এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  খবর  খবর্নয়

  • হরিদাস পালের ডায়রি ঃ মুখে কুলুপ

    রঞ্জন রায় লেখকের গ্রাহক হোন
    খবর | খবর্নয় | ২৭ ডিসেম্বর ২০১০ | ৮৫৩ বার পঠিত
  • ডিজি সায়েবকে খোলা চিঠি:
    ----------------------------------------------
    না:, মাননীয় বিশ্বরনজনজী, আপনিই জিতেছেন। আপনি যা চেয়েছেন তাই হয়েছে। জাস্টিস বর্মা ড: বিনায়ক সেনকে সিডিশনের অপরাধে আজীবন কারাবাসের সাজা শুনিয়েছেন। কাঁধে ঝোলা নিয়ে পাজামা-পাঞ্জাবী পরা লোকটি কালোগাড়িতে চড়ে জেলে গেছে। এখন রোজ সকালে হাজিরি লাইনে দাঁড়াবে, ডোরাকাটা জামা-পাজামা-টুপি পরে থালাবাটি নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে লপসি নেবে। বেশ হয়েছে!
    হ্যা: মানবাধিকার! তা এখন জেলের কয়েদিদের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলুক না! আর কংগ্রেসী জোগীসরকারের আমলে ছত্তিশগড় সরকারের জনস্বাস্থ্য যোজনার পরামর্শদাতা হয়েছিল? তো এখন জেল সুপারিন্টেন্ডেন্টের দাক্ষিণ্যে কয়েদিদের প্রিভেন্টিভ হেল্‌থ নিয়ে ক্লাস নিক। নিজের যেটা মূল পেশা সেটা নিয়ে ব্যস্ত থাকুক।
    গোটা সমস্যার জড় হল এইখানে। যার যেটা কাজ সে সেটা কেন করবেনা? কেন অন্যের কাজে ইল্লি করবে? মাওবাদীদের কাজ মাওবাদীরা করুক, পুলিশের কাজ পুলিশ করুক। ডাক্তারে ডাক্তারি করুক।
    মাওবাদীদের কাজ হল পুলিশ মারা, পুলিশের কাজ হল মাওবাদী মারা; দু'পক্ষের ক্রসফায়ারে কিছু নিরীহ আদিবাসী মরবে সেটা কোল্যাটারাল ড্যামেজ বলে দু'পক্ষই মেনে নিয়েছে। যুদ্ধ চলছে যে! যুদ্ধের সময় , ইমার্জেন্সির সময় সাধারণ আইন কানুন কোন কাজে আসেনা, আসলে মার্শাল ল' বলে কথাটা ডিকশনারিতে থাকতো না। তাই তৈরি হল ছত্তিশগড় জন-সুরক্ষা অধিনিয়ম, পাব্লিক মেনে নিল। বরং বল্লো-- সরকার এখনো মাওবাদীদের প্রতি যথেষ্ট কড়া নয়। কিন্তু এই বিনায়ক! ডাক্তারি ছেড়ে আইনকানুনের ব্যাপারে নাক গলাতে কে বলেছে? বলে কি না এই অধিনিয়ম ভারতের সংবিধান বিরোধী! সেই নিয়ে বিলাসপুর হাইকোর্টে কেসও করেছে, সুপ্রীম কোর্টেও যাবে।
    আপনাকে বছর দুই আগে বার্কলে ইউনিভার্সিটিতে মানবাধিকার বিষয়ক সেমিনারে বিনায়ক সেনকে বিনাবিচারে বন্দী করে রাখার অভিযোগে জে এন ইউয়ের অধ্যাপক নন্দিনী সুন্দর ম্যাডাম কি হ্যাটাই না করেছিল!
    তাও আপনার সঙ্গী রায়পুরের সাংবাদিক সুনীলকুমারের সামনে? এই আরেক উৎপাৎ! কলেজের ক্লাস কামাই করে কেন পুলিশের পেছনে লাগা, তাও বিদেশে গিয়ে? যার কাজ তারে সাজে, অন্য লোকে লাঠি বাজে। এই জন্যেই তো দেশের এই দুর্দশা! এখন বেজেছে লাঠি! ঈখন কেউ বুইলতে লারবেক নাই যি বিনা বিচারে আটক কইরে রেইখেছে।। দস্তুর মত সাড়ে তিন বছর বিচার করে জেলে পাঠানো হয়েছে।
    এখন কি করবে ওই সুন্দর ম্যাডাম? কি করবে চমস্কি, অমর্ত্য, ও অন্য সব দ্যাবতারা? দ্যাবতাদের কাজ স্বর্গ হতে বাণী দেয়া, তা তাঁরা করেছেন। ওটা তো ওয়াঁদের কাজ, কাজেই কুনো খ্যানত নাই।
    আর অরুন্ধতী রায়, মেধা পাটকর আদি দেবীরা? রুকো বেটা! ওদেরও দিন ঘনিয়ে এসেছে। খালি দেখতে যাও।
    তবে হ্যাঁ, বিনায়ক সেন এক জায়গায় জিতে গেছেন। সুপ্রীম কোর্টের আদেশে সলওয়া জুড়ুম সরকারী ভাবে বন্ধ করতে হয়েছে। একে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে জনগণের স্বত:স্ফুর্ত প্রতিরোধ বলে মানতে রাজি হয় নি সুপ্রীম কোর্ট। ফল ১-০। তারপর সেকন্ড হাফ। বনবাসী চেতনা আশ্রমের হিমাংশু কুমারও মাওবাদী আত্মসমর্পণ এবং কিছু গুলিখাওয়া আদিবাসী ও ধর্ষিত আদিবাসী দের নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের দরজায় পৌঁছুলেন।
    আব্বে, কোথায় আদিবাসীদের নিয়ে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন খাড়া করবি তা না, ফের পুলিশের বিরুদ্ধে কাঠিবাজি! আবার লাঠি বাজলো। সতের বছরের পুরোনো বনবাসী চেতনা আশ্রমের দান্তেওয়াড়া কার্যালয় পুলিশ রেভিনিউ কোর্টের আদেশ দেখিয়ে একদিনে মাটিতে মিশিয়ে দিল। হিমাংশুকুমারকে কুকুরতাড়া করে ছত্তিসগড় ছাড়তে বাধ্য করলো। এরপর বিনায়ক। গত মাসেই আপনি বলেছিলেন পুলিশ রায়পুর শহরে মাওবাদীদের নেট ওয়ার্ক ধ্বস্ত করতে সমস্ত এন জি ও এবং এইধরণের বেসরকারী সংগঠনগুলোর দিকে নজর রাখছে। এবার দেখুন।
    নবভারত পত্রিকা সম্পাদকীয় লিখে বলেছে --- এই হাই প্রোফাইল কেস এ আদালতের রায় বেরুনোর পর অব দুধ-কা-দুধ, পানী-কা-পানী হো গয়া। ভাস্কর পত্রিকা বলছে ড: সেন রাষ্ট দ্রোহের ষড়যন্ত্র করেছিলেন।
    ছোটখাটো ব্যাপার নয়, একেবারে রাষ্ট্র দ্রোহ! ""কার নাম দুন্দুভি, কাকে বলে অরণি?"" ম্যাচের রেজাল্ট- ২-১।
    আপনি এবার নিন্দুকদের থোঁতামুখ ভোঁতা করে দিয়েছেন। সবাই বলছে ডাক্তার জেলে নকশালদের তাত্ত্বিক নেতা নারায়ণ সান্যালেরই চিকিচ্ছে করতে কেন যেত? দেশে রোগী কিছু কম পড়িয়াছিল?
    চুপিচুপি বলি -- আপনি তো বিহারের লোক, প্রতিবেশি বাঙালীদের ভাল করেই চেনেন। এই জাতটাই কাঠিবাজ। গোড়া থেকেই। যখন গোটা দেশ গান্ধীজীকে মেনে নিয়েছিল তখন এরা সীতারামৈয়ার বিরুদ্ধে সুভাষবাবুকে দাঁড় করিয়েছিল। এখন দেখুন না, নিজেদের জায়গায় কোলকাতায় নকশালবাড়িতে সবাই যখন পোষমেনে দুধুভাতু খাচ্ছে তখন এই বিনায়ক, নারায়ণ সান্যাল, পীযুষ গুহ সবকটা বঙ্গ ছেড়ে শান্ত ছত্তিসগড়ে কেন ঝামেলা পাকাতে এসেচে?
    আর একটা ছিল শংকর গুহ নিয়োগী। ভিলাইয়ে রাজাড়া মাইনস্‌ এলাকায় আদিবাসী খনি মজুরদের নিয়ে সংগঠন গড়লো-- ছত্তিশগড় মুক্তি মোর্চা। কোলকাতা থেকে আর এক ডাক্তার পুণ্যব্রত গুণ এসে গড়ে
    তুললো শহীদী হাসপাতাল, বিনায়ক সেন তাতেও হাত লাগিয়েছিল। মাত্র দু"টাকা করে বই বের করতে লাগলো কি করে পেটের অসুখ, ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মা এসব হলে কম খরচায় চিকিচ্ছে করা যায়। তারপর শংকর
    কর্পোরেটদের পেছনে লাগলো। সিমপ্লেক্স কোম্পানীর কয়েক কোটি টাকা লোন সেন্টল ব্যাংক মাফ করে দিলো। তারপর প্ল্যান হল। জে এন ইউ দিল্লি থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসলো অনুপ সিং, মুক্তি মোর্চায় শুরু হল
    "" ফুট ডালো, রাজ করো"" পলিটিক্স। এদিকে মুক্তিমোর্চার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। একজন বিধায়ক ও ওরা জেতালো।
    এরপর শংকরকে সুপুরি দিয়ে মারা হল। লোয়ার কোর্টে সাজা হল। কিন্তু পল্টন মাল্লা ও সিমপ্লেক্স পরিবারের চন্দ্রকান্ত শাহ হাইকোর্টে প্রমাণাভাবে খালাস পেয়ে গেল। কিন্তু আপনি ভাল করেই জানেন যে বিনায়ক সেন বিলাসপুর হাইকোর্টে খালাস পাবে না। সেবার যেভাবে বেইল পিটিশন রিজেক্ট হল, তাতেই ব্বোঝা গেছলো। যেতে হবে সুপ্রীম কোর্ট অব্দি। কবে যাবে? হাইকোর্টে কেস রিজেক্ট হলে তবে। কবে হবে?
    আরে আগে তো হাইকোর্ট দু'পক্ষের দলিল শুনবে তবে না! কবে শুনবে? আমি কি জানি! হাইকোর্টের যখন মর্জি হবে। কেন? একজন দেশদ্রোহীর বৌ-মেয়ের পিটিশনই তাড়াতাড়ি শুনতে হবে কেন? মহামহিম আদালতের আর কি খেয়েদেয়ে কাজ নেই?
    ঠিক বলেছেন। কিন্তু স্যার, আপনার আমলাগুলো কোন কাজের নয়। সুপ্রীম কোর্টে বেইল পিটিশনের হিয়ারিংয়ে এফিডেবিট দিয়েছে যে পীযুষ গুহকে মহেন্দ্র হোটেলে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু বিনায়ক সেন কেস চলার সময় জাস্টিস বর্মার আদালতে বলেছে ওকে রায়পুর স্টেশনের আশেপাশে ঘোরাফেরা করার সময় গ্রেফতার করা হয়েছে। ক্ষী ক্ষান্ড! স্যার, এইসব ফাঁকফোঁকর দিয়ে বিনায়ক-পীযুষ দুটৈ হায়ার কোর্টে গলে বেরিয়ে যাবে না তো? আগামীবার আমাকে চান্স দেবেন স্যার, হে-ঁহেঁ, আমিও আইনের ডিগ্রি নিয়ে আপাতত: বেকার। আমি দেখে নেব কোন সালা বাঙালী যেন পালাতে না পারে, আমিও যে বাঙালী স্যার।
    যা বলছিলাম, শংকর গুহ নিয়োগী হত্যার পর দিল্লি থেকে আসা অনুপ সিং হাওয়া তুললো-- বাঙালীরাই যত নষ্টের গোড়া। অত: ছত্তিশগড় মুক্তি মোর্চার থেকে এইসব বহিরাগত বাঙালীদের মেরে তাড়াও।
    ড: পুণ্যব্রত গুণ পালিয়ে বাঁচলেন। এখন আন্দুলমৌরীতে শ্রমজীবী হাসপাতাল চালাচ্ছেন। কবি গাজি হায়দার জন্মস্থান মুর্শিদাবাদে ফিরে গেলেন। গুহনিয়োগীর বৌ-শালা ( ছত্তিশগড়ী) নাজেহাল হয়ে আলাদা সংগঠন গড়ে তুললেন। সংগঠন দো-ফাড়। আজ ওই মুক্তিমোর্চার নাম লোকে ভুলে গেছে। নতুন প্রজন্ম শংকর গুহ নিয়োগীকে জানেনা। অনুপ সিং নিজের কাজটুকু করে দিল্লি ফিরে গেছেন। ছ্‌ত্তিশগড়ের কর্পোরেট এখন নিউ ইয়ার্সের কেক কাটবে বলে পাঁয়তারা কষছে।
    আপনি জিতে গেছেন স্যর! রায়পুরে লোকের মুখে রা' নেই। দুনিয়ার বড় বড় শহরে ধর্না হচ্ছে, পিটিশন হচ্ছে, এখানে সবার মুখে কুলুপ আঁটা। বিখ্যাত কন্‌স্‌টিটুশনাল ল'ইয়ার সোলি সরাবজী বলছেন--- রাষ্‌ট্‌দ্রোহকে এই রায়ে যে ভাবে ডিফাইন করা হয়েছে তাতে সরকারের নীতির সমালোচনা করলেই এই ধারায় দোষী সাব্যস্ত হবে, কাউকেই গ্রেফতার করতে আটকাবে না। সুপ্রীম কোর্টের পুরনো রুলিং আছে যে সক্রিয় ভাবে হিংসাত্মক কাজের জন্যে ষড়যন্ত্র প্রমান না হলে দেশদ্রোহ হবে না, শুধু দুটো চিঠি আর নীতি নিয়ে বিতর্কের কাগজ নিয়ে প্রমাণ হয় না।
    ধ্যাৎ, আমরা জানি যে ওসব কূটকচালিতে আমাদের মত ছাপোষা মানুষদের পড়তে নেই। তাই শহরের কোন মানবাধিকার কর্মী, কোন সংগ্‌ঠন এ নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাইছে না। ঘরে জব্দ দাস ক্যাপিটাল, দুটো চিঠি আর একটি লোকের কথায় যদি বিনায়ক সেনের মত হাই প্রোফইল লোক, যাঁর বিরুদ্ধে কোন ক্রিমিনাল কেস নেই, যিনি বহুবছর ধরে গরীবদের জন্যে স্বাস্থ্য নিয়ে সরকারের সঙ্গে কাজ করেছেন, তাঁকে জেলে পোরা যায় তবে আমরা তো শাকভাত খাওয়া ভেতো বাঙালী। দাস ক্যাপিটাল যে আমার ঘরেও আছে, স্যার।
    আর ওই হাই প্রোফাইল কেসের পাশাপাশি আরেক কোর্টে এক লো-প্রোফাইল মামলায় এক সত্তর পার বুড়ো বাঙালী অসিত সেনগুপ্ত ঘরে মাওবাদী সাহিত্য রাখার ও এক ছাত্রকে সরকার বদলে মাওবাদী সরকার বানাতে হবে বলার অপরাধে ঐ দেশ্‌দ্রোহের ধারায় আটবছর জেলে থাকার সাজা পেয়েছেন। বেশ হয়েছে। এবার পি ইউ সি এল এর ছত্তিশগড় ইউনিট বাঙালীমুক্ত হবে। বিনায়ক সেনেরা রায়পুরে মানবাধিকার আন্দোলনকে স্বাস্থ্য ও শিশুদের পরিপ্রেক্ষিতে জুড়ে দিয়ে যে সম্মানজনক ও ঈর্ষণীয় স্তরে নিয়ে গেছিলেন তাতে প্রাক্তন সচিব রাজেন্দ্র সায়েলকে বাঙ্গালোরের দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল। এখন বিনায়ক জেলে যাওয়ায় সায়েল (যাঁর পেশা বলতে আমেরিকান ক্রিশ্‌চিয়ান সংস্থার গ্র্যান্ট পাওয়া) আবার রায়পুরে ফিরে এসেছেন। কিন্তু কাজের স্তর কি হবে কে জানে?
    স্যার, একটা কথা বলি। ওই যে যার-কাজ-তারে-সাজে বল্লেন না,কিন্তু আপনিও তো হিন্দিতে কবিতা লেখেন। সাহিত্য সম্মেলন, সংগীত সম্মেলনে যান। শুধু তাই নয়, প্রয়াত মার্কসবাদী কবি প্রমোদ বর্মার স্মৃতি রক্ষার্থে আপনি নিজে একটি ট্রাস্ট বানিয়েছেন। তা আপনার ঘরেও কি খুঁজলে দাস ক্যাপিটাল পাওয়া যাবে না?
    সরি স্যার! একস্ট্রিমলি সরি! আমার বুড়ো বয়সে ভীমরতি হয়েছিল। আপনার পুলিশের দয়ায় আমার স্ত্রী'র বিরুদ্ধে হরিজন থানার , আর্মস্‌ অ্যাক্টের চার্জ আছে। আমি আর কিস্যু বলব না। এই মুখে কুলুপ আঁটলাম। এখন প্রতিঘাত সিনেমার সেই গানটা গাইবো-- "" সারা শহর, আপুনকে সাথ হ্যায়,
    তুম কহো তো দিন হ্যায়, তুম কহো তো রাত হ্যায়।''

    কাজেই কোন পিটিশনে যদি আমার সাইন দেখেন তো লিচ্চয় জানবেন ওই হরিদাস পাল আমি নই, অন্য কেউ।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • খবর | ২৭ ডিসেম্বর ২০১০ | ৮৫৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন