এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বই

  • থোড় বড়ি খাড়া

    দময়ন্তী
    আলোচনা | বই | ০৪ আগস্ট ২০০৬ | ১১২১ বার পঠিত
  • ১৯৯৫ সালের বইমেলায়, নির্ঝঞ্ঝাটে বই দেখার জন্য একটি অপেক্ষাকৃত ফাঁকা দোকানের সন্ধানে ঘুরতে ঘুরতে "থীমা"তে যে বইটির প্রচ্ছদ দেখে থমকে দাঁড়িয়েছিলাম, তার নাম "থোড় বড়ি খাড়া"। লেখক কল্যানী দত্ত। কমলা রঙের হার্ড কভারে সাদাকালো ছবি আঁকা, ১৩১ পৃষ্ঠার কৃশকায় বইটির প্রতিটি পাতায় যত্নের ছাপ। প্রচ্ছদ ও অলঙ্করণ পূর্ণেন্দু পত্রী। এমন নয়নশোভন বই বাঙ্‌লায় খুব যে বেশী দেখা যায় তা নয়।

    এটি কোন মহতী উপন্যাস, কালজয়ী গল্প সঙ্কলন, গুরুগম্ভীর প্রবন্ধরাজী নয়, নয় রম্যরচনা বা আত্মক্‌থাও। তবে এটি কি? এটি কিছু ঘরোয়া অন্তরঙ্গ কথা, গল্পের আঁকিবুকি। বাড়ীর মাসিপিসীদের কথা। বিখ্যাত ব্যক্তিদের ঘরোয়া জীবনে আমজনতার প্রচুর কৌতুহল, কিন্তু এ তো তা নয়। তবে কেন লেখা? লেখকের কথায় "কিন্তু আমি যে মাসি, পিসী, খুড়ী, জেঠির মুখের কথা এখানে জড়ো করেছি, গেরস্ত ঘরের বউ ছাড়া তাঁদের আর কোনো পরিচয় নেই। তাছাড়া মাসিপিসী তো সকলের ঘরেই আছেন, লোকে একই ধরনের সেইসব কথা শুনতে চাইবে কেন? একথার একটাই উত্তর সভয়ে নিবেদন করচি। সেটা এই যে আমি যেসব গিন্নীবান্নিদের সঙ্গে মিশেছিলুম তাঁরা কেউ কেউ বয়সে আমার চেয়ে চল্লিশ, পঞ্চাশ, ষাট, এমনকি সত্তর বছরেরও বড় ছিলেন। তাই তাঁদের থোড়বড়িতে একটু কি যেন ছিল অন্য সোয়াদ। সেগুলোই জোড়াতালি দিয়ে একত্তর করে দিলুম।"
    এই "সোয়াদ" আর "একত্তর" শব্দদুটি এক ঝটকায় যেন বইয়ের বিষয়বস্তু চোখের সামনে এনে দেয়।

    সেই মাসিপিসীরা যাঁদের বৃহৎঅংশই ছিলেন বেশ অবস্থাপন্ন ঘরের বালবিধবা। যাঁরা জানতেন ও মানতেন হাজারো রকমের এঁটো ও সগ্‌ড়ি। এঁটোর মধ্যে প্রধান মুখের এঁটো, পাতের এঁটো ও ভেন্ন জাতের এঁটো, সগড়ির মধ্যে শুকো, ভিজে ও হাজা সগড়ি। সব মানতে হত, নইলেই মহাভারত অশুদ্ধ। এহজম্মো তো ঘুচেই গেচে, পরজম্মো যাতে ঠিকঠাক থাকে তারই চেষ্টা। তিনি লিখছেন "আমার দিদিমাকে বছরে মাত্র একবার বিজয়া দশমীর রাতে পায়ে হাত দিয়ে প্রনাম করেচি, তিনি তক্ষুনি পা ধুয়ে ফেলেচেন।" লিখছেন কিন্তু কোন ক্ষোভ বা দু:খ নিয়ে নয়, বড় সহজভাবে, যেন সামনে বসে গল্প বলে চলেছেন এমনই লাগে। বইটিতে ১২ টি অধ্যায়।
    কেন লেখা
    ঘরদোর
    ভেতর বাড়ি
    ঠাকুর ঘর
    রান্না ভাঁড়ার
    মাছ
    আম
    তঙ্কÄকথা
    গয়নাগাঁটি
    মেয়েমহল
    দোয়াতকলম
    খাঁচার পাখি

    এই তালিকা দেখেই বহুজনে নাক কুঁচকিয়ে নামিয়ে রাখবেন বইটি জানা কথাই, তা তাঁদের জন্য নয়ও এ বই। এ বই তাঁদের জন্য যাঁরা যেতে আসতে দালানের কোনে পড়ে থাকা "কাটগেলাসের টুকরো"-টুকুও মন দিয়ে লক্ষ্য করেন।

    'ঘরদোর' অংশে পাচ্ছি সেকেলে বাড়িগুলি ঘরের বিন্যাসের বিবরন। আর পাচ্ছি ঘরের আসবাবপত্র আর টুকিটাকি জিনিষপত্রের বিবরন। দেখতে পাচ্ছি এইসব গৃহিণীদের শোবার ঘরে থাকত প্রচুর খেলনাপাতি, পুতুল ইত্যাদি। আট, নয়, দশ বছুরে যে বালিকাটি বিয়ে হয়ে সম্পূর্ণ অচেনা এক বাড়ীতে যেত, তার কান্না থামানোর জন্যই প্রয়োজন হত প্রচুর খেলনার। সেই থেকেই গায়ে হলুদ আর চড়কে খেলনা দেবার রেওয়াজ দাঁড়িয়ে যায়। থাকত কেষ্টনগরের মাটির পুতুল, বিলিতি পোর্সিলেনের সাহেব মেম পরী। "হাতীর দাঁতের ঠাকুরদেবতা, জন্তুজানোয়ার, ছোট্ট গড়গড়া, মেহগিনির মধ্যে হাতীর দাঁতের পাত ঢুকিয়ে মুসলমানি ফুলপাতার অপুর্ব নকশাতোলা থালা (ওয়াল প্লেট), সবসুদ্ধু সাজানো আলমারীতে চিরকাল তালা ঝুলত। ছোট মেয়েরা ইটপাথর, কাঁই বিচি, রীঠের বীচি, থ্যাবড়া থোবড়া কাঁচের পুতুল, লোহার মধুপুরি হাতাবেড়ী নিয়ে ঘর পাতত। তাদের সাধের সংসার একটি মেলিন্‌স্‌ ফুডের বাক্সেই ভরাভর্তি থাকত।" লেখকের বর্ণনায় এইভাবে যে খড় আর মাটির চেহারাগুলি দেখা যায়, তাই চুম্বকের মত টেনে নেয় পরবর্তী অধ্যায়ে।

    'ভেতর বাড়ি'তে তৎকালীন একান্নবর্তী পরিবারের কিছু খন্ডচিত্র পাই। সেই তখন,যখন মধ্যবিত্ত অধ্যাপকের বাড়িতেও সবসময় বিশ-তিরিশজন লোক থাকতই। পালেপার্বণে যা পঞ্চাশ-ষাটজন হেসেখেলেই হয়ে যেত। সেই মধ্যবিত্ত পরিবার, যা তার ফুল ও কাঁটা দুই নিয়েই বিরাজ করেছে। কলকাতার যৌথ পরিবার অনেকসময়ই একটি বাড়িতে আবদ্ধ থাকত না, প্রায় গোটা পাড়া জুড়ে শেকড় গেড়ে বসত। সবাই সবাইকার হাঁড়ির খবর রাখত, সুখে দু:খে ছুটে আসত, নিন্দেমন্দ, ঝগড়াঝাঁটি, কেচ্ছা-কেলেঙ্কারি সবেরই ভাগাভাগি ছিল। সুগন্ধ বা শৌখিনতা ছিল না, তবে একটা অকপট, অমার্জিত রুপ ছিল।

    বেলা আটটা না বাজতে আপিসের বাবুদের ভাতের তাড়া শুরু হত। রাঁধুনি-বামুন থাকলেও বউ-মেয়েরা তটস্থ থাকতেন এই সময়টা। "বাবুদের সগ্‌ড়ি তক্ষুনি পেড়ে না নিলে এঁটো চন্ডী আপিসে গিয়ে কাজ ভন্ডুল করে দিতেন" এই কথা আজকের আমি হেসে উঠি, কিন্তু এ বই না পড়লে জানতেও পারতাম না এহেন একটি বিপদের কথা। বাবুদের পরে খেতে বসত ইস্কুল কলেজের পড়ুয়ারা, তারপরে কুচোকাচা, রুগিদের, বুড়োদের মর্জিমাফিক খাইয়ে তারপর বাড়ীর মেয়েবউরা খেতেন, এরপরে ঝি-চাকরদের ভাত বেড়ে দিয়ে তবে বাড়ীর গিন্নী যখন খেতে বসতেন, তখন প্রায়ই মাছ তরকারী কম পড়ে যেত। পহে থাকত ছ্যাঁচড়ার কাঁটা, চচ্চড়ির ডাঁটা, পাতলা ডাল ও পাথরের খোরায় পুঁটি ও মৌরলা মাছের তলানি অম্বল। তাই দিয়েই তৃপ্তি সহকারে খেতেন তাঁরা, কেউ কেউ আনিয়ে নিতেন উড়িয়া দোকানের ফুলুরি।

    এই বইটির আরেকটি বড় আকর্ষণ হল প্রবাদ-পবচন বা প্রচলিত ছড়ার উল্লেখ। এরকম ২-১ টা উদাহরণ দেবার লোভ সামলাতে পারছি না।

    "তুমি কেমন বড়মানুষের ঝি
    তা কাঁচকলাটা কুটতে দেখে খোসায় বুঝেছি।"

    "লাউ করে হাউ হাউ কে রেঁধেছে?
    আমি তো রাঁধিনি বাবা, বউ রেঁধেছে।
    আহা, তাই তো অভাগা লাউ মধু হয়েছে।"

    "ঠাকুরঘর"এ যেমন বাড়ির স্থায়ী গৃহদেবদেবী বিবরণ আছে, তেমনই আছে বারো মাসে তেরো পার্বণের কিছু কিছু বিবরণ। লক্ষ্মী ও সত্যনারান পুজো প্রায় সব বাড়ীতেই হত। প্রত্যেক বাড়ীতেই কোনো শুভ অনুষ্ঠানের পর সত্যনারায়ন পুজো দেবার বিধি ছিল। পুরোহিতের দক্ষিণা ছিল ষোলোআনা, এছাড়া লালপেহে ধুতি ও গাম্‌ছা ।

    "রান্না-ভাঁড়ার" এর শুরুতেই একটি মজার ঘটনার উল্লেখ পাই। বেলতলার লাহিড়ী গিন্নীদের রাঁধিয়ে বলে সুনাম ছিল। তা লেখক তাঁদের কাছে একবার মাছের কি একটি রান্না শিখতে চাওয়ায় বড়বৌরানী সখেদে বলেছিলেন , "শেখাতে তো অনিচ্ছে নেই বাছা, সেই উনুন ধরানো থেকে কড়া নামানো সবই দেখাতে পারি, কিন্তু দু-চারটে কথা তো না বললেও নয়। যেমন উনুনটি ধরানোর জন্য কাঠকয়লার সঙ্গে প্রচুর ভালো গুড়ের মুড়কি দিও। তবে যে আঁচটি উঠবে সেই মুড়কির ভাপেই রান্নার 'সদ' বাড়বে।" বলা বাহুল্য লেখক যেসব রান্নাঘর দেখেছেন, সেখানে উনুন ধরানোর অনুপানের সঙ্গে মুড়কি ছিল না।

    বাসনকোসনের মধ্যে কাঠের, কাঁসার, লোহার ও শুদ্ধ বাসন বলতে তামা ও পাথরের বাসনই প্রচলিত ছিল। ভাঁড়ার ঘরে জমা থাকত সোমবচ্ছরের বড়ি, আচার, কাসুন্দি, আমসি, আমচুর ও নানারকম মশলা। এছাড়াও থাকত বাঘের নখ, হরিণের শিঙ, কুমিরের দাঁত, শজারুর কাঁটা, সমুদ্দুরের ফেনা, ঘেঁচি কড়ি ইত্যাদি। এইসব উনকুটি চৌষট্টি নিজেদের আর পড়শীদের জন্য সাজিয়ে গিন্নীরা ভারী তৃপ্তি পেতেন। কেউ চাইলে তাঁরা ধন্য হয়ে যেতেন। জব স্যাটিসফ্যাকশান কে না চায়!

    প্রত্যেক ভাগ ধরে ধরে বাকীটুকু আর লিখব না। আগ্রহী পাঠক খুঁজে পড়ে নেবেন।

    সংক্ষেপে ২-১ টি কথা।

    "থোড় বড়ি খাড়া" র পরেই বেরিয়েছিল "পিঞ্জরে বসিয়া"। তারপর "ছিটমহল" এছাড়া বোধহয় আরেকটি বই "প্যাঁচা"। এই শেষোক্তটি আমি পড়ি নি। তারও পরে লেখকের মৃত্যুর পরে প্রকাশিত হয় "খাড়া বড়ি থোড়'। তবে প্রথম ৩ টির পরে "খাড়া বড়ি থোড়" কে কিছুটা ম্যাড়ম্যাড়ে, একঘেয়ে লাগে। যাঁরা মানবীবিদ্যার পাঠে আগ্রহী, "পিঞ্জরে বসিয়া" তাঁদের অবশ্যপাঠ্য।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০৪ আগস্ট ২০০৬ | ১১২১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন