এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জীবন তরঙ্গ পর্ব ৫০ 

    Sukdeb Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৬ জুন ২০২৪ | ১৯৪ বার পঠিত
  • জীবন তরঙ্গ পর্ব ৫০

    দিন দশেক বাদে একটা শনিবার শিলিগুড়ি যাওয়া ঠিক হল। শনিবার রাতে গেলে রবিবার সকালে পৌঁছে যাবে। কথাবার্তা পাকা করে রবিবার রাতে ট্রেন ধরবে। রমেনকে অফিস কামাই করতে হবে না। সেইমত নন্দিতাদের বাড়িতে জানিয়ে দেওয়া হল।

    অসিত শুনে বলল — এ কোন মতেই হতে পারে না। আপনি প্রথমবার আমাদের বাড়িতে আসছেন, সকালে এসে রাতে চলে যাবেন, তা কখনো হয়! মঙ্গলবার রাতের আগে আপনাদের ফিরতেই দেব না।

    নানা রকম অজুহাত দেখিয়েও লাভ হল না, ওনাদের কথাই রাখতে হল। উজ্জ্বল রেলের অফিসে  থাকার জন্য নয়নকে রিজার্ভেশনের জন্য চিন্তা করতে হত না। দুটো যাওয়া আর দুটো আসার এসি টু এর টিকিট পাঠিয়ে দিল। উইক এন্ড হওয়ার জন্য যাওয়ার টিকিট কনফার্ম হচ্ছিল না। ওটা ভি আই পি কোটায় ম্যানেজ করে দিয়েছে। যাওয়ার দিন নয়ন গিয়ে মা বাবাকে ট্রেনে তুলে দিয়ে এল।

    বাড়ি ফেরার পর খবর এল ধ্রুবর ঠাকুমা মারা গেছে। খুব সমস্যা না থাকলে নয়ন এইসব কেসে না করে না। বাড়ি এসে খেয়ে নিয়ে নয়ন ধ্রুবর বাড়িতে পৌঁছে গেল। হাঁড়ি পুকুরের আড্ডার মেম্বার না হলেও ধ্রুব নয়নের ভাল বন্ধু। ওদের দেশের বাড়ি মালদাতে। ঠাকুমা সেখানেই থাকতেন। দিন পনের আগে ধ্রুবর বাড়িতে এসেছিলেন। কয়েক দিনের মধ্যেই দেশে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল, তা আর হল না। একেবারে না ফেরার দেশে ফিরে গেলেন। সব কিছু ব্যবস্থা করে বেরোতে বেরোতে রাত এগারোটা বেজে গেল। একটাই বাঁচোয়া, পরেরদিন রবিবার। তখন শববাহি গাড়ির চল খুব একটা ছিল না, মফস্বলে তো ছিলই না। শেষযাত্রা কাঁধেই হত। রহড়া  থেকে গঙ্গার শ্মশান ঘাট অনেকটা পথ হলেও খুব একটা সমস্যা হত না। ওটা অভ্যাসের ব্যাপার। খড়দায় গঙ্গার দিকে এক একটা রাস্তা খুব সরু। ওইরকম একটা গলি দিয়ে যাওয়ার সময় দেখা গেল একটা বড় ষাঁড় পুরো রাস্তা জুড়ে আড়াআড়িভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। বডি নিয়ে পার হওয়ার মত জায়গা নেই। নয়ন তখন সামনের দিকটা ধরে আছে। ষাঁড় গুঁতলে প্রথম গুঁতোটা ওকেই খেতে হবে। ষাঁড় ঘোরাঘুরি করলে ঠিক আছে কিন্তু স্থির হয়ে যদি মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে তাহলে একটু ভয়ের ব্যাপার থাকে। ও ব্যাটা সেইভাবেই দাঁড়িয়েছিল।  ওরা একটু থেমে গেল। ও পাড়ার ডিফেন্স পার্টির ছেলেরা তখন ওখানে পাহারা দিচ্ছিল। তাদের কয়েকজন এগিয়ে এসে আশ্বস্ত করে জানাল যে, ওরা ষাঁড়টাকে সরিয়ে দিচ্ছে।  একজন লাঠি তুলে একটু হ্যাট হ্যাট করতেই ষাঁড়টা শিং বাগিয়ে তাড়া করল। ভাগ্য ভাল মুখটা ওদের দিকে ছিল, না হলে আর দেখতে হত না।  ডিফেন্স পার্টির ছেলেরা  যে যেদিকে পারল পালাল।  জায়গা পেতেই নয়নরাও ঠাকুমাকে নিয়ে লাগাল দৌড়, একছুটে নাতুপাল শ্মশান ঘাট।

    ধ্রুব খুব মজার ছেলে। গল্পে ঠাসা জীবন। কিছু না কিছু বিচিত্র ঘটনা ওর দৈনন্দিন জীবনে থাকবেই। সেবার নয়ন সাথে ছিল। খেলার মাঠে যাচ্ছিল, একটু দেরি হয়ে গেছে। তখন কোলকাতার ঘেরা মাঠে ফুটবল খেলা দেখার জন্য, ষাট পয়সা আর এক টাকা দশ পয়সা, এই  দু রকম  দামের টিকিট ছিল। প্রদর্শনী ম্যাচ হলে টিকিটের দাম আরো কিছুটা বেশী হত।   ওরা এক টাকা দশ পয়সায় লাইন দিত। এসপ্ল্যানেডে এত ট্র্যাফিক যে কিছুতেই রাস্তা পার হওয়া যাচ্ছিল না। ধ্রুব নয়নকে ওর হাত ধরে ট্র্যাফিক পুলিশের একেবারে পাশে নিয়ে যেতে বলল।  নয়ন দেখে মুহূর্তে ধ্রুব ওর দুটো পা আর হাত অদ্ভুতভাবে বেঁকিয়ে একটা কিম্ভূতকিমাকার চেহারা করে ফেলেছে। দেখলে মায়া হবে। চোখে পড়া মাত্রই পুলিশ ভদ্রলোক ওকে ধরে ধরে রাস্তা পার করে দিয়ে এল। পুলিশের চোখ থেকে একটু সরেই প্রতিবন্ধী ধ্রুব নয়নকে নিয়ে তির বেগে মাঠের দিকে দৌড় লাগাল।

    ঠান্ডা তখনো বেশ ভালই ছিল। আগুনের কাছাকাছি থাকায় অতটা বোঝা যাচ্ছিল না। চিতার আগুনে ঠাকুমার দেহ ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছিল, আমরা হারিয়ে গিয়েছিলাম গল্পের খাজাঞ্চিখানায়। ধ্রুবর ঝাঁপি থেকে একটার পর একটা গল্প বেরোতে লাগল। ও একটা ব্যাঙ্কে কাজ করত। দশটার মধ্যে ধ্রুব  খুব কম দিনই অফিসে গেছে। ম্যানেজারের ওপর নির্ভর করে,  দেরির জন্য কতক্ষণ পর্যন্ত ছাড় থাকবে। তখন  ওদের ব্র্যাঞ্চে দক্ষিণ থেকে একজন  ম্যানেজার এসেছে। আর এন মুরলিধরন, খুব কড়া লোক। ধ্রুব যে প্রায়ই দেরি করে আসে, এটা ওনার নজরে পড়েছে। সেদিন ধ্রুবর অফিসে ঢুকতে দশটা পঁয়ত্রিশ হয়ে গেছে।  ম্যানেজার ঘরে ডেকে পাঠিয়ে, ধ্রুবকে বাড়ি চলে যেতে বলল। খুব সম্মানে লাগল, চাকরি জীবনে এই রকম পরিস্থিতি  আগে কখনো আসেনি। মেজাজটা গরম হয়ে গেল। চরম বদমাইস ছেলে।  বেরিয়ে আসার আগে ম্যানেজারকে বলল—আপনার পাওয়ার দেখিয়েছেন, জয়েন করতে দেননি। কিন্তু আপনি আমায় বাড়ি চলে যান বললেন কেন? আমি কোথায় যাব সেটাও কি আপনি বলে দেবেন?

    পরের দিন ব্র্যাঞ্চে এক অভিনব দৃশ্য দেখা গেল। ম্যানেজার ভয়ে কুঁকড়ে নিজের চেয়ার ধরে দাঁড়িয়ে আছে আর   তাকে ঘিরে সাত  আটটা হিজড়ে “আমাদের বন্ধুকে তুই অফিস থেকে   বাহর কোরে দিয়েছিস কেনো রে মনিজর?” বলে তালি বাজাতে বাজাতে নাচছে। অফিসে হিজড়ের নাচ কস্মিনকালে কেঊ দেখেনি। ম্যানেজারের চেম্বারের বাইরে ভিড় জমে গেছে।  কাস্টমার, স্টাফ, সবাই ভিড় করে মজা দেখছে। একটু বাদে ধ্রুব অফিসে ঢুকল। সোজা ম্যানেজারের ঘরে চলে গেল। যেন কিছু জানে না এইভাবে জিজ্ঞেস করল—এই তোমরা আমাদের স্যারকে কি করছ? ওরকম করে না, এটা অফিস না।

    ধ্রুবকে পেয়ে ম্যানেজারের ধড়ে প্রাণ এল।

    এগিয়ে এসে বলল — অফিসে আসার পর থেকে ওরা আমাকে এইভাবে ঘিরে ধরে আছে। একটা কিছু ব্যবস্থা করুণ প্লিজ।

    ধ্রুব ম্যানেজারের কানে কানে বলল — শ পাঁচেক টাকা দিন, আমি দেখছি কি করা যায়।

    -- পাঁচশ টাকা, ধ্রুব বাবু একটু কম করুন। 

    -- আরে এতো আর আমি নেব না। ঠিক আছে আপনি তিনশ দিন, আমি কথা বলে দেখছি।

    তিনশ টাকা গচ্ছা দিয়ে ম্যানেজার সেদিনের মত নিষ্কৃতি পেল। তিনশ টাকা দিয়ে হিজড়েদের বিদায় করার পর কড়া ম্যানেজার অত্যন্ত নরম গলায় ধ্রুবকে বলল—ধ্রুব বাবু, এটা আপনি কেন করলেন? এত বড় বেইজ্জতি আমার জীবনে কখনো হয়নি। 

    ধ্রুব খুব বিনয়ের সঙ্গে বলল — আমি ওদের পাঠাতে যাব কেন! ওরা সব আমার বন্ধু। আপনি কাল আমায় অফিস থেকে বার করে দেওয়ার পর আমি ওদের কাছে গিয়ে আমার দুঃখের কথা বলেছিলাম। তাই শুনে হয়ত ওরা আজ আপনার কাছে চলে এসেছে। আসলে আমার কোন সমস্যা হলেই ওরা প্রতিকারের জন্য সাথে সাথেই ফিল্ডে নেমে পড়ে। বারণ করলেও শোনে না।

    পরের দিন থেকে ঐ ব্র্যাঞ্চে অ্যাটেন্ডেন্সের কড়াকড়ি আর তেমন একটা ছিল না, ধ্রুবর ক্ষেত্রে তো একেবারেই ছিল না।

    কি জানি ওর সমস্যা হলে আবার যদি হিজড়ে চলে আসে।

    গল্পের মধ্যে দিয়ে কিভাবে যে রাতটা কেটে গেল কেউ টেরই পেল না। ধ্রুবর ঠাকুমার দেহ  ততক্ষণে পঞ্চভূতে লীন হয়ে গেছে। ভোরের ক্ষীণ আলোয় কুয়াশামাখা নদীতে খেয়া পারাপার  শুরু হয়ে গেছে। নয়নরা কেউ নদীতে স্নান করে, কেউবা মাথায় গঙ্গা জল ছিটিয়ে ফেরার পথ  ধরল।

    নয়ন বাড়ি ফেরার পর হিসেব করে দেখল ট্রেন লেট না করলে ওর মা বাবার শিলিগুড়ি পৌঁছতে আরও ঘন্টা দুয়েক লাগবে। চা বানিয়ে কাপে চুমুক দিতে গিয়েই নন্দিতার কথা মনে পড়ে গেল। চায়ের কাপ ঢাকা দিয়ে রেখে ব্রাশ করে এল। চেয়ারে হেলান দিয়ে চা খেতে খেতে কখন যেন দুচোখ লেগে গিয়েছিল। টেলিফোনের শব্দে ঘুম ভেঙে গেল।

    “হাবু আমরা এইমাত্র গাড়ি থেকে নেমে স্টেশনের বাইরে এলাম। আসিত বাবু আমাদের নিতে এসেছেন। তোর বাবার সাথে আমাদের মালপত্র নিয়ে ওনার গাড়িতে তুলছেন। বুথ থেকে বেশী  কথা বলা যাবে না। ওনাদের বাড়ি গিয়ে সুযোগ বুঝে কি হল না হল জানাব। সাবধানে থাকবি। ছাড়লাম।”  

    চলবে
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই প্রতিক্রিয়া দিন