এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে - ১২৩

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২১ এপ্রিল ২০২৪ | ২৪৯ বার পঠিত
  • | | | | | ৬  | ৭  | ৮  | ৯  | ১০  | ১১  | ১২  | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬  | ১৭  | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২  | ২৩  | ২৪  | ২৫  | ২৬ | ২৭ | ২৮  | ২৯  | ৩০ | ৩১  | ৩২  | ৩৩  | ৩৪ | ৩৫ | ৩৬  | ৩৭  | ৩৮  | ৩৯  | ৪০  | ৪২  | ৪৩  | ৪৪  | ৪৫  | ৪৬ | ৪৭  | ৪৮  | ৪৯  | ৫০  | ৫১  | ৫২ | ৫৩ | ৫৪ | ৫৫ | ৫৬ | ৫৭ | ৫৮ | ৫৯ | ৬০ | ৬১ | ৬২ | ৬৩ | ৬৪ | ৬৫ | ৬৬ | ৬৭ | ৬৮ | ৬৯ | ৭০ | ৭১ | ৭২ | ৭৩ | ৭৪ | ৭৫ | ৭৬ | ৭৭ | ৭৮ | ৭৯ | ৮০ | ৮১ | ৮২ | ৮৩ | ৮৪ | ৮৫ | ৮৬ | ৮৭ | ৮৮ | ৮৯ | ৯০ | ৯১ | ৯২ | ৯৩ | ৯৪ | ৯৫ | ৯৬ | ৯৭ | ৯৮ | ৯৯ | ১০০ | ১০১ | ১০২ | ১০৩ | ১০৫ | ১০৬ | ১০৭ | ১০৮ | ১০৯ | ১১০ | ১১২ | ১১৩ | ১১৪ | ১১৫ | ১১৬ | ১১৭ | ১১৮ | ১১৯ | ১২০ | ১২১ | ১২২ | ১২৩ | ১২৪ | ১২৫ | ১২৬ | ১২৭ | ১২৮ | ১২৯ | ১৩০ | ১৩১ | ১৩২ | ১৩৩ | ১৩৪ | ১৩৫ | ১৩৬ | ১৩৭ | ১৩৮ | ১৩৯ | ১৪০ | ১৪১ | ১৪২ | ১৪৩ | ১৪৪ | ১৪৫ | ১৪৬ | ১৪৭ | ১৪৮ | ১৫০ | ১৫১ | ১৫২ | ১৫৩ | ১৫৪ | ১৫৫ | ১৫৬ | ১৫৭ | ১৫৮ | ১৫৯ | ১৬০ | ১৬২ | ১৬৩ | ১৬৪ | ১৬৫ | ১৬৬ | ১৬৭
    নদীর জলধারার মতো নিরন্তর প্রবহমান জীবনস্রোতের টানে হঠাৎ কোথায় ভেসে চলে গেলেন বিভূতিবাবুর শ্বশুরমশাই প্রফুল্লবাবু কাল মাঝরাতে। হৃদযন্ত্রে ধাক্কাটা প্রকান্ড ছিল, চিকিৎসার কোন সময় পাওয়া যায়নি।
    বিভূতিবাবুর বাড়িতে খবর এল সকাল সাতটা নাগাদ। কোন পরিচিত পুরণো জনের মৃত্যু সংবাদ শোনামাত্র বহু যুগের শ্যাওলা পড়া স্মৃতিপটচিত্র দোল খেতে থাকে বুকের মধ্যে। শোকে যতটা না, স্মৃতিকাতরতার নখ আঁচড়ানো ব্যথার বিবশতা তার চেয়ে অনেক বেশি মুচড়ে ধরে মন।
    রামকান্ত বোস স্ট্রিটে ওই বাড়িতে বিভূতিবাবুর এতকালের যাতায়াতের ছবিগুলো নির্জন দ্বিপ্রহরের উদাসী মাঠের এলোমেলো হাওয়ায় যেন দোল খেতে লাগল দত্তবাবুর মনে।
    দাহকার্য এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক ক্রিয়াকর্ম মিটতে মিটতে বিকেল চারটে বাজল। প্রচুর আত্মীয়স্বজনের সমাগম হয়েছে। বাড়িভর্তি লোকজন। তার মধ্যে বিভূতিবাবুর সেই শালীর ভর হল। ভরের ঘোরে ঘড়ঘড়ে জড়ানো স্বরে ' মা আয় ... মা আয় ... নেমে আয় মা.. ' বলে শরীর বেঁকিয়ে চুরিয়ে ছটফট করতে লাগল। বাড়ির লোক দীর্ঘদিন ধরে এসব দেখে অভ্যস্ত। তারা নিরুত্তাপ রইল। জানে, একটু পরেই ঘোর কেটে যাবে, স্বাভাবিক আচরণে প্রত্যাবর্তন করবে। তবে উপস্থিত অভ্যাগতরা কৌতূহলী দৃষ্টিতে চমকপ্রদ কিছু ঘটার অপেক্ষা করে রইল সাগ্রহে।
    অনেকে আশা করতে লাগল, এর মুখ দিয়ে কোন অলৌকিক দৈববাণী নিসৃত হবে এবং সেটা তাকে লক্ষ্য করেই হবে। কিন্তু তাদের আশায় জল ঢেলে বিভূতিবাবুর শ্যালিকা স্নায়ুদৌর্বল্যজনিত বিবশতা কাটিয়ে ধীরে ধীরে নিজের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এল। তবে কোন কথা বলল না। যেন ঘুম ভেঙে উঠে বসল। কারো সঙ্গে কোন কথা না বলে মেঝেতে বসে খাটে হেলান দিয়ে উদাসভাবে সামনের দেয়ালের দিকে তাকিয়ে রইল। শিহরণকারি কিছু না ঘটায় উপস্থিত জনগন খুবই হতাশ হল। এরকম সাদামাটা সমাপ্তি তারা আশা করেনি।
    বিভূতিবাবু সবাইয়ের দেখভালে ব্যস্ত ছিলেন। যারা এই মৃত্যু উপলক্ষ্যে এসে জড়ো হয়েছে এখান থেকে ওখান থেকে, তারা কতক্ষণ বা কতদিন থাকবে এখানে তার নিশ্চয়তা নেই। এদের হাবভাব এমন যে, মৃত্যু সংবাদ পেয়ে তারা যথাসময়ে এসে হাজির হয়ে এ পরিবারকে কৃতার্থ করে দিয়েছে।
    যাই হোক, বিভূতিবাবু ঘরে ঢুকে তার শালিকে জিজ্ঞাসা করলেন, ' কিরে মিনু ... চা খাবি নাকি ? '
    মিনু স্বাভাবিক গলায় বলল, ' হ্যাঁ খাব ... '
    জনগণ এই অনাটকীয়তায় আবার হতাশ হল।

    বিভূতিবাবুর স্ত্রী রমাদেবী দু একদিনের জন্য বাপের বাড়ি থেকে গেলেন। চতুর্থীর আগের দিন
    বাড়ি ফিরে যাবেন। বিভূতিবাবু এবং তার ছেলে, ছেলের বৌ রাত্রে বাড়ি ফিরে এল। কাল থেকে শ্রাদ্ধশান্তির ব্যবস্থাদির কাজে নামতে হবে।

    অখিল বিভূতিবাবুর কাছে প্রফুল্লবাবুর মৃত্যুর খবর শুনে অত্যন্ত মর্মাহত হলেন এবং বারংবার দুঃখ প্রকাশ করতে লাগল।
    অখিল বলল, ' উনার জন্যই আপনার সঙ্গে পরিচয় হল ... তারপর এখানে আসা। মনটা খুব খারাপ লাগত্যাসে ... কি আর বলব ... সবাইকেই
    তো যেতে হবে একদিন ... '
    বিভূতিবাবু দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন, ' হমম্ .... প্রায় চল্লিশ বছরের চেনা একটা লোক চলে গেলে বড্ড খারাপ লাগে ... প্রতিটা মুহুর্ত মনে পড়ে ...'
    ----- ' তাই তো ... যত বেশিদিনের সম্পর্ক তত বেশি হয় মায়ার বন্ধন ... '
    ----- ' তুমি আর জন্মেজয়বাবু কিন্তু শ্রাদ্ধকর্মের দিন যেও ... উনিশ তারিখে পড়েছে ... রবিবার ... অসুবিধে হবে না ... ' বিভূতিবাবু জানালেন।
    ----- ' আচ্ছা ... ঠিক আছে, আপনি বলছেন যখন ... বাবাকে বলব .. '
    ----- ' ওনাকে আমিও বলব ... আমার কর্ত্তব্য ... '

    কিছুক্ষণ পরে বিভূতিবাবুর কাছ থেকে তার শ্বশুরের পারলৌকিক ক্রিয়া অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণ পেয়ে স্বভাবত আবেগপ্রবণ জন্মেজয়বাবু আবেগমন্ডিত স্বরে বিভূতিবাবুর হাত নিজের হাতে তুলে নিয়ে বললেন, ' দত্তবাবু আমাদের এ বন্ধন যেন বাকি জীবনটা বজায় থাকে ... ভগবানের কাসে শুধু এইটুকু সাই ... আর কিসু না ... '

    এই আবেগের সম্মোহন বোধহয় দুনিয়াময় ছড়িয়ে আছে কোন না কোন রূপে।
    মিনার সিনেমার সামনে দিয়ে সেদিন রাত্রি যাচ্ছিল শ্যামবাজার মোড়ের দিকে। বিকেল পাঁচটা বাজে। রামদুলাল দাসের দোকান থেকে একটা বিছানার চাদর কেনার আছে। অনেকদিন ধরে যাবার কথা ভাবছিল। হয়ে উঠছিল না। আজ একটু সময় পাওয়া গেল।
    বাঁদিকে তাকিয়ে দেখল মিনারে সত্যজিৎ রায়ের দেবী চলছে। রাত্রি ভাবল, কতদিন সিনেমা দেখা হয়নি। ভেতরে বাইরে নানা ব্যস্ততায় কোন বিনোদনের ফুরসত হয়ে ওঠে না। সেটা নিয়ে অবশ্য কোন আক্ষেপ নেই তার। সে যে একটু আলাদা ধাতের সেটা সে নিজেই বুঝতে পারে। নাহলে কি আর স্বেচ্ছায় সাগরের সাথী হত সে।
    জীবনটাকে একরকম বাজি রাখা হল। কিন্তু এতে একটা অদ্ভুত মুক্তি এবং ফূর্তি অনুভব করে সে। সাগর মন্ডলের মতো মানুষের সঙ্গী হতে পারা সৌভাগ্যের ব্যাপার। সাগর একজন সাধারণ শক্তিশালী লোক হলে নিখিল স্যার তাকে কাছে টেনে নিতেন না। ওরকম বলশালী লোক তো কতই আছে। দেখা যাক, তিনি কিভাবে সাগরকে কাজে লাগান। স্যারের একটা মিশন তো অবশ্যই আছে, সেটা এত তাড়াতাড়ি হয়ত তাদের মাথায় ঢুকছে না ... সাগরকে উনি নিশ্চয়ই তার উপযুক্ত কাজই দেবেন। তারও নিশ্চয়ই কিছু কাজ থাকবে সংগঠনে। সে ভয় পেয়ে পিছিয়ে আসবে না। ' আসুক সহস্র বাধা, আসুক প্রলয়... '
    সে পিছিয়ে আসবে না। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবন ও জীবিকার কি হবে সেটা এখনও অজানা। দেখা যাক স্যার কি বলেন ... মাথা নীচু করে এইসব নানা কথা ভাবতে ভাবতে হাঁটছিল রাত্রি। শ্যামবাজার ট্রাম ডিপো পেরিয়ে গেল। আর খানিকটা গেলেই রামদুলাল দাস।
    এই সময়ে রাত্রির সামনে থেকে কে যেন অবাক হওয়া গলায় বলল, ' আরে ... তুমি এখানে ? '
    রাত্রি মুখ তুলে দেখল অমল দাঁড়িয়ে আছে।
    ----- ' আরে আরে ... দাদা ... কি খবর ? কেমন আছেন ? আজ কি অফিস ছুটি ? '
    ------ ' না ... ছুটি নিয়েছি। বাগবাজার স্ট্রিটে গিয়েছিলাম। একজন রিলেটিভ খুব অসুস্থ ... '
    ----- ' ও আচ্ছা ... এখন একটু ভাল। অনেকদিন ধরে ভুগছে। কিডনির প্রবলেম ... '
    ----- ' হমম্ ... ভাল হয়ে যাবেন নিশ্চয়ই। এখন তো অনেক ট্রিটমেন্ট হয়েছে ... '
    ---- ' দেখা যাক ... '
    রাস্তায় লোক চলাচল করছে। দুজন স্বাভাবিক প্রতিবর্তীক্রিয়াবশত রাস্তার একপাশে সরে এল।
    রাত্রি বলল, ' আপনার গীটার শুনতে একদিন যাব ভাবছি কবে থেকে। কিছুতেই হয়ে উঠছে না ... সঞ্চারীকে বলেছি ... ' রাত্রি আন্তরিকভাবে বলল।
    ----- ' আমি সামান্য একজন গীটারিস্ট। আমার বাজানো শুনতে কেউ আসবে এতটা আশা করি না। তবু, আশা করে বসে থাকি কেউ আসবে। বুঝতে পারি আশা করাটা ঠিক না, তবু আশা করে বসে থাকি ... '
    ----- ' আরে ... কি সব বলছেন ... আমি একজন নগন্য শ্রোতা ... গান বাজনা কিছুই বুঝি না। তবে বুঝি না বুঝি ভীষণ ভাল লাগে ... এই ভাল লাগাটারও তো একটা দাম আছে ... তাই না ? ক'জন আর সত্যিকারের বোদ্ধা আছে ... '
    কথাটা অন্যদিকে ঘুরে গেল। অমলের আবেগমাখা কথাগুলো কিছুটা মার খেয়ে গেল।
    কিন্তু অমল রাত্রির দেখা পেয়ে মরীয়া হয়ে উঠেছে। সে তার নিবেদনের চেষ্টাটা আবার টেনে তোলার চেষ্টা করল।
    সে বলল, ' বেশি বোঝার দরকার কি ? শুধু অনুভব করতে পারলেই হল ... এই অনুভবটাই তো একজনকে আর একজনের কাছে নিয়ে আসে। আমি বোধহয় ঠিক বোঝাতে পারলাম না ... '
    ----- ' না না ... বুঝতে পেরেছি। একদম খাঁটি কথা বলেছেন। অনুভূতি না থাকলে সে মানুষই না ... পশুদেরও তীব্র অনুভূতি থাকে ... এটা দেখেছি আমি ... আমাদের বাড়িতে একটা কুকুর ছিল ... সে যে কি ভালবাসত আমাকে কি বলব ... '
    কথাটা আবার অন্যদিকে ঘুরে গেল।
    অমল হাল ছাড়ল না। বলল, ' মানুষ কখনও কখনও কুকুরের চেয়ে বেশি অভাগা কারণ কুকুর নানা ভাব ভঙ্গী করে তার ভালবাসা বা বিশ্বস্ততা প্রকাশ করতে পারে কিন্তু মানুষকে নানা কারণে তা নিজের মধ্যে গোপন রাখতে হয়। স্বচ্ছন্দে প্রকাশ
    করতে পারে না ... '
    রাত্রির মুখে তারিফ করার ভঙ্গী ফুটে উঠল।
    ----- ' এটা একটা দারুণ কথা বলেছেন ... মানুষ অবোলা প্রাণী নয়। কিন্তু ক্ষেত্রবিশেষে তার বুকের কথা মুখ দিয়ে বের হয় না। চাপাই থাকে। আমি কিন্তু এই দলে পড়ি না ... যাই মনে করুন। সোজাসুজি বলে দিই যা বলার। ফয়সালা হয়ে যাওয়াই তো ভাল। সমস্যা জিইয়ে রেখে লাভ কি ?', বলে রাত্রি একটু চুপ করে রইল।
    সময় বেরিয়ে যাচ্ছে। অমলের মনের ভিতর তোলপাড় হচ্ছে রাত্রির কথাগুলো শুনে। আর বেশিক্ষণ পাওয়া যাবে না নিশ্চিত। কিছু একটা এখানে এই একান্তে বলে নিতে পারলে ভাল হয়। রাত্রি হয়ত এক্ষুণি বলে বসবে, ' আচ্ছা ঠিক আছে ... এখন আসি তা'লে ... আবার দেখা হবে ... '। এই ' আবার দেখা হবে ' কথাটা একেবারেই অনিশ্চিত সম্ভাবনার ব্যাপার।
    কিন্তু কিভাবে কি উপস্থাপনা করা যায় এ ব্যাপারে অমল প্রচন্ড ধন্দে পড়ে গেল। এদিকে বুকের ভিতর তীব্র এক তাগিদ হাতুড়ি পেটাচ্ছে।
    এই সময়ে অমলের ধুকপুকুনি আরো বাড়িয়ে দিয়ে রাত্রি গম্ভীর গলায় বলল, ' একটা কথা বলব ? '
    অমল আচমকা এই ধাঁচের একটা কথা শুনে বাকরুদ্ধ হয়ে গেল। মুহুর্তের মধ্যে নানা প্রত্যাশার রামধনু জেগে উঠতে লাগল তার মনের আকাশে।

    অমলের এহেন সঙ্কট মুহুর্তে রাত্রি বর্তমান পরিস্থিতির বিচারে একটা সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক কথার অবতারণা করল, ' আমাদের একটা সংগঠন হতে চলেছে। একজন অধ্যাপকের নেতৃত্বে এবং তত্ত্বাবধানে আমরা কয়েকজন জোট বাঁধতে চলেছি। আপনি কি আমাদের এই সংগঠনে যোগ দেবেন। আপনার সঙ্গীত প্রতিভা আমার মনে হয় খুব ভালভাবেই কাজে লাগবে আমাদের .... '
    আপাদমস্তক রোমান্টিকতায় আচ্ছন্ন অমল বর্তমান ঘটনাক্রমের এই অপ্রত্যাশিত ছন্দপতনে একেবারে বেসামাল হয়ে গেল।
    সে কিছুই বুঝতে না পেরে সে রাত্রির মুখের দিকে তাকিয়ে রইল।
    রাত্রি আবার বলল, ' সংগঠনের উদ্দেশ্য এবং তার কাজকর্ম সম্বন্ধে যদি জানতে চান তা'লে আমি আপনাকে একদিন স্যারের কাছে নিয়ে যেতে পারি। তারপর যোগ দেওয়া না দেওয়া আপনার সিদ্ধান্ত ... '
    রাত্রি অমলের জবাবের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে।
    কোন রাস্তার কথা কোন রাস্তার মোড়ে গিয়ে দাঁড়াল ! এখন কোন দিকে বাঁক নেবে তা অমলের জবাবের ওপর নির্ভর করে আছে।
    কিন্তু অমলের তো আপাতত একটা রাস্তাই ধরার আছে।
    সে বাধ্যবাধকতাবশত অসংলগ্ন ভঙ্গীতে মতামত জানাল, ' হ্যাঁ ... তা ... যাওয়া যেতে পারে ... তুমি বলছ যখন ... আচ্ছা ঠিক আছে ... কবে তা'লে ... '
    রাত্রি চটপট বলল, ' না না ... আমি বলছি বলে কোনমতেই না। ওভাবে এসব হয় না ... ' আপনি নিজে জেনে বুঝে নেবেন ... কারও কথায় প্রভাবিত হয়ে না। আর ... স্যারের কাছে যাবার ডেটটা আমি ওনার সঙ্গে কথা বলে জেনে নেব ... '
    ------ ' হ্যাঁ আচ্ছা ... আমাকে জানিও তা'লে ... '
    রাত্রি বলল, ' নিশ্চয়ই নিশ্চয়ই ... ও ব্যাপারে কোন গাফিলতি হবে না ... '
    এবার অমলের পূর্বানুমান অনুযায়ী রাত্রি বলল, ' ঠিক আছে ... এখন আসি তা'লে ... '
    বাড়তি ক'টা শব্দও অবশ্য অমলের পাওনা হল
    অতঃপর ---- ' শিগ্গীর দেখা হচ্ছে তা'লে .... '

    ( চলবে )

    ********************************************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | ৬  | ৭  | ৮  | ৯  | ১০  | ১১  | ১২  | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬  | ১৭  | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২  | ২৩  | ২৪  | ২৫  | ২৬ | ২৭ | ২৮  | ২৯  | ৩০ | ৩১  | ৩২  | ৩৩  | ৩৪ | ৩৫ | ৩৬  | ৩৭  | ৩৮  | ৩৯  | ৪০  | ৪২  | ৪৩  | ৪৪  | ৪৫  | ৪৬ | ৪৭  | ৪৮  | ৪৯  | ৫০  | ৫১  | ৫২ | ৫৩ | ৫৪ | ৫৫ | ৫৬ | ৫৭ | ৫৮ | ৫৯ | ৬০ | ৬১ | ৬২ | ৬৩ | ৬৪ | ৬৫ | ৬৬ | ৬৭ | ৬৮ | ৬৯ | ৭০ | ৭১ | ৭২ | ৭৩ | ৭৪ | ৭৫ | ৭৬ | ৭৭ | ৭৮ | ৭৯ | ৮০ | ৮১ | ৮২ | ৮৩ | ৮৪ | ৮৫ | ৮৬ | ৮৭ | ৮৮ | ৮৯ | ৯০ | ৯১ | ৯২ | ৯৩ | ৯৪ | ৯৫ | ৯৬ | ৯৭ | ৯৮ | ৯৯ | ১০০ | ১০১ | ১০২ | ১০৩ | ১০৫ | ১০৬ | ১০৭ | ১০৮ | ১০৯ | ১১০ | ১১২ | ১১৩ | ১১৪ | ১১৫ | ১১৬ | ১১৭ | ১১৮ | ১১৯ | ১২০ | ১২১ | ১২২ | ১২৩ | ১২৪ | ১২৫ | ১২৬ | ১২৭ | ১২৮ | ১২৯ | ১৩০ | ১৩১ | ১৩২ | ১৩৩ | ১৩৪ | ১৩৫ | ১৩৬ | ১৩৭ | ১৩৮ | ১৩৯ | ১৪০ | ১৪১ | ১৪২ | ১৪৩ | ১৪৪ | ১৪৫ | ১৪৬ | ১৪৭ | ১৪৮ | ১৫০ | ১৫১ | ১৫২ | ১৫৩ | ১৫৪ | ১৫৫ | ১৫৬ | ১৫৭ | ১৫৮ | ১৫৯ | ১৬০ | ১৬২ | ১৬৩ | ১৬৪ | ১৬৫ | ১৬৬ | ১৬৭
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন