এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে - ১৪৫

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৯ জুন ২০২৪ | ২১২ বার পঠিত
  • | | | | | ৬  | ৭  | ৮  | ৯  | ১০  | ১১  | ১২  | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬  | ১৭  | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২  | ২৩  | ২৪  | ২৫  | ২৬ | ২৭ | ২৮  | ২৯  | ৩০ | ৩১  | ৩২  | ৩৩  | ৩৪ | ৩৫ | ৩৬  | ৩৭  | ৩৮  | ৩৯  | ৪০  | ৪২  | ৪৩  | ৪৪  | ৪৫  | ৪৬ | ৪৭  | ৪৮  | ৪৯  | ৫০  | ৫১  | ৫২ | ৫৩ | ৫৪ | ৫৫ | ৫৬ | ৫৭ | ৫৮ | ৫৯ | ৬০ | ৬১ | ৬২ | ৬৩ | ৬৪ | ৬৫ | ৬৬ | ৬৭ | ৬৮ | ৬৯ | ৭০ | ৭১ | ৭২ | ৭৩ | ৭৪ | ৭৫ | ৭৬ | ৭৭ | ৭৮ | ৭৯ | ৮০ | ৮১ | ৮২ | ৮৩ | ৮৪ | ৮৫ | ৮৬ | ৮৭ | ৮৮ | ৮৯ | ৯০ | ৯১ | ৯২ | ৯৩ | ৯৪ | ৯৫ | ৯৬ | ৯৭ | ৯৮ | ৯৯ | ১০০ | ১০১ | ১০২ | ১০৩ | ১০৫ | ১০৬ | ১০৭ | ১০৮ | ১০৯ | ১১০ | ১১২ | ১১৩ | ১১৪ | ১১৫ | ১১৬ | ১১৭ | ১১৮ | ১১৯ | ১২০ | ১২১ | ১২২ | ১২৩ | ১২৪ | ১২৫ | ১২৬ | ১২৭ | ১২৮ | ১২৯ | ১৩০ | ১৩১ | ১৩২ | ১৩৩ | ১৩৪ | ১৩৫ | ১৩৬ | ১৩৭ | ১৩৮ | ১৩৯ | ১৪০ | ১৪১ | ১৪২ | ১৪৩ | ১৪৪ | ১৪৫ | ১৪৬ | ১৪৭ | ১৪৮ | ১৫০ | ১৫১ | ১৫২ | ১৫৩ | ১৫৪ | ১৫৫ | ১৫৬ | ১৫৭ | ১৫৮ | ১৫৯ | ১৬০ | ১৬২ | ১৬৩ | ১৬৪ | ১৬৫ | ১৬৬ | ১৬৭
    সুপ্রিয় টিফিন টাইমে আবার অমলকে ধরল তার টেবিলে এসে।
    ---- ' কিরে ... খেতে বেরোবি তো ? '
    ---- ' হ্যাঁ দাঁড়াও ... দু মিনিট ... হয়ে গেছে ... '

    সুপ্রিয় রাস্তায় বেরিয়ে বলল, ' মহেনের দোকানেই যাবি তো ? '
    ---- ' তাই চল ... ওর চিকেন স্যুপ সত্যি থ মারকাটারি .... '

    টেবিলে ধোঁয়া ওঠা স্যুপের বাটি। দুজনেই এক চামচ করে মুখে দিল। অমল পাঁউরুটিতে একটা ছোট কামড় দিল।
    সুপ্রিয়বাবু বললেন, ' তারপর ... কিছু ডিসিশান নিলি ? '
    অমল হাত নেড়ে বলল, ' না না ... ডিসিশানের কিছু নেই সুপ্রিয়দা ... ও কথা বোল না ... মজুমদারের সঙ্গে আমি কোন কম্প্রোমাইজে যাব না ... এটাই ফাইনাল ... সাফসুফ কথা ... '
    ---- ' আরে ধ্যাত্তেরি ... আমাকে বলতে দে ... মজুমদারের নিকুচি করেছে। ওকে নিয়ে আমার কোন মাথাব্যথা নেই। আমি বলছি যে ঝিনুকের ব্যাপারে তুই কোন চিন্তাভাবনা করলি ? মাসীমা তো আমার পেছনে পড়েই আছে। কিছু তো বল ...'
    ---- ' ঝিনুক ! সে আবার কে ? '
    ---- ' ওঃহো .... সরি সরি .... তৃণা তৃণা, ঝিনুক তো ডাকনাম। তৃণাকে মনে আছে তো, সেই যে পিকনিকে .... তোর কেউ আছে কিনা সেটাও তো পরিষ্কার করে বললি না ... '
    ---- ' আরে না না, ওরকম কোন গল্প নেই। আমার আবার কে থাকবে ? আসলে ... ', অমল বলে।
    ---- ' আসলে ? '
    ---- ' আমি ঠিক মনের দিক দিয়ে তৈরি নই ... '
    ---- ' আরে দূর .... বিয়ে করতে গেলে আবার মনের দিক দিয়ে তৈরি হতে হয় নাকি ? আমরা কি বিয়ে করি নি নাকি ? এ কি যুদ্ধ করতে যাচ্ছিস নাকি ? '
    ---- ' ও বাবা .... কি যে বল, যুদ্ধ তো এর কাছে নস্যি ... '
    ---- ' ঠিক আছে, ওসব বাদ দে .... তোর যদি আপত্তি না থাকে ঝিনুকের ব্যাপারে তোর মা বাবার সঙ্গে কথা বলি ... তারপর তাদের ব্যাপার ... আমি আর এর মধ্যে নেই। বিয়ে তো আর এক কথায় হবার জিনিস নয় ... '
    অমল কি ভেবে হঠাৎ বলল, ' ঝিনুক নামটা কিন্তু খুব রোমন্টিক ... '
    ---- ' অ্যা... হ্যাঁ ... যা বলেছিস। ওকে দেখে কি খুব আনরোমান্টিক মনে হল সেদিন ? '
    কথাটা বোধহয় অমলের কানে গেল না।
    সে চুপ করে খেতে লাগল মন দিয়ে। দুজনেরই খাওয়া প্রায় শেষ।
    অমল বলল, ' সুপ্রিয়দা, আমি সামান্য একজন মানুষ ... তুমি বারবার আমার মতামত জানতে চাইছ আমার খুব সংকোচ বোধ হচ্ছে। আমার মতো কত হরিদাস পাল রাস্তায় গড়াগড়ি যাচ্ছে। যাই হোক, তৃণার বাবা মা যখন আমাকে এতটা বিশ্বাস করেছেন, তাদের অসম্মান করা আমার পক্ষে অনুচিত হবে। তুমি সামনের রোববারে ওদের বলতে পার। আমি বাড়িতে বলে রাখব। তোমার আর কষ্ট করে যেতে হবে না ... '
    সুপ্রিয় হাসিভরা মুখে অমলের দিকে চেয়ে থেকে বলল, ' তুই এরকম সাজিয়ে গুছিয়ে কথা বলতে পারিস তা তো জানতাম না ... যাক, তোর হবে ... '
    ---- ' কি হবে ? '
    ---- ' কিছু তো একটা হবেই... যা হবে ভালই হবে, এটুকু বলতে পারি ... নে চল, ওঠ ... '

    কথাবার্তা হল সুপ্রিয়র ব্যবস্থাপনায়। সপ্তাখানেক বাদে তৃণাকে দেখতে যাওয়ার দিন ঠিক হল। অমলের বাবা মা আগ্রহসহকারে রাজি হলেন। এই প্রথমবার ছেলের জন্য মেয়ে দেখতে যাচ্ছেন। বেশ একটা সাজো সাজো রব পড়ল বাড়িতে। সঞ্চারী বাড়িতে একটা বিবাহোৎসবের সম্ভাবনায় উৎফুল্ল হয়ে উঠল। ভাবল, তার প্রাণের বন্ধু রাত্রিকে ব্যাপারটা জানাবে। তারপর ভাবল, গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল। এখনই এত ঢাক পিটিয়ে কাজ নেই। মেয়ে দেখা মানেই কি বিয়ে হয়ে গেল নাকি। মেয়ে তো পছন্দ হোক আগে। তারপর কত গাঁট পেরোতে হবো তার ঠিক আছে। এখন থাক ওসব। তবে দাদাভাইয়ের গীটার বাজানো এবার ডকে উঠল মনে হচ্ছে। সঞ্চারী মনে মনে ওই তৃণা না কে, তাকে গীটার হিসেবে কল্পনা করল। ক'রে আপনমনেই হি হি করে হেসে উঠল। নিজেকেই নিজে একটা চিমটি কাটল। নিজের জ্যাঠতুতো দাদাকে নিয়ে কিসব চিন্তা ... দ্যুৎ ...। সঞ্চারী ভাবল, ইশশ্ রাত্রি তার বৌদি হলে বেশ হত। বেশ মজা হত। ভাবল, রাত্রিকে একবার খুঁচিয়ে দেখবে নাকি ... অমলকে তার কেমন লাগে। আর দাদাভাইয়ের চোখে যে আলোছায়ার খেলা ছিল সেটা তার চোখকে ফাঁকি
    দিতে পারেনি। বললে হবে না ...। মেয়েদের চোখ বহুমাত্রিক, অনেক কিছুই তাদের চোখে ধরা পড়ে যায়।

    সঞ্চারী এরপর নিজের মধ্যে ফিরে এল। ভাবল, আরে দূর ... সে এসব নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে কেন। আরে বাবা, রাত্রি তার বৌদি হয়ে গেলে তার সঙ্গে এরকম সম্পর্ক থাকবে নাকি। দুনিয়া বড় কঠিন জায়গা। ওসব না হলেই ভাল।

    সৌভাগ্যবশত অমলের বাবা মা তৃণাকে পছন্দ করে ফেললেন। এরপর অবশ্য আর এক দফা বসতে হবে। অমলের দুই মামা, এক মাসি এবং কাকীমার, মানে সঞ্চারীর মা-র মেয়ে দেখতে যাওয়ার কথা হচ্ছিল। অমল সরাসরি সে প্রস্তাবে জল ঢেলে দিল। সে বলল, ' আবার কি দরকার আছে ... দেখা তো হল। আমি তো আগেই দেখে নিয়েছি। বারবার এগুলো করা ঠিক না ... '।
    অতঃপর মামা মাসিদের পাত্রী দর্শন প্রোগ্রাম বাতিল হয়ে গেল। তারা যে মনক্ষুণ্ণ হলেন তা বলাই বাহুল্য। মধ্যমগ্রামে বেড়াতে যাওয়া, বিচারকের আসনে বসা এবং মিষ্টি সহযোগে মিষ্টিমধুর আলাপচারিতার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেল। অমলের মেজমামা সুধীরবাবু বললেন, ' ছোঁড়াটা বরাবরই বেঁড়ে পাকা ... দিদি জামাইবাবু মানুষ করতে পারেনি .... হ্যাঃ ... '

    নন্দলাল কাল দুপুর তিনটে নাগাদ সুরেশ্বর মল্লিকের বাড়ি এসেছিল।
    ---- ' আয় নন্দ ... বস বস ... খাবি তো ? '
    ---- ' না না ... এই খেয়ে বেরিয়েছি ... '
    ---- ' ও ...তা ওদিককার কোন খবর আছে নাকি ?'
    ---- ' খবর বলতে ... যেটা বলেছিলাম ওটা ঠিক। ডায়রেক্ট গাড়িতে আসছে। শিয়ালদা দিয়ে, মৌলালি দিয়ে ধর্মতলা ঘুরে এয়ারলাইন্স অফিসের ওখান দিয়ে সেন্ট্রাল এভিনিউ ধরবে। ষোল তারিখে। খবর মোটামুটি পাকা আছে ... '
    ---- ' ষোল তারিখ, মানে এখনও এক সপ্তা। কটা মেয়ে ? '
    ---- ' যা জানতে পারলাম, ছ'টা। ঠিকঠাক জানতে পারিনি ... '
    ---- ' কখন ? '
    ---- ' এয়ারলাইন্সের ওখানে দুটো থেকে আড়াইটের মধ্যে .... '
    ---- ' নাইটে ? '
    ---- ' হ্যাঁ। তবে টাইমটার ব্যাপারে শিওর নই। '
    ---- ' ও আচ্ছা, কি গাড়িতে আসছে জানা গেছে ? '
    ---- ' ওই ... একটা কালো ভ্যানগাড়িতে শুনলাম ... পুলিশ ভ্যানের মতো ... সোনা যা খবর দিল ... '
    ---- ' পুলিশেরই গাড়ি নয় তো ? '
    ---- ' তা, বিশ্বাস কিছু নেই ... হাঃ হাঃ ... '
    ---- ' সোনা মানে, সোনা মারিক ? '
    ---- ' হ্যাঁ, তাছাড়া আর কে ? আমাকে খুব বিশ্বাস করে ... মহল্লার সব খবর ওর পকেটে। ওস্তাদ লোক মাইরি ... '
    ---- ' হুমম্ ... তুই কিছু ভেবেছিস ?
    ---- ' কি ব্যাপারে ? '
    ---- ' ওই যে সংগঠনের কথা বলেছিলাম তোকে...'
    ---- ' ও ... ওই যে প্রফেসার ... সেদিন বলছিলে ... '
    ---- ' হ্যাঁ হ্যাঁ ... যাবি নাকি ? উনি তোর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন ... দেখবি কেমন লোক ... সাগর মন্ডলও যায় ওখানে ... '
    ---- ' তাই নাকি ... সাগরও যায় ! তা'লে তো স্যারের ক্ষমতা আছে বলতে হবে ... '
    ---- ' তবে আর বলছি কি ... গেলেই দেখতে পাবি ... তোর মতো লোক এনাদের দরকার ... '
    নন্দলাল চুপ করে তাকিয়ে রইল মল্লিকবাবুর মুখের দিকে।
    ---- ' ঠিক আছে, যাব একদিন ... সামনের সপ্তাহে যেদিন বলবে ... '
    ---- ' আচ্ছা, ঠিক আছে ... আমি ওনার সঙ্গে কথা বলে নিই। হ্যারে নন্দ ... সোনা মারিককে তুই কতদিন চিনিস ?'
    ---- ' এই পাঁচ ছ বছর ... আগে তো এখানে থাকত না। গার্ডেন রিচে থাকত ... '
    ---- ' গার্ডেন রিচে সোনা কি করত জানা আছে তোর ? '
    ---- ' না, সেটা ঠিক জানি না। তবে শুনেছি যে খিদিরপুর ডকে গিয়ে ফরেনের মাল তুলত। তারপর মার্কেটে ডবল দামে ঝাড়ত। একটা গ্যাং-এ ছিল ও ... এখন ওসব করে না ... '
    ---- ' তা'লে এখন চলে কি করে ওর ? '
    ---- ' এখন মেয়ের দালালী করে। বড় বড় কাস্টমার ধরা আছে। '
    ---- ' তাহলে তোকে এসব খবর দিচ্ছে কেন ? এতে তো ওর ধান্দা মার খাবে ... '
    ---- ' না না ... তা না ... ও ওইভাবে বাচ্চ বাচ্চা মেয়ে আনাটা একদম পছন্দ করে না ... "
    ---- ' পছন্দ করে না তুই কি করে বুঝলি ? '
    ---- ' বুঝলাম ... মানে, বলে তো মাঝে মাঝেই... '
    ---- ' আচ্ছা নন্দ তুই কি সোনাকে বিশ্বাস করিস ?'
    ---- ' হ্যাঁ হ্যাঁ ... না করবার কি আছে ? কেন বল তো ? '
    ---- ' ও কি জানে যে তুই পাচারের বিরুদ্ধে আছিস ? '
    ---- ' জানবে না কেন ? আমি বলি তো ওকে ... '
    ---- ' ও আচ্ছা ... আচ্ছা ... ', সাত ঘাটের জল খাওয়া সুরেশ্বর মল্লিক এতক্ষণে একটা সূত্র পেলেন।
    ---- ' মেয়ে আনার ব্যাপারটা যে ষোল তারিখে হবে সেটা কি তুই জানতে চেয়েছিলি, না সোনা নিজেই তোকে বলল ... '
    ---- ' না না ... বিশ্বাস কর, সোনা নিজে থেকেই আমাকে বলল ... '
    ---- ' বিশ্বাস করেছি বৈ কি ... বিশ্বাস না করার কোন কারণই নেই যে। আচ্ছা নন্দ, সোনা কি আমাকে চেনে ? '
    ---- ' আলবত চেনে, তুমি ও পাড়ার এত পুরণো কাস্টমার, তোমাকে তো চিনবেই ... '
    ---- ' হমম্... আর একটা কথা শুধু তোকে জিজ্ঞাসা করব .... '
    ---- ' কি ? '
    ---- ' তুই কি বলতে পারবি, গত শনিবার, ধর এই ... সন্ধে সাড়ে সাতটা থেকে সাড়ে আঠটার মধ্যে সোনা কি ও পাড়ায় ছিল ? '
    ---- ' এত মনে রাখা মুশ্কিল ... ওই এ এ ... না না শনিবার ওই সময়ে ছিল না ... ছিল না ...আমি পাড়ায় ওকে অনেক খুঁজেছি প্যারাডাইসে নাইট শো-এ কাশ্মীর কি কলি দেখতে যাওয়ার জন্য। কিন্তু ওকে পাইনি। সিনেমাটা সেদিন দেখা হল না। পরে দেখে নিয়েছি অবশ্য ... '
    ---- ' বুঝেছি ... আর লাস্ট একটা কথা। সোনা বেশির ভাগ কি রঙের জামা পরে ... '
    ---- ' অ্যাঁ ... কি ... জামা ? ও হচ্ছে ওই ... হ্যাঁ ডিপ সবুজ রঙের একটা শার্ট ওর খুব প্রিয় ... ওটাই খুব পরে ও। আর একটা কমলা রঙের জামাও ও খুব পরে ... '
    ---- ' আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে ... আপাতত এতেই হবে। তোকে অনেক বকালাম ... হাতে অবশ্য সাতদিন টাইম আছে, হয়ে যাবে আশা রাখি ... '
    ---- ' কি হয়ে যাবে ?
    ---- ' না কিছু না ... পরে জানতে পারবি। '
    ---- ' অ ... '
    ---- ' আর এ ক'দিনে সোনা তোকে আর কি কি খবর দেয় আমাকে এসে জানিয়ে যাস ... '
    ---- ' আচ্ছা, ঠিক আছে ... ' নন্দলাল বলল।
    ---- ' তোর একটা পিস্তল আছে না ? '
    ---- ' হ্যাঁ ... ওখানে থাকতে গেলে ওটা তো একটা রাখতেই হয়। দিশি দিশি ... '
    ---- ' তা দিশি হোক, আর বিদেশি হোক কাছে একখানা রাখবি সবসময়ে ... বুঝলি তো ... '
    ---- ' হুঁ হুঁ ... '

    নন্দ চলে যাবার পর সুরেশ্বর বেরিয়ে পড়ল। পটলের দোকানের দিকে হাঁটতে লাগল। সাগরকে এক্ষুণি দরকার। যাকে বলে, ' আরজেন্ট দরকার '।

    ( চলবে )

    ********************************************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | ৬  | ৭  | ৮  | ৯  | ১০  | ১১  | ১২  | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬  | ১৭  | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২  | ২৩  | ২৪  | ২৫  | ২৬ | ২৭ | ২৮  | ২৯  | ৩০ | ৩১  | ৩২  | ৩৩  | ৩৪ | ৩৫ | ৩৬  | ৩৭  | ৩৮  | ৩৯  | ৪০  | ৪২  | ৪৩  | ৪৪  | ৪৫  | ৪৬ | ৪৭  | ৪৮  | ৪৯  | ৫০  | ৫১  | ৫২ | ৫৩ | ৫৪ | ৫৫ | ৫৬ | ৫৭ | ৫৮ | ৫৯ | ৬০ | ৬১ | ৬২ | ৬৩ | ৬৪ | ৬৫ | ৬৬ | ৬৭ | ৬৮ | ৬৯ | ৭০ | ৭১ | ৭২ | ৭৩ | ৭৪ | ৭৫ | ৭৬ | ৭৭ | ৭৮ | ৭৯ | ৮০ | ৮১ | ৮২ | ৮৩ | ৮৪ | ৮৫ | ৮৬ | ৮৭ | ৮৮ | ৮৯ | ৯০ | ৯১ | ৯২ | ৯৩ | ৯৪ | ৯৫ | ৯৬ | ৯৭ | ৯৮ | ৯৯ | ১০০ | ১০১ | ১০২ | ১০৩ | ১০৫ | ১০৬ | ১০৭ | ১০৮ | ১০৯ | ১১০ | ১১২ | ১১৩ | ১১৪ | ১১৫ | ১১৬ | ১১৭ | ১১৮ | ১১৯ | ১২০ | ১২১ | ১২২ | ১২৩ | ১২৪ | ১২৫ | ১২৬ | ১২৭ | ১২৮ | ১২৯ | ১৩০ | ১৩১ | ১৩২ | ১৩৩ | ১৩৪ | ১৩৫ | ১৩৬ | ১৩৭ | ১৩৮ | ১৩৯ | ১৪০ | ১৪১ | ১৪২ | ১৪৩ | ১৪৪ | ১৪৫ | ১৪৬ | ১৪৭ | ১৪৮ | ১৫০ | ১৫১ | ১৫২ | ১৫৩ | ১৫৪ | ১৫৫ | ১৫৬ | ১৫৭ | ১৫৮ | ১৫৯ | ১৬০ | ১৬২ | ১৬৩ | ১৬৪ | ১৬৫ | ১৬৬ | ১৬৭
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন