গতকাল দৃপ্তা সারঙ্গীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়াটা ছিল প্রিলিউড। আজ মুখোশে মুখ ঢেকে বড় রড হাতে নিয়ে জেএনইউ হস্টেলে ঢুকেছে গুন্ডাবাহিনি, যা ছাত্রদের অভিযোগ অনুযায়ী এবিভিপির। রাষ্ট্রপোষিত গুন্ডা। ফি বাড়ানোর ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন, এনার্সি, সিএএ-র বিরুদ্ধে ছাত্রদের একতা, শাহিনবাগ ধর্ণা, গোটা দেশে বিশাল আন্দোলন, দেশবিদেশে বেইজ্জত হবার অপমান, আর কতো সইবে ফ্যাসিস্ট সরকার।
জেএনইউয়ের অধ্যাপক, ছাত্র নির্বিশেষে আজ তাই রক্তাক্ত। নির্বাচিত ছাত্রসংসদ প্রেসিডেন্ট ঐশী ঘোষ সাংঘাতিকভাবে আহত। হাসপাতালে ভর্তি। অনেক সহযোদ্ধারও একই হাল। আহত অধ্যাপিকা সুচরিতা সেন।
জোর করে জয়শ্রীরাম বলানো হচ্ছে, আর তাও নাকি হচ্ছে সংঘপরিবারঘনিষ্ঠ অধ্যাপকের অংুলিহেলনে।
আমরা তো জানি কাদের প্রশ্রয়ে এবিভিপির এই স্পর্ধা। কেন দিল্লি পুলিশের ছাতার তলে তাদের এই অভিযান! মেইন গেটে প্রচুর পুলিশ, আর পেছনের গেট দিয়ে মুখঢাকা গুন্ডারা এসে ছাত্রদের গুরুতর আহত করে গেল ! সিকিউরিটিদের ঠুঁটো জগন্নাথ করে রাখা হলো। যারা এসেছিল তাদের হাতে রড ছাড়াও ছিল বড় বড় পাথর। চেনা ছকে কাচ ভাঙতে ভাঙতে হস্টেলে ঢুকলো তারা আর মোতায়েন শান্তিবাহিনি দেখতেই পেল না ? উল্টে ছাত্রদের অভিযোগ, পুলিশ গুন্ডাদের ঢুকতে দিয়ে গেট বন্ধ করে দেয়, এখনো দিচ্ছে, এমনকি গুন্ডাবাহিনি আম্বুলেন্স গেটের বাইরে যাওয়াতেও বাধা সৃষ্টি করে।
এইমস থেকে প্রত্যক্ষদর্শী জানাচ্ছেন অন্তত পনের জন ছাত্র আহত। ঐশী এবং আর একজনের মাথার চোট খুব মারাত্মক।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বেরিয়ে যাওয়া এক ভিডিওতে ঘটনার অনেকটাই ধরা পড়েছে। পুলিশ মিডিয়াকে ভিতরে ঢুকতে দিচ্ছেনা, এই অভিযোগ শোনা যাচ্ছে।
এরপর কী ? সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আক্রমণ নামিয়ে আনা সন্ত্রাসবাদীদের নিশানায় কী এবার শাহিনবাগের নিরস্ত্র নারী পুরুষ, যেখানে আজ সন্ধে থেকে পুলিশ জড়ো হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে ?
আমরা কি গণতান্ত্রিক দেশে বাস করছি ? ধিক্কার, ধিক্কার ধিক্কার নামুক ছাত্র-সঙ্ঘীদের মাথার ওপর। দেশের সরকার শাস্তি না দিলেও দেশের জনতা ওদের কোনদিন মাফ করবে না।