পঁচিশ হাজার কোটি টাকা শেষদিকে পঁচিশ কোটি লিখেছেন।
বাকিটা লা জবাব।
স্থাপত্যের রাজনীতির এ এক অসাধারণ ব্যাখ্যা। চমৎকার লিখেছেন বিষাণ।
স্থাপত্যের রাজনীতির এ এক অসাধারণ ব্যাখ্যা। চমৎকার লিখেছেন বিষাণ।
পুরনোকে নিশ্চিনহ করে যে আধুনিকীকরণ আমি তার স্বপক্ষে নই। ভাবা যায় বিদারের সমস্ত স্থাপত্য প্রাসাদ ভেঙেচুরে আধুনিক অট্টালিকা বানানো হয়েছে। মানবসভ্যতার প্রাচীনত্বের কাছে হাজার দুহাজার বছর কোনো ব্যাপারই না, বা খেলো ব্যাপার।
কাশি করিডর দেখে এসেছি। প্রচুর প্রাচীন মন্দির, বসতবাড়ি বুলডোজারে গুঁড়িয়ে গঙ্গামাইয়া টু বিশ্বনাথ মন্দির এক কনক্রিটের চওড়া পট্টি হচ্ছে। মণিকর্ণিকা ঘাটের গঙ্গাদূষণ এই উন্নয়নবাদীদের চোখে পড়ে না কেন কে জানে!!
ক্ষমতার সঙ্গে শুধু স্থাপত্যের সম্পর্ক না গোটা শিল্পকলার ? বিরাট প্রাসাদ তো শুধু নয় মিনিয়েচার পেইন্টিং, অলঙ্কারশিল্প সবই তো ক্ষমতার বশ। সঙ্গীত বা নৃত্যকলা সবই তো রাজানুগ্রহে।
যতোই গুণগ্রাহী হই না কেন, একপিস মকবুল ফিদা কিনতে পারব??
"যতোই গুণগ্রাহী হই না কেন, একপিস মকবুল ফিদা কিনতে পারব??" - এক্কেবারে অছাম ... । এইটে ভাবলেই সমাজে আমার অবস্থানটা এত চমৎকারভাবে পরিষ্কার হয়ে যায়! - প্রতিভাদি লা-জবাব।
অতএব, প্রিয় লেখক বিষাণ, আপনার লেখায় পূর্ণ সহমত। সেই সাথে এইটেই হওয়ার কথা বলেও আমার নিশ্চিত প্রতীতি আছে। এ জলতরঙ্গ রোধিবে কে। হরে মুরারে।
কি জানি,পুরনো স্থাপত্য দেখলে নিজেকে কতো ক্ষুদ্র মনে হয়।আমিত্ব টা হারিয়ে যায়।টাইম মেশিনে চড়ে পড়ি। আধুনিক সভ্যতা থেকে ছুটে পালাতে ইচ্ছে করে।
যখন ছোট ছিলাম,বাবার সঙ্গে madurai at রামেশ্বর মন্দির দেখেছিলাম।কি বিশাল লম্বা মন্দির।কি কারুকার্য!যাকে বলে স্তব্ধ বাক হয়ে গেছিলাম।
পুরীতে পুরীর মন্দির এর চেয়েও বেশি অবাক হই কোনারক এর মন্দির দেখে। অতো বড় মন্দির।পাথরের তৈরি। তাও একটা রথের শেপে!
ডিসি,তাজমহল দেখেছেন নিশ্চয়।আমারও বিশাল ভালো লাগে নি,প্রথম দর্শনে।কেমন হলুদ হলুদ ভাব। কিন্তু ভাগ্যক্রমে দিনটা ছিল শুক্রবার আর পূর্ণিমা।রাত আট টা অবধি থাকতে দিয়েছিল। দূর থেকে দেখে মনে হচ্ছিল,তাজমহলের গায়ে কে সাদা বরফ লেপে দিয়েছে।একদৃষ্টে তাকিয়ে ছিলাম,কতক্ষন কে জানে!চমক ভাঙলো, যখন কে পাশ থেকে বলে উঠলো;করলো সাব, আখরি দীদার!
টুকরো টুকরো জিনিষ। কাশীর গলি,পুরীর মন্দিরের চত্বর,তিরুপতি বোম্বাই লাড্ডু,রেড ফোর্টের বিশালত্ব, আগ্রা ফোর্ট এর ভিতরটা -- কেমন জানি উদাস করে দেয়।এইসব স্থাপত্ব গুলোর ওপর এযুগের মানুষ কারি কুরি করবে ভাবলেই কষ্ট হয়।
দার্জিলিং থেকে মিরিক যাওয়ার পথে,গোপালধারা চা বাগানের ধারে একটা দোকানে চা খেতে খেতে দুদিক তাকিয়ে সত্যিই নিজেকে হারিয়ে ফেলি।ঐখানে একটা পাঁচতারা হোটেল গজালে ,অপমানে কেঁদে ফেলবে।
মানুষ আরো উন্নত হবে।কাঞ্চন ঝেঙ্ঘর চূড়োয় রিসোর্ট বানাবে।সেটাও জানি।কিন্তু ততদিনে আরো ওপরে উঠতে পারলেই খুশী হবো।
যা বাবা, ভেঙ্গে ফেলতে হবে কেন? মানুষ নতুন বিল্ডিং,স্থাপত্য তৈরী করুক না।
চাই কি,দু নম্বর তাজমহল বানাক।চৌকো শেপের করুক।নতুন পিরামিড বানাক। কিন্তু পুরনো গুলো ভাঙতে হবে কেন?ওসব জিনিষ এর সঙ্গে কতো ইতিহাস,কতো কাহিনী জড়িয়ে...
দিল্লি তে একটা লোটাস টেম্পল আছে।লন্ডনে বিরাট স্বামী নারায়ণ টেম্পল আছে।ভালই লাগে দেখতে।কিন্তু ওইটুকুই।তার পর কোন রেশ থাকে না।বার বার বিল্ডিং এর টানে ছুটে যেতে ইচ্ছে করে না।
ট্যাক্সি ড্রাইভার কি করে ড্রাইভ করছিলো?
এই কোশ্নটা আমারো :)
খুব জরুরি লেখা! এই বিষয়ে ঠিক এরকমই একটা লেখা যোগ্য মানুষের কলমে পড়ার অপেক্ষায় ছিলাম! এমন তথ্যপূর্ণ এবং এই সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি লেখা আলোকিত করলো আমার মতো অনেক পাঠককে। অনেক ধন্যবাদ লেখক বিষাণ বসু এবং 'গুরুচণ্ডালি'-কে!
পরিশেষে একটি অনুরোধ 'গুরুচণ্ডালি'-র প্রতি, লেখক বিষাণ বসু-র সমস্ত লেখাগুলো সংকলিত করে এক মলাটের মধ্যে দেখতে চাই। আশাকরি, ভেবে দেখবেন আপনারা!
খুব জরুরি লেখা! এই বিষয়ে ঠিক এরকমই একটা লেখা যোগ্য মানুষের কলমে পড়ার অপেক্ষায় ছিলাম! এমন তথ্যপূর্ণ এবং এই সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি লেখা আলোকিত করলো আমার মতো অনেক পাঠককে। অনেক ধন্যবাদ লেখক বিষাণ বসু এবং 'গুরুচণ্ডালি'-কে!
পরিশেষে একটি অনুরোধ 'গুরুচণ্ডালি'-র প্রতি, লেখক বিষাণ বসু-র সমস্ত লেখাগুলো সংকলিত করে এক মলাটের মধ্যে দেখতে চাই। আশাকরি, ভেবে দেখবেন আপনারা!