এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জীবন তরঙ্গ পর্ব ৪১

    Sukdeb Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৪ জুন ২০২৪ | ২০৯ বার পঠিত
  • জীবন তরঙ্গ পর্ব ৪১

    নয়ন শিলিগুড়িতে যে কখনো আসেনি এমন নয়, তবে তা কেবলমাত্র দার্জিলিং যাওয়ার জন্য।   ফলে এই শহর তার কাছে পুরোপুরিই অচেনা। স্টেশন থেকে রওনা হওয়ার আগে, অসিত   একবার টেলিফোন বুথে গিয়ে নিজেদের ফিরে আসার সংবাদ আর সঙ্গের অতিথির কথাটা  বাড়িতে জানিয়ে দিল।  অসিতদের বাড়ি নিউ জলপাইগুড়ি  স্টেশনের খুবই কাছে। গাড়িতে মাত্র পনের মিনিট লাগল। রাস্তার ধারে দোতলা বাড়ি। বাড়ির সামনে সুন্দর একটা বাগান। এক ঝলক তাকালেই বোঝা যায় যে, খুব যত্ন করে এর পরিচর্যা করা হয়। বাড়ির একধারে গ্যারেজ। গাড়ি বেরোবার জন্য আলাদা একটা গেট আছে। গাড়ি থেকে মালপত্র নামিয়ে অসিত গেটের ধারে রাখল। বুড়ি তখন নয়নের হাত ধরে টুকটুক করে  গেটের দিকে এগোচ্ছেন। গেট খোলার আওয়াজ হতেই, বাড়ির ভেতর থেকে আঠার উনিশ বছরের একটা ছেলে বেরিয়ে  এল।

    অসিত পরিচয় করিয়ে দিল, “আমার ছেলে, তিমির।”  

    ছেলেটি অচেনা যুবকের দিকে প্রশ্নবোধক চাউনি দিয়ে হাত জোড় করে নমস্কার করল।  বাপ ব্যাটায় মিলে সব জিনিসপত্র বাড়ির ভেতরে নিয়ে গেল। বুড়ি  নয়নের হাত ধরেই বাড়িতে ঢুকলেন। বাড়ির ভেতর দুজন মহিলা ওদের রিসিভ করার জন্য দাঁড়িয়ে ছিল। একজন তরুণী আর অন্যজন প্রৌঢ়া। প্রৌঢ়া জিজ্ঞেস করল—মা আপনাদের রিজার্ভেশন তো কনফার্ম হয়নি, গাড়িতে খুব কষ্ট হয়েছে তো! এতটা পথ কিভাবে এলেন মা?
    ঠাকুমা নয়নকে দেখিয়ে বললেন—কষ্ট তো খুবই হত মা, কিন্তু এই নাতিটার জন্য কোন কষ্ট হয়নি। ওর জায়গায় আমাকে শুতে দিয়ে নিজে সারা রাত বসে কাটিয়েছে।

    নয়ন ভাবল, ঠাকুমা তো ওর অনুমতির তোয়াক্কা না করে নিজেই নিজের ব্যবস্থা করে নিয়েছিলেন।  তবে কৃতজ্ঞতা বোধ আছে, জন সমক্ষে মহান সাব্যস্ত করে তার প্রতিদান দিলেন। ঠাকুমা পুত্রবধু নীলিমা আর নাতনী  নন্দিতার সাথে নয়নের পরিচয় করিয়ে দিলেন। যদিও পরিচয় করাবার আগেই নয়ন সম্পর্কগুলো আন্দাজ করে নিয়েছিল। এরপর নয়ন হাত বদল হল। ঠাকুমা নীলিমার কাছে নয়নকে হস্তান্তর করে দিলেন। নীলিমা নয়নকে সঙ্গে নিয়ে দোতলায় উঠে সামনেই একটা মাঝারি ঘরেতে গিয়ে বলল—মার কাছে শুনলাম, সারা রাত জেগে ছিলে। ক্লান্ত হয়ে আছ। একটু ফ্রেশ হয়ে নাও, এখনি জলখাবার পাঠাচ্ছি।  

    ঘরটা মোটামুটি গোছানই ছিল, নীলিমা আর একটু ঠিকঠাক করে দিয়ে গেল। নিচে ওপর মিলিয়ে বাড়িতে বেশ কটা ঘর রয়েছে। বাসিন্দার তুলনায় ঘরের সংখ্যা বেশি। বাড়িতে স্বাচ্ছল্য এবং রুচিবোধের ছাপ স্পষ্টভাবে ফুটে  রয়েছে। নয়ন বাথরুম থেকে একেবারে স্নান করে বেরোল। রাতে ঘুম না হওয়ায় শরীরটা একটু ঘেঁটে ছিল। স্নান করার পর বেশ ফ্রেশ লাগছে। ঘরের লাগোয়া একটা ঝুল বারান্দা রয়েছে। নয়ন বারান্দায় গিয়ে একটা চেয়ারে বসে সকালের শহরের ঘ্রান নিতে নিতে দিনের প্রোগ্রামের কথা চিন্তা করছিল। খানিক বাদে বেলার দিকে অফিসে যাবে। কাজের ব্যাপারটা সামন্ত স্যার বিস্তারিত ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন। এই অফিসের পাঠান একটা স্টেটমেন্টে কোলকাতার হেড অফিস সন্তুষ্ট হতে পারেনি। সেই ব্যাপারেই কিছু কোয়ারির জন্য ওকে এখানে পাঠান হয়েছে। অফিসে গিয়ে ফাইলপত্র ঘাঁটাঘাঁটি করলে তবেই নয়ন আন্দাজ করতে পারবে যে, এখানে কতদিন থাকতে হবে। সেই অনুযায়ী ফেরার টিকিট করাতে হবে। টিকিট করার ঝামেলা অবশ্য ওকে পোয়াতে হবে না, ওটা এখানকার অফিস করে দেবে।   

    এইসব সাতপাঁচ ভাবনার মাঝে নয়নের কানে একটা মিষ্টি গলা ভেসে এল—আপনার জলখাবার।

    নয়ন তাকিয়ে দেখে খাবারের প্লেট হাতে নন্দিতা দাঁড়িয়ে রয়েছে।

    --খাবারটা ঘরে দেব, না বারান্দাতে বসে খাবেন?

    --আপনার যেখানে সুবিধে হয় দিন। এখানেই আমার হাতে দিয়ে দিন না।

    --হাতে নিয়ে খেতে অসুবিধে হবে, আমি টি টেবলটা এখানে এনে দিচ্ছি।

    --না না ওসব টানাটানি করতে হবে না, আমি ঘরে যাচ্ছি।

    টেবলের ওপর খাবারটা রেখে মেয়েটা বলে গেল—খেতে শুরু করুন, আমি আরো নিয়ে আসছি।

    প্লেটে গরম গরম চার পাঁচটা ফুলকো লুচি আর আলুর দম, সাথে মিষ্টি। বড়ই মন মাতানো খাবার। শুধু খাবার নয়, মেয়েটার রূপটাও মন মাতানো। ঊগ্রতা নেই, স্নিগ্ধতায় ভরা মোহিনী রূপ। কয়েক মিনিটের মধ্যেই মা আর মেয়ে দুজনেই আরো খাবারের সম্ভার নিয়ে হাজির হাজির।   

    নয়ন না না করতে নীলিমা মাতৃস্নেহে বললেন—তোমাকে দেখে খুব লাজুক মনে হচ্ছে। যে ক’দিন আছ, এটাকে নিজের বাড়ি মনে করবে। একদম লজ্জা করবে না।

    মায়েদের সেই সনাতন ছবি। আন্তরিক অনুরোধে নয়নকে আরো ক’টা নিতে হল। দশটার একটু আগে নয়ন অফিসে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হল।  

    অসিত এসে বলল—চল, আমি তোমায় ছেড়ে দিয়ে আসছি।

    নয়ন বাধা দিয়ে বলল—না না, আপনি কেন মিছিমিছি কষ্ট করবেন? আমি ঠিক চলে  যাব।    
    -- আরে বাবা তুমি মিছিমিছি সংকোচ করছ। আমি তো অফিসে যাচ্ছিই, যাওয়ার পথে তোমাকে নামিয়ে দিয়ে যাব। আর শোন, তোমাকে প্রথম দিকে আপনি বলেছি বটে, কিন্তু দুজনের বয়সের ব্যবধান অনেক, তাই আর বলতে পারব না।

    নয়নকে ওর অফিসের সামনে নামিয়ে দিয়ে অসিত নিজের অফিসে চলে গেল।

    অফিসে গিয়ে নয়ন প্রথমেই পৌঁছন সংবাদটা বাড়িতে জানিয়ে দিল। লোকের বাড়িতে থাকার কথাটা জানায়নি। কাজে হাত দেওয়ার পর নয়ন বুঝতে পারল যে তার মিশন সম্পূর্ণ করতে চারদিন মত লেগে যাবে। সেই অনুযায়ী ওদের ফেরার টিকিট করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করল।

    নন্দিতা যখন খুব ছোট তখন ওর বাবা শিলিগুড়িতে বদলি হয়ে আসে। নন্দিতার ভাই তখন সবে হাঁটতে শিখেছে।  নন্দিতার মা আর ঠাকুমার প্রথম দিকে কোলকাতার জন্য খুব মন কেমন করত। পরিচিত জায়গা, পরিচিত লোকজন, আত্মীয়, বাপের বাড়ির লোকজন, এসব থেকে দূরে এসে ওদের তখন শিলিগুড়িতে একেবারেই ভাল লাগত না। ধীরে ধীরে নন্দিতার  মা, ঠাকুমা, সকলেরই জায়গাটায় মন বসে গেল। ছোটবেলা থেকেই বাড়িতে নন্দিতার সব থেকে কাছের মানুষ ছিল ওর ঠাম্মি। মা বাবা বকাঝকা করলে বা কখনো সখনো দু এক ঘা দিতে এলে ঠাকুমা  ছিল ওদের দুই ভাইবোনের ঢাল। ঠাকুমা খুব ভাল গল্প বলতে পারতেন, আর স্টকও ছিল অফুরন্ত। ওরা দুই ভাইবোন গল্প শুনতে শুনতে ঠাকুমার কোলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ত। বড় হওয়ার পরেও নন্দিতার ঠাকুমার কাছে গিয়ে একটু আদর না কাড়ালে চলত না। নন্দিতা স্কুল থেকে বেরিয়ে কলেজে ঢোকা ইস্তক ঠাকুমার মাথায় নন্দিতার বিয়ের ভাবনা পাক খেতে শুরু করল। চেনা জানা অনেককেই নন্দিতার উপযুক্ত ভাল ছেলের খবর লাগাতে বলল।

    অসিত ওর মাকে বলেছে—আগে মেয়েটা বিএ পাশ করুক, তারপর ওর বিয়ের ব্যাপারে ভাবা যাবে।

    ঠাকুমা ওকথা শুনতে নারাজ।

    --এখন থেকে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু না করলে, দেরি হয়ে যাবে। যে সে ছেলের হাতে তো আমার দিদিভাইকে তুলে দিতে পারব না।   

    ভালবাসার মানুষ হলেও, ঠাকুমার ওর বিয়ে নিয়ে এই ব্যস্ততা নন্দিতারও একদম ভাল লাগত না।  

    একদিন তো রাগ করে বলেই ফেলল--তুমি কি পেয়েছ বলত ঠাম্মি! যে বাড়িতে আসছে তাকেই  আমার বিয়ের জন্য বলতে শুরু করেছ। আমাকে বিদেয় করতে না পারলে কি তোমার ঘুম  হচ্ছে না? নিজের অল্প বয়সে বিয়ে হয়েছে, আমাকেও সে পথে ঠেলার জন্য উঠেপড়ে লেগেছ।

    ঠাকুমা নাতনীকে বুকে টেনে নিয়ে আদর করে বলেছিল—রাগ করিস না দিদিভাই। মনোমত কিছু কি চট করে পাওয়া যায় রে ভাই, খুঁজতে হয়। সেই জন্যই তো এত চেষ্টা করছি। দেখি কবে পাই আমার এই ফুল পরীর জন্য অপেক্ষা করে থাকা সেই রাজকুমারের দেখা।

    নন্দিতার মা বাবা তেমন আগ্রহ না দেখালেও, ঠাকুমা কিন্তু তার সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে গেছেন।  দেখতে দেখতে নন্দিতার বিএ ফাইনাল পরীক্ষা হয়ে গেল। এই দীর্ঘ তিন বছরেও মনের মত নাত জামাইয়ের সন্ধান ঠাকুমাকে কেউ এনে দিতে পারেনি। ঠাকুমার নিরন্তর চেষ্টায় তাতে কোন ভাঁটা  পড়েনি।  

    চলবে
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন