এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জীবন তরঙ্গ পর্ব ৪২ 

    Sukdeb Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৬ জুন ২০২৪ | ২৩৭ বার পঠিত
  • জীবন তরঙ্গ পর্ব ৪২

    বিএ পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর থেকে ফলাফল প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত অনেকটা সময়। বাড়িতে বসে বসে নন্দিতার বোর হচ্ছিল। তার একটা বড় কারণ, ঠাকুমা বাড়িতে নেই। ঠাকুমার ভাই  অসুস্থ। খবরটা পাওয়ার পর, অসিত মাকে নিয়ে গিয়ে কোলকাতায় মামার বাড়িতে রেখে এসেছে। নন্দিতারা কয়েকজন বন্ধু মিলে দার্জিলিং এ যাওয়ার প্ল্যান করল। মেয়ে কোনদিন এভাবে  বাবা মা ছাড়া একা কোথায় বেড়াতে যায়নি। সম্মতি দিতে অসিত এবং নীলিমার স্বাভাবিক ভাবেই একটু দ্বিধা ছিল। যাওয়াটা অবশ্য আটকায়নি। অসিত পরিচিত লোক মারফৎ  নন্দিতা আর ওর বন্ধুদের দার্জিলিং এ থাকা আর ঘোরার সব ব্যবস্থা করে দিয়েছিল।

    যাওয়ার আগে নীলিমা মেয়েকে সতর্ক করে বলেছিল—  পাহাড়ি রাস্তা, সাবধানে চলাফেরা করবি।  আবার যেন কোন অঘটন না ঘটে।

    নন্দিতা মাকে আশ্বাস দিয়ে বলেছিল—অত চিন্তা কোরো না তো! এখন আমি বড় হয়ে গেছি মা।

    যাতায়াত সমেত বেড়ানর জন্য পাঁচ দিনের সময়সীমা বাড়ি থেকে বরাদ্দ হয়েছিল।     নন্দিতার ভাই তিমিরও ওদের সাথে যাওয়ার জন্য বায়না ধরেছিল। কিন্তু কয়েকমাস বাদে ওর পার্ট ওয়ান পরীক্ষা বলে বাড়ি থেকে অনুমতি পায়নি। নন্দিতারা চারজন বন্ধু মিলে বেড়াতে গিয়েছিল। অভিভাবক ছাড়া বেড়াতে যাওয়ার আলাদা কিছু মজা আছে। এত কাছে থাকলেও দার্জিলিং এ নন্দিতা মাত্র দুবার গেছে। প্রথমবার এত ছোট ছিল যে, কিছুই মনে নেই। দ্বিতীয়বার  গিয়েছিল, যখন নন্দিতা ক্লাস সিক্সে পড়ে। সেই বয়সের কোন কিছু ভোলার কথা নয়, ভোলেওনি। বেশি করে মনে আছে দুর্ঘটনার কথা। পাহাড়ি রাস্তা, মা বা বাবার হাত ধরেই নন্দিতা হাঁটত। সেদিন হোটেল থেকে বেরোবার সময় নন্দিতা একছুটে বাকিদের থেকে  খানিকটা এগিয়ে গিয়েছিল। ভাই বায়না করছিল বলে মা বাবা  একটু পিছনে ছিল। একটু যেতেই একটা লোমওয়ালা কালো কুকুর লেজ নাড়তে নাড়তে নন্দিতার দিকে এগিয়ে এল। ভয় পেয়ে পালাতে গিয়ে নন্দিতা রাস্তার একেবারে ধারে চলে এসেছিল। তারপর কেউ কিছু বোঝার আগেই পা হড়কে নিচে পড়ে গেল। নন্দিতার মা বাবা ছাড়াও আরো লোকজন দৌড়ে এসে নন্দিতাকে নিচের রাস্তা থেকে তুলে আনল।  কপাল ভাল খাদে পড়েনি। ওরা যে রাস্তা দিয়ে আসছিল, সেটাই ঘুরে এসে সাত আট ফুট নিচে দিয়ে গেছে। নন্দিতার পা থেকে রক্ত বেরোচ্ছে, দুটো হাতেরও কয়েক জায়গায় ছড়ে গেছে। বেড়ান ওদের মাথায় উঠল। হোটেলের লোকেদের সাহায্যে মেয়েকে নিয়ে অসিত হাসপাতালে দৌড়ল। হাতে তেমন কিছু না হলেও পায়ে তিনটে স্টিচ পড়ল। সেই কাটার দাগ নন্দিতার ডান হাঁটুর পাশে আজও রয়ে গেছে।

    আগের দুর্ঘটনার কথা মাথায় থাকায়, সেবারে নন্দিতা একটু বেশি সতর্ক হয়েই হাঁটাচলা করেছে। বন্ধুরা তাই নিয়ে মস্করা করতে ছাড়েনি। আনন্দে পাহাড়ে ক’টা দিন কাটিয়ে নন্দিতা বাড়ি ফিরে এল। ফিরে আসার কয়েকদিন বাদেই বাবার  কাছে ঠাকুমার তলব এল, ওনাকে  নিয়ে আসার জন্য।

    অসিত ফোন করে বলেছিল—এতদিন বাদে গেছ, আরো ক’টা দিন থেকে এস মা। তোমারো ভাল লাগবে, ওদেরও ভাল লাগবে।

    ওদিক থেকে সোজাসাপ্টা উত্তর এসেছিল—ভুলুকে দেখতে এসেছিলাম, ও এখন ভাল আছে। বাড়ির বাইরে আমার বেশিদিন ভাল লাগে না। তুই ছুটি নিয়ে এসে আমায় নিয়ে যা।

    অসিত মাতৃ আদেশ অমান্য করেনি।    

    ঠাকুমার ফিরে আসার খবরে নন্দিতার খুব আনন্দ হল। ঠাকুমা না থাকায় বাড়িটা বড় ফাঁকা  ফাঁকা লাগছিল।

    ঠাকুমা ফিরে আসছে। বাবা নিউজলপাইগুড়ি স্টেশনে নেমে ফোন করে  জানিয়েছে যে, ঠাকুমা একা নয়, সঙ্গে আসছে আর একটা ছেলে। সে নাকি আবার কয়েকদিন থাকবে। নন্দিতা বা  নীলিমা কেউই ব্যাপারটা ঠিক বুঝে উঠতে পারল না। অশেষ কৌতূহল নিয়ে ওদের আগমনের জন্য অপেক্ষা করতে লাগল। 

    ওরা বাড়ি আসার পর ঠাকুমা যখন ছেলেটার গুণ গাইতে শুরু করল, তখন আর কেউ না বুঝলেও, নন্দিতার ঠাকুমার মতলব বুঝতে অসুবিধে হয়নি।

    ঠাকুমাও বেশিক্ষণ ব্যাপারটা নাতনীর কাছে চেপে রাখতে পারেনি। ছেলেটা দুপুরে অফিসে বেরিয়ে যাওয়ার পর  ঠাকুমা এক ফাঁকে নন্দিতার কানে কানে এসে জিজ্ঞেস করলেন—দিদিভাই পছন্দ হয়?

    নন্দিতা না বোঝার ভান করে জিজ্ঞেস করল—কি ঠাকুমা?

    --নতুন অতিথি।

    নীলিমা এসে পড়ায় কথা আর এগোয়নি। অতিথি সৎকারের আড়ালে বুড়ির আসল মতলবটা নন্দিতা বুঝতে পারল।

    অফিসে ফাইলপত্র নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে করতে সন্ধে হয়ে গেল। নয়ন প্রয়োজনের থেকে অনেকটা বেশি সময়  অফিসে রইল, যাতে কাজটা দিন দুয়েকের মধ্যে নামিয়ে দেওয়া যায়। ট্রেনের টিকিট পেতে অসুবিধে হলে বাসে ফিরে যাবে। অজানা অচেনা একটা বাড়িতে এক আধ দিনের বেশি থাকা উচিৎ নয়। এমন একটা গ্যাঁড়াকলে পড়ে গেল যে, ওখান থেকে বেরিয়ে আসাও মুশকিল। তবে নয়ন মনে মনে একটা ছক কষে রেখেছে। দু দিনের মধ্যে  যদি কাজ শেষ হয়ে যায় তাহলে তো কথাই নেই। যদি না হয়, তাহলে কোলকাতায় ফিরে আসছে  বলে, ওদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে কোনো হোটেলে গিয়ে উঠবে।  নয়নের উকিল পাড়ার অফিস থেকে অসিতদের বাড়ি অনেকটা দূরে। ওখানকার যানবাহনের ব্যাপারে  নয়ন  ওয়াকিবহল নয়, ফলে বাড়ি ফিরতে প্রায় নটা বেজে গেল। ফিরতে রাত হচ্ছে দেখে, ও বাড়ির সকলেই একটু চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল।

    নয়ন বাড়িতে ঢুকতে নীলিমা জিজ্ঞেস করল—ফিরতে এত দেরি হল? গাড়ি পাচ্ছিলে না?

    --কাজ করতে করতে অফিস থেকে বেরোতে একটু দেরি হয়ে গেল। সেই দেরিটা আর একটু বাড়ল যানবাহনের জন্য। আসলে সব বিকল্পগুলো তো জানি না। সরি, আমার জন্য আপনাদের ডিনার করতে দেরি হয়ে গেল।

    নিজের অজান্তেই নয়নের দেরি হওয়ার জন্য নন্দিতারও একটু চিন্তা হচ্ছিল। একটা অচেনা ছেলের জন্য চিন্তা হওয়ার কোন কারণ নেই, কিন্তু হচ্ছিল। ওর মা আর ঠাকুমার মত  নন্দিতাও উদগ্রীব হয়ে ছিল।

    নয়নের কথার উত্তরে নন্দিতা বলল—আমরা সাহেবদের মত সন্ধেবেলা ডিনার করিনা। আমাদের ডিনার হয় রাত এগারটায়।

    ঠাকুমার উদ্দেশ্য জানার পর  নন্দিতা ছেলেটাকে একটু ভাল করে জানা আর বোঝার চেষ্টা শুরু করল। হাতে সময় কম, যা করার তাড়াতাড়ি করতে হবে। দেখতে ভাল আর চাকরিও ভাল করে, এই দুটো প্লাস পয়েন্ট তো আছেই। এ ছেলেকে যে কোন মেয়েই পছন্দ করবে। নন্দিতারও মনের ভেতর একটু যে আকুলি বিকুলি হচ্ছে না, এমন নয়। তবু শুধু বাইরে নয়,  ছেলেটার মনের ভেতরটাতেও যতটা সম্ভব উঁকি মেরে দেখা দরকার। ঠাকুমা ট্রেন থেকে ধরে আনল, আর ছেলেটা বাধ্য ছেলের মত নন্দিতার সাথে বিয়ের পিঁড়িতে বসে গেল, ব্যাপারটা এতটা সরল নয়। ছেলেটার নিজস্ব পছন্দ অপছন্দ আছে, প্রেমিকা থাকতে পারে, দুশ্চরিত্র হতে পারে। সব থেকে বড় কথা, অপত্য স্নেহের আড়ালে ঠাকুমার এই ষড়যন্ত্রের কথা ছেলেটা ঘুণাক্ষরেও জানে না।  

    নয়ন ফ্রেশ হয়ে আসার পর জমিয়ে আড্ডা বসল। ঠাকুমা থেকে আরম্ভ করে তিমির, সকলেই ছিল সেই আড্ডায়।

    ঠাকুমা কথায় কথায় জিজ্ঞেস করলেন—বাবা কয়েকদিন আছো তো?

    --কাজ শেষ হতে যে ক’দিন লাগবে। মনে হয় তিন চার দিন লেগে যাবে।

    উত্তর শুনে ঠাকুমা আর নাতনী দুজনেই খুশি হল। মুখ ফস্কে সত্যি কথা বলে ফেলে নয়ন একটু মুশকিলে পড়ে গেল। ওর প্ল্যান ছিল, দুদিন বাদেই  ফিরে যাচ্ছে বলে এই বাড়ি থেকে  বেরিয়ে কোন হোটেলে গিয়ে ওঠা।

    ব্যাপারটা সামাল দিতে বলল—অবশ্য এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছি না। ডকুমেন্ট গুলো ঠিকঠাক পেয়ে গেলে আগেও কাজ শেষ হয়ে যেতে পারে।

    ঠাকুমা মুচকি হেসে বললেন—অত তাড়াহুড়ো করার কি আছে? সময় নিয়ে ধীরে ধীরে কাজ করলেই তো হয়।  

    ঠাকুমার কথা শুনে নয়ন হেসে ফেলল। নন্দিতা মনে মনে বুড়িকে স্যল্যুট করল। প্রায় ঘন্টা দুয়েক ধরে অনেক গল্প, মজা, মস্করা হল।  মা আর মেয়ে দুজনে গান করল। নয়ন মুগ্ধ হয়ে শুনল। দুজনেরই গানের গলা খুব ভাল। আসরে মগ্ন হয়ে থাকার ফলে ঘড়ির দিকে কারো চোখ পড়েনি। সেদিন ঐ বাড়ির ডিনারের সময় অনেকটা পিছিয়ে গিয়েছিল।

    একবারের জন্যও কাউকে দেখে মনে হয়নি  যে, ওদের সাথে নয়নের সবে  সেদিন সকালে পরিচয় হয়েছে। নয়ন যেন কতকালের চেনা।    

     
    চলবে
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত প্রতিক্রিয়া দিন