এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ইস্পেশাল  উৎসব  শরৎ ২০২০

  • উত্তমকুমার, চন্দ্রমুখী এবং ...

    স্বাতী রায়
    ইস্পেশাল | উৎসব | ২৭ অক্টোবর ২০২০ | ৩৯০৮ বার পঠিত | রেটিং ৪.৩ (৭ জন)
  • “রাণাঘাটে একবার উত্তমকুমার এসেছিল। আমাদের পাড়ার সব মেয়ে-বৌরা ঝেঁটিয়ে দেখতে গেল।” – খাওয়ার টেবিলের উপর ন্যাতা বুলাতে বুলাতে বলে মালতী। ছোট্ট ডাইনিং রুম। প্রবীর লাগোয়া টয়লেটে হাত ধুচ্ছিল তখনও। আজ রবিবার। মাটনের ঝোলের হলুদ, চর্বির তেল সব সাবান দিয়ে ঘষে ঘষে তুলছিল। মালতীদির কথা শুনে চাপা হাসি খেলল মুখে। এই গল্পটা আগেই একদিন শুনেছে ও। এদিকে মৌরীর কৌটো খুলে মুখে আলগোছে কাটিং চিনি মেশান মৌরীর দানা ফেলছিল কণা। ও সেদিন ছিল না। কৌতূহলে জানতে চাইল, “আর তুমি? তুমি যাও নি দেখতে?”

    মালতী ঝাঁঝিয়ে ওঠে, “যাব কী করে? আমার ঘরের শত্রু ছিল না? সেদিন সদর-দরজায় সকাল থেকে তালা দিয়ে রেখেছিল যে! পাছে আমি পাড়ার লোকের সঙ্গে চলে যাই! ”
    “ওমা, সে কি? তা তোমার শাশুড়ি কিছু বলে নি? সে বুড়ি তখন কোথায় ছিল?” কণা জিজ্ঞেস করে।

    “ সে তখন ছিল বড় ননদের বাড়ি, নবদ্বীপে। সে থাকলে তো আরওই বেরোতে পারতাম না।” গজগজ করে মালতী।

    প্রবীর জোরেই হেসে ফেলে। হাসতে হাসতে বলে, “ মালতীদি, কী আর করবে বল? উত্তমকুমার বেঁচে থাকলে নাহয় তোমাকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে দেখিয়ে আনতাম! তোমাকে বরং একটা উত্তমকুমারের দারুণ ফটো এনে দেব। চোখে দেখতে পাও নি তাতে কি, তুমি ছবিটাকে রোজ রোজ পুজো কোরো। ভাল ভাল প্রসাদ দিও, তোমার ওই লবঙ্গলতিকা, মালপোয়া বুঝলে ...”
    কণা এইবার রেগে যায়। বলে, “তোমার এই সব সময় খাওয়া আর খাওয়া বন্ধ করো তো। আর খবরদার বলছি, ওই সব ছবি টবি আনবে না। একেই রুন সারাক্ষণ বায়না করে যাচ্ছে, তার নাকি হ্যারি স্টাইলসের পোস্টার চাই, তাকে অতিকষ্টে চাপিয়ে রাখছি – তোমরা আর ধুনোর গন্ধ দিও না!”

    মালতীর মুখের আলো নিভে যায়। পরের বাড়িতে থাকা, সে তো তাদের ইচ্ছে মতই হবে। হাত মুছে, রান্নাঘর গোছানো শেষ করে টিভির সামনে গিয়ে বসে। এ মাসটা বিভিন্ন চ্যানেলে উত্তমকুমারের ছবি দেখায়। চ্যানেল ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে একটা জায়গায় স্থিতু হয়। ওই তো দেখাচ্ছে। কী সুন্দর চেহারা! চোখদুটো কী ভাল! আর ঠোঁটটাও। টুসটুসে কমলার কোয়া। দেখলেই মনে হয় ... কুশন বুকে চেপে ধরে সোফার উপর গড়ায় মালতী। জোরে জোরে নিঃশ্বাস ফেলে। গরম গরম। শরীরের জ্বালাটা বার করে দিতে চায়।



    ~~~~~~


    তের বছরে বিয়ে। তার কদিন আগেই বরকে প্রথম দেখা। এক ঝলক। মেয়ে দেখতেই এসেছিল। বাপ-মরা মেয়ে। প্রায়ই-না-খেতে-পাওয়া, রোগা, ডিগডিগে। বাপ থাকতে যেটুকু চাষবাস হত সেসবও এখন বন্ধ। জমি পড়েই থাকে, না-চষা। চাষের খরচ জুটবে কোথা থেকে। শুধু তো মায়ের বিড়ি বাঁধার আয় সম্বল। রাণাঘাটে ওর মাসতুতো দিদির শ্বশুরবাড়ি। তারাই সম্বন্ধ করল। এক দেখাতেই বিয়ে। মালতী তখন বরকে ভাল করে দেখে নি অবশ্য। অমন ড্যাবডেবিয়ে দেখা যায় নাকি! লজ্জা করে না! তবে পাড়ার ছেলেরা বলেছিল, “আরে এ তো পুরো বচ্চন। গুরু, গুরু।” বচ্চনকে মালতী দেখেছিল একবারই। চোত-পাবনের সময় পাড়ার ক্লাব থেকে পর্দা খাটিয়ে রাতভর সিনেমা দেখিয়েছিল। সেইখানে। জয়া ভাদুড়ির মুখের উপর মুখ নিয়ে এসে ... সেই বচ্চন? আরিব্বাস! বিয়ে হল। মায়ের ঘরে একটা পেট কমল। বরকে প্রথম ভাল করে দেখল ফুলশয্যার রাতে। কান ঢাকা চুল, ঢ্যাঙ্গা মতন চেহারা। নাকের একদম কাছেই দুটো চোখ। ভিতরে ঢোকা গাল। এই নাকি বচ্চন? বিড়ির গন্ধওলা মুখ ততক্ষণে ভারি নিঃশ্বাস ফেলছে নাকের উপরে। আর ভাবার অবকাশ নি। পরের দিন চানের সময় লুকিয়ে লুকিয়ে বিয়ের বোরোলিনটা নিয়ে ঢুকেছিল। কামড়ের ঘাগুলোর উপর অল্প করে বোরোলিন লাগাতে লাগাতে ভেবেছিল, জয়া ভাদুড়িও কি বোরোলিন লাগায়? না কি অন্য কোন মলম? তারপর চানের জায়গা থেকে বেরিয়ে পা টেনে টেনে ফিরে গিয়েছিল ঘরে। কেউ দেখার আগেই বোরোলিন যেখান থেকে নিয়েছিল, সেখানে ফের রেখে দিতে হবে। কেউ দেখতে পেলে আবার কী কথা হবে কে জানে!

    অবশ্য ওই একটা বোরোলিনে আর কতদিনই-বা চলে। তবে ততদিনে অভ্যাস হয়ে গেছে। আর হয়েছে সর্বনাশও। সেও বিয়ের জন্যই। ভাগ্যিস বিয়েটা হয়েছিল! তাই না, দেওর-ননদদের সঙ্গে, বরের সঙ্গে সিনেমা দেখা! কী যেন নাম ছিল, কী শাপ ... শাপ ... হ্যাঁ মনে পড়েছে শাপমোচন। প্রথম উত্তরকুমারকে দেখা। ঘোর লেগে গিয়েছিল। সস্তার জ্যালজ্যালে পাটসিল্কের শাড়ি, কপালে পাথর-বসানো টিপ, হাত ভরা ইমিটেশনের চুড়ি আর শাঁখা পলা লোহা নিয়ে কী ভেবে গায়ের উপর ঘুরে বেড়ান বচ্চনের হাতটাই চেপে ধরেছিল। উত্তরে একটা হাত শাড়ির উপর দিয়েই ওর বুকটা খামচে ধরেছিল। কোথায় উত্তমকুমার আর কোথায় বচ্চন!

    সেদিন থেকেই শুরু। রাতের বেলায় উপর নীচ করতে থাকা ঘামাচি ভরা পিঠে হাত রেখে মালতী ভাবে উত্তমকুমারের পিঠে হাত রেখেছে। স্তনের মোচড়েও ব্যথা লাগে না আর। বরং শরীর গলে গলে পড়ে। সব থেমে গেলে তেলচিটে বালিশে মাথা রেখে বচ্চন মুখ হাঁ করে ঘুমায়। মুখের গড়ানো লালে বালিশ ভেজে। পাশে শুয়ে মালতীর কিছুই চোখে পড়ে না। ঠোঁটের উপর ঘামের বিন্দু জমে। আঙুলের ডগা দিয়ে আলতো হাতে মুছে দেয়। উত্তমকুমারের নরম ছোঁয়ার মত । ঘরে অলীক সুবাস ঘোরে। ইচ্ছে করেই বুকে কাপড় টানে না। একটুকরো চাঁদের আলো এসে পড়ে গলায়, পেটে, স্তনবৃন্তে। যেন ওই পুরু ঠোঁট ঘুরে বেড়ায় তার শরীরে। কল্পসুখে সে শিউরে শিউরে উঠে। তারপর কখন ঘুমের অতলে তলিয়ে যায়। স্বপ্নে সুচিত্রাকে সরিয়ে দেয় মালতী, ঢুকে পড়ে উত্তমকুমারের বাহুর মধ্যে।

    উত্তমকুমারই অবশ্য থেকে যান। মাত্র দেড় বছরের মাথায় লাথি মেরে মেরে বচ্চন একদিন ঘর থেকে বার করে দেয়। ততদিনে ভাইরা ডাগর হয়েছে। নিজের নিজের কাজ-কর্ম শুরু করেছে। তারা দিদির পাশে দাঁড়ায়। বলে, “বাড়িতে এসে কদিন বসে থাক। দেখবি, সুড়সুড় করে ল্যাজ নাড়তে নাড়তে আবার এসে তোকে নিয়ে যাবে।” প্রথম প্রথম মালতীও তাই ভাবে। কিন্তু দেখে বচ্চন ফেরত নিতে এলে, বাড়ির সকলের বিগলিত মুখ। আর শোনে, “মায়ের শরীর খারাপ, রান্নাবান্না নিয়ে বহুত ক্যাচাল। রোজ রোজ ভাল লাগে না। নাহলে কোন শ্লা ...।” আবার বচ্চনের হাত ধরে নদী পেরোয়, শ্বশুরবাড়ি যায়। শরীরের ঘা এতদিনে শুকিয়েছে। আরেকবার উত্তমকুমারকে আঁকড়ে ধরে হাত ।

    এইরকম বিড়াল পারাপার চলে বেশ কয়েকবার। তারপর ধ্যাততেরিকা বলে ওঠে মালতীই। অনেক হয়েছে। এবার সোজা চলে আসে কলকাতায়। এঘাট ওঘাট করে কণাদের বাড়ি। সেই থেকেই এখানে। সেও প্রায় কুড়ি বছর হল। বাপের বাড়ি যাওয়া আসা করে। তবে প্রথমদিকে যতটা ঘন ঘন ছিল, এখন তাতে টান পড়েছে। ভাইদের সব বিয়ে হয়েছে। বাচ্চা কাচ্চাও। জমি-জমা কিনেছে। বাড়ি ঘর করেছে। তবু এখনও তারা দিদি দিদি বলে খবর দেয়-নেয় নিয়মিত, সব ব্যাপারে মতামত চায়। সপ্তাহে, সপ্তাহে ফোন করে, বাড়ির কোথায় কী হল সব খুঁটিনাটি খবর দেয়, এমনকি কবে মাঠে কী বুনল, কী বেচল, লাভক্ষতি কী হল না হল সবই দিদিকে না জানালে তাদের শান্তি নেই। মাঝে সাঝে বাড়ি গেলে ক্ষেতের আলু, ঘরে-ভাজা মুড়ি, বাড়ির গাছের নারকেল গুছিয়ে দিয়ে দেয়। এই ঢের। ওদের সুখ দেখেও ভাল লাগে। ব্যাঙ্কের থেকে ধার নিয়ে বাড়ি-ঘর করছে, সারাচ্ছে, এমনকি ভাইদের মুখে শোনে চাষের আগে নাকি দাদন হিসেবেও টাকা মেলে। আলু উঠলে তাই দিয়ে দাদন শোধ করো। কত সব সুবিধা এখন। মালতী ভাইদের বলে, “মেয়েগুলোকে সাত তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দিস না। ওদের একটু বাপের ঘরের সুখের মুখ দেখতে দিস। পরে যে কি আছে কপালে সে তো কেউ জানে না!”



    ~~~~~~


    কণাদের বাড়ির ড্রয়িংরুমের বিয়াল্লিশ ইঞ্চির টেলিভিশনটা মালতীর দখলেই থাকে। সিরিয়াল, সিনেমা, এ চ্যানেল, ও চ্যানেল, সে চ্যানেল। প্রসেনজিত, যিশু, দেব সক্কলের ছায়া দেখলেই চেনে। তবু রাত বাড়লে চ্যানেল থেকে চ্যানেলে ঘোরে। সৌমিত্র, শুভেন্দু, বিশ্বজিৎ, জর্জ বেকার, চিরঞ্জিত সবাই পানসে তখন। সব আলো নিভিয়ে আবছা নীল আলোয় শুধু খোঁজে উত্তমকুমারকে। রাতের পর রাত।

    তারপর একদিন সেই মির‍্যাকলটা ঘটল। মালতীর মোবাইলটা দেহ রাখল। বোতাম-টেপা মোবাইল। নতুন মোবাইল কিনতে হবে। মালতী একটা অনেকদিনের শখের কথা ভাসিয়ে দিল। “একটা ছবি তোলা যায় এমন মোবাইল দেবে? ওই ইস্মার্ট ফোন না কি, তোমাদের যেমন আছে! কম দামে হয় না?” হয় তো বটে। প্রবীর একদিন একটা চাইনিজ ফোন অর্ডার করল আম্যাজনে। ডুয়াল সিম। আগের সিমটা তো রইলই। সেই সঙ্গে একটা নতুন সিম ভরে দিল। মালতীকে বোঝাল, “তুমি ফটো তো তুলতেই পারবে। আবার সিনেমাও দেখতে পারবে। জিওর একটা সিম ভরে দিয়েছি। আনলিমিটেড ডেটা। একবছরের টাকা দেওয়া আছে। যা খুশি কর গে! ”
    “সিনেমা দেখতে পাব? উত্তমকুমারের সিনেমা?”

    বাড়ির সবাই হাসে। “হ্যাঁ রে বাবা, উত্তমকুমারের সিনেমাও দেখতে পাবে।” যত্ন করে শিখিয়ে দিল কীভাবে ইউ টিউব থেকে সিনেমা দেখা যায়। উত্তমকুমার দিয়ে কিভাবে সার্চ করতে হয়। মালতীর মুখে হাসি আর ধরে না। প্রাণের আনন্দে সেদিনই বাড়িতে একরাশ রসগোল্লা বানিয়ে ফেলল। প্রবীরকে টপাটপ রসগোল্লা খেতে দেখে কণা ফোড়ন কাটতে ছাড়ল না, “কার পাওনা, কে মারে! মালতীদি তুমি ওকে রসগোল্লা খাওয়াচ্ছ কেন? এটা তো মুকেশ আম্বানির ডিউ। সে অত শস্তায় ডেটা দিচ্ছে বলেই না তোমার কপালে শিকে ছিঁড়ল।”
    অতশত মাথায় ঢুকল না মালতীর। তবে আম্বানির নামখানা মাথায় ঢুকল। মনে মনে একবার আম্বানি বাবার পায়ে মাথা ঠুকে নিল। ভগবান, তোমার ভাল করুক। সেই থেকে ওই মোবাইল মালতীর জান। গান শোনা, ফটো তোলা তো আছেই। দুপুরের নিরালায়, রাতের আঁধারে উত্তমকুমার নেমে আসেন ওর দরজা বন্ধ ঘরে। বুকের উপর খেলা করেন। চল্লিশ ছুঁই ছুঁই মালতীর শরীরে আগের মতই লীলা-শিহরণ জাগে। মালতীর পোড় খাওয়া শরীরে আসে কিশোরীর লাস্য। নতুন ছন্দ জাগে পায়ের চলায়। স্নান করে কাপড় মেলতে গিয়ে কানের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বাতাসকে মনে হয় উত্তমকুমারের ফিসফিস। দেশে কোভিড আসে, লকডাউন আসে। কিছুতেই মালতীর কিছু আসে যায় না। শুধু কোনমতে হাতের কাজ সারে। তারপর মোবাইল নিয়ে বসে পড়ে। মোবাইল জেগে উঠতে উঠতে একবার আম্বানি বাবাকে মনে মনে পেন্নাম করে নেয়। তার জন্যেই না এত সুখ!

    এরই মধ্যে একদিন ভাইএর ফোন আসে। খুবই ভেঙ্গে পড়া গলা। মালতী ঘাবড়ে যায়, জানতে চায়, “কী হয়েছে? কী হয়েছে বল না!” ভাই কেঁদে ফেলে। কাঁদতে কাঁদতে যা বলে তার সারমর্ম হল, ও সব বছরের মতই দাদন নিয়েছিল। অনেকগুলো টাকা। চন্দ্রমুখী আলু লাগিয়েছিল জমি জুড়ে। কিন্তু এখন কোম্পানি আলু কিনতে চাইছে না। ওদের আলু নাকি ভাল না। কোয়ালিটি খারাপ। লোকজন বলাবলি করছে, ওসব কোয়ালিটি টোয়ালিটি বাজে কথা। কোম্পানির বাজার পড়ে গেছে, তাই এইসব করে নিজেদের ক্ষতি কমাচ্ছে। এদিকে আলু বিক্রি না হলে আগাম শোধ করবে কী করে? এদিকে অনেকেরই সঙ্গে এমন হয়েছে। সবার ক্ষেতে, ঘরে, উঠোনে, বাড়ির সামনের রাস্তায় আলুর বস্তা পড়ে আছে। ফড়েরা জলের দরে সেসব কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এখন যা দাম পাওয়া যাচ্ছে, সেই দামে বেচলে সারা বছর নুনভাত খাওয়ার পয়সাও জুটবে না। আর কিছু তো পরের কথা। গলা শুকিয়ে আসে মালতীর। চাষির ঘরের মেয়ে। এই অবস্থার সঙ্গে ভালমতই পরিচিত সে। বিয়ের আগের না-খেতে-পাওয়া দিনগুলোর কথা মনে পড়ে। বুড়ো মা, কচি কচি ভাইপো-ভাইঝিগুলোর কী হবে! হাজার দুশ্চিন্তা মাথায় ঘনিয়ে আসে। কানে আসে ভাইএর ফোঁপানি, “এদিকে যতকটা কোম্পানি দাদন দেয়, আম্বানি থেকে শুরু করে সবাই, এইরকম করছে”। ভাইএর বাকি কথা আর কানে ঢোকে না মালতীর। স্তব্ধ হয়ে বসে থাকে। কানে, মাথায় শুধু ঝমঝম করে বাজতে থাকে, “আম্বানি! আম্বানি!”


    ছবিঃ ঈপ্সিতা পাল ভৌমিক

    পড়তে থাকুন, শারদ গুরুচণ্ডা৯ র অন্য লেখাগুলি >>
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ইস্পেশাল | ২৭ অক্টোবর ২০২০ | ৩৯০৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ২৮ অক্টোবর ২০২০ ০৯:০৮99243
  • হুম্মম্ম। 


    ইস্যুটা ঠিকঠাক,এসেছে।

  • Sumon | 202.142.***.*** | ২৮ অক্টোবর ২০২০ ২১:৩০99287
  • বেশ ভালো 

  • Prativa Sarker | ২৮ অক্টোবর ২০২০ ২২:২৮99290
  • খুব ভালো লাগলো। শেষটা যেন ঝপাৎ করে শেষ হল। তবু তার আগেই ঘোর লেগে গেছে। ভালো গল্প! 

  • কুশান | 45.249.***.*** | ২৮ অক্টোবর ২০২০ ২২:৪৩99291
  • শেষটুকু অকস্মাৎ ঘনিয়ে এলো। কিন্তু এছাড়া গল্পের চলন খুব ভালো। কয়েকটি জায়গা মোক্ষম হয়েছে। বিশেষত এই লেখার একটা জায়গা বেশ প্রাসঙ্গিক, যার কোনো সঙ্গী নেই, তার প্র্ৰ্ৰয়োজন এই চিত্রতারকার ফ্যান্টাসি। 

  • Rouhin Banerjee | ২৮ অক্টোবর ২০২০ ২২:৫৩99292
  • শেষ পাঞ্চটা এক্কেরে মোক্ষম। এরকম ঝপাৎ করে শেষ না হলে এই পাঞ্চলাইনটা হেজে যেত। জাস্ট লাভড ইট

  • Pritha | 182.64.***.*** | ২৮ অক্টোবর ২০২০ ২২:৫৫99293
  • খুব ভালো লাগলো। তবে হঠাৎ শেষ হয়ে গেল যেন।

  • সম্বিৎ | ২৯ অক্টোবর ২০২০ ০৪:২৭99304
  • একেবারে খাপে-খাপ ছোটগল্প হয়েছে। হাত্তালি।

  • একলহমা | ২৯ অক্টোবর ২০২০ ০৭:৩৭99308
  • স্বাতীদিদি, গল্প এগিয়েছে দারুণ। আর্থসামাজিক কাঠামোর সবচেয়ে অসহায় মানুষগুলিকে কর্পোরেট হাতে ঝুমঝুমি ধরিয়ে তাদের শেষ কপনিটুকুও ভ্যানিশ করে দেয়, সেই ছবিটি ধরতে অনেক যত্নে গল্প বিছিয়েছেন আপনি। কর্পোরেটের গুটিয়ে আসা মায়াজালটি চোখের সামনে  থাকলেও যে সদা দৃশ্যমান থাকে না। হয়ত সেই কারণেই কর্পোরেট-শিরোমণিটিকে খুব সামনে আনেননি আপনি। ঠিক-ই আছে। তারপরেও - কুশান-এর কথাগুলোয় আমার অনুভবের মিল আছে।  

  • তাতিন | 42.106.***.*** | ২৯ অক্টোবর ২০২০ ০৭:৫০99309
  • দারুণ। শেষটা অমোঘ।

  • অনুরাধা | 112.79.***.*** | ২৯ অক্টোবর ২০২০ ১৯:৫৮99342
  • তুমুল

  • স্বাতী রায় | 117.194.***.*** | ৩০ অক্টোবর ২০২০ ০০:৫২99365
  • যাঁরা পড়লেন, যাঁরা  মতামত দিলেন সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।  ফিডব্যাকটা দামী, মাথায় থাকবে। 


    আর ছবির জন্য ঈপ্সিতাকে অনেক থ্যাঙ্কু। 

  • সুজাতা গাঙ্গুলী | 2405:201:a400:581b:cd6b:87c3:a280:***:*** | ৩০ অক্টোবর ২০২০ ১৫:০১99425
  • সাংঘাতিক। শেষ আঘাতটা কি ইচ্ছে করেই ? 

  • দীপঙ্কর চৌধুরী | 2402:3a80:a02:4d63:b0ac:911f:ea08:***:*** | ৩০ অক্টোবর ২০২০ ১৫:৪৮99428
  • চমৎকার গতি। ফ্যান্টাসি! কিন্তু ঐ শাপমোচন তথা বচ্চন নিয়ে একটু, যাকে বলে, "কালানৌচিত্য দোষ" ঘটিল না কি?


    শেষটুকু বুঝিনি। 

  • ব্রততী চৌধুরী | 2402:3a80:a3c:3627:6e48:e4bb:c814:***:*** | ৩০ অক্টোবর ২০২০ ১৭:৩০99430
  • বেশ বেশ

  • Samarpita gupta | 2409:4060:201d:81fe::15d9:***:*** | ০১ নভেম্বর ২০২০ ১৫:৫২99515
  • Khub sablil lekhoni...

  • Tim | 174.102.***.*** | ২১ নভেম্বর ২০২০ ২৩:৫১100537
  • ভালো লাগলো। 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে প্রতিক্রিয়া দিন