এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জীবন তরঙ্গ - ২২  

    Sukdeb Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১১ মে ২০২৪ | ১৭৩ বার পঠিত
  • জীবন তরঙ্গ- পর্ব ২২

    গালুর চলে যাওয়ার কষ্টের তীব্রতা একটু কমতে না কমতেই আড্ডায় এল আর একটা ধাক্কা। কচিদা রহড়া ছেড়ে চলে যাচ্ছে। কচিদার পরিবারে কেবলমাত্র ওর মা ছিল। চৌধুরি পাড়ায় মায়ে ব্যাটায় থাকত। চাকরি বাকরি না পেলেও কচিদা কখনো বসে থাকেনি। সকালে কাগজ বিলি থেকে শুরু করে সারাদিন কিছু না কিছু করে রোজগারের চেষ্টা করত। মায়ের পেনশন আর ওর রোজগার, দুয়ে মিলে সংসার চলে যেত। অবস্থা সেরকম ভাল ছিল না, তা সত্ত্বেও বন্ধুদের বিশেষ করে নয়নকে, মাঝে মাঝে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে খাওয়াত। ওর মা মানুষ যেমন ভাল ছিলেন তেমনই ভাল ছিল তাঁর হাতের রান্না।

    একদিন বিকেলের আড্ডায় কচিদা খবরটা জানাল। বজবজের দিকে কোন একটা কারখানায় চাকরি পেয়েছে। ওদের কোয়ার্টারেই থাকতে হবে। ফলে রহড়ায় আর কচিদার থাকা হচ্ছে না। চাকরির খবরে সকলে খুশি হলেও, ও আর রহড়ায় থাকবে না শুনে বন্ধুমহল খুবই মুষড়ে পড়ল। এতদিনের বাস আর সম্পর্কগুলো ছেড়ে চলে যেতে কচিদারও খুব খারাপ লেগেছিল।

    চলে যাওয়ার ক’দিন আগে বলেছিল—ঘাবড়াস না, রোজ দেখা হবে না ঠিকই, তবে ছুটিছাটা থাকলেই চলে আসব।

    প্রথম কয়েক মাস কয়েকবার এসেছিল, পরে ধীরে ধীরে আসা বন্ধ হয়ে যায়। সব থেকে আশ্চর্যের ব্যাপার, এত ভাব ভালবাসা থাকা সত্ত্বেও, ওর নতুন ঠিকানাটা কাঊকে জানায়নি। আড্ডায় প্রথমদিকে ঘুরে ফিরেই কচিদার কথা চলে আসত, সময়ের সাথে সাথে সকলের মনে কচিদাও ক্রমশঃ আবছা হয়ে গেল।

    নেহার হায়ার সেকেন্ডারির ফল আগেই বেরিয়েছে, কলেজেও ঢুকে গেছে। কিছুদিনের মধ্যেই পার্ট ওয়ানের ফল বেরল। নয়নের রেজাল্ট একটু বেশী ভাল হয়েছে, রজতেরও মন্দ হয়নি। এক সপ্তাহ পরেই ক্লাস শুরু হবে। নয়ন কয়েক দিনের জন্য বাগবাজারে মামার বাড়ি গেল। অবশ্য মামার বাড়িতে থাকার জন্য কলেজে ছুটির কোন দরকার নেই। বাড়ির চেয়ে ওখান থেকে আশুতোষ কলেজ যাওয়া অনেক সহজ। তিন নম্বর বাসে চাপলে একবারে পৌঁছে যাওয়া যায়। এবারে কয়েকমাস পর মামার বাড়িতে এল। রবিবার বিকেল, মামা বাড়িতেই ছিল। বাড়ি ঢুকতেই একটা বড় পরিবর্তন নজরে এল। একতলায় কারা যেন রয়েছে। ছোটমামার কাছে জানতে পারল যে, বাড়িতে একজন ভাড়াটে এসেছে।

    -- দাদারা চলে যাওয়ার পর থেকে নিচেটা তো ফাঁকাই পড়ে থাকে। এরা আমার এক বন্ধুর মাধ্যমে এসে অনেক করে ধরল। দাদাকে জিজ্ঞেস করলাম। দাদা বলল, “একা থাকিস, পাশে কেউ থাকলে সুবিধেই হবে। দরকারে কাজে লাগতে পারে। লোক ভাল হলে দিয়ে দে।” মাস খানেক হল ওরা এসেছে। স্বামী, স্ত্রী আর একটি মেয়ে। মানুষগুলো ভাল।

    নয়ন পাশে দাদু দিদার সাথে দেখা করতে গেল। দাদু একই রকম আছেন। দেখেই একগাল হেসে বললেন—দাদুভাই, ফাইন দিতে হবে। এবার কিন্তু অনেকদিন বাদে এলি।

    নয়ন জিজ্ঞেস করল—দিদা, কোথায়?

    -- দিদা শবাসন করছে।

    -- তার মানে? দিদা আবার কবে থেকে আসন করা শুরু করল?

    -- সেটা ঘরে গিয়ে তোর দিদাকে জিজ্ঞেস কর।

    নয়ন ঘরে গিয়ে দেখে দিদা চাদর মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে। বুঝতে পারল দাদু ওর সাথে মস্করা করেছে। নয়ন ডাকতেই, “ওমা তুই এসেছিস! বোস বাবা বস। কতদিন বাদে এলি বাবা!”

    -- অবেলায় শুয়ে আছ, তোমার কি শরীর খারাপ?

    -- সেরকম কিছু নয়, একটু শীত শীত করছিল তাই চাদর মুড়ি দিয়ে শুয়ে ছিলাম। কি খাবি বল?

    নয়ন দিদার গায়ে হাত দিয়ে দেখে, গা গরম।

    -- তোমার তো দেখছি গা গরম, থার্মোমিটার দিয়ে জ্বর দেখেছ?

    -- সকালে উনি একবার দেখেছিলেন। তখন ১০১এর মত ছিল। তারপর ঘাম হয়ে জ্বরটা কমে গেল। এখন আবার গাটা একটু গসগস করছে।

    -- ডাক্তার দেখিয়েছ?

    -- এই সামান্য জ্বরে কেউ আবার ডাক্তার দেখায় নাকি! তুই বস, আমি কিছু খাবার করে নিয়ে আসি।

    -- গায়ে জ্বর, উনি যাচ্ছেন আমার জন্য খাবার করতে। কিচ্ছু করতে হবে না, চুপ করে শুয়ে থাক। ছোড়দাদু, একবার তোমাদের বাড়ির ডাক্তারকে খবর দাও না। আর না হলে উনি কোথায় থাকেন বল, আমি গিয়ে সঙ্গে করে নিয়ে আসছি।

    -- আমি ডাক্তারকে খবর দিয়েছি দাদুভাই, সন্ধেবেলা আসবেন। তুই আমাদের নিয়ে অত চিন্তা করিস না। দাদুভাই আমরা সব এখন গাছের পাকা ফল, খসে পড়ার অপেক্ষায় ঝুলছি।

    -- আজেবাজে কথা একদম বলবে না। দোকান বাজার থেকে যদি কিছু আনতে হয় বল, এনে দিচ্ছি।

    -- কিচ্ছু আনতে হবে না। কতদিন বাদে এলি, বোস একটু গল্প করি।

    বেশ কিছুক্ষণ গল্প হল, তার বেশিটাই নয়নের ছোটবেলা নিয়ে। শত নিষেধ সত্ত্বেও দিদা উঠে গিয়ে নয়নের জন্য খাবার করে নিয়ে এলেন। সন্ধের সময় ডাক্তারবাবু এলেন। কিছু ওষুধপত্র লিখে দিলেন। নয়ন দোকান থেকে ওষুধ এনে দিয়ে মামার ঘরে ফিরে এল। মামা তখন একটা

    মেয়েকে পড়াচ্ছে।

    নয়ন ঘরে ঢুকে একটা চেয়ারে বসল। বয়সের স্বভাবিক নিয়মেই মামার ছাত্রীটির দিকে কয়েকবার চোখ চলে গেল। বেশ মিষ্টি দেখতে মেয়েটাকে। মেয়েটিও পড়ার ফাঁকে আগন্তুককে একবার দেখল।

    -- ভন্টে, কাকিমা কেমন আছে রে?

