এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে - ১০২

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৪ মার্চ ২০২৪ | ৩৯৫ বার পঠিত
  • | | | | | ৬  | ৭  | ৮  | ৯  | ১০  | ১১  | ১২  | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬  | ১৭  | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২  | ২৩  | ২৪  | ২৫  | ২৬ | ২৭ | ২৮  | ২৯  | ৩০ | ৩১  | ৩২  | ৩৩  | ৩৪ | ৩৫ | ৩৬  | ৩৭  | ৩৮  | ৩৯  | ৪০  | ৪২  | ৪৩  | ৪৪  | ৪৫  | ৪৬ | ৪৭  | ৪৮  | ৪৯  | ৫০  | ৫১  | ৫২ | ৫৩ | ৫৪ | ৫৫ | ৫৬ | ৫৭ | ৫৮ | ৫৯ | ৬০ | ৬১ | ৬২ | ৬৩ | ৬৪ | ৬৫ | ৬৬ | ৬৭ | ৬৮ | ৬৯ | ৭০ | ৭১ | ৭২ | ৭৩ | ৭৪ | ৭৫ | ৭৬ | ৭৭ | ৭৮ | ৭৯ | ৮০ | ৮১ | ৮২ | ৮৩ | ৮৪ | ৮৫ | ৮৬ | ৮৭ | ৮৮ | ৮৯ | ৯০ | ৯১ | ৯২ | ৯৩ | ৯৪ | ৯৫ | ৯৬ | ৯৭ | ৯৮ | ৯৯ | ১০০ | ১০১ | ১০২ | ১০৩ | ১০৫ | ১০৬ | ১০৭ | ১০৮ | ১০৯ | ১১০ | ১১২ | ১১৩ | ১১৪ | ১১৫ | ১১৬ | ১১৭ | ১১৮ | ১১৯ | ১২০ | ১২১ | ১২২ | ১২৩ | ১২৪ | ১২৫ | ১২৬ | ১২৭ | ১২৮ | ১২৯ | ১৩০ | ১৩১ | ১৩২ | ১৩৩ | ১৩৪ | ১৩৫ | ১৩৬ | ১৩৭ | ১৩৮ | ১৩৯ | ১৪০ | ১৪১ | ১৪২ | ১৪৩ | ১৪৪ | ১৪৫ | ১৪৬ | ১৪৭ | ১৪৮ | ১৫০ | ১৫১ | ১৫২ | ১৫৩ | ১৫৪ | ১৫৫ | ১৫৬ | ১৫৭ | ১৫৮ | ১৫৯ | ১৬০ | ১৬২ | ১৬৩ | ১৬৪ | ১৬৫ | ১৬৬ | ১৬৭
    হাতিবাগান বাজারে মনোরমা ভান্ডার আদতে মনিহারি দোকান। ছোটখাট ইলেকট্রিকের সরঞ্জামও রাখে। বেলা দশটায় দোকান খুলে গেছে। দোকানের মালিক জগন্নাথ পাল দোকান খুলে ভিতরটায় খুচখুচ করে ঝাড়ন মারছে। দুটো কাঠের টুল বার করে দোকানের বাইরে রাখল।তারপর হাত ঝেড়েঝুড়ে খবরের কাগজ খুলে বসে হেডলাইনগুলোয় চোখ বোলাতে লাগল। উল্টোদিকে একটা মশলাপাতির দোকান। নারায়ণ বিশ্বাস দোকানের সামনে জল ছিটোচ্ছে।
    জগন্নাথ পাল নারায়ণের উদ্দেশ্যে বলল, ' ওঃ ... খবরের কাগজ খুললে শুধু চুরি আর ডাকাতি ... চোর আর ডাকাতে দেশ ভরে গেল একেবারে .... ছ্যাঃ ... '
    নারায়ণ জল ছিটোতে ছিটোতে বলল, ' যা বলেছ ... ছ্যাঃ ছ্যাঃ ... '
    ঠিক এইসময়ে একজন খদ্দের এসে দাঁড়াল জগন্নাথের দোকানের সামনে।
    সেও ওদের দেখাদেখি বলল, ' ছ্যাঃ ছ্যাঃ ... '
    জগন্নাথ খবরের কাগজ থেকে মুখ তুলে চেয়ে দেখে একজন দাঁড়িয়ে আছে। প্যান্ট জামা পরা লম্বা দোহারা চেহারার একজন দাঁড়িয়ে আছে। জগন্নাথ ভাবল নিশ্চয়ই খরিদ্দার হবে। সে কাগজটা ভাঁজ করে রেখে বলল, ' হ্যাঁ বলুন ... '
    খরিদ্দার দোকানের বাইরে পাতা একটা টুলে বসে পড়ল।
    বলল, ' একটু দেখা করতে এসেছিলাম ... দরকার ছিল ... '
    ----- ' কার সঙ্গে ? '
    ---- ' ওই মোহিনী কুণ্ডু বা সুবীর হাজরা ... যে কেউ ... '
    ----- ' ও ... আসেনি এখনও, দেরি হবে। কেন, কোন ডিল আছে ? '
    ----- ' হ্যাঁ ... ওইরকমই... '
    ----- ' ওইরকমই মানে ? '
    ----- ' আপনার অত জেনে লাভ কি ? ওরা এলে ওদের বলব ... '
    ----- ' আসার দেরি আছে, বললাম তো ... আপনি একটু ঘুরে আসুন বরং ... '
    ----- ' কোথায় আর ঘুরব এই রোদ্দুরে ... এখানেই বসি। একটু চা পাওয়া যাবে ?'
    জগন্নাথের মেজাজ তিরিক্ষে হয়ে গেল।
    ----- ' আরে, আজব লোক তো ? এটা কি চায়ের দোকান নাকি ? ফুটুন তো এখান থেকে ... বারোটা নাগাদ আসবেন ... অত দরকার হলে মোহিনীবাবুর বাড়ি চলে যান না ... '
    ----- ' হ্যাঁ, বাড়ি তো নিশ্চয়ই যেতে হবে .... ওনাদের সঙ্গে নিয়েই যাব .... দাদা আছে ওখানে ওনার সঙ্গে দেখা করার জন্য। আগে তোমার দোকানটা একটু চিনে গেলাম। সবকিছুই চেনা থাকা ভাল ... তাই না ? '
    জগন্নাথের বিরক্তি মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। সামনের দোকানের নারায়ণ এদিকে তাকিয়ে আছে কৌতূহলি দৃষ্টিতে।
    জগন্নাথ রলল, ' এত ভাঁট বকছ কেন ? কে দাদা ... দাদাটা কে ? '
    জগন্নাথের সম্বোধন তুমিতে নেমে এল।
    লোকটা বলল, ' নাম শুনলে ইয়ে রগে উঠে যাবে, কাজেই না বলা ভাল ....'
    জগন্নাথ মুখ ভেংচে বলল, ' কোথাকার লাটের বাট এলেন .... পড়নি তো মোহিনী, সুবীরের পাল্লায় ... এমন রগড়ানি দেবে না ...বাবার নাম ভুলে যাবে .... '
    ----- ' তাই ... তাই ? খুব আলাপ করতে ইচ্ছে করছে এরকম হিরোদের সঙ্গে ... দাদা একটু কথা বলতে চায় ... '
    ----- ' আরে শালা ... এমন ভাব করছে যেন সাগর মন্ডলের অ্যাসিস্ট্যান্ট .... ' জগন্নাথ বলল।
    ----- ' আরি সালা ... তোর তো হেভি ব্রেন রে ... কি করে বুঝলি ? একদম তাই ... ' কানু বলল।
    শুধু সামনের দোকানের নারায়ণ বিশ্বাস না, আরও কয়েকজন দোকানদার হাঁ করে তাকিয়ে আছে। তাদের চোখেমুখে কানুকে সমর্থনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। তাদের মনে হয় মোহিনী কুণ্ডু, সুবীর হাজরার সঙ্গে কিছু না কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতার পোড়া ক্ষত আছে। কানুর ধারাল রুক্ষ আচরণ তাদের মনের ক্ষতে যেন মলম লাগাচ্ছিল।
    এখন কানুর মুখে সাগর মন্ডলের নাম শুনে তাদের মুখের ভাবে প্রবল কৌতূহল ও আগ্রহের চিহ্ন দেখা দিল। তারা সকলেই কিছু জোরদার ঘটনা ঘটার আভাস পেতে লাগল।
    আভাস জগন্নাথ পালও পেতে লাগল। সত্যি কথা বলতে কি, বেশ কয়েক বছর ধরে হাতিবাগান বাজারের মধ্যে তার দোকানটাকে ঠেক বানিয়ে বেলা বারোটা থেকে রাত নটা, সাড়ে ন'টা পর্যন্ত মোহিনী, সুবীর এবং তার সাকরেদদের বসে থাকা এবং নিজেদের মধ্যে মাঝেমাঝেই নানা কদর্য পরিভাষা আদান প্রদান করাটা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছিল। ব্যাপারটা বিশ্রী লাগলেও জগন্নাথ নিরুপায়। এদের কিছু বলার সাহস তার নেই। মুখ বুজে সহ্য করা ছাড়া কোন উপায় নেই। অন্তত পাঁচ বছর ধরে এই অস্বস্তিকর বিড়ম্বনা সহ্য করছে জগন্নাথ। কোন দুষ্কর্মের আগে মোহিনীদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে তাকে ব্যবহার করা হয়। জগন্নাথকে বাধ্য হয়ে অনুগত মাধ্যম হিসেবে নিজেকে দেখাতে হয়। বদ মতলবের মানুষগুলোর
    সঙ্গে আপোষ করাটা অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে। কিছু করার নেই।
    কানুর মুখে সাগর মন্ডলের নামটা শুনে জগন্নাথের মনে বিদ্যুতের ঝিলিক খেলে গেল। অন্ধকারে যেন একটা আলোর ঝলকানি।
    জগন্নাথ কিন্তু চট করে ভেসে গেল না। খুব সাবধানে এগোল। কাউকে চোখ বুজে বিশ্বাস করা যায় না। কে কোথায় কোন ফাঁদ পেতে রেখেছে কে জানে। সেধে বাঁশ নেওয়াটা যেন না হয়।
    সে বলল, ' বাতেলা দেওয়ার আর জায়গা পাওনি ... তুমি সাগর মন্ডলের লোক ! ভড়কি দিচ্ছ না কি ... উজবুক পেয়েছ ? '
    কানু বত্রিশ পাটি বার করে হাতে হাত ঘষে ' উঁ .. উঁ .. উঁ ..উঃ ' করে অদ্ভুত একটা আওয়াজ করে আড়ামোড়া ভাঙল।
    ------ ' দেখিয়ে দেব ... দেখিয়ে দেব ... চিন্তা কর না ... অপেক্ষা কর ... দাদা এখানেই আসবে ওখানকার কাজ সেরে ... ' জানায় কানু।
    ----- ' ওখানকার মানে ? কোথাকার কাজ ? '
    ----- ' ওই যে ... গোয়াবাগান পার্কের ওখানে ... ছাব্বিশের বি ... না না তিরিশের সি ... তিরিশের সি ... '
    জগন্নাথ আর কোন কথা বলল না আপাতত। অপেক্ষা করতে লাগল পরবর্তী ঘটনার জন্য। আশপাশের দোকানদাররা কান পেতে আন্দাজ করার চেষ্টা করছে কানু আর জগন্নাথের মধ্যে কি কথা হচ্ছে। পরিষ্কার কিছু শোনা যাচ্ছে না, বোঝাও যাচ্ছে না ... '

    সাগর পার্কের পাশে তিরিশের সি বাড়িটার সামনে দাঁড়িয়ে একটা বিড়ি ধরাল। ধরিয়ে আবিষ্ট দৃষ্টিতে ছাব্বিশের বি বাড়িটার দিকে তাকিয়ে রইল। ডান কাঁধে বেশ একটা অসাড় ভাব। বাঁ দিকটা অবশ্য একদম ঠিক আছে। সাগর ভাবল, তার বাঁ হাতটা ঠিক থাকলেই হল।
    ভাবল, রাত্রি মনে হয় এক্ষুণি বেরোবে ইউনিভার্সিটিতে। তাকে এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলে কি ভাববে। যদি রাত্রি তাকে কিছু জিজ্ঞাসা করে সে কি বলবে যে সে মোহিনীমোহন কুন্ডুর সঙ্গে মোলাকাত করতে এখানে এসেছে। সুবীর হাজরা বোধহয় এ বাড়িতে থাকে না।
    বিড়িটা ফেলে দিয়ে সাগর মোহিনীবাবুর বাড়ির দরজায় কড়া নাড়ল। ভেতর থেকে পুরুষকে আওয়াজ এল, ' কে ... এ ... এ ... '
    হয়ত কাকতালীয়ভাবে ঠিক এই সময়ে বাঁদিকে ওই বাড়িটার দিকে চোখ গেল সাগরের। রাত্রি কাঁধে একটা ঝোলা ব্যাগ নিয়ে বাড়ি থেকে বেরোল। তার ইউনিভার্সিটিতে যাবার সময় হয়েছে। সাগরের বুকের ভিতর রোদ আর ছায়া আবার লুকোচুরি খেলা শুরু করল। তার হাত লেগে দরজার কড়া ফের একবার নাড়া খেয়ে গেল। ভিতর থেকে মোটা গলায় আবার আওয়াজ এল, ' কে ... কে ... কি হলটা কি ... '। বোধহয় মোহিনী কুন্ডুর গলার আওয়াজই হবে।
    রাত্রি মাথা নীচু করে কি ভাবতে ভাবতে পূর্ণশ্রী সিনেমার দিকে চলে যাচ্ছে। সে সাগরকে দেখতে পাচ্ছে না। তাকে থামাতে গেলে তার পিছন পিছন গিয়ে তাকে ডাকতে হয়। তাহলে মোহিনী কুন্ডুকে বলতে হয় ----- আরে ... দাঁড়ান দাদা আমি একটু পরে আসছি ...
    কিন্তু তা হল না। ধড়াস করে দরজা খুলে গেল। সাগর দেখল তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে ফুলশার্ট আর লুঙ্গি পরা কালো থলথলে চেহারার পঞ্চাশ বাহান্ন বছরের একটা লোক। মুখে সরু গোঁফ।
    সামনে সাগরকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বিরক্তি প্রকাশ করে হাত নেড়ে বলল, ' এখানে না ... এখানে না ... বাজারে মনোরমা ভান্ডারে ... ওখানে কথা হবে ... বারোটার পর আসুন ... '
    ------ ' ও আচ্ছা আচ্ছা ... কিন্তু ওদিকে ও যে চলে গেল ... কি হবে এখন ? '
    ----- ' আরে দুত্তেরিকার.... কে কোথায় গেল আমি তার কি জানি ... যত ফালতু কথা ... বাজারে আসুন ... বারোটার পর ... '

    ( চলবে )

    ********************************************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | ৬  | ৭  | ৮  | ৯  | ১০  | ১১  | ১২  | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬  | ১৭  | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২  | ২৩  | ২৪  | ২৫  | ২৬ | ২৭ | ২৮  | ২৯  | ৩০ | ৩১  | ৩২  | ৩৩  | ৩৪ | ৩৫ | ৩৬  | ৩৭  | ৩৮  | ৩৯  | ৪০  | ৪২  | ৪৩  | ৪৪  | ৪৫  | ৪৬ | ৪৭  | ৪৮  | ৪৯  | ৫০  | ৫১  | ৫২ | ৫৩ | ৫৪ | ৫৫ | ৫৬ | ৫৭ | ৫৮ | ৫৯ | ৬০ | ৬১ | ৬২ | ৬৩ | ৬৪ | ৬৫ | ৬৬ | ৬৭ | ৬৮ | ৬৯ | ৭০ | ৭১ | ৭২ | ৭৩ | ৭৪ | ৭৫ | ৭৬ | ৭৭ | ৭৮ | ৭৯ | ৮০ | ৮১ | ৮২ | ৮৩ | ৮৪ | ৮৫ | ৮৬ | ৮৭ | ৮৮ | ৮৯ | ৯০ | ৯১ | ৯২ | ৯৩ | ৯৪ | ৯৫ | ৯৬ | ৯৭ | ৯৮ | ৯৯ | ১০০ | ১০১ | ১০২ | ১০৩ | ১০৫ | ১০৬ | ১০৭ | ১০৮ | ১০৯ | ১১০ | ১১২ | ১১৩ | ১১৪ | ১১৫ | ১১৬ | ১১৭ | ১১৮ | ১১৯ | ১২০ | ১২১ | ১২২ | ১২৩ | ১২৪ | ১২৫ | ১২৬ | ১২৭ | ১২৮ | ১২৯ | ১৩০ | ১৩১ | ১৩২ | ১৩৩ | ১৩৪ | ১৩৫ | ১৩৬ | ১৩৭ | ১৩৮ | ১৩৯ | ১৪০ | ১৪১ | ১৪২ | ১৪৩ | ১৪৪ | ১৪৫ | ১৪৬ | ১৪৭ | ১৪৮ | ১৫০ | ১৫১ | ১৫২ | ১৫৩ | ১৫৪ | ১৫৫ | ১৫৬ | ১৫৭ | ১৫৮ | ১৫৯ | ১৬০ | ১৬২ | ১৬৩ | ১৬৪ | ১৬৫ | ১৬৬ | ১৬৭
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন