এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • ডক্টর্স ডে - ভেবে দেখার জন্যে কিছু কথা

    Bishan Basu লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০১ জুলাই ২০২০ | ৪৩৮৯ বার পঠিত
  • ডক্টর্স ডে - ভেবে দেখার জন্যে কিছু কথা

    বিষাণ বসু

    আজ ডক্টর্স ডে। অতএব, কিছু কথা বলে ফেলা যাক।

    যেহেতু, আজ ডাক্তারদেরই দিন, কাজেই ডাক্তারদের কথা-ই বলা যাক - চিকিৎসক হয়ে চিকিৎসকের দিকের কথা বলা যাক। পড়ে দেখুন, হয়ত তার মধ্যে আপনার কথাও রয়েছে।

    ১. না, বাজার যতোই বলুক, চিকিৎসা পণ্য নয়। চিকিৎসা পণ্য হতে পারে না। না, শুধু অত্যাবশ্যক পরিষেবা বা খুব বাধ্য না হলে কেউ ডাক্তারের কাছে যান না বলেই চিকিৎসা পণ্য নয়, তেমন অর্থে কথাটা বলছি না। অন্ন-বস্ত্রের প্রয়োজন চিকিৎসারও আগে। কিন্তু, সেই অন্ন বা বস্ত্র দিব্যি বিক্রি হতে পারে বাজারে। কল্যাণমুখী রাষ্ট্রের কাছে প্রত্যাশা বলতে, প্রান্তিক মানুষজনের অন্ন-বস্ত্র যাতে যথাযথ নিশ্চিত হতে পারে, সে অধিকার সুরক্ষিত করা। তাহলে, চিকিৎসাও কি তা-ই? অর্থাৎ আর্থিকভাবে সম্পন্ন মানুষ বাজার থেকে চিকিৎসা কিনবেন এবং গরীব মানুষের চিকিৎসার অধিকার নিশ্চিত করবেন সরকার??

    ২. না। আমার মনে হয়, এই ভাবনার গোড়ায় কিছু গলদ রয়েছে। চিকিৎসাকে পণ্য হিসেবে ভাবাটাই একটা বড় ভ্রান্তি।

    চাল-ডাল-আলু-পেঁয়াজ-জামাকাপড় যিনি বিক্রি করেন, সেই ব্যবসায়ীর কাছে আমাদের সর্বোচ্চ প্রত্যাশা তিনি যথাসম্ভব সততার সাথে ব্যবসা করবেন এবং ব্যবসা করে লাভ করবেন। চাল কেনার মুহূর্তে তিনি খারাপ চাল গছিয়ে দেবেন, এমনটা অনুচিত। কিন্তু, একই দামের পাঁচরকম চালের মধ্যে যেটাতে তাঁর লাভ বেশী সেই চাল আপনাকে দিলে আপনার আলাদাভাবে ক্ষোভের কারণ থাকে না, বিশেষত চাল যদি খারাপ না হয়। ডিসক্লেইমার দেওয়া থাক, এই মন্তব্যের মধ্যে ব্যবসায়ীদের ছোট করার মতো কোনো অসদুদ্দেশ্য নেই। কিন্তু, চিকিৎসকের কাছে প্রত্যাশা কি ঠিক তেমন?

    ৩. হাজার চেষ্টা সত্ত্বেও চিকিৎসার ক্ষেত্রে সচেতন ক্রেতা হওয়া মুশকিল, কেননা আপনার পক্ষে সবচেয়ে উপযুক্ত চিকিৎসা কোনটি তা বেছে নেওয়ার ক্ষমতা ডাক্তার বাদ দিয়ে আর কারো নেই। এবং, চিকিৎসার ফলাফল আশানুরূপ না হওয়ার কারণ ঠিক কী, সেই বিষয়ে চিকিৎসক স্বয়ং একশ শতাংশ নিশ্চিত হতে পারেন না অধিকাংশ ক্ষেত্রে - অচিকিৎসক রোগী-পরিজনের পক্ষে তো বুঝে ওঠা অসম্ভব।

    ৪. চিকিৎসার মুহূর্তে চিকিৎসক বিশেষজ্ঞ তো বটেই, একইসাথে তিনি তাঁর রোগীর স্বার্থরক্ষার অছি। এই আস্থা ও বিশ্বাস ছাড়া চিকিৎসা ব্যাপারটাই হয়ে ওঠে না। দোকানে জিনিস কেনার মুহূর্তে দোকানদার আপনার কীসে সবচেয়ে ভালো হয় সেকথা ভাবছেন, এমনটা খুব বেশী মানুষ ভাবেন বলে মনে হয় না - কিন্তু, বাজার-অর্থনীতির প্রবল ভক্তরাও অসুস্থ হলে ডাক্তারবাবুর কাছ থেকে তেমনটাই আশা করে থাকেন।

    ৫. বাজার যেদেশে শিরোধার্য, সেই মার্কিন মুলুকে ডাক্তারদের সংগঠন কেমন করে ভাবেন? আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের জুডিসিয়াল কাউন্সিল তিন কি চার দশক আগেই বলেছিলেন - "Under no circumstances may the physician place his own financial interest above the welfare of his patient. The prime objective of the medical profession is to render service to humanity. Reward or financial gain is a subordinate consideration."

    মাথায় রাখা যাক, উপরের মন্তব্য এমন সময়ে, যখন স্বাস্থ্য-চিকিৎসার ক্ষেত্রেও বাজারের নীতিকে শিরোধার্য করার দীর্ঘকালীন দাবীটি সাফল্যের মুখ দেখতে শুরু করেছে। এও মাথায় রাখা যাক, উপরের মন্তব্যটি চিকিৎসকদের সংগঠনের এবং এর মধ্যে জনগণের টাকায় পড়াশোনা করেছে তাহলে সার্ভিস দেবে না কেন গোছের আশ্চর্য উচ্চমার্গের দর্শন নেই।

    চিকিৎসা একটি পেশা এবং চিকিৎসক উপযুক্ত পারিশ্রমিক পাবেন ও উপার্জন করবেন, এসব মেনে নিয়েই কথাগুলো বলা হয়েছে। অর্থাৎ, আর পাঁচটা পেশাদারের মতো চিকিৎসকও একজন পেশাদার। কিন্তু, আর পাঁচটা পেশার থেকে চিকিৎসকের দায় একটু বেশী। উপার্জনই চিকিৎসকের একমাত্র বা প্রাথমিক উদ্দেশ্য হতে পারে না - রোগীর প্রতি মানবিক দায়বোধ এই পেশার প্রাথমিক কথা।

    ৬. চিকিৎসক ও রোগীর সম্পর্কটি সরাসরি সম্পর্ক - অর্থাৎ ওয়ান-টু-ওয়ান। যেহেতু চিকিৎসা একটি টিমওয়ার্ক, কাজেই এখানে চিকিৎসক বলতে পুরো টিমটাকেই ভাবা যাক - অর্থাৎ, চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মী সবাই। আরেকদিকে রোগীও একক নন, পরিজন তাঁর টিমের অনিবার্য সদস্য। সম্পর্কটি এই দুই টিমের মধ্যে সরাসরি। কোনো তৃতীয় পক্ষের উপস্থিতিই অনুপ্রবেশ - অবাঞ্ছিত অনুপ্রবেশ।

    ৭. সরকারি স্বাস্থ্যব্যবস্থা ব্যাপারটা নির্বাচিত সরকারের মতোই আধুনিক কালের ব্যাপার। তার আগেও চিকিৎসা ছিল। রোগী-চিকিৎসক সম্পর্ক ছিল। চিকিৎসকের কাছে রোগীর প্রত্যাশা এবং চিকিৎসকের তদ্জনিত দায় - এর উৎস কয়েকশো বছর কি কয়েক হাজার বছর ধরে চলে আসা এই সম্পর্কের ধারা।

    ছোট চেম্বারের "ছোট" ডাক্তারবাবু বা বাড়িতে এসে রোগী দেখে চা-জলখাবার খেয়ে যাওয়া ডাক্তারবাবু এই উত্তরাধিকারই বহন করে এসেছেন। এমনকি, একটু উদ্যোগী চিকিৎসকের দোতলা বাড়ি তুলে পাড়ার নার্সিংহোম করে ফেলাও এই ধারার বাইরে নয় - কেননা, রোগী ও চিকিৎসকের মধ্যে তৃতীয় কোনো পক্ষ আসার সুযোগ ঘটে নি।

    কিন্তু, এখানে চিকিৎসা অনেকখানি সীমাবদ্ধ রয়ে গিয়েছিল আর্থিক সঙ্গতিসম্পন্ন মানুষের মধ্যে। এবং বেশ কিছু ক্ষেত্রে নির্ভরশীল ছিল ব্যক্তি-চিকিৎসকের উদারতার উপরেও - অর্থাৎ, তিনি যদি গরীব রোগী দেখে পয়সা না নেন, সেই মানবিক বোধের উপরে।

    সকলের জন্যে চিকিৎসার উপযুক্ত পরিকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে কল্যাণকামী রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ ছিল, সম্ভবত, অনিবার্য। সরকারি স্বাস্থ্যব্যবস্থায় সরকার পরিকাঠামো নির্মাণ করেন - সকলে যাতে উপযুক্ত চিকিৎসা পেতে পারেন, তার একটা সামগ্রিক কাঠামো প্রস্তুত করেন - এবং কিছু নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারির বন্দোবস্তও করে থাকেন। কিন্তু, চিকিৎসক-পক্ষ ও রোগী-পক্ষের মধ্যে অনুপ্রবেশ সরকার সচরাচর করেন নি। এখনও সেভাবে করেন না।

    ৮. দীর্ঘদিন ধরে ভালোমন্দ মিশিয়ে চলে আসা এই ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক বদল আনল কর্পোরেট অনুপ্রবেশ। চিকিৎসার কর্পোরেট পরিকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে মুখ্য উদ্দেশ্যই হয়ে দাঁড়ালো মুনাফা - চিকিৎসক-পক্ষ ও রোগীপক্ষের মধ্যে অনুপ্রবেশ ঘটল তৃতীয় পক্ষের - দুইপক্ষের মাঝখানে যাঁরা দাঁড়ালেন, তাঁদের স্বার্থ চিকিৎসক বা রোগী উভয়পক্ষের স্বার্থ থেকেই আলাদা - অর্থাৎ, রোগী সারিয়ে তোলার শেষে চিকিৎসকের উপার্জন এবং রোগীর সেরে ওঠা, এই দুইয়ের বাইরের স্বার্থের কিছু মানুষ চিকিৎসাব্যবস্থার সাথে জড়িয়ে গেলেন। এই নতুন ব্যবস্থায় চিকিৎসক উপার্জন করতে পারলেন না অথবা রোগী সুস্থ হতে থাকলেন না, এমন কখনোই নয় - কিন্তু, চিকিৎসার উদ্দেশে নির্মিত একটি পরিকাঠামোর মুখ্য উদ্দেশ্য বদলে গেল - সেই অভীষ্টের মাঝে পড়ে যাঁরা চিকিৎসা করলেন এবং করালেন - করছেন এবং করাচ্ছেন - তাঁদের লাভ বা ক্ষতি এই ব্যবসায়িক ব্যবস্থার মূল প্রোডাক্ট নয় - স্রেফ বাই-প্রোডাক্ট মাত্র।

    ৯. আগের কথাটুকু খুব অস্বস্তিকর বা বিতর্কিত শুনতে লাগলে মনে করিয়ে দেওয়া যাক, যেকোনো কর্পোরেটের এক এবং একমাত্র আইনি ও ঘোষিত উদ্দেশ্য, শেয়ারহোল্ডারদের আর্থিক মুনাফা নিশ্চিত করা। এমনকি, সরকার-কর্তৃক বাধ্যতামূলক কর্পোরেট সোশ্যাল রেস্পন্সিবলিটি (আয়ের কিছু অংশ সামাজিক খাতে ব্যয় করার দায়বদ্ধতা) বা সিএসআর-ও নীতিগতভাবে সেই ঘোষিত লক্ষ্যের পরিপন্থী - যেকারণে ঘোর দক্ষিণপন্থী অর্থনীতিবিদ মিলটন ফ্রাইডম্যান এই সিএসআর ব্যাপারটিকে অনৈতিক বা ইমমরাল বলে অভিহিত করেন। যেখানে আইন মতে কর্পোরেটের একমাত্র উদ্দেশ্য শেয়ারহোল্ডারদের আর্থিক মুনাফা বৃদ্ধি, সেখানে অন্য খাতে ব্যয় - সে যত মহান উদ্দেশেই হোক না কেন - সে ব্যয় তো অপচয় ও অনৈতিক বটেই - একমাত্র যদি না সে ব্যয় বিজ্ঞাপন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে মুনাফার খাতা আরো মজবুত করতে পারে।

    স্বাস্থ্যক্ষেত্রের কর্পোরেট এবং বহুজাতিক ফ্যাশন-দ্রব্যের কর্পোরেটের আইনি কাঠামো ও আইনগত দায়দায়িত্ব, মূলগতভাবে, ভিন্ন নয়।

    ১০. এইরূপ কাঠামোর মধ্যে দাঁড়িয়ে - কর্পোরেট স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে মান্যতা দিয়ে - চিকিৎসক-পক্ষ ও রোগী-পক্ষের পারস্পরিক প্রত্যাশার জায়গাটা আর আগের মতো থাকতে পারে না। থাকাটা নিরর্থক। কেননা, সম্পর্ক-প্রত্যাশা-আস্থা যেভাবেই ভাবা যাক, তা পূর্বতন ব্যবস্থার উপরে নির্মিত - এবং এই নতুন ব্যবস্থা পুরাতনকে নিশ্চিহ্ন করার উদ্দেশে নির্মিত।

    আরেকবার, মনে করিয়ে দেওয়া যাক, সরকারি ব্যবস্থার পাশাপাশি চলে আসা ছোট চেম্বার বা ডাক্তারবাবুর নিজস্ব নিয়ন্ত্রণাধীন নার্সিংহোম, তার চাইতে কর্পোরেট হাসপাতাল চরিত্রগতভাবেই ভিন্ন গোত্রের। এবং, সমকালীন সমাজের রীতিনীতি বা মূল্যবোধের সাথে তাল মিলিয়ে ব্যক্তিচিকিৎসকের ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতা বা সততার পরিবর্তনের প্রশ্নের চাইতে ঢের বেশী গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসাভাবনার এই ধারাবদল।

    একে যদি উন্নতি ও প্রগতি বলে বিশ্বাস করেন, তাহলে প্রত্যাশা বদলে ফেলুন।

    আর পুরোনো বিশ্বাসের সম্পর্কে যদি আস্থাশীল হতে চান, তাহলে এই নতুন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কথা বলুন।

    দুটো একইসাথে চলে না। চলতে পারে না।

    দুই নৌকায় পা রেখে ঠিকঠাক দাঁড়িয়ে থাকাই মুশকিল - এগোতে পারার সম্ভাবনা তো দূরের কথা।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০১ জুলাই ২০২০ | ৪৩৮৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রৌহিন | 2401:4900:3140:6deb:e45e:4e1b:6a9d:***:*** | ০১ জুলাই ২০২০ ১৪:৪৮94792
  • একমত

  • শ্রুত্যানন্দ ডাকুয়া | 103.7.***.*** | ০১ জুলাই ২০২০ ১৪:৫৮94793
  • প্রত্যেকটি বক্তব্যের সঙ্গে পূর্ণ সহমত। রোগী ও চিকিৎসকের মধ্যে চলে আসা মুনাফা-সর্বস্ব তৃতীয় পক্ষকে আটকাতে রোগী চিকিৎসককে একজোট হতে হবে। স্বার্থটা আপাতভাবে রোগীর বলে মনে হলেও ডাক্তাররা এই পরিস্থিতিতে নিরাপদ নন। 

  • a | 14.2.***.*** | ০১ জুলাই ২০২০ ১৭:৩৯94795
  • লেখক নিজে ডাক্তার বলেই হয়তো সুকৌশলে এড়িয়ে গেলেন কর্পোরেটের সাথে থাকা ডাক্তারদের ভূমিকা। এবিষয়ে এক্টু গভীর আলোকপাত ন করায় লেখাটি প্যামহ্লেটের রূপ নিয়েছে
  • জয়র্ষি | ০১ জুলাই ২০২০ ১৯:১০94796
  • মনে পড়ে গেলো, মেডিকেল কলেজকে কোভিড ওনলি হাসপাতাল করায় এবং সরকারি স্বাস্থ্যের বেহাল দশার বিরুদ্ধে হবু চিকিৎসকরা আন্দোলনরত। এগুলো বাদ দিয়ে সত্যি "ডক্টর'স ডে" হয় না।

  • Prativa Sarker | ০১ জুলাই ২০২০ ১৯:৫৭94798
  • পুরনো বিশ্বাসের সম্পর্কই কাম্য। নাহলে গোটা ব্যাপারটা আরো যে কোথায় যাবে কোনো ধারণা নেই। এখনই নরকদর্শন হচ্ছে। নতুন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কথা বলার জায়গাও ক্রমে সংকুচিত করে আনা হচ্ছে। কোভিডের পরিপ্রেক্ষিতে জমায়েত, মিটিং মিছিল প্রায় নিষিদ্ধ। কিন্তু রথযাত্রা হয় পুরীতে এবং ছবিছাবা দেখলেই বোঝা যায় কতো নিয়ম মানা হচ্ছে সেখানে। 

    এই অবস্থায় মানুষ খুব বিভ্রান্ত। কোনো সহজ সমাধান সত্যি নেই। 

  • বিষাণ বসু | 2409:4060:90:965f:6d1a:aa2e:4bff:***:*** | ০১ জুলাই ২০২০ ২০:১৯94799
  • a-মহাশয়/য়া, লেখাটা পড়লে, সম্ভবত, বুঝতে অসুবিধে হয় না - কর্পোরেটের উদ্দেশ্য মুনাফা। দুর্নীতি যেহেতু সহজে মুনাফা বৃদ্ধি করাতে পারে, অতএব দুর্নীতি নিয়ে তাঁদের কোনো সমস্যা নেই (আগ্রহ রয়েছে)।

     এখন অনিবার্যভাবেই এই দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকেন ম্যানেজমেন্টের সাথে সাথে চিকিৎসকও। 

     কিন্তু, কথাটা আপনার খুব অবিশ্বাস্য ঠেকলেও বাস্তবটা হল, সে দুর্নীতিতে চিকিৎসকের ভূমিকা আর বস্তি উচ্ছেদ করে কারখানা/ফ্ল্যাট বানানোর ক্ষেত্রে সরাসরিভাবে সামনে দাঁড়িয়ে বস্তি উচ্ছেদ করতে বাধ্য হচ্ছেন যে কর্পোরেট কর্মচারী, তার ভূমিকা - উভয়ের মধ্যে বিশেষ ফারাক নেই। এবং উভয়ক্ষেত্তেই, কর্পোরেটের লক্ষ্য অনুযায়ী কাজ না করতে পারলে এক কর্মচারী/ডাক্তারের জায়গায় আরেকজন বসবে - কর্পোরেটের কেশাগ্রটুকুও বিচলিত হবে না। 

    আপনি ভাবতেই পারেন, হাসপাতালে ডাক্তারের অধিকার বা ক্ষমতা তার চাইতে অনেক বেশী। কিন্তু, সেসব এখন অতীত - আপাতত পাঁচতলা মল, পুরোটাই ব্যবসা। আগে মানুষ যেতেন অমুক ডাক্তারের কাছে, এখন যান অ্যাপোলো বা মেডিকা বা ফর্টিসের কাছে - ডাক্তার সহজেই রিপ্লেসেবল।

    শুনলে হয়ত আরো আশ্চর্য হবেন, ওষুধ কোম্পানির হাত ধরে আন্তর্জাতিক গবেষণার ফসল অনুসারে মোটামুটিভাবে হাঁচিকাশির চিকিৎসা করতে গেলেও বিশ-পঁচিশটা টেস্ট না করালে আপনাকে আদালতে জবাবদিহি করতে হতে পারে।  

    কাজেই,,ডাক্তারের ভূমিকা বলতে যতখানি ভেবে নেওয়া হয়, তার মধ্যে অনেকখানিই অতিরঞ্জন ও অবাস্তব ধারণা। ব্যক্তিচিকিৎসকের দায়িত্ব কি কিছুই থাকে না? থাকে তো বটেই। এই অর্থকে মোক্ষ ভাবার সময়ে বেড়ে উঠে আচমকা চিকিৎসকই অপাপবিদ্ধ রয়ে যাবেন, এমন দুরাশা না করাই ভালো। কিন্তু, আবারও বলি, সামগ্রিক চিত্রটিতে ব্যক্তিচিকিৎসকের ভূমিকা খুব বেশী নয়।

    তবে সত্যি বলতে কি, এসব ভাবনাচিন্তায় বড্ডো পরিশ্রম। তার চেয়ে ডাক্তারকে কশাই বা চামার ভেবে দুটো খিস্তি করতে পারলে প্রাণের আরাম হয়। আর যারই অভাব থাক, এই বিষয়ে ট্রেনে বাসে চায়ের দোকানে বিশেষজ্ঞের অভাব নেই।

    তেমন একটু জ্ঞানের প্রকাশ এখানেও রাখা যেতেও পারত। লেখার সাথে সাথে টাকরায় ছোঁয়ানোর মতো চাটনি হিসেবে থাকলে জমত বেশ।

    একবার অভ্যেস হয়ে গেলে চাটনি ছাড়া খাবার পানসে লাগে - এ তো জানা-ই কথা।

  • জয়ন্ত ভট্টাচার্য | 2409:4061:11b:44b0:dab7:8def:900f:***:*** | ০১ জুলাই ২০২০ ২১:০৪94801
  • আমি গতবছরের একটি দীর্ঘ লেখা বিষাণের লেখার পরিপূরক হিসেবে এখানে পোস্ট করলাম। একটু ধৈর্য ধরে পড়ুন।

    ১লা জুলাই বর্তমান পত্রিকার উত্তরবঙ্গ সংস্করণে সাংবাদিক বন্ধু নিজস্ব শ্রদ্ধামিশ্রিত ভালোবাসা থেকে ডক্টর'স ডে-তে আমাকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন লিখেছেন। সে প্রতিবেদন আমার অনুজপ্রতিম পুরুষোত্তম ওর ভালোবাসা থেকে ফেসবুকে পোস্ট করে দিয়েছে।

    এত মানুষের ভালোবাসায় আমি কুণ্ঠিত, দ্রব। আমি কি এর যোগ্য? নিজেকে প্রশ্ন করছি নিরন্তর।  অন্তত যোগ্যতা অর্জনের চলমান যাত্রা যেন মৃত্যু ছাড়া থেমে না যায়।

    এসবের পরেও আমার বন্ধুদেরকে, যারা হৃদয়ের কোটরে বসবাস করেন, (তাদের মাঝে কেউ ডাক্তার, কেউ শিক্ষক, কেউ মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্ন্টেটিভ, সংখ্যাগরিষ্ঠ বিভিন্ন পেশায় চিকিৎসাপ্রার্থী মানুষ সবাই আছেন) কয়েকটি বিষয় নতুন করে ভেবে দেখতে বলবো। 

    (১) ডাক্তারি পেশায় ফিজ একটা বিষয়। ব্যক্তিগতভাবে ডাক্তারদের ক্ষেত্রে স্থান, অভিরুচি, পেশার অধিকতর যোগ্যতা, কোন পরিসরে কিরকম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন ইত্যাদি অনেক কিছুই বিবেচ্য।

    আমার বা অন্য আরও কিছু মুষ্টিমেয় চিকিৎসকের ফিজ কম এটা একধরনের philanthropy. স্বাস্থ্য আন্দোলনের সাথে যুক্ত এবং নিবেদিত একাধিক সংগঠন এই পশ্চিমবাংলায় শুধু নয় ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে নামমাত্র টাকায় বছরের পর বছর দরিদ্র, অবহেলিত, দলিত এবং প্রান্তিক মানুষদের কাছে চিকিৎসা পৌঁছে দিচ্ছেন। সুস্থ করে তুলছেন। 

    এদেরকে আমার কুর্ণিশ! 

    (২) আমার মতো যারা তুলনামূলকভাবে কম টাকায় রোগী দেখি তারা রোগীদের সাথে কথা বলি, একটি বন্ধন তৈরি হয়। প্রসঙ্গত, আজকের মুক্তবাজার অর্থনীতির এবং কর্পোরেটতন্ত্রের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক আবহে, প্রেক্ষিতে "জীবনমশায়" বা "অগ্নীশ্বর"-দের আশা করা কুহেলিকা মাত্র। সামাজিক-অর্থনৈতিক বাস্তবতা মানুষের চিন্তনের গঠন করে। Social psyche তৈরি করে। আজ একজন চিকিৎসক রাত জেগে আর্ত মানুষটির পাশে বসে থাকবে, জলপটি দিয়ে দেবে - বর্তমান সময়ে কি ভাবা সম্ভব? পরিবারই যেখানে ভেঙ্গেচুরে যাচ্ছে! মৃতদেহকে শ্মশানে নিয়ে যাবারও লোক পাওয়া যায়না! 

    (৩) কি বলি আমরা তাহলে রোগী এবং তার পরিজনকে?

    এটা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ এবং বর্তমান সময়ে জ্বলন্ত একটি বিষয়। বলি কি - ১৩০ কোটির দেশ ভারতে অপরিমেয় বিভিন্নতা এবং বৈষম্য নিয়ে বিরাজমান সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষার ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি philanthropy বা NGO বা বিভিন্ন সৎ স্বাস্থ্যউদ্যোগও স্বাস্থ্য ও শিক্ষা এদুটো সমস্যার সমাধান করতে পারবেনা।

    বলি কি রাষ্ট্রকে স্বাস্থ্যের দায়িত্ব নিতে হবে?
    বলি কি স্বাস্থ্যকে মৌলিক অধিকারের তালিকাভুক্ত করতে হবে? সম্ভবত বলিনা। 

    আমরা সুসম্পর্ক, হাসিখুশীর সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারি। কিন্তু সেটা দুজন মানুষের মাঝখানে চিন্তার বা বৌদ্ধিক কোন সম্পর্ক নয়। এতে অনুগামী, এমনকি স্তাবকও তৈরি হতে পারে। কিন্তু স্বাস্থ্য আন্দোলনের কর্মী গড়ে তোলা মুশকিল। 

    (৩) আমরা রোগী এবং পরিজনদের কাছে প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থার গুরুত্ব নিয়ে সংলাপ শুরু করিনা কেন? রোগীর সাথে সংলাপ মানে আরোগ্যের সংলাপ শুধু নয়। একটি ছেদহীন সামাজিক সংলাপ।

    ১৯৮৩ সালে জুনিয়র ডাক্তার আন্দোলনের সময়ে আমরা এ সংলাপ শুরু করেছিলাম। স্বাস্থ্য মানুষের অধিকার, কারো দান বা ভিক্ষা নয়। রাষ্ট্রকে এর দায়িত্ব নিতে হবে।

    রাষ্ট্রের কানে নিরন্তর পৌঁছে দেবার দায়িত্ব ডাক্তারদের, স্বাস্থ্যব্যবস্থার সাথে যুক্ত সবধরনের কর্মীদের এবং, সর্বোপরি, মানুষের। 

    (৪) সম্প্রতি Wolters Kluwer প্রকাশনার নামী জার্নাল Journal of Family Medicine and Primary Care-এ এপ্রিল এবং জুন সংখ্যায় আমার দুটি লেখা প্রকাশিত হয়েছে - "Primary care is the key to health for all" এবং "Comprehensive primary health care, not any vertical program needed for UHC".

    বাংলায় শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগ এবং গুরুচণ্ডালী এ বিষয়ের ওপরে গুরুত্বপূর্ণ লেখার সংকলন প্রকাশ করেছে। আমার বাংলা প্রবন্ধও সে সংকলনে আছে।

    (৫) আমাকে চিকিৎসক হিসেবে ভালোবাসার যদি বাস্তব কোন কারণ থাকে তাহলে সেটা ফিজ কম, ফ্রি স্যাম্পল দেওয়া বা হাসিখুশি ব্যবহার নয়।

    তাহলে সেটা হোক আপনাদের সাথে হাত ধরে, বুকের উষ্ণতা নিয়ে একসাথে থেকে জনস্বাস্থ্য আন্দোলনের একজন কর্মী এবং সংগঠক হিসেবে।

    #স্বাস্থ্য আমার অধিকার
    #স্বাস্থ্যকে মৌলিক অধিকারের তালিকাভুক্ত করতে হবে
    #সংহত প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থার বিকল্প কিছু হয়না, কোন ইন্সিউরেন্স এর বিকল্প নয়।
    #প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে সজীব করে তুলতেই হবে।
    #স্বাস্থ্য চাই আমরা, পাঁচতারা স্বাস্থ্য পরিষেবা নয়।

  • মানব মিত্র | 43.252.***.*** | ০১ জুলাই ২০২০ ২২:১২94804
  • অসাধারণ বিশ্লেণধর্মী লেখা। সবারই, বিশেষত চিকিৎসকদের এ লেখাটি পড়া উচিত। ডা বসুকে আন্তরিক শ্রদ্ধা ও অভিনন্দন।

  • Kanchan Mukherjee | 45.123.***.*** | ০২ জুলাই ২০২০ ০০:১৫94807
  • Doctors Day তে অনেক শুভেচ্ছা ভলোবাসা পেলাম। সব চিকিৎসকই যেমন পেয়ে থাকেন। এরই মধ্যে বিষাণের সুন্দর লেখাটি আমাদের সামাজিক অবস্থান এবং দায় দায়িত্ব সম্পর্কে আবার একটা জেন্টল রিমাইন্ডারের মতো এলো। ধন্যবাদ বিষাণ। 

  • সৈকত | 2401:4900:104c:ecd5:1bff:872:df53:***:*** | ০২ জুলাই ২০২০ ০০:৪৯94808
  • যাঁর জন্মদিনও মৃত্যুদিনকে স্মরণ করে  আজ চিকিৎসক দিবস, তাঁর সরকার ১৯৪৯  ও ৫৯ এ গুলিকরে খাদ্য  আন্দোলনের সাথীদের শহীদ করেছিলেন।এটুকু যেন -" আমরা ভুলে যাই/ বেদনা পাই।"    

  • বিষাণ বসু | 202.142.***.*** | ০২ জুলাই ২০২০ ০৮:৪৯94811
  • @ সৈকত, প্লাস মাসুল সমীকরণ নীতিতে সই করে "নতুন বাংলার রূপকার" বাংলার ঠিক কী সর্বনাশ করে গেছিলেন, সেই কথাটাও...

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন