এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  গপ্পো

  • দ্যাশের মাটি

    সঙ্ঘশ্রী সেনগুপ্ত
    গপ্পো | ১৫ আগস্ট ২০২২ | ১৯৪৩ বার পঠিত | রেটিং ৩.৫ (২ জন)


  • তুই সইর‍্যা শুইতে পারস না রে খোকন, গায়ের উপর আইস্যা পড়তাসোস ক্যান রে? ধাইক্কা দিল বীরেন। ঘুম ভাইঙ্গা খোকনের খানিক্ষন গেলো মনে করতে সে কই আছে। পরপর ছয়সাতজন শুইয়া, কেউ চেনা আবার কাউরে চেনেই না, কেউ কাল আইসে কেউ দুইবছর। খোকনও আছে দুই বছর কলকাতায় একনাগাড়ে। বড়লোক পিসার সাথে বাবা পাঠাইয়া দিলো জোর কইরা। পড়াশোনা করবো নাহি কলকাতার ইস্কুলে।

    পড়াশোনা তো কত হইল। আসার পর থিকাই তো গন্ডগোল। দুইটা বছর খোকনের দেখা হয় নাই মায়ের লগে। কার্তিক বোস লেনের একতলা অন্ধকার বাসায় রোজ মায়ের লগে মনেমনে কত কথা কয় ষোলো বছরের খোকন। না আছে পড়াশোনা, না আছে কিসু। ইস্কুল তো আজকাল নামমাত্র সময়ের লাইগ্যা চালু থাকে। এত অশান্ত কলকাতা, ইস্কুল কলেজ বন্ধ থাকে অর্ধেকদিন। আজ এই মহল্লায় দাঙ্গা, কাল ওই মহল্লায় তার জের। খোকনের দিন কাটেনা। পিসীর বাসার এককোনায় পইড়া থাকতে ভালো লাগে না একটুও। চোখ বুইজ্যা দেখে নীল আকাশ, তিতাস নদী, দতখোলার বিল, কুড়ুইল্যার খাল আর তাদের মন্ডপ ঘরের নক্সা। রথের পর কাঠামে খড় লাগানো হইব। সব ছাইড়া ছুইড়া এই দেশে আইয়া পড়সে খোকন। বোঝে, বাবা ক্যান পাঠাইসে জোর কইর‍া। প্রাণের ভয়ে। দ্যাশের অবস্থা তো ভালো নয়। পুজার আগ দিয়া বাড়ি থাকলে খোকন ইস্কুল থেকে আইসাই বইসা পড়ত মন্ডপ ঘরের দাওয়ায়। মা ডাকে, "খোকন খাইয়া যা, তারপর গিয়া বসিস, কতক্ষণ ভাত কোলে কইর‍্যা বইসা থাকুম, আয়", খোকন মায়ের বকার ভয়ে এক দৌড় দিয়া পাকের ঘরে গিয়া তাড়াতাড়ি দুইটা ভাত মুখে দিয়াই ছুটছুট, আবার মন্ডপঘরে। মা রাগ করত "দুষ্টা পোলা, কাকের মত ভাত ছড়াইয়া, খাইয়া আবার দৌড় দিলি" এখন খোকনরে কেউ ডাকে না। খাওয়ার সময় হইলে থালা খান লইয়া নিজেই গিয়া পাকেরঘরে বসে। ঠাকুর একহাতা ভাত, জলের মত ডাল ঢাইল্যা দেয়। খোকনের চোখে জল আসে, তিতাসের কাজরি মাছের কথা মনে পড়ে, আর তার সাথেই মায়ের রান্নার গন্ধ ভাইস্যা আসে নাকে। ঠাকুরমা কইতো "কল্যাণীর হাত ধোয়া জলও অমৃতরর লাগানন"। মায়ের নাম কল্যাণী। কতদিন মায়ের হাতের রান্না খায় নাই খোকন। কেমন পিটালি গুইল্যা লম্বালম্বা পাটপাতার বড়া ভাজতো মা, জল আসে মুখে। এইবার খোকন দ্যাশে যাইবই। পিসে পাঠায় তো ভাল, নাইলে পলাইয়া যাইবো। বাড়ি যাইতেই হইব। দ্যাশ তারে ডাকতাছে। পিসীমা মানুষ খারাপ না। তবে শরীর ভালো থাকে না অর্ধেকদিন। যেইদিন থাকে খোকনের খোঁজ নেয়, এখন এই বাড়িতেও পুষ্যির সংখ্যাও কম নাই। কোন বাড়িতেই বা কম, প্রতিদিনই তো আইতাসে বাংলাদেশের আত্মীয়, স্বজন বন্ধুবান্ধব। কলকাতার কারোর না কারোর একটা ঠিকানা হাতে লইয়া হাজার হাজার মানুষ আইতাসে বর্ডার পার হইয়া।

    সারাটা দাঙ্গার সময় খোকনের কলকাতায় কাটলো। কি আতঙ্ক, কি আতঙ্ক রে বাপ। রোজ অপেক্ষায় থাকে এই বোধহয় কেউ ছুরি হাতে বাসায় ঢুইক্যা আইলো। দাঙ্গা কি আর আগেও দ্যাখে নাই খোকন, ছোটখাটো কম হয় নাই দ্যাশেও। কিন্তু মাতব্বররা সালিসি করসে, কার দোষ ঠিক কইরা দিসে, থাইম্যা গেসে। ১৯৪৬ এর দাঙ্গার এক্কেরে আলাদা। কলুটোলা, রাজাবাজার, পার্কসার্কাস সব বেবাক চুপচাপ। লিচুবাগানের ঘটনার পর তো কলকাতা থম মাইর‍্যা গেলো। দ্যাশের খবরও খুব খারাপ। নোয়াখালি, আরও কত জায়গার খবর আসে। খোকন অস্থির হইয়া ওঠে, ভিতরে ভিতরে। দাঙ্গার আগুনে সব ছাড়খার। সন্ধ্যাবেলা পিসা আর পিসার বন্ধু অমলবাবু কত কথা কয়, খোকন শোনে একমনে। অমলবাবু বলেন "বুঝলে মিত্তির, লীগ আর হিন্দুমহাসভার নেতাদের বোঝানোই গেলো না, এ লড়াই হিন্দু মুসলমানের বিরুদ্ধে নয়, এ ব্রিটিশরাজের বিরুদ্ধে" পিসা কয়, "স্বাধীনতা ও যেই ভাবে আইলো, তাতে লাভ কী হইল অমলবাবু? দ্যাশভাগ আর লাখে লাখে মানুষ আজ ভিটা মাটি ছাইড়া আইতাসে পূর্ব পাকিস্থান থিকা, দাঙ্গা কমলেও এই ভয় কী কমবো কোনোদিন! দুইটা জাতির বিশ্বাস, ভালোবাসা তলানিতে আইসা ঠেকলো ব্রিটিশের শয়তানি আর নেতাদের ভুল চালে। "অমলবাবু কন, "দাঙ্গা সাধারণ হিন্দুও চায় না মুসলমানও চায় না। চায় শুধু দাঙ্গাবাজগুলো" খোকন ভাবে মামুদ, আনোয়ার তো তারে ভালোবাসে, চিঠি দেয়। খোকন কবে আইবি রে? খোকন তুই নাই তাই ফুটবল খেলা জমে না। তাদেরও অন্তরে বিষ?

    খোকন সন্ধ্যাবেলা গিয়া দাঁড়ায় পিসির ঘরে। পিসি কয়, কিছু কইবি নাহি খোকন। খোকন কয়, "হ, ইস্কুল বন্ধ হইসে। কাল বাদ দিয়া পরশু আমি বাড়ি যামু পিসীমা তুমি ঠিক কইর‍্যা দাও" পিসীমা কয়, "মাথাখারাপ তোর, এত গন্ডগোল এই সময় যায় কেউ", খোকন ঘ্যানঘ্যান করে। পিসিমা রাইগ্যা কয়, "যা পারিস কর, চইল্যা যা, গুলি খাইয়া, ছুরি খাইয়া মর"। খোকনের ভয় করেনা। মায়ের জন্য সে গুলিও খাইতে পারে এমন মনে হয়। কতদিন যায়না সে, তিতাসের বাইচ খেলা, মহাদেব ঠাকুরের মেঠাই , খোকনের পরাণডা হুহু করে। "পরশু যামুই, যেই ভাবে হোক, আমারে আটকাইতে পারবো না কেউ"। টাহাকড়ি হাতে নাই বিশেষ, তবে বড়পিসে আর মামা আইস্যা কটা টাহা দিছিলো, সাবধানে রাইখ্যা দিসে খোকন। বাবায় ও মনিঅর্ডার করে পিসেরে। তবে পিসে তারে কিসু দেয় না। বকুলরে পড়াইয়্যা পাঁচটাকা পায়। তাও খরচ না কইরা, রাইখ্যা দিসে। সব দিয়া টিকিট হইয়া যাইবো। শেয়ালদহ থিকা এক ট্রেনে গেদে হইয়া গোয়ালন্দ। ভাবলেই গায়ে কাঁপন ধরে। কতদিন পর যাইবো দ্যাশে, মায়ের কাছে। কলকাতার ন্যাশা শেষ হইসে জন্মের মত। যদি চইল্যা আইতেই হয় মা, বাবা, ভাইরে লইয়াই আসবো। আসবোই বা ক্যান, এইডা তার দ্যাশ নয়।

    ভোর ভোর থাকতেই ব্যাগ লইয়া বাইর হইলো খোকন। শেয়ালদহ্ যাওনের বাস বাড়ির সামনে থাইক্যাই ছাড়ে। স্টেশানে পৌছাইয়া দেখে থিকথিকে ভীড়। লোক আইতাসে বাক্স, বিছানা নিয়া। বাচ্চাকাচ্চা, বুড়া, জোয়ান। কি জানি কোথাকার মানুষ সব, খোকন ভাবে। অনেক কেরামতি কইরা একখান টিকিট পাইল। মনে মনে ভাবে এতক্ষণে হয়ত পিসীমার বাড়িতে তার খোঁজ পড়তে পারে। রোজ খোকন কয়লা আনতে গোলায় যায় এই সময়। ট্রেনে উইঠ্যাই মেজাজ ফুরফুরে হইয়া গেল। খোকন দেখলো ভীড় আছে তবু বসার জায়গাও পাইল। গোয়ালন্দ থিকা কলিকাতায় আসার লোক বেশী, যাবার লোক অত না। হিন্দু মুসলমান সবাই যাইতাসে। "খোকা কই যাইবা?" পাশের মানুষটির কথা শুরু করল। খোকন কইল, গোয়ালন্দ। উনি কইলেন, সে তো জানি, তারপর কোথায় যাইবা, খোকন বলে, "ভৈরববাজার, চেনেন নাকি খুড়া?" উনি কইলেন "কতবার গেছি কুমিল্লা। বরিশাল থিকা যাইতাম ব্যবসার কাজে"। গল্প জইম্যা ওঠে। দুজনেই বাড়ি ফিরতাসে, দুজনের মনডা পোড়ায় দ্যাশের কথা ভাইব্যা। বয়সের তফাত হইলেও কথা চলে।

    গেদেতে আইসা চেকিং শুরু হইল। জিনিসপত্র প্রায় কিছুই নাই খোকনের সাথে। তবুও ইন্ডিয়ান আর্মি দেখলো সবই খুইল্যা। মায়ের লিগা একখান শাড়ি, বাবা আর ভাই এর লাইগ্যা পাঞ্জাবি নতুন কেনা। কে জানে আবার বর্ডারে আটকাইবো কিনা। আবার চেকিং হইবো দর্শনাতে। গেদে ছাইড়া গাড়ি রওনা হইল। ট্রেনের ভীড় বাড়ে কমে। সকলের হাতেই পোটলা পু্ঁটলি। হিন্দুই বেশী, মোসলমান কম নাই। সবাই সবার সাথে কথা কয়, আলাপ করে, কুশল জিগায় বোঝাই যায় না দাঙ্গা, দেশভাগ কত কী হইয়া গেছে। খোকন ভাবে দ্যাশে গিয়া কি এইবার আনোয়ার, বাচ্চু কাউরে পাওয়া যাইবো না? কত ঘুড়ি উড়াইসে, কত ডিঙা ভাসাইছে তিতাসের জলে। আর কি হইবোনা সেইসব। দশর্নায় আবার চেকিং, তবে সময় লাগে না, ট্রেন ছোটে গোয়ালন্দের দিকে। সবাই ব্যাগ থিকা মুড়ি, চিড়া বার করতাসে। পাশের লোকটা কইল, "তোমার পদবী কি খোকা? বামুন হলে দিমু না কিন্তু খাইতে, আমি জাতিতে সদগোপ্" খোকন কইল "না, আমরা কায়েত"। নিশ্চিন্ত হইয়া ধুতির কোঁচড়ে মুড়ি আর নাড়ু দিল খোকনরে। না হইলে তারে না খাইয়াই থাকতে হইত। খোকন ভাবতাসে, মা তারে দেইখ্যা কী করবো, বাবাই বা কী করবো, ভাইডাতো পাগল হইয়া যাইবো আনন্দে। চোখে জল আসে। মন্ডপে কাঠামোয় মাটি পইড়া গ্যাছে তো বটেই। কুমার খুইড়্যা রঙ ও শুরু কইরা দিসে হয়ত। কি ভালো যে লাগে, ঠিক তার মায়ের মুখের মত। কলকাতায় প্রতিমার সেই রূপ নাই।

    গোয়ালন্দ পৌঁছাইয়া যে যার মত স্টীমার ধরে। কেউ যায় নারায়নগঞ্জ, কেউ ধরে চাঁদপুরের স্টীমার। গোয়ালন্দে ভাতের হোটেলে আটআনা খরচ কইরা খায় খোকন। যাউক গিয়া আর পয়সা লাগবো কিসে, আইয়াই তো পড়সে। মাছের ঝোলে ও যেন দ্যাশের গন্ধ। পেট ভইরা ভাত খায়। আবার খাইবো বাড়ি পৌঁছাইয়া। মায়ের হাতের ভাত। চাঁদপুর থিকা ট্রেন চলা শুরু হয়। তত ভীড় নাই, প্রায় সবাই বইসা আছে। গ্রামের মানুষ থিকা শহরের ভদ্রলোক সবই আছে বগিতে। হঠাৎ খোকন খেয়াল করে সে বাদে একজনও হিন্দু নাই মনে হইতাসে। যে যার মত কথা কইতাসে। খেতের জল, ব্যবসা, জিনিস পত্রের দাম সব লইয়াই কথা চলতাসে। খোকনের সামনে একজন মানুষ বইসা আছেন, ভীড়ের ভিতর একদম আলাদা। দেইখ্যাই বোঝা যায় কলকাতার বনেদী মুসলমান। যেমন সুন্দর চেহারা, তেমনি সাজগোজ, কথা বলার কায়দা। পা এর ওপর পা তুইল্যা লোকটি কলকাতার গপ্প কইতাসেন, জোরে জোরে। আশেপাশের চাষাভুষো সাধারণ লোক সম্ভ্রমে তার দিকা চাইয়া আছে। গলাটি ঠিক যাত্রার নায়কের মত লাগে খোকনের। ভীড়ের দিকে চোখ রেখে তিনি বলেন "বুঝলেন মিঞাভাই, আমরা হলাম পাঁচপুরুষের কলকাতার বাসিন্দা। কলকাতা একটা শহর বটে, কত রাস্তা আর কত যে বাড়ি, গেছেন কখনও?" কেউ যায় নাই, একজন মিনমিন কইর‍্যা কইল, "না মিঞাসাব ঢাকায় গেসি দুইবার। "আরে ছাড়ুন মোশাই ঢাকা, কোথায় কলকাতা আর কোথায় ঢাকা। ঢাকা একটা জায়গা হল?" খোকন দ্যাখলো লোকজন হাঁ কইরা শুনতাসে। হঠাৎ লোকটির চোখ পড়ল খোকনের দিকা। প্রসঙ্গ এবং গলা পুরা পাল্টাইয়া কইলেন, "সেই কলকাতার গঙ্গার জল লাল হয়ে গেছিল, জানেন কেন? মুসলমানদের রক্তে। ছোটছোট বাচ্চাদের পর্যন্ত ছাড়েনি ওই হিন্দুর পো-রা। সব কেটে ফেলেছে গঙ্গায়!" খোকনের দিকা চোখ যায় অনেকের। গাড়ি গৌরীপুর ছাড়ায়। খোকনের ভয়ভয় করতে থাকে। লোকটি বলে চলে, "মোসলমানের রক্ত থাকলে এই অন্যায়ের বিহিত করা উচিত, যেখানে হিন্দু দেখবেন, জানবেন ওরা আপনার ভাইকে মেরেছে" মানুষগুলার চোখের দৃষ্টি কেমন পাল্টাইয়া যাইতাসে। খোকনের সারা শরীর ঠান্ডা হইয়া যায়। ট্রেন আখাউড়া পাড় হয়। লোকটি বলে, "এই হিন্দু ছেলেটাকে দেখছেন, একে বাঁচিয়ে রাখার মানে বোঝেন মিঞা, এ আপনার ছেলেকে মারবে একদিন, ছুরি বসিয়ে দেবে আপনার নাতির পেটে, এই আমি বলে দিলাম। তাই সাচ্চা মুসলমান হলে ভৈরবের ব্রিজ আসছে, ওকে ছুঁড়ে ফেলুন ভৈরবের জলে। মরুক, একটা হিন্দু কমুক"। একজন কইল " হাচা নাকি কর্তা?' 'খোকন ঠকঠকাইয়া কাঁপতে থাকে, আর মা রে দেখা হইবনা তার।

    হঠাৎ ফেজ টুপি মাথায় দিয়া এক কোণ থিকা একজন উইঠ্যা আসে। জোর গলায় কয়, "আরে কি কান্ড, তুমি ডাগদারবাবুর পোলা না? কইলকাতা থিকা আইতাসো, কি কমু আপনাগো, আমার আব্বা সেইবার যখন মরমর, সব হাকিম জবাব দিসে, গিয়া পড়লাম ডাগদারবাবুর পায়ে। ওনার দোয়ায় ফিরা পাইলাম আব্বারে। আমাগো এলাকায় মোসলমান ভাইরা তারে ফেরেস্তা ভাবে। আপনেরা চিনেন তো, ডাগতার বর্ধন।" খোকন দ্যাখে লোকের চোখের দৃষ্টি আবার অন্যরকম। দুএকজন হ্যাঁ, হু করতাসে। পাশ থিকা একজন কলকাতার লোকটিরে কইল, "যা হইসে তা হইসে, পাশাপাশি থাকি মিঞাসাব। আমরা অভাবী মানুষ। ভালোয় মন্দয় দিন কাটে, হিংসা আর বাড়াইয়া কি লাভ কন?" ফেজটুপি পরা লোকটি শক্ত হাতে খোকনের হাতটা চাইপ্যা ধরে। ভৈরব ব্রিজ পাড় হইয়া গাড়ি থামে ভৈরব বাজারে। কলকাতার লোকটির সামনে দিয়া নাইমা পড়ে খোকন, ওই মানুষটির হাত ধইরা। এইখান থিকা পাঁচমিনিট হাঁটলেই তাগো বাসা । ট্রেন ছাইড়া দেয়। খোকন একটু চুপ কইরা কয়, "চাচা আপনে বড় ভুল করসেন, আমার বাবার রেশান দোকান ভৈরব বাজারে। আমরা বর্ধন নয় দত্ত" লোকটি হাইসা কয়, "বেশ, এইবার চিনলাম তোমারে, এখন এক কাম কর দেহি, সোজা দৌড় দাও বাসার দিকা, মায়ের কাছে পৌঁছাইবার আগে আর থাইমো না "।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • গপ্পো | ১৫ আগস্ট ২০২২ | ১৯৪৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ১৫ আগস্ট ২০২২ ১৯:৫৬511043
  • হুম্ম 
  • ডা রুমী আলম, মিরপুর, ঢাকা। | 2400:c600:3324:78fb:4d50:9692:6f70:***:*** | ১৯ আগস্ট ২০২২ ১৮:১৬511187
  • দেশভাগ নিয়ে লেখা আমি আগ্রহ নিয়ে পড়ি। যতই ধোয়া হোক এ রক্তের দাগ যাবেনা। তবে এক হাতে তালি বাজেনা। গল্পে অনেক রং দেয়া যায়, স্মৃতি চারণায় তার একটা সীমা থাকে। লেখায় একটু তথ্যগত ভুল আছে। চাঁদপুর থেকে ভৈরববাজার যাওয়ার পথে কখনও গৌরীপুর জংশন বা স্টেশন পরবেনা। বড়ো স্টেশনগুলোর মধ্যে লাকসাম কুমিল্লা আখাউড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পরেই মেঘনার অপর পাড়ে ভৈরব। 
  • এক ই বৃন্তে | 82.132.***.*** | ১৯ আগস্ট ২০২২ ২১:৩০511190
  • ওপারে  এই  আসিলো 
    ওপারে ওই আসিলো 
    করিমচাচার ভালোবাসা আসিলো 
    ইত্যাদি 
     
    তাহলে তোর ঠাকুদ্দা লাথ খাইয়া এপারে আসিলো ক্যানে ?
     
    ইসে ....... 
    আপুনি ছাচম্পদায়িক  কথাবাত্তা  বলতেসেন 
    এই গ্রূপের রুলবুক ও মনন চিন্তন অনুযায়ী মানাইতেসেনা 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে প্রতিক্রিয়া দিন