এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জীবন তরঙ্গ পর্ব ৪৯

    Sukdeb Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৫ জুন ২০২৪ | ১৮৬ বার পঠিত
  • জীবন তরঙ্গ পর্ব ৪৯

    সামনের মাসে কোন একটা সোমবার ছুটি আছে। অশেষ বেড়াতে যাওয়ার ধুয়ো তুলল।

    -- সামনে পরপর দু দিন ছুটি আছে। দে বাবু চলুন সকলে মিলে কোথাও থেকে ঘুরে আসি।

    -- আমার কোন অসুবিধে নেই। কোথায় যাওয়া হবে ঠিক করুন।

    অনেক আলোচনার পর মুর্শিদাবাদ যাওয়া ঠিক হল। নয়ন সামন্ত স্যারকে অনুরোধ করতে উনি যেতে রাজি হয়েছেন। কুণাল ছাড়া ডিপার্টমেন্টের সকলেই যাচ্ছে। শনিবার রাতের গাড়িতে গিয়ে ওখান থেকে সোমবার রাতের গাড়িতে ফেরা হবে। সামন্ত স্যার মুর্শিদাবাদের অফিসে বলে হোটেলের ঘর বুক করিয়ে দিয়েছেন। নয়নের বন্ধু উজ্জ্বল কয়লাঘাটার রেলের বুকিং কাউন্টারে কাজ করে। এ সি ত্রি টায়ারে যাতায়াতের টিকিট ও করে দিয়েছে। সবকটাই কনফার্ম টিকিট, কিন্তু বার্থগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে। অসিতের খোপে অসিত একা। ওর সামনের তিনটে বার্থে মা বাবা আর একটা নয় দশ বছরের ছেলে। নাদুস নুদুস ছেলেটা নয়নের মুখোমুখি, নিচের বার্থে। মনে হয় মারোয়াড়ী পরিবার। নয়নেরও লোয়ার বার্থ ছিল। মিডল বার্থের লোকটির মুর্শিদাবাদে বাড়ি। নয়নরা অফিস থেকে বেড়াতে যাচ্ছে শুনে, কোথায় কি কি দেখবে সব গুছিয়ে বলতে শুরু করলেন। নয়নের খুব ঘুম পাচ্ছিল, কিন্তু ভদ্রলোকের থামার কোন লক্ষণ নেই। ভ্রমণ গাইড হয়ে এক নাগাড়ে বকে যাচ্ছিলেন। বেশ কিছুক্ষণ হজম করার পর, ওনার কথার মাঝেই নয়ন শোয়ার তোরজোড় শুরু করল। লোকটির আরো কিছুক্ষণ টানার ইচ্ছে ছিল, নয়ন শোয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করায় থামতে হল।

    হঠাৎ একটু শীত শীত করায় নয়নের ঘুম ভেঙে গেল। কম্বলটা টানতে গিয়ে দেখে ওটা নিচে পড়ে রয়েছে। সামনের বার্থের নাড়ুগোপাল ফিক ফিক করে হাসছে। নয়ন বুঝতে পারল যে, এটা ঐ ছেলেটার কাজ। কম্বলটা ঝেড়ে নিয়ে গায়ে দিয়ে শুল। চোখটা একটু লাগার পরেই আবার সেই এক কান্ড। নয়ন রেগে গিয়ে বাচ্চাটাকে জিজ্ঞেস করল-- এটা কি হচ্ছে?

    ছেলেটা মুচকি হেসে বলল—চাদর অপনে আপ গির গই।

    ছেলেটার মা বাবা তখন ওপরে অকাতরে ঘুমচ্ছে। নয়ন বুঝল এই জাত খচ্চড় ছেলেটার সাথে বাক বিতন্ডায় গিয়ে লাভ নেই। একে অন্যভাবে ঢিট করতে হবে। নয়ন বাইরে কোথাও গেলে ওর ব্যাগে জামা কাপড়ের সাথে সাবান, রেজার ইত্যাদি প্রয়োজনীয় জিনিস ছাড়াও টর্চ আর ছুরি সবসময় থাকে। ছেলেটার চোখে ঘুম নেই। অপেক্ষায় বসে আছে, নয়ন ঘুমোলেই কম্বলটায় আবার টান মারবে। নয়ন ব্যাগ থেকে ছুরিটা বার করল। শান দেওয়ার মত করে হাতে দু একবার ঘষল। ছেলেটা একদৃষ্টে ওকে দেখে যাচ্ছে। নয়ন একবার ওপর দিকটা দেখে নিল। ওর মা বাবা দুজনেই ওপাশ ফিরে ঘুমচ্ছে। এবার চোখ দুটো বড় বড় আর মুখ বিকৃত করে ছুরিটা ছেলেটার দিকে ঘুরিয়ে ইশারায় দেখাল যে, আর একবার হলেই এটা সোজা পেটে ঢুকে যাবে।

    ছেলেটা ভয়ে মাম্মি বলে চেঁচিয়ে উঠল।

    নয়ন ততক্ষণে মাথা পর্যন্ত কম্বল চাপা দিয়ে শুয়ে পড়েছে।

    ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায় মিডল বার্থ থেকে ওর মা বিরক্ত হয়ে জিজ্ঞেস করল—ক্যা হুয়া।

    -- মাম্মি চাকু।

    মা ভাবল ছেলে কোন দুঃস্বপ্ন দেখেছে—ও কুছ নহি স্বপ্না থা, সো যা বেটা।

    বাকি রাতে আর কোন সমস্যা হয়নি।

    হেড অফিস থেকে সব বেড়াতে আসছে, সঙ্গে আবার বড় সাহেব আছেন। মুর্শিদাবাদের অফিস থেকে স্টেশনে ওদের রিসিভ করতে লোক এসেছিল। সেই লোকই সঙ্গে করে সকলকে হোটেলে নিয়ে গেল। অটো বুক করা ছিল। ওরা ফ্রেশ হয়ে জলখাবার খেয়ে হাজার দুয়ারির উদ্দেশ্যে রওনা হল। পরের দিন রাতে ফেরার ট্রেন, হাতে সময় খুব অল্প। হাজার দুয়ারি থেকে ফিরে এসে, হোটেলে লাঞ্চ করে ঘন্টা দুয়েক বিশ্রাম নেওয়ার পর, টাঙ্গায় চড়ে সকলে শহরের অন্যান্য দিকে ঘুরতে গেল। পরের দিন গেল গঙ্গার ওপারে। এর আগে অফিসে পিকনিক হয়েছে কিন্তু বেড়াতে যাওয়া সেই প্রথম। সামন্ত স্যার বড় ভাইয়ের মত সকলকে আগলে রাখলেন। সকলে মিলে খুব মজা হল।

    অশেষ একটু আক্ষেপ করে বলল—কুণাল বাবু বাদ দিয়ে সকলেই এল। লোকটা কোন কিছুতেই পার্টিসিপেট করে না। মানুষটাকে ঠিক বুঝে উঠতে পারি না।

    নয়ন বিড়বিড় করে বলল—ও শালা মানুষ নয়।

    অশেষ জিজ্ঞেস করল—নয়ন বাবু কিছু বললেন?

    নয়ন শুধরে নিয়ে বলল—ওরকম এক একজন হয়।

    নয়নের মুর্শিদাবাদ যাওয়ার ব্যাপারটা নন্দিতা জানত না। একটু কথা বলার বাসনায় সন্ধ্যাবেলায় ফোন করেছিল। আহেলি ফোন ধরেছিল, জানতে চাইল কাকে চাই। নয়নের নাম বলতে জিজ্ঞেস করল—তুমি কি নন্দিতা বলছ?

    -- হ্যাঁ কাকিমা।

    -- নয়ন তো অফিসের স্টাফেদের সাথে মুর্শিদাবাদ বেড়াতে গেছে। কাল সকালে ফিরবে।

    হবু পুত্রবধূর সাথে আহেলি অনেকক্ষণ বকবক করল। কথা বলে দুজনেই খুব খুশি।

    ট্রেন যখন স্টেশনে ঢুকল তখন আর বাড়ি আসার সময় ছিল না। বাড়ি গেলে অফিস কামাই হয়ে যেত। তাই দু একজন বাদ দিয়ে সকলেই সোজা অফিসে চলে গেল। সেদিন কাজকর্ম বিশেষ কিছু হল না, বেড়ানর গল্পেই অনেকটা সময় কেতে গেল।

    বাড়ি ফেরার পর আহেলি জানাল যে নন্দিতা ফোন করেছিল।

    -- তোরা যে মুর্শিদাবাদ যাচ্ছিস ওকে বলিস নি।

    -- হঠাৎ ঠিক হল তো, বলা হয়নি।

    -- আমার সাথে অনেকক্ষণ গল্প করল। কথাবার্তা খুব ভাল।

    -- চালাক মেয়ে। তুমি হবু শাশুড়ি, মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে পগিয়ে রাখল।

    -- তোর খালি বাজে কথা। মেয়েটা ভাল।

    -- কি করে বুঝলে? এখনো তো দেখোই নি।

    -- কথা বললেই বোঝা যায়। ওদের বাড়ি থেকে এবার ফোন করলে আমিই তোদের বিয়ের কথা তুলব।

    -- না মা, ওদের বলতে দাও। ওরা আমায় দেখেছে কিন্তু তোমরা তো নন্দিতাকে দেখনি। ফলে শুধুমাত্র আমার কথার ওপর ভিত্তি করে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়াটা ভাল দেখাবে না। তাড়াহুড়োর কিছু নেই। ওরা ফোন করুক, তারপর ধাপে ধাপে এগোলেই হবে।

    নন্দিতার সাথে কথা বলাই ছিল, সেই অনুযায়ী অসিত রবিবার সকালে ফোন করল। নয়ন ফোনে গলা বুঝতে পেরেই হাঁক দিল—বাবা, তোমার ফোন।

    পরিচয় পর্ব সারা হলে আলোচনা ধীরে ধীরে মূল বিষয়ের দিকে এগল। দীর্ঘক্ষণ ফোনালাপের পর রমেনকে বেশ খুশি খুশি মনে হল।

    -- শুনছ, কোথায় গেলে?

    -- কি বল।

    -- মেয়েটার বাবা খুব সজ্জন লোক। অনেকবার আমাদের দুজনকে ওনাদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করলেন। ঐ মেয়েকে দেখে আসার জন্য আর কি। কবে যাবে বল?

    -- আমি তো যে কোন দিনই যেতে পারি, তোমার সুবিধেমত চল। হ্যাঁগো, আমি না গেলেই নয়? আমি গেলে ছেলেটার খাওয়া দাওয়ার অসুবিধে হবে।

    নয়ন মাঝখানে ঢুকে বলল—আমি একটু আধটু রাঁধতে পারি মা। কোন অসুবিধে হবে না। দরকার হলে সকালে অফিসের ক্যান্টিনে খেয়ে নেব। মা তুমিও বাবার সাথে যাবে।

    নয়ন পরের দিন সকাল সকাল অফিসে চলে গেল। ঐ সময় অফিস একদম ফাঁকা থাকে। অফিসে বসেই শিলিগুড়িতে ফোন লাগাল। ডাকাডাকি করতে হয়নি, নন্দিতাই ফোনটা ধরল।

    -- কি সৌভাগ্য, একেবারে সকাল সকাল। কাল তো বাবা ফোন করেছিল। কাকুর সাথে আমাদের ব্যাপারে অনেক কথা হয়েছে। কাকু আর কাকিমা কবে আসছেন?

    -- এখনো ঠিক হয়নি। টিকিট কাটা হলেই জানিয়ে দেব। মা বাবার সামনে একেবারে সুশীলা কন্যা হয়ে থাকবে। একদম বাচলাম করবে না।

    -- কি বললে,আমি বাচাল?

    -- তোমার মাথাটা হাল্কা জমা আছে। আমি তো তোমায় বাচাল বলিনি। আমি বাচলাম করতে বারণ করেছি।

    -- বাচাল, মাথামোটা, আমার জন্য আর কি বিশেষণ আছে বলে ফেল। সকাল বেলা ফোন পেয়ে ভাবলাম একটু ভাব ভালবাসার কথা শুনব, তা না যত বাজে কথা।

    -- লোকজন আসছে, এবার রাখছি। টা টা, আর তো কটা মাস, তারপর শিলিগুড়ি থেকে রহড়ায়।

    -- টা টা।

    বাবা বা মা কেউ হয়ত কাছাকাছি ছিল তাই চুমুর শব্দ ভেসে আসেনি।

    চলবে
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন