটির স্বামী এসে পাশে বসল। নন্দিতার ছেলেটাকে চেনা চেনা ঠেকল। মেয়েটি আলাপ করিয়ে দিয়ে বলল—আমার কত্তা।

    কত্তা মশাই নন্দিতার দিকে তাকিয়ে বলল—ওনাকে তো আমি চিনি। ঊনি আমার বাবার বন্ধুর মেয়ে। উনিও আমাকে চেনেন। ওনাদের বাড়িতে একবার আমি কয়েকদিন ছিলাম।

    নন্দিতা কিছুটা আন্দাজ করেছিল, এবার কনফার্ম হল।

    মেয়েটি জিজ্ঞেস করল—আপনি ওনাকে চেনেন?

    -- এখন চিনতে পারছি। অনেকদিন আগের কথা তো।

    কেমন নিঃসঙ্কোচে ছেলেটা সব বলছে। এবার না বলে ফেলে, ওনাকে ত আমি চুমুও খেয়েছি। নন্দিতার বসে থাকতে অস্বস্তি হচ্ছিল, ওদের কাছে বিদায় নিয়ে উঠে এল। বলব না, বলব না করেও নয়নকে ঘটনাটা জানাল।

    নয়ন শুনে উৎসাহিত হয়ে বলল—চল চল তাদের একবার দেখি। আমার পাওনাটা নিয়ে আসি।

    -- তোমার আবার কিসের পাওনা?

    -- বাঃ আমার পাওনা নেই! ও আমার বউকে চুমু খেয়েছে, আমারও তো ওর বউকে চুমু খাওয়া ডিউ আছে। লোকটার সাথে কথা বলে দেখি, কি বলে।

    -- আমার কোন আপত্তি নেই, এলেম থাকলে খেয়ে এস।

    পরদিন সকালে নয়নরা গেল পেরিয়ার লেকে লঞ্চে করে ঘুরতে। এক ঘন্টার ট্যুর। এটাও একটা অভয়ারণ্য, অনেক বন্যপ্রাণী আছে। ঘোরার সময় কিছু বাইসন, সম্বর আর কয়েকটা হাতি চোখে পড়ল। বেশ আনন্দদায়ক সাফারি। ওখান থেকে বেরিয়ে একটু ঘোরাঘুরি করে ফিরে এল হোটেলে। লাঞ্চ করেই রওনা দিতে হবে কুমারক্কমের দিকে। নন্দিতা ভেতরে ভেতরে একটু টেনশনে ছিল, কিন্তু কপাল ভাল, লোকটার সাথে আর দেখা হয়নি।

    কুমারক্কমের ঘরগুলো কটেজ টাইপের, চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। ওখানে তখন ট্যুরিস্ট খুব কম ছিল। নন্দিতাদের ঘরটা ভারি সুন্দর, একদিকের দেওয়াল পুরোটাই কাঁচের।

    ওখান থেকে ঘরে বসেই দিগন্ত বিস্তৃত ব্যাক ওয়াটারের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।

    নন্দিতা ওইখানে একটা চেয়ার টেনে বসল—আহা কি সুন্দর। কিন্তু বাইরে থেকেও তো ভেতরে সব কিছু দেখা যাবে।

    -- তাতো যাবেই।

    -- তাহলে কাপড় চোপড় কোথায় পাল্টাব?

    -- কেন বাথরুমে।

    -- ভাব ভালবাসাও কি বাথরুমে গিয়ে করতে হবে? এতো বড় সমস্যা হল। বিছানার কাজ যখন বিছানাতেই করতে পারব না, দরকার নেই আমার ঘরে বসে ব্যাক ওয়াটার দেখে। তুমি ওদের বলে ঘর পাল্টাও।

    -- ওরে হাঁদা, ওপর দিকটায় একবার তাকিয়ে দেখ। পর্দা গুটিয়ে ওপরে করা রয়েছে। পাশের দড়ি ধরে টান মারলেই নেমে আসবে। এত বড় জিনিস চোখে পড়ল না! মেয়েটাকে আর মানুষ করা গেল না।

    নন্দিতা নিজের বোকামিতে লজ্জা পেয়ে গেল।

    পরের দিন বোটে করে ঘুরতে গেল ভেম্বানাড় লেকে। ভেম্বানাড় ভারতবর্ষের সবথেকে লম্বা লেক। কেরালার বেশ কয়েকটা জেলাতে ছড়িয়ে রয়েছে এই লেক। বোটে দশ জনের বসার জায়গা থাকলেও সেদিন নয়নরা ছাড়া আর কেউ ছিল না। বোটের চালক জানাল যে এখানে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে বোট রেস হয়। লেকের ধারে বড় বড় হাউসবোট ছিল। মনোরম নৌকা ভ্রমণ শেষে শুরু হল ফেরার পালা। গাড়ি ছুটল তিরুবন্তপুরম অভিমুখে।

    হানিমুন কটা দিন দুজনে চরমভাবে এনজয় করেছিল। শরীর আর প্রকৃতি দুটোই পরতে পরতে উপভোগ করেছিল। ফিরে আসার পরেও আবেশ কাটতে চাইছিল না। আদর আর সোহাগ স্থান কাল মানছিল না। একদিন নয়ন রান্নাঘরে ঢুকে নন্দিতাকে জড়িয়ে ধরে চুমু খাচ্ছে এমন সময় আহেলি এসে পড়েছিল। লজ্জায় মাথা কাটা গেল। আহেলি কিছু না দেখার ভান করে চলে গেল। ভাগ্যিস বাড়িতে বেশি লোক নেই।

    চলবে
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল প্রতিক্রিয়া দিন