এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে - ৫৯ 

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | ৫৫৬ বার পঠিত
  • | | | | | ৬  | ৭  | ৮  | ৯  | ১০  | ১১  | ১২  | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬  | ১৭  | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২  | ২৩  | ২৪  | ২৫  | ২৬ | ২৭ | ২৮  | ২৯  | ৩০ | ৩১  | ৩২  | ৩৩  | ৩৪ | ৩৫ | ৩৬  | ৩৭  | ৩৮  | ৩৯  | ৪০  | ৪২  | ৪৩  | ৪৪  | ৪৫  | ৪৬ | ৪৭  | ৪৮  | ৪৯  | ৫০  | ৫১  | ৫২ | ৫৩ | ৫৪ | ৫৫ | ৫৬ | ৫৭ | ৫৮ | ৫৯ | ৬০ | ৬১ | ৬২ | ৬৩ | ৬৪ | ৬৫ | ৬৬ | ৬৭ | ৬৮ | ৬৯ | ৭০ | ৭১ | ৭২ | ৭৩ | ৭৪ | ৭৫ | ৭৬ | ৭৭ | ৭৮ | ৭৯ | ৮০ | ৮১ | ৮২ | ৮৩ | ৮৪ | ৮৫ | ৮৬ | ৮৭ | ৮৮ | ৮৯ | ৯০ | ৯১ | ৯২ | ৯৩ | ৯৪ | ৯৫ | ৯৬ | ৯৭ | ৯৮ | ৯৯ | ১০০ | ১০১ | ১০২ | ১০৩ | ১০৫ | ১০৬ | ১০৭ | ১০৮ | ১০৯ | ১১০ | ১১২ | ১১৩ | ১১৪ | ১১৫ | ১১৬ | ১১৭ | ১১৮ | ১১৯ | ১২০ | ১২১ | ১২২ | ১২৩ | ১২৪ | ১২৫ | ১২৬ | ১২৭ | ১২৮ | ১২৯ | ১৩০ | ১৩১ | ১৩২ | ১৩৩ | ১৩৪ | ১৩৫ | ১৩৬ | ১৩৭ | ১৩৮ | ১৩৯ | ১৪০ | ১৪১ | ১৪২ | ১৪৩ | ১৪৪ | ১৪৫ | ১৪৬ | ১৪৭ | ১৪৮ | ১৫০ | ১৫১ | ১৫২ | ১৫৩ | ১৫৪ | ১৫৫ | ১৫৬ | ১৫৭ | ১৫৮ | ১৫৯ | ১৬০ | ১৬২ | ১৬৩ | ১৬৪ | ১৬৫ | ১৬৬ | ১৬৭
    বংশীবাবু সময় নষ্ট না করে পটলের দোকানের দিকে চলে গেলেন। দোকানটা সহজেই পেয়ে গেলেন। দোকানে একটা ছেলে কালিঝুলি মেখে কাজ করছে। দোকানের মুখে টুলে বসে একটা চাকায় স্পোক লাগাচ্ছে বছর তিরিশের একজন।
    দোকানের সামনে বংশীবাবুকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে টুলে বসা পটল বলল, ' কি সাইকেল আছে ? দেরি হবে কিন্তু ... কাজের চাপ আছে ... কই দেখি, কি অবস্থা ... '
    ----- ' না না ... আমি সাইকেল সারাতে আসিনি। এমনি একটু কথা বলতাম ... '
    পটল মুখ না তুলে কাজ করতে করতেই বলল,
    ' কি ? '
    বংশী রায় তাম্বুল রসে রাঙা দন্ত বিকশিত করে বললেন, ' না, মানে ... সাগরবাবুর সঙ্গে একটু দরকার ছিল ... '
    পটল এবার মুখ তুলল। বংশীবাবুর চোখের ওপর চোখ ফেলে সোজা তাকিয়ে রইল।
    ----- ' কি ব্যাপারে ? '
    একটা সাইকেল সারাইওয়ালার সওয়াল করার ভঙ্গী দেখে রায়মশাইয়ের মাথা গরম হয়ে উঠল। কিন্তু তিনি প্রয়োজন হলে রাগ লুকিয়ে রাখতে জানেন।
    তিনি একইরকম অমায়িক ভঙ্গীতে বললেন,
    ' আমি আপনাদের প্রতিবেশী বলতে পারেন ... লোহাপট্টিতে আমার গদি আছে ... মানিকতলায় বাড়ি ... '
    ----- ' তো কি হল ? '
    বংশীবাবু আবার রাগ সামলে নিলেন। একইরকম বিনয় সহকারে বললেন, ' আমি পট্টিতে একাই বাঙালী পড়ে গেছি ... তাই ... '
    পটল শূন্যস্থান পূরণ করল, ' তাই ওরা কাঠি করছে ... তাই তো ? '
    ----- ' হ্যাঁ ... ঠিক তাই। অনেকদিন ধরে সহ্য করছি ... কিন্তু এবার একটু ব্যবস্থা করতেই হয় .... '
    পটল আবার কাজে মন দিয়েছে। সে কাজ করতে করতেই অভ্যস্ত গলায় বলল, ' তাই এবার একটু টাইট দিতে হবে তাই তো ? '
    পটলের কথা বলার ভঙ্গী দেখে বংশীবাবুর গা পিত্তি জ্বলে গেল। কিন্তু সেটা প্রকাশ করা চলবে না। গরজ বড় বালাই।
    বললেন, ' অন্যায় কিছু বলছি কি ... বলুন ? '
    ----- ' সেসব আমি কি বলব ? আমি কোন লাটের বাট ? ' পটল তার মতো করে জবাব দেয়।
    ----- ' না মানে ... সাগরবাবুর সঙ্গে একটু কথা বলতে পারলে ভাল হত .... খরচাপাতির ব্যাপারে চিন্তা নেই, মানে .... পুষিয়ে দেব ... '
    পটল আবার মুখ তুলল। বলল, ' আচ্ছা ...তাই নাকি ! আমার সঙ্গে যা বললেন, বললেন ... যদি সাগরদার মুখোমুখি হন এসব কথা হারগিজ মুখ দিয়ে বার করবেন না ... কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে ... '
    ----- ' ও আচ্ছা আচ্ছা। না না... তা'লে এসব বলব না কিছু ... ওনার সঙ্গে তা'লে কিভাবে যোগাযোগ করা যাবে যদি বলেন ... ' বংশীবাবু পটলের কথা মেনে নিলেন।
    ----- ' আপনি এক কাজ করুন ... পরশুদিন দুপুরের দিকে একবার আসুন .... সাগরদার সঙ্গে দেখা হলে আমি কথা বলে রাখব ... '
    ----- ' আচ্ছা ঠিক আছে ... আমি তা'লে দুটো আড়াইটে নাগাদ আসব ... একটু কথা বলে রাখবেন তা'লে ... '
    ------ ' ঠিক আছে ... ঠিক আছে ... ' পটল চাঁচাছোলা উত্তর দিল বংশী রায়ের দিকে না তাকিয়েই।
    বংশীবাবু এখনকার মতো বিদায় নিলেন। হেঁটে হেঁটে বেথুন কলেজের সামনে দিয়ে বিবেকানন্দ রোডের দিকে যেতে লাগলেন। মনে মনে নিশ্চয়ই দুর্বিনীত পটলের আদ্যশ্রাদ্ধ করতে লাগলেন।

    অখিলবাবু, জন্মেজয়বাবুদের পরিবার বেশ খাপ খাইয়ে নিয়েছে বিভূতিবাবুর বাড়িতে। জন্মেজয়বাবুর সঙ্গে বৈকুন্ঠ বুক হাউসের সামনে দেখা হয়ে গেল বিভূতিবাবুর। সেদিন বিভূতিবাবুকে বললেন, ' আপনাদের জায়গাটা খুব ভাল লাগত্যাসে। কাল মানিকতলা বাজারে গেসিলাম। ওঃ ... প্রসুর মাছের আমদানি দেখলাম। তরকারিও অনেক। ভাল ... কাল বিকালে অনেকক্ষণ ধইরা হেদুয়ায় ঘুইরা বেড়াইলাম। কত ছেলে সাঁতার শিখত্যাসে। ব্যবস্থা ভালই ... '
    বিভূতিবাবু শুনে আনন্দে বিগলিত হয়ে গেলেন। বললেন, ' বলেছিলাম না.... খুব ভাল লাগবে আপনাদের। ফলল তো ? '
    ----- ' অ্যাক্ক্যারে .... '
    ----- ' বলছি যে ... অখিলবাবু কোন কাজকর্মের সন্ধান করছেন নাকি ? রোজগার তো দরকার ... কথাটা অন্যভাবে নেবেন না ... '
    ----- ' না না ... সে কি কথা ! এটা তো বাস্তব কথা ...জমানো টাকায় আর কত দিন। হ্যাঁ ... অখিল এখানে ওখানে আমাদের যে সব চিনা জানা লোকেরা আছে ... সব জায়গায় দেখা করছে। কোন একটা জায়গায় কিসু ব্যবস্থা হইব নিশ্চয় ...আশা করি ... '
    ----- ' হ্যাঁ নিশ্চই হবে ... নিশ্চই হবে, এতে কোন সন্দেহ নেই ... আমি এমনি জিজ্ঞেস করলাম। কিছু মনে করবেন না ... ' বিভূতিবাবু অকৃত্রিম আন্তরিকতা প্রকাশ করেন।
    ------ ' আপনার বাড়ির ওই নিতাইবাবু কিন্তু বড় ভাল লোক। ওনার পরিবারের সক্কলেই ভাল মানুষ। সেলে মেয়ে দুটারেও ভাল মানুষ করসে ... '
    ----- ' হ্যাঁ, ওরা অনেক বছর ধরে আমার বাড়িতে আছে। বাড়ি করেও ওখানে চলে যায়নি। ওই যে পিকনিক হল যেখানে ... গেছিলেন তো ... '
    ----- ' হ্যাঁ, খুব আনন্দ করসি ওখানে গিয়া। কি সুন্দর লাগত্যাসিল ... '
    এইভাবে কথা বলতে বলতে বাড়ির দিকে এগোচ্ছিলেন তারা। গঙ্গাপদর মুদির দোকানের সামনে দিয়ে যাবার সময় গঙ্গা চেঁচাল, ' দাদা কোথায় ... '
    বিভূতিবাবু বললেন, ' এই একটু ওদিকে গিয়েছিলাম ... কাজ ছিল ... '
    ----- ' আসুন না ... একটু চা খেয়ে যান। এখন তো আসেনই না ... '
    বিভূতিবাবু বললেন, ' আসুন কাকাবাবু। এখানে একটু বসি ... '
    দোকানের পাশের দিকে পাতা বেঞ্চে ওরা দুজনে গিয়ে বসলেন। বিভূতিবাবু গঙ্গাকে বললেন, ' এনার নাম জন্মেজয়বাবু। আমার বাড়ির দোতলায় নতুন এসেছেন, জানিস তো ? '
    ----- ' হ্যাঁ, ওনাকে দেখছি কদিন ধরে দোকানের সামনে দিয়ে যাতায়াত করতে। পরিচয় হয়নি ... এই পরিচয় হয়ে গেল ... এই বাপি ... দুটো স্পেশাল চা নিয়ে আয় ... '
    জন্মেজয়বাবু বললেন, ' আমার চায়ের ত্যামন নেশা নাই। তবে আনাইত্যাছেন যখন ... ঠিক আসে ... '
    তারপর বললেন, ' আর কদিনই বা আসি এ পৃথিবীতে, যাবার সময় তো হয়ে এল ... এ দুনিয়ার কিসুই দেখা হইল না, কিসুই জানা হইল না ... অহন যাওয়াটা কিভাবে হইব সেটাই সিন্তা ...'
    গঙ্গাপদ বলল, ' ওসব কথা ভাববেন না মেসোমশাই। যেতে তো আমাদের সবাইকেই হবে একদিন। আগে থেকে ওসব ভেবে লাভ কি ? যখন হবে তখন হবে ... '
    ----- ' সে তো ঠিকই ... কিন্তু এই বয়সে তো আর নতুন কইরা লড়াই করার খ্যামতা নাই বাবা। বাঁচার জন্য আবার নতুন কইরা লড়াই এই বয়সে এসে আর করার শক্তি নাই। সারাজীবন ধইরা অনেক লড়াই করসি ... সে তোমরা বোঝবা না বাবা ... '
    গঙ্গা কি বলবে ভেবে না পেয়ে চুপ করে রইল। তার এখনও এসব ভাববার বয়স হয়নি।
    বিভূতিবাবুও খানিকক্ষণ নীরব রইলেন। তারপর সস্নেহে জন্মেজয়বাবুর পিঠে হাত রেখে বললেন, ' চিন্তা করবেন না কাকাবাবু ... সব ভাল হবে। লড়াই করলে আমরা একসঙ্গে করব, আপনি একা নন ... '
    চা এসে গেল। বাপি কাঁচের গ্লাসে দুজনকে চা দিল।
    গঙ্গা বলল, ' চা খান মেসোমশাই ... '

    সন্ধে সাতটা বাজে। বাইরের দরজা খোলাই ছিল। হয়ত সুমনাই খোলা রাখতে বলেছে কিংবা এইমাত্র কেউ ঢুকেছে বা বেরিয়েছে। প্রতিবিম্ব একটু দ্বিধাগ্রস্তভাবে দোতলায় উঠে গেল। সিঁড়ি ফাঁকা, শুনশান। দোতলায় উঠে ডানদিকে অলোকেন্দু মিত্রের চেম্বারের দিকে গেল। ওখানে গিয়েই দিবাকরের দেখা পেয়ে গেল।
    ----- ' আরে ... আসুন আসুন ... স্যারের ঘর ফাঁকাই আছে ... দাঁড়ান এক মিনিট ... ' বলে দিবাকর চেম্বারের ভিতর ঢুকে গেল। প্রতিবিম্ব দেখল, ওয়েটিং রুমে আট দশজন লোক বসে আছে। তাহলে চেম্বার ফাঁকা রাখা হয়েছে কি তার আগমনের কথা ভেবে !
    দিবাকর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বেরিয়ে এল। বলল, ' যান ... '
    প্রতিবিম্ব ভিতরে ঢুকল। অলোকেন্দুবাবু একটা বাংলা খবরের কাগজ পড়ছিলেন। প্রতিবিম্বকে ঢুকতে দেখে কাগজটা ভাঁজ করতে করতে বললেন, ' এস ... '
    প্রতিবিম্ব উল্টোদিকের চেয়ারে বসে অলোকেন্দুবাবুর মুখের দিকে তাকিয়ে রইল। অলোকেন্দুবাবু পাশের দেয়ালে টানানো তেলরঙে আঁকা একটা ছবির দিকে তাকিয়ে কি ভাবতে লাগলেন। ছবিটা লাদাখ বা সিয়াচেন অঞ্চলের বরফে ঢাকা গিরিমালার একটা জীবন্ত ল্যান্ডস্কেপ।
    অলোকেন্দুবাবু থুতনিতে হাত দিয়ে বিভোর হয়ে ছবিটার দিকে তাকিয়ে রইলেন, যেন ছবিটা আগে কখনও দেখেননি।
    প্রতিবিম্ব অধৈর্য হয়ে শেষ পর্যন্ত বলল ফেলল, ' স্যার ... '
    অলোকেন্দু মিত্রের যেন হঠাৎ ধ্যানভঙ্গ হল। তিনি বললেন, ' অসাধারণ ... কি বিপুল উচ্চতা ... আমরা কত নীচের অস্তিত্ব ... এতদিন তাকিয়েই দেখিনি ঠিকমতো ... '
    প্রতিবিম্ব বলল, ' আমাকে ডেকেছেন স্যার ? '
    ------ ' হ্যাঁ, ডেকেছিলাম মনে হচ্ছে। কিন্তু কি জন্য ডেকেছিলাম সেটা ঠিক মনে পড়ছে না ... তোমার কি এ ব্যাপারে কিছু জানা আছে ? '
    ------ ' না স্যার। আমি তো কিছুই জানিনা। সুমনা আমাকে বলল তাই.... '
    ----- ' ও আচ্ছা আচ্ছা ... ফুচা কি একটা বলেছিল বটে। কিন্তু এগ্জ্যাক্টলি কি বলেছিল কিছু মনে পড়ছে না। আচ্ছা ... ওকে আর একবার জিজ্ঞাসা করে নেব'খন। তোমার কিছু বলার আছে ? '
    -----' কি ব্যাপারে স্যার ? '
    ----- ' না ... এই সুমনাকে তোমার কেমন লাগছে, মানে সম্পর্কটা পার্মানেন্ট করা যায় কিনা। কিংবা ধর ও যদি তোমার জীবন থেকে কোন কারণে সরে যায় ... তুমি মেনে নিতে পারবে কিনা ... এইসব আর কি ... '
    ----- ' এসব কি বলছেন স্যার ... ' প্রতিবিম্বের গলার আওয়াজ আটকে গেল প্রায়। সে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইল অলোকেন্দুবাবুর দিকে।
    ----- ' না না .... এতে এত ভেঙে পড়ার কিছু নেই। ওই ছবিটার দিকে তাকিয়ে দেখ। বুঝতে পারবে আমাদের এই সব মন নিয়ে, দেহ নিয়ে,বিষয় আশয় অর্থ নিয়ে টানাটানি সব কত তুচ্ছ, কত অকিঞ্চিৎকর ... '
    প্রতিবিম্ব প্রায় আর্তনাদ করে উঠল ----- ' না স্যার ... আমি ছবি টবি বুঝি না .... সুমনাকে হারালে, আমিও হারিয়ে যাব এ পৃথিবী থেকে ... ভীষণভাবে জড়িয়ে পড়েছি স্যার ...বিশ্বাস করুন ...'
    অলোকেন্দুবাবু মাথা নীচু করে গম্ভীরমুখে বললেন, ' হমম্ .... '
    তারপর আবার চুপ করে রইলেন। এবার বললেন, ' তুমি তো বিজ্ঞানের ছাত্র। নিশ্চয়ই জান এ ব্রহ্মান্ডের সবকিছুই আপেক্ষিক। কোন কিছুই অ্যাবসোলিউট না ... '
    ------ ' ও সব জানতে চাই না স্যার ... আমাদের রিলেশানটাই হয়ত একমাত্র অ্যাবসোলিউট ট্রুথ ইন দি ইউনিভার্স ... '
    অলোকেন্দু মিত্র চোখ কপালে তুলে বললেন, ' ইন দি ইউনিভার্স ! '
    ------ ' হ্যাঁ স্যার ... একদম একদম ... বিশ্বাস করুন ... ' গভীর আর্তি ছিটকে বেরোয় প্রতিবিম্বের মুখ থেকে।
    অলোকেন্দুবাবু আবার গম্ভীর মুখে বলেন, ' হমম্ ... বুঝলাম ... তবে আমার একটা কথা আছে ... '
    ----- ' কি স্যার ? '
    ------ ' এবার থেকে আমাকে আর স্যার বলবে না, কাকু বলবে ... '

    প্রতিবিম্ব চলে যাওয়ার পর টেবিলের ওপরে রাখা একটা টেপ রেকর্ডারের ওপর চাপা দেওয়া ঢাকাটা সরিয়ে ওটার সুইচ বন্ধ করে দিলেন। এবার এতে ধরে রাখা কথাগুলো ফুচাকে শোনাতে হবে। রেকর্ডারটা ড্রয়ারে ভরে রেখে অলোকেন্দুবাবু হাঁক দিলেন, ' দিবাকর পাঠা .... '

    ( চলবে )

    ********************************************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | ৬  | ৭  | ৮  | ৯  | ১০  | ১১  | ১২  | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬  | ১৭  | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২  | ২৩  | ২৪  | ২৫  | ২৬ | ২৭ | ২৮  | ২৯  | ৩০ | ৩১  | ৩২  | ৩৩  | ৩৪ | ৩৫ | ৩৬  | ৩৭  | ৩৮  | ৩৯  | ৪০  | ৪২  | ৪৩  | ৪৪  | ৪৫  | ৪৬ | ৪৭  | ৪৮  | ৪৯  | ৫০  | ৫১  | ৫২ | ৫৩ | ৫৪ | ৫৫ | ৫৬ | ৫৭ | ৫৮ | ৫৯ | ৬০ | ৬১ | ৬২ | ৬৩ | ৬৪ | ৬৫ | ৬৬ | ৬৭ | ৬৮ | ৬৯ | ৭০ | ৭১ | ৭২ | ৭৩ | ৭৪ | ৭৫ | ৭৬ | ৭৭ | ৭৮ | ৭৯ | ৮০ | ৮১ | ৮২ | ৮৩ | ৮৪ | ৮৫ | ৮৬ | ৮৭ | ৮৮ | ৮৯ | ৯০ | ৯১ | ৯২ | ৯৩ | ৯৪ | ৯৫ | ৯৬ | ৯৭ | ৯৮ | ৯৯ | ১০০ | ১০১ | ১০২ | ১০৩ | ১০৫ | ১০৬ | ১০৭ | ১০৮ | ১০৯ | ১১০ | ১১২ | ১১৩ | ১১৪ | ১১৫ | ১১৬ | ১১৭ | ১১৮ | ১১৯ | ১২০ | ১২১ | ১২২ | ১২৩ | ১২৪ | ১২৫ | ১২৬ | ১২৭ | ১২৮ | ১২৯ | ১৩০ | ১৩১ | ১৩২ | ১৩৩ | ১৩৪ | ১৩৫ | ১৩৬ | ১৩৭ | ১৩৮ | ১৩৯ | ১৪০ | ১৪১ | ১৪২ | ১৪৩ | ১৪৪ | ১৪৫ | ১৪৬ | ১৪৭ | ১৪৮ | ১৫০ | ১৫১ | ১৫২ | ১৫৩ | ১৫৪ | ১৫৫ | ১৫৬ | ১৫৭ | ১৫৮ | ১৫৯ | ১৬০ | ১৬২ | ১৬৩ | ১৬৪ | ১৬৫ | ১৬৬ | ১৬৭
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • যোষিতা | ২৮ নভেম্বর ২০২৩ ০২:১০526548
  • প্রতিবিম্বর রোলে উত্তমকুমার, সুমনার রোলে সাবিত্রী।
  • :|: | 174.25.***.*** | ২৮ নভেম্বর ২০২৩ ০৪:৫৯526551
  • কিন্তু অলকেন্দু বাবুর রোলে পাহাড়ী সান্যালের চেয়ে বিকাশ রায়ই বেশী ঠিক হবে মনে হয়। উত্তর ফাল্গুনীর মতো। 
  • Anjan Banerjee | ২৮ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:১৪526574
  • প্রস্তাবটা খারাপ না । অ্যানিমেশন ফিল্ম নির্মাতারা ভেবে দেখতে পারেন ... হাঃ হাঃ হাঃ ... 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন