নস্যর নস্য টিমটিমে রাধাকান্তপুর বর্ষাকালে ভিজে একখানা কাঁথাকানির মত পড়ে থাকে।জল টসকাচ্ছে তো টসকাচ্ছে। জ্যাবজ্যাবে কাদায় সে লটরপটর। গাঁয়ে বর্ষাকালের মত আপদ আর কই?তবু খড়ের গাদায় ছুঁচ খোঁজার মত করে খুঁজলে গরীবের কিছু সুবিধে আতসকাচের নীচে মন্দের ভালো হয়ে ধরা পড়ে। শামুক গুগলি শাক-পাতা এই সময় কিছু বেশি পাওয়া যায় – এই আর কি!
বর্ষায় স্যাঁতস্যাঁতে বৈঠকখানায় শানু চুড়িখেলার দান বিছোচ্ছে। রঙিন চুড়িতে বাদুলে মেঘ ঝাপসা হয়ে ছায়া ফেলে। রোদেলু কিরণে খিলখিল ভেঙে পড়া আকাশ কোথাও খটখটে তাঁবুতে শুয়ে থাকে সেইসব দিনে। পুকুর পাড় ঝোপঝাড় আঁশতলা বাঁশতলা সবুজ সন্দর্ভ। এরকমই সবুজের এত ভিন্ন ভিন্ন সেডের নৈবেদ্যে পরাতের রঙ-তুলিতে প্রকৃতির গর্ভদশা আঁকতেন বিষণ্ণ ভ্যানগঘ। বাংলার প্রকৃতি কীভাবেই বা কোনো ভ্যান গঘ, সেজান? গোপাল দাশ হতে পারেন বটে, তবে বড়ো হয়ে শান্তার ওরকমই মনে হত।
কুঁড়িপিসির সঙ্গে চুরি খেলছে, ছড়িয়ে পড়ছে অনন্ত সময় ধরে কাচের চুড়িতে মিশে থাকা সুখদুঃখের ধারা, প্রেম আর রিরংসার নানা সাদাকালো হলুদসবুজ লালনীল। ওই – মাটিতে গড়িয়ে যায় সময়ের বিভ্রম, অথবা গোল ঘরদাগের ভিতর অজানা বা জানা সব মেয়েদের করস্পর্শ লেগে থাকা চূর্ণিত স্পৃহা। চুড়িখেলা আর বর্ষাকাল কিংবা বর্ষার বাদুলে দিন আর চুড়িখেলা হাত ধরা ধরি করে থাকত তার জীবনে সয়লাসখির মত। তখন আর রবীন্দ্রনাথ কোথায় শানুর জীবনে, ওই সহজপাঠ ছাড়া? তবে বাদল আউসে উঠলে একখানা জলছবি তার মনের ক্যানভাসে। এখন রাবীন্দ্রিক বর্ষাগান তুমুল নাড়িয়ে দেয় শানুর সমস্ত ঐহিক।
মাটিতে কাটা গোল ঘরের দাগের বাইরে ছোট ছোট আঙুলে টানছে রঙিন কাচের টুকরো, একটা দুটো তিনটে চারটে --- ! যেন একটা টুকরো অন্যকে স্পর্শ না করে। কী দোষ স্পর্শ হলে? খেলি মোর হয়ে যাবে, দান পালটে যাবে? দান পাল্টে গেলে জীবনের উত্থান পতন পাল্টে যাওয়া। সুখানি চ দুখানি চ – জীবনের চাকা ঘুরছে -কখনও কুট, কখনও ছক্কা। সবই লেগে থাকে ওই চূর্ণ কাচেও। যদিও টুকরো কাচ, তবু আলাদা বৈকি! তাতে লেগে থাকা সুখ দুঃখ আনন্দ লোভ কুটিলতা সরলতা সব – সব ভিন্ন ভিন্ন। যার হাতের চুড়ি সে মানুষটাই তো অন্য হাতের মালিকের থেকে ভিন্ন! খেলা শেষ হল না, জ্যেঠিমা ডাকলে ও বাড়ির ভাবে তার ঢুকে গেল। কুঁড়িপিসিও ফিরে গেল বাড়িতে।
বৈঠকখানার পাশ দিয়ে চলে যাওয়া কাদার রাস্তায় হাঁটুর উপর দঁক উঠে যাচ্ছে — সেই দঁক ঠেলে ঠেলে শিবানী, মিলনী আর ওদের বাবা নানান জ্যেঠা চলেছে। তিনজনে বস্তায় ভাগ করে এক মন ধান নিয়ে যাচ্ছে ভানিয়ে চাল করতে। দু-তিনবারের যাওয়া আসায় ধানকলে ধানটুকু বয়ে নিয়ে যেতে পারল। আবার একই ভাবে চাল করে ফেরৎ আনা।
নারান খোঁড়া মানুষ। পায়ের উপর চালাঘর পড়ে যাবার পর থেকে খানিকটা অকেজো। ছোট মেয়ে মিলনী নাকি তখন হামা টানছে। ওদের মা সেইসময়ই আন্ত্রিকে মারা গেল, শিবিদির কাছে শুনেছে শান্তা। শিবিদিকে বড়ো আপন লাগত ওর সেকি দু’জনেই মাকে হারিয়েছে বলে?
ওইটুকু বয়সে শিবানী সংসারের হাল ধরেছিল। বড় লক্ষ্মী মেয়ে শিবানী। দুই মেয়েই ছোট থেকে শিখে গেছে কীকরে পেট চালিয়ে নিতে হয়। কেষ্টবাবুর ধান বয়ে নিয়ে গিয়ে ভেনে এনে দিলো তিন বাপবেটিতে। তিনি চশমখোর লোক। এক মন ধান ভানার মজুরি দিলেন মোটে সাড়ে সাতশো গ্রাম চাল।
“নমস্কার কেষ্টবাবু! এই ফাস আর এই লাস! তোমার কাজ আর নয়।”
নারানের কথা শুনে কেষ্টবাবুর কপালে ভাঁজ পড়লেও আরও সাড়ে সাতশো গ্রাম চাল বাড়িয়ে দিয়ে বললেন, “যথেষ্ট দিয়েছি রে, নারান! আর কত চাস?”
“আর চাই না বাবু! চললুম আমরা।” নারান মেয়ে দুটির হাত ধরে বেরিয়ে আসে ওদের উঠোন থেকে।
বৌ মারা যেতে দুই ছোট মেয়েকে নিয়ে সে বড়ো বিপদে পড়েছিল।তখন নাকি শিবি সংসারের হাল ধরে ! তার মত আর কে এত হিম্মতদার রয়েছে তাদের গাঁয়ে—নারান খুব গর্ব করে বলে। বড্ড অহংকার তার মেয়েকে নিয়ে। আবার মেয়ের রোজগারে খায় বলে নিজের কাছেই তার নিজের লজ্জা। বিধাতার কাছে কপাল চাপড়ায়, নিজেকে গালাগাল দেয়।
সবাই শিবানীকে ডাকে শিবি বলে। সে লোকের ঘরে, জমিতে কাজ করে। জমিতে কাজের মজুরি পায় দু-টাকা, না ছ’টাকা যেন। সবার সঙ্গে দল বেঁধে কন্ট্রাক্টরের রাস্তা তৈরির কাজেও যায়। সে কাজে মজুরি দশ টাকা। এই কাজগুলো না থাকলে সে গাঁয়ে লোকের বাড়িতে কাজ জোটায়।
শিবিরা এত গরীব, ওদের কীকরে সংসার চলে সেটা একটা ভাবার বিষয়। কেউ জিগ্যেস করলে শিবি তার কাজের ফিরিস্তি দেয়, “বাড়ির মেয়েদের কাচ থে কিচু না কিচু কাজ জুটেই যায়। কেউ বলে, শিবি চাল পাছড়ে দে – শিবি চাল বেছে দে – শিবি উঠোন ঝাঁট দিয়ে দে – গোয়াল পরিষ্কার করে দে, ধান ভেনে দে, চাল কুটে দে—কত কত ফাই ফরমাশ! মিলনীও কাজ করে সমান তালে। তবে ছেলেদের সমান মজুরি ও পায় নে কুনোদিনই। অবশ্য আমিও পাই না।তবু বোনের থে কিচু বেশি মজুরি পাই মেয়েদের মদ্যি বেশি চৌকোস বলে”। অথচ সে পরিশ্রমে, দক্ষতায় পুরুষদের সঙ্গে সমানে তাল মেলাতে পারে। কিন্তু সেকথা মানছেটা কে?
কেষ্টবাবুর বাড়ি থেকে ফেরার পথে এঁদোপুকুর পড়ে একটা। হঠাৎ তাতে তরবড়িয়ে নেমে গেল শিবানী।
“এই শিবি! এখানে নামলি ক্যানে? আবার তো পায়ে কাদা হবে।” বাপ মেয়েকে হাঁক পাড়ে।
শিবি যখন উঠে এল ওর হাতে একগোছা ফুলসমেত শালুকডাঁটা। শালুক ডাঁটা দিয়ে সে আজ তরকারি করবে। নারানের বড্ড চিন্তা হয় শিবিকে নিয়ে। মেয়েটা তার খেটে খেটেই মরে যাবে!
মেয়ের বিয়ে দেবার সময় হল। কিন্তু দেয় কোন সাহসে? কত রকম বাধা।ভালো একটা পাত্তর পাওয়া, বিয়ের খরচ জোটানো – কোত্থেকে কী হবে! তাছাড়া নিজের কাছে স্বীকার করতে অসুবিধে নেই – সে চলে গেলে সংসার দেখবে কে? তবু এবার বাবা হিসেবে তাকে সাহস সঞ্চয় করতেইই হবে। বাবার কর্তব্য পালন না করলে যে অন্যায় হয়! এমনিতেই মেয়েটাকে সে শোষণ করে চলেছে। কিন্তু আর দেরি না করে একটা ব্যবস্থা করা উচিত এবার। গাঁয়ের কারও সঙ্গে কথা বলার সময় এই সব দুর্ভাবনা সে প্রকাশ না করে পারে না।
অসহায় মানুষের কত ধরণের বিপদ থাকে! বড়ো হয়ে ওঠা মেয়েটা একা একা ঘুরে বেড়ায়।কাঁটা হয়ে থাকে সে, কোনো বিপদআপদ না ঘটে যায়! কার মনে কী আছে কে বলতে পারে? এসবই নারান জ্যাঠা লোকজনের কাছে বলে। “দেশে সমাজে মেয়েদের তো কুনো নিরাপত্তা দেখি না, কত রকম খবর কানে আসে! দিনরাত মেয়েদের পেছন পেছন যেন ফেউ ঘুরচ!”
দু’দিন একটু ধরণ করতে শিবি বেরোল কাস্তেটা নিয়ে। কোমরে তার গামছা একটা থাকবেই। কালো রঙে লম্বা চেহারা, বয়স কত আর, সতেরো-আঠারো। গরীবের সংসারে ঠিক মত খাওয়া জোটে না। তবু গায়ে তার বেশ জোর, খুব পরিশ্রমও করতে পারে সে।
উনুন জ্বালবার মত কোনো জ্বালানিই নাই। বৃষ্টিতে শুকনো পাতা – ঘুঁটে ভিজে ডাব। ঘরের সঙ্গে লাগোয়া তালপাতা আর বাখারি দিয়ে চালাটা ছাওয়া হলেও ঝাপটায় তা ভিজে যায়। মাটি গলে যাচ্ছে ছিটেবেড়ার। অঘ্রাণ-পৌষ না এলে মাটি লেপাও করতে পারবে না।
ঘরের ভিতর সব জিনিস রাখা যায় না। তিনটে লোক কোনোভাবে থাকে। একটা চৌকি আছে, সেটাতে দু-বোনে শোয়। মেঝেতে বাবা। তার মধ্যে হাঁড়িকুঁড়ি, কাঁতাবালিশ, জামাকাপড়, পুরনো তোরঙ্গ – সব গাদাগাদি করে রাখা। এর মধ্যে কাঠকুটো পাতাছাতা ঢোকালে ওরা থাকবে কোথায়?
ভিজে জিনিস ক’টা রোদে মেলে ও বেরিয়েছে। মিলনীটা খুব টোটো করে বেড়াতে ধরেছে, ঘরে ওকে সহজে যদি পাওয়া যায? গাঁয়ের বাইরে ঘোষপুকুরের একটু উত্তরে গেলে কংসা। ঘোষপুকুরের পাড়ে তেঁতুল গাছ থেকে ক’টা ডাল ভাঙবে জ্বালানির জন্য। যেতে যেতে আলগোড়া থেকে একটা জমির বেশ খানিক জায়গা জুড়ে শুশুনি শাকের একটা বিছানা হয়ে রয়েছে।। ও শাক তুলে গামছায় বেঁধে নিতে নিতে ভাবল শাকটা পাঁজা পাড়ায় কাউকে দিয়ে চাট্টি মুড়ি চাইবে। বিকেলে তেল মাখিয়ে বাবাকে খেতে দেবে।
নাঃ! তাড়াতাড়ি বাড়ি না ফিরলে বাবার খেতে দেরি হয়ে হবে। ঘোষপুকুরেই না হয় একটা ডুব দিয়ে নেবে।তারপর বাড়ি গিয়ে বাবাকে ভাত দেওয়া।
গাছে উঠতে ওস্তাদ সে। ডাল ভেঙে ভেঙে নীচে ফেলতে লাগল। কতগুলো হল কে জানে? খানকতক কাঁচা তেঁতুলও পাড়ল। কাঁচা তেঁতুলের টক মিলনীটা খুব ভালবাসে। এবার নামতে হবে। হাতের কাছের একটা কাঁচা ডাল কাস্তে দিয়ে কাটতে কাটতে শুনতে পেল, কে যেন ডাকছে তাকে। নীচে তাকিয়ে দেখল এক বুড়ি, চিনতে পারলু না বাড়ি মনুষটাকে। গাছের নীচ থেকে চেঁচিয়ে বলছে, “ও মেয়ে! আর ডাল ভেঙুনি। নেমে এসো গাছ থেকে। নামো তাড়াতাড়ি – !” বলতে বলতে ঘাটের দিকে এগুল বুড়িমা।
ও দক্ষ হাতে পায়ে ডাল ধরে ধরে গুঁড়ির কাছে এসে লাফ দিল। বু ঘোষপুকুরের পাড় খুব উঁচু, অনেক নীচে গভীর জল তাতে। বুড়ি তখন উঁচু পার থেকে পুকুরঘাটে নামছে দেখে সে একটু ভয় পেয়ে গেল, বুড়ি পড়ে না যায়! কিন্তু সে তো গাঁয়ের সব মানুষকেই চেনে, বুড়িকে সে চিনতে পারছে না কেন? কোন বাড়ির মানুষ সে? কারও বাড়ির কুটুম নাকি সে?
ডালগুলো আঁটি করে বাঁধতে বাঁধতে উপর দিকে কী মনে হতে তাকাল। আর তাকিয়েই বুকটা ছ্যাঁৎ করে উঠল ওর – একটা গোখরো সাপ! যেখান দিয়ে সে একটু আগে নেমে এসেছে গাছ থেকে – সেখানকার একটা ডাল পেঁচিয়ে ধরে ফনা তুলে সে দুলছে! সর্বনাশ! আঁতকে ওঠার একটা শব্দ উঠে এল ওর গলা থেকে। কোনোরকমে বোঝাটা দুহাতে ধরে কাঁপতে কাঁপতে ছুটল। ঘাটে উঁকি দিয়ে বুড়িকে কিছু বলতে গেল, দেখল - বুড়ি তো নেই! কোত্থাও বুড়ি নেই - এই তো ছিল! এত উঁচু পাড় পুকুরের। তাড়াতাড়ি কোথাও চলেও যেতে পারবে না। তাহলে? খুব ভয় পেয়ে গেল শিবি। তবে কি—! “… জয় মা মনসা! মাজ্জনা করো, মা! মাজ্জনা করো – মাজ্জনা করো—” বলছে আর ছুটছে।
ডোম পাড়া ছাড়িয়ে ও দিঘির পাড়ের রাস্তা ধরল যখন তখন বুক ঢিপঢিপিনিটা একটু কমল তার। শাকগুলোর ব্যবস্থা করতে হবে। মনোহর পাঁজার বাড়ির নাছে দাঁড়িয়ে ডাকল, জ্যাটাইমা -!
“কে রে?” বলতে বলতে মনো পাঁজার বউ বেরিয়ে এল। “অ! শিবি?”
“জ্যাটাইমা, একটু জল দাও না গো!”
কিরষেণদের বাসন থেকে একটা টিনের গেলাস নিয়ে জল এনে মাটিতে নামিয়ে দিলে মনোহর পাঁজার বৌ। শিবি ওদের উঠোনের জামতলার ছায়ায় বসে পড়ে জল খেয়ে ঘটনাটা বললে। -জানো জ্যাটাইমা – …
“ও -!” ত্যারছা চোখে তাকিয়ে কপালে হালকা ভাঁজ তুললে “জ্যাটাইমা”। তার কথা যে পাঁজার বৌ অবিশ্বাস করছে তা বুঝতে পারল শিবি। কিন্তু কী করবে? যা দেখেছে সে তাই বলেছে, লোকে গল্প কথা ভাবলে তার ভারি বয়ে গেল।
ও শাকগুলো দিতে পাঁজা-জ্যাঠাইমা জিগ্যেস করলে, “কোথায় পেলি?”
– জমিতে গো! শিবি জানাল। তারপর একটু দোনামোনা করে বলল, “আমায় চাট্টি মুড়ি দাও না!”
“বৌমা –!” জ্যাঠাইমা গলা তুলে রান্নাঘরের দিকে তাকায়।
একটু পরে গামছায় মুড়ি বেঁধে ও উঠে দাঁড়াল, কারণ আর দেরি করা চলে না কো। বাবার খেতে দেরি হবে যে! ও চলে যাচ্ছে যখন তখনই জ্যাঠাইমা গলায় মধু ঢেলে বললে, “ও শিবি! একটা কড়াই আছে, মেজে দিবি, মা?”
একটা কড়াইএর সঙ্গে একটা দুধ ফোটানোর ডেকচিও অমনি বেরিয়ে পড়ল। শিবি কলতলার দিকে এগুতেই বলল, “ঘাট থেকে মেজে এনে দে, মা! বালি দিয়ে ভালো করে ঘষবি। তারপর – খোল ভেজানো আছে দেখবি, ঘাটের পৈঠেতে। খোল দিয়ে মেজে ভালো করে ধুয়ে আনবি।”
শেষের কথাগুলো কানে গেল না যার উদ্দেশ্যে বলা। সে ফাঁকির কাজ করে না – তাকে অত বলতে লাগে না। যাই হোক ভালোই বলতে হবে, আধ সের মতন ক্ষুদ পাঠিয়ে দিল জ্যাঠাইমা। সেগুলো গামছার অন্য খুঁটে বেঁধে নিয়ে কাঠের বোঝা মাথায় তুলে নিয়ে হনহন করে হাঁটা দিল শিবি।
রোদের বহর সত্ত্বেও আকাশে সাদা কালো মেঘেরা তখন ভেসে বেড়াচ্ছে।
(ক্রমশঃ)