এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জীবন তরঙ্গ - ১

    Sukdeb Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৬ মে ২০২৪ | ২৭০ বার পঠিত
  • গত শতকের সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সময়। দুঃস্বপ্নের বেশ কয়েকটা বছর পার হবার পর হানাহানি স্তিমিত হয়ে গেছে। বারুদের গন্ধ নিত্যদিন বাতাসকে আর ভারি করে না। সন্ধের পরেও তখন বাড়ির জানলাগুলো খোলা থাকে, অজানা আতঙ্কে আর বন্ধ করে দিতে হয় না। রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকলেও সাধারণ মানুষের জীবন অনেকটাই চেনা পথে চলে এসেছে। স্কুল-কলেজ, ডেলি প্যাসেঞ্জারি, দোকান, বাজার, সামাজিক কাজকর্ম, দৈনন্দিন যাপনের সব কিছুই ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। কয়েক বছরে মনের কোনে জমে ওঠা ভয় আর সন্দেহকে দূরে সরিয়ে চায়ের দোকান আর রকের আড্ডাগুলোও ফিরে পেয়েছে তাদের পুরনো ছন্দ।

    সে সময় রহড়া বাজারের কাছে বুড়োদার চায়ের দোকান আর পাশেই হাঁড়ি পুকুর ঘাটে ছিল দুটো বড় আড্ডার ঠেক। দুটো না বলে একই ঠেকের দুটো অংশ বলা সঠিক হবে। চায়ের দোকানে বড়রা বসত, আর ধূমপান ও একটু আধটু সেন্সরবিহীন ভাষা প্রয়োগের সুবিধার জন্য পাশেই পুকুর ঘাটে বসত তরুণরা। দুঃসময়ের প্রভাব এই আড্ডা দুটোতেও যে পড়েনি এমন নয়, তবে তা খুব ব্যাপক নয় এবং অল্প সময়ের জন্য। তার মূল কারণ আর পাঁচটা আড্ডার থেকে এই আড্ডা খানিকটা ভিন্ন চরিত্রের ছিল। এখানকার আড্ডাধারীরা আড্ডার বাইরেও যুক্ত ছিল আরো অনেক কিছুতে। প্রথমেই বলতে হয় খেলাধুলার কথা। বেশ কিছু খেলোয়াড়ের এখানে নিত্য হাজিরা ছিল। তার মধ্যে কয়েকজন তো কোলকাতার ঘেরা মাঠে খেলে। কালিদাস মুখার্জী ছিল স্থানীয় ক্লাব রহড়া সংঘের কর্মকর্তা। ফুটবল বিভাগটা ওই দেখত। খেলোয়াড় নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করত বলে বয়সে বড় হলেও তরুণদের মাঝে বসতে ওর  কোন সমস্যা হত না। এই আড্ডার আরো বেশ কিছু লোক রহড়া সংঘের সদস্য ছিল। তবে তারা ক্লাবে কমই যেত, আড্ডা দিত এই পুকুর পাড়েই। কেবল খেলাধুলাই নয়, যে কোন কাজেই এখানকার টিমকে সবসময় পাওয়া যেত। তরুণদের এই টিমের নেতা ছিল কচিদা। তার কথায় পরে আসছি। কেবলমাত্র ছোটরাই নয়, এইসব কাজে বড়রাও পাশে থাকত। নানা রকম কাজ করতে গিয়ে হত বিচিত্র সব অভিজ্ঞতা। ঘটত মজার মজার সব ঘটনা। খেলা দিয়েই শুরু করা যাক।

    তখন সারা বছর পশ্চিমবঙ্গের নানা জায়গায় ছোট, বড়, মাঝারি নানা ধরণের ফুটবল টুর্নামেন্ট হত। বহরমপুরের হুইলার শিল্ডের মত একটু বড় আকারের টুর্নামেন্টগুলোয় বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে অনেক নামী দামী খেলোয়াড়েরা খেলত। রহড়া সংঘ ক্লাবও প্রতি বছরই কোন না কোন নামী টুর্নামেন্টে নাম দিত। বেশ কিছু ওজনদার খেলোয়াড় থাকার সুবাদে ক্লাবের ঘরে ট্রফিও আসত। খেলার দিনগুলোয় টিমের সাথে প্লেয়ার ছাড়াও অনেক সমর্থক মাঠে যেত। সমর্থকদের মধ্যে এমন কয়েকজন ছিল যারা ক্লাবের প্রায় প্রতিটি খেলায় মাঠে থাকত। মন্টুদা ছিল ওইরকমই একজন একনিষ্ঠ সমর্থক। মন্টুদা ক্লাবের সভ্য ছিল না, তবু ফুটবল খেলা আর ক্লাবকে ভালবাসত বলে নিয়মিত মাঠে হাজির থাকত। ক্লাবের সভ্য না হলেও মন্টুদা বুড়োদার চায়ের দোকানের লাইফ মেম্বার ছিল। খেলার দিনে পিকনিকের মেজাজে ট্রেনে চেপে সকলে মিলে হৈ হুল্লোড় করতে করতে যেত। বহরমপুর বা কাটোয়ার মত দূরে কোথাও খেলা থাকলে খেলার আগের দিন যাওয়া হত। সেবারে শান্তিপুরে একটা টুর্নামেন্টে রহড়া সংঘ ফাইনালে উঠেছে। কালিদাস প্লেয়ারদের নিয়ে মাঠে গেছে। সাথে আড্ডার ঠেকের ম্নটুদা, নয়ন, গালু, স্বরাজ, রজতরাও রয়েছে। তখন রহড়া সংঘের একেবারে চাবুক টিম। মাঠে গিয়ে দেখা গেল অপোনেন্টে হাওড়ার টিমও খুব ভাল। ওদের দলেও কয়েকজন কোলকাতা মাঠের খেলোয়াড় আছে। হাড্ডাহাড্ডি খেলা হবে। যথা সময়ে খেলা শুরু হল। আক্রমণ আর প্রতি আক্রমণে খেলা জমে উঠল। প্রথমার্ধে দু পক্ষই গোল করার মত কয়েকটা সুযোগ তৈরি করলেও কেউই জালে বল ঢোকাতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধে রহড়ার খেলায় ঝাঁঝ অনেক বেশি ছিল। খেলা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই পিন্টুর গোলার মত দূরপাল্লার একটা শট গোলরক্ষকের নাগাল এড়িয়ে জালে জড়িয়ে গেল। রহড়া এক গোলে এগিয়ে গেল। কয়েকটা সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে ব্যবধান আরো বেড়ে যেত। কপাল খারাপ, খেলা ঠিক শেষ হওয়ার মুখে কর্নার ফ্ল্যাগের কাছ থেকে আসা ওদের একটা নিরীহ সেন্টার রহড়া সংঘের স্টপারের গায়ে লেগে গোলে ঢুকে গেল। গোল হওয়া মাত্রই রেফারী ফাইনাল হুইসল বাজিয়ে দিল। এক্সট্রা টাইমে কোন গোল হল না। ম্যাচ গড়াল টাইব্রেকারে। রহড়ার গোলকিপার ভাল, কলকাতার একটা বড় দলে খেলে। তবু টাইব্রেকার সব সময়েই একটা টেনশনের ব্যাপার। রহড়ার প্রথম শট পোষ্টে লেগে ফিরে এল। দ্বিতীয় শট ওদের গোলকিপার বাঁচিয়ে দিল। অন্যদিকে হাওড়ার টিম প্রথম দুটো শটেই গোল করে দিল। দুই শূন্যয় পিছিয়ে পড়ায় পরাজয় নিশ্চিত জেনে রহড়ার কেউ কেউ মাঠ ছেড়ে চলে গিয়েছিল। কিন্তু ওদের পরের তিনটে শট রহড়ার গোলরক্ষক অসাধারণ দক্ষতায় বাঁচিয়ে দেয় আর রহড়া তিনটে শটেই গোল করে। রহড়া সংঘ চার- তিন গোলে ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ান হয়ে গেল। জেতার পর মাঠে সবাই যখন   আনন্দ করছে মন্টুদাকে তখন কোথাও দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। 
     
    আধ ঘন্টা পরে একটা ডাউন শান্তিপুর লোকাল আছে, তাই পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষ হতেই আর সময় নষ্ট না করে একে একে সকলে শান্তিপুর স্টেশনের দিকে এগোতে শুরু করল। স্টেশনে ঢুকে রহড়ার ছেলেরা দেখে এক নম্বর প্ল্যাটফর্মের সামনের দিকে একটা জটলা মত হয়ে রয়েছে। কৌতুহলবশত নয়ন আর স্বরাজ জটলার কাছে গিয়ে দেখল মন্টুদা প্ল্যাটফর্মে পা ছড়িয়ে বসে হাউ হাউ করে কাঁদছে। ওরা সামনে গিয়ে জিজ্ঞেস করল, “মন্টুদা, অমনভাবে কাঁদছ কেন?”
    চেনা মুখ দেখে কান্নার দমক আরো বেড়ে গেল। কাঁদতে কাঁদতেই ওদের দিকে চেয়ে বলল, “এত ভাল খেলেও টিমটা আমার হেরে গেল রে।”
    পাশে দাঁড়ান মাঠ ফেরতা একজন ওদের হাওড়ার টিমের সমর্থক ভেবে মন্টুদাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলল—আপনাদের কপাল খারাপ, এগিয়ে থেকেও হেরে গেলেন। খেলায় তো হার জিত থাকবেই, অত ভেঙে পড়বেন না।

    টিম জিতেছে একথা মন্টুদাকে জানাতে করুণ সুরে বলে উঠল— আমাকে মিথ্যে সান্ত্বনা দিস না রে। টাইব্রেকারের শুরুতেই তো খেলা শেষ হয়ে গেল।
    জড়িয়ে জড়িয়ে অস্পষ্ট ভাবে অনেক কষ্ট করে কথাগুলো বলল। মন্টুদা যেমন খেলা পাগল ছিল তেমনই ছিল সুরা পাগল। বোঝা গেল, টাইব্রেকারে রহড়ার প্রথম দুটো শটে গোল না হওয়ায় পরাজয় নিশ্চিত জেনে মন্টুদা তখনই মাঠ থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। শোকে একটু শান্তির জল দিতে আশ্রয় নিয়েছিল আশপাশের কোন শুঁড়িখানায়। তারপর মাঠের দিকে আর না গিয়ে সোজা ষ্টেশনে এসে ভূলুণ্ঠিত হয়ে হা হুতাশ করতে করতে শান্তিপুর লোকালের জন্য অপেক্ষা করছিল।

    অল্প সময়ের মধ্যেই ট্রফি নিয়ে হৈ হুল্লোড় করতে করতে রহড়ার বাকি লোকেরা ষ্টেশনে এসে গেল। চেনা লোকগুলোকে ট্রফি হাতে দেখে জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে মন্টুদার কান্না থেমে গেল। ভেজা চোখে এক গাল হেসে, নয়নের ওপর ভর দিয়ে, শরীরে নানারকম ঢেউ তুলে কোনরকমে উঠে দাঁড়িয়েই ‘টিচার্স ফর’ বলে বাক্য সম্পূর্ণ করার জন্য বাকিদের দিকে তাকিয়ে রইল। বোঝা গেল জলের প্রভাবে ‘থ্রি চিয়ার্স’ টা পরিচিত ব্র্যান্ড ‘টিচার্স’ হয়ে ভেতর থেকে বেরিয়ে এসেছে। আর ওইটুকু বলে থেমে যাওয়ার কারণ হল ক্লাবের নামটা জলের তোড়ে মাথা থেকে সাময়িক ভাবে ধুয়ে গেছে। তাই ‘রহড়া সংঘ” বলে শেষটুকু ধরিয়ে দিতেই মন্টুদা মহোৎসাহে হেঁকে উঠল, ‘টিচার্স ফ অ র র অ অ অ ড়া স অং ঘ’। সকলের সমবেত হিপ হিপ হুররে ধ্বনির মাঝেই এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে এসে ঢুকল শান্তিপুর লোকাল।

    ট্রফি আর মন্টুদা, পরিতোষের যুগল উৎসকে আগলে নিয়ে সকলে ফেরার ট্রেনে উঠে বসল। ট্রেনে বসার পর মন্টুদা কাপটাকে নিজের কাছে রাখার জন্য ছেলেদের কাছে হালকা আবদার করেছিল, কিন্তু সদ্য পাওয়া নতুন কাপটাকে কম্পমান হাতে দীর্ঘক্ষণের জন্য তুলে দেওয়ার ঝুঁকি নিতে কেউ সাহস পায়নি। মন রাখতে মন্টুদার কোলে কাপটাকে একবার ঠেকিয়ে আনতে গিয়ে দেখা গেল সে আর জেগে নেই। জানলার ধারে ফুরফুরে হাওয়য় চোখ দুটি আর খোলা রাখা সম্ভব হয়নি। মুখে তখনো লেগে রয়েছে জয়ের অনাবিল হাসি।

    ক্রমশ
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন