২০২০, সত্যি, কিছু ভালো ছিল?
অনেক ভেবে ঠিক করলাম, ভালোই তো! সবাই ভাবে ২০২০ কোভিডের জন্যে পচা হয়ে গেছে, কিন্তু ভাবো, এখন যে অনলাইন স্কুল হয়েছে, এখন ছাত্র ছাত্রীরা আরো ভালো করে জানে কখন স্কুলের কাজ করতে হয়। অনলাইন করতে করতে মনোযোগও চলে যায় না। আর অনেকে ফিজিক্যাল ডিস্ট্যন্সিং করে স্কুলে যাচ্ছে, এটা আমাদের জেনারেশনের অভিজ্ঞতা। অবশ্যই কোভিড ভালো না, কিন্তু এখনকার সময় আমাদের নিজেদের মত করে কাজ করতে, আর এমনি সময়ের রোজদিনের জীবনকে অ্যাপ্রিশিয়েট করতে শেখাচ্ছে।
কোভিড খুব জিনিস বদলে দিয়েছে, ভাবো, দুর্গা পুজো আর দীপাবলী বন্ধুদের সঙ্গে পুজোর জায়গায় কাটাতে পারিনি, আমি অনেক দিন স্কুলের বন্ধুদের দেখতে পারিনি।
আবার মেলামেশা না থাকায় অনেক অন্য কাজও করা যায়, অনেক কিছু পড়া যায় (শুধু যদি না তুমি আইটি-র কাজ করো - তাহলে সারাদিন শুধু ল্যাপটপের সামনেই বসে থাকবে - হাহা!)।
আবার অনেক দুঃখের জিনিসও হয়েছে, অনেক লোকের চাকরি চলে গেছে। আমার মা আন্ডারপ্রিভিলেজড মানুষদের নিয়ে কাজ করে, আমি দেখি মা অনেকের জন্যে আনএম্প্লয়মেন্ট ফর্ম ফিলাপ করে, তাই এটা বুঝতে পারি। আরেকটা খুব দুঃখের জিনিস হলো, অনেক জায়গায় অনেক ছেলেমেয়েদের কাছে পরিষ্কার খাওয়ার জল বা ইলেকট্রিসিটিও নেই। ইলেকট্রিসিটি না থাকলে ভার্চুয়াল স্কুল কী করে করা যায়? তাই অনেক ছেলেমেয়েদের পড়াশুনোই বন্ধ। এখন কোভিডে হাসপাতালে সব বিছানাও নাকি ভরে গেছে, কোভিডের মাঝখানে অনেক লোক ডাকতার দেখাতেও পারে না। আমরা সবাই শুধু আশা করতে পারি তাড়াতাড়ি ভ্যাকসিনটা তৈরি হবে।
২০২০তে একটা মজার জিনিস হলো, সেটা হচ্ছে ইলেকশন। আমার বোধয় পলিটিক্যাল মত থাকার কথা না কারন আমি শুধু দশ, কিন্তু আমি বাইডেন হ্যারিসকে পছন্দ করেছি। ওদের প্রেজেন্টেশন আমার ভালো লেগেছে, আর ডাইভার্সিটি নিয়ে ওদের স্ট্যান্ড আমার ভালো লেগেছে। আর আমি প্রশংসা করি, খবরে পড়েছি অনেক লোক কোভিডের মধ্যেও ভোট করতে পেরেছে।
আমার মনে হয় ২০২০ দেখে আমরা বুঝতে পারি মানুষ ইচ্ছে করলে কঠিন সময়েও প্রায় সব কিছু করতে পারে।
(আমি এই লেখাটা ইংরেজি অক্ষরে লিখেছি, বাবা বাংলায় টাইপ করে দেবে - তাই বানান ভুল হলে আমার দোষ নেই!)
এই লেখাটা পড়েই বুঝলাম রেটিঙ সিস্টেম থাকাটা ভালই। সোহাগসোনা কত্ত বড় হয়ে গেছ! সেই একমাসের পুঁচকে সোহাগ!
করোনাকালে মানুষের চাকরি চলে যাওয়া সত্যিই দুঃখের। আর সেই সব গরিব ছেলেমেয়ে, যাদের ঘরে বিদ্যুৎ নেই, সত্যিই তো তারা কীভাবে অনলাইন ক্লাস করবে?
এই গুরুতর চিন্তা উস্কে দেওয়ায় শরণ্যাকে অনেক ধন্যবাদ, ভালবাসা। আরও লেখ
❤️ দারুন হয়েছে সোহাগ . আরও ভালোভালো লেখার অপেক্ষা রইলো . ❤️
ভারি ভালো লেখা, খুব সুন্দর সামারি হয়েছে। শরণ্যার আরও লেখা উচিত।
তবে লাস্ট লাইনটা অসাধারন হয়েছে :d
তিন জেনারেশন গুরুতে লেখার মাইলস্টোন ছুঁল করভৌমিকরা। ব্রাভোঃ।
শরণ্যাদেবীর তো পাকা মাথার লেখা।
লেখিকা খুব সুচিন্তিত অভিমত দিয়েছেন ।নিজের করোনাকালীন অভিজ্ঞতা মা আর বাবার কাছে শোোনা অভিজ্ঞতা মিশিয়ে দিব্যি লিিিিখেছেনন ।ধন্দে পড়ে গেেেেছি,আমি ঠাকুরমা না উনি
পুনশ্চঃ দিঠি আঁকেও বেশ। গুরুতে আঁকা প্রতিটি ছবি খুব সুন্দর।
আর লেখায় শিগগিরই ঠাকুমাকেও ছাড়িয়ে যাবে, আশীর্বাদ ♥
লেখাটা খুব চমৎকার হয়েছে। ফাইভ স্টার।
জেঠু, খুব ভাল লিখেছ <3
সোহাগের লেখা খুব পছন্দ হল। হাই ফাইভ!
দারুণ, দারুণ , সোহাগ রকস
শরণ্যার লেখা আর ছবি দুটোই খুব ভালো হয়েছে। আর চিন্তার ফ্লো টাও আমার খুব ভালো লাগলো। আরো লিখো, কেমন?
দুর্দান্ত লেখা সাথে আবার আঁকা ও