@r2h আমারও অম্নি ধারণাই ছিল। কিন্তু, এসব নিয়ে সেভাবে কিছুই পড়া নেই - পুরোটাই শোনা কথা। তাই সাহসে ভর করে কিছু বলতে পারলুম না।
"সুবিধেমত অংশবিশেষ বেছে নিয়ে সেটাকেই আস্ত বলে চালিয়ে দেওয়ার" - ব্যপারটা মনে হয় সব যুগেই চলে। অনেকেই করে থাকেন। রকমফের হয়। এই সময়ে এটা যেভাবে চলছে চুম্বকে সেটা বোঝানোয় আপনার উপস্থাপনা যথাযথ লেগেছে।
এই লেখাটা দেখবেন তো, প্লীজ।
আবারও বলি, অর্থনীতির তত্ত্ব নিয়ে আমার কোনোরকম পড়াশোনা নেই। লেখাটার সবটার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা আমার মাথার ওপর দিয়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা।
https://www.newyorker.com/magazine/2020/02/10/can-we-have-prosperity-without-growth
"There are two ideas of government. There are those who believe that if you just legislaতe to make the well-to-do prosperous, that their prosperity will leak through on those below. The Democratic idea has been that if you legislate to make the masses prosperous their prosperity will find its way up and through every class that rests upon it."
উইলিয়াম জেনিংস ব্রায়ান আর্থিক গ্রোথ নিয়ে কথাটা বলেছিলেন সোয়াশো বছর আগে।
কিন্তু, এইসব আলোচনা বোধহয় মূল প্রসঙ্গ থেকে দূরের কথাবার্তা হয়ে যাচ্ছে।
স্পেন্ডিংয়ে কতো জন অংশ নিচ্ছে,সেটাই ইম্পর্ট্যান্ট। দেশের তিয়াত্তর শতাংশ সম্পদ এক শতাংশের কুক্ষিগত।
এখন ধরা যাক,এই এক শতাংশ কোয়েক লাখ কোটি টাকা খরচ করলেন,দামী গাড়ি, প্রাইভেট জেট,প্রমোদ তরী,বিদেশ ভ্রমন,বিদেশে সম্পত্তি কেনা, হীরে জহরত কিনে। কি লাভ হলো?টাকার সিংহভাগ বিদেশে চলে গেলো।
আর বাকি অংশ দিয়ে যা কেনা হলো,সেটার বিক্রেতাও এক এক শতাংশ এর মধ্যেই ঘোরা ফেরা করেছে। অর্থাৎ আম্বানি, নীরব মোদীর দোকানের হীরে জহরত কিনলো,টাটা র হোটেলে সময় কাটালো, এবং ভাইসে ভা।কটা মধ্যবিত্ত বা নিন্মবিত্তের লোকজন এই চক্রে অংশ গ্রহণ করলো।
কিন্তু সে,জায়গায় ওই টাকা পয়সা যদি গরীব মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া যায়,তাহলে সে খাবার কিনবে,সস্তার হোটেলে খাবে,মোবাইল কিনবে,দু চাকা কিনবে,সস্তার চার চাকা কিনবে।
বহু লোকের মধ্যে সম্পদ ঘোরা ফেরা করবে।জীবন যাত্রার মান বাড়বে।চাই কি দেশের সম্পদ এর বেশীর ভাগ দেশেই থাকবে।
অভিজিৎ বিনয়ক বোধ হয়,এমন কিছু মডেল এর কথাই বলেছেন।
প্রয়োজনমত জীবনযাপন উনি নিজেও করে গেছেন তো। “Do you know how much it costs every day to keep you in poverty?” সরোজিনী নাইডুর এই প্রশ্নটা রীতিমত বিখ্যাত তো।হরিজন পত্রিকায় যাই লিখে থাকুন না কেন:-) নাইডুর এ প্রশ্নের উত্তর উনি দেন নি বা যাপন বদলে ফেলেন নি। একটা দুষ্টু ছোটপত্রিকা বা বই সেসময় সাধারণ ভারতবাসীর রোজের খরচ আর গান্ধীর খরচের তুলনামূলক আলোচনা করে একটা চার্ট বানিয়ে দেখিয়েছিলো দুটোর মধ্যে কত তফাত:-(
রজনীশের গল্প মনে পড়ে গেল,আশ্রমে খালি পায়ে হাঁটবেন বলে বিদেশ থেকে বিশেষ ঘাস আমদানি করেছিলেন। কোনটা মুখ্য সেটা আগে ঠিক করে তারপর সেই মতো যাপন:-)
এই নিয়ে একটু বিশদে তথ্য দেবেন, প্লীজ? সরোজিনী নাইডুর প্রশ্নটা শুনেছি এদিক-ওদিক - কিন্তু, ঠিক কী প্রসঙ্গে, সেটা অত মনে নেই।
যেটুকু জানা আছে, গান্ধীজির জীবনযাপনে ব্যয়বহুল উপাদান সেভাবে ছিল না। হ্যাঁ, বিস্তর হ্যাপা ছিল অবশ্যই - যেমন, যেখানে যাবেন, সেখানে দুগ্ধবতী ছাগলের বন্দোবস্ত করা ইত্যাদি ইত্যাদি..
কিন্তু, গান্ধীজির দৈনন্দিন যাপন রীতিমতো ব্যয়বহুল ছিল, এমন কিছু পড়িনি। এ বিষয়ে কিছু তথ্য থাকলে দেবেন, প্লীজ। (কোনো ব্যক্তির অবজার্ভেশন বা মতামত নয় - তথ্য চাইছি বা তথ্যভিত্তিক মতামত।)
বিষাণ, বইটা আমার কাছে নেই, ফলে না দেখে খরচের হিসেবটা বলতে পারব না।
বিষাণবাবু ওপরে দেওয়া এবড়োখেবড়ো র লেখাটা একটু সার্চ করে পড়লেই এসমস্ত পেয়ে যাবেন। নতুন করে খুঁজতে হবে না।
ওই লেখাখানা একটানা পড়ার পরে রীতিমতো কেমন একটা ইয়ে বোধ করছি...
অনবদ্য