এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • মালানা :: হিমাচলের সাংগ্রি-লা

    দময়ন্তী
    আলোচনা | বিবিধ | ৩১ ডিসেম্বর ২০০৭ | ১২৩৮ বার পঠিত
  • শেষ হতে চলেছে ২০০৭, এক রক্তাক্ত বছর। সাদ্দামের ফাঁসির ভিডিও আর নিঠারীর নালা থেকে পাওয়া শিশুদের হাড়গোড় দিয়ে শুরু হয়েহিল এই বছরটি। জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা তাপসী মালিকের আংরা হয়ে যাওয়া ছবিটাও তখনও বেশ টাটকা। তারপর শুধুই রক্ত আর লাশের মিছিল, ভালবেসে বিয়ে করে লাশ হয়ে যাওয়া, বিস্ফোরণে ছিন্নবিচ্ছিন্ন, মানবদেহের টুকরো; মক্কা মসজিদ থেকে সমঝোতা এক্সপ্রেস, মইনুদ্দিন চিস্তির দরগা থেকে চাট সেন্টার ---- এবং নন্দীগ্রাম, এবং নন্দীগ্রাম, এবং নন্দীগ্রাম। বছরের শেষে এসে অনেকেরই নাক আর সহ্য করতে পারছে না রক্তের আঁশটে গন্ধ, অনেকজোড়া চোখই আর দেখতে পারছে না কমলা, টকটকে লাল, ম্যাটম্যাটে লাল, কালচে লাল, বাদামীর বিভিন্ন শেড; মন খুঁজছে সেই স্বপ্নের উপত্যকা --- সাংগ্রি-লা। চলুন পাঠক আজ এই বছরশেষের শীতের দিনটায় আমরা একটু খুঁজে দেখি আমাদের স্বপ্নের "সাংগ্রি-লা'কে।

    কুলু উপত্যকার উত্তরপূর্বপ্রান্তে এক অতি প্রাচীন গ্রাম, "মালানা'; ৩০২৯ মিটার (৯৯৪০ ফীট) উচ্চতায় "চন্দ্রখনি' ও "দেওটিব্বা' শৃঙ্গের ছায়ায় ঢাকা, চন্দ্রখনি গিরিবর্ত্মের ঠিক নীচে, পার্বতী উপত্যকার কাছেই মালানা নদীর পাশে বহির্পৃথিবী থেকে লুকিয়ে থাকা রহস্যময় উপত্যকা "মালানা'। কুলু থেকে ২ ঘন্টা ড্রাইভ করে "জরি'। জরি থেকে ১৭ কিমি ট্রেক করে "মালানা'। শেষ ৭ কিমি একদম খাড়া চড়াই। নিজস্ব সংসদীয় গণতন্ত্র ও শাসনপ্রণালী নিয়ে নিজের ভেতরে ডুবে থাকা মালানা জানেও না সে বিশ্বের প্রাচীনতম গণতন্ত্রগুলির অন্যতম। মালানীয় গণতন্ত্রে এমনকি উচ্চ ও নিম্ন আদালতের অস্তিত্বও লক্ষ্য করা যায়। মালানিজরা অত্যন্ত বেশীরকম স্বাতন্ত্র্যপ্রিয়। তাদের নিয়ে গল্প, উপকথার শেষ নেই, এবং সেই নিয়ে তাদের কোনরকম মাথাব্যথাও নেই।

    প্রথমে একটু পৌরাণিক কাহিনী নেড়েচেড়ে দেখি। কথিত আছে কঠোর তপস্যান্তে জমদগ্নি ঋষি মহেশ্বরের কাছে এক নিভৃত্ন এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে অতুলনীয় জায়গায় বাস করার বরপ্রার্থনা করেন। শিব তাঁ্‌কে মালানায় যেতে বলেন। জমদগ্নি যখন মালানা অভিমুখে রওনা হন, তখন তাঁর দুই ভাই তাঁর পেছন পেছন চলতে থাকেন। ভাইদের এড়াবার উদ্দেশ্যে জমদগ্নি কুয়াশার সৃষ্টি করেন এবং বলেন জায়গাটা মোটেই থাকবার পক্ষে সুবিধের নয়। ভাইয়েরা একজন লাহুল ও অন্যজন বঞ্জার উপত্যকায় চলে গেলে জমদগ্নি আরো অগ্রসর হয়ে মালানা পৌঁছান। মালানায় তখন রাজত্ব করছেন বাণাসুর। দুজনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। এরপরে পৌরাণিক কাহিনীর স্বাভাবিক নিয়মে বাণাসুরের পরাজয় ও ঋষির জয়ই হওয়া উচিৎ ছিল। কিন্তু না, এখানেই মালানার বৈশিষ্ট্য। ঋষি ও অসুরের মধ্যে এক চুক্তিপত্রের মাধ্যমে সমঝোতা হয়। চুক্তির মূল বক্তব্য ছিল :

    ১) প্রশাসন ও বিচারবিভাগ আলাদা আলাদাভাবে নির্বাচিত হবে এবং কাজ চালাবে।
    ২) বিচারবিভাগের দায়িত্ব জমদগ্নির, প্রশাসনের দায়িত্ব বাণাসুরের।
    ৩) দুই বিভাগের জন্য সভ্য মনোনয়নের সময় বাণাসুরের পরামর্শ ও সমর্থন প্রয়োজন।
    ৪) প্রশাসনের অভ্যন্তরে কোন দ্বন্দ্ব দেখা দিলে বিচারবিভাগ হস্তক্ষেপ করে তা মিটিয়ে দেবে।
    ৫) মালানার অধিবাসীদের জন্য কানাশি ভাষাই হবে এক এবং একমাত্র ব্যবহৃত ভাষা। আচার ব্যবহার ও রীতিনীতি সর্বদা অবিকৃত রাখতে হবে এখানকার অধিবাসীদের।

    প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য, কানাশি হল বাণাসুর ও তাঁর অনুগামীদের ব্যবহৃত ভাষা। দেখা যাচ্ছে প্রচলিত রীতি অনুযায়ী ঋষির ভাষা এখানে আধিপত্য বিস্তার করতে পারে নি। যে কোন উৎসবে আজও প্রথম বলিটি নিবেদন করা হয় বাণাসুরকে। বোঝাই যাচ্ছে ঋষিকে অধীনতামূলক মিত্রতা স্থাপন করতে হয়েছিল। ধীরে ধীরে অবশ্য জমদগ্নি প্রচুর প্রভাব বিস্তার করেন। কালের নিয়মে "জমদগ্নি' নামটি পরিণত হয়েছে "জমলু ঋষি' নামে। আজও মালানায় জমলু ঋষির প্রতিনিধিরূপে একদল নির্বাচিত সদস্য শাসন চালিয়ে থাকেন। গ্রামসভাটি "হাকিমা' নামে পরিচিত, "গুর', "পুজরি' ও "কারদার'এর সমন্বয়ে গঠিত উচ্চ আদালত ও "জেষ্ঠা' হল নিম্ন আদালত। পূজারী ও কারদার জমলু'র প্রতিনিধি, বংশানুক্রমে নির্বাচিত, পুজারী সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী, কারদার দ্বিতীয়। গ্রামবাসীদের মধ্য থেকে ৪ জন জেষ্ঠা নির্বাচিত হন। প্রত্যেক জেষ্ঠা আবার একজন করে "পোগুদর' নির্বাচন করতে পারেন। এইভাবে ৮ সদস্যের নির্বাচিত সভার প্রধান বা "সরপ্‌ঞ্চ'রূপে একজন নির্বাচিত হন, আরেকজন উপপ্রধানরূপে নির্বাচিত হন। "গুর' হলেন গ্রামের ভগবানের কন্ঠ অথবা জমলু'র কন্ঠ। জমলুর আত্মা যাঁকেই ভর করবে, তিনিই হবেন গ্রামের "গুর'। যে কোন বিচারবিভাগীয় সিদ্ধান্ত গুরকে জানিয়ে, তাঁর অনুমতি নিয়ে, তবেই নেওয়া হয়। যেকোন রকম অভিযোগে, সে চুরিই হোক কি অপরের জমি দখল, জেষ্ঠার সদস্যরা সবকিছু খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেন, শাস্তির পরিমাণ ও উপায় স্থির করে পুরো ব্যপারটা উচ্চ আদালতে পাঠিয়ে দেন। উচ্চ আদালত রায় ঘোষণা করেন। তাই বলে এই রায়ও কিন্তু অপরিবর্তনীয় নয়, গ্রামবাসীর স্বার্থে যদি রায় বদলানো প্রয়োজন মনে হয়, তা তাঁরা অনায়াসে করেন। "হাকিম নড়ে তো হুকুম নড়ে না' প্রবাদ এখানে খাটে না। পুলিশের এই গ্রামে প্রবেশ নিষেধ। তবে বাদী বা বিবাদী যদি পুলিশে যেতে চান, তাঁকে গ্রামসভায় ১০০০ টাকা জরিমানা দিয়ে তবে পুলিশে যেতে হয়।

    মালানীয়রা বাইরের পৃথিবীর সমস্ত কিছুই অচ্ছ্যুত মনে করে। অ-মালানীয়র দেওয়া কোন খাদ্য কোন মালানীয় গ্রহণ করে না, কোন মালানীয় যদি কোন অ-মালানীকে কিছু খেতে দেয়, তার সেই সমস্ত বাসনপত্রের প্রায়শ্চিত্ত করাতে হয়। মালানা গ্রামের মধ্যে বহু প্রধান অপ্রধান স্থানে লেখা আছে অ-মালানীয় কেউ যেন কোন মালানীয়কে স্পর্শ না করেন, তাঁদের বাড়ীঘর, তাঁদের ব্যবহার্য্য কোন জিনিষপত্র কিছুই স্পর্শ না করেন। বাইরের কেউ কিছু স্পর্শ করলে সেই জিনিষের প্রায়শ্চিত্ত করাতেই হবে। মালানীয়রা নিজেদের ভারতীয় বলে মনে করেন না। তাঁরা স্বতন্ত্র, সারা পৃথিবীর থেকে স্বতন্ত্র -- আর সেটাই তাঁদের গর্ব। মালানায় গেলে পাঠক আপনি অনুভব করতে পারবেন "অস্পৃশ্য' হতে ঠিক কেমন লাগে।

    মালানার বাড়ীগুলো দোতলা বা তিনতলা। একতলায় গবাদি পশু, পশুখাদ্য ও জ্বালানী কাঠ রাখার ব্যবস্থা। একতলাকে বলে "খুদ'ং। দোতলার নাম "গেয়ি'ং। খাদ্য, পশম, পশমজাত ও অন্যান্য বস্ত্র ও বস্ত্রবয়নের উপযোগী সরঞ্জাম রাখার ব্যবস্থা এখানে। ঝুলন্ত বারান্দাসহ ত্রিতল, "পতি' নামে পরিচিত, বাড়ীর বাসিন্দাগণ বাস করেন এখানেই। পাথরের ছাদবিশিষ্ট বাড়ীর দেওয়ালগুলি কাঠের, ভেতরের দিক সম্পূর্ণ কাদালেপা। মালানীয়দের একমাত্র ভাষা হল "কানাশি'। আশেপাশের কুলু বা পার্বতী উপত্যকার ভাষাগুলি মূলত: ইন্দো-ইউরোপিয়ান গোষ্ঠীর, কিন্তু কানাশি একেবারেই ইন্দো-ইউরোপিয়ান গোষ্ঠীর ভাষা নয়। কানাশিকে ভাষাতত্ত্ববিদগণ সাইনো-টিবেটান গোষ্ঠীর "মিচং' জাতীয় ভাষা বলে মনে করেন। মিচং হল কিন্নৌরি ভাষার একটি অপভ্রংশ। মিচংএর সাথে কানাশির মিল খুবই বেশী। অমালানীয়রা কানাশি ভাষায় কথা বলবারও অধিকারী নন।
    দুটি "জুলাহা' ও "লোহার' পরিবার গত পঞ্চাশ বছর মালানার অধিবাসী --- কিন্তু মালানীয়দের বিবেচনায় তাঁরা "নিম্নবর্ণ' এবং কানাশি বলবার অধিকারী নন। মালানা উপত্যকায় কোন গাছে পেরেক বা গজাল পোঁতা নিষিদ্ধ। অহেতুক গাছকাটা বা পশুহত্যা নিষিদ্ধ। জ্বালানীর জন্য এঁরা বন থেকে শুকনো পাতা, কাঠকুটো কুড়িয়ে আনেন। বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়েই কেবল পশুহত্যা করেন, তাও যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকুই। পশুপালনই এঁদের মূখ্য জীবিকা। বন্যপ্‌শু এঁদের কোন গবাদি পশু হত্যা করলে অথবা ক্ষতি করলে সরপ্‌ঞ্চের নির্দেশে কয়েকজন শিকারী গিয়ে বন্যপশুটিকে হত্যা করে আনে। ভালুক শিকার করলে শিকারীর খুব সুনাম হয়, কিন্তু ভালুকের চামড়া সে নিজের কাছে রাখার অধিকারী নয়, জমলু দেবতার থানে গিয়ে জমা দিতে হয়।

    মালানা উপত্যকা একসময় খুব বিখ্যাত ছিল "মালানি'জ ক্রীম' নামক অতি উৎকৃষ্ট "ক্যানাবিস' বা গাঁজার জন্য। পরে এর সাথে নিম্নমানের নেপালী গাঁজা মিশিয়ে বিক্রী করা হতে থাকায় ক্রমশ: "মালানি'জ ক্রীম' এর নাম খারাপ হতে শুরু করে। মালানা গ্রামের ৭ কিমি দূরে "মালানা বাঁধ' স্থাপিত হওয়ার পর থেকে বাইরের পৃথিবী অনেক কাছে চলে আসে, গাঁজার চাষও অনেক কমে যায়। `

    মালানীয়দের আর একটি বিশ্বাস হল, এঁরা আলেকজেন্ডারের সৈন্যবাহিনীর কিছু সৈন্যের উত্তরপুরুষ। তাঁদের বিশ্বাস, আলেকজেন্ডারের সৈন্যবাহিনী যখন দীর্ঘ পথযাত্রা ও অবিরাম যুদ্ধের ফলে ক্লান্ত, তখন তাঁদেরই একটি ক্লান্ত বিক্ষুব্ধ ছোট বাহিনী, মূল বাহিনী থেকে সরে এসে এখানে থেকে যায়। প্রবল বিতৃষ্ণায় ও দু:সহ ক্লান্তিতে তারা সমগ্র বিশ্ব থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে বিচ্ছিন্ন হতে চেয়ে এই নিভৃত উপত্যকায় এসে আশ্রয় নেয়। তবে এই দাবীটির খুব একটা ঐতিহাসিক ভিত্তি আছে বলে মনে হয় না। মালানীয়দের শারিরীক গঠনবৈশিষ্ট্য ঠিক গ্রীকদের মত নয়। এঁদের ভাষা কানাশি সাইনো-টিবেটান গোষ্ঠীর, ইন্দো-ইউরোপীয়ান নয়। কিন্তু এঁদের বিচারব্যবস্থার সাথে গ্রীক ব্যবস্থার বেশ মিল আছে। এঁদের উৎসবে নাচের ধরণও কিছুটা গ্রীকদের সাথে মেলে। সব মিলিয়ে রহস্যে,গল্পে, উপকথায় মোড়া মালানা তার আপন বৈশিষ্ট্যে উজ্জ্বল।

    কোন বই, গাইডলাইন ইত্যাদি ছাড়া, বিনা রক্তপাতে এঁরা যেভাবে প্রশাসন ও বিচার চালান, তা বাইরের পৃথিবীর কাছে শিক্ষণীয় হওয়া উচিৎ। সম্পূর্ণ মালানা গ্রাম একটি পরিবারের মত, যাঁরা নিজেদের কোন ব্যপারে বাইরের কারো নাক গলানো পছন্দ করেন না। প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় এঁদের সচেতনতা চমকে দেবার মত। আপন জগতে বিভোর হয়ে থাকা সদাসুখী এই মানুষগুলির মুখ ঝলমল করে এক অদ্ভুত প্রসন্ন আলোয়। তাঁরা যেন অনুচ্চারে বলেন "সর্বেজনা সুখীনভবন্তু'

    কৃতজ্ঞতা স্বীকার: এই লেখাটির জন্য তথ্য দিয়ে সাহায্য করেছেন শ্রী কৌশিক সর্বাধিকারী।
    ডিসেম্বর ৩০, ২০০৭
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ৩১ ডিসেম্বর ২০০৭ | ১২৩৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ফরিদা | 2402:3a80:189f:239f:6cc1:4b30:782f:***:*** | ২০ আগস্ট ২০২০ ২০:৪৬96446
  • উরিব্বাস!!!

    এটা অপঠিত ছিল আমার, মালানা গ্রামের মতোই নিভৃতে...

  • | ২০ আগস্ট ২০২০ ২০:৫৪96447
  • ২০০৭। তেরো বচ্ছর হয়ে গেছে, অ্যাঁ!!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন