এফ-আই-আর-এর এপিডেমিক শুরু হয়ে গেছে। কথায় কথায় ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লেগে যাচ্ছে। শুরু হয়েছিল অভিনেত্রী সায়নী ঘোষকে দিয়ে। তিনি সামাজিক মাধ্যমে মজা করে একটি শিবলিঙ্গের ছবি দিয়েছিলেন। বিজেপি নেতা শ্রী তথাগত রায় জানিয়েছিলেন তাতে তাঁর ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে, এফ-আই-আরও করা হয়েছে। তার পরের এফ-আই-আর অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় এবং দেবলীনা দত্তের বিরুদ্ধে। একটি চ্যানেলে তাঁরা গরুর মাংস রান্না করা নিয়ে সামান্য কয়েকটি কথা বলেছিলেন। তাতেও কোনো তরুণজ্যোতি তিওয়ারি নামের এক বিজেপি কর্মীর ধর্মীয় ভাবাবেগে লেগে যায়। দেবলীনাকে তো তারপর সামাজিক মাধ্যমে ক্রমাগত ধর্ষণের হুমকি দেওয়াও চলতে থাকে।
তথাগতবাবু এবং তিওয়ারিজির এইসব কাজকর্ম, বলাবাহুল্য, পাহাড়প্রতিম মূর্খামি ছাড়া আর কিচ্ছু না। তাঁরা জানেনই না, বিজেপি এবং আরএসএস তো হিন্দুত্বকে আদৌ কোনো ধর্ম মনে করেনা। সে কথা বহুবার সজোরে বলাও হয়েছে। আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত স্বয়ং বলেছেন, হিন্দুত্ব কোনো ধর্ম নয়, একটি জীবনচর্যা। অর্থাৎ জীবন যাপনের পদ্ধতি। যা আদৌ ধর্মই নয়, তাতে আঘাত করলে ধর্মীয় ভাবাবেগে কীকরে আঘাত করা হয়, মাননীয় তথাগত বা তরুণজ্যোতি কি তা বলতে পারেন? আরএসএস কী মনে করে, তাঁরা কি সেসবের ধার ধারেননা? নাকি আদৌ জানেনই না?
এর চেয়েও বড় কথা হল, যদি মাননীয় মোহন ভাগবতের কথাই ঠিক হয়, তাহলে হিন্দু বাঙালির কাছে হিন্দুত্ব নামক জীবনচর্যার মানে ঠিক কী? মানে একটাই, বাংলার দেবদেবীরা লৌকিক দেবদেবী, তাঁদের ঘিরেই বাংলার হিন্দুত্ব। এঁরা গোবলয়ের দেবদেবীদের মতো উগ্রচণ্ডা নন। বরং একই সঙ্গে শ্রদ্ধা, আদর, হাসিঠাট্টা এবং মস্করার উপাদান। আজ নয়, দীর্ঘদিন থেকে। ভারতচন্দ্র এই শিবকে নিয়েই লিখেছিলেন, "কোনো গুণ নাই তার কপালে আগুন"। তাতে কারো গায়ে ফোস্কা পড়ে যায়নি। বাংলার জনপ্রিয় লোকগানে কানু অর্থাৎ কৃষ্ণকে হারামজাদা বলা হয়েছে, তাতে কৃষ্ণভক্তরা মানহানির মামলা তো করেনইনি, বরং কৃষ্ণ আরও আদরের হয়ে উঠেছে। এখানে কালীকে নিয়ে গান লেখা হয়েছে "বসন পরো মা"। কী ভাগ্যিস তথাগতবাবু তখন ছিলেননা, থাকলে হাইকোর্টে মামলা ঠুকতেন, কিংবা কে জানে ব্রিটেনের মহারানীর কাছে লুকিয়ে লুকিয়ে নালিশ করে চিঠি পাঠাতেন। যে রাম এবং রামনবমী নিয়ে তথাগতবাবুদের হট্টগোলের শেষ নেই, তাঁরা জানেনই না, বাংলায় একটা কথা চালু আছে, "ঘরের শত্রু বিভীষণ"। রামকে বাঙালি ভালো বাসুক না বাসুক, মীরজাফর এবং বিভীষণকে যে তুমুল অপছন্দ করে, এটা তরুণাজ্যোতি তিওয়ারিদের জানা থাকার কথাও না। তাঁরা জানেনই না, যে, খ্রিশ্চান মাইকেল মধূসুদন দত্ত রামায়ণের কাহিনীকে উল্টে পাল্টে মেঘনাদবধ কাব্য লিখেছিলেন, উনবিংশ শতকেই বাঙালি চোখের জলে সেই কাব্য পড়েছে।
এগুলো ওঁদের জানার কথাই না, কারণ আসলে বাংলার সংস্কৃতি বা হিন্দুত্ব, কোনোটা নিয়েই তথাগতবাবুদের কোনো ধারণাই নেই। এই সেই সংস্কৃতি, যেখানে নজরুল পরের পর শ্যামাসঙ্গীত লিখে চলেন। এ সেই সংস্কৃতি, যেখানে লালনের কী জাত সে নিয়ে কেউ মাথা ঘামায়নি। হিন্দুত্ব যদি একটি জীবনচর্যাই হয়, তাহলে তথাগতবাবুরা জানেননা, বাঙালি হিন্দুর জীবনচর্যাটা ঠিক কী। তাঁরা হিন্দুত্ব শিখেছেন গোবলয় থেকে। অর্থাৎ হিন্দি বলয় থেকে। হনুমান থেকে গরু, বাঙালি কাউকে অপছন্দ করেনা, কিন্তু এরা বাঙালির আরাধ্য দেবতা নয়। কোনোকালেই ছিলনা, হবেওনা, কারণ বাংলা গোবলয় নয়। রামনবমী বাংলার উৎসব নয়। অস্ত্র নিয়ে মিছিল করাটা বাংলার ধর্মীয় সংস্কৃতি নয়। এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে এই সংস্কৃতি যদি আমদানি করা হয়, তাহলে সরস্বতী পুজোয় প্রেম করা নিষিদ্ধ হবে। ভ্যালেন্টাইন্স ডে তো বন্ধ হবেই। এসব তো বিজেপি শাসিত সমস্ত রাজ্যে তাঁরা করে দেখিয়েছেনই। রামকৃষ্ণ মা মা করে কালীকে তুই তোকারি করতেন, সেসবের চর্চা বন্ধ হবে, কে জানে কথামৃত নিষিদ্ধও হতে পারে। নইলে তথাগতবাবুরা পুলিশে নালিশ করবেন। নজরুলের শ্যামাসঙ্গীত তো নিষিদ্ধ হবেই। হিন্দুস্তানের তথাকথিত সহি হিন্দুরা মছলিখেকো নিরামিষখোর উদার বাঙালিকে কোনোদিনই আসল হিন্দু মনে করেননি, কে জানে হয়তো আমিষ ছাড়তে হবে, বলা যায়না, বাংলা ভাষাও ছেড়ে দিতে বলতে পারেন। কারণ, মাছ-মাংস খেয়ে বাংলা বলেও যে বাংলাদেশী ছাড়া অন্য কিছু হওয়া যায়, এটা এঁদের মাথাতেই ঢুকবেনা। সবচেয়ে বড় কথা হল, এইসব নিয়ে পাইকিরি নালিশ চালু হলে তথাগতবাবু নিজেও বাঁচবেননা। সায়নী ঘোষের সঙ্গে টুইট বিনিময়ের শেষে তথাগতবাবু লিখেছেন, "ক্ষ্যামা দে মা লক্ষী"। তথাগতবাবু, মা লক্ষীকে তুই তোকারি করে এই অপমানটা আপনি করলেন কীকরে বলুন তো? আপনার দলের হিন্দি বলয়ের লোকেরা কিন্তু এর জন্যই আপনার বিরুদ্ধেও এফ-আই-আর করতে পারে। বলা যায়না, বাঙালি হবার অপরাধে ঠেলে বাংলাদেশেও পাঠাতে পারে। সাবধানে থাকবেন। আর বাঙালি হিন্দুর জীবনচর্যার সঙ্গে আর-এস-এস এর জীবনচর্যার ঠিক কতটা তফাত একটু খোঁজ নেবেন সময় পেলে।
ব্যাটারা এখনো পরশুরামের খোঁজ পায়নি মনে হয় তাই, বিজেপি এলে পরশুরামের গল্পের বারোটা বাজবে । গন্ডেরিরামরা ছেড়ে দেবে ভেবেছেন? পরশুরাম ওরফে রাজশেখর বসু নিষিদ্ধ হলেন বলে । তারপর সুকুমার রায় ।
ব্যাটারা পড়াশুনাই উঠিয়ে দেবে পরশুরাম সুকুমার তো কোন ছাড়।
সতীদাহ, বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, কন্যা ভ্রূণ হত্যা, সন্ধের পর মেয়েদের বাইরে বেরনো নিষেধ, চাকরির বদলে রান্নাঘরে থাকা, সবই চালু হবে। মা লক্ষ্মীদের ব্যবস্থা করে দেবে।
সালটা সম্ভবতঃ ১৯৬৯ বা ৭০। মোরারজি দেশাই ভারতের উপ-প্রধানমন্ত্রী। সাপ্তাহিক দেশ পত্রিকায় দিল্লির চিঠি লিখতেন সাংবাদিক খগেন দে সরকার। তখন দিল্লি রাজ্য নয়, বিজেপি তখনও জনসংঘ। তারাই দিল্লির মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলে চেয়ার আলো করে বসে আছেন,-- হংসরাজ খান্না, মেহতা ও মাধোক।
বঙ্কিমচন্দ্রের একটি ব্যঙ্গ রচনা যার উদ্দিষ্ট হল সাহেব ইন্ডোলজিস্টের হাতে ভারতীয় পুরাণের দুর্দশার হিন্দি অনুবাদ একটি স্থানীয় ম্যাগাজিনে বেরিয়েছিল। ব্যস, সবার ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লেগে গেল। অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট বেরোল ম্যাগাজিনের সম্পাদক, অনুবাদক ও কাহিনীর মূল লেখক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের নামে। পুলিশ এসে থানায় জানাল ওই লেখক তো কবেই অক্কা পেয়েছে! মোরারজীর মাথায় হাত! বন্দে মাতরম মন্ত্রের উদ্গাতা ঋষি বঙ্কিম-- তাঁর নামে ওয়ারেন্ট!
কারও সোর্স থাকলে পুরনো দেশ খুঁজে লেখাটি রিপ্রিন্ট করলে মন্দ হয়না। তথাগতের মুখের মত জবাব হবে।
বিজেপি বা আরএসএস হিন্দুত্বকে ধর্ম মনে করে কিনা তাই দিয়ে তো বিচার হবে না। রিলিজিয়নে হিন্দু লেখা যায় যখন, দেশের আইনে হিন্দুধর্মের স্বীকৃতি আছে ধরে নিতে হবে। দারাশুকোর উদারতা দেখিয়ে তো তারক বিশ্বাসের গ্রেপ্তারি আটকান যায়নি। কাজেই ভারতচন্দ্র-মাইকেল দেখিয়ে আইনি লড়াইয়ে কোন সুবিধে হবে না। রামনবমী বাংলার উৎসব নয়, কৃত্তিবাস বাংলার কবি নয়, শিবলিঙ্গে কন্ডোম গ্রামবাংলার আবহমান সংস্কৃতি- এসব দাবি করলে বিজেপির ভোট বাড়বে বই কমবে না।
গরুকে যারা মাতা ভাবে তাদের থেকে এর বেশি কিছু আশা করা আমাদের ভুল।
এভাবে গরুদের ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানালাম।
হ্যাঁ মুসলমান খারাপ আর সব মুসলমান সরকারী সুবিধেভোগী আর আরবের টাকায় বড়লোক বা অন্তত বাংলাদেশী গুন্ডা এই ধ্রুব সত্যে যারা ইতিমধ্যেই উপনীত , তাদের কে বদলানো কঠিন।
গোরু ভার্সেস ছাগল। টাফ চয়েস।
তবে হ্যাঁ, একটা পয়েন্ট এখানে বলতে পারি।
কাল একজনের সঙ্গে কথা হচ্ছিল । আমি বলছিলাম যে একটা কার্টুন নিয়ে এত বাড়াবাড়ির আছে টা কি। তাও 2015 এর পোস্ট। তো সে বলল না এটাতে কিছুুই নেই কিন্তু নবী কে নিয়ে এরকম কোনো পোস্ট বা হোয়্যাৎস্যাপ ফরোয়ার্ড পাই না কেন, আসলে ওটা নিয়ে বলতে সবার ফেটে যায়, কিনতু ত্রিশূল আর শিব নিয়ে সবাই বলতে পারবে যা খুশি এই দ্বিচারিতা কেন । তো আমি বললাম এটাই তো আমাদের উদারতা। তাতে আরো ক্ষেপে গেল।
সর্বাগ্রে এইটা পরিষ্কার করে নেওয়া দরকার যে এই দলটি কোন রজনৈতিক দল না - এই দলের পত্তন থেকে আজ অবধি পর্যালোচনা করলে দেখবেন, আজ অবধি এই দেশের কোন গঠনমূলক আন্দোলন বা বিদ্রোহে এরা কোনদিনই অংশগ্রহণ করে নাই। এরা জানে ভাঙতে, ধর্ষণ করতে, থুথু ছেটাতে, যেখানে সেখানে ঠ্যাং তুলে হিসি করতে, আর ঘৃণার বেসাতি পোক্ত করতে - কারণ সেটাই এদের অস্তিত্বের পূর্বশর্ত! ওপার বাংলায় যেমন ধর্মান্ধ, অত্যাচারী, খুনে রাজাকার বাহিনীর কথা আমরা ইতিহাসে পড়েছি, বা আফগানিস্তানে তালিবানি নৃশংসতার কথা জেনেছি - এদের কথাবার্তা, কার্যকলাপ, এবং পরিকল্পনায় সেইসবেরই প্রতিফলন বলে বোধ হয়! তাই এদের নাম দেওয়া হোক #গেরুয়ারাজাকার বা #দেশিতালিবান ... যাদের প্রতিহত করতেই হবে - যেভাবেই হোক!
কি আর মতামত দেব ??এই তথাগত নামক ছাগল টা মুখ দিয়ে কথা বলে না পাছা দিয়ে ।..জানি না !! তবে এটা জানি নিশ্চিত ভাবে ।..এই ছোট লোক টার মাথায় নাগপুরের গরুর গোবর ভর্তি !!বেটা ভুড়ুঙ্গে বজ্জাত ।...সুবিধাবাদী ।..মাথা মোটা ।..আর মনে হয় একটু ম" এর দোষ আছে !!শিলঙ এ আমার এক বন্ধু এ ব্যাপারে আমাকে বলেওছেন ।.. !!কি করে এইসব ছাগল গুলো রাজ্যপাল হয় জানি না ।তবে বিজেপি তো ।..অনেক কিছু হয় ।..এম এল এ রাও ধর্ষন করে ওদের পার্টি তে ।..ওদের নেতা তো শালা বৌ ত্যাগ করে দিব্বি চলছে ।..চরিত্রহীন লম্পট গুলো সব বিজেপি তে ঢুকে গেছে !!আমাদের দুর্ভাগ্য ।..আমরা দুজন কুখ্যাত নেতা কে পেয়েছি ।..যার একজন জেল খাটা আসামী ((ভুয়ো সংঘর্ষ করে হত্যার জন্য দায়ী ))উনি আবার আমাদের গৃহ মন্ত্রী !!কুম্ভকর্ণ 'র কথা হচ্ছে!! আর একটা তো মুসলমানদের হত্যা করে এখন মহান নেতা হয়েছেন !!খুনী লোক একটা আমাদের প্রধান মন্ত্রী !!!হা ঈশ্বর ।...এই দেশের কি হবে ??
সিরিয়াস রাজনীতি চর্চার জায়গায় এসব কী পোস্ট হচ্ছে?
দুটো গালাগাল আর স্থুল কথা বললেই বিজেপি পালাবে নাকি? ব্যক্তিগত আক্ষেপ আরোপের জায়গায় ওদের ভুল এবং খতরনাক পলিসির বিশ্লেষণ করে তার অ্যান্টিডোট বের করা দরকার।
ভারতীয় অধ্যাত্বিকতার উৎকর্ষতা , where highest value has been given in seeking or self realization not practicing or adopting or preaching or converting.....যেটা অন্য ধর্মের মানুষকে টেনে নিজের ভাবনার ( ধর্ম বা পন্থা ) দল বৃদ্ধি করতে উৎসাহিত করে না ……..বা আমার রাস্তা আমার জন্য ঠিক তোমার রাস্তা তোমার জন্য বলে বিতর্ক থামিয়ে দেয় না..…...পরন্তু যুক্তি দিয়ে বোঝাতে পারে তুমি তোমার বিশ্বাস বা অবিশ্বাস আর প্রকৃতি নিয়ে চলে যেই লক্ষে পৌঁছবে...আমারও পথের অন্তিম লক্ষ্য সেই একই। যদি তোমার পথের ও সত্যিকারের লক্ষ্য তাকে বোঝা বা জানা অন্যথায় নিজেকে জানা ই হয়..অন্য কিছু নয়……...আমাদের পথের শেষ ও অভিন্ন। "তু না জানে আস পাস হ্যাঁয় খুদা " আর "আছো অনিল আনলে চির নভ নীল " এ ভাষায় ভিন্নতা আছে ভাবে নেই। সেই আধারেই বিবেকানন্দ বলতে পেরেছিলেন মানুষ সত্য থেকে সত্য তর্ তে যায় , অসত্য থেকে সত্যে নয়.
আর এটা শুধু রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ তেই শেষ নয় এই ভাবধারার আলকাজ্জিত অগুন্তি নামের মধ্যে গুরু নানক আছেন : কোই বোলে রাম কোই খুদায়ই … সান্টা ( google এটাই করে দিলো :) কবীর আছেন…..আছেন সাই বাবা ….ঘরের কাছেই আছেন লালন ফকির ……….
এই সর্ব ধৰ্ম সম্বনয় একান্ত ভারতীয় একে না জেনে বুঝে গুরুত্ব না দিয়ে সমস্ত সর্ব ধৰ্ম এক করার প্রচেষ্টা হয় অন্তস্বার শূন্য শিশুসুলভ অপরিণাম দর্শী নয়তো কোন উদ্দেশ্য প্রণীত আন্দোলন………..