    -- সামান্য জ্বর আছে। একটু আগে ডাক্তার বাবু দেখে গেলেন। ওষুধ দিয়েছেন, মনে হয় তেমন সিরিয়াস কিছু নয়।

    ছোটমামা নয়নকে দেখিয়ে মেয়েটিকে বলল—আমার ভাগ্নে, নয়ন। আমার একমাত্র দিদির একমাত্র ছেলে। রহড়ায় থাকে। নয়নও ইতিহাস নিয়ে পড়ে, এবার পার্ট টু দেবে। পার্ট ওয়ানে খুব ভাল রেজাল্ট করেছে।

    এবার নয়নের উদ্দেশ্যে বলল—ও অনুরিমা। আমাদের বাড়ির একতলার বাসিন্দা। ফার্স্ট ইয়ারে পড়ে। ওর সাবজেক্ট ইতিহাস, মাঝে মাঝে আমার কাছে পড়া বুঝতে আসে। ওর মা বাবাও খুব ভাল মানুষ। এবার কাজের কথায় আসি। রাতে কি খাবি বল?

    -- তুমি যা খাবে, আমিও তাই খাব।

    -- আমার ডিমের তরকারি আর ভাত বেশিকরেই করা আছে, চলবে?

    -- খুব চলবে। আর কিছু দরকার পড়লে আমি বানিয়ে নেব। রান্নাবান্না অল্পস্বল্প আমিও জানি।

    -- তোরা একটু বসে গল্প কর, আমি একবার কাকিমাকে দেখে আসছি।

    -- আপনি কোন কলেজে পড়েন?

    -- আশুতোষ কলেজ, আপনি?

    -- এমা, আমায় আপনি বলবেন না। আমার কলেজও ওই একই বাড়িতে, তবে সকালে। আমি যোগমায়া দেবী কলেজে পড়ি।

    -- আপনারা আগে..

    -- আবার আপনি বলছেন! আমি আপনার থেকে ছোট, তুমি বলুন।

    -- বলছিলাম তোমরা এখানে আসার আগে কোথায় থাকতে?

    -- হাওড়ার বাঁকড়ায়।

    -- ওখানে কি অনেকদিনের বাস?

    -- ওই বাড়িতে তিন বছর থেকেছি তবে হাওড়া অঞ্চলে ছোটবেলা থেকেই আছি। আমার বাবার কোন ভাই বা বোন নেই, দাদু আর দিদাও অনেককাল আগে গত হয়েছেন। আমার মামার বাড়ি শিবপুরের মন্দিরতলায়। অনেকটা সেই কারণেই ওদিকটায় থাকা হয়েছে।

    কথা বলার কোন প্রসঙ্গ নেই, মামা না ফেরা পর্যন্ত আবোল তাবোল কথাতেই কথা চলতে থাকল।

    -- বাঁকড়া থেকে বাগবাজারে চলে এলে?

    -- পুরনো বাড়ি, খুব খারাপ দশা ছিল। বর্ষাকালে জল পড়ত।

    -- ওই রকম বাড়িতে থাকা যায় না, ভালই করেছ। তাছাড়া বাগবাজার অনেক ভাল জায়গা, একেবারে আদি কোলকাতা।

    নয়ন মামার কাছে বহুবার শোনা কথাটা বলে ফেলল।

    একটু পরে মামা ফিরে এল।

    -- কাকু, এবার আপনারা মামা আর ভাগ্নেতে গল্প করুন, আমি নিচে যাই। এখনি মা খেতে ডাকবে।

    -- শোন, নয়ন যে ক’দিন আছে, পড়াশোনার ব্যাপারে কোন দরকার হলে, নিঃসংকোচে ওর কাছে চলে আসবি। ও লেখাপড়ায় খুব ভাল। আমার থেকে অনেক ভাল বোঝাবে।

    -- ছোটমামা, আমি এখনও গ্র্যজুয়েট হইনি। তুমি কতদিন ধরে স্কুলে পড়াচ্ছ। তোমার থেকে ভাল পড়াব আমি? কথাটা বললে কি করে?

    -- কাকু, আপনার ভাগ্নে ঘুরিয়ে আমাকে আসতে না করে দিল।

    -- এই দেখ, কি কথার কি মানে বার করল। আমি কি একবারও তাই বলেছি? আমি দিন তিনেক এখানে আছি, যখন খুশি আসতে পার। আমার কোন অসুবিধে নেই।

    চলবে
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন