এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে - ৩৪

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৫১৬ বার পঠিত
  • | | | | | ৬  | ৭  | ৮  | ৯  | ১০  | ১১  | ১২  | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬  | ১৭  | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২  | ২৩  | ২৪  | ২৫  | ২৬ | ২৭ | ২৮  | ২৯  | ৩০ | ৩১  | ৩২  | ৩৩  | ৩৪ | ৩৫ | ৩৬  | ৩৭  | ৩৮  | ৩৯  | ৪০  | ৪২  | ৪৩  | ৪৪  | ৪৫  | ৪৬ | ৪৭  | ৪৮  | ৪৯  | ৫০  | ৫১  | ৫২ | ৫৩ | ৫৪ | ৫৫ | ৫৬ | ৫৭ | ৫৮ | ৫৯ | ৬০ | ৬১ | ৬২ | ৬৩ | ৬৪ | ৬৫ | ৬৬ | ৬৭ | ৬৮ | ৬৯ | ৭০ | ৭১ | ৭২ | ৭৩ | ৭৪ | ৭৫ | ৭৬ | ৭৭ | ৭৮ | ৭৯ | ৮০ | ৮১ | ৮২ | ৮৩ | ৮৪ | ৮৫ | ৮৬ | ৮৭ | ৮৮ | ৮৯ | ৯০ | ৯১ | ৯২ | ৯৩ | ৯৪ | ৯৫ | ৯৬ | ৯৭ | ৯৮ | ৯৯ | ১০০ | ১০১ | ১০২ | ১০৩ | ১০৫ | ১০৬ | ১০৭ | ১০৮ | ১০৯ | ১১০ | ১১২ | ১১৩ | ১১৪ | ১১৫ | ১১৬ | ১১৭ | ১১৮ | ১১৯ | ১২০ | ১২১ | ১২২ | ১২৩ | ১২৪ | ১২৫ | ১২৬ | ১২৭ | ১২৮ | ১২৯ | ১৩০ | ১৩১ | ১৩২ | ১৩৩ | ১৩৪ | ১৩৫ | ১৩৬ | ১৩৭ | ১৩৮ | ১৩৯ | ১৪০ | ১৪১ | ১৪২ | ১৪৩ | ১৪৪ | ১৪৫ | ১৪৬ | ১৪৭ | ১৪৮ | ১৫০ | ১৫১ | ১৫২ | ১৫৩ | ১৫৪ | ১৫৫ | ১৫৬ | ১৫৭ | ১৫৮ | ১৫৯ | ১৬০ | ১৬২ | ১৬৩ | ১৬৪ | ১৬৫ | ১৬৬ | ১৬৭
    সুমনা প্রতিবিম্বর কাছে পৌঁছতে সে বেসুরো গলায় গেয়ে উঠল, ' বসে আছি পথ চেয়ে ... ফাগুনের গান গেয়ে ... যত ভাবি ভুলে যাব .... '
    সুমনা ভ্রু কপালে তুলে চোখ বড় বড় করে বলল,
    ' ও বাবা ... হঠাৎ এত ভাব জেগে উঠল মনে, ভর দুপুরবেলায়? লক্ষ্মণ তো সুবিধের নয় .... '
    প্রতিবিম্ব কোন উত্তর না দিয়ে সুমনার মুখের দিকে তাকিয়ে লাইনটা পুরো করল, ' মন মানে না.. আ ..  আ .. আ.., মন মানে না .... '
    সুমনা প্রতিবিম্বর পাশে ধপ করে বসে পড়ল।
    ----- ' এ আবার কি কথা ! যত ভাবি ভুলে যাব ... মানে? এখন থেকেই ভুলে যাওয়ার ধান্দা ... ভোলাচ্ছি তোমায় দাঁড়াও .... ' সুমনার মুখে ছদ্ম রাগ ফোটে।
    ----- ' আরে এ কি সেই ভোলা? এটা ওই বেদনাবিলাস না কি বলে ... সেটাই  ... ' প্রতিবিম্ব জবাব দেয়।
    সুমনা হাঁ করে তাকিয়ে থাকে। বলে, ' কি হল তোমার ... তুমি যে এত কথা বলতে পার তা তো বুঝতে পারিনি  ! '
    ----- ' এর জন্য তো তুমিই দায়ী। তুমিই তো রাতদিন কথা তৈরি করে দিচ্ছ আমার মধ্যে ... এখন 'অকারণে গান গাই ... ' কথাগুলোর মানে বুঝতে পারি ... '
    ----- ' হমম্ ... বুঝলাম। দীর্ঘাউ হও বৎস ... '
    প্রতিবিম্ব সুমনার দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে চোখে চোখ রাখল। তারপর দুজনে অকারণেই হো হো করে হেসে উঠল। সামনে দিয়ে হেঁটে যাওয়া অনেকে ফিরে ফিরে তাকাচ্ছে। 
    প্রতিবিম্ব আবার বেসুরো গলায় একলাইন গাইল ---
    প্রাণে খুশির তুফান লেগেছে ....
    সুমনা বলল, ' খুব মুডে আছ মনে হচ্ছে আজ ... '
    ----- ' কি জানি,  তাই হবে হয়ত। সবকিছুই বেশ ভাল লাগছে .... '
    ----- 'সত্যি কথা বলতে আমারও ঠিক তাই .... ' সুমনা বলে। তারপর পরিণতমনস্ক লোকের মতো গম্ভীর গলায় বলল, ' তা বলে খুশির ঢেউ যেন এত বেশি না হয় যে কেরিয়ার একেবারে ভেসে যায় ... বুঝলে সোনা, ওটা গেলে সব গেল।  তোমাকে অনেক দূর যেতে হবে, এটা মনে গেঁথে রেখ সবসময় ... '
    ----- ' হ্যাঁ ম্যাডাম, মনে গেঁথে রাখি সবসময়। এ ছাড়া তো আমার আর কোন উপায় নেই। হ্যাঁ, একটা কথা মনে পড়ল .... মামা বলছিল, সেদিন তোমার বাবা মিস্টার মিত্র নাকি বলেছিলেন,  এ পৃথিবীতে কিছু জিনিস নাকি টাকা দিয়ে কেনা যায় না। তোমার জানা এমন কোন জিনিস আছে
    নাকি?
    সুমনা চুপ করে বসে রইল পুকুরের ওপারে  সাঁতারের ক্লাবের দিকে তাকিয়ে। তাদের মাথার ওপরে শিরিষ গাছের ডালে একটা কাক বসে এক নাগাড়ে ডেকে যাচ্ছে।
    প্রতিবিম্ব বলল, ' কি হল আমি কিছু জিজ্ঞেস করলাম যে ... '
    সুমনা ওপারের সাঁতারের ক্লাবঘরের দিকে চোখ রেখেই বলল, ' এটা কোন প্রশ্ন হল? "
    ----- ' কেন? '
    ----- ' আমার কাছ থেকে জানতে হবে না। তুমি নিজেই এ প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবে একদিন। '
    ----- ' হমম্ ... বুঝলাম মোটামুটি '
    ----- ' বড়দির জন্য আবার বিয়ের সম্বন্ধ এসেছে জান তো ... '
    ----- ' তাই ? বাবারে .... আমার লাইন তো তা'লে এগিয়ে আসছে ... '
    ----- ' না ... সেরকম কোন ব্যাপার নেই।  বাপিকে তো সবকিছু জানিয়ে রেখেছি ... '
    ----- ' ওটাই যা বাঁচোয়া... নইলে আমার মতো চালচুলোহীন একটা ছেলে, তোমার মতো নবাবনন্দিনীর সঙ্গে .... '
    সুমনা ঘাড় ঘুরিয়ে প্রতিবিম্বের চোখের দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে রইল। 
    প্রতিবিম্ব হেসে ফেলল।
    ----- ' ওই ইয়ে .... ভুল করে মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেছে। সরি ... সরি ... '

    ডিসেম্বর মাস পড়ে গেল। এবারে শীত বেশ ভালই পড়বে মনে হয়। স্কুলগুলোয় অ্যানুয়াল পরীক্ষা চলছে। শ্রীলেখার আজ অঙ্ক পরীক্ষা আছে। কাল রাত থেকে পেটের ভিতর প্রজাপতি নাচছে।
    প্রত্যেক বছর এই দিনটা শ্রীলেখার কাছে বড় বিড়ম্বনাময়। শুধু কি পরীক্ষা দিয়েই রেহাই আছে? কোয়েশ্চেন পেপারে অঙ্কের পাশে পাশে উত্তর লিখে আনতে হবে। সন্ধেবেলা অঙ্কের স্যার এসে সেগুলো মিলিয়ে দেখবেন। সে এক অগ্নিপরীক্ষার মতো। রেজাল্ট বেরোনোর  আগেই রেজাল্ট বেরিয়ে যাওয়া। কি জ্বালাতন।
    নিতাইবাবুর বাড়ি হয়ে এল। এখন ইলেকট্রিসিটির কাজটা হয়ে গেলে গৃহপ্রবেশ করার মতো জায়গায় আসবে। জানুয়ারি মাসের একুশ তারিখে একটা ভাল দিন আছে। ওই দিনই গৃহপ্রবেশটা সেরে ফেলবেন ঠিক করলেন অঞ্জলি আর নিতাইবাবু।
    অনিমেষ আর শ্রীলেখা এ পাড়া থেকে বিচ্ছেদ আসন্ন এবং অবশ্যম্ভাবী বলেই ধরে নিয়েছে। তারা মনকে বেঁধে নিয়েছে। জীবনে প্রথম পরিবর্তনের জন্য  মনে মনে তৈরি হচ্ছে।
    নিতাইবাবু আজ ইলিশ মাছ নিয়ে এসেছেন। অনেকদিন ধরে ভাপা ইলিশ খাওয়ার ইচ্ছে। এসে বললেন, 'কোলাঘাটের ইলিশ। আজকে দর  একটু কম আছে। ভাপা কর .... ওবেলা খাব। এখন অফিসের তাড়া আছে .... চান করতে যাচ্ছি।
    ছেলেমেয়েদের অ্যানুয়াল পরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে। ছাড়া গরুর মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে এখানে ওখানে।
    নিতাইবাবু ভাবলেন, একবার পুরী ঘুরে আসতে পারলে হয়।  অনেকদিন যাওয়া হয়নি। সেই অনিমেষের যখন তিনবছর বয়েস ...  সে বারই শেষ যাওয়া। শ্রীলেখা তখনও হয়নি। বাড়ি বদলের পর একবার পুরী গিয়ে পুজো দিয়ে আসবেন বলে ঠিক করলেন। বছরে তিন সেট পাস পান। কতকাল ধরে তার কোনটাই ব্যবহার করা হয় না। বীরেনবাবু যখন বেঁচে ছিলেন খুব বলতেন এখানে ওখানে যাওয়ার কথা। কিন্তু নিতাইবাবুর আর কোথাও যাওয়া হয়নি। বীরেনবাবু খুব ঘুরতেন। বছরে অন্তত তিনবার এখানে ওখানে যেতেন বীরেনবাবু।  কখনও পরিবারসহ, কখনও একা একা। দূরেই হোক বা কাছেই হোক। আমতা হোক বা আন্দামান, ঘোরাঘুরি ছাড়া থাকতে পারতেন না বীরেনবাবু।
    নিতাইবাবুর ধাত আবার সম্পূর্ণ আলাদা। ভীষণ ঘরকুনো তিনি। কোথাও যাবার নাম হলেই তার গায়ে জ্বর আসে। বোঁচকা বুঁচকি বাঁধা, গুচ্চের  জিনিসপত্তর গোছানো তার কাছে দুঃস্বপ্নের ব্যাপার। তার চেয়ে এই ভাল, গৃহের নিরাপদ কোণে,  ঝঞ্ঝাটহীন হয়ে দিব্যি গা ছেড়ে দিয়ে আয়েশ করা।

    কাবেরী যাব না, যাব না করেও ভদ্রতার খাতিরে শেষ পর্যন্ত কফি হাউসে গেল একদিন। অমিতাভরা তিনজনই ছিল। তাছাড়া নতুন আর  একজনকে দেখতে পেল। কালো রোগা লম্বা চেহারা। মুখে পাতলা দাড়ি। শান্ত আত্মবিশ্বাসী চোখ। কাবেরী ভাবল, এ বোধহয় আর এক কবি।
    অমিতাভ বলল, ' কি ব্যাপার হঠাৎ কপ্পুর হয়ে গেলে যে ... সুপ্রীতির কাছেও কোন খবর পেলাম না ... আমরা কি এতই খারাপ লোক? '
    ------ ' আরে না না ... কি সব বলছ ! তোমরা খারাপ হতে যাবে কেন .... আসলে আমি এই সময়টায় বড্ড ব্যস্ত আছি। সামনে পরীক্ষা ... আমি এখনও রিভিশান কমপ্লিট করতে পারিনি... '
    ------ ' না না ... সে ঠিক আছে। পড়াশোনার ব্যাপারটা আগে। কিন্তু একটা যোগাযোগ তো রাখবে ... নইলে আমরা বুঝব কি করে ... নৈঋতের নেক্সট ইস্যুর প্রিপারেশান চলছে ... সবাই হোল হার্টেড এফোর্ট না দিলে কি করে হবে?'
    কাবেরী মহা আতান্তরে  পড়ল। ভাবল, এ তো মহা জ্বালা হল ... না আসলেই ভাল হত। এদের কি এই  নৈঋত ছাড়া আর কোন চিন্তা নেই । পারেও বটে ...।
    অমিতাভ ওই নতুন ছেলেটার দিকে দেখিয়ে বলল, ' পরিচয় করিয়ে দিই। এ হল পার্থপ্রতিম। সম্পর্কে আমার মাসতুতো দাদা হয়। না না ... একেবারেই লেখালেখির লাইনে নেই।  হিস্ট্রিতে এম এ পড়ে ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটিতে। এখানে কৌতূহলবশত এসেছে ... আমাদের পাগলামি দেখার জন্য ... '
    ও অমিতাভর কোন ক্যাটেগরির মাসতুতো ভাই তা ঠিক বোঝা গেল না।
    কাবেরী দু হাত জড়ো করে বলল, ' নমস্কার '
    পার্থপ্রতিম কোন প্রতি নমস্কার করল না। সে কাবেরীর চোখের দিকে অকপটে তাকিয়ে থেকে বলল, ' দূর .... আমি কি একটা নমস্কার করার যোগ্য লোক নাকি? কি যে করেন ... '
    পার্থর গলার আওয়াজ এবং বলার ভঙ্গীতে কাবেরী চমকে উঠল।  সে শান্ত মেয়ের মতো চুপ করে বসে রইল ।

    ( চলবে )

    ********************************************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | ৬  | ৭  | ৮  | ৯  | ১০  | ১১  | ১২  | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬  | ১৭  | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২  | ২৩  | ২৪  | ২৫  | ২৬ | ২৭ | ২৮  | ২৯  | ৩০ | ৩১  | ৩২  | ৩৩  | ৩৪ | ৩৫ | ৩৬  | ৩৭  | ৩৮  | ৩৯  | ৪০  | ৪২  | ৪৩  | ৪৪  | ৪৫  | ৪৬ | ৪৭  | ৪৮  | ৪৯  | ৫০  | ৫১  | ৫২ | ৫৩ | ৫৪ | ৫৫ | ৫৬ | ৫৭ | ৫৮ | ৫৯ | ৬০ | ৬১ | ৬২ | ৬৩ | ৬৪ | ৬৫ | ৬৬ | ৬৭ | ৬৮ | ৬৯ | ৭০ | ৭১ | ৭২ | ৭৩ | ৭৪ | ৭৫ | ৭৬ | ৭৭ | ৭৮ | ৭৯ | ৮০ | ৮১ | ৮২ | ৮৩ | ৮৪ | ৮৫ | ৮৬ | ৮৭ | ৮৮ | ৮৯ | ৯০ | ৯১ | ৯২ | ৯৩ | ৯৪ | ৯৫ | ৯৬ | ৯৭ | ৯৮ | ৯৯ | ১০০ | ১০১ | ১০২ | ১০৩ | ১০৫ | ১০৬ | ১০৭ | ১০৮ | ১০৯ | ১১০ | ১১২ | ১১৩ | ১১৪ | ১১৫ | ১১৬ | ১১৭ | ১১৮ | ১১৯ | ১২০ | ১২১ | ১২২ | ১২৩ | ১২৪ | ১২৫ | ১২৬ | ১২৭ | ১২৮ | ১২৯ | ১৩০ | ১৩১ | ১৩২ | ১৩৩ | ১৩৪ | ১৩৫ | ১৩৬ | ১৩৭ | ১৩৮ | ১৩৯ | ১৪০ | ১৪১ | ১৪২ | ১৪৩ | ১৪৪ | ১৪৫ | ১৪৬ | ১৪৭ | ১৪৮ | ১৫০ | ১৫১ | ১৫২ | ১৫৩ | ১৫৪ | ১৫৫ | ১৫৬ | ১৫৭ | ১৫৮ | ১৫৯ | ১৬০ | ১৬২ | ১৬৩ | ১৬৪ | ১৬৫ | ১৬৬ | ১৬৭
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন