এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে - ৮৯

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ | ৩৭৯ বার পঠিত
  • | | | | | ৬  | ৭  | ৮  | ৯  | ১০  | ১১  | ১২  | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬  | ১৭  | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২  | ২৩  | ২৪  | ২৫  | ২৬ | ২৭ | ২৮  | ২৯  | ৩০ | ৩১  | ৩২  | ৩৩  | ৩৪ | ৩৫ | ৩৬  | ৩৭  | ৩৮  | ৩৯  | ৪০  | ৪২  | ৪৩  | ৪৪  | ৪৫  | ৪৬ | ৪৭  | ৪৮  | ৪৯  | ৫০  | ৫১  | ৫২ | ৫৩ | ৫৪ | ৫৫ | ৫৬ | ৫৭ | ৫৮ | ৫৯ | ৬০ | ৬১ | ৬২ | ৬৩ | ৬৪ | ৬৫ | ৬৬ | ৬৭ | ৬৮ | ৬৯ | ৭০ | ৭১ | ৭২ | ৭৩ | ৭৪ | ৭৫ | ৭৬ | ৭৭ | ৭৮ | ৭৯ | ৮০ | ৮১ | ৮২ | ৮৩ | ৮৪ | ৮৫ | ৮৬ | ৮৭ | ৮৮ | ৮৯ | ৯০ | ৯১ | ৯২ | ৯৩ | ৯৪ | ৯৫ | ৯৬ | ৯৭ | ৯৮ | ৯৯ | ১০০ | ১০১ | ১০২ | ১০৩ | ১০৫ | ১০৬ | ১০৭ | ১০৮ | ১০৯ | ১১০ | ১১২ | ১১৩ | ১১৪ | ১১৫ | ১১৬ | ১১৭ | ১১৮ | ১১৯ | ১২০ | ১২১ | ১২২ | ১২৩ | ১২৪ | ১২৫ | ১২৬ | ১২৭ | ১২৮ | ১২৯ | ১৩০ | ১৩১ | ১৩২ | ১৩৩ | ১৩৪ | ১৩৫ | ১৩৬ | ১৩৭ | ১৩৮ | ১৩৯ | ১৪০ | ১৪১ | ১৪২ | ১৪৩ | ১৪৪ | ১৪৫ | ১৪৬ | ১৪৭ | ১৪৮ | ১৫০ | ১৫১ | ১৫২ | ১৫৩ | ১৫৪ | ১৫৫ | ১৫৬ | ১৫৭ | ১৫৮ | ১৫৯ | ১৬০ | ১৬২ | ১৬৩ | ১৬৪ | ১৬৫ | ১৬৬ | ১৬৭
    রাত্রি হেসে বলল, ' তা..ই ! বুঝতেই পারছেন না ?
    তা'লে তো আর চিন্তা নেই ... ব্যথা থাকলে নিশ্চয়ই বোঝা যেত ... তাই না ? '
    এখানে একটা অদ্ভুত ব্যাপার ঘটল। অশিক্ষিত, অপরিশীলিত 'অ্যান্টিসোশ্যাল' সাগর মন্ডলের মুখ থেকে পরিপাটি বাক্যবন্ধে বেরিয়ে এল ---- ' এ দুনিয়ায় সব ব্যথা কি নিজে বোঝা যায় , নাকি অন্য কাউকে বোঝানো যায় ? '
    সাগর নিজের ভাষার পারিপাট্যে নিজেই অবাক হয়ে গেল।
    রাত্রি কিন্তু অবাক হল না। সে সপ্রতিভ ভঙ্গীমায় বলল, ' বাঃ ... আপনি তো খুব সুন্দর কথা বলতে পারেন ... এটা তো জানা ছিল না ... '
    সংলাপটা উত্তম সুচিত্রার কোন ফিল্মের সংলাপের মতো শোনালেও ব্যাপারটা কিন্তু সত্যি ঘটল। জীবনের কিছু কিছু মুহূর্ত কোন সিনেমার ফ্রেমের রূপ নিয়ে নেয়।
    জীবনের পাথুরে জমিতে বেড়ে ওঠা রুখা শুখা গাছের মতো নিরস সাগর মন্ডলের মনে আচমকা লজ্জা নামক তার অচেনা একটা অনুভূতি উড়ে এসে বসল।
    সে সলজ্জভাবে বলল, ' খারাপ কিছু বলে ফেললাম বোধহয় ... আমি তো লেখাপড়া জানিনা ... তাই ঠিকমতো কথা বলতে শিখিনি ... কিছু মনে
    করবেন না ... ইয়ে মানে ... '
    রাত্রির দিক থেকে উত্তর আসতে বিন্দুমাত্র দেরি হল না।
    একদম চাঁচাছোলা ভাষায় বলল, ' তাহলে তো কারও লেখাপড়া না শেখাই ভাল ... '
    ----- ' মানে ? '
    ----- ' না , বলছি যে ... লেখাপড়া না শিখে যদি তোমার ... ইয়ে ... আপনার মতো মানুষ হওয়া যায় তাহলে তো লেখাপড়া না শেখাই ভাল। আমি অবশ্য স্কুল কলেজের ধরাবাঁধা লেখাপড়ার কথা বলছি .... সে যাক ... আমাকে এখান থেকে ফিরে, তারপর ইউনিভার্সিটি যেতে হবে। সময় নষ্ট করে লাভ নেই। দেখি পিছন ঘুরে বসুন তো ... ব্যান্ডেজটা খোলা যাক। মাসীমা একটু গরম জল তুলো আর ডেটল লাগবে। হাসপাতাল থেকে বেঞ্জিন টেঞ্জিন যা সব আনা হয়েছে সেগুলোও দিন ... '
    সরযূদেবী বললেন, ' হ্যাঁ ... এই যাই মা ... '
    রাত্রি সাগরের বাঁ কাঁধটা আলতো করে ধরে ডান কাঁধের ব্যান্ডেজ খুলতে লাগল।
    সাগরের স্নায়ুমন্ডলী অবশ হয়ে যাচ্ছে এক নিরুপম অনুভূতিতে।
    এই সময়ে কানু এসে ঘরে ঢুকল। সে সাগরের শরীরের হাল জানতে এসেছে।
    কানু রাত্রিকে সাগরের পরিচর্যায় ব্যস্ত দেখে চুপ করে দাঁড়িয়ে রইল। গতকাল গজ, ব্যান্ডেজ কিনে দিয়ে গেছে। কানু দেখল সাগর জানলা দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে বসে আছে চুপচাপ। রাত্রি বাঁদিকে ঘাড় ঘুরিয়ে কানুকে দেখতে পেল।
    বলল, ' ও আপনি এসেছেন ... ভালই হল ... '
    ----- ' হ্যাঁ ... চিন্তা হচ্ছিল খুব ... দাদা এত তড়িঘড়ি হাসপাতাল থেকে চলে এল ... যাক, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ... ঠিক সময়ে চলে এসেছেন ... খুব চিন্তা হচ্ছিল ... আপনি যদি না আসেন ... '
    রাত্রি কাজ করতে করতেই বলল, ' আমি কথা দিলে কথা রাখার চেষ্টা করি। তাছাড়া আমি না এলেও বা কি হত ... কোন কম্পাউন্ডারকে ডেকে আনতে ... সে করে দিত ... '
    স্থির হয়ে বসে থাকা এই সময়ে সাগর এইসময়ে নড়াচড়া শুরু করল।
    রাত্রি তটস্থ হয়ে বলল, ' কি হল ... ব্যথা লাগল নাকি ? '
    সাগর চোখ মুখ কুঁচকে বলল, ' ভীষণ ... ভীষণ... '
    রাত্রি শশব্যস্ত হয়ে বলল, ' পেন কিলার ট্যাবলেট কি দিয়েছে ... একটু বার করুন তো ... একটু দেখুন না প্লিজ ... '
    কানুর চোখে মুখে কোন ভাবান্তর দেখা গেল না। সে মাথা চুলকে বলল, ' ওই ইয়ে ... মানে ... পেন কিলার তো আমার কাছে নেই। আমি বরং বাইরে গিয়ে দাঁড়াই ... দাদা মনে হয় পেন কিলারটা নিজেই খুঁজে নিতে পারবে ... ' , বলে কানু বাইরে চলে গেল। সরযূদেবীও কি ভেবে বললেন, ' যাই ... উনুনে আঁচ ধরাইগে ... বেলা বেড়ে যাচ্ছে ... '

    ন'টা বাজল। রাত্রি বলল, ' এবার আমাকে যেতে হবে। এ বেলার ওষুধগুলো সব খাইয়ে দিয়েছি। রাত্রের ওষুধগুলো আপনারা খাইয়ে দেবেন। আমি আবার কাল সকালে আসব ... ক'দিন বেশি নড়াচড়া না করাই ভাল। একটু সাবধানে রাখবেন ক'দিন। আসছি তা'লে ... '
    বলে , রাত্রি দরজার দিকে পা বাড়াল।
    এই সময়ে সাগর তার পরিচিত মনোজগতে ফিরে এল।
    সে বলল, ' কানু ওর সঙ্গে যা ... জালি কেউ পিছু করতে পারে ... তফাত রেখে যাবি। আর কেউ এসেছে ? '
    ----- ' হ্যাঁ ... বাদল আছে। '
    ----- ' ঠিক আছে। দুজনে যা। যদি কিছু বুঝিস ধরে নিবি ... খান্নার মোড়ে গণেশ পাত্রকে জানিয়ে রাখিস ... '
    ----- ' ঠিক আছে ... কোন চিন্তা কোর না ... '
    রাত্রি বলল, ' না না ... আমার সঙ্গে কাউকে যেতে হবে না। আমি একাই যেতে পারব ... '
    ----- ' ওটা নিয়ে আপনি চিন্তা করবেন না ... আমরা আপনার সঙ্গে যাব না। আপনি আমাদের দেখতেই পাবেন না ... আপনি আপনার মতো যান ... অসুবিধে হবে না ... ' কানু জানাল।

    রাত্রি হাঁটতে হাঁটতে খান্নার মোড় পর্যন্ত এল। তারপর সার্কুলার রোড পার হয়ে বাঁদিকে গোয়াবাগানের মোড়ের দিকে যেতে লাগল। এই সময়ে সাগরের অভিজ্ঞতাপ্রসূত অনুমান পুরোপুরি মিলে গেল। পরিষ্কার বোঝা গেল দুটো বছর পঁয়ত্রিশের লোক রাত্রিকে অনুসরণ করছে। খুব সম্ভবত তার ঠিকানাটা চিনে রাখতে চাইছে।
    রাত্রি রাজকৃষ্ণ স্ট্রিটের দিকে ঘুরল। লোকদুটো রাত্রির মোটামুটি কুড়ি ফুট পিছনে হাঁটছে রাত্রির থেকে একটুও নজর না সরিয়ে।
    আরো খানিকটা হেঁটে বাঁদিকে গোয়াবাগান পার্কের দিকে ঘুরল রাত্রি। পিছনে হাঁটা লোকদুটো গতি বাড়াল যাতে রাত্রি দৃষ্টি থেকে হারিয়ে না যায়। তাড়াতাড়ি পা চালিয়ে বাঁ দিকে ঘুরতে গেল। ঠিক সেই সময়ে দুটো জওয়ান ছেলে উল্টো দিক থেকে ঝড়ের বেগে এসে ডানদিকে ঘুরতে গেল। তাদের সঙ্গে ধাক্কা লেগে রাত্রির পিছু করা লোকদুটো রাস্তায় পড়ে গেল। কানু তাদের কাছে গিয়ে ' আহা ... ইশশ্ ... লাগেনি তো ... কিভাবে যে রাস্তায় চলেন না ...' বলে একজনের দিকে হাত বাড়িয়ে দিল তাকে তোলার জন্য। বাদল হাত বাড়াল আর একজনের দিকে।
    মাঠের পাশে স্কুলটায় স্কুলের ঘন্টা পড়ল।
    ক'জন ছেলে ব্যাগে বই খাতা নিয়ে স্কুলের দিকে যাচ্ছিল। তারা দাঁড়িয়ে গেল মজা দেখার আশায়।
    কানু তাদের দিকে তাকিয়ে কড়া গলায় বলল, ' কি দেখছ কি ... যাও যাও ইস্কুলে যাও ... '
    ছেলেগুলো আর দাঁড়াল না।
    একটা লোক কানুর হাত না ধরে রাস্তায় দুহাতের ভর দিয়ে উঠে দাঁড়াল। দাঁড়িয়ে চোখমুখ পাকিয়ে , রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে বলল , ' শালা ... হারামজাদা ... চোখে কি ন্যাবা হয়েছে ... দেখে চলতে পারিস না ? মালটা কোথায় হাফিস হয়ে গেল ... শালা ... কি হবে এখন ... '
    আর একটা লোকও উঠে দাঁড়িয়েছে এতক্ষণে।
    বাদল তার প্যান্ট জামা ঝেড়েঝুড়ে দিতে লাগল। কানু বলল, ' ইশশ্ ... কি ক্যাচাল বল তো ... ভেরি সরি ... লাগেনি তো ? চল আমার সঙ্গে ... মলম লাগিয়ে দেব ... '
    লোকটা চরম বিরক্তিতে মুখ বেঁকিয়ে বলল, ' ছাড় ছাড় ... নক্সা করতে হবে না ... দিল সব বারোটা বাজিয়ে ... হারামজাদা ... এখন কি বলব গিয়ে কে জানে ... '
    কানু বলল, ' কিছুই বলতে হবে না কাউকে , আমার সঙ্গে চল ... মানে, যেতে তোমাদের হবেই। ভয়ের কিছু নেই, ঠিক সময়ে ছেড়ে দেওয়া হবে , মলম লাগানো হয়ে গেলেই ... '
    ----- ' অ্যাই ... তোরা কে রে ? এত বাতেলা দিচ্ছিস ... কোথা থেকে আসছিস ? '
    ----- ' সাগর মন্ডলের নাম শুনেছ ? আমরা তার ভাই। '
    লোকদুটো ভয়ার্ত দৃষ্টিতে কানুর দিকে তাকিয়ে রইল।
    কানু আর বাদল দুটো লোককে সাঁড়াশির মতো পাকড়ে আছে। লোকদুটোও ধস্তাধস্তি করছে। লোকজন ওখান দিয়ে যাতায়াত করছে ঠিকই কিন্তু কেউই নাক গলাতে চাইছে না। তারা ধরে নিয়েছে এরা সাধারণ নীরিহ লোক না। 'গুন্ডা বদমাশদের' ব্যাপারে কেউ সাধ করে ঢুকে নিজের বিপদ বাড়াতে চায় না। লোকদুটো সাগরের নাম শুনে ঘাবড়ে গেলেও আত্মসমর্পণ করতে রাজি নয় এবং তারা শারীরিকভাবে মোটেই দুর্বল নয়। প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছে। এই প্রকাশ্য জায়গায় কানু এক্ষুণি কোন যন্ত্র টন্ত্র বার করতে চাইছে না।
    কিন্তু সে একটা ব্যবস্থা করে এসেছিল। আরও দু একজনের জন্য অপেক্ষা করছিল। বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হল না। সে দেখল আরও দুটো গাট্টাগোট্টা ছেলে তাদের দু পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। গণেশ পাত্র লোক পাঠিয়েছে খুব তাড়াতাড়ি। গণেশ সাগরের খুব ভক্ত। গণেশের পাঠানো ছেলে দুটোর চোখ মুখ দেখে মনে হচ্ছে তাদের ধৈর্য খুব কম। কাছেই একটা ট্যাক্সি দাঁড়িয়ে আছে। সেখানে একজন টাকমাথা ড্রাইভার নির্বিকারভাবে বসে বসে সিগারেট খাচ্ছে। গাড়িতে সওয়ারি উঠলেই ইঞ্জিন চালু করবে। ওদিকের রাস্তা দিয়ে একটা পুলিশের জিপ হুশ করে বেরিয়ে গেল। কালীকিঙ্করবাবু বসে আছেন সামনের সিটে। বোধহয় কোন রাউন্ডে গিয়েছিলেন সাত সকালে। এখন থানায় ফিরছেন। কালীবাবু ভাবলেন, সাগরের সঙ্গে অনেকদিন দেখা হয় নাই। ছ্যামরা কেমন আসে কে জানে ...

    সওয়া দশটায় রাত্রি ইউনিভার্সিটিতে বেরোল কাঁধে ঝোলা ব্যাগ নিয়ে। কর্ণওয়ালিস স্ট্রিটে পাঁচ নম্বর ট্রামের জন্য অপেক্ষা করতে করতে ভাবল, সাগর মিছিমিছি চিন্তা করছিল ... এই তো কেমন দিব্যি একা একাই বাড়ি চলে এলাম। অত ভয় করলে হয় নাকি ... আমিও সাগরের মতোই সাহসী। কাল সকালে গিয়ে দেখতে হবে ওর ব্যথাটা কেমন আছে। তার হঠাৎ রুসোর একটা প্রখ্যাত লাইন মনে পড়ল ---- ম্যান ইজ বর্ন ফ্রি অ্যান্ড এভরিহোয়্যার, হি ইজ ইন চেইনস ...। তারপর ভাবল , আরে দূর ... এটা তো ষোড়শ শতাব্দীতে বিশ্বের শোষিত নিপীড়িত মানুষদের ব্যাপারে ওনার উপলব্ধি। সেও কি ওই দলে পড়ে নাকি ! তার মনে হল, সে নিপীড়িত বা শোষিত হয়ত নয় কিন্তু একটা শৃঙ্খল তাকে ধীরে ধীরে জড়িয়ে ধরছে সেটা বেশ মালুম হচ্ছে, 'ফ্রি' আর থাকা যাচ্ছে কই।। পাঁচ নম্বর ট্রাম এসে দাঁড়াল রূপবাণী স্টপে।

    শিশির ভাদুড়ি নামক বাংলা নাট্য জগতের মহীরুহ পতন হয়েছে মাস দুই হল , জুন মাসের তিরিশ তারিখে। কিন্তু বিভূতিবাবু এখনও মন খারাপের পর্ব চলছে। ভদ্রলোক সত্যিই নাট্যপ্রেমী। আর এখন আর এক মন খারাপ যোগ হল। সেটা হল সাগর মন্ডলের গুলি খাওয়া।
    বিভূতিবাবু জানেন যে, সাগর হাসপাতাল থেকে চলে এসেছে। ফলে তার চিন্তা বেড়েছে। ভাবছেন, সাগর এখন কেমন আছে কে জানে। পটলের দোকানে যেতে হবে একবার খবর নিতে। তিনি দুপুরবেলায় খাওয়াদাওয়া সেরে পটলের দোকানের দিকে রওয়ানা দিলেন।

    ( চলবে )
    ********************************************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | ৬  | ৭  | ৮  | ৯  | ১০  | ১১  | ১২  | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬  | ১৭  | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২  | ২৩  | ২৪  | ২৫  | ২৬ | ২৭ | ২৮  | ২৯  | ৩০ | ৩১  | ৩২  | ৩৩  | ৩৪ | ৩৫ | ৩৬  | ৩৭  | ৩৮  | ৩৯  | ৪০  | ৪২  | ৪৩  | ৪৪  | ৪৫  | ৪৬ | ৪৭  | ৪৮  | ৪৯  | ৫০  | ৫১  | ৫২ | ৫৩ | ৫৪ | ৫৫ | ৫৬ | ৫৭ | ৫৮ | ৫৯ | ৬০ | ৬১ | ৬২ | ৬৩ | ৬৪ | ৬৫ | ৬৬ | ৬৭ | ৬৮ | ৬৯ | ৭০ | ৭১ | ৭২ | ৭৩ | ৭৪ | ৭৫ | ৭৬ | ৭৭ | ৭৮ | ৭৯ | ৮০ | ৮১ | ৮২ | ৮৩ | ৮৪ | ৮৫ | ৮৬ | ৮৭ | ৮৮ | ৮৯ | ৯০ | ৯১ | ৯২ | ৯৩ | ৯৪ | ৯৫ | ৯৬ | ৯৭ | ৯৮ | ৯৯ | ১০০ | ১০১ | ১০২ | ১০৩ | ১০৫ | ১০৬ | ১০৭ | ১০৮ | ১০৯ | ১১০ | ১১২ | ১১৩ | ১১৪ | ১১৫ | ১১৬ | ১১৭ | ১১৮ | ১১৯ | ১২০ | ১২১ | ১২২ | ১২৩ | ১২৪ | ১২৫ | ১২৬ | ১২৭ | ১২৮ | ১২৯ | ১৩০ | ১৩১ | ১৩২ | ১৩৩ | ১৩৪ | ১৩৫ | ১৩৬ | ১৩৭ | ১৩৮ | ১৩৯ | ১৪০ | ১৪১ | ১৪২ | ১৪৩ | ১৪৪ | ১৪৫ | ১৪৬ | ১৪৭ | ১৪৮ | ১৫০ | ১৫১ | ১৫২ | ১৫৩ | ১৫৪ | ১৫৫ | ১৫৬ | ১৫৭ | ১৫৮ | ১৫৯ | ১৬০ | ১৬২ | ১৬৩ | ১৬৪ | ১৬৫ | ১৬৬ | ১৬৭
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন