এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জীবন তরঙ্গ পর্ব ২৬

    Sukdeb Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৩ মে ২০২৪ | ১৮৯ বার পঠিত
  • জীবন তরঙ্গ পর্ব ২৬

    কুণাল বোনকে খুব ভালবাসত। বোনের পছন্দের মানুষটা ওর একেবারে অপছন্দের হলেও ব্যাপারটায় একসময় সম্মতি দিয়েছিল। বোনের জেদের কাছে হার মেনে অনেকটাই নিরুপায় হয়ে।  কেবল সম্মতিই দেয়নি, নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সামাজিক মতেই বোনের বিয়ে  দিয়েছিল। আচার অনুষ্ঠানে কোন ত্রুটি রাখেনি। চাকরি বেশি দিনের নয়, সঞ্চয় তেমন একটা  ছিল না।  বিয়ের খরচ জোগাতে গিয়ে, কিছুটা অফিস আর বাকিটা আপনজনদের কাছে হাত  পাততে হয়েছিল। এত কিছু করলেও, এই সম্পর্কটা কুণাল কোনদিনই মন থেকে মেনে নিতে পারেনি।   উদয়ন ছেলেটা খারাপ নয়। স্বভাব চরিত্রও ভাল। কিন্তু ওই  পর্যন্তই। রূপে, গুণে, কোন দিক থেকেই ওর বোনের পাশে দাঁড়াবার যোগ্য নয়। একটা শিক্ষিত মেয়ে কি দেখে যে অমন একটা ছেলের মোহে পড়ল, কে জানে!      

    মেয়ের বিয়ের বছর খানেক কাটতে না  কাটতেই ইরার মা একদিন আবদার করে ছেলেকে বললেন—বোনের বিয়ে দিয়ে দিয়েছিস, এখন আর কোন দায় নেই। এবার তোর জন্য দেখাশোনা শুরু করি! 

    কুণাল মাকে নিরস্ত করে বলল— এখনও অনেক দায় দায়িত্ব বাকি আছে মা। বোনের বিয়ের ধার দেনাগুলো আগে মেটাই, তারপর ওসব নিয়ে ভাববে।

    ছেলের কথা শুনে মার উৎসাহ ভিজে গেল, চুপ করে গেলেন। এর কিছুদিন বাদেই ইরা অন্তঃসত্ত্বা হল। কেবল স্বামী- স্ত্রী থাকে, বাড়িতে আর কেউ দেখার নেই। সেইজন্য বাচ্চা  হওয়ার কিছু আগে থেকে ইরাকে  কুণাল নিজেদের বাড়িতে এনে রেখেছিল। উদয়ন মাঝে মাঝে এসে বৌকে দেখে যেত। ইরাকে সব রকমভাবে আগলে রাখলেও উদয়নের ব্যাপারে ওই বাড়ির লোকেরা খুব উদাসীন ছিল। নির্ধারিত সময়ে ইরার কোলে ঈজা এল। ছোট্ট দেবশিশুর মত ফুটফুটে ভাগ্নিকে দেখে কুনালের আনন্দ আর ধরে না। মাস দুয়েক বাদের ইরা চলে যাওয়ার কথা বলতে, কুণাল বাচ্চার দেখভালের অসুবিধে হবে এই অছিলায় বোনকে নিজের বাড়িতে  আটকে রাখল। আসলে ভাগ্নি তখন নয়নের মনি, কাছছাড়া করতে মন চাইছিল না। চার মাস বাদে  ইরা বাড়ি ফিরে গেল। বোনের থেকেও ভাগ্নির আকর্ষণেই মাঝে মাঝেই  অফিস ফেরত কুণাল ইরাদের বাড়িতে চলে যেত। বেশ কিছুটা সময় ওখানে কাটিয়ে বাড়ি ফিরত। এত যাতায়াতের পরেও উদয়নের সাথে কুণাল কোনদিন স্বাভাবিক হতে পারেনি।  

    কাটল আরো দুটো বছর। ছেলের মতামতের তোয়াক্কা না করে কুনালের মা জোর কদমে পাত্রী খোঁজা শুরু করলেন। আত্মিয়-পরিজন, প্রতিবেশী, চেনা পরিচিত কাউকে বলতে বাদ রাখলেন না। ততদিনে বোনের বিয়ের ধার বাকি সব শোধ হয়ে গেছে। কুণাল তখন অনেকটাই দায় মুক্ত। তাই মাকে আর বাধা দেয় নি। এক আধটা করে খবরও আসতে শুরু হল। দুটো বাড়ির সাথে যোগাযোগও হল। তার মধ্যে একটি মেয়েকে কুণালের মায়ের বেশ পছন্দ হল। মেয়ে  পক্ষেরও কুণালকে পছন্দ হয়েছে। আর একটু খবরা খবর নেওয়া চলছিল, এর মধ্যে এল অন্য একটা খবর। উদয়নের ফ্যক্টরি লকাউট হয়ে গেছে। উদয়ন মাইনে কড়ি যা পেত তাতে নিজের সংসারটা মোটামুটি চলে যেত। এবার তো বউ বাচ্চা নিয়ে পথে বসবে। উদয়ন মাথায় হাত দিয়ে চুপ করে বসে থাকেনি। অনেক ঘোরাঘুরি করে একটা ওষুধের দোকানে কাজ জুটিয়েছে।  ফ্যাক্টরি থেকে যা টাকা পেয়েছে সেগুলো ব্যাঙ্কে রেখেছে। কিন্তু ওই সামান্য কটা টাকায় একটা বাচ্চা নিয়ে সংসার চলে না।। বোনের এই শোচনীয় অবস্থায় কুণাল মুখ ফিরিয়ে থাকতে  পারেনি। বোন আর বাচ্চাকে নিজের বাড়িতে এনে রাখতে চাইল। ইরা নানা অজুহাত দেখিয়ে রাজি হয়নি। গরিব হলেও ওদের আত্মসম্মানবোধ ছিল।  উপায়ন্তর না দেখে কুণাল প্রতি মাসে কিছু টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিল। তাতেও  ইরা আপত্তি করে বলেছিল—ও তো একটা চাকরি করছে। এ  ছাড়া ফ্যাক্টরি থেকেও তো কিছু টাকাকড়ি পেয়েছে। তুই চিন্তা করিস না দাদা, ঠিক চলে যাবে। 

    এত অভাবেও ইরার কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই, কোন হাহুতাশ নেই। মেয়েটার নাম করে একপ্রকার জোর করেই কুণাল বোনকে সংসার চালানর মত খানিক টাকা দিতে থাকল। প্রথমদিকে কিন্তু কিন্তু করলেও পরে আর না করেনি। কারণ, ওই অনুদানই ছিল ওদের বেঁচে থাকার প্রধান ভরসা।

    কুণালের বিয়ের প্রকল্পেও ওখানেই ইতি টানতে হয়েছিল। মনে কষ্ট হলেও কুণালের মা ব্যাপারটা মেনে নিতে বাধ্য  হয়েছিলেন। কারণ, ছেলের সংসার সাজাতে গেলে মেয়ের সংসার  পথে বসবে, এই সত্যটা তিনি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করেছিলেন।

    কিছুদিন ওষুধের দোকানে কাজ করার পর উদয়ন একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে চাকরি পায়। চাকরিটা তেমন ভাল কিছু না হলেও, আগের থেকে এখানে মাইনে খানিকটা বেশি। সামান্য কটা টাকাও তখন ওদের সংসারে অনেক। যদিও পরিশ্রম করতে হত অনেক বেশি। সকাল সাতটার মধ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেত। বাড়ি ফিরতে ফিরতে রাত আটটা নটা হয়ে যেত। 

    ঈজা প্রথম দিকের ঘটনাগুলো মায়ের কাছে শুনেছে আর  বাকিটা দেখেছে। এত পরিশ্রম, এত অভাব সত্ত্বেও বাবা মাকে কোনদিন ঝগড়া এমনকি মান অভিমান করতেও কখনো দেখেনি। সংসারে টাকা পয়সার অভাব থাকলেও  ভালবাসার প্রাচুর্য ছিল। ও তো সব সময় আহ্লাদ আর আদরের জোয়ারে ভেসেছে। শৈশবে দুঃখ কষ্টের কোন আঁচ ওর গায়ে লাগেনি। বড় হওয়ার পর বুঝতে পেরেছে  সংসারের হাল হকিকত। জ্ঞান হওয়ার পর থেকে বাবা মা ছাড়া আর এক জনকে কাছে পেয়েছে। সে হল ওর মামা। মাঝে মাঝেই ওদের বাড়িতে চলে আসত, খবরা খবর নিত। ঈজার জন্য সব সময় কিছু না কিছু নিয়ে আসত। ঈজার ছোট থেকে বড় হয়ে ওঠার দীর্ঘ সময়ে ওর মামার এই রুটিনে কোন পরিবর্তন হয়নি। ঈজার মনে হত ওর মামাই ওদের বাড়ির অলিখিত অভিভাবক। বড় হওয়ার পর বুঝতে পেরেছে যে, স্নেহ ভালবাসা ছাড়াও এই অভিভাবকত্বের পিছনে আর একটা বড় কারণ আছে। মামা পাশে না থাকলে ওদের এই সুন্দর সংসারটা ভেসে যেত।  বাবা এত পরিশ্রম করেও যা উপার্জন করে তাতে সংসার চলে না। ওদের সংসার মামার ওপরে অনেকটাই নির্ভরশীল। ঈজা এও জেনেছে যে ওদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারেনি বলে মামা বিয়েও করেনি। এত বড় অবদান যে মানুষটার, তার মতামতের গুরুত্ব তো থাকবেই।  মামাকে ঈজা হাসিখুশি কমই দেখেছে, যদিও ওর সাথে অনেক কথা বলে। ছোটবেলা থেকে অনেক কিছু পেয়েছে মামার কাছে।  ঈজা অনেকের কাছে শুনেছে, বিয়ে না করলে লোকে একটু কাঠখোট্টা গোছের হয়। ঈজা একটা ব্যাপারে খুব কষ্ট পেত, তা হল বাবার সাথে মামার ব্যবহার। কুণাল ঈজার বাবার সাথে খুব কমই কথা বলত। যতটুকু বলত,  তার মধ্যে একটা তাচ্ছিল্যের ভাব থাকত। বাবা নিরীহ  গোবেচারা গোছের মানুষ, মামার আচরণে কষ্ট পেলেও চুপ করে থাকত। ছোটবেলায় বুঝত না, বড় হওয়ার পর মামার এই আচরণ ইজার খুব খারাপ লাগত। একদিন মাকে এই নিয়ে জিজ্ঞেস করেছিল।

    মা ভাইকে আড়াল করে বলেছিল—দাদার কথাবার্তা ওইরকম একটু কাঠ কাঠ, অন্তর থেকে মানুষটা কিন্তু ভাল।

    যে লোকটার ওদের সংসারের জন্য এত ত্যাগ, সে তো ভাল মানুষ বটেই। কিন্তু মানুষ ভাল এটা মেনে নিলেও, ওর সব থেকে প্রিয়জন বাবাকে মামার এই অবজ্ঞা ঈজা মেনে নিতে পারত  না। খুব খ্যারাপ লাগত। তাই এত কিছু করার পরেও মামা কোনদিন ঈজার কাছের মানুষ  হতে পারেনি। যদিও এ কথা মুখে তো নয়ই, ভাবে ভঙ্গিতেও কখনো প্রকাশ করেনি।

    ঈজার ছোটবেলা থেকে হাওড়া অঞ্চলেই কেটেছে। এতকালের চেনা জায়গা, বন্ধু-বান্ধব আর পরিচিতজনদের ছেড়ে  আসতে খারাপ লেগেছিল। নতুন বাড়িটা খারাপ নয়, জায়গাটাও ভাল। কিন্তু বন্ধু বান্ধব ছাড়া প্রথম দিকে ঈজার বড় ফাঁকা ফাঁকা লাগত। কিছুদিনের মধ্যে দখিনা হাওয়া  এসে মনখারাপের কুয়াশাকে উড়িয়ে দিয়ে তৈরি করে দিল ভালোলাগার এক উজ্জ্বল পরিমন্ডল।  

    চলবে
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন