এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  গপ্পো

  • নতুন জানলা

    Nirmalya Nag লেখকের গ্রাহক হোন
    গপ্পো | ২৭ জুলাই ২০২০ | ২৮২৯ বার পঠিত
  • অনেক দিন পর পাখিটা ফের আজ জানলায় এসে বসেছে। ওই জানলায় বিপ্লব চক্রবর্তী একটা নীল রঙের প্লাস্টিকের বাটি রেখেছেন, বাটিটায় জল রাখা থাকে। চঞ্চল চড়াই, গম্ভীর শালিক, দু একটা অন্য পাখি আসে, জল খায়, আবার উড়ে যায়। কয়েকটা খুদে আবার ওই ছোট বাটিতে স্নানের চেষ্টাও করে, জল চলকে পড়ে যায়, কুচো কুচো পালক পড়ে নোংরাও হয়। নীলিমা - বিপ্লবের আয়া - তখন বাটিটা পরিষ্কার করে ধুয়ে দেয়। প্রথম প্রথম ওকে অনুরোধ করতে হত, গজগজ করতে করতে বাটি ধুতে যেত নীলিমা। এখন নিজে থেকেই করে, খেয়াল করে ফ্রেশ জল ভরেও দেয়। "ফ্রেশ জল"! শব্দটা ভাবলেই হাসি পায় বিপ্লবের। যেন এখুনি দু ভাগ হাইড্রোজেন আর এক ভাগ অক্সিজেন মিলে জলটা তৈরি হল। অফিসে দু-এক বার মজার ভঙ্গিতে কথাটা তুলেছিলেন তিনি, বেশিরভাগই ভাল ভাবে নেয়নি। তাঁরা ফ্রেশ জল খান, ফ্রেশ জলে স্নান করতে পছন্দ করেন। পাখিদের অবশ্য সে সব বালাই নেই। একবার খেয়ালের অভাবে বাটির জলে পোকা হয়ে গেছিল, তারা দিব্যি সেই জলই খেয়েছে। আর তারপর উড়ে চলে গেছে।

    পিঠের পিছনে ডবল বালিশ দিয়ে বসে বিপ্লবের মনে হয় পাখিগুলো তো মিনিট পনের বসতেই পারে জানলায়। তাহলে ওদের দিকে তাকিয়ে থেকে, ওদের অঙ্গভঙ্গি, ওদের ঝগড়াঝাটি খুনসুটি দেখে সময় কাটে তাঁর। কিন্তু সে আর হয় কই, বোধ হয় অকারণ সময় নষ্ট করতে চায় না ওরা। প্রয়োজনের তাগিদে আসে, প্রয়োজন মিটলেই চলে যায়। এটা নীল আকাশ নয়, সবুজ গাছ নয়, ওদের বাসা নয়, একটা লালচে খয়েরী রঙের লোহার গ্রিলওয়ালা জানলা মাত্র। গ্রিলের ফাঁক দিয়ে ছোট আর মাঝারি আকারের পাখিরা আসে, তেষ্টা মেটায়, উড়ে যায়। আর হ্যাঁ, বিপ্লব লক্ষ্য করেছেন যাওয়ার আগে পাখিগুলো গ্রিলের গায়ে ঠোঁট ঘষে, যেন নিশ্চিত হতে চায় যাতে ঠোঁটের গায়ে লেগে থাকা জলের চিহটুকুও না থাকে। কেন এমন করে ওরা? জানেন না বিপ্লব, ভাবেন মানুষের সাহচর্যে এসে ওরাও বোধ হয় আর ঋণ স্বীকার করতে চায় না।

    ব্যতিক্রম ছিল একজন। সে অনেকক্ষণ থাকত, আর শুধুই বসে থাকত। তাকেই আজ জানলায় দেখা গেল অনেক দিন পর, তা প্রায় তিন সপ্তাহ তো হবেই। শেষ বার যখন এসেছিল তখনও বিপ্লব উঠতে পারতেন না, শুয়েই থাকতেন। বাঁদিকে মাথা ঘোরাতে কষ্ট হত, তবু জানলার দিকে তাকাতেন তিনি। এই পাখিটা সব সময়ে ঘরের দিকে, মানে ওনার দিকে পিছন ফিরে বসে থাকত, তাই আলাদা করে মনে আছে। আর আলাদা বলেই এর একটা নাম রেখেছিলেন বিপ্লব - সানাই। ছোটবেলায় বাঁকুড়া জেলার খাতড়ায় যে পাড়াতে ওঁরা থাকতেন সেখানে একটা রাস্তার কুকুরের ওই নাম ছিল। কুকুরটা ডাকতো একটা অদ্ভুত গলায়, কেউ একজন ওই নাম দিয়েছিল, সেটা চালু হয়ে যায়। নামের কথা ভাবতে গিয়ে ওইটাই মনে এসেছিল তাঁর। এতদিন কোথায় ছিলে? ফিস ফিস একটা বনলতা সেনীয় প্রশ্ন করলেন বিপ্লব। ওনার চশমা লাগানো চোখ, পাখির নীড়ের মত নয় মোটেই। সানাইও এদিকে ফিরল না, অতল উপেক্ষা নিয়ে যেমন অন্য দিকে তাকিয়ে থাকে, তেমনই থাকল। আগে নীলিমা ফলের রস খাইয়ে দিত এই সময়ে, আর বিপ্লব দেখতেন জানলার গ্রিলে বসে আছে সে, বাইরের দিকে মুখ করে। পাখিটা নড়াচড়া করলেই উনি ভাবতেন এই বার… এই বার বোধ হয় এদিকে তাকাবে। নাহ, ১৫ মিনিট, ২০ মিনিট, এমনকি আধ ঘন্টাও হয়ে যেত দু-এক দিন। বিপ্লব ভাবতেন আসে কেন পাখিটা, শুধু বাইরের দিকে তাকিয়ে থাকবে বলে?

    সারা গায়ে ধূসর রঙের পালক, ঘাড়ের কাছে কালো-সাদা ছিটে, ঠোঁটেও ছিটছিট দাগ, আর চোখ দুটো লাল, মাতালের চোখের মত, প্রচন্ড রেগে যাওয়া মানুষের গালের মত। সানাই-এর কি রাগ আছে ওনার ওপর? পাখিটার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে মনে হল বিপ্লবের। উনি খেয়াল করেছেন ও কখনও বাটিতে রাখা জল খায় না। বাকি সবাই খায় -- শালিক, চড়াই, পায়রা, সানাই-এর দু-এক জন বন্ধুও আসে। তাদের থেকে ওকে আলাদা করতে পারেন বিল্পব - ওর দুই পায়ের লালচে রঙের মধ্যে শেডের হালকা তফাৎ আছে। এক কালে ছবি আঁকার শখ ছিল বিপ্লবের, ওয়াটার কালার। বছর পাঁচক আগেও ফাঁক পেলে কাগজ পেনসিল রঙ তুলি প্যালেট নিয়ে বসে যেতেন। সুস্থ হয়ে হয়তো ফের বসবেন। একদিন সানাইকে আঁকার চেষ্টা করবেন ভেবে রেখেছেন। সুবিধে হল ও তেমন নড়াচড়া করে না, অচঞ্চল, বলতে গেল প্রায় স্থির হয়েই থাকে। অন্যগুলো বড্ড ছটফটে। হয় সারাক্ষণ মাথা এদিক ওদিক করছে, গ্রিলের ওপরেই হাঁটাহাঁটি করছে, জল খেতে গিয়ে বাটিটাই নয়তো নিচে ফেলে দিল, কোন শব্দ হলে বা কাছাকাছি কেউ গেলেই ফুড়ুৎ।

    বিপ্লব নিজে এখন আর বিছানাবন্দী নন, সামান্য নড়াচড়া করেন। নিলীমার হাত ধরে বা লাঠি হাতে বারান্দায় যান দিনে দু বার - সকালে আর বিকালে। রাতেও এক জন আয়া থাকে - তার নাম ছবি, তবে তার তেমন কোনও কাজ নেই। রাতে উনি ওঠেন না সাধারণত। ছোট দোতলা এই নতুন বাড়িতে ওনার আপনার জন বলতে এখন এরাই। মাস দেড়েক আগেও অবশ্য এমন ছিল না। স্ত্রী, ছেলে, মা - এক সঙ্গে চলে গেল সবাই। মেয়ে চেন্নাইতে পড়াশোনা করছে, গাড়িতে ছিল না সেদিন। ট্রাকের ধাক্কায় বাকি সবাই এক সাথে সেদিন শেষ হয়ে গেছে। কেবল ভাঙা হাড় আর ভাঙা মন নিয়ে পড়ে আছেন বিপ্লব চক্রবর্তী। গাড়ির চেহারা দেখে পুলিশকে পর্যন্ত উনি বলতে শুনেছেন এর ভেতর থেকে একজন বেঁচে বেরোল কি করে! দুর্ঘটনাটা ঘটেছিল এই বাড়িতে আসার ঠিক দশ দিন পর।

    এ কী? সানাই-এর ঘাড়ের কাছে একটা খোবলানো দাগ মনে হচ্ছে যে। কী হয়েছে? বিড়াল কুকুরে আঁচড়েছে বা কামড়েছে? নাকি ঘষা লেগে গেছে কিছুতে? অন্য কারও জানলায় সরু গ্রিলে ঢুকতে গেছিল? নাকি কাঁটাগাছ টাছে খোঁচা লেগেছে? এই জন্যই কি এতদিন আসেনি? ওর ঘাড়ে একটু ওষুধ লাগাতে পারলে ভাল হত, ভাবলেন বিপ্লব।

    সেদিন ওনারও ঘাড়ে চোট লেগেছিল। এখনও মাঝে মাঝে ব্যাথা করে। তবে বুকের মাঝে যে যন্ত্রণা রয়ে গেছে, সব হারানোর, সে কি আর যাবে কোনও দিন? ওই ঘটনার পর মেয়ে এসেছিল চেন্নাই থেকে, কিছুদিন ছিল বাবার সাথে। এক রকম জোর করেই ফেরত পাঠিয়েছেন তাকে। বড় ছুটিতে আসতে বলেছেন। যারা চলে গেছে তারা তো গেছেই, পড়াশোনা নষ্ট করে ওর এখানে থাকার কোন মানে হয় না। অফিসের লোকজন এসেছিল প্রথম দিকে, এখনও কেউ কেউ ফোন করে। রিটায়ার করতে আর বছর দেড়েক বাকি বিপ্লব চক্রবর্তীর। দু-এক জন প্রতিবেশীও আসে প্রায়ই। সত্যি কথা বলতে পাড়াপড়শির সাথে আলাপই তো হল এই দুর্ঘটনার পর। এ বাড়িতে আসার পরপরই তো ওটা ঘটল।

    বিপ্লবের মাঝে মাঝে মনে হয় এই নতুন বাড়িটাই যত নষ্টের মূল। এই বাড়িই ওনার সব কেড়েছে… ওনার প্রিয়জন, ওনার সংসার, ওনার পাঁজরের আর পায়ের হাড়। ওনার মাথায় আর মুখে ২৩টা সেলাই পড়েছিল, এখন প্রায় সবই জুড়ে গেছে। তবে হাজার সেলাই দিয়েও যেটা জুড়বে না সেটা হল ওনার ছিঁড়ে যাওয়া মন। সে মনের ইচ্ছে হয় ভেঙে দিই সব, ডিনামাইট জাতীয় কিছুর বিস্ফোরণ ঘটুক -- টুকরো টুকরো হয়ে ধুলো হয়ে মাটিতে মিশে যাক এই ইট কাঠ কংক্রিট সব কিছু, এই বাগান, এই বাড়ি, এই ঘর, এই জানলা। যেমন ছিল আগে, শহর থেকে সামান্য দূরে একটা ভাঙাচোড়া বাড়ির সন্ধান পেয়ে বেশ কাঠখড় পুড়িয়ে কিনে নিয়েছিলেন জমিটা, সেই আধভাঙ্গা বাড়ি ডেমলিশ করে সেই জমিতে বানিয়েছিলেন এই ছোট দু-তলা বাড়িটা। মায়ের কথায় পুরনো বাড়ির তুলসীমঞ্চটা একটু মেরামত করে রেখে দিয়েছিলেন বিপ্লব। বাড়ির সাথে একটু বাগান, একতলায় একটা বড় হল, কিচেন, ডাইনিং, আর দুটো ঘর। দোতলায় চারটে ঘর - তার মধ্যে একটা হল এই ক্রিম রঙা দেওয়ালের ঘরটা যেখানে রয়েছে এই গ্রিল-ওয়ালা জানলা। অনেক দিন পর সানাই সেখানে এসে বসেছে, যথারীতি ঘরের দিকে পিছন ফিরে। "সানাই," মনে মনে ডাকলেন বিপ্লব, "একবার এই দিকে, আমার দিকে, এই ঘরের দিকে ফিরে তাকাও। ভেবে নাও না এই বাড়িটা তোমারই।"

    কথাগুলো বলেই অন্য একটা কথা মনে পড়ল বিপ্লবের। নন্দীবাবু একটা কথা বলেছিলেন। রিটায়ার্ড প্রতিবেশী ভদ্রলোক কাছেই থাকেন, প্রায় রোজই আসেন। একদিন বলেছিলেন ওই ভাঙা কড়িবরগা আর ঢালাই লোহার রেলিং দেওয়া বাড়িটা আর তার আশেপাশের গাছগুলো ছিল রাজ্যের পাখিদের থাকার জায়গা -- কাক, চড়াই, শালিক, পায়রা, ফিঙে, দোয়েল আর ঘুঘু - সানাই-এর মত। সেটা ভেঙে বিপ্লব তো নতুন বাড়ি পেলেন, ওরা কোথায় গেল? সানাই-এর মা বাবা কি ছিল ওই দলে, নাকি ও নিজেই বাস্তুহারা?

    সানাই একটু নড়ল, এই প্রথম বার তাকাল ঘরের দিকে, বিপ্লবের মনে হল ঘর নয়, ওনার দিকেই যেন ওই লাল চোখ নিয়ে তাকাল সে এক লহমার জন্য। পরের মুহূর্তেই ঘুরে গেল আবার, ফিরে গেল অভ্যস্ত ভঙ্গিতে। আর তার পরেই ডানা মেলে চলে গেল দূরে।

    আর ওর ল্যাজের ধাক্কায় নীল রঙের জলের বাটিটা দোতলার জানলা থেকে আছড়ে পড়ল নিচে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • গপ্পো | ২৭ জুলাই ২০২০ | ২৮২৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Rumela Saha | ২৭ জুলাই ২০২০ ০০:৩৪95590
  • চমৎকার

  • Simisen | 2409:4060:2101:2240::d65:***:*** | ২৭ জুলাই ২০২০ ২৩:৫৭95617
  • চমত্কার 

  • Nirmalya Nag | ২৮ জুলাই ২০২০ ০১:৪৫95622
  • সবাইকে ধন্যবাদ।

  • সাগরী | 2409:4060:298:5675::2486:***:*** | ২৮ জুলাই ২০২০ ০৯:৩৪95628
  • নিটোল সুন্দর।

  • Bimal Kanti Sen | 182.69.***.*** | ২৯ জুলাই ২০২০ ১০:৫৯95649
  • Pakhir galpa  amar khub bhalo lage. Etao bhalo laglo.

  • Nirmalya Nag | ৩১ জুলাই ২০২০ ২৩:৩২95766
  • ধন্যবাদ সাগরী ও বিমল কান্তি সেন।

  • | 2601:247:4280:d10:e999:c702:f1b7:***:*** | ৩১ জুলাই ২০২০ ২৩:৩৯95767
  • বাপ্পা! বেশ ভালো:-)

  • Sugata Sanyal | 122.169.***.*** | ২১ আগস্ট ২০২০ ১৮:২৩96484
  • Excellent 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন