এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার  ধারে - ৬৬

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৬৮৩ বার পঠিত
  • | | | | | ৬  | ৭  | ৮  | ৯  | ১০  | ১১  | ১২  | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬  | ১৭  | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২  | ২৩  | ২৪  | ২৫  | ২৬ | ২৭ | ২৮  | ২৯  | ৩০ | ৩১  | ৩২  | ৩৩  | ৩৪ | ৩৫ | ৩৬  | ৩৭  | ৩৮  | ৩৯  | ৪০  | ৪২  | ৪৩  | ৪৪  | ৪৫  | ৪৬ | ৪৭  | ৪৮  | ৪৯  | ৫০  | ৫১  | ৫২ | ৫৩ | ৫৪ | ৫৫ | ৫৬ | ৫৭ | ৫৮ | ৫৯ | ৬০ | ৬১ | ৬২ | ৬৩ | ৬৪ | ৬৫ | ৬৬ | ৬৭ | ৬৮ | ৬৯ | ৭০ | ৭১ | ৭২ | ৭৩ | ৭৪ | ৭৫ | ৭৬ | ৭৭ | ৭৮ | ৭৯ | ৮০ | ৮১ | ৮২ | ৮৩ | ৮৪ | ৮৫ | ৮৬ | ৮৭ | ৮৮ | ৮৯ | ৯০ | ৯১ | ৯২ | ৯৩ | ৯৪ | ৯৫ | ৯৬ | ৯৭ | ৯৮ | ৯৯ | ১০০ | ১০১ | ১০২ | ১০৩ | ১০৫ | ১০৬ | ১০৭ | ১০৮ | ১০৯ | ১১০ | ১১২ | ১১৩ | ১১৪ | ১১৫ | ১১৬ | ১১৭ | ১১৮ | ১১৯ | ১২০ | ১২১ | ১২২ | ১২৩ | ১২৪ | ১২৫ | ১২৬ | ১২৭ | ১২৮ | ১২৯ | ১৩০ | ১৩১ | ১৩২ | ১৩৩ | ১৩৪ | ১৩৫ | ১৩৬ | ১৩৭ | ১৩৮ | ১৩৯ | ১৪০ | ১৪১ | ১৪২ | ১৪৩ | ১৪৪ | ১৪৫ | ১৪৬ | ১৪৭ | ১৪৮ | ১৫০ | ১৫১ | ১৫২ | ১৫৩ | ১৫৪ | ১৫৫ | ১৫৬ | ১৫৭ | ১৫৮ | ১৫৯ | ১৬০ | ১৬২ | ১৬৩ | ১৬৪ | ১৬৫ | ১৬৬ | ১৬৭
    পান্নালাল নানা অনৈতিক কর্মের বৃত্তে ঘোরাফেরা করা লোক, সে সাগরের নাম শুনেছে কিন্তু চোখে দেখেনি কখনও। এই এলাকায় তাকে হাত নেড়ে কোন নির্দেশ দেবার ক্ষমতা যে কারো থাকতে পারে সেটা তার জানা ছিল না। তার এবং তার জ্যাঠতুতো ভাইয়ের বদ্ধমূল ধারণা পৃথিবীতে একটা জিনিসই শেষ কথা বলে, তা হল ---- টাকা।
    সে তাই একটা বিড়ি খাওয়া লোক তাকে ওইভাবে ডাকছে দেখে ভীষণ অবাক হয়ে গেল।
    সে রাস্তার এপার থেকে একদৃষ্টে সাগরের দিকে তাকিয়ে জরিপ করতে লাগল তাকে। বাদল কর্মকার এবং তিনটে মিস্ত্রি বিস্মিত হয়ে চেয়ে আছে সেলুনের সামনে বসা লোকটার দিকে।
    হঠাৎ কানু কোথা থেকে ভুঁইফোঁড় হয়ে আবির্ভূত হল। পান্নালালের পাশে এসে কাঁধে টোকা মেরে বলল, ' এই যে ক্যাপ্টেন ... দাদা ডাকছে, কানে যাচ্ছে না ... তুমি কোথাকার লাটের বাট? ও নিজেই এদিকে চলে এলে কি ভাল হবে? '
    পান্নালাল বাদলের দিকে তাকাল। সংশয়ী গলায় বলল, ' কে রে ... চিনিস নাকি? '
    বাদলও যদিও সাগরকে কোনদিন দেখেনি কিন্তু তার তীক্ষ্ণ অনুমান ক্ষমতার দ্বারা একটা প্রতিকূল পরিস্থিতির গন্ধ পেল।
    সে চাপা গলায় বলল, ' শুনে আসুন কি বলছে ... মামলাটা যেন ভারি লাগছে ... '

    পান্নালাল ধীর পায়ে হেঁটে রাস্তার ওদিকে গিয়ে পৌঁছল। সাগরের সামনে দাঁড়িয়ে একটু ঝাঁঝ মিশিয়ে মোটা গলায় বলল, ' কি হয়েছে? '
    সাগর বিড়িতে আর একটা টান মেরে বিড়িটা ফেলে দিল। চেয়ার থেকে উঠল না। পায়ের ওপর পা তুলেই বসে আছে।
    মুখ থেকে ধোঁয়াটা বার করে দিল। তারপর পান্নালালের মুখের দিকে সোজাসুজি তাকিয়ে বলল, ' এখানে কিসের মিটিং হচ্ছে? '
    পান্নালাল আক্রমণাত্মক আওয়াজে বলল, ' মিটিং ফিটিং আবার কি .... ভাঁট বকছ কেন ... কাজ হবে ... '
    ----- ' ওরে আমার কাজের ভগীরথ ... কাজটা কি সেটাই তো জিজ্ঞেস করছি। সাদা বাংলা বোঝ না নাকি ! নাকি বুঝিয়ে বলতে হবে? '
    পান্নালাল একটু সময় নিল। আন্দাজ করতে পারছে কেসটা একটু ব্যাঁকা ট্যারা আছে। কিন্তু সে রক্ষণাত্মক হল না। সাগরের চোখে চোখ রেখে মেপে নেবার চেষ্টা করতে লাগল।
    ----- ' কি হল ... কানে কালা নাকি ... শুনতে পাচ্ছ না? ' সাগর আবার সওয়াল করল।
    পান্নালাল মোটা গরগরে গলায় বলল, ' তুই কোন ঘাটের সর্দার রে ... তোকে কৈফিয়ৎ দিতে হবে ... যা নিজের ধান্দা দেখগে যা ... কোথায় থাকিস রে ... ফুটো মাস্তান ... কে ... বিমল শালা লাগিয়েছে তোকে ... ওর ব্যবস্থা করছি .. চিনিস আমাকে?'
    পান্নালালের সম্বোধন আচমকা তুমি থেকে তুই-তে নেমে এল।
    সাগর এদিক ওদিক চোখ ঘুরিয়ে দেখে নিল অন্তত দশটা ছেলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দাঁড়িয়ে আছে তার ইশারার অপেক্ষায়। কানু রাস্তার ওদিকে দাঁড়িয়ে আছে বাদল কর্মকারের কাছাকাছি।
    সে দাঁড়িয়ে উঠল। বলল, ' না চিনি না ... তোর চোদ্দপুরুষকে চিনি না ... সব চিনে নেব ... নে আগে তুই আমাকে চিনে নে ... ' বলে বাঁ হাত দিয়ে খপ করে পান্নালালের গলা চেপে ধরল। বাদল কর্মকার ছুট লাগাল লোহাপট্টির দিকে খবর দেবার জন্য। মিস্ত্রি তিনজন হাওয়া হয়ে গেল মুহুর্তের মধ্যে।
    সাগর বলল, ' ... বল এবার ... কি করতে এসেছিলি এখানে? '
    একটা সাধারণ চেহারার লোকের শরীরে যে এত শক্তি থাকতে পারে তা ধারণা করতে পারেনি পান্নালাল। সে তার বড়সড় চেহারার সমস্ত শক্তি দিয়ে সাগরের হাত ছাড়াবার চেষ্টা করতে লাগল। কিন্তু সাগরের বাঁ হাতটা পান্নার কাছে লোহার সাঁড়াশির মতো মনে হতে লাগল। তার দম আটকে আসছে।
    কানু এদিকে চলে এসেছে রাস্তা পেরিয়ে। সে বলল, ' ঠিক আছে ... তুমি আমার কাছে ছেড়ে দাও সাগরদা ... আমি দেখে নিচ্ছি ... '
    সে পান্নালালের হাতদুটো পিছমোড়া করে চেপে ধরল। সাগর পান্নার গলা ছেড়ে দিল।
    পান্নার মাথায় রক্ত উঠে গেছে। তার গায়ে কেউ হাত দিতে পারে তার ধারণা ছিল না।
    সে বলল, ' বড় গলতি করছিস ... বহুত পস্তাতে হবে বলে দিলাম ... '
    তার গলা চাপা গর্জনের মতো শোনাল।
    সাগর ওর সামনে দাঁড়িয়ে বলল, ' সে সব পরে হবে। আগে বল কে তোদের পাঠিয়েছে? বিমলবাবুর পেছনে পড়েছিস কেন তোরা? '
    ----- ' সে সব তোকে বলতে হবে? জানিস আমার দাদা কে? '
    ----- ' সব জানি। যদি মায়ের দুধ খেয়ে থাকিস যা ডেকে নিয়ে আয় তাকে ... ' সাগরের চোখ দিয়ে আগুনের ফুলকি বেরোচ্ছে।
    পান্নালাল বলল, ' একটু ওয়েট কর ... সব দেখতে পাবি ... তুই লোক এনেছিস কেন ... হিম্মত থাকে একা লড় না ... '
    সাগর বলল, ' কানু, তুই ওকে ছেড়ে দে তো ... '
    কানু পিছমোড়া করে রাখা হাতদুটো ছেড়ে দিল।
    ----- ' নে ... এবার কি করবি কর ... ' সাগর চ্যালেঞ্জ দিল।
    পান্নাকে দেখে মনে হল তার মারপিট করা অভ্যাস আছে। সে তিন চার পা তেড়ে এসে সাগর মন্ডলের মুখ লক্ষ্য করে ডানহাতে একটা ঘুঁসি চালাল। সাগর বৈদ্যুতিক তৎপরতায়, অভ্যস্ত দক্ষতায় পান্নালালের পাঞ্জাটা ধরে নিল ডানহাতে। তারপর বাঁহাতে একটা নিখুঁত, তীক্ষ্ণ,চূড়ান্ত আপারকাট মারল পান্নার চিবুকের তলায়। পান্না ছিটকে পড়ল প্রায় ছ ফুট দূরে।
    কানু সাগরের সঙ্গে আছে প্রায় সাড়ে তিন বছর। দাদাকে কোনদিন নিজের হাতে কোথাও 'ফাইট' করতে দেখেনি। যা করেছে তারাই। সাগরের শক্তি এবং দক্ষতা দেখে সে অবাক হয়ে গেল। মনে মনে কুর্নিশ জানাল, বিড়বিড় করল --- সাবাশ দাদা, জবাব নেই ...। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ব্যাপারটা ঘটে গেল।
    কিন্তু কানু এটাও বুঝতে পারল, ঈশান কোনে মেঘ জমেছে। ভীষণ ঝড় আসছে।
    পান্নালাল আস্তে আস্তে উঠে দাঁড়াল। সাপের মতো হিসহিসিয়ে বলল, ' বহুত পস্তাতে হবে। বাঘকে জখম করেছিস ... '
    ----- ' আর একটা ডায়লগ দিবি না? সাপের লেজে পা দিয়েছিস, না কি যেন একটা আছে ... '
    পান্নালাল কোন উত্তর না দিয়ে ওখানেই দাঁড়িয়ে গালে হাত বোলাতে লাগল আর বারবার বাঁদিকে দেখতে লাগল। সে জানে ওই দিক থেকেই বাদল লোক নিয়ে এসে পড়বে যে কোন মুহুর্তে।
    সাগর তার এতদিনের অভিজ্ঞতা থেকে বুঝতে পারছে বজ্রপাত হতে পারে যে কোন মুহুর্তে। সে এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখে নিল শম্ভু আর মাণিককে ধরে পনেরটার মতো ছেলে রেডি আছে।
    ওদের সবার কাছে 'মাল ' আছে, এটা নিশ্চিত।

    পান্নালাল টলতে টলতে বিমলবাবুর বাড়ির দিকের একটা কদম গাছের তলার বাঁধানো বেদিতে গিয়ে বসল।
    সাগর আর একটা বিড়ি ধরাল। ঠিক সেই সময়ে ওখান দিয়ে একটা সাদা অ্যাম্বাসাডার গাড়ি কর্ণওয়ালিস স্ট্রিটের দিকে গেল একটু ঢিমে গতিতে। গাড়ির জানলায় একজনের মুখ দেখা গেল, চলন্ত অবস্থায় জায়গাটা পর্যবেক্ষণ করতে করতে যাচ্ছে দুটো চতুর চোখ। সাগর ঠিক দেখে নিল গাড়িতে বসে আছে পতিতপাবনবাবু।

    মিনিট খানেকের মধ্যে ডাফ স্ট্রীটের মুখে দুটো টেম্পো গাড়ি এসে দাঁড়াল। তার থেকে ঝপাঝপ নামতে লাগল বংশীলাল,পান্নালালের ছেলেরা।
    বিমলবাবু ভয়ে কাঁপতে লাগলেন ঘরের ভিতর। সুচরিতা জানলাগুলো সব বন্ধ করে দিলেন। ঝড় আসার আভাস পেলেই যেমন বাড়িগুলোয় ঝপাঝপ দরজা জানলা বন্ধ হতে থাকে,এখানেও তাই হল। আশপাশের দোকানগুলোর ঝাঁপ পড়ে গেল।

    কটা ছেলে ছুটে কদমগাছের তলায় বসে থাকা পান্নালালের কাছে গিয়ে দাঁড়াল। ডাফ স্ট্রিটের মুখে দুটো বোমা পড়ল। তিনটে কুকুর পেছনে লেজ গুঁজে ভয়ার্ত স্বরে ডাকতে ডাকতে স্কটিশ চার্চের দিকে ছুট লাগাল।
    সাগর তার ছেলেদের নিয়ে রামদুলাল সরকার স্ট্রিটের দিকে গিয়ে দাঁড়াল। ওদিক থেকে পরপর দুটো বোমা এসে পড়ল। ধোঁয়ায় ধোঁয়াকার চারিদিক। সাগর বলল, ' একটু দাঁড়িয়ে যা ... আর মারিস না ... '
    ওদিক থেকেও আর কোন বোমা পড়ল না। ধোঁয়া একটু পাতলা হলে দেখা গেল পান্নালালের দল ওদিকে দাঁড়িয়ে আছে। ওরাও প্রায় পনের জন।
    সকলের হাতেই হয় রড, আর নয় ওয়ান শটার আছে। বয়স উনিশ থেকে সাতাশের মধ্যে।

    দুটো দল দুদিকে দাঁড়িয়ে আছে একে অপরের দিকে তাকিয়ে। কেউ কারো দিকে এগোচ্ছে না।
    সাগর বলল, ' কানু ... দুজনের হাতে ওয়ান শটার আছে। ফলসও হতে পারে। ও দুটোকে আগে ফেলে দে। বেশি টাইম ওয়েস্ট করে লাভ নেই। একটু সাবধানে ... দুটো গুলি আগে খরচা করিয়ে দিতে হবে। ওটা আমি দেখছি। তোরা আমার পেছন থেকে চার্জ কর। '
    ----- ' ঠিক আছে ...নিজেকে বাঁচিয়ে কিন্তু দাদা ...'
    ---- ' চিন্তা করিসনা... খেলা এক্ষুণি শেষ করে দেব ... ফালতু পার্টি .... শুধু ফলস মারছি একটা ... '
    বলে দড়ি পাকানো দুটো গোল জিনিস দুহাতে নিয়ে পান্নার দলের দিকে ছুটে গেল সাগর।
    বাঁ হাতের গোলাটা ছুঁড়ে মারার ভান করল। ওয়ান শটার পিস্তল হাতে দুজনই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গুলি চালিয়ে দিল। একটাই গুলি একটাই শট ... ব্যাস পিস্তল খালি। সেই স্বল্প দূরত্বের গুলি কোনদিকে কতদূরে গেল কেউ বুঝতে পারল না।
    গুলির আওয়াজটাই সিগন্যালের কাজ করল। সাগরের পাকাপোক্ত চ্যালারা পাড়া কাঁপানো আওয়াজ তুলতে তুলতে রড হাতে ছুটতে লাগল পান্নার দলের দিকে।
    কিছু বুঝে ওঠার আগেই দমাদ্দম রড পড়তে লাগল সারা গায়ে, সাগরের নির্দেশ অনুযায়ী শুধু মাথাটুকু বাদ দিয়ে। পান্নালাল আর বাদল কর্মকার অনেক আগেই ওখান থেকে হাওয়া হয়ে গেছে। দু একজন বাদে সকলেই রাস্তায় পড়ে টাল সামলানোর চেষ্টা করছে।
    সাগর বলল, ' ছাড় এবার ... ছেড়ে দে ... এই শুয়োরের বাচ্চারা শুনে রাখ ... আজ শুধু ওয়ার্নিং দিয়ে ছেড়ে দিলাম। এরপর যদি আর কখনও এ পাড়ায় ঢুকিস জান নিয়ে ফিরতে পারবি না। তোদের কোন বাপ তোদের বাঁচাতে পারবে না। যদি বাপের ব্যাটা হোস তো তোদের বাপকে গিয়ে বল একবার দেখা করে যেতে। আমি এখানে দাঁড়িয়ে আছি ... '
    খবরের কাগজের ভাষায় জায়গাটা ' রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে ' মাত্র পনের মিনিটের অপারেশানে ... '
    পান্নার ছেলেগুলো কোনরকমে ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে চোরবাগানের দিকে পালাচ্ছে।
    সেই কুকুর তিনটে এসে লেজ নাড়তে নাড়তে কি উদ্দেশ্যে কে জানে ফের একবার রাউন্ড মেরে গেল।
    বিমল চক্রবর্তী মশাইয়ের বুকের ভিতর হাতুড়ি পিটছে। জিভ গলা বিপুল উদ্বেগে শুকিয়ে কাঠ। গোলমালের আওয়াজ থেমে যাওয়ায় তিনি তার ঘরের জানলাটা একটু ফাঁক করে দেখলেন রাস্তায় একটা পুলিশের জিপ এসে দাঁড়িয়েছে। আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার ওসি শঙ্কর বাগচিকে বিমলবাবু চেনেন। দেখা গেল তিনি সামনের সিটে ড্রাইভারের পাশে বসে হেসে হেসে সাগর মন্ডলের সঙ্গে কথা বলছেন। বাঁ হাতটা বার কয়েক ওপরে তুললেন। কি কথা হচ্ছে তা এত দূর থেকে শুনতে পাওয়া সম্ভব না।কিন্তু বিমলবাবুর মনে হল, ওটার তর্জমা করলে দাঁড়ায় ----- ' এভাবে আমাদের কাজ হাল্কা করে দিলে তো ভালই ... থ্যাঙ্ক ইউ ... চালিয়ে যান ... বাকিটা আমরা সামলে নেব ... '
    পুলিশের জিপটা নিয়মমাফিক ইন্সপেকশন সেরে আমহার্স্ট থানার দিকে রওয়ানা দিল।

    ( চলবে )
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | ৬  | ৭  | ৮  | ৯  | ১০  | ১১  | ১২  | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬  | ১৭  | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২  | ২৩  | ২৪  | ২৫  | ২৬ | ২৭ | ২৮  | ২৯  | ৩০ | ৩১  | ৩২  | ৩৩  | ৩৪ | ৩৫ | ৩৬  | ৩৭  | ৩৮  | ৩৯  | ৪০  | ৪২  | ৪৩  | ৪৪  | ৪৫  | ৪৬ | ৪৭  | ৪৮  | ৪৯  | ৫০  | ৫১  | ৫২ | ৫৩ | ৫৪ | ৫৫ | ৫৬ | ৫৭ | ৫৮ | ৫৯ | ৬০ | ৬১ | ৬২ | ৬৩ | ৬৪ | ৬৫ | ৬৬ | ৬৭ | ৬৮ | ৬৯ | ৭০ | ৭১ | ৭২ | ৭৩ | ৭৪ | ৭৫ | ৭৬ | ৭৭ | ৭৮ | ৭৯ | ৮০ | ৮১ | ৮২ | ৮৩ | ৮৪ | ৮৫ | ৮৬ | ৮৭ | ৮৮ | ৮৯ | ৯০ | ৯১ | ৯২ | ৯৩ | ৯৪ | ৯৫ | ৯৬ | ৯৭ | ৯৮ | ৯৯ | ১০০ | ১০১ | ১০২ | ১০৩ | ১০৫ | ১০৬ | ১০৭ | ১০৮ | ১০৯ | ১১০ | ১১২ | ১১৩ | ১১৪ | ১১৫ | ১১৬ | ১১৭ | ১১৮ | ১১৯ | ১২০ | ১২১ | ১২২ | ১২৩ | ১২৪ | ১২৫ | ১২৬ | ১২৭ | ১২৮ | ১২৯ | ১৩০ | ১৩১ | ১৩২ | ১৩৩ | ১৩৪ | ১৩৫ | ১৩৬ | ১৩৭ | ১৩৮ | ১৩৯ | ১৪০ | ১৪১ | ১৪২ | ১৪৩ | ১৪৪ | ১৪৫ | ১৪৬ | ১৪৭ | ১৪৮ | ১৫০ | ১৫১ | ১৫২ | ১৫৩ | ১৫৪ | ১৫৫ | ১৫৬ | ১৫৭ | ১৫৮ | ১৫৯ | ১৬০ | ১৬২ | ১৬৩ | ১৬৪ | ১৬৫ | ১৬৬ | ১৬৭
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • যোষিতা | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৩:৫২526925
  • কানুর রোলে কাঞ্চন মল্লিক।
  • Anjan Banerjee | ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:৩০526945
  • এটা ঠিক পছন্দ হল না । কানু যথেষ্ট বলিষ্ঠ ছেলে । অন্য কোন কাস্টিং দেখুন । 
  • যোষিতা | ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৬:৫৮526948
  • বিপ্লব চাটুজ্জে?
    আরো বেটার কাস্টিং ভাবছি...
  • Anjan Banerjee | ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৩:০৩526963
  • দেখুন । দেখে জানাবেন ।
  • যোষিতা | ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ০১:৪৮527038
  • নিমু ভৌমিক
  • Anjan Banerjee | ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১০:১৯527060
  • ঠিক আছে । চলবে । 
    কল্যাণ চ্যাটার্জির কথা ভেবে দেখতে পারেন ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন