আমফান রিলিফ নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে যে কর্মসূচি বিগত দশ দিন ধরে চলেছে তার একটা সংক্ষিপ্ত আপডেট দেওয়া হল:
২৬শে মে--এদিন তিনটি টিম উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় কাজ করেছে।
প্রথম টিমটি হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের রূপমারী গ্রামপঞ্চায়েতের কুমীরমারী গ্রামে চাল-ডাল, শুকনো খাবার এবং ত্রিপল পৌঁছে দেয়। অঞ্চলটি ব্যাপক ভাবে জলমগ্ন হওয়ায় পৌঁছতে খুবই সমস্যা হয়েছে। জোয়ার-ভাটার কারনে আগের দিন ত্রাণ পৌঁছে গেলেও ডিস্ট্রিবিউট করা সম্ভব হয়নি। এদিন সম্ভব হয়।
দ্বিতীয় টিমটি যায় হাসনাবাদ ব্লকের পাটলি খানপুর অঞ্চলের ভেরিপাড়া ও খলিশাখালি গ্রামে। নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের ভলেন্টিয়াররা এখানে ৩০০-র মতো পরিবারের কাছে শুকনো খাবার, পানীয় জলের পাউচ, স্যানিটারি ন্যাপকিন ইত্যাদি পৌঁছে দেয়।
তৃতীয় টিমটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার মিনাখা অঞ্চলের হারিনুল্লাহ্ গ্রামে একটি 'কম্যুনিটি কিচেন' চালু করেছেন। বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের ভলেন্টিয়াররা এখানে কাজ করছেন।
২৭শে মে--এদিন সুন্দরবনের রাঙাবেলিয়ার উত্তরপাড়া, রানীপুর, বাগবাগান, সাতজেলিয়া এলাকায় আম্ফান রিলিফ নেটওয়ার্ক-এর পক্ষ থেকে পার্শ্ববর্তী বিপ্রদাসপুর অঞ্চলের স্বেচ্ছাসেবীরা পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে কিছু ছবি তুলে পাঠান। তাঁরা জানান যে, এলাকাগুলির পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। বেদনাদায়ক ভাবে বেঁচে আছেন এলাকার মানুষ।
২৮শে মে-- এদিন উত্তর ২৪ পরগণার সুন্দরবনে পাটলিখানপুর গ্রামে আমফান পীড়িতদের জন্য সহায়তা উদ্যোগে হাত বাড়িয়ে দিলেন আম্ফান রিলিফ নেটওয়ার্ক-এর দুর্গাপুরের বন্ধুরা। সুদূর দুর্গাপুর থেকে ‘পুনরুদ্ধার’ গ্রুপের সদস্যরা সারা রাত ট্রাক চালিয়ে এসে ‘নেটওয়ার্ক’-এর ব্যবস্থাপনায় পাটলিখানপুর অঞ্চলে ৫০০ পরিবারের কাছে খাবার, জামাকাপড় এবং ত্রিপল পৌঁছে দেন। সারাদিন ত্রানের কাজ করে আবার সারা রাত ট্রাক চালিয়ে তাঁরা ফিরে যান দুর্গাপুরে।
ওইদিনই দমদম-নাগেরবাজার অঞ্চলের কিছু বন্ধুদের একটি টিম, নেটওয়ার্ক-এর ব্যবস্থাপনায় পুর্ব ঘূর্নি এবং চকপাটলী অঞ্চলের ১১০টি পরিবারের কাছে খাবার ও ত্রিপল পৌঁছে দেয়।
এছাড়াও কুলতলীর পূর্ব গুড়গুড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ঠাকুরান অঞ্চলে ‘প্রত্যার্পন’ গ্রুপের সদস্যদের সাথে নেটওয়ার্ক-এর বন্ধুরা যান। এখানে প্রায় ১০০ ফুট বাঁধ ভেঙে ৪০০ ঘর মানুষ জলবন্দী হয়ে আছেন। তাঁদের মধ্যে কমবেশী ৩০০টি পরিবারের কাছে সরাসরি ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হয়।
২৯শে মে-- এদিন রিলিফ নেটওয়ার্কের কর্মসূচি হিসেবে শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগ এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের যৌথ চিকিৎসা দলের পক্ষ থেকে মেডিকেল ক্যাম্প হয় দক্ষিন মহিষপুকুর অঞ্চলে। দক্ষিন মহিষপুকুর ও ঘেরিপাড়া অঞ্চল থেকে রোগীরা দেখাতে এসেছিলেন। ১৬৪ জন রোগী দেখা হয়েছে। বেশীরভাগ অঞ্চল এখন ও জলের তলায়। আগের দিন থেকে কিছুটা জল কমতে শুরু করেছে। বেশিরভাগ পরিবার রাস্তার পাশে পলিথিনের চালায় অস্থায়ী ভাবে আছে। একটা রামকৃষ্ণ মিশন থেকে ২৮ আর ২৯ তারিখ, দুদিন ৫০০ জন কে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছে। প্রচুর রোগী চামড়ার সমস্যা, উদ্বেগ, অবসাদ নিয়ে এসেছেন। অনেক ক্রনিক রোগী ওষুধ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন আর্থিক সমস্যা, লকডাউনের পর ডাক্তার এর অসুবিধে, দোকানে ওষুধের সাপ্লাই এর ও বেশ খারাপ বলছে লোকজন। সব মিলিয়ে স্বাস্থ্যের অবস্থা বেশ উদ্বেগের।
চন্দননগরের একটি গ্রুপ নেটওয়ার্ক-এর ব্যবস্থাপনায় মহিষপুকুর, ঘেরিপাড়া অঞ্চলের প্রায় ৪০০ জলমগ্ন মানুষের কাছে তিনবেলা রান্না করা খাবার পৌঁছে দিতে শুরু করেন। এই টিমটি রবিবার পর্যন্ত এলাকায় ছিলেন।
এদিন মগরাহাট থানার যুগদিয়া গ্রামে একটি ‘কম্যুনিটি কিচেন’ চালু করা হয়। ৪০০ মানুষকে এক সপ্তাহ ধরে দু’বেলা রান্না করা খাবার পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়। মূলতঃ ছাত্রছাত্রীদের একটি গ্রুপের উদ্যোগে এটি চলেছে। সাহায্য করেছে ‘গ্রাউন্ড জিরো’ সংগঠন এবং নেটওয়ার্ক-এর বন্ধুরা।
৩০শে মে--এদিন ডাক্তারদের টিম যায় রুপমারী গ্রাম পঞ্চায়েত এর কুমিরমারী গ্রামে৷ এই অঞ্চলের অবস্থা আরো ভয়াবহ। এই অঞ্চলের তিনটে গ্রাম রুপমারী, কুমিরমারী, বাইনারা। বাইনারার সমস্তটা, কুমিরমারীর উত্তরাংশ আর রুপমারী আংশিক অঞ্চল বেশ ক্ষতিগ্রস্ত এবার। আয়লাতে এই অঞ্চল খুব ক্ষতিগ্রস্ত হয় নি। স্থানীয়দের মতে আয়লার চেয়ে এবার ক্ষয়ক্ষতি অনেক বেশী। সঠিক সময়ে যথাযথ ভাবে বাঁধ মেরামতি হলে এই অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হত না। বেশিরভাগ বাড়ি জলের তলায়, অনেকের বাড়ি ভেঙে গেছে। বেশ কিছু পরিবার এখনো বড় রাস্তায় অস্থায়ী ত্রিপলের চালা করে আছেন। একই চালার তলায় মানুষ, জন্তু গাদাগাদি করে কোনক্রমে দিন কাটাচ্ছেন। সরকার থেকে এই অঞ্চলে ত্রিপল ও ৩০০ গ্রাম করে চিড়ে দিয়েছে। হ্যাঁ ঠিকই শুনলেন, ৩০০ গ্রাম।
এই অঞ্চল গুলিতে আম্ফান রিলিফ নেটওয়ার্ক-এর পক্ষ থেকে এক রাউন্ড সাধারণ ত্রাণসামগ্রী বিলি হয়েছে।
৩১শে মে--এদিন নেটওয়ার্ক-এর দুটি টিম হাসনাবাদ ব্লকের খাঁপুকুর এবং ট্যাংরামারি অঞ্চলের প্রায় ১,০০০+ পরিবারের কাছে খাবার-দাবার সহ প্রয়োজনীয় কিছু নিত্য-ব্যবহার্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়। ওই দিনেই ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরাম’ এবং ‘শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগ’-এর টিম নেটওয়ার্ক-এর ব্যবস্থাপনায় হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের ছোট সাহেবখালি গ্রামে একটি হেলথ্-ক্যাম্প করে, ওষুধ-পত্র বিলি-বন্টন করে।
১লা জুন--নেটওয়ার্ক-এর ভলেন্টিয়াররা ছোট সাহেবখালি গ্রামের দুটি অঞ্চলে সব মিলিয়ে প্রায় ৩৫০টি পরিবারের কাছে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেয়। মূল দায়িত্ব নেয় নেটওয়ার্ক-এর একটি সংগঠন ‘গ্রাউন্ড জিরো’। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নেটওয়ার্ক-এর আর একটি সংগঠন ‘বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ’-এর সদস্যরা।
২রা জুন--এদিন মিনাখা-র হরিনুল্লাহ্ অঞ্চলের কমিউনিটি কিচেনটি সপ্তম দিনে পড়লো। এখানে ৭০০ জনের ১বেলা করে খাবার তৈরি করা হচ্ছে। আরও ১০ দিন এই কিচেনটি চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
মথুরাপুর ব্লকের পূর্ব রানাঘাটে একটি কমিউনিটি কিচেন তিন দিন ধরে চলছে। এখানেও ৭০০ জনের ১বেলা করে খাবার তৈরি হচ্ছে। আপাতত আরও ৪ দিন এই উদ্যোগটি চলবে।
পাথরপ্রতিমা ব্লকের কৃষ্ণদাসপুরে আরেকটি উদ্যোগ শুরু হয়েছে। এই কমিউনিটি কিচেনটিতে আগামী ৫ দিন ধরে ৭৫০ জনের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ওপরে উল্লিখিত কমিউনিটি কিচেন উদ্যোগগুলির মূল সংগঠক ‘বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ’। মগরাহাট থেকে ৬কিমি দূরে জুগদিয়া গ্রামে আরও একটি কমিউনিটি কিচেন চলছে নেটওয়ার্ক-এর অন্য একটি টিমের উদ্যোগে। গড়ে ২৫০ জনের খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে এখানে। উদ্যোগটি এদিন চতুর্থ দিনে পড়লো।
এছাড়াও এদিন দুটি টীম দক্ষিণ ২৪ পরগণায় রিলিফ কর্মসূচি নেয়। একটি টীম যায় পাথরপ্রতিমা, মৌসুনি দ্বীপ, সাগরদ্বীপ এবং আর একটি টীম যায় গোসাবার রাঙাবেলিয়া অঞ্চলে।
৩রা জুন--আম্ফান রিলিফ নেটওয়ার্ক-এর পক্ষ থেকে রাঙাবেলিয়া এবং জাটিরামপুর সর্দারপাড়া অঞ্চলের প্রায় তিনশো পরিবারকে পাঁচশো টাকা মূল্যের চাল-ডাল-আলু-পিঁয়াজ-নুন-হলুদ-তেল-সয়াবিন-বিস্কুট সম্বলিত ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। Biloopto- A Charitable Initiative -এর পক্ষ থেকে মহিলাদের জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিন, সাবান ইত্যাদি সরবরাহ করা হয়েছিল। আর শ্রমজীবী নারীমঞ্চ-ও বাড়িয়ে দিয়েছিল সাহায্যের হাত।
প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে ত্রাণের কাজে যখন নেটওয়ার্কের সদস্যরা যাচ্ছেন, তখন তাঁরা একটা বড় সময় ফোন ও ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের বাইরে থাকছেন। ফলে সমস্ত কর্মসূচির আপডেট দিনে দিনে এসে পৌঁছোচ্ছে না। ফলে এই তালিকার বাইরেও কিছু কর্মসূচি রয়ে গেল। পরবর্তী আপডেটে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।
সর্বত্রই ত্রাণের কাজে যাঁরা যাচ্ছেন, তাঁদের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষদের কাছ থেকে একটাই কথা শুনতে হচ্ছে - 'ত্রাণসামগ্রী নিয়ে কিছুদিন না হয় চলবে, কিন্তু সরকার যদি দীর্ঘস্থায়ী সমাধান না করে, তাহলে মরে যাব আমরা'। আমরা গুরুচণ্ডা৯-র পক্ষ থেকেও এই কথার সাথে সম্পূর্ণ সহমত পোষণ করি। কেবল ত্রাণ নয়, এই সমস্যাগুলোর দীর্ঘমেয়াদী সমাধান চাই। আজকে যাঁরা ত্রাণের জন্য হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন, তাঁদের কাছে আমাদের তাই আবেদন, দীর্ঘমেয়াদী সামাজিক নজরদারি কীভাবে গড়ে তোলা যায়, কীভাবে আয়লা বা আমফানের ক্ষয়ক্ষতির পুনরাবৃত্তি রোধ করা যায়, ধীরে ধীরে সেটিকে চর্চার বিষয় করে তুলুন। গুরুচণ্ডা৯ একটি সামাজিক মাধ্যম হিসেবে এই বিষয়ে কী ধরণের ভূমিকা রাখতে পারে, সে ব্যাপারে আমাদের পরামর্শ দিন এবং সক্রিয়ভাবে তাতে অংশগ্রহণ করুন।
ছবি: আমফান রিলিফ নেটওয়ার্কের ভলান্টিয়ারদের সূত্রে প্রাপ্ত
অভ্যু, এটা ব্যবস্থা করা যাবে। কথা বলে নিয়েছি। আমাকে pinakimitra74 অ্যাট জিমেলে ওনার ফোন নম্বর/ঠিকানা দিও।
'বেঁচে উঠুক বইপাড়া' সম্পর্কে অনেকদিন এখানে কোনও কথা বলিনি আমরা। সেসব কথাই আজ বলতে আসা। অর্ক এই মুহূর্তে ফেসবুকে নেই। থাকলে ও-ই জানাতো। ওর পক্ষ থেকে, এবং 'বেঁচে উঠুক বইপাড়া'-র সমগ্র দলের পক্ষ থেকে আজকের এই পোস্ট।
তিন সপ্তাহ আগে শুরু হয়েছিল আমাদের এই পথচলা। শুরু হয়েছিল একটি পোস্টের মাধ্যমে। অচিরেই আমরা পাশে পেয়েছি অসংখ্য মানুষকে। তার প্রত্যক্ষ সাক্ষী আপনারা সকলেই।
ব্যক্তিগত উদ্যোগে এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আমাদের সঙ্গে পেয়েছি ২৮১জনকে। আজ পর্যন্ত আমাদের প্রাপ্ত টাকার অঙ্ক ৫৫৮৬৩০।
আমরা যে বিশেষ সহায়তাগুলি পেয়েছি নানা সময়ে তার কথা আগেও উল্লেখ করেছি। স্কুল-কলেজের ছাত্রও সাহায্য করেছে আমাদের৷ সাহায্য করেছেন বহু সংস্থা। তাদের কথা বারবার বলেছি আমরা।
আজ লিখছি তাদের কথা যারা আন্দোলনের শেষের দিকে যুক্ত হয়ে আমাদের শক্তি বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন।
ময়ূখ-শিঞ্জিনীদের সংস্থা 'হাল ছেড়ো না বন্ধু'। ওঁরা সকলেই ছাত্র-ছাত্রী। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ওয়ার্কশপের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে তার একাংশ তুলে দিয়েছেন আমাদের হাতে। ডিজিটাল পত্রিকা করে সংগৃহীত অর্থ আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন ঋত্বিক। সহজিয়া পত্রিকার তরফ থেকে পাশে পেয়েছি সরফরাজ এবং সম্রাটদের৷ ওঁদের সকলের কাছে আমাদের কৃতজ্ঞতার সীমা নেই। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৮৫-ইকোনমিক্স ব্যাচ আমাদের উদ্যোগে সামিল হয়েছেন সুকন্যা পাল-এর প্রতিনিধিত্বে। মৌসুমী ব্যানার্জি, মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। প্রাথমিকভাবে ওঁর পরিচিত বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে একজোট হয়ে, পরবর্তীতে ওঁর সংগঠন Tagore Beyond Boundaries এর তরফ থেকে নির্দ্বিধায় সাহায্য করেছেন 'বেঁচে উঠুক বইপাড়া'-কে। সুকন্যাকে, মৌসুমীকে আমাদের আন্তরিক ধন্যবাদ। আমরা সাহায্য পেয়েছি ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিষ্ঠান 'ব্রততী-পরম্পরা'-কে। আমাদের সকলের তরফ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই। প্রকাশকরা যখন মাটি কামড়ে ঘুরে দাঁড়াবার জন্য লড়ছেন তখন এক প্রকাশকই আমাদের হাত ধরেছেন। গুরুচন্ডা৯ আমাদের হাত শক্ত করেছেন। এই মানুষগুলির উদ্যোগ না থাকলে আমরা এতদূর এগোতে পারতাম না। কতদূর এগিয়েছি সেই বিষয়টাও পরিষ্কার করা দরকার।
আমরা এখনও পর্যন্ত আমরা এখনও অবধি সাহায্য করতে পেরেছি মোট ১২০ জন বইপাড়া-কর্মীকে।
এর মধ্যে প্রথম দফা পেরিয়ে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পেয়েছেন মোট ২২জন। আমরা এখন প্রতিদিন পুরনো ৫ জন বেনেফিশিয়ারিকে দ্বিতীয় দফার টাকা পাঠাই, যার সঙ্গে প্রথম দফার টাকা পাচ্ছেন তালিকাভূক্ত নতুন আরও ৫ জন।
সমান্তরালভাবে চলছে আমাদের গ্রাউন্ড ওয়ার্ক। নিয়মিত বইপাড়ায় গিয়ে ছোট দোকানের কর্মচারী এবং মালিকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে আমরা জেনে নিচ্ছি তাঁদের প্রয়োজন। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখা হচ্ছে টাকা পাঠানোর পরেও। ওঁদের শারীরিক-মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে প্রতিনিয়ত খোঁজ রাখছি আমরা।
সরাসরি অর্থ সংগ্রহের প্রক্রিয়াটি হয়ত আমরা আর কিছুদিনের মধ্যেই বন্ধ করতে চলেছি। তার মানে এই নয়, আমাদের কাজ এখানে শেষ। পুরনো নিয়ম মেনেই আমরা রোজ ১০জনকে টাকা পাঠাবো, নতুন নাম নথিভূক্ত করব। আমাদের দীর্ঘমেয়াদি যে পরিকল্পনাগুলো আন্দোলনের প্রথমদিন থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, সেগুলোর কাজ শুরু করব এবার। দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পের জন্যও অর্থই প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অনুদাননির্ভর না হয়ে আমারা কিছু নতুন পরিকল্পনা নিয়েছি। সময়মত আপনাদের সঙ্গে তা' ভাগ করে নেবো আমরা, জানতে চাইব আপনাদের মতামত।
আশা করব, গোটা সফরটাতেই আপনাদের সবাইকে পাশে পাবো।
ভালো থাকবেন।
আজ পর্যন্ত আমাদের সংগৃহীত অর্থ এবং অনুদানকারীদের তালিকা দেখতে পাবেন নীচের লিঙ্কে:
https://docs.google.com/spreadsheets/d/14DYNg8jeGXYSQMrSKivlr8QZRH1VapT61xe556GVk5U/htmlview
এখন পর্যন্ত কারা টাকা পেলেন বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন নীচের লিঙ্কে:
রিলেটেড খবর
http://anandabazar.4cplus.net/epaperimages/28092020/28092020-md-hr-9/31813761.jpg