"ইহার চেয়ে হতেম যদি আরব বেদুয়িন!
চরণতলে বিশাল মরু দিগন্তে বিলীন।
বর্শা হাতে, ভর্সা প্রাণে, সদাই নিরুদ্দেশ
মরুর ঝড় যেমন বহে সকল বাধাহীন।"
যারা সারাক্ষণ নিরুদ্দেশের পথে যাযাবরের মত দূর-দূরান্তের কাফেলা (caravan) নিয়ে ভ্রাম্যমান, তাদের জীবনেও কি সমাধিশিল্পের গুরুত্ব থাকে? আগের এগারোটি পর্বে আমরা দেখলাম সমাধিসৌধ কীভাবে স্থিতিশীল জীবন এবং আভিজাত্য প্রদর্শনের সঙ্গে যুক্ত। তাহলে আরব বেদুইনদের জীবনে সমাধিশিল্পের কী ধরনের গুরুত্ব ছিল? তার আগে প্রশ্ন হল আরব বেদুইন কারা? এই মূহুর্তে আরব বলতে পুরো উত্তর আফ্রিকা এবং পশ্চিম এশিয়া জুড়ে আরব লীগের প্রায় কুড়িটি দেশকে বোঝায়- তবে প্রাচীন রোমানদের কাছে আরব বলতে মূলত আরব উপদ্বীপ এবং দক্ষিণ জর্ডানকে বোঝাতো। অর্থাৎ সিরিয়া, ইরাক, লেবানন, মিশরের মানুষদেরকে আরব বলা হত না সেইযুগে। আর বেদুইন বলতে মরুভূমিতে ভ্রাম্যমান আরবদেরকেই বোঝাতো। আরবদের যে অংশের সঙ্গে রোমানদের যোগাযোগ সর্বাধিক ছিল- তারা ছিল নাবাতিয়ান। কিন্তু নাবাতিয়ান বললে আমাদের চোখে ভেসে আসে একসময়কার সুবিশাল পেট্রা নগরী- যা কোনও যাযাবর জীবনের সাথে মিশ খায় না। কিন্তু নাবাতিয়ানদের ইতিহাসের শুরু এমনকি তাদের ঐতিহাসিক গুরুত্বও তাদের ভ্রাম্যমান কাফেলার মাধ্যমেই।
হাজারেরও বেশী সমাধিসৌধ- যাতে কয়েক হাজার মানুষের দেহাবশেষ ছিল- এই নিয়ে জর্ডানের পেট্রা। মিশরের বাইরে এতবড় সমাধিনগরী প্রাচীনযুগের পৃথিবীতে বিরল। চতুর্থ সাধারণ পূর্বশতকে য়ুরোপের সাথে এশিয়ার (ভারত-চীন ইত্যাদি) বাণিজ্যপথকে ঘিরেই এই নগরীর বিকাশ। নাবাতিয়ানরা ছিল একটি আরবজাতি- তাদেরই প্রধান শহর ছিল দক্ষিণ জর্ডানের পেট্রা। পেট্রা বাণিজ্যকেন্দ্র ছিল না কি সমাধিনগরী? দুটোই। নাবাতিয়ানরা রোমের এশীয় বাণিজ্যে বিশেষ ভুমিকা পালন করত। তাদের ভ্রাম্যমান কাফেলা ছিল বাণিজ্যিক পরিবহনের একটা মাধ্যম। রোম মূলত আমদানি করত, আর ভারত-চীন রপ্তানি বেশী করত। আমদানি হত দক্ষিণ আরব এবং পূর্ব আফ্রিকা থেকেও। লোহিত সাগর থেকে বিভিন্ন পণ্য নাবাতিয়ান কাফেলার মাধ্যমে যেত ভূমধ্যসাগরের বন্দরগুলিতে। ভ্রাম্যমান জীবন দিয়ে শুরু করলেও ধীরে ধীরে নাবাতিয়ানদের একটা অংশ তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল হয়ে ওঠে। গড়ে ওঠে পেট্রা। তবে পেট্রা গড়ে ওঠার পরেও কিন্তু নাবাতিয়ানরা বেশীরভাগই ভ্রাম্যমানই ছিল। ভ্রাম্যমান মানুষের কাছেও পেট্রার গুরুত্ব ছিল। পেট্রার সমাধিগুলো সবই যে শহরের স্থিতিশীল মানুষের- তা কিন্তু নয়। তাছাড়া যাদের শহরে বা গ্রামে বাড়ী থাকত- তারাও জীবনের বড় একটা সময় কাফেলাতেই কাটাত। কারওর ভ্রাম্যমান অবস্থায় মৃত্যু হলে তার অস্থি সংগ্রহ করে পরে অস্থিগুলোকে সমাধিস্থ করা হত। এই ধরনের অস্থিসমাধির চল ইহুদী আর পারসিকদের মধ্যেও ছিল। এমনকি বৌদ্ধস্তূপের নিচে যা থাকত সেগুলো হল দাহ করার পর দেহাস্থি। অনেকেই মনে করে পেট্রার বেশীরভাগ সমাধিই- সম্পূর্ণ শরীরের নয়- অস্থির সমাধি।
পেট্রাতে এখন গেলে যা দেখা যায় তার নব্বই শতাংশই হল সমাধিসৌধ। আর এগুলো সবই পাহাড় কেটে তৈরী- অজন্তার মত। আর বেশীরভাগই বাড়ীর মত দেখতে লাগলেও এদের খুব বেশী আভ্যন্তরীন অংশ নেই। অর্থাৎ সামনেটা বাড়ীর মত, কিন্তু ভেতরটা একটু এগোলেই নিরেট পাথর। মূলতঃ গ্রীক শৈলীতে তৈরী- কিছু মেসোপটেমীয় প্রভাব আছে। তবে মূল গ্রীক শিল্পে এই ধরনের পাহাড় কেটে তৈরী বাড়ী বিশেষ নেই। পেট্রার আগে এই ধরনের পাহাড় কেটে তৈরী সমাধি মিশর, তুরস্ক আর ইসরায়েলে দেখা যায়।
পেট্রার সর্বোচ্চ জনসংখ্যা প্রথম শতকে আনুমানিক কুড়ি হাজারে পৌঁছেছিল। ওখানে সমাধিস্থ মানুষের সংখ্যা তার থেকে কিছু বেশীই- অবশ্য তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই। যাই হোক, ওখানে সমাধি আর মন্দিরের বাহুল্য দেখে অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন পেট্রার উদ্দেশ্য মূলত ধর্মীয় ও পরলৌকিক ছিল, যাযাবরদের জীবনে শহরের অর্থনৈতিক গুরুত্ব খুব বেশী থাকার কথা নয়। এই ধারণা সম্পূর্ণরূপে ঠিক নয়। তবে একথা অস্বীকার করা যায় না- যাযাবর বেদুইনদের একটা সার্বজনীন জমায়েতস্থল হিসাবে পেট্রার একটা গুরুত্ব ছিল- আর এত মানুষকে একটা জায়গার সঙ্গে যুক্ত করে রাখার জন্য ধর্মীয় ও পরলৌকিক কারণ খুব প্রয়োজনীয়। ওখানে অনেক সমাধিসৌধেই দেখা যায় বৃহত্তর পরিবারকে একটি সৌধেই সমাধিস্থ করা হয়েছে। এর আগে নবম পর্বে এট্রাস্কানদের ক্ষেত্রেও আমরা দেখেছি এই ধরনের পারিবারিক সমাধি- আর পারিবারিক মেলবন্ধনের ক্ষেত্রে এদের গুরুত্ব। বলা যায়- এই ধরনের গণসমাধি দূর দূরান্তে ছড়িয়ে থাকা বেদুইনদের মধ্যে একটা একত্বের ভাব সৃষ্টি করত। আর পেট্রাতেই ছিল প্রাচীন আরব দেবী আল-উজা আর পুরুষ দেবতা দু'শরার মন্দির। এগুলোও তাদের একসূত্রে বেঁধে রাখত। অর্থাৎ ধর্মীয় এবং বাণিজ্যকেন্দ্রের সহাবস্থান খুবই স্বাভানিক।
আরবরা সে যুগে মূর্তিপূজা করত। নাবাতিয়ানদের পেট্রা গড়ে তোলার কাহিনী ইসলাম ধর্মের আবির্ভাবেরও আটশ বছর আগের, এবং খৃষ্টধর্ম আবির্ভাবের দুশো বছর আগের। অতএব মূর্তিপূজাবিদ্বেষ তেমনভাবে ছিল না। প্রাচীন আরব সংস্কৃতির মূর্তিগুলির খুব কমই অবশিষ্ট আছে। আরবদের তৈরী মূর্তিগুলো ঠিক কেমন হত তার আভাস পাওয়া যাবে পেট্রা ও তার আশেপাশের বিভিন্ন ধ্বংসস্তূপ থেকে। পেট্রার সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থাপত্য হল আল-খাজনা বা ট্রেজারি। বাংলায় খাজনা শব্দটি আরবি থেকেই এসেছে। এটিকে ভুলবশতঃ স্থানীয় লোকেরা রত্নভাণ্ডার বা ট্রেজারি বলে ভাবত, কিন্তু এটি আসলে একটি সমাধিস্থল এবং মন্দির। এটি প্রথম শতকে তৈরী। এর গায়ে মিশরীয় দেবী আইসিস-সহ অনেকগুলি দেবদেবীর মূর্তি আছে। তবে দুঃখের বিষয় এদের মুখগুলো এখন আর আস্ত নেই।
ছবি: আল-খাজনা বা ট্রেজারি।(ছবি লেখকের নিজস্ব)
ছবি: আল-খাজনা বা ট্রেজারি।(ছবি লেখকের নিজস্ব)
নাবাতিয়ানদের দেবদেবীরা প্রথম যুগে ছিল শুধু চৌকোনা পাথর। কোনওটায় বা চোখ-মুখ আঁকা। কিন্তু স্থিতিশীল জীবনের দিকে এগোনোর ফলে আর গ্রীক-রোমানদের সাথে ক্রমবর্ধমান যোগাযোগের ফলে তাদের দেবদেবীরাও ধীরে ধীরে পূর্ণাঙ্গ মানবরূপ লাভ করতে থাকে। আর তারই প্রতিফলন আমরা দেখি- অল খাজনায়। বাণিজ্যিক বিকাশ এবং প্রতিবেশী রাজ্যগুলির সাথে রাজনৈতিক জটিলতার ফলশ্রুতি হিসাবে নাবাতিয়ানদের মধ্যে রাজতন্ত্রের উদ্ভব হয় তৃতীয় সাধারণ পূর্বশতক থেকে। আল-খাজনা সম্ভবত একজন রাজার সমাধি।
আর আছে মনাস্ট্রি বা আদ-দাইর। এই মনাস্ট্রি বা আদ-দাইর নাবাতিয়ান স্থাপত্যশৈলীর সাথে গ্রীক ও মেসোপটেমিয়ান স্থাপত্যের মিশ্রণের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। ছদ্ম-জানালা, সুবিশাল দরজা মেসোপটেমীয় প্রভাব। আল-খাজনার মত এটাও পাহাড় কেটে তৈরী। এটি প্রথম সাধারণ পূর্বশতকে তৈরী। মনাস্ট্রি নামটা পরবর্তীকালে দেয়া, কারণ এটিকে পরবর্তী যুগে (বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের সময়) খৃষ্টানরা গীর্জা বা মনাস্ট্রি হিসাবে ব্যবহার করত। এটিও মূলতঃ সমাধিমন্দির হিসাবেই তৈরী হয়েছিল। দ্বিতীয় শতকে রোমের অধীনে যাবার পরেও নাবাতিয়ানরা নিজেদের বাণিজ্যিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় স্বতন্ত্রতা ধরে রেখেছিল। কিন্তু চতুর্থ শতকে রোমের খৃষ্টানীকরণ শুরু হয়, এবং এর ফলে নাবাতিয়ানরাও ধর্মান্তরিত হতে থাকে। ফলে এই সমাধিমন্দির খৃষ্টান মঠে রূপান্তরিত হয় এবং তার চিহ্ন দেখা যায় ভেতরের দেয়ালে খোদাই করা একাধিক ক্রুশচিহ্নের মধ্যে।
ছবি: মনাস্ট্রি বা আদ-দাইর।(ছবি লেখকের নিজস্ব)
ছবি: পেট্রার পাহাড় জুড়ে সমাধিসৌধ।(ছবি লেখকের নিজস্ব)
ছবি: পেট্রার পাহাড় জুড়ে সমাধিসৌধ ও লেখক। (ছবি লেখকের নিজস্ব)
ছবি: ওবেলিস্ক টোম্ব। (ছবি লেখকের নিজস্ব)
আল-খাজনা আর মনাস্ট্রির মত দেখতে সমাধিসৌধ পেট্রার দু'পাশে সারা পাহাড় জুড়ে ছড়িয়ে আছে। মাঝখানের উপত্যকায় দাঁড়িয়ে মনে হবে কারা যেন ছেনি-হাতুড়ি নিয়ে সারা পাহাড় ফুঁটো করে গেছে। এছাড়া আছে একাধিক ত্রিকোণাকার চূড়াযুক্ত ওবেলিস্ক টোম্ব। শুধু সমাধি আর মন্দিরের ধ্বংসস্তূপ নয়, এখানকার পয়ঃপ্রণালীও একটা দ্রষ্টব্য। মরুভূমিতে জলের গতি নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা নাবাতিয়ানদের অনেকটাই এগিয়ে রেখেছিল।
পেট্রা সদ্যনির্বাচিত সপ্তাশ্চর্যের একটি। অন্যান্য আশ্চর্যের মধ্যে আছে তাজমহল আর গিজা পিরামিড- সেগুলিও সমাধিশিল্প। এর থেকে বোঝা যায় মানুষের কাছে তাদের পরলৌকিক জীবনের গুরুত্ব কতটা।
নাবাতিয়ান সমাধিনগরীগুলির মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত পেট্রা, তবে এছাড়াও আছে ইসরায়েলের হালুজা, মাম্পিস আর সৌদি আরবের মদা'ইন সালিহ। শেষোক্ত স্থানটিও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ধূ-ধূ মরুভূমির মধ্যে বিক্ষিপ্ত কয়েকটি টিলা বা পাহাড়- অদ্ভুত গোলাকার তাদের আকৃতি। তাদের খোদাই করে সমান করে তৈরী করা হয়েছিল অনেকটা পেট্রার মত অনেকগুলি সৌধ। ২৫ থেকে ৫০ ফুট উচ্চতা এদের। এগুলিরও মূল আকর্ষণ সামনের দিকটা- ভেতরে বেশীরভাগটাই নিরেট পাথর। চারটি বড় সৌধ ছাড়াও হাজার-দুয়েক সমাধি এখানে আছে। পাওয়া গেছে বিভিন্ন আরব দেবদেবীর মূর্তি এবং অনেকগুলি শিলালেখ।
ছবি: মদা'ইন সালিহ
Image Credit: By Sammy Six - Madain Saleh, CC BY 2.0,
https://commons.wikimedia.org/w/index.php?curid=32186208
যদিও বড়মাপের সমাধিশিল্পের মাধ্যমে অর্থনীতিও কিছুটা চাঙ্গা হয়, পেট্রায় অতিরিক্ত ব্যয়ের ফলে নাবাতিয়ানদের কিছু আর্থিক দুর্বলতা দেখা গিয়েছিল। প্রথম শতকে নাবাতিয়ান মুদ্রার ধাতু-মিশ্রণে রূপার অনুপাত অনেকটা কমে যায়।
রোম আর ভারতবর্ষের মধ্যে সহজ জাহাজপথের সন্ধানের প্রচেষ্টা অনেকদিনের। বাধা ছিল লোহিত সাগর আর ভূমধ্যসাগরের মাঝে ছোট্ট একটা ভূখণ্ড (সাইনাই উপদ্বীপ)- যার পশ্চিমদিকে এখন সুয়েজখাল খোঁড়া হয়েছে। সেযুগে সুয়েজখাল ছিল না। এই স্থলখণ্ডটি অতিক্রম করার একটা পথ পশ্চিমে মিশর দিয়ে, অন্যটি পুবদিকে জর্ডানের উপর দিয়ে- আর এই দ্বিতীয় পথটিকে নিয়ন্ত্রণ করত নাবাতিয়ানরা। তারা পণ্যসামগ্রী পৌঁছে দিত এক সাগর থেকে আরএক সাগরে। এই বাণিজ্যপথটিকে ইনসেন্স রুট বা সুগন্ধী পথও বলা হত- কারণ সুগন্ধী নির্মাণের কাঁচামাল দক্ষিণ আরব উপদ্বীপ থেকে এই পথ ধরেই যেত। শুধু কাফেলাভিত্তিক পরিবহণ নয়- জলদস্যুবৃত্তি, সামরিক বিস্তার এবং নানারকম অর্থনৈতিক কৌশলের মাধ্যমে নাবাতিয়ানরা এই বাণিজ্যপথে নিজেদের গুরুত্ব ধরে রেখেছিল।
তৃতীয় শতকে রোমের অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হয়। রোম-ভারত বাণিজ্যেও ভাঁটা পড়ে। পেট্রার গুরুত্বও কমতে থাকে। একটি বড় ভূমিকম্পের ফলে পেট্রা- বিশেষ করে তার পয়ঃপ্রণালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়- যা মরুভূমিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চতুর্থ শতকের পর পেট্রা তার গুরুত্ব ও জৌলুস হারাতে থাকে। ইসলামপূর্বযুগের মক্কা হয়ে ওঠে আরব বেদুইনদের প্রধান সমাবেশক্ষেত্র ও তীর্থক্ষেত্র। সেখানেও গড়ে ওঠে আল-উজা, দু'শরা ও অন্যান্য দেবদেবীদের মন্দির- এবং ইসলামের মক্কা জয়ের আগে অবধি তারা টিকে থাকে।
দুই সাগর তথা দুই মহাদেশের মধ্যে স্থলভাগের বাধাটাকে কাজে লাগিয়ে গড়ে উঠেছিল নাবাতিয়ানদের অর্থনীতি, সেই বাণিজ্যকে কাজে লাগিয়েই তাদের সাংস্কৃতিক বিকাশ। ঐ ছোট্ট ভৌগোলিক প্রতিবন্ধকতার ফলশ্রুতি হিসাবেই তৈরী হয়েছিল পৃথিবীর সবচেয়ে আকর্ষণীয় সমাধিশিল্পের একটি- সদ্যনির্বাচিত সপ্তাশ্চর্যের একটি- পেট্রা।