এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়া ধারে - ১৬৬

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৫ আগস্ট ২০২৪ | ২২৭ বার পঠিত
  • | | | | | ৬  | ৭  | ৮  | ৯  | ১০  | ১১  | ১২  | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬  | ১৭  | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২  | ২৩  | ২৪  | ২৫  | ২৬ | ২৭ | ২৮  | ২৯  | ৩০ | ৩১  | ৩২  | ৩৩  | ৩৪ | ৩৫ | ৩৬  | ৩৭  | ৩৮  | ৩৯  | ৪০  | ৪২  | ৪৩  | ৪৪  | ৪৫  | ৪৬ | ৪৭  | ৪৮  | ৪৯  | ৫০  | ৫১  | ৫২ | ৫৩ | ৫৪ | ৫৫ | ৫৬ | ৫৭ | ৫৮ | ৫৯ | ৬০ | ৬১ | ৬২ | ৬৩ | ৬৪ | ৬৫ | ৬৬ | ৬৭ | ৬৮ | ৬৯ | ৭০ | ৭১ | ৭২ | ৭৩ | ৭৪ | ৭৫ | ৭৬ | ৭৭ | ৭৮ | ৭৯ | ৮০ | ৮১ | ৮২ | ৮৩ | ৮৪ | ৮৫ | ৮৬ | ৮৭ | ৮৮ | ৮৯ | ৯০ | ৯১ | ৯২ | ৯৩ | ৯৪ | ৯৫ | ৯৬ | ৯৭ | ৯৮ | ৯৯ | ১০০ | ১০১ | ১০২ | ১০৩ | ১০৫ | ১০৬ | ১০৭ | ১০৮ | ১০৯ | ১১০ | ১১২ | ১১৩ | ১১৪ | ১১৫ | ১১৬ | ১১৭ | ১১৮ | ১১৯ | ১২০ | ১২১ | ১২২ | ১২৩ | ১২৪ | ১২৫ | ১২৬ | ১২৭ | ১২৮ | ১২৯ | ১৩০ | ১৩১ | ১৩২ | ১৩৩ | ১৩৪ | ১৩৫ | ১৩৬ | ১৩৭ | ১৩৮ | ১৩৯ | ১৪০ | ১৪১ | ১৪২ | ১৪৩ | ১৪৪ | ১৪৫ | ১৪৬ | ১৪৭ | ১৪৮ | ১৫০ | ১৫১ | ১৫২ | ১৫৩ | ১৫৪ | ১৫৫ | ১৫৬ | ১৫৭ | ১৫৮ | ১৫৯ | ১৬০ | ১৬২ | ১৬৩ | ১৬৪ | ১৬৫ | ১৬৬ | ১৬৭
    কালীকিঙ্করবাবুর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি সেই যে রিটায়ার করার মাসখানেক আগে নিখিল ব্যানার্জীর বাড়িতে এসেছিলেন কিছুক্ষণের জন্য তার পর থেকে তার আর খোঁজ নেই। সাগর আর রাত্রি এর মধ্যে দুবার বটতলায় থানায় গিয়ে খোঁজ করে এসেছে। ওরাও ঠিকমতো কিছু বলতে পারল না। তাছাড়া আগের কর্মীরা প্রায় কেউই এখন এ থানায় নেই। নতুন ওসি বললেন, ' সাত আট মাস আগে একবার এসেছিলেন দেখা করতে। বললেন, তিনি এখন ঘাটালে তার এক ভাইপোর কাছে থাকেন। রামকৃষ্ণ মিশনে খুব যাতায়াত করেন। কলকাতার সঙ্গে যোগাযোগ খুব কম। কলকাতায় আসতে নাকি আর ভাল লাগে না ... '।

    সাগর আর রাত্রি শুনে একটু অবাক হল। কালীবাবুর সাহচর্যে সাগর কত ঘটনা যে সামলেছে বটতলা থানার এই ঘরে বসে তার ঠিক নেই। সব ছবি যেন ডিউটি শেষ করা ক্যালেন্ডারের পাতার মতো উল্টে গেছে।

    তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করবে ঠিক করেছে। শিবতোষবাবুর শরীর ভাল না। মেয়ের বিয়েটা দিয়ে যেতে পারলে তিনি নিশ্চিন্ত হন। সাগর রাত্রির ঐকান্তিক ইচ্ছা তাদের বিয়েতে কালীবাবু
    প্রধান ভূমিকা পালন করুন। সাগর মনে প্রাণে বিশ্বাস করে কালীবাবুই রাত্রিকে তার সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছেন। তাকে এই কৃতজ্ঞতার ঋণ যে করেই হোক শুধতে হবে। বটতলা থানায় অবশ্য একজন পুরনো কনস্টেবলকে পাওয়া গেল। কৃষ্ণপদ বারুই। থানা থেকে বেরোবার সময় কৃষ্ণপদর সঙ্গে দেখা হয়ে গেল।
    সাগর বলে উঠল, ' আরে ... কেষ্টদা , তুমি এখনও আছ ? '
    ---- ' এই আছি এখনও... জানি না আর কদ্দিন ... ট্রান্সফার লেগেই আছে। আপনি অনেক দিন পরে এলেন ...এখন আর কার কাছেই বা আসবেন ? কালীবাবু তো আর নেই ... '
    কৃষ্ণপদ একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, ' সে সব দিন আর নেই। কত সুন্দর ছিলাম আমরা। মনেই হত না আমরা পুলিশে চাকরি করি। কালীবাবুর মতো ওসি কি আর কোনদিন পাব ? এখনও পনের বছর চাকরি আছে ... কোন থানায় গিয়ে তা শেষ হবে কে জানে ... ম্যাডাম চা খাবেন নাকি ? '
    কৃষ্ণপদর দেখাদেখি সাগরেরও একটা দীর্ঘশ্বাস পড়ল। রাত্রি বলল, ' না গো ... এখন আর চা খাব না ... পরে আর একদিন আসব ... '
    ----- ' আ..র ... কার কাছেই বা আসবেন। সব তো উল্টেপাল্টে গেছে ... হাঃ হাঃ ... থানাটাকেই বদলে দিল পুরো ... কি আর বলব ... '
    সাগর বলল , ' এই কেষ্টদা ... কালীবাবুকে কোথায় পাওয়া যাবে কিছু বলতে পারবে ? '
    ----- ' না গো ... একদম কিচ্ছু জানি না। তবে কার কাছে যেন শুনলাম প্রত্যেক শনিবার বিকেলে বেলুড়মঠে যায় ... সত্যি মিথ্যে জানিনা অবশ্য। আমিও তো দেখা করতে চাই স্যারের সঙ্গে। যদি কোথাও দেখা হয় আমার কথা বোল ... '

    সাগর আর রাত্রি বেরিয়ে এল। রাত্রি বলল, ' কালীবাবু স্যারকে না পেলে বিয়েটা হবে কি করে ?'
    ----- ' দেখি তাকে বেলুড়মঠে পাওয়া যায় কিনা ... অপারেশন বেলুড় ... ' সাগর বলে।
    ----- 'হমম্ ... '

    তৃণা আর অমল। দুজনে রাধা সিনেমার সামনে দাঁড়িয়েছিল। মনে হচ্ছে সিনেমা দেখার জন্য নয় , কারো জন্য অপেক্ষা করছিল।
    তৃণা বলল, ' জায়গাটা সবসময়ে কেমন জমজমাট ... আমার খুব ভাল লাগে। এখানে দাঁড়িয়ে থাকলেই যেন সময় কেটে যায় ... '
    ----- ' একদম একদম ... আমরা তো স্কুলে পড়ার সময়ে ক'জন মিলে টাউন স্কুলের মোড় থেকে হেদুয়া পর্যন্ত হাঁটতে হাঁটতে যেতাম। আবার হাঁটতে হাঁটতে নানা ঠাট্টা ইয়ার্কি করতে করতে ফিরে আসতাম। অলোকও থাকত তার মধ্যে। আরে... অলোক কি আর আসবে না ? কুড়ি মিনিট হতে চলল ... ও ছোটবেলা থেকে ইরেসপনসিবল। কোন সময়জ্ঞান কোনদিনই ছিল না ... '
    তৃণা বলল, ' ও তো বাড়িতেই আসতে পারত ... '
    ----- ' আমি তো সেটাই বলেছিলাম। কিন্তু ওই হাতিবাগান পাগলটা বলল ... না , রাধার সামনে দাঁড়া। ওখানেই মিট করব। ওখানকার ভাইব্রেশানই আলাদা। কি বলব বল ... '
    ----- ' অলোকদা কি বউকে নিয়ে আসছে , না
    একা ? '
    -----' একা একা .... বিয়েই করেনি , বউ কোথা থেকে আসবে ? দূর চল তো ... বোকার মতো এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে ভাল লাগছে না। এক্ষুণি শো ভাঙবে, ঠেলাঠেলি শুরু হবে ... '
    ----- ' যাচ্ছি যাচ্ছি ... অত তাড়াহুড়ো করছ কেন ? '
    ----- ' অসহ্য লাগছে ... রবিবারের বিকেলটা পুরো বরবাদ করে দিল অলোক ... আর এক মিনিটও না ... চল চল ওদিকে চল ... '
    ---- ' কোথায় যাবে ? '
    ---- ' কোথায় আর যাব এখন ... চল হেদোর দিকে যাই ... '
    হাতিবাগানের মোড়টা পেরোতেই রাত্রির মুখোমুখি পড়ে গেল। শ্যামবাজারের দিকে যাচ্ছিল বোধহয়।

    ----- ' আরে ... হর পার্বতীকে একসঙ্গে পাওয়া গেল একেবারে। তারপর ... কি খবর ? '
    ----- ' আমাদের আর খবর কি হবে ? তোমাদের কি খবর বল ... সাগরদার সঙ্গে অনেকদিন দেখা হয়নি। এবারে একটা সেটলমেন্টে এস ... আমাদের কারোরই বয়স তো থেমে থাকবে না ... ' অমল খুব আন্তরিকভাবে পরামর্শ দিতে লাগল। তার মনে এখন আর কোন আলো ছায়ার খেলা নেই রাত্রিকে নিয়ে। সময় এ জীবনের কত কিছু
    ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেয়। নির্বিকার উদাসীনতায় ঘুরে চলে সময়ের চাকা।
    রাত্রি বলল, ' হ্যাঁ ... তা তো বটেই। খুব শিগ্গীর করে ফেলব ... '
    অমল তৃণাকে বলল, ' এ হচ্ছে রাত্রি ... সঞ্চিতার ইউনিভার্সিটির ক্লাসমেট। আগে আমাদের বাড়ি প্রায়ই আসত। এখন ও পথ ভুলেও মাড়ায় না ... '
    ----- ' অ্যাই ... একদম বাজে কথা বলবে না ... আমি এর মধ্যে যাইনি ? এই তো গতমাসে ... '
    ----- ' আমি তো সেদিন ছিলাম না ... ' অমল বলে।
    ----- ' সেটাই বল মশাই। তোমরা সব শিল্পী মানুষ , তোমাদের ব্যাপার আলাদা ... '
    ----- ' ও বাবা ... শিল্পী মানুষ ... হুঁ : '
    তৃণা হেসে বলল, ' ঠিক আছে, ঠিক আছে ... আর ঝগড়া না ... রাত্রিদি আর একদিন এস না সময় করে ... জমিয়ে আড্ডা মারা যাবে ... '
    ----- ' গীটারও শুনব বল ... কি দারুণ বাজায় তোমার কর্ত্তা ... শুনেছ নিশ্চয়ই ? ' রাত্রি অকপটে বলে।
    তৃণা ঠোঁটে মৃদু হাসি মাখিয়ে একবার নীরবে ঘাড় নাড়ল। তাতে ঠিক বোঝা গেল না তার স্বামীর গীটারবাদনে তার আদৌ কোন অনুরাগ আছে কিনা।
    অমল মনে মনে বলল, ' সব জিনিস কি আর সবার জন্য ... '
    তার আচমকা মনে পড়ে গেল সেই একদিনের কথা। রাত্রির সামনে বসে বাজাচ্ছে, ' কিছু বলব বলে এসেছিলেম ... '
    চৈত্রমাসের এক ঝলকের একটা দমকা বাতাসের মতো একটা মায়াবী স্পর্শ বুলিয়ে দিয়ে কোথায় পালিয়ে গেল মনে পড়াটা।
    অমল তাড়াতাড়ি বলল, ' এখন তা'লে আসি ... এস কিন্তু একদিন ... '
    তৃণাও বলল, ' অবশ্যই এস রাত্রিদি। অপেক্ষা করে থাকব ... '
    ----- ' হ্যাঁ গো যাব ... অতবার বলতে হবে না ... '

    যে যার নিজের পথে চলে গেল। সকলেই নিজের নিজের পথে যায়। জীবন থেমে থাকে না। এঁকে বেঁকে পথ করে নিয়ে এগোতে থাকে।

    সন্তোষ হাতিবাগান বাজারে তার দোকানে বসে ছিল বিকেল পাঁচটা নাগাদ। সাগর এসে হাজির হল কোথা থেকে।
    ---- ' কিরে সন্তোষ ... কেমন চলছে ব্যবসা ?
    ---- ' এ..ই চলছে একরকম। বাজার ভাল না। তুমি হঠাৎ এই সময়ে ? '
    ---- ' এ..ই এলাম। যাচ্ছিলাম বাড়ির দিকে। ভাবলাম একবার ঘুরে যাই। আমার দোকানটাও এদিকে নিয়ে আসতে হবে। ওখানে দোকানটা মার খেয়ে যাচ্ছে। এতদিন ওখান থেকে যা আসছিল আসছিল ... চলে যাচ্ছিল। দুটো তো লোক , মা আর আমি। কিন্তু এখন তো আর ওই ভাবে ... '

    সন্তোষ সাগরের মুখের কথা কেড়ে নিয়ে বলল ,
    ' হ্যাঁ, সে তো বটেই... সংসার বড় হতে চলেছে ... বুঝতে পেরেছি ... '
    সাগর কথাটা মেনে নিল। ছোট্ট করে বলল, ' হুঁ ...'
    খানিকক্ষণ চুপচাপ বসে বাজারের লোকজন দেখতে লাগল।
    তারপর বলল, ' নিখিল স্যারের কাছে যাস তো ? '
    সন্তোষ বলল, ' হ্যাঁ নিশ্চয়ই ... কয়েকদিন ছাড়া ছাড়াই যাই। ওনার কাছে না গেলে চলে ? নন্দও যায় ... '
    ---- ' হ্যাঁ ... সেটা জানি ... নন্দর সঙ্গে আমার দেখা হয়। স্যার অন্য জেলাগুলোতে সংগঠনের লোক বাড়াতে চাইছে। সেদিন পুরুলিয়া আর বাঁকুড়া থেকে লোক এসেছিল। স্যার অনেকক্ষণ ধরে তাদের সঙ্গে কথা বলছিল ... '
    এক ভদ্রলোক সন্তোষের পাশে একটা টুলে বসে আছে।
    ---- ' ও ... তা ভাল। সত্যিই তো লোক না হলে জোর বাড়বে কি করে ? আমি ওনাকে নিয়ে যাব নিখিল স্যারের কাছে ... বুঝলেন তো ? আমি যেটুকু বুঝেছি সব বলেছি ওনাকে ... উনি যেতে চান ... '
    ---- 'কে ? কার কথা বলছিস ? '
    ---- ' তাকে এখনও চোখে না দেখলেও, আপনি তাকে চেনেন। কানুর দাদা প্রীতিময় ... '
    ---- ' ও ... তাই নাকি ? '
    ---- ' সে কি সাঁইথিয়া থেকে ফিরেছে ? '
    ---- ' কি যে বলেন দাদা ... আপনার বোধহয় খেয়াল নেই, এর মধ্যে দু বছর কেটে গেছে ... একটা সুখবর , পরিতোষ কর্মকারের মতো হারামি মুচিপাড়া থানা থেকে বদলি হয়ে গেছে। এখন যে আছে সে অত ঝামেলাবাজ না। সে আর এদের ওপর হুজ্জুতি করেনি স্বরূপ খাঁড়ার ব্যাপারটা নিয়ে। এটাই বাঁচোয়া। সেটা হলে আবার আপনাকে 'ডিসটাব' করতে হত। অবশ্য প্রীতিময়দার স্ত্রীর কাছে কে নাকি বলে গিয়েছিল সাগর মন্ডলের সঙ্গে তাদের পরিচয় করিয়ে দেবে , যাতে কোন বিপদে পড়লে তার সাহায্য পাওয়া যায়। সে অবশ্য বছর দুই আগের কথা। তারপর আমিও ওদের বলেছিলাম আমি সাগর মন্ডলের সঙ্গে ওদের দেখা করিয়ে দেব ... '
    সব কথাই সাগরের মনে আছে। সে নিয়মিত ওদের খোঁজ রেখেছে আড়ালে থেকে , হাজার হোক কানুর দাদা বৌদি বলে কথা। পরিতোষ কর্মকারের বদলির খবরও তার জানা।
    সাগর বলল, ' সে লোকটা কে ? '
    ----- ' সেটা কি করে বলব ? আমি তো দেখিনি তাকে। রানু বৌদির সঙ্গে নাকি কথাবার্তা হয়েছিল তার ... আমি তো বললাম যে ... '
    সাগর তাড়াতাড়ি কথাটা চাপা দিল।
    ----- ' আচ্ছা ঠিক আছে ... দেখছি দেখছি ... '
    প্রীতিময়ের বউ রানু ওদিকে গিয়েছিল শায়ার দড়ি কিনতে। সে এই সময়ে অকুস্থলে উপস্থিত হল। সাগরের দিকে নজর পড়তে বেশ খানিকক্ষণ তাকিয়ে থাকল একপাশ থেকে।
    তারপর বলল, ' দাদা চিনতে পারছেন ? '
    সাগর মুখ ঘুরিয়ে রানুর দিকে তাকাল।
    ---- ' হ্যাঁ হ্যাঁ ... কি আশ্চর্য, চিনতে পারব না কেন ? কেমন আছেন ... কোন অসুবিধে হচ্ছে না তো ? '
    ----- ' না, থানা থেকে আর কেউ আসেনি ... তবে কবে কি মতি হয় তাদের ... খাঁড়াবাবুর কেসটা তো চলছে শুনেছি ... ওই যে আমার বর ... '
    সাগর বলল, ' হ্যাঁ ... বুঝেছি এবার '
    রানু আবার বলল, ' আপনি বলেছিলেন সাগর মন্ডলকে একদিন নিয়ে আসবেন ... মানে , একটু বল ভরসা পাই ... কানুর মুখে অনেক শুনেছি ... '
    ---- ' হ্যাঁ তাই তো , বলেছিলাম ... ঠিক কথা। এই সন্তোষ ... সাগরের সঙ্গে এনাদের দেখা করিয়ে দে না ... '
    সন্তোষ পুরো ব্যাপারটা আন্দাজ করে নিল।
    ----- ' নিশ্চয়ই নিশ্চয়ই ... কানুর দাদা বৌদি বলে কথা ... আমাদেরও তো একটা কর্ত্তব্য আছে। এই নিন বৌদি , আপনাদের সাগর মন্ডলকে ... আপনার পাশেই দাঁড়িয়ে আছে ... '
    রানু ঘোষ চারদিকে চোখ ঘুরিয়ে বলল
    ---- ' কই ? '
    সাগর এবার রানুর সামনে গিয়ে বলল, ' এই যে , আমি এখানে ... '
    বিস্ময়াহত রানু ঘোষের মুখ দিয়ে বেরিয়ে এল, ' ওমা ... সেকি ! '

    ( পরের পর্বে সমাপ্য )

    ********************************************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | ৬  | ৭  | ৮  | ৯  | ১০  | ১১  | ১২  | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬  | ১৭  | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২  | ২৩  | ২৪  | ২৫  | ২৬ | ২৭ | ২৮  | ২৯  | ৩০ | ৩১  | ৩২  | ৩৩  | ৩৪ | ৩৫ | ৩৬  | ৩৭  | ৩৮  | ৩৯  | ৪০  | ৪২  | ৪৩  | ৪৪  | ৪৫  | ৪৬ | ৪৭  | ৪৮  | ৪৯  | ৫০  | ৫১  | ৫২ | ৫৩ | ৫৪ | ৫৫ | ৫৬ | ৫৭ | ৫৮ | ৫৯ | ৬০ | ৬১ | ৬২ | ৬৩ | ৬৪ | ৬৫ | ৬৬ | ৬৭ | ৬৮ | ৬৯ | ৭০ | ৭১ | ৭২ | ৭৩ | ৭৪ | ৭৫ | ৭৬ | ৭৭ | ৭৮ | ৭৯ | ৮০ | ৮১ | ৮২ | ৮৩ | ৮৪ | ৮৫ | ৮৬ | ৮৭ | ৮৮ | ৮৯ | ৯০ | ৯১ | ৯২ | ৯৩ | ৯৪ | ৯৫ | ৯৬ | ৯৭ | ৯৮ | ৯৯ | ১০০ | ১০১ | ১০২ | ১০৩ | ১০৫ | ১০৬ | ১০৭ | ১০৮ | ১০৯ | ১১০ | ১১২ | ১১৩ | ১১৪ | ১১৫ | ১১৬ | ১১৭ | ১১৮ | ১১৯ | ১২০ | ১২১ | ১২২ | ১২৩ | ১২৪ | ১২৫ | ১২৬ | ১২৭ | ১২৮ | ১২৯ | ১৩০ | ১৩১ | ১৩২ | ১৩৩ | ১৩৪ | ১৩৫ | ১৩৬ | ১৩৭ | ১৩৮ | ১৩৯ | ১৪০ | ১৪১ | ১৪২ | ১৪৩ | ১৪৪ | ১৪৫ | ১৪৬ | ১৪৭ | ১৪৮ | ১৫০ | ১৫১ | ১৫২ | ১৫৩ | ১৫৪ | ১৫৫ | ১৫৬ | ১৫৭ | ১৫৮ | ১৫৯ | ১৬০ | ১৬২ | ১৬৩ | ১৬৪ | ১৬৫ | ১৬৬ | ১৬৭
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Mira Bijuli | ০৭ আগস্ট ২০২৪ ০৯:২৩535947
  • আর যাই হোক গল্পের সমাপ্তিতেও যেন সাগরের মতো লোকেরা থেকে যায় সমাজের কল্যাণার্থে।..এই টুকুই দাবি পাঠক হিসেবে।
  • Anjan Banerjee | ০৭ আগস্ট ২০২৪ ১৪:৫৯535958
  • অবশ্যই অবশ্যই ... 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন