এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জীবন তরঙ্গ - ১১  

    Sukdeb Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৮ মে ২০২৪ | ২৪৫ বার পঠিত
  • জীবন তরঙ্গ - পর্ব ১১

    বাড়ির রেডিওটার ওপর নন্দার ভীষণ আকর্ষণ ছিল। ওতে হাত দেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কাছেপিঠে কেউ না থাকলেই ডিঙি মেরে ওর নবগুলো বাঁয়ে ডাইনে ঘুরিয়ে দিত। দু একবার ধরা পড়ে মার কাছে বকুনিও খেয়েছে, তবু নন্দা সুযোগ পেলেই ওর চেষ্টা চালিয়ে গেছে। সেদিন নন্দা স্কুলে যায়নি। অবনি অফিসে বেরিয়ে গেছেন। বৃহস্পতিবার পুজোয় অন্যদিনের থেকে একটু বেশিসময় লাগে তাই শান্তি তখনো ঠাকুরঘরে ছিলেন। জোরে একটা আওয়াজ কানে আসতে পুজোয় বিঘ্ন ঘটল। পুজো মাঝপথে থামিয়ে শান্তি বাইরে বেরিয়ে এলেন। বসার ঘরে ঢুকতে গিয়ে দেখেন মেঝেতে দুটো জিনিস পড়ে রয়েছে। দরজার সামনে ঠিক ঘরে ঢোকার মুখেই একটা ওলটানো টুল, আর তার একটু তফাতে নন্দা। বুঝতে অসুবিধে হল না যে টুলে উঠতে গিয়ে মেয়ে উলটে পড়েছে। তবে আশ্চর্যের ব্যাপার মেয়ে কান্নাকাটি করছে না। মায়ের দিকে কেমন ভ্যবাচাকা খেয়ে তাকিয়ে রয়েছে। দেখার আর একটু বাকি ছিল, যা ঘরে ঢুকতে চোখে পড়ল। রেডিওটার অবস্থান বদল হয়েছে, প্লাগ পয়েন্ট থেকে কানেকশনের কর্ডের ঠেকায় কোনরকমে ঝুলছে। মাটি ছুঁতে আর ইঞ্চি কয়েক বাকি। মাটিতে পড়লে আর আস্ত থাকত না। শান্তি তাড়াতাড়ি গিয়ে রেডিওটাকে তুলে আগের জায়গায় বসিয়ে দিয়ে মেয়ের দিকে ফিরলেন। বৃহস্পতিবারের পুজো ভেস্তে গেছে, রেডিওটাও যেতে বসেছিল, সর্বোপরি টুল থেকে পড়ে হাত পা ভাঙতে পারত, এত কিছুর পর মাথা ঠান্ডা রাখা সম্ভব নয়। কোন কথাবার্তার মধ্যে না গিয়ে দিলেন মেয়ের পিঠে কয়েক ঘা কসিয়ে।

    নন্দা এতক্ষণ চুপ করে বসে মায়ের গতিবিধি দেখছিল। মার খাবার পর “পতা মা”, “নোংরা মা” বলে কাঁদতে শুরু করল। শান্তি পুজো শেষ করার জন্য আবার ঠাকুর ঘরে ফিরে গেলেন। কিন্তু পুজোতে মন দেওয়া আর সম্ভব হল না। মেয়েকে তিনি বা তাঁর কর্তা কখনো মারধোর করেন না। মেয়েকে মেরে আসার পর নিজেকে সামলাতে পারেননি। ঠাকুরের ছবির সামনে বসে হাউ হাউ করে কাঁদতে শুরু করলেন।

    -- কেনো না মাম্মা। তুমি পতা মাম্মা না, তুমি আমার তোনা মাম্মা, বালো মাম্মা। আর ককোনো কোব্বো না। তুমি কেনো না মাম্মা।

    শান্তি দেখেননি কখন চুপিসাড়ে মেয়ে এসে তাঁর পিছনে বসেছে। শান্তি মেয়েকে বুকে টেনে নিলেন।

    দেখতে দেখতে নন্দা বারোয় পা দিল। শৈশবের চাঞ্চল্য কিছুটা কমেছে। এখন আগের থেকে অনেক শান্ত। বাড়ির কাজকর্মে মাকে সাধ্যমত সাহায্যও করে। যদিও উপকার করতে গিয়ে মাঝে মাঝে একটু আধটু অপকার হয়ে যায়।

    একদিন খুব ঘাবড়ে গিয়ে নন্দা মায়ের কাছে এসে বলল—মাম্মা কেতে গেচে, কুব অক্ত পোচ্চে। আমি পোলে যাইনি, এমনি কেতে গেচে। ওঊধ লাগিয়ে দাও।

    শান্তি দেখলেন মেয়ের জামা কাপড়ে চারিদিকে রক্তর দাগ লেগে রয়েছে। ঘরে গিয়ে দেখেন বিছানাতেও রক্তের ছিটে লেগে রয়েছে। প্রথমে একটু ঘাবড়ে গিয়েছিলেন, পরে বুঝতে পারলেন মেয়ের পিরিয়ড হয়েছে।

    মেয়ে পিছন পিছন এসে আবার মাকে জানাল যে ও কোথাও “পোলে” যায়নি।

    শান্তি সাধ্যমত মেয়েকে ব্যাপারটা বোঝাবার চেষ্টা করলেন। নন্দা কতটা বুঝল তা ওই জানে। মা বলেছে যে এবার থেকে প্রতি মাসে একবার রক্ত পড়বে, এই ব্যাপারটা নন্দাকে খুব চিন্তায় ফেলে দিল। একটু ঘাবড়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করল—মাম্মা, পোতি মাচে কেতে না গিলেও অত্ত অক্ত পোব্বে?

    এমনটাই হবে জেনে খুব মুশড়ে পড়েছিল। বিকেলে টিনা দিদি স্কুল থেকে ফিরতে ওকে এই দুর্ঘটনার কথা নন্দা জানাল। নন্দার মা বাবার থেকেও টিনা দিদি ওর মনের ভেতর সহজে উঁকি দিতে পারত। দিদি বোঝাবার পর নন্দা সারাদিনের অবসাদ কাটিয়ে আবার তার নিজস্ব লয়ে ফিরে এল।

    সন্তানের ব্যাপারে ভেতরে ভেতরে একটু অভাব বোধ থাকলেও নন্দাকে নিয়ে মোটামুটি স্বাভাবিক ছন্দেই বইছিল অবনি আর শান্তির পারিবারিক জীবন। ওপরওয়ালার কার্পণ্যটা ওরা জীবনের অঙ্গ হিসাবে মেনে নিয়েছিল। তবে ওদের অবর্তমানে মেয়েটার কি হবে এই ব্যাপারটা দুজনকেই খুব ভাবাত। কিশোরী আহেলির কাছেও মাঝে মাঝে নিজেদের দুশ্চিন্তার কথা জানিয়ে বলতেন—মা, আমরা যখন থাকব না তখন বোনটাকে একটু দেখিস। আহেলি ওইটুকু বয়সে যতটুকু আশ্বাস দেওয়া যায় দিত।

    খণ্ডিত সন্তান সুখও বিধাতা অবনি আর শান্তির জীবনে খুব বেশিদিনের জন্য মঞ্জুর করেন নি। নন্দার ভবিষ্যতের ভাবনা ওর মা বাবাকে দীর্ঘকাল ভাবতে হয়নি। মাত্র চোদ্দ বছর বয়সে ঘর শূন্য করে নন্দা সকল ভাবনার ঊর্ধ্বে চলে গেল। সে আজ অনেক কালের কথা। সেই সময় সন্তান শোকে বিধ্বস্ত বাবা মাকে ভরসা যুগিয়েছিল আহেলি। সন্তানহারা দম্পতি সেই থেকে আহেলিকে আপন সন্তানরূপে আঁকড়ে ধরেন। শান্তি আর অবনির সেই অপত্য স্নেহের ঢেউ আহেলিতেই থেমে যায়নি, প্লাবিত করেছিল নয়নের শৈশব আর কৈশোরকে। ওই দাদু আর দিদা ছিল নয়নের বাগবাজারের বাড়ির একটা বড় আকর্ষণ। শৈশবে তো বটেই, একটু বড় হয়ে যখন একা একা এই বাড়িতে আসত তখনও ছোটমামা স্কুলে গেলে দাদু দিদার কাছেই কাটাত অনেকটা সময়। মা ছোট কাকা আর ছোট কাকিমা বলত বলে নয়ন ওনাদের ছোড়দাদু আর ছোড়দিদা বলত। নয়নের মায়ের কাকা-জ্যাঠাদের আরো কয়েকটা শাখাপ্রশাখা ওই শরিকি বাড়িতে ছিল, কিন্তু তাদের সাথে সম্পর্কের বাঁধনটা তেমন মজবুত ছিল না। ছোটবেলায় মামার বাড়িতে এলেই দাদু নয়নকে প্রায়ই এদিক ওদিক ঘোরাতে নিয়ে যেতেন। ছোটমামার কাছে গল্প শুনে নয়ন জেনেছিল পুরনো কোলকাতাকে আর ছোড়দাদুর হাত ধরে নয়ন চিনেছিল তার সময়ের কোলকাতাকে। দাদুর সাথেই নয়ন প্রথম ট্রামে চড়ে। ওর মামার বাড়ির কাছে গ্যালিফ স্ট্রিট থেকে ১২ নম্বর ট্রাম ছাড়ত। ওই ট্রাম মানিকতলা, রাজাবাজার, শেয়ালদা, মৌলালি হয়ে ধর্মতলা স্ট্রিট দিয়ে এসপ্ল্যানেড ঘুরে ডালহৌসিতে যেত। ট্রামে চাপিয়ে দাদু ওকে চারপাশ চেনাতে চেনাতে নিয়ে যেতেন এসপ্ল্যানেডে। ওখানে নেমে ও প্রথম দেখেছিল দিগন্ত বিস্তৃত গড়ের মাঠকে। মাঠের মাঝে বিশাল লম্বা একটা স্তম্ভ দেখে নয়ন জিজ্ঞেস করেছিল, “ছোড়দাদু ওটা কি?”

    -- দাদুভাই ওটা হচ্ছে মনুমেন্ট। পুরো নাম অক্টারলোনিমনুমেন্ট। ইংরেজরা একটা যুদ্ধ জেতার পর ওইটা বানিয়েছিল।

    দাদুর সাথেই মাঠে দাঁড়িয়ে চেখেছিল ফুচকা, আলুকাবলির মত বেশ কিছু অমৃতসম খাবার। একটা বিশাল থামওয়ালা গেট, মাথার ওপর সিংহ, দেওয়াল দিয়ে ঘেরা বিরাট একটা বাড়ি দেখিয়ে অবনি নাতিকে জানিয়েছিলেন—দাদুভাই এটা হল রাজভবন। কোলকাতা একসময় আমাদের দেশের রাজধানি ছিল। সেই সময় আমাদের দেশ যার কথায় চলত, সেই বড়লাঠ এই বাড়িতে থাকতেন। এখন এখানে যিনি থাকেন তাকে বলা হয় গভর্নর।

    নয়ন কিছুক্ষণ চুপ করে দাঁড়িয়ে বাড়িটাকে দেখেছিল।

    অবনির কোলকাতার খেলার মাঠে বেশ পরিচিতি ছিল। উনি মোহনবাগান ক্লাবের লাইফ মেম্বার ছিলেন। শুধু তাই নয়, ক্লাবের পরিচালন সমিতিতেও বেশ কয়েকবার ছিলেন। ফলে মাঠের লোকজনেরে সাথে ভাল খাতির ছিল। একদিন নাতিকে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়ে মোহনবাগান ক্লাবের মাঠ, গ্যালারি, টেন্ট সব ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখিয়েছিলেন। নয়নের দেখে খুব ভাল লেগেছিল, সেই ভাল লাগাটা পরবর্তী জীবনেও থেকে গিয়েছিল। একই দিনে মোহনবাগান মাঠের উলটো দিকে ইডেন গার্ডেনটাও দাদু আর নাতিতে ঘুরে এসেছিল। ঘোরার কোন শেষ ছিল না। দাদুর হাত ধরেই চাঁদপাল ঘাট থেকে নয়ন প্রথম হাওড়া ব্রিজ দেখেছিল। দাদুই একদিন ৩৬ নম্বর ট্রামে চাপিয়ে নয়নকে খিদিরপুর নিয়ে গিয়েছিলেন। নয়ন মুগ্ধ হয়ে দেখেছিল একটা ব্রিজ দুভাগ হয়ে লম্বালম্বি খুলে গেল আর তার মাঝখান দিয়ে পার হতে লাগল বড় বড় জাহাজ। নতুন নতুন জায়গা দেখার আনন্দে নয়ন সাধ্যের বাইরে গিয়েও হাঁটাহাঁটি করত। এক এক দিন আর পারত না, দাদু সেটা বুঝতে পারলেই নাতিকে নিয়ে কোন খাবারের দোকানে গিয়ে বসতেন। নাতিকে চাঙ্গা করে বাড়ির পথ ধরতেন। ফিরতে দেরি হলে এক এক দিন দিদা একটু ধমক দিয়ে বলেছে—তোমার কোন কাণ্ডজ্ঞান নেই, বাচ্চাটাকে নিয়ে বাইরে এতক্ষণ ট্যাং ট্যাং করে ঘুরছ। ও কখনো এত ঘুরতে পারে?

    দাদু আপত্তি জানিয়ে বলতেন—নাতি আমার যথেষ্ট স্ট্রং। ও তোমাদের মত আওপাতালি নয়।

    তারপর নয়নের দিকে চেয়ে বলতেন—কি দাদুভাই, তাইত?

    নয়নের কাছে ছোটবেলায় সবচেয়ে শক্তিশালী মানুষ ছিল ওর স্কুলের হেডমাস্টার শিবু স্যার।

    নয়ন দাদুকে সমর্থন জানিয়ে বলত—আমি শিবু স্যারের মত স্ট্রং।

    চলবে
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন