এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  অর্থনীতি

  • অর্থনীতি ও নোবেল পুরস্কার ২০২২  পর্ব ৬

    হীরেন সিংহরায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | অর্থনীতি | ২৪ নভেম্বর ২০২২ | ১১৬৭ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • অর্থনীতি ও নোবেল পুরস্কার ২০২২

    পর্ব ৬

    কয়েকজন বাজিকর উইংসের আড়ালে
    হাতের সুতোর টানে নাচছে ন্যালা খ্যাপা পুতুল

    রাডার
    তুষার রায়

    বরানগরে সব মিলিয়ে  পাঁচটা মুদীর দোকান। তাদের  মালিকেরা আজ  রবিবার সকালবেলা গোপাললাল ঠাকুর রোডে গুরু মহাশয়ের মিষ্টি খাচ্ছেন একত্র বসে। । চিনির প্রসঙ্গ উঠলো একসময়। টবিন রোডের দত্ত ট্রেডিঙের মধু বাবু  বললেন ‘ বড়ো বাজারে চিনির সাপ্লাই কম , দাম বাড়িয়ে দু পয়সা লাভ করার এই প্রশস্ত সময় । অথচ শুনছি  আমাদের মধ্যে একেকজন একেক দামে চিনি বিক্রি করছে ‘ । এই বলে তিনি তাকালেন  সচ্চাশি পাড়ার গোকুলের দিকে । ত্রস্ত হয়ে  গোকুল বাবু বললেন  ‘আপনারা কে কোন  দামে চিনি কিনছেন বা বেচছেন তা আমি কি করে জানবো । নিজের মতো লাভ রেখে বেচি ‘।  বিজন বাবু বয়েস এবং দোকানের সাইজে এঁদের মুকুট মনি । কাশীনাথ দত্ত রোড আর গোপাল লাল ঠাকুর রোডের কোনায় তাঁর বিশাল মুদিখানা। তিনি এবারে মুখ খুললেন , ‘  দেখো গোকুল, আমরা সবাই সকলের প্রতিযোগী । তবে আমার মনে হয় চিনির এই মাগ্যির বাজারে আমরা সবাই মুনাফা বাড়াতে পারি। সোজা কথা বাপু , বরানগরে  চিনি বেচি এই আমরা পাঁচ জন । সরষের তেল বা চাল না হয় বেচো যেমন দরে খুশি । তবে  চিনির এই খাঁকতির বাজারে  আমরা পাঁচ জন  আপোষে আলোচনা করে যদি একটা  দাম  স্থির করি , সবাই  সেই একই দামেই বেচতে পারি।  দোকানের বাইরে  সেলেটে লিখে রেখো , ‘এক দর’।   আমাদের চিনির লাভ কোন পিঁপড়েয় খায় দেখি’ ।

    এই গল্পটি কাল্পনিক কিন্তু এই পাঁচ জন মিলে যে কর্ম পদ্ধতি স্থির করলেন সেটি নয়। ব্যবসায়ীরা নিজেদের মধ্যে শলা পরামর্শ করে লাভ বাড়াবার উদ্দেশ্যে যখন  কোন বস্তুর দামের নিয়ন্ত্রণ করেন তাকে বলা হয় কারটেল বা যোগসাজস ।  কমিউনিস্ট দেশগুলিতে  দাম সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়েছে – ওয়ারশ লুবলিন রাদোমে সর্বত্র লাল জামার দাম পাঁচ জলোটি।  তাকে কারটেল বলা যায় না,  মালিক একজন মাত্র। । সে তুলনা খাটে না।
     
    বাজারি অর্থনীতিতে কারটেল বেআইনি, এক দণ্ডনীয় অপরাধ।
     
    ১৯১০ সালের নভেম্বর মাসের এক প্রচণ্ড ঠাণ্ডার সন্ধ্যেয়  দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আপন পরিচয় লুকিয়ে ছ জন গণ্যমান্য আমেরিকান ভদ্রলোক  হাঁস শিকারের নামে জর্জিয়ার উপকূলবর্তী জেকিল দ্বীপে উপনীত হলেন  (তাঁদের এই সমাবেশ এবং কার্যকলাপ এক  ধোঁয়াশায় মুড়ে রাখা হয়েছিল – এমনকি  কোনো  মিটিং যে সত্যি হয়েছিল সেটা সর্বজনের কাছে প্রকাশিত হতে বিশ বছর লেগে যায়)।  এঁদের নাম

    ফ্রাংক ভ্যানডেরলিপ -  প্রেসিডেন্ট , ন্যাশনাল সিটি ব্যাঙ্ক , নিউ ইয়র্ক

    হেনরি ডেভিস           - পার্টনার,  জে পি মরগান

    বেঞ্জামিন স্ট্রং            -  ব্যাংকারস  ট্রাস্ট

    পল ওয়ারবুরগ         -  রোটশিল্ড এবং ওয়ারবুরগ ব্যাঙ্কিং গোষ্ঠীর প্রতিনিধি

    নেলসন অলডরিচ  -   রিপাবলিকান পার্টি হুইপ , চেয়ারম্যান মনিটারি কমিশন , জন
    রকিফেলারের শ্বশুর, চেজ ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্টের বাবা  

    আব্রাহাম অ্যানড্রউ   - সহ সভাপতি, আমেরিকান সরকারি ট্রেজারি

    এই ছ জন মানুষ এবং তাঁদের গুষ্টি সে সময়ে সারা বিশ্বের ২৫% ধন সম্পদের মালিক।  
    আমেরিকান যুক্তরাষ্ট্রে তখন কয়েক হাজার ব্যাঙ্ক। আমেরিকায় সুবর্ণ মান  গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড ) বলবৎ - সেই ভিত্তিতে  নিজেরা নোট ছাপেন কেউ কেউ। কোন কেন্দ্রীয় সুদের হার মেনে চলার ঝক্কি নেই -  বিভিন্ন ব্যাঙ্কের সুদের হার আলাদা , মূলধন বজায় রাখার  কড়াকড়ি নেই ।  কিছু ব্যাঙ্ক মাঝে সাঝে দেউলে হয় বটে তবে সেটা  চুরি চামারি বা গোলমেলে লোককে ধার দেওয়ার কারণে । হর হফতায় সরকারকে পাঁচ পাতা রিটার্ন পাঠাতে হয় না।

    গুরু মহাশয়ের মিষ্টির দোকানে  পাঁচ জন মুদী বরানগর বাজারে চিনির দর ও সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে আপন আপন মুনাফা বাড়ানোর  শুভ উদ্দেশ্যে আড্ডায় বসেছিলেন।

    জেকিল আইল্যান্ডে  কতিপয় ধনী ব্যক্তি সমবেত হলেন ডলার নামক দ্রব্যটির দর ( সুদ ) এবং সরবরাহ নিয়ন্ত্রণের বাসনায় । নিউ মেক্সিকোর তাওস শহরে কোনো  ব্যাঙ্ক ধার দেবে  তিন শতাংশ সুদে আর নিউ জার্সির  হোবোকেনে ধার দিতে ছ শতাংশ সুদ চাইবে , এটি হতে পারে না। যে যা খুশি দর চাওয়ার ফলে সিটি মরগান ওয়ারবুরগ রকিফেলারের নিত্য লোকসান হচ্ছে । এঁরা  পরস্পরের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বী  ঠিকই কিন্তু চোরে চোরে মাসতুতো ভাই প্রবাদটিও তো সমান সত্যি। ডলারের সরবরাহ এবং দেশ ব্যাপী ব্যাঙ্কের সুদের হার যদি এই কয়েকজন ধনী  ব্যক্তি তাঁদের বশে আনতে পারেন, পাঁচে মিলে ভাগ করে খেতে আপত্তি কি?  অতএব চাই এমন একটা সংস্থা যা থাকবে তাঁদের কব্জায় কিন্তু মাথার ওপরে থাকবে ওয়াশিংটনের বরাভয়,  যাতে এটি গোটা দেশের ব্যাঙ্ক ব্যবস্থার  ওপরে ছড়ি ঘোরাতে পারে।
     
    পরবর্তী কালে বংশে বংশে নিউ ইয়র্ক ব্যাঙ্কিং পরিবারগুলির  লাভ নিশ্চিত হলো।
     
    গোপাল লাল ঠাকুর রোডে গুরু মহাশয়ের সমাবেশে কোন কাগজে সই সাবুদ হয় নি । তাঁরা জানতেন সেটি আইন বিরুদ্ধ। এমন কোন শঙ্কা জেকিল আইল্যান্ডের মহাশয়দের মনে স্থান পায় নি – সঙ্গে আছেন সরকারি প্রতিনিধি , আমেরিকান সরকারের ট্রেজারির সহ সভাপতি এবং রিপাবলিকান পার্টি হুইপ  । এখন প্রয়োজন একটি সরকারি  কানুন -  পাঁচ জন ব্যাঙ্কার একত্র বসে একটি কারটেল বানিয়েছেন জানলে সাধারণ পাবলিক ক্ষেপে যেতে পারে ।  তারা ভাববে কিছু বড়লোক তাদের শোষণ করার কল খুলেছে । অতএব এই কারটেলের প্রস্তাব আসবে সরকারের পক্ষ থেকে– লোকে যাতে মনে করে  সদাশয় আমেরিকান সরকার  জনগণের স্বার্থ রক্ষার্থে আইন প্রণয়ন করেছেন । এর কর্ম হবে নানান ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ছাঁদে-  যেমন সুইডেনের রিকসবাঙ্ক ( ১৬৬৮), ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ড ( ১৬৯৪) , বাঙ্ক দে ফ্রন্স ( ১৮১২ ) কিন্তু কোথাও ‘ব্যাঙ্ক’ নামটি ব্যবহার করা হবে না। এর মুসাবিদা করার ভার পড়ল রকিফেলারের শ্বশুর মশায়ের ওপর – তিনি আবার রিপাবলিকান পার্টির হুইপ। । তবু কাগজে কলমে অজস্র খসড়া লিখে  , ছিঁড়ে আবার লিখে,  একটি  কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক সুলভ অর্থ সরবরাহ ও সুদের হারের জিম্মেদার দফতরের আইনি  মান্যতা পেতে আরও তিন বছর লেগে যায় ।
     
    ১৯১৩ সালে ফেডারাল  রিজার্ভ অ্যাক্ট দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হলো ফেডারাল রিজার্ভ । ১৯১৪ সালে এক বক্তৃতায় সেনেটর অলডরিচ  বললেন, “ এই আইন পাস হবার আগে অবধি নিউ ইয়র্কের ব্যাঙ্কারদের প্রভুত্ব  ছিল  কেবলমাত্র নিউ ইয়র্কের ধন সম্পদের ওপরে ,  এখন গোটা দেশের   সম্পদের ওপরে *।
    শুধু নিউ ইয়র্কের ব্যাঙ্কার নয়, এক কলমের খোঁচায় তাঁর জামাতা এবং পুত্রের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করে দিলেন সেনেটার অলডরিচ 
     
    বংশবাদ ?
     
    যদিও ফেডারাল  রিজার্ভকে সে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের আখ্যা দেওয়া হয়ে  থাকে ,আসলে এটি আমেরিকান সরকারের একটি এজেন্সি । এর প্রভু আমেরিকান  কংগ্রেস। ১৯১৩ সালের ফেডারাল  রিজার্ভ আইন অনুযায়ী দেশের  মুদ্রা সরবরাহ ও সুদের হারের নিয়ন্ত্রণ দ্বারা অর্থব্যবস্থাকে স্থিতিশীল এবং মুদ্রাস্ফীতিকে বশে রাখা ফেডারাল রিজার্ভের দায়িত্ব ।
     
    ফেডারাল রিজার্ভের প্রতিষ্ঠার পরে ১৯২৯-১৯৩৩ সালের মহা মন্দা,  ১৯৫৩, ৫৭ ,৬৯,৭৫,  ৮১ সালের অর্থনীতির ডিপ্রেশন বা নিম্নগতি , ১৯৮৭ সালের কালো সোমবার দেখা গেছে ।  প্রতিষ্ঠার প্রথম একশো বছরে দশ হাজার ব্যাঙ্ক ফেল করেছে। মুদ্রাস্ফীতির রক্ষণাবেক্ষণ ? ১৯২০ সালে ১০০০  হাজার ডলারে যা কেনা যেতো , আজ তা কিনতে ১২০০০ ডলার লাগে।**
     
    ফেডারাল রিজার্ভ   ফেডারাল নয় , বারোটি ষ্টেটের ফেডারাল  রিজার্ভ সম্পূর্ণ স্বাধীন ।  তাদের বোর্ডে বসেন স্থানীয়  বাণিজ্যিক এবং ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিরা ।
    স্বার্থের সংঘাত ( কনফ্লিকট অফ ইন্টারেস্ট )?  
     
    ফেডারাল রিজার্ভ  কোন ব্যাঙ্ক নয়।  আমাদের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মতন এর কোন রিজার্ভ নেই , এর মালিকানা সরকারি নয় ।  

    এক দেশ , এক প্রাণ , এক ডলার , এক পুতুল ।

    ক্রমশ :

    পুঃ  বেঞ্জামিন বেরনানকের  নোবেল স্মৃতি অর্থনীতি পুরস্কার বিজয়ী ব্যাঙ্ক বেল আউট প্রক্রিয়া এবং  উনিশশো তিরিশের মহা মন্দার সময়ে অর্থ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার ব্যর্থতা নিয়ে তাঁর সমালোচনা বোঝার জন্য ফেডারাল রিজার্ভ  নামক এই মেশিনটিকে চিনে নেওয়া প্রয়োজন ।

    · *Before the passage of this Act ( The Federal Reserve Act, 1913) , the New York bankers could only dominate the reserves of New York. Now we are able to dominate the bank reserves of the entire country.

    Rhode Island Senator Nelson Wilmarth  Aldrich ( 1841-1915 )

    · **Edward Griffin: speeches on Federal Reserve.
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২৪ নভেম্বর ২০২২ | ১১৬৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:e4d8:c105:11c7:***:*** | ২৫ নভেম্বর ২০২২ ০৩:৪০514128
  • একটু মজা করে বললে, প্রটোকলস অফ দি এলডার্স অফ জায়ন মনে এল। তফাতের মধ্যে ওটা বানানো এটা সত্যি।
  • Amit | 121.2.***.*** | ২৫ নভেম্বর ২০২২ ০৪:০৮514129
  • হিরেন বাবু কে একটা প্রশ্ন: - "আমেরিকান যুক্তরাষ্ট্রে তখন কয়েক হাজার ব্যাঙ্ক। আমেরিকায় সুবর্ণ মান  গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড ) বলবৎ - সেই ভিত্তিতে  নিজেরা নোট ছাপেন কেউ কেউ।" - এটা পড়ে একটু কনফিউস হয়ে গেলুম। 
     
    মানে কি গভর্নমেন্ট এপ্প্রুভড মিন্ট এ এনারা কেউ ইকুইভ্যালেন্ট গোল্ড রিজার্ভ ডিপোজিট বা বন্ধকী করলে তখন এক্সট্রা ডলার ছাপানো হত & এনাদের দেওয়া হতো ? কোনো গভট কন্ট্রোল ছিল না কতটা ছাপানো হবে -? নাকি এনারা ডাইরেক্টলি মিন্ট কন্ট্রোল করতে পারতেন ? 
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:e4d8:c105:11c7:***:*** | ২৫ নভেম্বর ২০২২ ০৬:২৬514130
  • হীরেনবাবুকে করা প্রশ্নের উত্তর হীরেনবাবুই দেবেন। আমি যা বুঝি সেটা এই রকম।
     
    এমনকি আজকেও কোন ব্যাংক নোট ছাপাতে পারে। তবে সেই নোট নেওয়া না নেওয়া গ্রহীতার ইচ্ছাধীন। ফেডারেল রিজার্ভের হুকুমে সরকারী টাঁকশাল যে নোট ছাপায় তা নিতে কেউ অস্বীকার করতে পারে না।
  • Amit | 121.2.***.*** | ২৫ নভেম্বর ২০২২ ০৬:৫২514131
  • কিন্তু কতটা নোট ছাপানো হবে সেটা ইন্ডিয়াতে বা কমনওয়েলথ দেশগুলোতে ফেডারেল গভট বা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কন্ট্রোল করে না -? নাকি ইন্ডিভিজুয়াল ব্যাঙ্কগুলো আলাদা করে রিকোয়েস্ট করতে পারে ? 
     
    আমি একেবারেই জানিনা এই ব্যাপারে। মানে কেউ নিজের ইচ্ছেমতো নোট ছাপাতে পারে এইটা তে কনফিউস হয়ে যাচ্ছি। তাহলে ইনফ্লেশন কন্ট্রোল হবে কিভাবে ? 
     
    আমি সিওর সিস্টেমটা কাজ করছে। আমার ই কোথাও একটা বুঝতে ভুল হচ্ছে। 
     
    :) 
  • S | 37.12.***.*** | ২৫ নভেম্বর ২০২২ ০৬:৫৭514132
  • ব্যান্কার'স নোট আলাদা জিনিস। অনেকটা শর্ট টার্ম বন্ডের মতন। খুব বড় আর ভালো ক্রেডিট রেটিংএর ব্যান্ক হলে অনেকে এটাকেও কারেন্সির মতন ব্যবহার করে। বহুকাল আগে আমাদের দেশেও বহু নামজাদা ব্যবসায়ীদের দেওয়া এইরকম নোট ট্রেডাররা কারেন্সির পরিবর্তে ব্যবহার করতো।
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:e4d8:c105:11c7:***:*** | ২৫ নভেম্বর ২০২২ ০৭:১২514133
  • নাম্বার অফ কারেন্সি ইন সার্কুলেশন, আর মানি ইন সার্কুলেশন এক জিনিস নয়। ইনফ্লেশনের সাথে টোটাল মানি ইন সার্কুলেশন রিলেটেড, শুধু কারেন্সী না। 
     
    ব্যাংকগুলো আমরা যেমন দেখেছি, মানি ক্রিয়েট করতে পারে। যেমন একশ টাকা ডিপোজিটের থেকে নব্বই টাকা ধার দিয়ে। ফেডারেল রিজার্ভ ঠিক করে ডিপোজিটের কত অংশ ধার দেওয়া যাবে। সেইভাবে মানি ক্রিয়েশন কন্ট্রোল করে।
     
    এক অর্থে ব্যাঙ্ক নোট এই ধরণের টাকা।
  • Amit | 121.2.***.*** | ২৫ নভেম্বর ২০২২ ০৭:১৯514134
  • ওকে। ওটা হয়তো ব্যাংকার্স নোট এর কথাই হিরেন বাবু আসলে বলতে চেয়েছেন। আমি ডলার প্রিন্টিং ভেবেছি। 
  • হীরেন সিংহরায় | ২৫ নভেম্বর ২০২২ ১৩:৫১514142
  • পলিটিশিয়ান যথার্থ বলেছেন- কাগুজে নোট যে কেউ ছাপাতে পারে, গ্রহণ করা না করা নির্ভর করে যে নোট ইস্যু করেছে তার বিশ্বাসযোগ্যতার ওপরে। ভারতের মণ্ডিতে এ ধরণের নোট ইস্যু হয়েছে অন্তত হাজার বছর। আজো হয় ! সুরতের শেঠ হ্যান্ড নোট লিখে দেয় যেটা হাতে পেয়ে ভাবনগরের শেঠ ‘টাকা’ দেয়। পরে যেটাকে লেটার অফ ক্রেডিট বলে জেনেছি, সায়েবরা চেনানোর অনেক আগে হাম্মুরাবির আমল থেকে তা চালু ছিল ! উনবিংশ শতাব্দীতে আমেরিকা ব্যাঙ্ক নোটের  কোন ইউনিফরম চেহারা ছিল না ব্যাঙ্ক গুলি আপন নোট ছাপত নিজেদের ভল্টে ভরা রিজার্ভের ভিত্তিতে ( সব সময় অবশ্যই নয়-সেটা আরেক গল্প)। সে নোট গ্রহণ করতে কেউ বাধ্য ছিল না -কারণ লিগাল টেন্ডার কথাটা আমেরিকায় চালু ছিল না বাজারে কত টাকা চালু তার হিসেবওনয়। । এখন ডলারে লেখা থাকে দিস নোট ইজ লিগাল টেন্ডার পেছনে “ আমরা ঈশ্বরে বিশ্বাস করি “। মানে কেউ যদি না নেয় , ওপরে টেলিফোন করুন। 

    ভারতে বা ইংল্যান্ডে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের গভর্নর লেখেন  আমাকে বিশ্বাস করুন –

    আই প্রমিস টু পে দি বেয়ারার

    মানি ইন সারকুলাশন এবং প্রিন্টেড মানি এক নয় যেমন পলিটিশিয়ান বলেছেন। বাজারের মোট ক্রয় ক্ষমতা কেবল ছাপা নোট দিয়ে নির্ধারিত হয় না।  আমরা চারটে হিসেব ধরি ।

    এম জিরো             মিনটে ছাপা করকরে গান্ধী ছবি ওলা নোট
    এম ওয়ান             গান্ধী ছবি প্লাস ব্যাঙ্কে  স্বল্প মেয়াদি জমা টাকার পরিমাণ
    এম টু                   যোগ করুন বিল অফ এক্সচেঞ্জ , সিকিউরিটি
    এম থ্রি                  অপরের সঙ্গে যোগ করুন মিউচুয়াল ফাণ্ড ইত্যাদি
    চার পাঁচ অবধি না গিয়ে বলি আপনার জমা টাকা দিয়ে  ব্যাঙ্কগুলি  বাজারি ক্রয় ক্ষমতা ইতিমধ্যে নয় গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে ! তার প্রতিফলন পাই এম এক দুই তিন চারে !
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন