এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে - ১৫২

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৪ জুলাই ২০২৪ | ২০৬ বার পঠিত
  • | | | | | ৬  | ৭  | ৮  | ৯  | ১০  | ১১  | ১২  | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬  | ১৭  | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২  | ২৩  | ২৪  | ২৫  | ২৬ | ২৭ | ২৮  | ২৯  | ৩০ | ৩১  | ৩২  | ৩৩  | ৩৪ | ৩৫ | ৩৬  | ৩৭  | ৩৮  | ৩৯  | ৪০  | ৪২  | ৪৩  | ৪৪  | ৪৫  | ৪৬ | ৪৭  | ৪৮  | ৪৯  | ৫০  | ৫১  | ৫২ | ৫৩ | ৫৪ | ৫৫ | ৫৬ | ৫৭ | ৫৮ | ৫৯ | ৬০ | ৬১ | ৬২ | ৬৩ | ৬৪ | ৬৫ | ৬৬ | ৬৭ | ৬৮ | ৬৯ | ৭০ | ৭১ | ৭২ | ৭৩ | ৭৪ | ৭৫ | ৭৬ | ৭৭ | ৭৮ | ৭৯ | ৮০ | ৮১ | ৮২ | ৮৩ | ৮৪ | ৮৫ | ৮৬ | ৮৭ | ৮৮ | ৮৯ | ৯০ | ৯১ | ৯২ | ৯৩ | ৯৪ | ৯৫ | ৯৬ | ৯৭ | ৯৮ | ৯৯ | ১০০ | ১০১ | ১০২ | ১০৩ | ১০৫ | ১০৬ | ১০৭ | ১০৮ | ১০৯ | ১১০ | ১১২ | ১১৩ | ১১৪ | ১১৫ | ১১৬ | ১১৭ | ১১৮ | ১১৯ | ১২০ | ১২১ | ১২২ | ১২৩ | ১২৪ | ১২৫ | ১২৬ | ১২৭ | ১২৮ | ১২৯ | ১৩০ | ১৩১ | ১৩২ | ১৩৩ | ১৩৪ | ১৩৫ | ১৩৬ | ১৩৭ | ১৩৮ | ১৩৯ | ১৪০ | ১৪১ | ১৪২ | ১৪৩ | ১৪৪ | ১৪৫ | ১৪৬ | ১৪৭ | ১৪৮ | ১৫০ | ১৫১ | ১৫২ | ১৫৩ | ১৫৪ | ১৫৫ | ১৫৬ | ১৫৭ | ১৫৮ | ১৫৯ | ১৬০ | ১৬২ | ১৬৩ | ১৬৪ | ১৬৫ | ১৬৬ | ১৬৭
    শিয়ালদায় নেতাজী সুভাষ ইনস্টিটিউট হলে বহুরূপী আবার একবার নবান্ন নাটক মঞ্চস্থ করবে বিজন ভট্টাচার্যের পরিচালনায়। শম্ভু মিত্র, তৃপ্তি মিত্র তো আছেনই। বিজনবাবুও প্লে করবেন।
    বিভূতিবাবু বেশ উত্তেজিতভাবে নিতাইবাবুকে খবরটা দিলেন, যদিও নিতাইবাবুর কোন তাপ উত্তাপ দেখা গেল না। বললেন, ' আবার ... কি দরকার ওসব কাঁদুনে জিনিস দেখানোর ... লোকে এখন এসব দেখতে চায় না। তার চেয়ে বরং উত্তম সুচিত্রার সিনেমা টিনেমা হলে ... '
    ----- ' আরে কি বলেন ! লোকে দেখতে চায় না মানে ? টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না বলে ... '
    ----- ' তাই নাকি ? তা ... হুজুগে লোকের তো অভাব নেই ... কি আর বলব ... আচ্ছা, যাই আমি .... চান করতে ঢুকব ... অফিসের টাইম হয়ে যাচ্ছে ... '
    নিতাইবাবুর কোন উৎসাহ জাগানো গেল না। বিভূতিবাবু ভাবলেন, দীনবন্ধুর বিয়ে হয়ে গিয়ে তিনি থিয়েটার দেখার একটা ভাল সঙ্গী হারালেন।সে এখন কি আর আগের মতো তার নাটক সঙ্গী হবে। সামনের মাসে নাকি রক্তকরবী করবে শম্ভু মিত্র। বোধহয় মিনার্ভায়। বিভূতিবাবু রীতিমতো অভাব বোধ করতে লাগলেন দীনবন্ধুর।
    তারপর ভাবলেন, দীনবন্ধুকে সস্ত্রীক যাবার কথা বলে দেখলে হয়। টিকিট না হয় তিনিই কাটবেন।
    কিন্তু তার বৌ তো থাকে কাটোয়ায়। অসুবিধার ব্যাপার। এক কাজ করলে হয়। জন্মেজয়বাবুকে বলে দেখা যেতে পারে, গঙ্গাপদ বা অখিলকেও বলা যেতে পারে। না যায় না যাবে। আসলে একা একা থিয়েটার দেখতে যেতে তার ভাল লাগে না। ঠিক যেন জমে না ব্যাপারটা। বিভূতিবাবু তার নাটক দেখার সঙ্গী সম্পর্কিত সমস্যায় নানা চিন্তা ভাবনা করতে লাগলেন। তার একবার মনে হল আর কাউকে না পেলে পঞ্চমীর মাকে নিয়েই নবান্ন দেখতে যাবেন। কিন্তু তারপরে মনে হল সেটা একটু বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে। লোকে বলতে পারে বুড়ো বয়সে ভীমরতি। যাই হোক, আপাতত তিনি ওই চিন্তাটা স্থগিত রাখলেন। সাগর মন্ডলের কথা মনে পড়ল হঠাৎ। ওর সঙ্গে অনেকদিন দেখা হয়নি। কত বিপদের ঝুঁকি নিয়ে
    অন্যের উপকার করে ছেলেটা। সবসময়ে প্রাণ হাতে করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। চারদিকে শত্রু ওৎ পেতে বসে আছে। কিন্তু তার কোন ভয়ডর আছে বলে মনে হয় না। সাগরের রক্তে বোধহয় কোন ভয়ের কণা সাঁতার কাটে না। বিভূতিবাবুরও মাঝে মাঝে ওরকম হতে ইচ্ছে করে। কিন্তু তিনি বুঝতে পারেন ইচ্ছে করলেই সব কিছু হওয়া যায় না। রক্তে অন্য কোন কণা সাঁতার কেটে বেড়ানো চাই।
    যাক, যা হল তা হল, জীবনটা একরকম কেটে তো যাচ্ছে। আর কটাই বা দিন ...।
    সে না হয় হল ... কিন্তু সাগরকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে। কাণাঘুষোয় বিভূতিবাবু শুনেছেন সাগরের নাকি একজনের সঙ্গে বিয়ে হবে। মেয়েটি নাকি খুব শিক্ষিত। স্কুলে ইংরেজি পড়ায়। তা ভাল ... ভাল হলেই ভাল। মানিয়ে নিতে পারলেই ভাল। মানিয়ে নিশ্চয়ই নিয়েছে। নইলে সম্পর্ক টিকে আছে কি করে। বিভূতিবাবু ভাবলেন, যাক ... এখন চান করে পুজোয় বসি গিয়ে, তারপর বিকেলের দিকে পটলের দোকানে খোঁজ নেওয়া যাবে। এইসব ভাবতে ভাবতে বিভূতিবাবু আস্তে আস্তে বাড়ির দিকে হাঁটতে লাগলেন।

    নন্দকে নিয়ে সাগর নিখিলবাবুর বাড়ি এসে হাজির হল।
    ----- ' এই যে স্যার ... নিয়ে এসেছি একেবারে সোজা থানা থেকে ... মানে, থানার বাইরে থেকে। আমাকে কিছুই করতে হয়নি ... ওসি বাবু আমাদেরই লাইনের মনে হচ্ছে, কালীবাবু, বিকাশবাবুর মতো ... ' সাগর বলল।
    ----- ' তাই নাকি ? আরে নন্দলাল বস বস। ব্যাপারটা কি হল শুনি ... '
    সাগর বলল, ' বল না স্যারকে, বল ... '
    নন্দ রঞ্জিত ঘোষ সমাচার আবার বর্ণনা করল।
    নিখিলবাবু মন দিয়ে শুনলেন, তারপর বললেন,
    ' হুমম্ .... মানুষ আছে মানুষ আছে ... খুঁজে বার করাটাই কাজ।
    এহেন পরিশীলিত পরিবেশে এসে নন্দ একটু জড়সড় হয়ে বসে ছিল। সে ফেরেব্বাজ লোকদের মোকাবিলা করে অভ্যস্ত। এত আলোকিত পরিবেশে ঢোকার সৌভাগ্য তার হয় না। অস্বস্তি তো একটু থাকবেই। অবশ্য সাগর সঙ্গে থাকায় দোনামোনা খানিক কম ছিল নন্দর।
    তবে এর পর নিখিল স্যারের কথা শুনে তার জড়তা কেটে গেল।
    তিনি বললেন, ' তোমাকে তুমি করেই বলছি। তুমি তো আমার ভাইয়ের মতো। এখানে যোগ দিলে সহকর্মীও বটে ... '
    নন্দ ব্যস্ত হয়ে বলে উঠল, ' না না ... সে কি কথা ... তুমিই তো বলবেন। আপনি কত বড় মানুষ ... তুইও বলতে পারেন। '
    ----- ' হ্যাঁ বয়সে বড় তো নিশ্চয় ... আর কোন ব্যাপারে বড় নয়। আমাকে তোমার মতো জীবনসংগ্রাম করতে হয়নি। সব কিছু পেয়ে গেছি বা হয়ে গেছে বলতে পার। মানে, জন্ম থেকেই পরিস্থিতি অনুকূল ছিল। তোমার মতো অবস্থায় থাকলে আমি কি করতে পারতাম সন্দেহ আছে। কে বড়, কে ছোট তখন বিচার হত। সুতরাং তুমিই এগিয়ে আছ বলা যায় আমার চেয়ে। তুমি বুক চিতিয়ে লড়াই করে যাচ্ছ শুধু জীবনের পরিস্থিতি বদলানোর জন্য নয়, অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জন্য। কাউকে ছোট না করেই বলছি সমাজে তোমার বা সাগরের মতো মানুষের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। তোমাদের সাহায্য পেলে তবেই আমরা এগোতে পারব। '
    নন্দ নিখিল ব্যানার্জীর কথাগুলো কিছুটা বুঝল কিছুটা বুঝল না, তবে এটা বুঝতে অসুবিধে হল না স্যার তাকে নীচু নজরে দেখছেন না। তার জড়সড় ভাবটা কেটে গেল। তার মনে হল তার মতো মানুষের জন্যও কোথাও একটু জায়গা রাখা আছে। সে এতদিনে বোধহয় সেটা খুঁজে পেয়েছে।
    সে, কি বলা যায় ভাবছিল। এইসময়ে বিচক্ষণতায় বয়সের তুলনায় এগিয়ে থাকা নীলাঞ্জন বলে উঠল, ' হানড্রেড পার্সেন্ট কারেক্ট স্যার ... '
    নিখিলবাবু তার ছাত্রের সার্টিফিকেট পেয়ে হাসিমুখে বললেন, ' থ্যাঙ্ক ইউ ... মাই বয় ... '
    নন্দ এতক্ষণে তার কথাগুলো সাজিয়ে নিয়েছে।
    সে তার নিজের মতো করে বলল ' জানের পরোয়া করি না। জান লড়িয়ে দেব স্যার ... '
    ----- ' না, পরোয়া করতে হবে বুঝেসুঝে। হুটহাট জান দিয়ে দিলে সব দিক দিয়েই ক্ষতি। বুঝে সুঝে করতে হবে সব কিছু ... '
    এ কথাগুলো বোধহয় নন্দর চেনা অভিজ্ঞতার মধ্যে পড়ে।
    সে মাথা নেড়ে বলল, ' হ্যাঁ স্যার ... খাঁটি কথা ... '
    এই সময়ে অমল আর রাত্রি এসে ঢুকল। রাত্রি বলল, ' এই যে স্যার ... ধরে এনেছি ... '
    অমল বলল, ' হ্যাঁ স্যার ... ধরে এসেছি ... '
    নিখিলবাবু বললেন, ' হাঃ হাঃ ... দারুণ বললে তো তোমরা। ধরে এনেছি ... আর ধরে এসেছি ... '
    তারপর বললেন, ' কেউ কাউকে ধরে আনতে পারে না এখানে, আর ধরে আসার তো দরকারই নেই ... নিজে নিজেই আসতে পারে ... '
    রাত্রি বলল, ' এগজ্যাক্টলি স্যার ... একদম ঠিক। আমি মজা করছিলাম। আমরা দুজন যে যার মতো এসেছি, এখানে এসে ঢোকার মুখে দেখা হয়ে গেল ... '
    ----- ' আরে, সে আমি বুঝেছি। টান না থাকলে কেউ কোন জায়গায় আসে কখনও ? যাকগে, অমল বল ... কি ঠিক করলে ...'
    তারপর ঘরে লোকজন দেখে বললেন, ' আচ্ছা, ঠিক আছে ... পরে বোল ... এখন থাক ... '
    অমল বসে রইল। সাগর বলল, ' রাত্রির মুখে খবরটা শুনলাম। কনগ্র্যাচুলেশান ... '
    অমল বলল, ' হ্যাঁ ... ধন্যবাদ ... '
    কোন জটিল মনস্তাত্বিক কারণে অমলের বিয়ে ঠিক হওয়ার কারণে যতটা খুশি হওয়া স্বাভাবিক সাগরকে তার চেয়ে অনেক বেশি উৎফুল্ল মনে হল।
    কার অবচেতনে যে কি আছে সেটা তার নিজের পক্ষেও জানা সম্ভব নয়।
    সে বারংবার অমলকে বলতে লাগল ' উঃ দারুণ খবর ... দারুণ খবর ! কনগ্র্যাচুলেশান ... '
    বলে অমলের হাত ধরে ঝাঁকাতে লাগল। অমল রীতিমতো অবাক হয়ে গেল। হঠাৎ খেয়াল হল, ক'দিন আগেও তো তার মনে 'রাত্রি' বেলা টুপটাপ টুপটাপ বৃষ্টি পড়ত। গীটারে সুর খেলত। সাগরদা কি সে সবের কিছু আভাস পেয়েছিল ... তাই তার বিয়ের খবরে এরকম উচ্ছ্বাস ? কি জানি !
    মানুষের মন এক জটিল গোলোকধাঁধা।
    নিখিল স্যার একটু অন্যমনস্ক ছিলেন। তিনি এসব ঠিক খেয়াল করলেন না। বললেন, ' সন্তোষের আসার কথা ছিল, এলো না তো এখনও।
    স্বরূপ খাঁড়ার খবরটা খুব দরকার ... '
    সাগর বলল, ' সন্তোষের কথার নড়চড় হয় না। একটু অপেক্ষা করুন এসে পড়বে নিশ্চয়ই। '
    সাগরের কথা মিলে গেল একদম। তিন মিনিটের মধ্যে সন্তোষ দাস এসে ঢুকল।
    বলল, ' এই ... দোকান বন্ধ করে আসতে আসতে একটু দেরি হয়ে গেল ... '
    -----' হ্যাঁ ... বল, খবর কিছু আছে নাকি ? ' নিখিলবাবু জিজ্ঞাসা করলেন।
    ----- ' আপনি জানেন হয়ত, ওই ছেলে দুটো ... মজিদ আর বাবলু ... যাদের রাত্রি ম্যাডামের পিছনে লাগিয়েছিল খাঁড়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট মনোরঞ্জন, ওদের লাগিয়েছি খাঁড়ার খবর আনার জন্য ... '
    ------ ' খবর কিছু এসেছে ? '
    ----- ' এসেছে। খাঁড়ার ধান্দা ভাল নয়। টার্গেট করছে ... '
    ----- ' কাকে ? '
    ----- ' সাগরদাকে ... '
    ----- ' কিরকম ? '
    ----- ' ওড়াতে চাইছে ... '
    ----- ' আচ্ছা ... এরকম ব্যাপার ! '
    ----- ' মনোরঞ্জন মজুমদারের মুখের খবর। অনেক কায়দা করে বার করতে হয়েছে। '
    রাত্রি ভয়ার্ত এবং উদ্বিগ্ন মুখে বলল, ' এখন কি হবে স্যার ? '
    নিখিলবাবু রাত্রির উদ্বেগ এবং ভয়কে উড়িয়ে দিয়ে বললেন, ' আরে দূর ... তুই এই সব নিয়ে চিন্তা করছিস ? তাও আবার সাগর মন্ডলকে নিয়ে ! মাথা ঠান্ডা রাখ। যদি খবরটা সত্যিই হয়, স্বরূপ খাঁড়া তোলার আগেই তার খাঁড়া ধরা হাতটা যাতে খসিয়ে দেওয়া যায় তার ব্যবস্থা করা হবে। কি ... ঠিক বলছি তো নন্দলাল ?
    নন্দলাল কি একটা চিন্তা করছিল মাথা নীচু করে দাঁত দিয়ে নীচের ঠোঁটটা চেপে ধরে।
    সে নীচু গলায় হিসহিস করে বলল, ' আর একটা
    অপারেশান করতে হয় তা'লে ... '
    সাগর বলল, ' দাঁড়া দাঁড়া ... একটু রুখে যা ... আমাকে একটু দেখতে দে ... ঠিক সময়ে বলব ... '
    নন্দ বলল, ' দেখ ... বোল কিন্তু ... '
    নিখিলবাবু গভীর ভাবনায় পড়ে গেলেন। তার সংগঠনের উদ্দেশ্য কিন্তু ব্যক্তিগত রেষারেষিজনিত খুনোখুনি নয়। তার লক্ষ্য এবং
    স্বপ্নের আকার প্রকার একটু অন্য গড়নের। দরকার হলে হাতে অস্ত্র তুলে নিতে হতে পারে কিন্তু
    নেহাত মারামারি করা বা বদলা নেওয়ার নক্শা রচনা করা তো তার উদ্দেশ্য নয়। তার দৃষ্টি সুদূরপ্রসারিত এক বৃহৎ লক্ষ্যে নিবদ্ধ।
    সাগর বোধহয় তার মনের কথা পড়তে পারল।
    বলল, ' আমার কথা চিন্তা করবেন না স্যার। আমার ছেলেরা সামলে নেবে। আপনি সংগঠনের পরের অ্যাকশানের প্ল্যানটা সাজিয়ে নিন। আর হ্যাঁ, পানিহাটির ওই সাধুবাবাজী ... কি যেন নামটা ... '
    ----- ' স্বরূপ ব্রহ্মচারী কি ? ' নিখিলবাবু বললেন।
    ----- ' না না ... মাধব ব্রহ্মচারী। ঠিক বলেছেন। শ্যামবাজারে ভূপেন বোস এভিনিউয়ে নাকি আসছে কাল। একবার যাব ভাবছি ... '
    ----- ' আচ্ছা ! তা এত ধার্মিক হয়ে উঠলি কবে থেকে ... কিরে রাত্রি ? '
    ----- ' কি জানি ... জানি না বাবা ... ' রাত্রি বলল হাত উল্টে।
    সাগর এক হাত তুলে থামাল।
    ----- ' আরে, ওসব না রে বাবা ... এমনি কারবারটা দেখতে যাব .... কি করে, না করে। তাছাড়া কোন ধার্মিক টার্মিকেরও দেখা পেয়ে যেতে পারি হয়ত ওখানে। মহাপুরুষদের দেখতে কার না ইচ্ছে হয় ... '
    ------ ' ও, তাই বল ... বুঝতে পেরেছি। ঠিক আছে, দেখ ছাই উড়িয়ে কিছু পাস নাকি ... '
    ----- ' সেটাই তো ... সেটাই তো ... কিরে নন্দ যাবি নাকি ? '
    নন্দ একগাল হেসে বলল, ' হ্যাঁ তা গেলেও হয় ... তুমি বলছ যখন ... '
    বিচক্ষণ তরুণ নীলাঞ্জন বলল, ' খুব সাবধানে কিন্তু দাদারা ... বাবাজীদের কিন্তু অনেক ক্ষমতা ... মাথায় রেখ ... '

    ( চলবে )

    ********************************************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | ৬  | ৭  | ৮  | ৯  | ১০  | ১১  | ১২  | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬  | ১৭  | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২  | ২৩  | ২৪  | ২৫  | ২৬ | ২৭ | ২৮  | ২৯  | ৩০ | ৩১  | ৩২  | ৩৩  | ৩৪ | ৩৫ | ৩৬  | ৩৭  | ৩৮  | ৩৯  | ৪০  | ৪২  | ৪৩  | ৪৪  | ৪৫  | ৪৬ | ৪৭  | ৪৮  | ৪৯  | ৫০  | ৫১  | ৫২ | ৫৩ | ৫৪ | ৫৫ | ৫৬ | ৫৭ | ৫৮ | ৫৯ | ৬০ | ৬১ | ৬২ | ৬৩ | ৬৪ | ৬৫ | ৬৬ | ৬৭ | ৬৮ | ৬৯ | ৭০ | ৭১ | ৭২ | ৭৩ | ৭৪ | ৭৫ | ৭৬ | ৭৭ | ৭৮ | ৭৯ | ৮০ | ৮১ | ৮২ | ৮৩ | ৮৪ | ৮৫ | ৮৬ | ৮৭ | ৮৮ | ৮৯ | ৯০ | ৯১ | ৯২ | ৯৩ | ৯৪ | ৯৫ | ৯৬ | ৯৭ | ৯৮ | ৯৯ | ১০০ | ১০১ | ১০২ | ১০৩ | ১০৫ | ১০৬ | ১০৭ | ১০৮ | ১০৯ | ১১০ | ১১২ | ১১৩ | ১১৪ | ১১৫ | ১১৬ | ১১৭ | ১১৮ | ১১৯ | ১২০ | ১২১ | ১২২ | ১২৩ | ১২৪ | ১২৫ | ১২৬ | ১২৭ | ১২৮ | ১২৯ | ১৩০ | ১৩১ | ১৩২ | ১৩৩ | ১৩৪ | ১৩৫ | ১৩৬ | ১৩৭ | ১৩৮ | ১৩৯ | ১৪০ | ১৪১ | ১৪২ | ১৪৩ | ১৪৪ | ১৪৫ | ১৪৬ | ১৪৭ | ১৪৮ | ১৫০ | ১৫১ | ১৫২ | ১৫৩ | ১৫৪ | ১৫৫ | ১৫৬ | ১৫৭ | ১৫৮ | ১৫৯ | ১৬০ | ১৬২ | ১৬৩ | ১৬৪ | ১৬৫ | ১৬৬ | ১৬৭
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Manimoy Sengupta | ১৩ জুলাই ২০২৪ ০৯:১২534586
  • আপনি এখানে যে সময়ের কথা লিখছেন তখন শিয়ালদায় ওই মঞ্চের নাম ছিলো ক্লেম ব্রাউন ইনস্টিটিউট। এই হলটা পূ্র্ব রেলওয়ের মালিকানাধীন। নেতাজি সুভাষ ইনস্টিটিউট নাম দেওয়া হয় পরে। 
  • Anjan Banerjee | ১২ আগস্ট ২০২৪ ০৯:৫১536219
  • হ্যাঁ, ঠিক ঠিক। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন