"Nobody knew what transpired in India, but so far as Pakistan was concerned this news created quite a stir in the lunatic asylum at Lahore, leading to all sorts of funny developments. A Muslim lunatic, a regular reader of the fiery Urdu daily Zamindar, when asked what Pakistan was, reflected for a while and then replied, "Don't you know? A place in India known for manufacturing cut-throat razors." Apparently satisfied, the friend asked no more questions.
Likewise, a Sikh lunatic asked another Sikh, "Sardarji, why are we being deported to India? We don't even know their language." The Sikh gave a knowing smile. "But I know the language of Hindostoras" he replied. "These bloody Indians, the way they strut about!"
One day while taking his bath, a Muslim lunatic yelled, "Pakistan Zindabad!" with such force that he slipped, fell down on the floor and was knocked unconscious.
Not all the inmates were insane. Quite a few were murderers. To escape the gallows, their relatives had gotten them in by bribing the officials. They had only a vague idea about the division of India or what Pakistan was. They were utterly ignorant of the present situation. Newspapers hardly ever gave the true picture and the asylum warders were illiterates from whose conversation they could not glean anything. All that these inmates knew was that there was a man by the name of Quaid-e-Azam who had set up a separate state for Muslims, called Pakistan. But they had no idea where Pakistan was. That was why they were all at a loss whether they were now in India or in Pakistan. If they were in India, then where was Pakistan? If they were in Pakistan, how come that only a short while ago they were in India? How could they be in India a short while ago and now suddenly in Pakistan?"
খুনীরা খুব চিন্তায় পড়েছিল। একটা ভূগোল তৈরী হচ্ছে তো! ভারত বলে একটা দেশ যখন তৈরী হয় ব্রিটিশের তরবারীতে তখন তাদের জন্মও হয়নি। কিন্তু পাকিস্তান বলে একটা দেশ যখন তৈরী হচ্ছে তখন তারা তো আছেই। তাদের খুনগুলোই বা কোথায় যাবে, বা তাদের অপরাধ, বা অপরাধের ছলে শাস্তি? ভারতে না পাকিস্তানে? একটা নতুন ভূগোল তৈরী হওয়া হাওয়ার থেকে, এ এক যাদু বটে। এমন যাদু দুনিয়ার মধ্যে যাদুবিদ্যার দেশেই নিশ্চই সম্ভব।
সে এমন জাহান যে কী বলবো! একটা মফস্বল শহর ও তেহশীলের নাম টোবা টেক সিং। টেক সিং এক শিখ সাধু। টোবা মানে হল পুকুরের জল। সেই তেহশীলে কিন্তু বেশীই হল মুসলমান। অথচ নাম এক শিখ সাধুর নামে। আজ ২০১২ সালেও সে নাম বদলায়নি। ওহ্, এখন সেটা আবার জেলাও পাকিস্তান পাঞ্জাবের। লাহোর, জলন্ধর, হোসিয়ারপুর থেকে একটা খালের ধারে জমি পাবে বলে ব্রিটিশ আমলে লোক এসে জমেছে। সে আমলে ২২৪০ বর্গ কিমি অঞ্চল জুড়ে টোবা টেক সিং আর অন্য সব বসতি তৈরী হয়। জমির টানে, রুটির টানে।
টোবা টেক সিং নামে একটা গপ্প আছে। একটা লোক, যার নাম বিষেণ সিং, সে ওখানে অনেক জমির মালিক ছিল। একদিন পাগল হয়ে যায়। শেকলে বেঁধে তার আত্মীয়রা তাকে রেখে আসে পাগলা গারদে। বিষেণ সিং বহু বহু বছর ওখানে থাকতে থাকতে টোবা টেক সিং হয়ে গ্যাছে। তার আত্মীয়রাও আসেনা দাঙ্গা শুরু হবার পর থেকে। বিষেণ জানে না কোথায় পড়বে তাহলে টোবা টেক সিং। লাহোরের হিন্দু পাগল উকিল যখন শুনেছে দেশভাগ হবে তখন অমৃতসরের যে মেয়েটির প্রেমে পড়ে সে উন্মাদ হয়েছিল সেই নারী আর তার দেশ আলাদা হয়ে যাবে বুঝে সে সবাইকে গালি দিত। ভারতকে, পাকিস্তানকে সক্কলকে। যে সব নেতারা দেশভাগের ষড়যন্ত্র করেছে তাদের খিস্তি করতো। তারপরে যখন সে শুনলো অমৃতসর চলে যাবে ভারতে তখন তার বন্ধুরা তাকে বললো সে হিন্দু যখন সেও চলে যেতে পারবে ভারতে। তার আর কোনো চিন্তা নেই। তখন তার চিন্তা এল যে লাহোরে তার আইন ব্যবসা অমৃতসরে হবে কি করে! সে তার সমাধান করতে অক্ষম। অ্যাংলো ইন্ডিয়ান দুই পাগল তারা খুব চিন্তায় পড়লো ইউরোপিয়ান ওয়ার্ডটা তাহলে তুলে দেওয়া হবে কি না সে নিয়ে। তাহলে তাদের ব্রেকফাস্ট দেওয়া হবে কি না! পাঁউরুটির বদলে তাদের ভারতীয় চাপাটি খেতে হবে কি না নানান চিন্তা তাদের। কিন্তু বিষেণ, যে টোবা টেক সিং সে এসব কিছুই ভাবে না, জানতে চায় না। সে জানতে চায় তাহলে কি হবে টোবা টেক সিং-এর! কোথায় যাবে সে?
বিষেণের একটা নিজস্ব ভাষা আছে। উর্দু, পাঞ্জাবি, ইংরেজী সব মিশিয়ে।
"Uper the gur gur the annexe the bay dhayana the mung the dal of the laltain."
বিষেণ সিং পনেরো বছর ধরে দাঁড়িয়ে আছে। চোখের পাতাও কখনো বন্ধ করেনি। তার হাত পায়ের কথা আর কহনীয় নয়। কিন্তু সে কখনো শুয়ে পড়েনি। সে শুধু কখনো কখনো তার ভাষায় কথা বলে। নাহলে শান্তশিষ্ট চুপ করে থাকে।
এক পাগল ওই অদ্ভূত সময়ে নিজেকে ঈশ্বর বলে ঘোষণা করে বসলো। কোথাও কোনো খবর না পেয়ে বিষেণ, যাকে এখন থেকে আমি টোবা বলবো সে জানতে চাইলো টোবা টেক সিং কোথায় যাবে? পাগলা ঈশ্বর অট্টহাসি হেসে বললো টোবা কোথাও নেই, কেন না সে এখনো ঠিকই করেনি কি করবে! টোবা তার কাছে কাকুতি মিনতি করলো আদেশটা দিয়েই দেবার জন্য যে টোবা কোথায় যাবে। কিন্তু কিছুতেই যখন শুনলো না সে উন্মাদ, তখন টোবা চিৎকার করে উঠলো,
"Uper the gur gur the annexe the mung the dal of Guruji da Khalsa and Guruji ki fateh. Ö jo boley so nihal sat sri akal."
এর মানে হল,
"তুমি আমার প্রার্থনার উত্তর দিলে না কেন না তুমি মুসলিম ঈশ্বর। তুমি যদি শিখ ঈশ্বর হতে তাহলে আমাকে সাহায্য করতে।"
এমন সময় এল ফজল দিন। টোবা টেক সিং-এর বাসিন্দা সে। টোবা তাকে চিনছিল না। পাগলা গারদের গার্ড বাধ্য করলো টোবাকে দাঁড়িয়ে থাকতে তার সামনে। টোবাকে ফজল বললো তার পরিবার, মেয়ে সকলে নির্বিঘ্নে পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে গ্যাছে। সে সব ব্যবস্থা করে দিয়েছে। এমনকি ফেলে যাওয়া দুটো বাদামী মোষেরও খুব যত্ন নিয়েছে, যদিও একটা বাছুর দিতে গিয়ে মরে গ্যাছে তবুও! এ সব কথা যেন টোবা তার আত্মীয়দের, ভারতে কদিন পরে যখন যাবে, তখন গিয়ে জানায়। আর যদি ফজলকে কিছু করতে হয় তাদের জন্য তাহলে তারা যেন নিঃশঙ্কোচে চিঠি লেখে। তারা তাকে অনুরোধ করেছিল বলে সে নানা কাজের ভয়ানক ব্যস্ততার মধ্যেও এসেছে টোবাকে দেখতে, খোঁজ খবর নিতে। টোবা সব শুনে তাকে জিজ্ঞেস করে, কোথায় যাবে টোবা এখন!
সে বলে, যেখানে ছিল সেখানেই। ভারতে, এই না, পাকিস্তানে।
সে চলে যায়। একদিন এক শীতের শেষ রাতে টোবাদের সকলকে নিয়ে আসা হয় ওয়াগা সীমান্তে। সেখানে পাগল বিনিময় হবে। পাগলরা চিৎকার করে, কেঁদে, গান গেয়ে, দৌড়ে, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলে খুব প্রতিবাদ করে। তারা চায় না কোনো অচেনা জায়গায় যেতে।
টোবাকে যখন রেজিস্টারে তার ব্যাক্তিগত খুঁটিনাটি নথিভূক্ত করার জন্য ডাকা হয় তখন সে জানতে চায় টোবা এখন কোথায়! অফিসার হো হো করে হেসে বলে অবশ্যই টোবা পাকিস্তানে। টোবা শুনে দৌড় দেয় তার সঙ্গীদের কাছে যাবার জন্য। রক্ষীরা তাকে ধরে ফ্যালে। তাকে নিয়ে ঠেলতে থাকে ভারতের সীমান্তের দিকে। কিন্তু টোবা পা গেঁড়ে দাঁড়িয়ে যায় সেখানে। পনেরো বছর সে দাঁড়িয়ে আছে পায়ের উপরে। সে ঘোষণা করে,
"This is Toba Tek Singh.Uper the gur gur the annexe the be dyhana mung the dal of Toba Tek Singh and Pakistan."
অনেক বোঝানো হয় তাকে ভারতে যাওয়া নিয়ে; ঠেলে-ধাক্কেও হয় না। বুড়ো নিরীহ মানুষটাকে শেষে সকলে ছেড়ে দিয়ে অন্যদের নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে। টোবা দাঁড়িয়ে থাকে। সূর্য ওঠার আগের ঠান্ডা সকাল তখন। টোবার মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে এক ভয়ঙ্কর আর্তনাদ। সীমান্তের সব প্রান্ত থেকে অফিসারেরা দৌড়ে আসে। এসে দ্যাখে, যে নিজের পায়ের উপরে দাঁড়িয়েই পনেরোটা বছর কাটিয়ে দিয়েছিল সেই টোবা মুখ থুবড়ে পড়ে আছে মাটিতে। সীমান্তের দুদিকে একই ধরণের কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে দাঁড়িয়ে আছে ভারতীয় পাগল আর পাকিস্তানি পাগলদের দল। মধ্যিখানে কারোর অনধিকৃত ভূখন্ডে শুয়ে আছে টোবা টেক সিং। নো ম্যানস ল্যান্ড-এ।
এই গল্পটার লেখকের এখন জন্মশতবর্ষ চলছে। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে সাদাত হাসান মান্টোকে স্মরণ করতে ইচ্ছে হল এমনটাও নয়। মান্টো আসলে প্রতিদিন খুব জুড়ে থাকেন। খুব পুরোনো কোনো ক্ষততে টান পড়লেই বেরিয়ে আসেন বুক চিড়ে। সেই সব ক্ষতগুলোর মধ্যে এই ট্রান্সফার অব পাওয়ারটা খুব বেশী করে পরে। অজস্র মানুষের মুছে যাওয়া, অজস্র বিশ্বাসঘাতকতা, অজস্র ঘৃণ্য ও নির্লজ্জ মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে যে ১৪ আর ১৫ অগাষ্ট আসে তাকে আমার ভুলে যাওয়ার রাস্তা মান্টো কখনো রাখেননি। নো ম্যানস ল্যান্ড-এ দাঁড়িয়েই বোঝা যায় যে জীবনটা ঠিক কেমন! কেমন করে গড়ে ওঠে কাল্পনিক সব ভূগোল। আমিও আমার বুঝ বুঝি।
টোবা টেক সিং-এর নাম পাল্টায়নি পাকিস্তানে। টোবা টেক সিং-এর কৃষিজীবি মানুষদের এক সম্মেলন হয়েছিল ১৯৭০-এ। সেখানের ওই সম্মেলন-এর এক বিপুল প্রভাব আছে পাকিস্তানের ভূমি সংস্কারে। আবার ভূমির অধিকারী এক বিষেণ যে টোবা টেক সিং হয়ে যায় সে কোথাও যেতে চায় না যখন তখন প্রতিদিনের এক ভারত, এক পাকিস্তান, এক বাংলাদেশ সব আমার চোখের সামনে হুড়হুড় করে ভেসে ওঠে। এক বিস্তৃত উপমহাদেশ, তার কৃষিসভ্যতা ভেসে ওঠে। এমনকি এই পশ্চিমবঙ্গও সেই ঐতিহাসিকতায় আধুনিক সময় নিয়েই ঢুকে পড়ে। ঢুকে পড়ে বেলপাহাড়ির সভায়। শিলাদিত্য হয়ে। শিলাদিত্যর প্রশ্ন হয়ে। মুখ্যমন্ত্রী ও প্রশাসনের অপরিবর্তিত চরিত্র হয়ে। হত্যা, সন্ত্রাস এবং গণতন্ত্রের একটি স্বার্থক প্রহসন হয়ে। গুলি করলেই মাওবাদীরা সমাধান পাবে? মুখ্যমন্ত্রী সভায় মাওবাদী ধরার অমোঘ আনন্দ পেলেই কি আর মানুষের জীবন বদলে যাবে? একি ছেলেখেলা? কোন এক কংগ্রেস ভাঙা সতেরো বার দল বদলের খেলার খেলোয়াড় মন্ত্রী কলকাতার বিষধরদের চমকে দিলেই থমকে যাবে টোবা টেক সিং?
সে কোনো বন্দুক নেয় না হাতে। সে নিজের পায়ের উপরে দাঁড়িয়ে আছে এতকাল এই সুস্থ জগতে। সে উন্মাদ, ঘোর উন্মাদ। শুধু একটিই বাক্যে জীবন বেঁধেছে কয়েকটা শব্দ বদলে বদলে। একটি বাক্যই আসলে প্রশাসন হয়ে থেকেছে তার। একটি বাক্যই অনুশাসন হয়ে থেকেছে তার। বহু ভাষা, বহু সংস্কৃতি, বহু ঐতিহ্যের খিচুড়ি ভাষায় সে সব কাল্পনিক ভূগোলের মধ্যে মরে পড়ে থাকবে। নিজের পায়ের থেকে খসে গিয়ে। কারাগার, মুক্ত জীবন এসব ফানুস কল্পনার সাধ-অসাধ ঘুচিয়ে সে মরে যাবে, কেন না মরে যাওয়াই তার প্রতিবাদ। যে মানুষ আজ খেতে পায় না, যে মানুষ আজ দলে দলে ভাগ হয়ে মরে বেঁচে আছে- সে মানুষ কি সবাক নাকি? সে কি জানে কোনটা তার ভাষা আসল? তার ভাষা সে অর্জন করবে কী দিয়ে?
টোবা টেক সিং তাই যে ভাষায় কথা বলে চলে সে ভাষা অন্য কেউ বোঝে না। বুঝতে চায়ও না। চাইলে কি আর শিলাদিত্যকে জেলে দিতে হয়? শিলাদিত্য যদি সব ভুল বলে থাকে প্রকাশ্য সভাতেই তো তাকে যুক্তি দিয়ে তথ্য দিয়ে থামিয়ে দেওয়া যেত। শিলাদিত্য মাওবাদী বলে এক সভাতে মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই নিজেকে প্রকাশ করে দিল? এ কেমন মাওবাদী? তাহলে কি এ বন্দুক ধরে না? যদি না ধরে তাকে তাহলে মূল স্রোতের অংশ করা যাবে না কেন? কেন বিধানসভায় সহিষ্ণুতা চাওয়া মুখ্যমন্ত্রী জনসভায় শিলাদিত্যকে নিয়ে অসহিষ্ণু হবেন? নন্দীগ্রামের দিনে এক উন্মাদ রাজা বলেছিল ‘They had been paid back in their own coin!’ মানুষ ভোলেনি। বন্দুক তোলেনি। কিন্তু নন্দীগ্রাম থেকে মরে গিয়ে গিয়ে সিঙ্গুর হয়ে কলকাতা হয়ে এমন মৃত্যু মিছিল হয়েছিল যে তেভাগা-তেলেঙ্গানা থেকে খাদ্য আন্দোলনের শহীদের রক্তে আসা একটা সরকার বালির ঘরের মত ধসে গিয়েছিল। আজকে যিনি হাতে-নাতে শুধুমাত্র প্রশ্ন করার অপরাধে মাওবাদী ধরছেন প্রকাশ্য সভায় তিনি বোধহয় তাঁর স্তাবকদের কোলাহলে বধির হয়েছেন। ভুলে গিয়েছেন মানুষ মরে যায়, কিন্তু লোকস্মৃতি কিছুতেই মরে না। ধীর কিন্তু সুনিশ্চিত মৃত্যুর মধ্যে দিয়েই সে উঠে দাঁড়ায় আরেকবার পায়ের উপরে ভর করে। মরে গিয়ে দাঁড়াতে হয় এ উপমহাদেশে, কেন না এখানে জীবনের সম্মান নেই। মৃত্যুরও সম্মান নেই। কিন্তু মৃত্যু সম্মানের পরোয়া করে না। সে শুধু দায়ভার চাপিয়ে দিয়ে যেতে থাকে। সবার উপরে দিয়েছে, দেবেও। যারা এ দেশকে ভেঙেছে, একে লুটেছে, একে পায়ের তলায় কুচলে মেরেছে, তারা যত শক্তিশালী রাজনৈতিক দলই হয়ে থাকুক না কেন, একদিন কোমর ভেঙে পড়েছে। ওই মৃত্যুর ভারে। এবারেও যদি না সত্যি সত্যি পরিবর্তন হয় তাহলে ইনিও সে ভার দেখবেন। টোবা টেক সিং-রা তাদের ফোলা ফোলা হাত পা আর তাতে বাঁধা শেকল নিয়েই দেখিয়ে ছাড়বে।
আমিও জানি, একদিন টোবা টেক সিং-এর মতন আমাকেও খসে পড়তে হবে নিজের পায়ের থেকে। প্রশ্ন করলে বলা হবে এজেন্ট প্রোভোকাটুর। আগেও বলেছে অন্য সরকার। অন্য দল। দরকারে জেলে দেবে, গুলি করবে, অসম্মান করবে নানা ভাবে। কিন্তু আমার নামও টোবা টেক সিং। সমস্ত দলের সীমানার বাইরের এক নো-ম্যানস ল্যান্ড-এ দাঁড়িয়ে আমি জানতে চাইছি আমার দেশটা ঠিক কোথায়? আপনাদের রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে আমার দেশটা কোথায়? কোথায় প্রশাসন মনে করবে না আমি তার কেনা গোলাম? মনে করবে না যে আমাকে বন্দুক আর ভয় দিয়েই শেষ করা যায়? কোথায় তার সময় থাকবে আমার প্রার্থনার উত্তর দেবার, আমার কথা শোনবার? আমার সঙ্গে কথা বলবার? কোথায় সে উন্মাদ ঈশ্বর সেজে থাকবে না আমারই সঙ্গে পাগলা গারদে? খসে পড়বো আর পড়তে পড়তে বলবো,
"This is Toba Tek Singh. Uper the gur gur the annexe the be dyhana mung the dal of Toba Tek Singh and Freedom."
এই আমার স্বাধীনতা। সেই খসে যাবার দিনই আমার চিরদিনের স্বাধীনতা দিবস।