এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  সমাজ

  • সদা থাকো আনন্দে

    অম্লানকুসুম চক্রবর্তী
    আলোচনা | সমাজ | ০১ আগস্ট ২০২২ | ১৩৯৮ বার পঠিত | রেটিং ৪ (২ জন)
  • বারকোড আর ক্রেডিট কার্ডের গন্ধমাখা হাতে গোনা কয়েকটা অলংকার বার ছাড়াও এ শহরের বুকে বহু বার আছে। বার বলা ঠিক নয়, বলতে হবে ঠেক। মদ কেনার পরে লাগোয়া কুঠুরিতে তা ভোগ করার বন্দোবস্ত রয়েছে এমন ব্যবস্থায়। ‘নাগরিক ক্লান্তিতে তোমাকে চাই’-এর মতো সেখানে সূর্য ডোবার পরেই ভিড় করেন অজস্র মানুষ। বহুজাতিক রিটেল চেইনের লিকার কাউন্টারের মতো এখানে খরিদ্দারদের জন্য কোনোও লয়্যালটি কার্ডের বন্দোবস্ত নেই। মদ কেনার প্রশংসায় সেখানে জমা হয়না কোনও রিওয়ার্ড পয়েন্ট। রেস্তোরাঁ বুক করার অ্যাপ থেকে কুপন কোড এসে হাতছানি দিয়ে বলে না, ‘সারাদিন তো অনেক কাজ হল, এবার এখানে নিওন আলোয় একটু চিল-আউট হোক।’ এখানে যে লোকগুলো আসেন, তাঁদের অধিকাংশের গায়েই ঘেমো গন্ধ। মদ খাওয়ার সময় তাঁদের চোখ থাকে শুধু গ্লাসের দিকে, হাতে ধরা মোবাইলের স্ক্রিনে নয়। কর্ণকুহরে ব্লু-টুথ ইয়ারফোনের জোনাকি আলো জ্বলে না। গ্লাস ঘিরে আড্ডা হয়, কোনও ডেসিবেলের তোয়াক্কা না করেই। পাশের লোকের অসুবিধা হচ্ছে কি না, তা জানতে প্রথম পক্ষের বয়েই গেল। দোকানে যে গুটিকয়েক স্টাফ রয়েছেন, তাঁরা পরিচিত মুখ দেখলে হাল্কা সেলাম ঠোকেন। পান করতে করতে মজে গিয়ে দোকানের মেঝেতেই থুতু ফেলেন যাঁরা, তাঁদের বকেন। বমি করে দিলে খিস্তি মারেন। হঠাৎ কোনও কুকুরের উদয় হলে হঠ্, হঠ্ বলে তাড়ান।

    ইন্ডিয়া নামক পর্দার আড়ালে যে একেবারে হদ্দ গরীব ভারতটা লুকিয়ে রয়েছে, তার অধিকাংশ সন্ধ্যেবেলা এমনভাবেই কাটে। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস। বছর ঘোরে। দোকানের বাঁধা খরিদ্দারের তালিকা দীর্ঘায়িত হয়। আবগারি দফতরের আদায় করা রাজস্বের খতিয়ান তার আগের বছরের হিসাবকে দশ গোল দেয়। দেশি মদ তৈরি করে যে সংস্থাগুলো, তারা গলদঘর্ম হয়ে গিয়ে প্রায় হাত জোড় করে বলে, ‘আর পারছি না।’ ট্যাঙ্কের পর ট্যাঙ্ক খালি হয়ে যায় নিমেষে। আর নিন্দুকরা বলেন, অন্য সব কিছুতে ক্রমাগত পিছিয়ে যেতে থাকলেও মদ গেলার টক্করে আমাদের সঙ্গে সত্যিই পেরে ওঠা মুশকিল।

    ঘরের মধ্যে ঘরের মতো, এমন কুঠুরির মধ্যেও লুকিয়ে থাকে আরও অনেক কুঠুরি। এক বিখ্যাত ব্রিউয়ারিতে কাজ করা আমার এক বন্ধুর মুখে শুনেছিলাম, ‘দেশি মদের যদি শ্রেণীবিভাগ করতে যাওয়া হয় কখনও, তাহলে সেই তালিকা মাকড়সার জালের মতো হিজিবিজবিজ রুপ নেয়। সেই অর্থে এর তেমন কোন শ্রেণীবিভাগ হয়ই না, মান্যতা পাওয়ার মতো।’ স্থানীয় যে মদ তৈরি হয় রাজ্যের আনাচে কানাচে, রেল লাইন লাগোয়া ঝুপড়ির কোনও বেড়ার ঘরের গোপন গহ্বরে, নেশার ঘোর আরও জমাটি করার জন্য সেখানে মদের সঙ্গে অন্য উপাদান মেশে। নেশা জমতে জমতে হঠাৎ তা স্পর্শ করে ফেলে অতলকে। মধুর তোমার শেষ যে না পাই। বিষমদে বেঘোরে প্রাণ হারিয়ে ফেলেন কিছু লোক। খবরের কাগজ বলে, ঠিক কত জন লোক মরে গিয়েছেন, তা নিয়ে ঠিকঠাক ধারণা মিলছে না কোনও। মৃত্যুতালিকায় যাঁরা নাম লেখাচ্ছেন রোজ, বলা হচ্ছে, তাঁদের কোমর্বিডিটি ছিল আগে থেকেই। বিষমদ খেয়ে আসলে তাঁরা মরেননি। মরেছেন, আরও আগে থেকে শরীরে লুকিয়ে থাকা কোনও চোরাগোপ্তা রোগের কারণে। এমন হিসেবে আসল পরিসংখ্যানে অস্বত্ত্বিকর খাদ মেশার সম্ভাবনা কমে। আমাদের প্রশাসকদের স্বস্তি আসে।

    বিষমদকান্ড নিয়ে যা হইচই শুরু হয়েছিল, তা নিজগুনে ঢেকে দিয়েছেন ক্ষমতার শীর্ষে থাকা মন্ত্রী, অধুনা প্রাক্তন। এই অপমৃত্যুর খবরগুলো নিয়ে রোজ সকালে বিচলিত বোধ করছিলেন যাঁরা, সাঁড়াশি দিয়ে তাঁদের চোখ খুলে দিয়েছে মন্ত্রী-ঘনিষ্ঠের তালাবন্দি ফ্ল্যাট। পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন জপতে জপতে অধিকাংশ গোয়েন্দা-আধিকারিক বন্ধ ফ্ল্যাটের চাবি নিয়ে মজেছেন। রণে বনে জলে জঙ্গলে এখন শুধু এমন সংবাদ নিয়ে কথোপকথন। আর কত রাখা আছে লুকায়ে? প্রভাবশালীদের দুর্নীতির এই পর্দাফাঁসে লাভের লাভ হয়েছে একটাই। বিষমদে উল্টোপাল্টা মৃত্যু নিয়ে সামান্য হলেও যে সচেতনতা বাড়ছিল, এদিক ওদিক থেকে কথা শুরু হয়েছিল একটু আধটু, তা ধামাচাপা পড়ে গিয়েছে। জুলাইয়ের শুরুর দিকে এ রাজ্যের বর্ধমানে বিষমদ পান করে ৬ জনের মৃত্যু হয়। ওই মাসেরই তৃতীয় সপ্তাহে হাওড়ার ঘুসুড়িতে বিষ মদ প্রাণ নেয় আরও ১০ জনের। একই সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেছে গুজরাতে। সেখানে ইতিমধ্যেই বিষমদের বলি হয়েছেন ৩০ জন। অনেকেই চিকিৎসাধীন আছেন। ফলে সংখ্যাটা হয়তো বাড়তে পারে আরও। অবশ্য চারপাশে খবরের নয়া সমারোহে এ নিয়ে আমরা আশ্চর্যজনকভাবে নীরব।

    শহর মফস্বলের ঠেকগুলো সন্ধে হওয়ার পরেই বলে, ‘আয়, আয়, আয়।’ এমন দোকানের বাইরে দেখেছি, শবাসনে রয়েছেন একাধিক মানুষ। বসন এলোমেলো। হয়ত প্রবল বৃষ্টিতে ধুয়ে যাচ্ছেন তিনি প্রতি মুহূর্তে। ফুটখানেক দূরে দাঁড়িয়ে প্রস্রাবে মগ্ন আমাদেরই কোনও সহনাগরিক। সেই নোংরা জল হয়তো ছুঁয়ে যাচ্ছে ঘুমন্ত লোকটির শরীরও। কারওরই বিকার নেই কোনও। শবাসনে থাকা লোকটি যদি জেগেও থাকতেন, তা হলেও প্রতিবাদ করার কোনও শক্তি থাকত কি না জানিনা। প্রোগ্রেসিভ ফাইবারের লেন্স লাগানো দামি ফ্রেমের চশমা পরে দূর থেকে দেখেছি এমন দোকান ঘিরে চলতে থাকা অদ্ভুত মাদকতা। দোকান লাগোয়া কুঠুরিতে প্রবল বিক্রমে মেতে ওঠেন কয়েক ঘন্টার রাজারা। দশ টাকায় মুরগীর নাড়িভুড়ি দিয়ে তৈরি করা ঘুগনি জাতীয় কিছু বিক্রি করেন কেউ। মাংসের আরও নানা উপাদান থাকে এমন যে কোনও দোকান ঘিরেই। তবে তাতে কতটুকু ‘মাংস’ থাকে তা নিয়ে সন্দেহ থেকে যায়। মূল কারখানার পাশে অনুসারী শিল্পের মতো গজিয়ে ওঠা এমন দোকানের ব্যবসাও রমরম করে বেড়ে চলে। কিছু অদ্ভুত গুঁড়ো পাওয়া যায়। বেশ কিছু লোককে বোতলের মধ্যে এই গুঁড়ো মিশিয়ে ঝাঁকিয়ে এক চুমুকে খেয়ে নিতে দেখেছি। জিজ্ঞেস করায় উত্তর এসেছিল, ‘দেখে তো মনে হয় আপনারা তো সব ইংলিশ। গরীবের এতে নেশা হয়। ফুটুন তো মশাই।’ গলাধাক্কা দিয়েছিলেন। এমন একজন লোকের সন্ধান পেয়েছিলাম, যিনি ফেলে দেওয়া প্রতিটা বোতলের অবশিষ্টাংশ মিশিয়ে তৈরি করেন এক অদ্ভুত ককটেল। রামের সঙ্গে ভদকা মেশে, ভদকার সঙ্গে হুইস্কি। তার সঙ্গে দেশি মদ। এর সঙ্গে আবার বিয়ার। ‘পাঞ্চটা করে দিয়ে তার উপরে অল্প করে একটু থু থু থু করে দিই, বুঝলেন দাদা। ষোলকলা পূর্ণ হয়।’ বলেছিলেন তিনি। আমি ভ্রু কুঁচকিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘আরে এত কিছু মেশানোর ফলে তো বিষ হয়ে যাবে পুরো জিনিসটা। লোকে মরবে তো।’ উনি উদাসীন হয়ে উত্তর দিয়েছিলেন, ‘জীবনটাই তো বিষ। কি রাজকার্য করবেন বেঁচে থেকে? তাও যদি মন্ত্রী হতে পারতেন!’ লাইসেন্সওয়ালা সংস্থার পানীয় যেমন বিক্রি হয় এমন ঠেকে, একই সঙ্গে নজর এড়িয়ে বিক্রি হয় এমন কিছু পানীয় যার গায়ে একটি সাদা কালো স্টিকার ছাড়া অন্য কিছু লাগানো থাকে না। অবশ্য কে কার নজর এড়ায়! এগুলোরকোনও রেগুলেটরি টেস্ট নেই। গুণমান বলে আদৌ কিছু আছে কি না তা জানার কোনও চেষ্টা নেই। প্রস্তুতকারকের ঠিকানা ও ব্যাচ নম্বর বলে যে অতি প্রয়োজনীয় দুটি জিনিসের উল্লেখ করতে হয় যে কোনও পানীয়র লেবেলে, তার ত্রিসীমানাতেও থাকে না এমন প্রডাক্ট। নেশায় বুঁদ হয়ে থাকা লোকেরা ছিপি খুলে আসলে যে কি পান করছেন, তা জানার উপায় থাকে না কোনও। কোনও রকমে যদি বিষক্রিয়া হয়, তাহলে এর তদন্ত করার সময় সবার প্রথমে যা ভেসে আসে তা হল নিকষ কালো এক পর্দা। শহর মফস্বলের ঠেকের ক্যাশ কাউন্টার সামলান যাঁরা, তাঁদের থেকে হিসেব নিলে বোঝা যায়, পিতৃমাতৃপরিচয়হীন এমন মদের বিক্রিও বাড়ছে হু হু করে। এক জন বলেছিলেন, ‘দুটো কারণ। সিম্পিল। এক, দাম কম। দুই, নেশার ঘোর হয় আরও বেশি। বুঝলেন কি কথাটা?’

    গুজরাতের কংগ্রেস বিধায়ক অমিত চাবড়া অভিযোগ করে জানিয়েছিলেন, ‘বিষ মদ নিয়ে কারবার করেন যাঁরা, তাঁদের থেকে প্রতি মাসে পুলিশ ঘুষ খায়।’ আমাদের রাজ্যে ঘুষের নেটওয়ার্কও কম বলীয়ান নয়! এমন ঠেকের অদূরে পুলিশের গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছি। ঠেক লাগোয়া কুঠুরি থেকে রাস্তায় বেরিয়ে যাঁরা পান করতে শুরু করেন, মুখ কিংবা পকেট বিচার করে তাঁদের কয়েকজনকে কলার ধরে পুরে ফেলা হয় গাড়িতে। আড়াইশ-তিনশ-চারশর আশায়। অন্যদিকে অবৈধ মদ বিক্রি করছেন যাঁরা, তাঁদের সঙ্গে মাসান্তে হওয়া জটিল সমীকরণ আমাদের নাগালের বাইরেই থেকে যায়। শুধু হাত জোড় করা ছবিগুলো বলে যায়, কাছে আছি, পাশে আছি। এই যে হাত। এই যে ফুল। সদা থাকো আনন্দে।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০১ আগস্ট ২০২২ | ১৩৯৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ০১ আগস্ট ২০২২ ১৪:১৬510656
  • লেখকের নাম বোধহয় 'অম্লানকুসুম'।  লেখক খুব সম্ভবত এরকম বিদঘুটে যুক্তাক্ষরে নাম লেখেন না। 
  • Mridha | 2601:647:5200:67c0:9925:e232:c907:***:*** | ৩০ অক্টোবর ২০২২ ০০:৩৮513294
  • This modern world believe in peace, in equal rights for everybody,…uttering any word which doesn’t go along with the word peace and equality is a public crime......will be criticized immediately and won’t go un-condemned socially.  From State leaders of every States on the political map of the world, to the beauty pageant contestants, business community, corporate leaders, singers, artistes, even all religious leaders everybody is working hard with a single objective of the world peace! Even  they all claim , they don’t hesitate to sacrifice their personal peace to achieve the world peace. But all these hard works are going into vein. The poets, after loosing hope from the world around them,  ‘Imagine A day’ and hope everybody will join with their dream, but still peace appears unachievable.
    Peace was a very important quest of the life for our ancestors also, but they took this in such a level which modern world could even come closer in their imagination. Over here this is an attempt to make sense of their actions, what they have reflected long long time ago to reach the Holly Grail of peace, which apparently seems some stupid deeds from the school of thought process of the modern world.
    To them peace was never a public property or community property not even a family property it is the most precious individual property to earn. They are very self-centered  in the matter of peace. All other groups were standing only at the receiver end of the fruit of action of a mind which is at a peaceful state, and others get benefit of this glow depending upon their distance from the light but if it at all ignites it will be at personal level not as a global phenomenon. So its meaningless to work hard for world peace. If individuals are in peace they will generated peace around him/herself and this will be cascaded, that is the only way to spread peace for them. Being world peaceful is just a natural outcome cannot be a goal.
    When they started investigating they found an interesting particle present every time when a mind reaches in a state of peace. First it gets a state of completeness, content feeling then peace arrives. So they concluded this completeness sense is the key factor to peace. This sense of completeness may appear from infinitely different possible accomplishment for an individual at a particular point of time but the bull eye is not different, mind reaches a sense of fullness at the time of peace. So this is the key determining factor whether a mind is in peace or not ?
    If that is the case, satisfying mind with what it needs should be the golden key to open the door for peace. Now our normal logic says if the flow of resource matches to the demand, mind can easily generate a content feeling, and the state of peaceful mind will be very much in our reach.  Here they found something apparently unbelievable, the relation between psychological supply and demand is not an addition and subtraction problem, it appears more like numerator and denominator. So in spite of concentrating on the numerator if we focus on the denominator and attempt to keep it down, whatever little we can put in numerator, mind will feel plenty and it can reach the state of content and importantly it can stay in peace.
    At this very point peace effort between modern world and their world  took a radical diversion. In today’s world belief : Abandon brings peace, so we are trying to generate more and more resource to spread among unfortunates and thinking we are in right track to achieve world peace.  On the other hand they tried to gain control over their very own mind from generating more and more needs in name of freewill, to achieve peace. And more importantly they didn’t take this as a message to pass on to others to achieve world peace but they tried to practice this in their very own life and what they wanted to pass on is only the glow come out as action  from them when they achieve a peaceful state of mind.
    So we need to tame down, or discourage our mind to discover gaps or sense of incompleteness,  no matter whatever is the urge spawning them, from a very selfish need to so called social welfare or any absolute selfless act. Allowing it to grow without any break does always adversely impact peace individually and collectively. But that doesn’t reduce the importance and necessity and the greatness of the selfless actions to the humanity but if we try to justify this action in name of peace that won’t be correct. Our modern concept of development may not go in line with this, but we all will agree simply by increasing number of Nobel peace prize or amount will not have any contribution to the real world peace. In other word  any form of “Greed is not good” for peace , no matter whatever dynamism it can bring to the society, it cannot bring peace.
    Probably we could stop over here covering enough about peace but our ancestor went much deeper than this. Earlier we discussed, their message for peace was very personal but that doesn’t mean they have any less Emotional Quotient, in management terminology. If they come across somebody who lost his/her peace of mind, they were equally moved as we do for our friends and relatives. They also get the same pain as we get today, what we call compassion today.
    Normally what we try to do at that situation ? if providing the resource to the individual, if in of our scope or capacity, then we try to ease him by giving example from our own life and our method of resolving the situation, but almost at every attempt, it fails. Very basic reason is the gap or emptiness which took away peace from him/her, spawn from very uniquely clustered needs, with so much diversity to the matrix, there is no universal tool to ease a turbulent mind….or is there ?
      
    They figured out music or sound has tremendous impact in mind, right sound. Right vibration, like ringing a heavy bell, can effect mood to such extend which no other senses can do. So they created some shlokas by carefully selecting and sewing sounds, which can generate a feeling of completeness at any mind at any state. And that was their only direct effort of bringing peace in others mind. Not only the sound but also the literal meaning of those shlokas are also very important, reminding or exalt the inherit completeness of every life form, in other word true universal completeness.
    I’ll conclude my writing with one such shloka :

    ॐ पूर्णमदः पूर्णमिदम् पूर्णात् पूर्णमुदच्यते |
    पूर्णस्य पूर्णमादाय पूर्णमेवावशिष्यते ||
    ॐ शान्तिः शान्तिः शान्तिः ||
      
    Om Poornamadah, Poornamidam
    Poornaad Poornamudachyate;
    Poornasya Poornamaadaaya
    Poornamevaavashisyate

    Om, Shanti, Shanti, Shanti !
    The invisible is full;
    The visible, too, is full.
    From the full, the full having come;
    The full remains the same.

     
    - Om, whatever we are seeing ( here seeing may not be very correct word, it is not what we are seeing outside, it is something what we see as me) is complete, whatever is beyond of our comprehension ( what people describe as God) is also complete, From that completeness only this completeness appeared.This completeness is like infinity in mathematical concept, no matter whatever way we distribute it, only completeness remains. And then finally it reminds..
    Om, Peace peace peace
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন