এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • ক্ষমতা ও স্থাপত্য - নয়াদিল্লির সেন্ট্রাল ভিস্তা

    Bishan Basu লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৭ মে ২০২০ | ৩৯২৬ বার পঠিত
  • ক্ষমতা ও স্থাপত্য - নয়াদিল্লির সেন্ট্রাল ভিস্তা

    বিষাণ বসু

    নয়াদিল্লির সেন্ট্রাল ভিস্তা অঞ্চলটিকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশরাজের শেষ পর্যায়ে সৃষ্ট অপরূপ স্থাপত্যে ভরা এই অঞ্চলটির আধুনিকীকরণ নাকি জরুরী হয়ে পড়েছে। বেশ কিছু বিল্ডিং ভাঙা হবে, বেশ কিছু কার্যালয়ের পুনর্বিন্যাস হবে - শেষমেশ ঠিক কী কী কোন জায়গায় গিয়ে দাঁড়াবে, সেটা এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। কিন্তু, এই সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পকে স্রেফ পুরোনো একটি অঞ্চলের অবশ্যপ্রয়োজনীয় আধুনিকীকরণ ও সংস্কার হিসেবে দেখলে ভুল হয়ে যাবে। ব্যাপারটা আরেকটু তলিয়ে ভাবা জরুরী।

    এবং, তলিয়ে ভাবার মুহূর্তে স্থাপত্য ও ক্ষমতার সম্পর্ক - যে সম্পর্ক ইতিহাসের বিভিন্ন সময় অতিক্রম করে সমকালেও একইভাবে ক্রিয়াশীল - সে সম্পর্কটি মাথায় রাখা গেলে ভালো হয়।

    ###############

    স্থাপত্যের সাথে ক্ষমতা অর্থাৎ পাওয়ারের সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। যুগে যুগে ইতিহাসের বিভিন্ন পর্বে বিভিন্ন ধরণের ক্ষমতা বিভিন্ন ধাঁচের স্থাপত্য সৃষ্টি করে এসেছে। কখনও সেই ক্ষমতা ধর্মের, কখনও সেই ক্ষমতা বংশানুক্রমে প্রাপ্ত অর্থাৎ রাজা-বাদশা ইত্যাদি - কখনও সেই ক্ষমতার উৎস রাজনৈতিক পদ্ধতি, যেমন গণতন্ত্র - আবার কখনও বা সেই ক্ষমতা আপাত-রাজনীতির বাইরে, স্রেফ অর্থনৈতিক।

    কিন্তু, ক্ষমতা যেভাবেই প্রাপ্ত হোক না কেন, স্থাপত্য বা আর্কিটেকচার অনেকাংশেই ক্ষমতার প্রকাশ - এবং ক্ষমতার উদ্দেশ্য সাধনে নিয়োজিত - ক্ষমতার বিন্যাস বা উৎসের সাথে সাথে স্থাপত্যের ধাঁচ বদলালেও সে বদল বহিরঙ্গের, ক্ষমতা-স্থাপত্যের সম্পর্কের আদি কাঠামোটা অক্ষুণ্ণই থেকে যায়। তবে কি আর্কিটেকচার শিল্প নয়? স্থাপত্য অবশ্যই শিল্প - কিন্তু, সেই শিল্পের মধ্যে অনিবার্যভাবে রয়ে যায় ক্ষমতার সুচারু প্রকাশ - হ্যাঁ, আর্ট অর্থে শিল্পের কথা-ই বলছি, যদিও, আধুনিক যুগে, স্থাপত্যকে ইন্ডাস্ট্রি অর্থে শিল্প বললেও দোষের কিছু নেই।

    কথাগুলো খুব বেশী করে স্পষ্ট হয়ে যায়, যদি আমরা বৃহদাকৃতি স্থাপত্যের দিকে দেখি - যাদেরকে বলা যেতে পারে এক্সিয়াল আর্কিটেকচার (Axial Architecture) - যেমন পুরোনো দিনের মন্দির-মসজিদ-গীর্জা, অতিকায় রাজপ্রাসাদ, একালের পার্লামেন্ট বা সমপর্যায়ের শাসনসভা, সবদেশেই। স্থাপত্য ও তার শিল্পসৌকর্য - যেভাবেই দেখা যাক না কেন - অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য সেই স্থাপত্যের পিছনে ক্রিয়াশীল যে ক্ষমতা, সেই ক্ষমতার প্রতি মানুষের সম্ভ্রম আকর্ষিত করা।

    অতদূরে দেখার দরকার নেই। উচ্চবিত্ত আবাসনের ফ্ল্যাটের বিজ্ঞাপনে দৃশ্যমান যে স্থাপত্য - সেখানেও ক্ষমতার (এক্ষেত্রে সে ক্ষমতা আর্থিক) প্রতি সম্ভ্রম বা লোভ জাগানোর উদ্দেশ্যটা খুব প্রচ্ছন্ন নয়। কুড়ি কি তিরিশ তলায় বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট - মস্ত জানালা দিয়ে মস্ত একখানা আকাশ - যে আকাশে অধিকার নেই আর্থিক ক্ষমতাহীনের - সেই স্বপ্নের হাতছানি অমোঘ।

    অতএব ধর্মাধিপতি বা মধ্যযুগের রাজা-বাদশা বা এযুগের রাজনৈতিক প্রভু বা কর্পোরেট শাসক ও নব্য উচ্চবিত্ত বা সুপার-রিচ - ক্ষমতা তার নিজের মতো করে স্থাপত্যের জন্ম দেয় - এবং, কথাটা মাথায় রাখুন, নতুন ক্ষমতার নিত্যনতুন স্থাপত্যের প্রয়োজন হয়।

    আমাদের ইতিহাস পাঠ অনেকাংশেই ক্ষমতার ইতিহাস - এবং ক্ষমতাবানের ইতিহাস। ক্ষমতাহীন যে সংখ্যাগরিষ্ঠ, তাঁদের নিয়ে চর্চার অভ্যেস, ইতিহাসবিদদের মধ্যেও, তেমন পুরোনো নয় - জনপ্রিয় ইতিহাসের ডিসকোর্সে সে বয়ান ঢুকতে বহু দেরী। ক্ষমতাবানের শাসনের চিহ্ন হিসেবে - যুগে যুগে শাসকের ক্ষমতার স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে - রয়ে গিয়েছে অজস্র স্থাপত্য। এবং আমাদের ইতিহাস লিখনপ্রক্রিয়ায় সে স্থাপত্যের গুরুত্ব অনিবার্য।

    তারই সাথে সাথে নব্য শাসক পুরাতনের ক্ষমতার চিহ্ন মুছে ফেলতে গিয়ে ধ্বংস করেছেন পুরাতন স্থাপত্য - পুরাতনকে গড়েপিটে করে নিয়েছেন নতুন - এবং সেই নব্যরীতি নতুন ক্ষমতার প্রতি মানুষের সম্ভ্রম নতুন করে আকর্ষণ করেছে - এ নজির প্রত্যেক দেশে প্রতি যুগেই অঢেল।

    বৌদ্ধ স্তূপ ভেঙে গড়ে ওঠে শৈব মন্দির - পরবর্তীতে হয়ত সেই মন্দির ভেঙেই তৈরী হয় মসজিদ - প্রতিটিই আমাদের ইতিহাসের অংশ - এই ধ্বংস ও নির্মাণ মিলিয়েই আমাদের ইতিহাস।

    আর মাঝেমধ্যে চাগিয়ে তোলা ইতিহাসের তথাকথিত শুদ্ধিকরণ প্রয়াসে লুকিয়ে থাকে সমকালীন ক্ষমতার রাজনীতি, ক্ষমতা অর্জনের রাজনীতি। পুরাতন স্থাপত্যকে গুঁড়িয়ে "ঐতিহাসিক অন্যায়"-এর প্রতিবিধানের অজুহাতে নির্মিত হয় যে স্থাপত্য - গায়ের জোরে যে দাবীই করা হোক না কেন, সে কোনো ইতিহাস নয় - সে শুধুই বর্তমান ক্ষমতার উদ্দেশ্যসাধনে নিয়োজিত একটি স্থাপত্যকলা মাত্র - যা ভাবীকালে সাক্ষী হয়ে থাকবে আমাদের এই সময়ের ইতিহাসের পুনর্নির্মাণ প্রচেষ্টার।

    নৃতত্ববিদ ক্লিফোর্ড গিয়ার্জ যেকথা বলেন, সেটা ভারী প্রাসঙ্গিক -

    যতোই গণতান্ত্রিকভাবে এলিট শ্রেণী নির্বাচিত হোন না কেন, তাঁরা তাঁদের ক্রিয়াকলাপ ও অস্তিত্বকে ন্যায্যতা দিতে চান নির্মিত কাহিনী, জাঁকজমক, আড়ম্বর, আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে। এই অনুষ্ঠানসমূহের মাধ্যমে (ক্ষমতার) কেন্দ্রটি কেন্দ্র বলে চিহ্নিত হয় এবং সেখানকার কার্যাবলী যে কেবলমাত্র গুরুত্বপূর্ণ বলে বৈধতা পায়, তা-ই নয় - সেই কার্যাবলী যেন সনাতন কোনো পথে আমাদের জগতটি কীভাবে নির্মিত, তার সাথে যুক্ত হয়ে যায়।

    গিয়ার্জের কথাটিকে এদেশের বর্তমানে এনে দেখা গেলে - আমাদের সামনে ইতিহাসের নতুন বয়ান হাজির করা ও তদনুসারী ক্রিয়াকলাপই হোক, কিম্বা রাষ্ট্রনেতার হিমালয়ের গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকার কাহিনী বা ফি-বছর দিওয়ালির সময় একাকী জঙ্গলে গিয়ে তপশ্চর্যার গল্প - কোনোটিরই অন্তর্লীন উদ্দেশ্য ও ভাবনাকে বুঝতে অসুবিধে হয় না।

    না, রামজন্মভূমি আন্দোলন বা সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক রামমন্দির তৈরীর নির্দেশ - সেসব প্রসঙ্গে যাচ্ছিই না। বিজ্ঞাপনী ভাষায় বলা যায়, সেসব এখন অতীত। বললামই তো, নয়াদিল্লির সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রজেক্ট নিয়ে লিখতে বসেছি। না, খাতায়-কলমে বা প্রচারে এই প্রজেক্ট "ঐতিহাসিক অন্যায়"-এর প্ররিবিধানের উদ্দেশে নিয়োজিত নয় - বা আমাদের সামগ্রিক রাষ্ট্রীয় বিশ্বাসের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের উদ্দেশে নির্মিত নয়। কিন্তু, বাইরের মোড়ক ভিন্ন হলেও লক্ষ্য একই - বা বলা ভালো, এক বৃহৎ প্রকল্পের ক্ষুদ্র অংশ নয়াদিল্লির সেন্ট্রাল ভিস্তা - ঠিক যেমন একটি অংশ ছিল অযোধ্যা।

    এতদূর পর্যন্ত যে কথা বললাম, আপাতদৃষ্টিতে তা ধান ভানতে শিবের গীত মনে হলেও, সরকারবাহাদুরের নতুন সিদ্ধান্তটির তাৎপর্য অনুধাবন করতে হলে কথাগুলো মাথায় রাখা জরুরী।

    এবং গিয়ার্জের কথাটুকুর প্রেক্ষিতে স্মরণে রাখা জরুরী, রাষ্ট্রব্যবস্থাকে নাগরিক ও শাসকের মধ্যে একটি চুক্তি হিসেবে দেখার পরিবর্তে আমরা যদি রাষ্ট্র-নির্মিত আনুষ্ঠানিকতা বা রাষ্ট্রনেতা-ভজনার পৌত্তলিকতায় বুঁদ হতে থাকি, তাহলে রাষ্ট্র আমাদের কাছে অনিবার্য বলে বোধ হয় - সেই ভবিতব্য হিসেবে মেনে নেওয়ার হাত ধরেই রাষ্ট্র ক্রমশ আমাদের সার্বিক নিয়ন্ত্রকের চেহারা নেয়।

    বর্তমান শাসকদের দিকে একটু খুঁটিয়ে নজর রাখলে বৃহৎ সংখ্যার নাগরিকের ভাবনাহীন মেনে নেওয়া ও সেই সুযোগে শাসককুলের নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইতিহাসের পুনর্লিখনের প্রয়াসটি খুঁজে পাওয়া কঠিন নয় - এবং এই দুটি ক্রিয়া অনিবার্য বন্ধনে যুক্ত। অর্থাৎ, যত বেশী মানুষ চিন্তাহীন মেনে নেন, ততোই ইতিহাসের পুনর্লিখন সরল হয় - আর ইতিহাসের পুনর্লিখন যত অগ্রসর হয়, ততোই বেশী মানুষ ভবিতব্যের সুরে শাসকের বাণী মেনে নেন।

    মুঘল আমল বা শাসকের ভাষায় মুসলমান যুগ নিয়ে যথেষ্ট নাড়াচাড়া করার পরে - দেশের একটি বড় অংশের মানুষের সামনে মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষের শাসকদের বহিরাগত লুঠেরা ও "ভারতীয় সংস্কৃতি'-র ধ্বংসকারী হিসেবে প্রমাণ করার পরে - এই দফায় হাত পড়েছে ব্রিটিশ আমলে। দ্বিতীয়ত, এতদিন যাবৎ স্থাপত্যক্রিয়া ও পুনর্গঠন সীমাবদ্ধ ছিল প্রান্তে - কিন্তু যতদিন না পর্যন্ত ক্ষমতার কেন্দ্রটিকে পছন্দানুযায়ী স্থাপত্য দিয়ে সাজিয়ে তোলা যাচ্ছে, ততোদিন অব্দি প্রকল্প অসম্পূর্ণ থাকে - অতএব, এই দফা হাত পড়ল রাষ্ট্রক্ষমতার কেন্দ্রভূমিতে - রাজধানী নয়াদিল্লিতে।

    নয়াদিল্লির কেন্দ্রীয় অংশের পুনর্নির্মাণ পরিকল্পনা শুরু হয়েছে - সাড়ে তিন কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ও আনুমানিক চার বর্গকিলোমিটার আয়তনের সেন্ট্রাল ভিস্তা এবং পরিকল্পনানুসারে এগোনোর ব্যাপারে আদালতের ছাড়পত্রও মিলে গিয়েছে।

    নয়াদিল্লির এই সেন্ট্রাল ভিস্তা - এক অনবদ্য স্থাপত্য শৈলী। এখানেই রয়েছে পার্লামেন্ট ভবন - রয়েছে নয়াদিল্লির বেশ কিছু আকর্ষণীয় স্থাপত্য - রাষ্ট্রপতি ভবন, নর্থ ব্লক, সাউথ ব্লক, ইন্ডিয়া গেট ইত্যাদি।

    ১৯১২ থেকে ১৯১৯ সালের মধ্যে তৈরী হয় এই অংশটি। ঔপনিবেশিক আদর্শ মেনে শাসনকেন্দ্রটির আড়ম্বর ও গাম্ভীর্য রক্ষা করেই এই স্থাপত্য। কিন্তু, ক্ষমতার সুর মেনে স্থাপত্যের জন্ম হলেও, সেই স্থাপত্যের শিল্পের পর্যায়ে উত্তরণ ঘটানো একমাত্র মহান শিল্পীর দ্বারাই সম্ভব।

    এডউইন লুটিয়েন্স তেমনই এক শিল্পী - সাথে ছিলেন হারবার্ট বেকার। তাঁদের হাতে সৃষ্ট নয়াদিল্লির সেন্ট্রাল ভিস্তা - একটি একটি করে স্থাপনা অর্থাৎ খণ্ডদৃশ্য হিসেবে - আবার সামগ্রকিভাবেও - এক অসামান্য মাস্টারপিস। (প্রবাসী ভারতীয় শিল্পী-ভাস্কর অনীশ কাপুর নয়াদিল্লির এই সেন্ট্রাল ভিস্তা অঞ্চলটির স্থাপত্যগুলিকে একত্রে গ্র‍্যান্ডেস্ট গভর্নমেন্ট বিল্ডিংস অফ দ্য ওয়ার্ল্ড বলে মনে করেন। হ্যাঁ, অনীশ কাপুর - জন্মসূত্রে ভারতীয়, কিন্তু ব্রিটিশ নাগরিক এই শিল্পী বর্তমান বিশ্বের শিল্পজগতে একটি প্রধান নাম - এবং বিশ্বজোড়া খ্যাতির হিসেবে বিচার করতে গেলে, তিনি যে উচ্চতায় পৌঁছাতে পেরেছেন, ভারতীয় বা ভারতীয় বংশোদ্ভূত কোনো শিল্পীর পক্ষেই তা সম্ভব হয়নি। কাজেই, অনীশ কাপুর আর পাড়ার চায়ের দোকানের পাঁচুদা - আর্কিটেকচারাল বিল্ডিং-এর ডিজাইন বা শিল্পসৌকর্যের বিচার করার ব্যাপারে দুজনের মন্তব্যের গুরুত্ব একটু আলাদা।)

    নয়াদিল্লির কেন্দ্রের এই সেন্ট্রাল ভিস্তা ও সেখানকার অসামান্য স্থাপত্যের ইতিহাস যদি ফিরে দেখতে চাই, তাহলে স্পষ্ট হয় - ঔপনিবেশিক শাসকের শাসনকেন্দ্রের গৌরব চিহ্নারিত করতেই লুটিয়েন্সের (সহযোগী বাস্তুকার ছিলেন হারবার্ট বেকার) হাতে সেই স্থাপনার জন্ম - কিন্তু, উপনিবেশটির অতীত, অন্তত উপনিবেশটির নিজস্ব স্থাপত্যশৈলীর অতীত মুছে ফেলার চেষ্টা হয়নি সেখানে।

    মুঘল আমলের স্থাপত্যে ব্যবহৃত লাল পাথর - মুঘল নির্মাণশৈলী, হিন্দু মন্দির ও বৌদ্ধ স্তূপের নির্মাণশৈলী - সব মিলিয়ে মিশিয়েই সৃষ্ট হয় সেন্ট্রাল ভিস্তা। হ্যাঁ, ব্রিটিশ রাজের আবেগ ও চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে শাসকের গরিমাটি যাতে সহজেই চোখে পড়ে, সে আড়ম্বরের ঘাটতি ছিল না লুটিয়েনের স্থাপত্যে - কিন্তু, শিল্পী লুটিয়েন্স ও বেকারের সৃজনশীলতার শেষে, একই শহরের আরেকপ্রান্তে থাকা পুরোনো লাল কেল্লার পাশে নতুন সেন্ট্রাল ভিস্তা কখনোই বেমানান ঠেকে নি।

    বরং, লুটিয়েন্স-বেকার এমন করে পুরাতন ঐতিহ্যকে মিশিয়ে পুরাতনের পাশে নিজের সৃজনের স্থাপনা করতে সক্ষম হয়েছিলেন, যাতে নতুন সেন্ট্রাল ভিস্তা হয়ে উঠেছিল লাল কেল্লার পরিপূরক - অথবা, আরেকটু সাজিয়ে বলতে গেলে, তাঁদের এই মাস্টারপিসে যেন স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল লাল কেল্লার মুঘল শাসনের দিনগুলো পার হয়ে এক নতুন শাসনকালে উত্তরণের বহিঃপ্রকাশ।

    আপাতত, সেসব এখন "উন্নয়ন"-এর কবলে পড়ার মুখে।

    ঔপনিবেশিক শাসন আমাদের দেশের পক্ষে সুখকর হয়নি - কোনো উপনিবেশের পক্ষেই তা সুখকর হয় না - কিন্তু, সে শাসন আমাদের ইতিহাসের অংশ। সে ইতিহাসের চিহ্ন হিসেবে ইতস্তত ছড়িয়ে থাকা স্থাপত্যের নমুনা গুঁড়িয়ে দিলেই ইতিহাসটুকু মুছে দেওয়া যায় না।

    ব্রিটিশ স্থাপত্যের নয়াদিল্লিকে গড়েপিটে "ভারতীয় ভাবধারার স্থাপনশৈলী"-তে রূপান্তরিত করার প্রয়াসটিই বিপজ্জনক - উদ্দেশ্যও খুব প্রচ্ছন্ন নয় - কেননা, ভারতীয়ত্বের নির্মাণপ্রক্রিয়ার সাক্ষী অল্পবিস্তর আমরা সবাই - এবং গত কয়েক বছরে ইতিহাস মুছে ফেলে নতুন ইতিহাস রচনার সর্বাঙ্গীণ প্রয়াসে বাড়তি সক্রিয়তা দেখা যাচ্ছে।

    অতএব, প্রাথমিকভাবেই কাজটি একটি বৃহৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিকর প্রজেক্টের অংশ - অন্যায় - এবং প্রতিবাদযোগ্য।

    প্রকল্পের বাকি আপত্তিকর দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করা যেতেই পারে - কিন্তু, তা বাহুল্য মাত্র।

    যেমন, আপনি প্রশ্ন তুলতেই পারেন, দেশের এই দুর্গতির মুহূর্তে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় - পঁচিশ হাজার কোটি টাকা আনুমানিক ব্যয় - এবং সর্দার প্যাটেলের মূর্তি শিখেয়েছে, এসব ক্ষেত্রে আসল ব্যয় আনুমানিক ব্যয়ের চেয়ে অনেকখানি বেশী - এই বিপুল ব্যয় কতখানি যুক্তিসঙ্গত!! বিশেষত, যখন দুর্গতির মুখে পড়া শ্রমিক বা হতদরিদ্র মানুষদের সরাসরি আর্থিক সহায়তা পৌঁছাতে পারছেন না সরকার?

    এই লকডাউনের বাজারে করোনা-মহামারির আতঙ্কের মুহূর্তে স্থাপত্য ইত্যাদি নিয়ে কথা বলছি কেন, সেই প্রশ্ন করলে উত্তর অবশ্যই রয়েছে - কেননা, দেশজোড়া এই অনিশ্চয়তার মধ্যেও সরকারবাহাদুর সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রজেক্ট নিয়ে খুব দ্রুত এগিয়ে চলেছেন। সঙ্কটের মুহূর্তে নাগরিকরা যখন নিজেদের বাঁচাতে ব্যস্ত, ঠিক সেই সময়টিই কৌশলী শাসক বেছে নেন নিজস্ব অ্যাজেন্ডা পূরণের সুযোগ হিসেবে - কেননা, প্রতিবাদ-প্রতিরোধের সম্ভাবনা তখন কম। ইতিহাসে এমন নজির অজস্র - বর্তমানে পুনরাবৃত্তি হলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই।

    যেমন, আপনি প্রশ্ন তুলতেই পারেন, সেভাবে পাব্লিক ডিবেট বা পার্লামেন্টেও তেমন আলোচনা ছাড়াই সরকারবাহাদুর আমাদের ঐতিহাসিক স্থাপত্যে এমন করে হাত দিতে বসলেন কেন ও কীভাবে??

    যেমন, দিল্লীর পরিবেশের হাল তো সকলেই অল্পবিস্তর জানেন। এই বিপুল পুনর্গঠনের প্রভাব পরিবেশের উপর কেমন দাঁড়াবে?

    যেমন, তথাকথিত আধুনিকীকরণের নামে সব শহরকে একই ছাঁচে ফেলে দেওয়ার অর্থ কী? প্রতিটি শহরের নিজস্ব ইতিহাস রয়েছে - রয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতি - যদি আধুনিক সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে শহরকে সেজে উঠতেই হয়, সে সাজ নগরের স্বকীয়তার বিনিময়ে হতে হবে কেন?

    শেষ প্রশ্নটির উত্তরে একটি নাম নিয়ে কিঞ্চিৎ আলোচনা জরুরী। বিমল প্যাটেল।

    মোদী-শাহের জমানায় অখন্ড ভারতীয়ত্বের অনুশীলনে গুজরাট রাজ্যটি একেবারে কেন্দ্রীয় চরিত্র হয়ে উঠেছে - স্থাপত্যবিদ বিমল প্যাটেলও সেই রাজ্যের।

    প্যাটেলের সাথে মোদিজীর সখ্য অনেকদিনের। মোদিজী গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন বিমল প্যাটেল সম্পূর্ণ করেন সবরমতী রিভারফ্রন্ট প্রোজেক্ট - মোদীজির গুজরাট বিজ্ঞাপনের অন্যতম উজ্জ্বল ছবিটি সেই প্রোজেক্টের। প্রাথমিক প্রতিশ্রুতিতে নদী সংস্কার নিয়ে প্রচুর কথা থাকলেও, কার্যকালে নদীসংস্কার দাঁড়ায় নামমাত্র। বছরের অধিকাংশ সময়েই শুকনো থাকা সবরমতী নদীতে নর্মদা ক্যানাল থেকে জল সেচ করে আর্দ্র রাখার বন্দোবস্ত করে দুটি পাড় কংক্রিটে ঢালাই করা - উচ্ছেদ হন বারো হাজারেরও বেশী সংখ্যক পরিবার। কিন্তু, ওই যে বললাম, ঝলমলে বাঁধানো পাড়ে সুন্দর হাঁটার ও বসার জায়গা - দৃষ্টিনন্দন ও ফটোজেনিক - বিজ্ঞাপনী ব্রশিওরের পক্ষে একেবারে উপযুক্ত।

    অতএব, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী ক্ষেত্র বারাণসীতে কাশী বিশ্বনাথ করিডোর তৈরীর মুহূর্তেও সে বরাত পান বিমল প্যাটেলই। বেনারস - হ্যাঁ, পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম প্রাচীন নগর বেনারসের ঐতিহ্যের বিষয়ে বিন্দুমাত্র তোয়াক্কা না করেই নির্মাণকাজ চালান বিমল প্যাটেল। গলিঘুঁজির শহরে পুরোনো বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে গড়ে ওঠে কংক্রিটের প্রশস্ত করিডোর - উন্নয়ন যাকে বলে। বিপুল সমালোচনার উত্তর দিতে গিয়ে বিমল বলেন, আমরা আমাদের ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নিশ্চয়ই হবো, কিন্তু সেই ঐতিহ্য যেন আমাদের বন্দী না করে রাখে। ইতিহাস সাক্ষী, এত বছরের ইতিহাসে বারাণসী বহুবার ভাঙাগড়া হয়েছে - এই মুহূর্তে যা যা ভাঙা প্রয়োজন, সেটুকু ভাঙার সাহস দেখাতে পারা জরুরী।

    অতএব, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতি ঠিক কতোখানি শ্রদ্ধা পোষণ করেন কংক্রিটপ্রেমী এই বাস্তুকার, তা সহজেই অনুমেয়। এই দফায় পঁচিশ হাজার কোটি টাকার নয়াদিল্লির সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের বরাত পেয়েছেন সেই বিমল প্যাটেলই।

    নয়া পার্লামেন্ট ভবন বিষয়ে নিজের পরিকল্পনার কথা বলতে গিয়ে বিমল বলেছিলেন, এই ভবন হবে এমন, যা বেশ জোরালোভাবে প্রকাশ করতে পারবে জাতি হিসেবে আমরা ঠিক কী - স্থাপত্য প্রকাশ করবে আমরা নিজেদের অতীতকে ঠিক কেমনভাবে দেখতে চাই, আর ভবিষ্যতের দিকেই বা কেমন প্রত্যাশার চোখে তাকিয়ে আছি।

    কথাগুলো শুনতে খুবই ভালো - কিন্তু, এধরনের কথা আমরা ক্ষমতার রাজনীতির মুখে শুনে খুব অভ্যস্ত। জাতি হিসেবে আমাদের প্রত্যাশা কী - এর উত্তর আম্বানি থেকে কাজ-হারানো শ্রমিক সর্বস্তরে একই হয় না - এবং স্থাপত্যের মধ্যে দিয়ে কোনো শ্রেণীর চাওয়া প্রকাশিত হলে, কোন শ্রেণীর চাওয়াটি গুরুত্ব পায়, সে নিয়ে আলোচনা অবান্তর।

    বিমল প্যাটেল দক্ষ বাস্তুকার নিঃসন্দেহে - শহর পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে তাঁর দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কিছু কম নয় - কিন্তু, ঐতিহ্য রক্ষা করে স্থাপত্য তাঁর কাছে আশা না করাই ভালো। অবশ্য, ইতিহাস ও ঐতিহ্য রক্ষা করে সংস্কার তো কখনোই অ্যাজেন্ডার মধ্যে ছিল না।

    তাহলে?

    অনীশ কাপুরের কথাটুকু দিয়েই শেষ করি -

    না, এই প্রকল্প স্রেফ কিছু বিল্ডিং বা স্থাপত্যের পুনর্গঠন বা পুনর্বিন্যাস নয়। এই প্রকল্প নরেন্দ্র মোদীর নিজেকে কেন্দ্রে স্থাপন করার উদ্দেশে নিবেদিত - এবং এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য মোদীর উত্তরাধিকারকে হিন্দু ভারতবর্ষের রূপকার হিসেবে পাকাপাকিভাবে প্রতিষ্ঠা দেওয়া।

    এর পরে মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। তাই না??
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২৭ মে ২০২০ | ৩৯২৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Jayanta Das | ২৭ মে ২০২০ ০৯:১২93749
  • পঁচিশ হাজার কোটি টাকা শেষদিকে পঁচিশ কোটি লিখেছেন।

    বাকিটা লা জবাব।

  • dc | 103.195.***.*** | ২৭ মে ২০২০ ০৯:২৮93750
  • "আমরা আমাদের ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নিশ্চয়ই হবো, কিন্তু সেই ঐতিহ্য যেন আমাদের বন্দী না করে রাখে"

    এটা একটা অসাধারন কথা। একেবারে আমার মনের কথা, আমার লাইফ ফিলোজফি বলতে গেলে। আমি সবসময়ে এগিয়ে যেতে চাই, কোথাও আটকা পড়ে থাকতে চাইনা। পুরনো নিয়ম, পুরনো ঐতিহ্য, এসবে আমার খুব একটা ইন্টারেস্ট নেই। এই বিমল প্যাটেলের নাম আমি আগে শুনিনি, কিন্তু ভারি সুন্দর কথাটা বলেছেন।

    এ বছরের জানুয়ারি মাসে পুরী গেছিলাম, মা অনেক দিন ধরে জগন্নাথের মন্দির দেখবো বলে বায়না করছিল। তো সেই মন্দিরে আমরা যে পান্ডার সাথে ছিলাম উনি সব কিছু ঘুরিয়ে দেখাচ্ছিলেন, মার সাথে ওনার অনেক কথা হচ্ছিলো। আমি একটু পেছনে ছিলাম, মন্দিরে আমার তেমন আগ্রহ নেই। এর মধ্যে এক সময়ে শুনলাম মাকে বলছেন, এই যে সরু সরু সব রাস্তা দেখছেন, এসব আর থাকবে না। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বিজু পটনায়েক মন্দিরের চারপাশের সব দোকানপাট, বাড়িঘর ভেঙে নতুন চওড়া রাস্তা বানানোর কাজে হাত দিয়েছেন। সেটা হয়ে গেলে ভিড়ও কমে যাবে, দর্শনার্থীদেরও সুবিধা হবে। এটা শুনে আমিও ওনার সাথে কথা বললাম, উনি আমাকে দেখালেনও, কয়েক জায়গায় ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে।

    তখন মনে হলো, কাশীতেও তো এরকম করিডোর বানানো হচ্ছে, ভোটের আগে নিয়মিত সে নিয়ে আলোচনাও হতো। এরকম করিডোর বানানো হলে তো ভালোই হয়। কাশী নিয়ে আমার নিজের কোন ইন্টারেস্ট নেই, তবে পুরনো জিনিষ ভেঙে নতুন কিছু বানানো হলে আমার ভালোই লাগে। এটা একটা কনস্ট্যান্ট প্রসেস হওয়া উচিত বলে মনে হয়।
  • শেখর সেনগুপ্ত | 115.97.***.*** | ২৭ মে ২০২০ ০৯:৩৩93751
  • স্থাপত্যের রাজনীতির এ এক অসাধারণ ব্যাখ্যা।  চমৎকার লিখেছেন বিষাণ।

  • শেখর সেনগুপ্ত | 115.97.***.*** | ২৭ মে ২০২০ ০৯:৩৩93752
  • স্থাপত্যের রাজনীতির এ এক অসাধারণ ব্যাখ্যা।  চমৎকার লিখেছেন বিষাণ।

  • Amit | 203.***.*** | ২৭ মে ২০২০ ১০:০১93753
  • পুরোনো ভেঙে নতুন হলে হোক না, কিন্তু ইন্ডিয়াতে যাদের কে উচ্ছেদ করে সেসব হচ্ছে, তাদের পুনর্বাসন টা দেখা হয়কি ? ওটা হলেই এতো সমস্যা থাকেনা. এখনো অবধি নর্মদা হোক বা প্যাটেল এর মূর্তি, উল্টোটাই তো বেশি দেখা যায়.
  • !@#$%^& | 2405:201:8805:37e9:2d98:acd9:9bfc:***:*** | ২৭ মে ২০২০ ১০:১৯93754
  • dc, সে তো ঠিক আছে। তবে ধরুন জগন্নাথ মন্দিরটাই ভেঙে টেঙে প্লাস্টার করে রং করে দিল, তখন কী হবে? ধরুন তাজমহলটাকে ভেঙে একটা ফিউচারিস্টিক ব্যাপার বানিয়ে দিল।
  • dc | 103.195.***.*** | ২৭ মে ২০২০ ১০:২৭93755
  • সত্যি বলছি, এগুলো হলে আমার কোন আপত্তি নেই ঃ-) তাজ মহল কদিন হলো বানানো হয়েছে? পাঁচশো বছর? মানুষের ইতিহাস কদিনের, এক লক্ষ বছর? চোখের পলক ফেলবার বেশী সময় না। যদি টিঁকে থাকে তো এক হাজার বছরের মধ্যে এই পৃথিবীটা ফেলে আরও কতো নতুন নতুন গ্রহে ছড়িয়ে পড়বে সবাই। তখন কোথায় কার পার্লামেন্ট আর কোথায় কোন তাজ মহল আর জগন্নাথ মন্দির। নাথিং এভার ইজ পার্মানেন্ট ঃ-)
  • Amit | 203.***.*** | ২৭ মে ২০২০ ১০:৩৩93756
  • আমার ও আপত্তি নেই, জাস্ট যাদেরকে উচ্ছেদ করে এগুলো গড়া হচ্ছে তাদের কে ঠিক ঠাক পুনর্বাসন দিলেই হলো.
  • !@#$%^& | 49.37.***.*** | ২৭ মে ২০২০ ১০:৩৫93757
  • হুমঃ)
    পার্মানেন্ট তো নয় ঠিকই। তবে তার জন্যে এসব জিনিস মোদীজীর ডিস্ক্রিশনের ওপর ছেড়ে দিতে হলে, সেইটা একটু চাপ আরকি।
    তাহলে কি এই ল্যুভর ট্যুভর, বা আমাদের মিউজিয়াম, এইসব জিনিসও উচ্ছেদ হবে, না সেসবকে ছাড় দেওয়া হবে, বা ধরুন গোলকোন্ডা দূর্গ, ভিমবেটকার গুহা, ওদিকে আলতামিরা, মাচুপিচু, ইস্টার দ্বীপ, গিজা, ভ্যাটিকান (লাইব্রেরি সহ) - এইসব থাকবে, না ধুনিকীকরন হবে তাও ভাবছি।
  • !@#$%^&* | 49.37.***.*** | ২৭ মে ২০২০ ১০:৩৬93758
  • ধুনিকীকরন না, আধুনিকীকরন , এমন ভুলভাল টাইপো কী করে যে হয়।
  • dc | 103.195.***.*** | ২৭ মে ২০২০ ১০:৪৭93759
  • ধুনে দিয়ে আধুনিকীকরন :d

    হোক না, আপত্তি কিসের? দু হাজার বছরের তো মোটে ব্যপার, দুহাজার বছর পর দেখবেন সব পাল্টে গেছে, সেগুলোকেই তখন পুরনো মনে হচ্ছে।
  • Prativa Sarker | ২৭ মে ২০২০ ১৫:৩৫93771
  • পুরনোকে নিশ্চিনহ করে যে আধুনিকীকরণ আমি তার স্বপক্ষে নই। ভাবা যায় বিদারের সমস্ত স্থাপত্য প্রাসাদ ভেঙেচুরে আধুনিক অট্টালিকা বানানো হয়েছে। মানবসভ্যতার প্রাচীনত্বের কাছে  হাজার দুহাজার বছর কোনো ব্যাপারই না, বা খেলো ব্যাপার।

    কাশি করিডর দেখে এসেছি। প্রচুর প্রাচীন মন্দির, বসতবাড়ি বুলডোজারে গুঁড়িয়ে গঙ্গামাইয়া টু বিশ্বনাথ মন্দির এক কনক্রিটের চওড়া পট্টি হচ্ছে। মণিকর্ণিকা ঘাটের গঙ্গাদূষণ এই উন্নয়নবাদীদের চোখে পড়ে না কেন কে জানে!! 

    ক্ষমতার সঙ্গে শুধু স্থাপত্যের সম্পর্ক না গোটা শিল্পকলার ?  বিরাট প্রাসাদ তো শুধু নয় মিনিয়েচার পেইন্টিং, অলঙ্কারশিল্প সবই তো ক্ষমতার বশ। সঙ্গীত বা নৃত্যকলা সবই তো রাজানুগ্রহে। 

    যতোই গুণগ্রাহী হই না কেন, একপিস মকবুল ফিদা কিনতে পারব?? 

  • একলহমা | ২৭ মে ২০২০ ২১:০৮93780
  • "যতোই গুণগ্রাহী হই না কেন, একপিস মকবুল ফিদা কিনতে পারব??" - এক্কেবারে অছাম ... । এইটে ভাবলেই সমাজে আমার অবস্থানটা এত চমৎকারভাবে পরিষ্কার  হয়ে যায়! - প্রতিভাদি লা-জবাব।

    অতএব, প্রিয় লেখক বিষাণ, আপনার লেখায় পূর্ণ সহমত। সেই সাথে এইটেই হওয়ার কথা বলেও আমার নিশ্চিত প্রতীতি আছে। এ জলতরঙ্গ  রোধিবে কে। হরে মুরারে। 

  • sm | 2402:3a80:ab5:a492:0:63:8f8a:***:*** | ২৭ মে ২০২০ ২১:৩৪93782
  • কি জানি,পুরনো স্থাপত্য দেখলে নিজেকে কতো ক্ষুদ্র মনে হয়।আমিত্ব টা হারিয়ে যায়।টাইম মেশিনে চড়ে পড়ি। আধুনিক সভ্যতা থেকে ছুটে পালাতে ইচ্ছে করে।

    যখন ছোট ছিলাম,বাবার সঙ্গে madurai at রামেশ্বর মন্দির দেখেছিলাম।কি বিশাল লম্বা মন্দির।কি কারুকার্য!যাকে বলে স্তব্ধ বাক হয়ে গেছিলাম।

    পুরীতে পুরীর মন্দির এর চেয়েও বেশি অবাক হই কোনারক এর মন্দির দেখে। অতো বড় মন্দির।পাথরের তৈরি। তাও একটা রথের শেপে!

    ডিসি,তাজমহল দেখেছেন নিশ্চয়।আমারও বিশাল ভালো লাগে নি,প্রথম দর্শনে।কেমন হলুদ হলুদ ভাব। কিন্তু ভাগ্যক্রমে দিনটা ছিল শুক্রবার আর পূর্ণিমা।রাত আট টা অবধি থাকতে দিয়েছিল। দূর থেকে দেখে মনে হচ্ছিল,তাজমহলের গায়ে কে সাদা বরফ লেপে দিয়েছে।একদৃষ্টে তাকিয়ে ছিলাম,কতক্ষন কে জানে!চমক ভাঙলো, যখন কে পাশ থেকে বলে উঠলো;করলো সাব, আখরি দীদার!

    টুকরো টুকরো জিনিষ। কাশীর গলি,পুরীর মন্দিরের চত্বর,তিরুপতি বোম্বাই লাড্ডু,রেড ফোর্টের বিশালত্ব, আগ্রা ফোর্ট এর ভিতরটা -- কেমন জানি উদাস করে দেয়।এইসব  স্থাপত্ব গুলোর ওপর এযুগের মানুষ কারি কুরি করবে ভাবলেই কষ্ট হয়।

    দার্জিলিং থেকে মিরিক যাওয়ার পথে,গোপালধারা চা বাগানের ধারে একটা দোকানে চা খেতে খেতে দুদিক তাকিয়ে সত্যিই নিজেকে হারিয়ে ফেলি।ঐখানে একটা পাঁচতারা হোটেল গজালে ,অপমানে কেঁদে ফেলবে।

    মানুষ আরো উন্নত হবে।কাঞ্চন ঝেঙ্ঘর চূড়োয় রিসোর্ট বানাবে।সেটাও জানি।কিন্তু ততদিনে আরো ওপরে উঠতে পারলেই খুশী হবো।

  • dc | 103.195.***.*** | ২৭ মে ২০২০ ২১:৪৪93784
  • sm, তাজমহল দেখেছি, ভালো লেগেছে। ল্যুভর ও দেখেছি, যদিও পুরো দেখতে পারিনি, সেও ভালো লেগেছে। যন্তর মন্তরও দেখেছি, ভারি ইন্টারেস্টিং। আবার বুর্জ খলিফা দেখিনি, কিন্তু দেখার ইচ্ছে আছে। নানা জায়গায় ঘুরে ঘুরে এসব দেখতে তো ভালোই লাগে। আবার এগুলো ভেঙে ফেলে এদের জায়্গায় অন্য কিছু বানালেও হয়তো ভালোই লাগবে দেখতে।
  • sm | 2402:3a80:ab5:a492:0:63:8f8a:***:*** | ২৭ মে ২০২০ ২১:৫৮93786
  • যা বাবা, ভেঙ্গে ফেলতে হবে কেন? মানুষ নতুন বিল্ডিং,স্থাপত্য তৈরী করুক না।

    চাই কি,দু নম্বর তাজমহল বানাক।চৌকো শেপের করুক।নতুন পিরামিড বানাক। কিন্তু পুরনো গুলো ভাঙতে হবে কেন?ওসব জিনিষ এর সঙ্গে কতো ইতিহাস,কতো কাহিনী জড়িয়ে...

    দিল্লি তে একটা লোটাস টেম্পল আছে।লন্ডনে বিরাট স্বামী নারায়ণ টেম্পল আছে।ভালই লাগে দেখতে।কিন্তু ওইটুকুই।তার পর কোন রেশ থাকে না।বার বার বিল্ডিং এর টানে ছুটে যেতে ইচ্ছে করে না।

  • dc | 103.195.***.*** | ২৭ মে ২০২০ ২২:১০93787
  • ভাঙতেই হবে সেকথা বলিনি ঃ-) তবে তার বদলে অন্য কিছু হলেও আমার আপত্তি নেই। এই কথাটা আমার দারুন লেগেছেঃ "আমরা আমাদের ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নিশ্চয়ই হবো, কিন্তু সেই ঐতিহ্য যেন আমাদের বন্দী না করে রাখে"। অর্থাত এগিয়ে চলো, এগিয়ে চলো। কোথাও আটকে যেও না।
  • !@#$%^&UI | 2405:201:8805:37e9:c8d1:beed:b58c:***:*** | ২৭ মে ২০২০ ২২:৩৬93790
  • কথাটা ক্যাচি তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু ধরুন আমি বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলে ঐতিহ্য থেকে মুক্তি পেলাম কিন্তু তার ওপর রামমন্দির বানিয়ে ফেললাম, তো ঐ মুক্তিটা নিয়ে ঠিক কী করা হবে সেটা একটা সমস্যা।

    আমার কেমন মনে হচ্ছে ডিসি এখানে সেই পুরনো দিনের মত ডেভিলস অ্যাডভোকেট খেলে অন্য কোন ঠেকে চাড্ডি কাউন্টার করার রসদ খুঁজছেন।

    ঐতিহ্যের থেকে মুক্তি তো হবে চিন্তা ভাবনায়, দর্শনে, গোমুত্র সংস্কৃতির থেকে চিন্তার মুক্তিতে। কটা দালান ভেঙে কী হবে। ওগুলো নিছক অতীত গৌরবের রিমাইন্ডার, ভালো হয়েছে, আলো ভালো করতে হবে টাইপ।

    যদিও ল্যুটিয়েন বা প্রজার উৎপাদনের দামে সাম্রাজ্যবাদের জয়ধ্বজা গৌরবের কিনা সেটা অন্য তর্ক, স্কোপের বাইরে।
  • | ২৭ মে ২০২০ ২২:৪৫93791
  • এইবারে বুঝেছি। এই ডিসির পরামর্শেই মম্ব্যান শানু লাহিড়ীর ভাস্কর্য্যের বদলে ওই বিশ্ব৷ 'ব' বসায়ে রেখেছে চাদ্দিকে। আর ওই আস্খাম্বা পুতুল কতগুলো।
  • dc | 103.195.***.*** | ২৭ মে ২০২০ ২৩:১৬93792
  • বোঝ, আমি নাকি ব মার্কা মূর্তিগুলো বানাতে বলেছি! এদিকে আমি প্রথমবার মূর্তি দেখে ভয়ে ট্যাক্সি ড্রাইভারকে জাপ্টে ধরেছিলাম! :d
  • sm | 2402:3a80:ab5:a492:0:63:8f8a:***:*** | ২৭ মে ২০২০ ২৩:৩৬93793
  • ট্যাক্সি ড্রাইভার কি করে ড্রাইভ করছিলো?

  • একলহমা | ২৮ মে ২০২০ ০২:৪৬93796
  • এই কোশ্নটা আমারো :)

  • Amit | 203.***.*** | ২৮ মে ২০২০ ০৭:৩১93799
  • ডিসি গেলেন কোথায় ? এখনো ট্যাক্সি ড্রাইভার কে জাপটে ধরে আছেন নাকি ?
  • dc | 103.195.***.*** | ২৮ মে ২০২০ ০৮:৩৫93800
  • আর এই করোনার বাজারে কি কাউকে জাপ্টে ধরার উপায় আছে? :p
  • মোহিত রণদীপ | 2401:4900:1045:d858:0:45:cdb8:***:*** | ২৮ মে ২০২০ ২০:৪৫93809
  • খুব জরুরি লেখা! এই বিষয়ে ঠিক এরকমই একটা লেখা যোগ্য মানুষের কলমে পড়ার অপেক্ষায় ছিলাম! এমন তথ্যপূর্ণ এবং এই সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি লেখা আলোকিত করলো আমার মতো অনেক পাঠককে। অনেক ধন্যবাদ লেখক বিষাণ বসু এবং 'গুরুচণ্ডালি'-কে! 

    পরিশেষে একটি অনুরোধ 'গুরুচণ্ডালি'-র প্রতি, লেখক বিষাণ বসু-র সমস্ত লেখাগুলো সংকলিত করে এক মলাটের মধ্যে দেখতে চাই। আশাকরি, ভেবে দেখবেন আপনারা! 

  • মোহিত রণদীপ | 2401:4900:1045:d858:0:45:cdb8:***:*** | ২৮ মে ২০২০ ২০:৪৫93810
  • খুব জরুরি লেখা! এই বিষয়ে ঠিক এরকমই একটা লেখা যোগ্য মানুষের কলমে পড়ার অপেক্ষায় ছিলাম! এমন তথ্যপূর্ণ এবং এই সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি লেখা আলোকিত করলো আমার মতো অনেক পাঠককে। অনেক ধন্যবাদ লেখক বিষাণ বসু এবং 'গুরুচণ্ডালি'-কে! 

    পরিশেষে একটি অনুরোধ 'গুরুচণ্ডালি'-র প্রতি, লেখক বিষাণ বসু-র সমস্ত লেখাগুলো সংকলিত করে এক মলাটের মধ্যে দেখতে চাই। আশাকরি, ভেবে দেখবেন আপনারা! 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন