এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে - ১১৫

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ৩০ মার্চ ২০২৪ | ৪৭১ বার পঠিত
  • | | | | | ৬  | ৭  | ৮  | ৯  | ১০  | ১১  | ১২  | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬  | ১৭  | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২  | ২৩  | ২৪  | ২৫  | ২৬ | ২৭ | ২৮  | ২৯  | ৩০ | ৩১  | ৩২  | ৩৩  | ৩৪ | ৩৫ | ৩৬  | ৩৭  | ৩৮  | ৩৯  | ৪০  | ৪২  | ৪৩  | ৪৪  | ৪৫  | ৪৬ | ৪৭  | ৪৮  | ৪৯  | ৫০  | ৫১  | ৫২ | ৫৩ | ৫৪ | ৫৫ | ৫৬ | ৫৭ | ৫৮ | ৫৯ | ৬০ | ৬১ | ৬২ | ৬৩ | ৬৪ | ৬৫ | ৬৬ | ৬৭ | ৬৮ | ৬৯ | ৭০ | ৭১ | ৭২ | ৭৩ | ৭৪ | ৭৫ | ৭৬ | ৭৭ | ৭৮ | ৭৯ | ৮০ | ৮১ | ৮২ | ৮৩ | ৮৪ | ৮৫ | ৮৬ | ৮৭ | ৮৮ | ৮৯ | ৯০ | ৯১ | ৯২ | ৯৩ | ৯৪ | ৯৫ | ৯৬ | ৯৭ | ৯৮ | ৯৯ | ১০০ | ১০১ | ১০২ | ১০৩ | ১০৫ | ১০৬ | ১০৭ | ১০৮ | ১০৯ | ১১০ | ১১২ | ১১৩ | ১১৪ | ১১৫ | ১১৬ | ১১৭ | ১১৮ | ১১৯ | ১২০ | ১২১ | ১২২ | ১২৩ | ১২৪ | ১২৫ | ১২৬ | ১২৭ | ১২৮ | ১২৯ | ১৩০ | ১৩১ | ১৩২ | ১৩৩ | ১৩৪ | ১৩৫ | ১৩৬ | ১৩৭ | ১৩৮ | ১৩৯ | ১৪০ | ১৪১ | ১৪২ | ১৪৩ | ১৪৪ | ১৪৫ | ১৪৬ | ১৪৭ | ১৪৮ | ১৫০ | ১৫১ | ১৫২ | ১৫৩ | ১৫৪ | ১৫৫ | ১৫৬ | ১৫৭ | ১৫৮ | ১৫৯ | ১৬০ | ১৬২ | ১৬৩ | ১৬৪ | ১৬৫ | ১৬৬ | ১৬৭
    এরপর তিন মাস কোথা দিয়ে কেটে গেল। দিনগুলো যে কত দ্রুত মিলিয়ে যাচ্ছে কোন সীমানার ওপারে, জীবনের স্রোত যে কত দ্রুত কলকল করে বয়ে যাচ্ছে কোন উদ্দেশে তা আর ক'জন খেয়াল করে।
    দেখতে দেখতে পুজোর মরসুম এল আর গেল। উত্তুরে হাওয়া নিয়ম মেনে ছুটোছুটি শুরু করেছে গাছের ডালে ডালে, পুরোপুরি জাঁকিয়ে বসার আগে। বর্ষশেষের দিনও একসময়ে এসে পড়ল। কাল পয়লা জানুয়ারি। পৃথিবী পা রাখবে নতুন সাল, নতুন দশকে। ষাটের দশকে।
    অঘ্রাণ মাসে অলোকেন্দুবাবুর মেয়ে চন্দনার বিয়ে হয়ে গেল, ধুমধাম ক'রে।
    প্রতিবিম্বও সেখানে নিমন্ত্রিত ছিল। সুমনা সারাক্ষণ তার দেখভাল করতেই ব্যস্ত হয়ে রইল।
    ব্যস্তবাগীশ বাসন্তীদেবীর সঙ্গেও বার দুয়েক মুখোমুখি হয়ে গেল প্রতিবিম্ব। প্রতিবারই বাসন্তীদেবী একগাল হেসে বললেন, ' বস বাবা, খাওয়া হয়েছে ? '
    এটা যে কোন অনুষ্ঠান বাড়ির বাঁধা গত। কেউ কেউ যতবারই দেখা হোক জিজ্ঞাসা করেন, খেয়েছেন তো ?
    পরমানন্দবাবুকেও আসতে অনুরোধ করেছিলেন অলোকেন্দুবাবু। কিন্তু তিনি করজোড়ে বললেন, ' আমাকে আবার কেন ? বাবলু যাবে' খন ... আমার এই বয়সে ... আর ওসব পারিনা ... বয়েস হয়েছে না ... বুঝতেই তো পারছেন ... '
    অলোকেন্দুবাবু জোর করেননি। তিনি বুঝতে পারলেন পরমানন্দবাবু একটা অস্বস্তি বোধ করছেন নানা কারণে। তিনি বললেন, ' ঠিক আছে ... দেখুন যদি আসতে পারেন। এলে ভাল লাগবে... '
    প্রতিবিম্ব অলোকেন্দুবাবুর কথা রাখতে আবার একবার গিয়েছিল গণৎকারের ভূমিকা পালন করতে। সেখানে ওনার চিত্রনাট্য অনুসরণ করে চন্দনার বিয়ের ব্যাপারে প্রতিবিম্ব বলল, ' এরকম সুলক্ষণযুক্ত রাজযোটক বড় একটা দেখা যায় না। আপনি নিশ্চিন্তে এগোতে পারেন এ ব্যাপারে ...'
    শুনে বাসন্তী তো খুশিতে ডগমগ। তিনি বললেন, ' যাক বাবা ... হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম ... খুব চিন্তায় ছিলাম ... ' নানাবিধ সংস্কারজালে আচ্ছন্ন বাসন্তীদেবীর চোখেমুখে স্বস্তির আলো এসে পড়ল।
    তিনি এবার বললেন, ' কিন্তু বাবা ... আমার ছোটমেয়ের ব্যাপারে তো কিছু বললে না ... আমার আসল চিন্তা তো ওকে নিয়েই ... '
    প্রতিবিম্ব ভারিক্কি চালে নিদান দিল, ' না মা ... এ মেয়েরও রাজযোটক হবে। মানে, হয়েই আছে। শুধু আপনি তার দেখা পাচ্ছেন না। কিংবা এও হতে পারে হয়ত আপনি কোনদিন তাকে দেখেছেন। যাই হোক, আপনাকে কিছু করতে হবে না, সে নিজেই আপনাকে দেখা দেবে। তাকে অস্বীকার করা কিন্তু আপনাদের পক্ষে মঙ্গলজনক হবে না। তাকে গ্রহণ করে নেওয়া হবে আপনাদের পক্ষে মঙ্গলজনক। তাকে অবশ্যই গ্রহণ করে নেবেন। এ ... কি বলে... এক মহা রাজযোটক সম্পর্ক হতে চলেছে ... '
    বাসন্তীদেবী হাঁ করে প্রতিবিম্বর মুখনিসৃত বাণী শুনছিলেন।
    তিনি এবার বললেন, ' অ ... তাই ? '
    জ্যোতিষী ঠাকুরের ওপর তার অগাধ বিশ্বাস।
    বললেন, ' তা ... কবে তার দেখা পাব ? '
    ----- ' সেটা ঠিক বলতে পারছি না ... অপেক্ষা করুন ... বেশি দেরি হবে না ... '
    ----- ' আর ... কি বললে ... আমি কোনদিন হয়ত ছেলেটাকে দেখেছি ? '
    ----- ' মনে তো হচ্ছে তাই ... নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না অবশ্য। তবে এই যোগাযোগের ফল যে খুব শুভ এটা নিশ্চিত ... '
    বাসন্তী দুহাত জড়ো করে কপালে ঠেকিয়ে বললেন, ' তারা ব্রহ্মময়ী ... '

    বিভূতিবাবু সন্ধেবেলায় ছাদে উঠলেন। শীতের আঁধার জাঁকিয়ে বসেছে। তিনি তারাভরা আকাশের দিকে তাকালেন। চারপাশে ঘরে ঘরে আলো জ্বলে উঠেছে। বেথুন কলেজের গাছগুলোর আশেপাশে জোনাকি ঘুরছে। এরকম কত স্মৃতির জোনাকিমাখা শীত জড়ানো বর্ষশেষের সন্ধ্যা পেরিয়ে এলেন তিনি এই হেদুয়ার ধারে থাকতে থাকতে। এ জীবনে আর ক'টা এমন রাত পাবেন কে জানে। লাইটহাউসে টেন কম্যান্ডমেন্টস দেখতে গিয়ে নিতাইবাবুর ছেলে আর তার দুই বন্ধুর সঙ্গে দেখা হওয়ার কথা মনে পড়ল। তারপর রাস্তায় তাকে একটা লোকের সঙ্গে ধাক্কা লাগার পরে অনিমেষের ক্ষিপ্ত হয়ে লোকটার ওপর চড়াও হওয়া মনে পড়ে গেল তার। ভাবলেন, ছেলেটা কিন্তু প্রচুর শক্তি ধরে। এই বয়সেই এত শক্তি .... চর্চা করলে বড় বক্সার বা রেস্টলার হতে পারবে। তারপর চাচার রেস্টুরেন্টে ওদের নিয়ে গিয়ে কাটলেট খাওয়ানোও মনে পড়ে গেল। বিভূতিবাবু মনে মনে হাসলেন। কি নিষ্পাপ ওরা এখনও। দোতলার আগের ভাড়াটে অনিল ঘোষ এখান থেকে চলে যাওয়ার পর আর কোন যোগাযোগ রাখলেন না। ওদের কথা খুব মনে পড়ে। অবশ্য এখন যারা আছেন, মানে জন্মেজয়বাবুরা, ওরাও খুব ভাল লোক। কেউ চলে গেলে মনটা বড় খারাপ লাগে। যাবার সময় বুকের ভিতরের কত হাসি কান্না চুরি করে নিয়ে যায় সে নিজে বুঝতেও পারে না। আজ রাত পোহালে নতুন বছর, নতুন দশক।

    এবারে পুজোর পরে শেষরক্ষা নাটক হল ওই আগেরবার যেখানে হয়েছিল সেখানেই। আবার একবার দুর্দান্ত নাটক নামাল অসিত। সত্যি প্রতিভা আছে ছেলেটার। কতকগুলো আনাড়ি লোককে দিয়ে এরকম অভিনয় করিয়ে নেওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। বিভূতিবাবু সেন্ট্রাল এভিনিউয়ের একটা চারতলা বাড়ির ছাদ দেখতে পাচ্ছেন এখান থেকে। ওখানে আকাশপ্রদীপের মতো একটা আলো লাগিয়েছে। দূর থেকে দেখতে আকাশের একটা নরম আলোর তারার মতো দেখতে লাগছে। ওই বাড়ির ছাদ থেকে বিশ্বকর্মা পুজো এবং তার আগে পরে প্রচুর ঘুড়ি ওড়ানো হয়।
    তার মনে হচ্ছে নিতাইবাবুর মেয়ের সঙ্গে অসিতের একটা লটর পটর চলছে। বয়সের দোষ আর কি। আজকাল নিতাইবাবুর স্ত্রীর মুখটা কেমন যেন গোমড়া দেখায়। বোধহয় এসব ঠিক মেনে নিতে পারছে না সে। ঘরের উঠতি বয়সের মেয়ে থাকলে মায়েদের যে কি জ্বালা। সবই নিশ্চয়ই মিটে যাবে ভালোয় ভালোয়। নিতাইবাবু নিপাট ভালমানুষ, তার নিশ্চয়ই ভালই হবে। দেখা যাক নতুন বছরে কোথাকার জল কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়।

    আঁধার আকাশের তলায় কে যেন অদৃশ্য তুলিতে ছবি এঁকে চলেছে। ভেসে উঠছে সংসারনাথবাবুর মুখ ... মনে পড়ে গেল কোন গহনে হারিয়ে যাওয়া কথা ' বাঙাল কায়েত... '। একে একে ছবি ভেসে উঠতে লাগল প্রায় একশ ছোঁয়া স্বাধীনতাসংগ্রামী শশধরবাবুর মুখ, বাড়ির দরজায় বসে বসে ছানিপড়া চোখে আবছা জলছবির মতো রাস্তার লোকজন দেখতে থাকা সমীরণের ঠাকুরমা ... এ জীবনের মতো মুছে গেল, হারিয়ে গেল কোথায়। বর্ষশেষের সন্ধ্যায় এক গভীর শ্বাস বেরিয়ে এল বিভূতিবাবুর বুকের অন্তস্তল থেকে।

    কাবেরী ভাবল আজ বড় ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। এরকম ইয়ার এন্ডিং কখনও কাটেনি তার। ঘোরা ফেরা মজা আনন্দ এই নিয়ে ভরপুর ছিল তার জীবন। কিন্তু এবারে সে কোথাও বেরোয়নি। বাড়িতেই বসে আছে রেডিও খুলে। বেতার বার্তা বয়ে যাচ্ছে রঙ্গে বেরঙ্গে আপন নিয়মে।

    কাবেরী জানলার ধারে বসে রাস্তা দেখছে, গাড়ি ঘোড়া লোকজন, বর্ষশেষের চলমান কলকাতা দেখছে। তার কাউকে মনে পড়ছে না এই উৎসবের দিনে। অমিতাভ, পার্থপ্রতিম, প্রতিবিম্ব কারও কথা না। না, সুমনার কথাও না। কেমন যেন উদাসি হাওয়া বইছে মনের মধ্যে। কাবেরী ভাবল, এই বেশ ভাল আছি। এরকমই থাকব। কারও সঙ্গে কোন সম্পর্কে যাবার চেষ্টা করব না। পরীক্ষা এগিয়ে আসছে। পড়াশোনায় মন দিতে হবে। কাল নিখিল স্যারের কাছে পড়তে যাওয়ার দিন। বছরের প্রথম দিন নিখিল স্যার কি বলবেন কে জানে। নিশ্চয়ই নতুন কিছু বলবেন। নিখিল স্যার কি বলবেন আগে থেকে আন্দাজ করা যায় না। সব কথা বুঝুক বা না বুঝুক নিখিল স্যারের কথা শুনতে তার খুব ভাল লাগে। সত্যি কথা বলতে গেলে, শুধু তার কথা শুনতেই ভাল লাগে আজকাল, আর কারও কথা নয়। যত আজেবাজে কথা বলে আর সব লোক।

    রাত ধীরে ধীরে ঘন হচ্ছে। শীতের কামড় বাড়ছে। কাবেরী জানলার ধার থেকে উঠে গেল। একটা শাল ভাল করে জড়িয়ে নিল গায়ে।

    সুরেশ্বর মল্লিক আর আগের মতো নেই এটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। কিন্তু এই বর্ষশেষের রাতে দূর্গাচরণ মিত্র স্ট্রিটে তার পুরণো সঙ্গিনীদের কথা মনে আসতে তার মন উথাল পাথাল করতে লাগল। কড়া শীতের এমন মায়াবী রাত তো রোজ রোজ আসবে না। সুরেশ্বর তবু কিন্তু ও রাস্তায় যাওয়া থেকে মনটা ঘুরিয়ে নিল।
    বরং উল্টোদিকে গুটি গুটি হাঁটতে হাঁটতে হেদোর মোড়ে বৈকুন্ঠ বুকহাউসের সামনে এসে দাঁড়াল। দাঁড়িয়ে ভাবতে লাগলেন কোন দিকে যাওয়া যায়।
    এখান থেকে ট্রামে উঠে ধর্মতলার দিকে যাবেন, নাকি শ্যামবাজারের গোলবাড়িতে গিয়ে কষা মাংস খাবেন। নাকি দর্জিপাড়া থেকে দুটো পাঁইট কিনে নিয়ে ঘরে ঢুকে গেলাস আর সোডাজল নিয়ে বসে যাবেন। একবার মনে হল, বৌকে সঙ্গে নিয়ে বেরোলে ভাল হত। অন্যায় হয়ে গেছে। এসব ন্যায় অন্যায় বোধ অবশ্য তার ছিল না। ভাগ্যিস সাগর মন্ডল এসে পড়ল সেই রাতে...

    মাতাল, লম্পট, অকালকুষ্মান্ড সুরেশ্বর মল্লিক ওই মোড়ের মাথায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হেদুয়ার দিকে তাকিয়ে আপনমনে নানা স্মৃতিচারণা করছে, এমন সময়ে তার পাশে কে একজন এসে হাজির হল হঠাৎ।
    -----' মল্লিকমশাই যে ... কি এত ভাবছেন এখানে দাঁড়িয়ে ... '
    সুরেশ্বর মাথা ঘুরিয়ে দেখলেন, কি আশ্চর্য... সাগর মন্ডল দাঁড়িয়ে আছে। হ্যাঁ, সাগর মন্ডলই দাঁড়িয়ে আছে, এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু গলার স্বর যেন সম্পূর্ণ ভিন্ন লোকের। যেন কেটেকুটে, চেঁচেছুলে পালিশ করা বনের শালগাছ। যে যাই ভাবুক সুরেশ্বরের মোটেই ভাল লাগল না। সে ভাবল, এই সাগর মন্ডল কক্ষনও তাকে সোনাগাছি থেকে ফিরিয়ে আনতে পারত না।

    সুরেশ্বর বলল, ' আরে সাগরবাবু যে ... এদিকে কোথায় ? '
    সাগর নম্রস্বরে বলল, ' এই একটু বিবেকানন্দ রোডে গিয়েছিলাম ... কাজ ছিল। আপনি ভাল আছেন তো ? '
    সামগ্রিক কথনভঙ্গী এবং শরীরি ভঙ্গীতে সুরেশ্বর একটা আমূল পরিবর্তনের আভাস পেল সাগরের কাঠামোয়, যেটা আর কেউ যেভাবেই নিক সুরেশ্বর খুশিমনে নিতে পারল না। এই সাগর মন্ডলকে সে দেখতে চায় না।
    তিনি তার জানা একটা প্রবাদবাক্য বিড়বিড় করে বললেন, ' বন্যেরা বনে সুন্দর ...শিশু মাতৃক্রোড়ে...'

    ----- ' মল্লিকবাবু কিছু বললেন ? '
    ----- ' না ... বলছি যে আপনি বেশ ভাল আছেন তো ? ', নির্ভেজাল আন্তরিকতার সঙ্গে সুরেশ্বর প্রশ্নটা করলেন।
    ------ ' হ্যাঁ, খু..উ..ব ....। এত ভাল যে আমি কোনদিন থাকতে পারব কখনো চিন্তাই করিনি ... বুঝলেন ... '
    সাগরের উত্তরটাও আসল নির্ভেজাল আন্তরিকতায়।

    সুরেশ্বর গভীর সমুদ্রে পালছেঁড়া নৌকার মাঝির মতো দিশাহারা অবস্থায় দাঁড়িয়ে রইল সাগর মন্ডলের মুখের দিকে চেয়ে।
    বাতাসের কনকনানি ক্রমশ বাড়ছে।

    (আর একটু চলবে তারপর বিরতি)

    ********************************************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | ৬  | ৭  | ৮  | ৯  | ১০  | ১১  | ১২  | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬  | ১৭  | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২  | ২৩  | ২৪  | ২৫  | ২৬ | ২৭ | ২৮  | ২৯  | ৩০ | ৩১  | ৩২  | ৩৩  | ৩৪ | ৩৫ | ৩৬  | ৩৭  | ৩৮  | ৩৯  | ৪০  | ৪২  | ৪৩  | ৪৪  | ৪৫  | ৪৬ | ৪৭  | ৪৮  | ৪৯  | ৫০  | ৫১  | ৫২ | ৫৩ | ৫৪ | ৫৫ | ৫৬ | ৫৭ | ৫৮ | ৫৯ | ৬০ | ৬১ | ৬২ | ৬৩ | ৬৪ | ৬৫ | ৬৬ | ৬৭ | ৬৮ | ৬৯ | ৭০ | ৭১ | ৭২ | ৭৩ | ৭৪ | ৭৫ | ৭৬ | ৭৭ | ৭৮ | ৭৯ | ৮০ | ৮১ | ৮২ | ৮৩ | ৮৪ | ৮৫ | ৮৬ | ৮৭ | ৮৮ | ৮৯ | ৯০ | ৯১ | ৯২ | ৯৩ | ৯৪ | ৯৫ | ৯৬ | ৯৭ | ৯৮ | ৯৯ | ১০০ | ১০১ | ১০২ | ১০৩ | ১০৫ | ১০৬ | ১০৭ | ১০৮ | ১০৯ | ১১০ | ১১২ | ১১৩ | ১১৪ | ১১৫ | ১১৬ | ১১৭ | ১১৮ | ১১৯ | ১২০ | ১২১ | ১২২ | ১২৩ | ১২৪ | ১২৫ | ১২৬ | ১২৭ | ১২৮ | ১২৯ | ১৩০ | ১৩১ | ১৩২ | ১৩৩ | ১৩৪ | ১৩৫ | ১৩৬ | ১৩৭ | ১৩৮ | ১৩৯ | ১৪০ | ১৪১ | ১৪২ | ১৪৩ | ১৪৪ | ১৪৫ | ১৪৬ | ১৪৭ | ১৪৮ | ১৫০ | ১৫১ | ১৫২ | ১৫৩ | ১৫৪ | ১৫৫ | ১৫৬ | ১৫৭ | ১৫৮ | ১৫৯ | ১৬০ | ১৬২ | ১৬৩ | ১৬৪ | ১৬৫ | ১৬৬ | ১৬৭
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • যোষিতা | ৩১ মার্চ ২০২৪ ০৯:৪১530045
  • উপন্যাস শেষের দিকে এসে গেছে সেটা বোঝা যাচ্ছে।
  • Anjan Banerjee | ০১ এপ্রিল ২০২৪ ০১:২৪530083
  • বিরতির পর ষাট এবং সত্তর দশক আসবে 
  • যোষিতা | ০১ এপ্রিল ২০২৪ ০৩:৫১530087
  • জলদি আসুক। অপেক্ষায় রইলাম।
  • Anjan Banerjee | ০১ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:৩১530097
  • সঙ্গে থাকুন একইভাবে 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন