এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে - ৯৫

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ৩৪২ বার পঠিত
  • | | | | | ৬  | ৭  | ৮  | ৯  | ১০  | ১১  | ১২  | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬  | ১৭  | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২  | ২৩  | ২৪  | ২৫  | ২৬ | ২৭ | ২৮  | ২৯  | ৩০ | ৩১  | ৩২  | ৩৩  | ৩৪ | ৩৫ | ৩৬  | ৩৭  | ৩৮  | ৩৯  | ৪০  | ৪২  | ৪৩  | ৪৪  | ৪৫  | ৪৬ | ৪৭  | ৪৮  | ৪৯  | ৫০  | ৫১  | ৫২ | ৫৩ | ৫৪ | ৫৫ | ৫৬ | ৫৭ | ৫৮ | ৫৯ | ৬০ | ৬১ | ৬২ | ৬৩ | ৬৪ | ৬৫ | ৬৬ | ৬৭ | ৬৮ | ৬৯ | ৭০ | ৭১ | ৭২ | ৭৩ | ৭৪ | ৭৫ | ৭৬ | ৭৭ | ৭৮ | ৭৯ | ৮০ | ৮১ | ৮২ | ৮৩ | ৮৪ | ৮৫ | ৮৬ | ৮৭ | ৮৮ | ৮৯ | ৯০ | ৯১ | ৯২ | ৯৩ | ৯৪ | ৯৫ | ৯৬ | ৯৭ | ৯৮ | ৯৯ | ১০০ | ১০১ | ১০২ | ১০৩ | ১০৫ | ১০৬ | ১০৭ | ১০৮ | ১০৯ | ১১০ | ১১২ | ১১৩ | ১১৪ | ১১৫ | ১১৬ | ১১৭ | ১১৮ | ১১৯ | ১২০ | ১২১ | ১২২ | ১২৩ | ১২৪ | ১২৫ | ১২৬ | ১২৭ | ১২৮ | ১২৯ | ১৩০ | ১৩১ | ১৩২ | ১৩৩ | ১৩৪ | ১৩৫ | ১৩৬ | ১৩৭ | ১৩৮ | ১৩৯ | ১৪০ | ১৪১ | ১৪২ | ১৪৩ | ১৪৪ | ১৪৫ | ১৪৬ | ১৪৭ | ১৪৮ | ১৫০ | ১৫১ | ১৫২ | ১৫৩ | ১৫৪ | ১৫৫ | ১৫৬ | ১৫৭ | ১৫৮ | ১৫৯ | ১৬০ | ১৬২ | ১৬৩ | ১৬৪ | ১৬৫ | ১৬৬ | ১৬৭
    অলোকেন্দুবাবুর বড় মেয়ে চন্দনার বিয়ে মোটামুটি ঠিক হয়েছে এক জায়গায়। কানাই সিকদারেরই আনা সম্পর্ক। বালীগঞ্জের ছেলে। অবস্থাপন্ন পরিবার। ছেলে ল্যান্ড রেভিনিউ ডিপার্টমেন্টে উঁচু পদের সরকারি অফিসার। সমস্যা একটাই। ওরা পূর্ববঙ্গের লোক, মানে বাঙাল। সেটা নিয়েই কাটা ছেঁড়া চলছে। চন্দনার বক্তব্য ঠিক পরিষ্কার নয়। এক এক সময়ে এক এক রকম বলছে। অলোকেন্দুবাবুর এ সব নিয়ে কোন মাথাব্যথা নেই‘ তিনি এসব নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেনও না। মাথা যিনি ঘামাবার তিনি ঘামিয়ে চলেছেন। বাসন্তীদেবীর এমনিতে ছেলেটির হাবভাব কথাবার্তা বেশ পছন্দ হয়েছে। পরিবারটিকেও বেশ মনে ধরেছে। কিন্তু একটা কাঁটা খচখচ করছে। তাদের তিনকূলে কখনও পূর্ববঙ্গীয়দের সঙ্গে কস্মিনকালে কোন সম্বন্ধ হয়নি। তাই তার মনে কেমন একটা অস্বস্তি জেগে আছে এই সম্বন্ধে সম্মতি দেবার ব্যাপারে।
    কানাই বলল, ' ঠিক আছে ... আপনারা মনস্থির করুন না .... আমি বলে রাখব'খন ... '
    অলোকেন্দুবাবু বললেন, ' তারা কি অনন্তকাল আমাদের অনুমতির অপেক্ষায় বসে থাকবে নাকি? '
    কানাই বিগলিত ভঙ্গীতে বলল, ' না ... অনন্তকাল কেন হবে ... কিন্তু কিছুদিন সময় তো দিতেই হবে ... তাদের না পোষায় চলে যাবে। কোন ব্যাপার না।
    আমার হাতে অনেক সম্বন্ধ আছে। তাছাড়া‘ আমাদের মেয়ে কি ফেলনা নাকি ? '
    বাসন্তীদেবী কি চিন্তা করছিলেন। তিনি বললেন, ' না ... অতদিন লাগবে না ... কাল কিংবা পরশুর মধ্যে ফাইনাল জানিয়ে দেব ... '
    অলোকেন্দুবাবু বললেন, ' একেবারে ফাইনাল ? '
    বাসন্তীদেবী কটমট করে তাকিয়ে বললেন, ' হ্যাঁ ... তাতে কি হল ? ঠেস দিয়ে কথা বলার কি আছে ? কাজের বেলা তো সব অষ্টরম্ভা ... '
    ----- ' হ্যাঁ ... তা ঠিক। ও হ্যাঁ‘ তোমার ছোটমেয়ের ব্যাপারটা কি হল ? সেই জ্যোতিষীঠাকুরকে আবার একদিন খবর দেব নাকি ? '
    এবার বাসন্তীর চোখমুখ পাল্টে গেল।
    ----- ' ও হ্যাঁ ... তাই তো ... সে তো অনেকদিন আসেনি ... আরে‘ তাকে আসতে বল না ... ফুচার ব্যাপারটা তো ফাইনাল কিছু বলে গেল না ... আর চন্দনার এই সম্বন্ধটার ব্যাপারেও একটু কথা কয়ে নেব ... '
    অলোকেন্দুবাবু বললেন, ' একেবারে ফাইনাল কথা তো ? '
    বাসন্তীদেবী আবার কটমট করে তাকিয়ে বললেন, ' দেখতেই পাবে ... '

    সরযূদেবী সকাল আটটা নাগাদ রান্নাঘরে আলু কুমড়োর তরকারি আর মৌরলা মাছের ঝাল রান্না করছিলেন।
    এইসময়ে বাইরে একজনের গলা শোনা গেল ----
    ----- ' দাদা আছেন নাকি ? '
    সরযূ বেরিয়ে এসে দেখল দুজন বছর পঁয়ত্রিশের লোক দাঁড়িয়ে আছে।
    সরযূ বললেন‘ ' দাঁড়াও‘ বলছি ... '
    ভিতরে এসে বলল, ' বাইরে দুজন ডাকছে তোকে। চিনি না ... '
    ----- ' ঠিক আছে‘ আমি দেখছি ... '
    সাগর বাইরে এল। এসে দেখল সন্তোষ আর মন্টু দাঁড়িয়ে আছে।
    ------ ' কি ব্যাপার ... তোমরা ? '
    ------ ' এই একটু এসেছিলাম ... আপনাকে দেখতে .... সেদিন তো হাসপাতালে কথাবার্তা তেমন হল না .... ' সন্তোষ বলল। মন্টু দাঁড়িয়ে আছে দাঁত বার করে।
    ----- ' ও আচ্ছা ... ভেতরে এস ... '
    দুজনে সাগরের সঙ্গে ভিতরে গেল।
    ----- ' এখন কি করবে ভাবছ ? ' সাগর জিজ্ঞাসা করল।
    ----- ' কি করা যায় তুমি একটা রাস্তা কিছু বল। আমরা তোমার সঙ্গেই থাকতে চাই ... কিন্তু রোজগার তো কিছু দরকার ... '
    ----- ' সঙ্গে থাকার ব্যাপারটা নয় বুঝলাম কিন্তু রোজগারের রাস্তা আমি আর কি বলব ... রোজগারের রাস্তা নিজেদেরই বার করে নিতে হবে। কোন সমস্যা হলে আমাকে বোল ... দেখব ... '
    ------ ' আচ্ছা ঠিক আছে ... দেখি আগে কি করা যায় ... তারপর তোমাকে বলব ... ' সন্তোষ বলল।
    মন্টু বিশেষ কথাবার্তা বলে না। সে বলল, ' হ্যাঁ হ্যাঁ ... '
    সন্তোষ আবার বলল, ' আর একটা কথা বলবার ছিল ... আমরা খবর বার করেছি ... '
    সাগর চোখ সরু করে বলল, ' কিরকম ? '
    ----- ' সোর্স বার করে ফেলেছি .... '
    ----- ' কিসের সোর্স ? '
    ------ ' না মানে ... তোমাকে ফায়ার করতে কে লোক পাঠিয়েছিল খবর পেয়ে গেছি ... '
    সাগর অলস নিরুত্তাপ ভঙ্গীতে বলল, ' তাই নাকি ?
    তা‘ কে শুনি ... পতিতপাবন‘ নাকি ? '
    ----- ' আরে তাজ্জব ! তুমি জানতে নাকি ? '
    ---- ' এ আবার জানাজানি কি আছে ... এর জন্য কি গোয়েন্দা হবার দরকার আছে নাকি ? আরও দু একজন থাকতে পারে‘ কিন্তু পতিতপাবনই তো আমার পয়লা নম্বর দুশমন ... '
    ----- ' তা'লে ওটাকে নামিয়ে দিচ্ছ না কেন ? ' মন্টু সরাসরি জিজ্ঞাসা করে।
    সাগরের হয়ে সন্তোষই জবাব দেয়।
    ----- ' কি যে বলিস ... ওভাবে নামান যায় নাকি ? পতিতপাবন একটা নেতা ... যেচে প্যাঁচে পড়ার কোন মানে হয় না ... '
    সাগর মুচকি হেসে বলল, ' বাঃ ... ঘটে বুদ্ধি আছে দেখছি ... '
    মন্টু দাঁত বার করে সাগরের মন্তব্যটা সমর্থন করল, ' হ্যাঁ তা ঠিক ... '
    সাগর বলল, ' যাই হোক ... তোমরা কানুর সঙ্গে যোগাযোগ রেখ। পটলের দোকানটা চেন তো ? '
    মন্টু বলল, ' হ্যাঁ চিনি। বিডন স্ট্রিটের মোড়ে তো ...'
    ------ ' হ্যাঁ ... ওখানেও আমার খবর পাবে। এখন আমার বাড়িতে এস না ... '
    সন্তোষ বলল, ' কেন দাদা ? '
    ------ ' অসুবিধে আছে ... বলা যাবে না ... একটু পুরনো হও‘ তারপর এস। এখন কানু‘ মাণিকদের সঙ্গে কথা বোল ... '
    ----- ' ঠিক আছে দাদা ... তাই হবে‘ আপনি যা ভাল বোঝেন ... পরীক্ষা তো দিতেই হবে ... '
    ----- ' আরে দূর ... পরীক্ষা টরিক্ষা আবার কি ? লোকে আমাকে সাগর গুন্ডা বলে ... গুন্ডা আবার কি পরীক্ষা নেবে ... আমি কি ইউনিভার্সিটিতে পড়তে যাই ... হ্যাঃ ... '
    সন্তোষ কি একটা বলতে যাচ্ছিল। দেখল সাগর মন্ডলের চোখে কেমন ঘনঘোর ছায়া পড়ল একখানা। সন্তোষ মোটা দাগের মানুষ হলেও এটা তার চোখ এড়াল না।
    সে গলার স্বরে তার পক্ষে যতটা সম্ভব কোমলতা এনে বলল, ' দাদা, যদি কিছু মনে না করেন, আমার ওপর ভার দিয়ে দেখতে পারেন ... '
    ----- ' কিসের ভার ? '
    ----- ' যদি কিছু খবর আনার দরকার থাকে ... আমি আগে পুলিশের ইনফর্মার ছিলাম শ্যামপুকুর থানায়। একটা কেসে ঝামেলায় পড়ে গিয়ে কাজটা ছেড়ে দিতে হল ... সে যাক ... আমি এখন যদি আপনার কোন কাজে লাগতে পারি ... মানে‘ আপনি যার কথা চিন্তা করছেন‘ তার কোন খবর যদি করতে পারি .... পাড়া‘রাস্তা সবই চিনি ওই রাজকৃষ্ণ স্ট্রিটে। শুধু বাড়িটা বার করে নিতে হবে। অসুবিধে হবে না‘ করে নেব। পুলিশের ইনফর্মার ছিলাম। ভার দিয়ে দেখতে পারেন। কাকপক্ষীতেও জানবে না। দেখুন একবার ... '

    মন্টুর আবার দন্তপাটি বিকশিত হয়ে পড়ল।
    সে বলল, ' পারে পারে ... ও পারে ... '
    সাগর চুপ করে বসে রইল। এ ধরণের একটা প্রস্তাব যে আচমকা তার সামনে এসে পড়বে সে একেবারেই আশা করতে পারেনি। শ্যামপুকুর থানার প্রাক্তন ইনফর্মার তার জন্য বিশেষ ধরনের ইনফর্মারগিরি করতে ইচ্ছুক হবে এটা তার কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল।
    সাগর একটু সময় নিল ধাতস্থ হতে। তার প্রধান চিন্তার ব্যাপার হল‘ সন্তোষকে এরকম একটা কাজের ভার দেওয়া উচিত হবে কিনা। রাত্রির অজ্ঞাতে এবং তার অনুমতি ছাড়া তার জীবনে কোন 'খবর করা'-র অনুপ্রবেশকারি ঢোকানোর মতো কোন সম্পর্ক যে তাদের মধ্যে তৈরি হয়নি সেটা অনুভব করে সন্তোষের কাছ থেকে এ ধরণের একটা প্রস্তাব পেয়ে এক অদ্ভুত লজ্জায় আচ্ছন্ন হতে লাগল সাগর মন্ডল। সে ভাবল, এটা তার পক্ষে একেবারেই উচিত হবে না। তার সঙ্গে ম্যাডামের কি এমন সম্পর্ক যে তার খবরাখবর আনার জন্য সন্তোষকে ঢুকিয়ে দিতে হবে।
    মনের এই দোলাচলবৃত্তি বোধহয় সাগরের মুখেও ফুটে উঠল। সন্তোষ মূর্খ হতে পারে কিন্তু সে বোকা নয়। সে সাগরের মুখ দেখে মনের কথা পড়ে নিল ঠিক।
    বলল, ' দাদা... একবার ভরসা করে দেখতে পারেন। ওই যে বললাম‘ কাকপক্ষীতেও জানতে পারবে না ... আমার সঙ্গে তেনার দেখাই হবে না। উনি আমাকে আর জি কর -এ দেখেছেন ... সুতরাং ... আসলে ওনার খবরটা আমার দরকার নেই... আপনার খবরটা ওনাকে দেওয়াটাই আমার কাজ হবে ... যাতে উনি খুব তাড়াতাড়ি এখানে আসে ... '
    সাগরকে বেশ ধাঁধার মধ্যে ফেলে দিল সন্তোষ।
    সাগরের মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেল, ' সেটা কিভাবে হবে ? '
    সন্তোষ আবার বলল, ' একবার ভরসা করে দেখুন না ... '
    মন্টু বলল, ' দেখুন না‘ দেখুন না ... '
    সাগর বলে ফেলল, ' দেখ ... কি হয় ... যা ভাল বোঝ ... '
    কথাটা বলে জানলা দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে রইল সাগর।
    সন্তোষ আর মন্টু দাঁড়িয়ে পড়ল।
    সন্তোষ বলল, ' এখন তা'লে আসি দাদা ... কাল সন্ধের দিকে আসব ... '
    সাগর বলল, ' হুঁ ... '
    ----- ' ম্যাডামের নামটা যদি একটু বলেন .... '
    সাগর সেকেন্ড দশেক ভেবে নিয়ে মৃদুকন্ঠে বলল,
    ' রাত্রি রায় '
    ----- ' ছাব্বিশের বি‘ না ? '
    ---- ' হুঁ '

    পরদিন সকাল সাড়ে দশটায় গোয়াবাগান পার্কের সামনের দিকে পান সিগারেটের দোকানের সামনে সন্তোষকে দেখা গেল। একটা সিগারেট কিনে দোকানে ঝোলানো দড়ির আগুন থেকে ধরিয়ে নিল।
    তারপর বলল, ' জায়গাটা আর আগের মতো নেই। আগে কত আসতাম। এখন যেন কেমন হয়ে গেছে পাড়াটা। আগেকার সেই লোকজন সব কোথায় গেল কে জানে। ওই যে বাড়িটা .... ছাব্বিশের এ আর ছাব্বিশের বি বোধহয়‘ আগে অনেক এসেছি ... আমাদের দূর সম্পর্কের আত্মীয়‘ কিন্তু এখন সবকিছু বদলে গেছে ... ওনাদের নিজেদের মধ্যেই গন্ডগোল ... '
    দোকানদার চুপ করে শুনছিল আর পান সাজছিল। সে এবার বলল, ' আর বলেন কেন ... কি আর বলব ছাব্বিশের বি-র রাত্রিদির পিছনে ওরা কি কম ... কি আর বলব ... নেহাত সাগর মন্ডল ছিল‘ নইলে ... '
    এই পর্যন্ত বলে চুপ করে পান সাজতে লাগল দোকানদার বিশ্বামিত্র দাস।
    সন্তোষ সিগারেটে দুটো টান দিল।
    বলল, ' ওঃ হো ... এ তো ভাল কথা নয়। তা এখন সব মিটে গেছে তো ? '
    ----- ' মিটে গেছে কিনা বলতে পারিনা ... তবে সাগরের ভয়ে সব চাপা আছে আর কি ... ওই ঝন্টু মোটেই লোক সুবিধের নয়। আমার কাছে কত টাকা ধারে খেয়েছে তার ঠিক নেই ... পয়সা দেবার নামও করে না। কিছু বলতেও পারিনা। বহুত ঝামেলাবাজ লোক। ভাবছি আমিও সাগর মন্ডলের সাহায্য নেব ... '
    ----- ' ও ... তা নিন না ... অনেকেই তো নেয়। যদি বলেন তো আমিও আপনাকে সাহায্য করতে পারি। আমার সঙ্গে দাদার একটু চেনাজানা আছে‘ বলেন তো আমিও দেখতে পারি ... '
    ----- ' তাই নাকি ... আপনার চেনাজানা আছে ? ঠিক আছে আমি বলব পরে ... '
    ----- ' হ্যাঁ হ্যাঁ ... বলবেন বলবেন ... আমি দু একদিনের মধ্যে আবার আসব ... '
    ----- ' তা যা হল ভালই হল ... আপনার সঙ্গে দেখা হল ভাগ্যিস ... '
    ----- ' না না ... এতে ভাগ্যের কি আছে ... মানুষই তো মানুষের কাজে লাগবে ... '

    এই ভাবে কথার পিঠে কথার জাল বুনে বুনে তাগবাগে সিদ্ধকর্ম সন্তোষ তার অভিষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগোতে লাগল।

    ( চলবে )

    ********************************************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | ৬  | ৭  | ৮  | ৯  | ১০  | ১১  | ১২  | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬  | ১৭  | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২  | ২৩  | ২৪  | ২৫  | ২৬ | ২৭ | ২৮  | ২৯  | ৩০ | ৩১  | ৩২  | ৩৩  | ৩৪ | ৩৫ | ৩৬  | ৩৭  | ৩৮  | ৩৯  | ৪০  | ৪২  | ৪৩  | ৪৪  | ৪৫  | ৪৬ | ৪৭  | ৪৮  | ৪৯  | ৫০  | ৫১  | ৫২ | ৫৩ | ৫৪ | ৫৫ | ৫৬ | ৫৭ | ৫৮ | ৫৯ | ৬০ | ৬১ | ৬২ | ৬৩ | ৬৪ | ৬৫ | ৬৬ | ৬৭ | ৬৮ | ৬৯ | ৭০ | ৭১ | ৭২ | ৭৩ | ৭৪ | ৭৫ | ৭৬ | ৭৭ | ৭৮ | ৭৯ | ৮০ | ৮১ | ৮২ | ৮৩ | ৮৪ | ৮৫ | ৮৬ | ৮৭ | ৮৮ | ৮৯ | ৯০ | ৯১ | ৯২ | ৯৩ | ৯৪ | ৯৫ | ৯৬ | ৯৭ | ৯৮ | ৯৯ | ১০০ | ১০১ | ১০২ | ১০৩ | ১০৫ | ১০৬ | ১০৭ | ১০৮ | ১০৯ | ১১০ | ১১২ | ১১৩ | ১১৪ | ১১৫ | ১১৬ | ১১৭ | ১১৮ | ১১৯ | ১২০ | ১২১ | ১২২ | ১২৩ | ১২৪ | ১২৫ | ১২৬ | ১২৭ | ১২৮ | ১২৯ | ১৩০ | ১৩১ | ১৩২ | ১৩৩ | ১৩৪ | ১৩৫ | ১৩৬ | ১৩৭ | ১৩৮ | ১৩৯ | ১৪০ | ১৪১ | ১৪২ | ১৪৩ | ১৪৪ | ১৪৫ | ১৪৬ | ১৪৭ | ১৪৮ | ১৫০ | ১৫১ | ১৫২ | ১৫৩ | ১৫৪ | ১৫৫ | ১৫৬ | ১৫৭ | ১৫৮ | ১৫৯ | ১৬০ | ১৬২ | ১৬৩ | ১৬৪ | ১৬৫ | ১৬৬ | ১৬৭
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন