এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  পড়াবই  প্রথম পাঠ

  • সরকারি আইনের গলিঘুঁজিতে এক জেদি অসম সাহসিনী

    দময়ন্তী
    পড়াবই | প্রথম পাঠ | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ৩৩৩৬ বার পঠিত | রেটিং ৪ (২ জন)
  • হাজারীবাগ জেলার অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যাজিস্ট্রেট, আই এ এস অফিসার অন প্রোবেশান কাজে যোগ দিয়ে দেখেন মুন্ডা ওঁরাও প্রমুখ জনজাতি বহুল হাজারীবাগের চরডিহা অঞ্চলে পঁচিশটার মত কুয়ো মঞ্জুর হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের এক প্রকল্পে, কিন্তু প্রকল্প আর জলভরা কুয়োর মধ্যে অলঙ্ঘ্য প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়ে অজস্র গলিঘুঁজিওলা সরকারি আইন। নতুন অফিসার খোঁজ নিয়ে দেখেন নিয়মানুযায়ী প্রথম কাজটা করাতে হবে ঠিকাদারকে নিজের পয়সায়, টাকা যে নিজেও হত দরিদ্র। এরপরে অপেক্ষা, জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার এসে কাজ মেপে রিপোর্ট দিলে, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজারের অনুমোদন সাপেক্ষে কিস্তির টাকা মঞ্জুর করবেন অ্যাকাউন্টেন্টবাবু এবং সেই টাকা দেবেন ক্যাশিয়ারবাবু। তো, ইঞ্জিনিয়ারবাবু যদিও বা দুই তিনখানা কুয়োর কাজ মেপে উঠতে পারেন, বাকী দু’জনকে আর পাওয়া যায় না। অতএব সিকিভাগ খোঁড়া কুয়ো পড়ে থাকে যেমন কে তেমন, এলাকার জলকষ্টও চলতে থাকে, দিন মাস করে করে দেড় বছর।

    নতুন অফিসারটি সমাধানের উপায় বাতলান, ইঞ্জিনিয়ার, অ্যাকাউনট্যান্ট, ক্যাশিয়ারসহ প্রত্যেক কুয়োর জমিতে উপস্থিত হয়ে মাপজোক করে, খাতায় তুলে তুলে ক্যাশ মিটিয়ে আসলেই কাজ এগোয়। কিন্তু তাই শুনে আঁতকে ওঠেন অভিজ্ঞ অ্যাকাউন্টেন্ট, ক্যাশিয়ার। অফিস থেকে টাকা বেরিয়ে কুয়োতলায় উপস্থিত হবে বিতরণের জন্য! এ কি ভয়ংকর কথা। নবীন অফিসার অকুতোভয়, নিজেই চললেন ক্যাশবাক্স সহ ক্যাশিয়ারকে নিয়ে, ফাইল স্যাংশান করে, দরকারমত আপডেট করে হাতে হাতে টাকা দিতে। ইঞ্জিনিয়ার তথা ওভারসিয়ার সবকটা কুয়োর অবস্থান জানে না, যাবে কী করে? সে বাধাও দূর হল ইগনিয়াসের সাহায্যে। ইগনিয়াস যে কোনও গাড়িতে চড়ে না, বরং তার সামনে সামনে দৌড়ে যায়। ঠাসা কোঁকড়া চুলভরা মাথা আর মিটি মিটি হাসিমুখে দৌড়ে দৌড়ে মানব জিপিএস পৌঁছে দেয় প্রতিটি কুয়োর সামনে। বছর খানেক বাদে সত্যিই সবকটি কুয়োয় টলমল করে জল, ইগনিয়াস কিন্তু আর আসে না অফিসারের কাছে।

    এর বেশ কয়েক বছর পরের কথা। নবীন অফিসারটি ততদিনে ডেপুটি সেক্রেটারি, হোম ডিপার্টমেন্ট ওড়িশা। তিনি দেখলেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা বেতন পায় না, পায় ভাতা। তাও অতি অনিশ্চিত। টানা কয়েক মাস ভাতা না পাওয়া খুবই স্বাভাবিক, অথচ তাদের হাতেই ভারত সরকার দিয়ে রেখেছে গুচ্ছের দায়িত্ব আর কাজ। বাড়ি বাড়ি ঘুরে শিশুদের আনা, তাদের রান্না করে খাওয়ানো, পড়াশোনা, টীকাকরণ, পুষ্টি ও স্বাস্থ্যের হাল হকিকত নজরে রাখা সাথে সমস্ত প্রশাসনিক খাতাপত্র আপডেট করা ছাড়াও রান্নার জ্বালানী তেল নুন মশলা ইত্যাদি যোগাড় করাও সেই মেয়েদেরই দায়িত্ব। সরকারী ভাষায় এর গালভরা নাম ‘উইথ দ্য হেল্প অব লোকাল কম্যুনিটি’ কার্যক্ষেত্রে যা স্থানীয় নেতা ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের শক্ত মুঠোর চাপ। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট থেকে পঞ্চায়েত প্রধান অবধি যে কোন কর্তা আসতে পারেন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র পরিদর্শনে, আর তার মানেই হল তাঁরা উপস্থিত না হওয়া পর্যন্ত শিশুদের অভুক্ত থাকা। অনেকে এমনকি রান্নাও খুঁটিয়ে দেখতে চান, সেক্ষেত্রে তাঁদের উপস্থিতিতে রান্না করে তবে খেতে দেওয়া হয় শিশুদের।

    ব্যাপারটা লক্ষ্য করে ডেপুটি সেক্রেটারি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন এই শিশুরা খায় আগেরদিন সন্ধ্যেয় বাড়িতে তেলের ডিবরি নেভাবার আগে, ফলে এই পরিদর্শনের সময় শিশুদের দুইদফা খাবারের মধ্যে তফাত হয়ে যায় ১৬-১৮ ঘণ্টা। দিল্লি থেকে এক আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিকে নিয়ে দূরবর্তী জেলায় পরিদর্শনে গেছেন ডেপুটি সেক্রেটারি, দুপুরের খাবার ব্যবস্থা হয়েছে সার্কিট হাউসে। অন্য সবাই বসার ঘরে গল্পে ব্যস্ত, তিনি এদিক ওদিক ঘুরতে ঘুরতে খিড়কির দরজার দিকে গিয়ে দেখেন বেশ কজন অঙ্গনওয়াড়ি মহিলাকর্মী বসে হাপুস নয়নে কাঁদছেন। জানা গেল দুইমাস ভাতা পান নি, উপরন্তু আজকের খাওয়া দাওয়া হয়েছে তাঁদেরই থেকে সংগ্রহ করা চাঁদার টাকায়। লজ্জায় দুঃখে কোনমতে নিজের ব্যাগে যেটুকু যা টাকা ছিল বের করে ভাগ করে দেন ওঁদের মধ্যে। পরবর্তীতে অবসর নেওয়া পর্যন্ত আতিথেয়তার ভার নিজেই বহন করেছেন, আর কখনো চাঁদা সংগ্রহ করতে দেন নি মিটিঙের নামে। সেই আই এ এস অফিসার, প্রখ্যাত লেখক ও দক্ষ প্রশাসক অনিতা অগ্নিহোত্রী, পড়ছিলাম তাঁর কর্মজীবনের স্মৃতিকথা ‘রোদ বাতাসের পথ’।

    বিহার, ওড়িশা, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, কলকাতা জুড়ে তাঁর বিস্তৃত কর্মজীবন। ‘সরকারি কর্মচারী’ শব্দবন্ধেই যে অকর্মণ্য, দলবাজি করা একপাল অলস মানুষের ছবি ভেসে ওঠে আমাদের অনেকের মনশ্চক্ষে, সেই ছবিটা অনেকটাই ছিঁড়েখুঁড়ে যায় এই বই পড়লে। নিয়মের জটিল জটাজাল ভেদ করে দরিদ্রতম মানুষটির কাছে সরকারি প্রকল্প পৌঁছে দেওয়া প্রায় এক হারকিউলিসসম কাজ। তায় যদি আমলাটি হন মহিলা তো তাঁর কাজ হয়ে ওঠে আরো একটু কঠিন। মহিলাদের কর্মক্ষেত্রে প্রতি মুহূর্তেই প্রমাণ করে চলতে হয় তাঁরা পুরুষদের চেয়েও একটু বেশি কর্মদক্ষ। নিজেকে সমান প্রমাণ করতে গিয়ে আসলে প্রমাণ করতে হয় সমানের দ্বিগুণ। আর এই তো মাত্র কয়েকবছর আগেও নারীসুলভ অসুবিধের কথা কর্মক্ষেত্রে প্রকাশ করা ছিল ভারী লজ্জার ব্যাপার, কোন কোন ক্ষেত্রে এমনকি অসফল বা দুর্বল বলেও ধরে নেওয়া হত। এই বই পড়তে পড়তে অনুভব করি কাজপাগল, আদর্শবাদী অনিতা তাঁর দীর্ঘ ছত্রিশ বছরের কর্মজীবনে এই সমানের চেয়েও দ্বিগুণ বেশি কাজ, সমানের চেয়েও অনেকটা বেশি দক্ষভাবে করে গেছেন।

    আমি নিজে কর্মজীবন শুরু করা ও পরবর্তী ১৫-১৬ বছর এই সমানের চেয়েও খানিকটা বেশি করে নিজেকে প্রমাণ করার মরীয়া চেষ্টায় কাটিয়েছি। লেখক যখন লেখেন ‘নিজের নারী অস্তিত্বের কথা মনেই থাকত না ভুতের মত খাটতে খাটতে। লিঙ্গবিহীন এক চেতনা ঢুকে গিয়েছিল রক্তের মধ্যে। ‘তখন সেটা একেবারে মর্মে মর্মে অনুভব করতে পারি, আমি ও আমার মত অনেক মেয়েই ঠিক এই কারণেই নিজেদের নিরাপত্তার চিন্তামাত্র না করে শেষ ট্রেন ধরে মফস্বল স্টেশনে নেমে হেঁটে বাড়ি পৌঁছেছি, শারীরিক প্রয়োজন, ব্যথাবেদনা উপেক্ষা করে টানা ৩০ ঘণ্টা কাজ করে গেছি। এই লিঙ্গবিহীন চেতনা আর ভুতের মত খাটনির বিনিময়ে অর্জন করা জায়গাটুকু আজকের মেয়েদের জন্য পথ করে দিয়েছে নির্ভয়ে নিজের প্রয়োজনটুকু বলার। অনিতারা কিছুজন না এগোলে আমরা অনেকেই হয়ত এগোতাম না, ‘ওসব মেয়েদের জন্য নয়’ ভেবে বসে থাকতাম।

    আইনের শাসন ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী লেখক দেখেছেন এমনকি আইনরক্ষক পুলিশও ওসবে বিশ্বাস করে না। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের কয়েক মাস আগে লেখকের কর্মস্থলে রামশিলা নিয়ে মিছিল চলাকালীন ভাবাবেগের দোহাই দিয়ে পুলিশের নির্বিকার প্রশ্রয়ে প্রায় দাঙ্গা পরিস্থিতির উদ্ভব হয়। অনিতা এক নিঃসঙ্গ আমলা যিনি একাই প্রশাসনের নিরপেক্ষতায় অটল থাকেন। পড়তে পড়তে ১৯৯২ ও তৎপরবর্তী ভারতবর্ষে ঘটে যাওয়া বেশ কিছু ঘটনা মনে পড়ে যেখানে এই নিরপেক্ষতার অভাবই ভারতের রাজনীতির মোড় ঘুরিয়েছে, বাড়িয়েছে সামাজিক অসাম্য। দিল্লির সর্বোচ্চ স্তর থেকে দেশের একেবারে প্রত্যন্ত প্রান্ত পর্যন্ত ছড়িয়ে থাকা জটিল এই আমলাতন্ত্র গড়ে তুলেছিল ব্রিটিশরা। অধীনস্থ দেশটির প্রতিটি কোণায় নিজেদের ক্ষমতা জারি রাখার প্রয়োজনে গড়ে তোলা আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থার কিছু নিরপেক্ষতা, কিছু সুফল ছিল বৈকি। স্বাধীন দেশে আশা ছিল সেই আমলাতন্ত্র কল্যাণকামী রাষ্ট্রের প্রধান স্তম্ভ হয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তা হয় নি পুরোপুরি। তবু যেটুকু যা হয়েছে, দূরতম প্রান্তের দেশবাসী যেটুকু কল্যাণের স্পর্শ পায় তা সম্ভব হয় অনিতাদেবীর মত মানুষদের জন্যই।

    তাঁর বিস্তৃত কর্মজীবন ছড়িয়ে আছে মহিলা কমিশন, বস্ত্রমন্ত্রক, আবাসন ও নাগরিক দারিদ্র্য উন্মীলন, বৈদেশিক বাণিজ্য দপ্তর, হাতে করে মনুষ্যবর্জ্য পরিবহনকারীদের জীবনযাত্রা উন্নয়নের রূপরেখা নির্ণায়ক দপ্তর ইত্যাদিতে। সেইসব অভিজ্ঞতা এসেছে একেবারে হাল্কা চালে। যেন এই গিয়ে অফিসে বসলাম আর টকাটক করে ফেললাম এমনই সহজ। অথচ প্রায় প্রতিটি জায়গায় মুখোমুখি হয়েছেন বিরোধিতার, কখনো তা সরকারি নিয়মের অলংঘনীয়তার দোহাই, কখনো বা উপরওয়ালা কি সহকর্মীর সক্রিয় বিরোধিতা। নিজের বিবেকের সঙ্গে, নিজের মন্ত্রকের সঙ্গে, কেন্দ্রের সরকারের সঙ্গে, রাজ্যের সরকারের সঙ্গে অবিরাম লড়াই চলেছে তাঁর। কিন্তু বইটির কোথাও সে লড়াই জনিত তিক্ততার ছোঁয়া, ব্যক্তিগত অপছন্দের প্রকাশ ঘটে নি। যেমন রাজ্যে প্রশাসনের মৌখিক অনুরোধে মহিলা কমিশনের টিম পার্কস্ট্রীট ধর্ষণের পর সুজেট জর্ডনের সঙ্গে দেখা করেন নি, কারণ রাজ্যের শীর্ষ ব্যক্তি তাঁদের কথা দিয়েছিলেন যথাযথ ও নিরপেক্ষ তদন্তের দায়িত্ব তিনি নিজে নিচ্ছেন। কমিশনের টিম শহর ছাড়ার আগেই ডিসিপিকে বদলী করে দেওয়া হয়, অনিতারা বুঝলেন তাঁরা প্রতারিত হয়েছেন। অপরিসীম লজ্জা ও বিষণ্ণতা ছড়িয়ে আছে ঘটনার বর্ণনায়।

    প্রান্তিক মানুষের টিকে থাকার লড়াইয়ে কল্যাণকামী রাষ্ট্রের কল্যাণ হস্ত পৌঁছে দিতে অনিতার যাত্রায় সঙ্গী হয়েছেন তাঁর সহকর্মীরাও অনেকেই। এমনিতে আমরা তাঁদের খুব একটা দেখতে শুনতে পাই না আর সরকারি নিয়মের অচলায়তনের উপর, কর্মীদের আলস্য ও অপদার্থতার উপর তিতিবিরক্ত হয়ে থাকি। রোদ বাতাসের পথ দিয়ে এগিয়ে সেইসব সংবাদ শীর্ষে না আসা কর্মীদের কাউকে কাউকে যেন চোখের সামনে দেখতে পেলাম। সরকারি নানা প্রকল্প, তার রূপায়ণের পথের বিচিত্র বাধা, প্রান্তিক মানুষদের অবস্থা আর এক নিঃসঙ্গ, জেদি, আইনের শাসনে বিশ্বাসী মহিলার পথচলার অসম্ভব আকর্ষণীয় কাহিনী এই বইটি। হেরে যাবার দিনে, মন খারাপের দিনে বারবার পড়ব এই বই। নিজের কাজটুকু মন দিয়ে করে যাওয়ার শক্তি যোগাবে এই বই।

    বই – রোদ বাতাসের পথ
    লেখক – অনিতা অগ্নিহোত্রী
    প্রকাশক – দেজ পাবলিশিং
    দাম – ২৯৯/- টাকা


    বাড়িতে বসে বইটি পেতে হোয়াটসঅ্যাপে বা ফোনে অর্ডার করুন +919330308043 নম্বরে।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • পড়াবই | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ৩৩৩৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ramit Chatterjee | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮:৪০497680
  • আমলাতন্ত্র আর লাল সুতোর ফাঁস এমন ভাবে ভারতের গলায় চেপে বসেছে যে কেউ ভালো কাজ করলে সেটা সাধারণ ব্যাপার নয় সেটা ব্যতিক্রম। কি অবস্থা।
  • | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২৩:১৭497698
  • উম্ম এটা ঠিক একজনের ভাল কাজ বা খারাপ কাজের কথা নয় রমিত। একটা সময়ের কথা আসলে। কী হবার ছিল, হতে পারে নি আবার কতটুকু হয়েওছে। 
  • Sakti Brata | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১২:২৭497727
  • লিঙ্গ বৈষমাই নিয়ে বড়ো বড়ো সেমিনার হয়।অথচ ভারতের ৯০% মানুষের কাছে ক্ষুন্নিবৃত্তি প্রধান সমস্যা।শহুরে নারীবাদীদের এ বিষয়ে কোন হেলদোল আছে বলে তো মনে হয় না।বই পড়ার ইচ্ছে রইল।
  • Ramit Chatterjee | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৫:০২497734
  • @দ আমি অনিতা অগ্নীহোত্রী কে সম্পূর্ণ কৃতিত্ব দিচ্ছি তাঁর অসীম পরিশ্রম ও উদ্যমের জন্য। কিন্তু আমার বক্তব্য যে ভারতের নিয়মের গেরো এতটা হয়ে গেছে এবং দুর্নীতি এমন রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে যে ভালো কাজ করাটা ভীষন কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই ভালো কাজ আজ ব্যতিক্রম, সাধারণ নয়। এটাই বলছিলাম।
  • Ramit Chatterjee | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৫:০৪497735
  • আমি এখনো বইটা পড়িনি, কেনার ইচ্ছে আছে। তবে প্রচ্ছদ টা আরেকটু ভালো করা যেত। কাস্তে র প্রচ্ছদ টা আমার খুব সুন্দর লেগেছিল।
  • | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৫:২৫497736
  • হ্যাঁ সে তো ভাল কেন, সরকারি প্রকল্পের স্বাভাবিক নিয়মমাফিক রূপায়ণ হলেই আমরা ধন্য ধন্য করি। অথচ সেটা তো এমনিই হবার কথা। আমার এই ​​​​​​​বইতে ​​​​​​​এই একটা বেশ ​​​​​​​ব্যপ্ত ​​​​​​​সময়ের ​​​​​​​ছবি ​​​​​​​আর ​​​​​​​জেন্ডারড ​​​​​​​অ্যাঙ্গলটা ​​​​​​​চমৎ ​​​​​​​কার ​​​​​​​লেগেছে। ​​​​​​​এইটে ​​​​​​​কোনও ​​​​​​​পুরুষ অফিসারের ​​​​​​​লেখায় ​​​​​​​পাই ​​​​​​​নি।
     
    মহানদী'র ​​​​​​​প্রচ্ছদও  ​​​​​​​আমার ​​​​​​​ভাল ​​​​​​​লেগেছিল ​​​​'মহাকান্তার' পড়ছি ​​​​​​​এখন। ​​​​​​​
     
  • b | 14.139.***.*** | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২০:৫৯497754
  • মহানদী মানে পারাদীপ অঞ্চলের তাঁতিদের নিয়ে লেখা তো ? খুব সম্ভবতঃ ২০০৮ সালের প্রতিদিনে বেরিয়েছিলো। 
  • b | 14.139.***.*** | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২০:৫৯497753
  • মহানদী মানে পারাদীপ অঞ্চলের তাঁতিদের নিয়ে লেখা তো ? খুব সম্ভবতঃ ২০০৮ সালের প্রতিদিনে বেরিয়েছিলো। 
  • b | 14.139.***.*** | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২০:৫৯497755
  • মহানদী মানে পারাদীপ অঞ্চলের তাঁতিদের নিয়ে লেখা তো ? খুব সম্ভবতঃ ২০০৮ সালের প্রতিদিনে বেরিয়েছিলো। 
  • | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২১:৩৭497757
  • হ্যাঁ উড়িশ্যার বিভিন্ন প্রকারের হাতে বোনা তাঁতের কাপড় ও তাঁতীদের নিয়ে। আমি তো বই কিনে পড়েছি। ওরই কন্টিন্যুয়েশান  অংশটা মহাকান্তার নামে এই ফ্রেব্রুয়ারিতেই বেরিয়েছে।
  • b | 14.139.***.*** | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৯:১৫497828
  • আজ আবাপতে ওনার একটা লেখা বেরিয়েছে। 
  • Ranjan Roy | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৩:৫০497868
  • ক্ষুধার সমস্যা ও লিঙ্গবৈষম্য কিন্তু উত্তর মেরু দক্ষিণ মেরু নয়, বরং সম্পৃক্ত।
    উদাহরণ, এখনও বহু বাড়িতে ছেলেরা খায় সবার আগে, মেয়েরা শেষে। ভাল জিনিসটা পড়ে ছেলেদের পাতে।
    অনেক সময় মেয়েরা অভুক্ত থাকে, অসময়ে আসা অতিথিকে নিজের খাবার দিয়ে। ছেলেরা জানতেও পারেনা।
     
  • সুদীপ্ত | 115.187.***.*** | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১০:২৮497898
  • ভালো লাগল,  আগে লেখিকার মহানদী আর কাস্তে পড়েছি, খুবই পছন্দের বই। এখানে কুয়োর ঘটনাটার মত একই ধরণের ঘটনার উল্লেখ আছে পরিমল ভট্টাচার্যের অপুর দেশ বইতেও। এই বইটাও লিস্টে রাখলাম। অনিতা অগ্নিহোত্রী আর পরিমল ভট্টাচার্য অন্য ভারতবর্ষ চেনাচ্ছেন তাঁদের লেখনীতে! গতানুগতিক উপন্যাস বা গল্প নয়, কিন্তু সুখপাঠ্য আর ওই, দেশকে (জল, মাটি, গাছ, মানুষ ইত্যাদি অর্থে) চেনার/জানার ক্যাটালিস্ট।
  • | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৪:৩১497907
  • হ্যাঁ ঠিক পরিমল ভট্টাচার্য্য আর অনিতা অগ্নিহোত্রী আমাদের ততটা চেনা নয় এমন ভারতের গল্পই লেখেন। অনিতার 'মহাকান্তার'ও রেকো রইল সুদীপ্ত। এছাড়া 'মঙ্গল তারন ও অন্যান্য গল্প' ইংরিজি অনুবাদটা কিন্ডলে ফ্রি দিচ্ছিল কিছুদিন আগে। এখনও বোধহয় খুব বেশী দাম হবে না।  
  • তিতি রায় | 2401:4900:234c:a1c5:1:2:a33e:***:*** | ২৫ জুলাই ২০২২ ১৭:১৬510313
  • একদম যথাযথ লিখেছ দময়ন্তী।  এই বই অবসরে পড়ার বই নয়। এটি আমাদের অবশ্যপাঠ্য হওয়া উচিত। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন