এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  স্মৃতিচারণ  নস্টালজিয়া

  • গল্পের আসরের গল্প! 

    কিংবদন্তি লেখকের গ্রাহক হোন
    স্মৃতিচারণ | নস্টালজিয়া | ১৯ অক্টোবর ২০২২ | ৮৬৯ বার পঠিত
  • গল্প বলাটা এখন হারিয়ে গিয়েছে। জমাট গল্পের আসর এখনও কোথাও বসে বলে আমার জানা নাই। আগে, আমাদের শৈশবে গল্প বলা, গল্প শোনা একটা বিশেষ জায়গা করে রেখেছিল। খুব যে আয়োজন করে হত তেমন না। কোন কোনদিন হয়ে যেত। জমে যেত আসর। চলত একের পর গল্প। একটা থেকে অন্য গল্পে লাফ দিয়ে যাওয়া হচ্ছে, আপেক্ষিক তত্ত্ব প্রমাণ করে সময় নিমিষে ফুড়ুত হয়ে যাচ্ছে, কেউ একটুও বুঝতে পারছে না। বৃষ্টিতে সবাই ঘরে আটকা, মন মেজাজ তৈরি হলে গল্পের আসর জমে যেত বাড়িতে। বিদ্যুৎ বিভ্রাট লেগেই থাকত আগে। কোনদিন হয়ত বেশিই লম্বা সময় ধরে নেই, গুটি গুটি পায়ে আসর জমা শুরু হত। একবার জমে গেলে আর চিন্তা নাই, এরপরে শুধু ছুটে চলা! আমরা বাচ্চারা হা করে শুধু খাওয়া! খালি গিলা, গিলতে থাক সব গল্প! 

    আসর জমার জন্য পরিবেশ লাগে। আমাদের বাড়ি ছিল আদর্শ। কারণ আমরা ভাই বোন অনেক গুলা। যে সময়ের কথা বলছি তখন বকুল খালারা মানে হচ্ছে জ্যোতিরা আমাদের উঠানেই থাকত, মেজো মামারা একটু দূরে মানে পুকুরের ওই পাড়ে, মানে সবাই আমাদের বাড়ির আশেপাশেই থাকত। গল্পের আসর জমে গেলে এত্তগুলা ভাই বোন নিমিষে এক হয়ে যাওয়া যেত যার কারণে দুর্দান্ত সব আসর জমত আমাদের বাড়ির উঠানে। 
    আমাদের নিজেদের আসর যেনতেন হত। মনে করেন বিদ্যুৎ যতক্ষণ নাই ততক্ষণ আর কী। কিন্তু এই উঠানেই কিছু কিংবদন্তী আসর বসে ছিল। রাত কয়টা বাজছিল আল্লা মালুম, এখন আর মনে নাই। শুধু মনে আছে ঘরে ওইদিন সবাই কাঁপাকাঁপি করতে করতে ঘুমিয়েছিল। কারণ গল্প জমার শ্রেষ্ঠ গল্প হচ্ছে ভূতের গল্প। সেই গল্প যদি চলে মধ্য রাত অব্দি তাহলে বুঝেন! 

    গল্পের আসরের জন্য অন্ততম সেরা উপাদান হচ্ছে বক্তা। আমি যেই আসরের কথা বলছি এবং আজ পর্যন্ত যতবার গল্পের আসরে মাত হয়েছি তার বড় কারণ হচ্ছে আমাদের দুর্দান্ত একজন বক্তা ছিল, আছে এখনও। আমাদের বড় মামা। বড় মামা যখন গল্প শুরু করে তখন স্থির হয়ে যেতে হয়। শুরু হয় এক অন্য রকম অভিজ্ঞতার সূচনা। যে অসাধারণ আসরের কথা বলছি সেদিন কোন কারণে বড় মামা মামি দুজনই এসেছিলেন আমাদের বাড়িতে। বিদ্যুৎ নাই, গরমের দিন। সবাই উঠানে বসা। ধীরে ধীরে, অল্প অল্প করে, পরিমাণ মত মসাল যোগ করে, অল্প আঁচে পাকানো শুরু হয় আসর। আমরা তখনও জানি না এই আসর কতক্ষণ চলবে। শুরু হল মামার গল্প বলা। মামা রূপকথার গল্প যত না বলত, গল্প প্রসঙ্গে হয়ত বলত কয়েকটা, তারচেয়ে বেশি বলত উনার জীবনের গল্প! মামা পেশায় পশু ডাক্তার। রাত বিরাতে কই কই গেছেন রোগী মানে গরু দেখতে। ফিরছেন একা একা, রাস্তায় কী হল শুনো...চলল গল্প! একটা লোক এতবার ভৌতিক পরিস্থিতির শিকার কীভাবে হয়? কোনদিন প্রশ্ন করিনি। হা করে, হয়ত ভয়ে থরথর করে কাঁপতে কাঁপতে দাঁত চেপে শুনে গেছি। 

    মামা শুধু গল্প বলত এমন না। মামা গল্প বলার সময় তা পরিবেশন করত। চোখ, মুখ, হাত পা, কণ্ঠস্বর সব মিলিয়ে গল্প বলত মামা। ক্লাইম্যাক্সে যাওয়ার আগে থামত চোদ্দবার, আরও কয়েক দিক থেকে গল্পটা বুঝাত, পরিস্থিতিটা বর্ণনা করতেন, যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি পরিষ্কার না হচ্ছেন যে আমরা পুরোপুরি বুঝছি কী পরিস্থিতি ছিল সেই সময়, অন্ধকার কত গাঢ় ছিল, বাতাস কেমন ছিল, উনার ঠিক কত সামনে ঘন কালো পাহাড়ের মত কী জানি একটা দাঁড়িয়ে আছে, ওইটা দেখে উনি তাৎক্ষনিক কী চিন্তা করলেন, তারপর কী করলেন ইত্যাদি ইত্যাদি তিনি পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে বর্ণনা করে, হাত নেড়ে, গলার স্বর উঠিয়ে নামিয়ে আমাদেরকে পরিষ্কার বুঝিয়ে দেওয়ার পরে তিনি যেতেন পরের ধাপে। এরপরে কী হইল শোনো...! 

    আমাদের উঠানের মত আসর বা ওই আসরের মত তুলনা দেওয়া চলে এমন আসর এরপরে আমি আবার পেয়েছিলাম। এইটা সবার ভাগ্যে জুটেনি। না জুটার কারণ ছিল। নানী মারা গেছেন। পাঁচ দিনের দিন মিলাদ হবে, মানুষজনকে খাওয়ানো হবে। সব আত্মীয় স্বজন নানী বাড়িতে। আমি কেন জানি নিশ্চিত জানতাম আজকে রাতে একটা আসর বসবে। একটু রাত হল। এদিক সেদিক যে যার মত ঘুমিয়ে পড়েছে। মানুষজন কাজ করছে নানী বাড়ির উঠানে। বড় মামা চেয়ার নিয়ে বসলেন একদিকে। আম্মা চেয়ারে বসা, আমি পিরিতে বসা। আমার বুঝা শেষ শুরু হতে যাচ্ছে আবার! এবার আরও কড়া পাঁকে রান্না হবে। কারণ শ্রোতা যেমন অনেক তেমনই বক্তাও বড় মামা একলা না। কিছুক্ষণ পরে মেজো মামাও চেয়ার নিয়ে বসলেন। ভোর পর্যন্ত কাজ করতে হবে। বিশাল রান্নাবান্নার জোগাড় করতে রাত থেকে কাটা বাছা করতে হয়। সবাই তাই করছে। দুই মামা ম্যারাথন গল্প চালিয়ে গেলেন। বলা বাহুল্য বড় মামা একাই যথেষ্ট, তার উপরে মেজো মামাও থাকাতে এই আসর অন্য মাত্রায় চলে গেল। আমার মা ছিলেন মামা খালাদের ভিতরে সবচেয়ে বড়। আম্মাও মাঝে মধ্যে ঠেক দিচ্ছেন। অন্য খালারা তো ছিলেনই! উফ! কেউ যদি ভিডিও করে রাখত! এমন জিনিস চাইলেই পাওয়া সম্ভব না। মনে হচ্ছে রাতভর ক্লাসিকাল মিউজিক শুনছি! শেষের দিকে জোর করেই, সম্ভবত আম্মাই সবাইকে ঘুমাতে পাঠিয়ে ছিলেন, পরেরদিন অনেক দৌড়ঝাঁপের কাজ ছিল, না ঘুমালে বিপদ হয়ে যাবে। ওইদিন মামার গল্পের পরেই হয়ত নানীর মৃত্যুর শোক কেটে গেছিল বাড়ি থেকে। কারণ এরপরে আসলেই বাড়ির পরিবেশ পরিবর্তন হয়ে গেছিল। 

    বড় মামা ভৌতিক গল্প বলতেন। আবার ব্যাখ্যাও দিতেন, বুঝানোর চেষ্টা করতেন যে এইটা হয়ত ভূত টুত কিছু ছিল না, ব্যাপারটা এমন হতে পারে, দূরে থেকে হয়ত কোন আলো এসে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। কিন্তু আমরা ওই সব ব্যাখ্যায় বিশ্বাস করতাম না। আমরা সহজটাই বিশ্বাস করতাম। মামার ভূতের সাথে সাক্ষাৎ হয়েছে! মামার গল্পের আরও বড় বিশেষত্ব হচ্ছে তিনি যে ভূতের গল্পের এলাকার কথা বলছেন তা আমাদের আশেপাশের সব! আরে এই যে তোমার নানী বাড়ি থেকে বের হলেই যে লম্বা আম গাছটা! বা তোমাদের বাড়ির যে রাস্তা ওই রাস্তায় মধ্যে একদিন কী হইছে শুনো... এমনেই এলাকা হিসেবে আমাদের এলাকায় আড়া জঙ্গল বেশি, দুই চার ডজন ভূত এদিকে থাকাটা যে খুব স্বাভাবিক তা আমরা জানতাম। তার মধ্যে মামা যখন বলত স্কুল পার হয়ে সাইধানির আড়াটা আছে না? তখন হইছে কাম! আমরা শেষ! কিংবা বললেন মোটরসাইকেলে ফিরছি তিনানি থেকে, রাত হয়ে গেছে বারোটার উপরে... জমে ক্ষীর সবাই! 

    বড় মামারাই শেষ। আমরাই তো আমাদের ভাগ্নে ভাগ্নিদের মামার মত করে গল্প বলতে পারি না। গল্পের আসরের পরিবেশই এখন নাই, এটাও সত্য। তবে এটাও তো সত্য যে গল্প বলা যে একটা আর্ট, সেই আর্টের আর্টিস্ট এখন আর নাই! এইটা একটা চক্রের মত। পরিবেশ নাই দেখেই হয়ত আর্টিস্ট নাই, আর্টিস্ট নাই দেখেই হয়ত পরিবেশ নাই। তবে মামারা তো এখনও জীবিত আছেন। তারপরেও কেন বসে না আসর? সেক্ষেত্রে সেই পরিবেশ নাই এটাই কী সত্য বলে মনে হয় না?  কিংবা মানুষ এত যান্ত্রিক হয়ে গেছে যে এই সব এখন আর চলে না! জানি না। তবে এইটুকু জানি আমাদের শৈশব রঙিন হয়ে আছে মামাদের এমন দুর্দান্ত গল্পের আসরের কারণে। 

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • স্মৃতিচারণ | ১৯ অক্টোবর ২০২২ | ৮৬৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Sara Man | ২০ অক্টোবর ২০২২ ০৯:৫৬513024
  • আমার দুই মামা ঠিক এমন করে গল্প বলতে পারতেন। আমারও মামার বাড়িতে এমন গল্পের আসর বসত। আপনার লেখা পড়ে নিজের ছোটবেলায় ফিরে গেলাম। 
  • Nirmalya Nag | ২১ অক্টোবর ২০২২ ০৮:০১513055
  • পরিবেশ পরিস্থিতি পালটে গেছে তো বটেই। তবে বেড়াতে গিয়ে বা অফিসের কাজে বাইরে গিয়ে জনা কয় লোক মিলে এমন জমাটি গল্পের আসর পেয়েছি কয়েক বার।
  • কিংবদন্তি | ২১ অক্টোবর ২০২২ ২৩:৫৮513081
  • Nirmalya Nag, আমরা আরেকটা জায়গায় এমন আসার বসাতাম, মেসে! সপ্তাহের শেষে মাঝে মধ্যেই শুরু হত আসর। চলছে তো চলছেই! ভূতের গল্প এমন অবস্থায় ফেলছিল একবার যে বেশ কয়েকদিন আমাদের মেসে বারান্দায় বাতি জ্বলত সারা রাত, বাথরুমের আলোও নিভত না! এর মধ্যে একদিন আমার রুমমেট ভোরের দিকে আল্লা মালুম কী দেখে রুমের ভিতরেই চিৎকার দিয়ে আমার বিছানায় লাফ দিয়ে এসে পড়ল! আমি উনাকেই ধরব না কি দেখে ভয় পেল তার পিছনে যাব না কি নিজেকেই সামলাব বুঝে উঠতে পারছিলাম না।সেবার জন্মের ভয় পাইছিলাম! 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন