এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • সুখ স্বপনে, শান্তি শ্মশানে

    শুদ্ধসত্ত্ব ঘোষ লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১১ জুন ২০১১ | ১৪০০ বার পঠিত
  • 'আ স্ট্রীট কার নেমড ডিসায়ার', নাটকের এমন নাম শুনলেই মনে হয় এটা এমন একটা মানুষের লেখা যিনি খুব খুঁটিয়ে রাস্তা দেখতে ভালবাসেন। যিনি বস্তুত এতটাই নির্জন মানসিক পৃথিবীর বাসিন্দা যে এতটা খুঁটিয়ে রাস্তা দেখার অবকাশ পান। রাস্তার গাড়িটার নাম যে ইচ্ছা হতে পারে তা তিনি জানতে পারেন এবং গভীর মমতায় সংরক্ষণ করেন সেই জানাকে। জীবনের যে রাস্তায় এই ইচ্ছেগাড়িটি চলে সেই রাস্তার সম্পর্কে টেনেসির পর্যবেক্ষন নিয়েই এই নাটক।

    আশ্চর্য,টেনেসি মানুষটাকে জানতে গেলে দেখা যায় সত্যি সত্যি বড্ড একা। আমেরিকার দক্ষিণে এক কালের দাস ব্যবসায়ী রক্ষণশীল আমেরিকায় জন্ম টেনেসি উইলিয়ামসের। টেনেসি নামটা নিজে নিয়েছিলেন পারিবারিক আভিজাত্যের এবং ইতিহাসের সঙ্গে সংস্রব জীবন্ত রাখতে। ছোটবেলায় সবচেয়ে ঘনিষ্ঠতা ছিল পিঠোপিঠি বোনটির সঙ্গে, যার ছায়া পড়েছে এই পুলিৎজার ভূষিত (১৯৪৮) নাটকে। বোনটি যত বড় হতে থাকে তার মানসিক বিবিধ সমস্যার জন্ম হতে থাকে। সেই সঙ্গীটির ভঙ্গুরতা,মানসিক অস্থিতি তীব্র প্রভাব ফেলেছে ছোটবেলায় ডিপথেরিয়া আক্রান্ত উইলিয়ামসের জীবনে। এই ডিপথেরিয়া তাঁকেও বেশ দুর্বল করে রেখেছিল আবাল্য। এর প্রভাবেই ক্রমশ বাবার স্নেহ তাঁদের দুজনকে ছেড়ে চলে যায় ছোটভাইটির দিকে ক্রমশ। আরো নি:সঙ্গ হয়ে যান দুই ভাই-বোন।

    প্রভাব ফেলেছে মায়ের ছায়াও। জুতোর কোম্পানির সেলস্‌ম্যান বাবার সঙ্গে দক্ষিণের কৃষ্টিতে লালিত মায়ের মিল হওয়া ছিল বেশ মুশকিলের। সেকালের সাদার্ন বেলে ( southern belle) মানে ছিল এমন এক ধরণের মহিলা যাঁদের হাতের কবজী বা পায়ের গোড়ালি দেখা যাবে না প্রকাশ্যে। কোনো অশ্লীল বলে পরিচিত শব্দ তিনি উচ্চারণও করবেন না। প্রকাশ্যে ঝগড়া বা উচ্চকন্ঠে চিৎকারের প্রতি তাঁর থাকবে অসীম বিদ্বেষ। আবার পুরুষদের সঙ্গে একটু সুক্ষ রুচির ফ্লার্ট করতে জুড়ি থাকবে না। সেই আদর্শেই গড়ে উঠেছিলেন উইলিয়ামের মা। তাঁর স্নবারি, উচ্চাকাঙ্খা, নিউরোটিক এবং হিস্টেরিক্যাল ব্যবহার বোধহয় এই নাটকের দক্ষিণের মিসিসিপি-র প্ল্যান্টেশন লরেলের বেলে রিভে থেকে আগত বড় বোন ব্লঁশ দুবোয়ার চরিত্রে ওৎপ্রোতভাবে মিশে গিয়েছে।

    টেনেসির বাবা ঠিক উল্টো। মদ্যপ,কিন্তু কেনা-বেচা সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা সম্পন্ন এক চিৎকৃত অস্তিত্ব। উইলিয়ায়মসের মায়ের পূজ্য সুক্ষতা যাঁর কাছে ভন্ডামির নামান্তর। তাঁর মদ্যপান এবং সংলগ্ন জীবন-যাপনের তীব্রতা একসময় উইলিয়ামের মায়ের সঙ্গে বিচ্ছেদকে চিরস্থায়ী করে তোলে। বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়নি,কিন্তু শেষত তাঁরা থাকতেন আলাদা আলাদাই। উইলিয়াম এককালে যখন একটি আন্তর্জাতিক জুতোর কোম্পানিতে কাজ করতেন বাবার চাপে পড়ে,মিলিটারির ভর্তির পরীক্ষায় ফেল করার পরে,তখন এমন আরেক মানুষকে পেয়েছিলেন তাঁর সহকর্মী হিসেবে। স্ট্যানলি কোয়ালস্কির চরিত্রে পড়েছে এই দুজনের প্রভাবই। পোকার খেলায় মত্ত বাবার কানের পাতার অংশও কেউ কামড়ে নেয় মারামারি করতে গিয়ে। সেই পোকার খেলার আসরেই স্ট্যানলি এই নাটকে তার স্ত্রী এবং ব্লঁশের বোন স্টেলাকে মারে। সে তখন ছিল গর্ভিণী। তাতেও তার হুঁশ হয়না পোকার আর মদের নেশায়। আবার কিছুক্ষণ পরে যখন হুঁশ ফেরে তখন স্টেলার খোঁজে হাঁকডাক শুরু করে এবং স্টেলা তার এই জান্তব স্বামীটির সঙ্গে দেহজ কামনার স্রোতে ভেসে যায় তাকে ক্ষমা করে দিয়ে।

    বাবা-মা'র চূড়ান্ত বৈপরীত্যের মধ্যেই বড় হয়েছেন উইলিয়ামস। বড় হয়ে এসেছেন দক্ষিণের দাসপ্রথার গ্যঁ¡জলা থেকে উঠে আসা আভিজাত্য ছেড়ে এক্কেবারে শ্রমিকের কাজে জুতোর কারখানায়। আসার পথে সাহিত্যের পুরস্কারও পেয়েছেন স্কুলে পড়ার সময়ে। কিন্তু তাতে ঘাম-গন্ধের শ্রমিক হওয়া আটকায়নি। একদিকে শ্রমিকের জীবনের হাড়ভাঙা খাটুনি অন্যদিকে সারারাত জেগে সাহিত্যচর্চা। যদি কিছু হয় সাহিত্যের চর্চায়। এই করে করে উইলিয়ামস একসময়ে অসুস্থ হয়ে পড়বেন। এই বৈপরীত্যের চাপেই অসুস্থ হয়ে পড়বে ব্লঁশ নাটকের শেষে। মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে স্ট্যানলি তাকে ধর্ষণ করার পরে।

    কিন্তু এতদূর অবধি যায় কি করে নাটকটা? মুখ্য দ্বন্দ্ব কি? প্রযোজক সংস্থা আরশি-র মঞ্চাভ্যাস দেখতে গিয়েছিলাম। পরিচালক অবন্তী বললেন এটাকে শ্রেণীগত বিরোধের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছেন। যৌনতা তার মধ্যে একটি অংশ। ম্যানিফেস্টেশনও বটে। ব্লঁশ,স্কুলের শিক্ষকতা করতো। পরিবারের পূর্বপুরুষদের লাম্পট্য বেড়ে বেড়ে সব ভাঁড়ার ফুরিয়ে যাবার পরেও ব্লঁশ ভুলতে পারেনি তাদের আড়ম্বর,ভুলতে পারেনি তার সামাজিক অবস্থান। স্টেলা পেরেছিল, সাদামাটা শ্রমিক জীবনে মানিয়ে নিতে। ব্লঁশ,তার রক্ষণশীলতার ভাণ দিয়ে টানতো পুরুষকে। আসলে যৌনতাকে দিয়ে তার জন্য ফাঁদ রচনা করতো। অনেক অনেক রঙীন রাত্রিদিন, উপহারের স্তুপ,সুগন্ধী জীবন তাকে টানতো। তার চারপাশের কঠোর বাস্তব থেকে সে নিজেকে এবং অন্যদের নিয়ে পালিয়ে যেতে চাইতো কল্পনায়। সেখানেই তার মুক্তি। তার জন্য মিথ্যে বলা থেকে শুরু করে অন্য যে কোনো প্রবঞ্চনায় তার কোনো সমস্যা নেই। সেঁজুতি বলছিলেন ব্লঁশ চরিত্রটার জন্য তৈরী হতে গিয়ে পড়েছেন নানান লেখা। নাটকটাকে কেন্দ্র করে সব। অনিন্দ্য বলছিলেন ইনহিবিশন ভাঙার জন্য নানান ওয়ার্কশপের কথা, মঞ্চে যৌনতার ভাষাকে বলিষ্ঠ ব্যবহার করার জন্য। পৌলমী অনবদ্য হয়ে উঠেছেন সেই ভাঙনে। কোথাও বাড়তি কিছুই না করে সটান পৌঁছে দিচ্ছেন ঐ জৈব উদ্দীপন।

    সেঁজুতির ফ্রন্ট স্টেজে চলে আসা শরীর এবং তীব্র চোখ আপনাকে মনে করাবেই ব্লঁশ কতটা তীব্র শরীরি কিন্তু অলৌকিক প্রায়। অশরীরি এক শরীর, সে যেন মায়া এক। ঠিক যেন দক্ষিণের শরীর। ইয়াঙ্কি উত্তরের চেয়ে তার সমৃদ্ধি বেশী ছিল বলে সে উত্তরকে ঘৃণা করে। উত্তর তার থেকে তার সমৃদ্ধির উৎস,অন্য মানুষের (কালো দাসেদের) অমানুষিক শ্রমের মুনাফা ছিনিয়ে নিয়েছে বলে তাকে ঘৃণা করে। সে তার জাতিবিদ্বেষী, শ্রেণী বিদ্বেষী অতীতেই স্বচ্ছন্দ। সেঁজুতি যেভাবে পোলাক কথাটা উচ্চারণ করেন তাতে ওই ঘৃণা ঠিকরে আসে। আর ঠিক তার বিপরীতেই স্ট্যানলি হয়ে ওঠা অনিন্দ্য তার জান্তব অস্তিত্ব আর প্রেম নিয়ে যখন স্টেলাকে বলে ব্লঁশ আসার আগে তাদের ভাল দিনগুলোর কথা, তখন উঠে আসে যে এই পোলাক,এই ভিনদেশী, নীচু সংস্কৃতি হিসেবে চিহ্নিত করা কতটা কষ্ট দেয় মানুষটিকে। সে যখন জন্তুর মতন ব্লঁশের জন্মদিনে তার মিথ্যেকে ছিন্ন-ভিন্ন করে তাকে তাড়িয়ে দেবার ব্যবস্থা করে পশুর আক্রোষে, যখন তাকে ব্লঁশের 'পোলাক' বলাটা নিয়ে গর্জে ওঠে- বলে সে 'পোলিশ', সন্মান দাবী করে, তখন সত্যি আর ব্যাক্তিগত লড়াই থাকেনা এটা। সামাজিক-শ্রেণীগত এবং মানবিক লড়াই হয়ে ওঠে। স্টেলা যেদিন হাসপাতালে বাচ্চার জন্ম দিয়েছে তখন স্ট্যানলি কোয়ালস্কি, ব্লঁশকে ধর্ষণ করে তার আর স্টেলার ঘরের মেঝেতে তখন তারা যেন এক জাতিদাঙ্গার প্রতীক নাটকে। একটি তীব্র অসহিষ্ণু শ্রেণী সংগ্রামের প্রতীক। যে সংগ্রাম খুব দু:খজনকভাবে আসলে কাউকেই কোনো উচ্চ অবস্থানে পৌঁছে দেয়না।

    এই ইচ্ছে নামক গাড়িটি একটি আঁকা-বাঁকা জটিল গল্প বলে সারাক্ষণ। নাটকটি রূপান্তরের সময় নাট্যনির্দেশক অবন্তীও নাম দিয়েছেন "ইচ্ছের অলি-গলি'। সে গল্প কেমন তা এখনই বলে দেওয়া আমার কাজ না। বরং অন্য কথা বলি একটু। এর প্রথম বিখ্যাত প্রযোজনার নির্দেশক এলিয়া কাজান। ১৯৪৭ এ লেখা এই নাটকটার ব্রডওয়ের এথেল ব্যারিমুর থিয়েটারে শুরু করেন অখ্যাত মার্লোন ব্র্যান্ডোকে নিয়ে। এই নাটকে ব্র্যান্ডো সত্যি সত্যি স্টার হয়ে ওঠেন হলিউডের দিকে যাবার পথে। পরে এই নাটকটি নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রে তিনি আইকন হয়ে ওঠেন দ্‌রুত। লন্ডনের মঞ্চে লরেন্স অলিভিয়ার ভিভিয়ান লে-কে নিয়ে শুরু করেছিলেন, ১৯৪৯-এ। এলিয়া কাজান নির্দেশিত সিনেমায় তিনিই আবার ছিলেন ব্র্যান্ডোর মঞ্চ সঙ্গী,এই নাটকের জন্যই টনি পুরস্কার পাওয়া জেসিকা ট্যান্ডি-কে সরিয়ে। আর নাট্যকার? আমেরিকার অন্যতম সেরা তো বটেই। কাজান বলতেন টেনেসির জীবন নাটকে প্রতিফলিত হয় আর নাটক জীবনে। আবার টেনেসি বলতেন তাঁর অন্যতম প্রিয় লেখক হেমিংওয়ের সবচেয়ে বড় ক্ষমতা হল জান্তব প্রকৃতিকে যথাযথ আঁকতে পারা। ঠিক যেভাবে টেনেসি নাটকটার নাম দিয়েছেন সে ভাবে যদি নাটকটা সম্পর্কে বলতে হয় তাহলে বলতে হবে রাস্তার দর্শন দিয়েই। টেম্পো বা ম্যাটাডোরের পিছনে প্রায়শই লেখা থাকা লাইনটাই এখানে আদর্শ। সুখ স্বপনে,শান্তি শ্মশানে। নাটকীয় টেনেসির এই জান্তব নাটকটিকে নিয়ে আরশি কতটা সফল হল? সেটা আমরা জানতে শুরু করবো এই রবিবার ২০১১-র ১২-ই জুনের সকালে অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টস-এর শো-এর পর থেকে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১১ জুন ২০১১ | ১৪০০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন