এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • মার্কিন নির্বাচনের আগের দিন - পুঁজির চলন কী বলছে 

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ০৫ নভেম্বর ২০২৪ | ৯৪৮ বার পঠিত | রেটিং ৪.৫ (২ জন)
  • এটা ২০২৪ এর নভেম্বর। গত আট বছরে ট্রাম্প তাঁর কিছু অবস্থানে মূলত অনড় থেকেছেন। তার মধ্যে কিছু আমেরিকান রক্ষণশীল পুঁজির  পুরোনো অবস্থান। এক, তিনি আমেরিকায় জনতার হাতে বন্দুক থাকার পক্ষে। দুই, গর্ভপাতের সার্বজনীন অধিকারের বিরুদ্ধে, ওটা তিনি রাজ্যগুলোর হাতে ছেড়ে দিতে চান। তিন, শিক্ষা-স্বাস্থ্যতে যে কোনো রকম 'সমাজতান্ত্রিক' ভরতুকির বিরুদ্ধে। চার, করব্যবস্থা একদম সোজা-সাপ্টা করে দিতে চান। অর্থাৎ প্রগ্রেসিভ ট্যাক্সেশন চলবেনা। 

    এই চারটেই বিশেষ নতুন কিছু না। দুটো ব্যক্তিপুঁজির চূড়ান্ত অধিকারের পক্ষে এবং বাকিদুটো রিপাবলিকানদের পুরোনো অ্যাজেন্ডা। কিন্তু  ট্রাম্পের নতুন কিছুও দাবী আছে, যা ঠিক চিরপুরাতন রিপাবলিকানদের সঙ্গে মেলেনা। সেগুলো কী?  এক, তিনি বড় আকারে  অভিবাসনের বিরুদ্ধে। বিশেষ করে লাতিন আমেরিকা এবং মধ্যপ্রাচ্য থেকে। দুই, আমেরিকার বাজার বাইরের পুঁজিকে খুলে দেবার বিরুদ্ধে। অর্থাৎ একরকম করে খোলা অর্থনীতি আর নয়, অবাধ ভুবনীকরণ আর নয়। তিন, যুদ্ধের একদম বিপক্ষে। আমেরিকা বাইরে গিয়ে যুদ্ধ করবেনা, এ কথা শুধু ঘোষণা করেননি, রাশিয়ার সঙ্গে ভাবসাব করে ফেলেছিলেন। ন্যাটো প্রায় তুলে দেবেন বলেছিলেন। রাশিয়া, উত্তর কোরিয়ার নেতাদের প্রশংসাও করেছেন একাধিকবার। কেবল চিনের খুবই নিন্দে করেছেন। চার, সন্ত্রাসবাদ বিরোধিতা, যেটা অন্যদের থেকে একদম আলাদা। একদিকে সেটা মুসলিম বিদ্বেষে পৌঁছে যায়, অন্যদিকে আরব দেশগুলোকে তোল্লাই দেবার বিপক্ষেও, যেটা আমেরিকার এতদিনকার নীতির পুরো উল্টোদিকে। 

    প্রথম চারটে জিনিসে বিপক্ষের ডেমোক্রাটরা তাঁর বিরুদ্ধে, প্রথাগতভাবেই। তারা সার্বজনীন বন্দুকের অধিকারের বিরুদ্ধে, গর্ভপাতের পক্ষে। প্রগ্রেসিভ ট্যাক্সেশন এবং ভরতুকি, এসব একটু আধটু করার পক্ষে। বার্নি স্যান্ডার্স শিক্ষা-স্বাস্থ্যকে সার্বজনীন করতে বলেছিলেন, তাঁকে থেমে যেতে হয়েছে। বাকিগুলোতেও বিরুদ্ধতা আছে, কিন্তু জিনিসটা একটু ঘাঁটা। বোঝার সুবিধের জন্য একটা টেবিলের মতো ব্যাপার করা যাক। 

    সামাজিক উদারনৈতিকতাঃ 
    ট্রাম্প রক্ষণশীল। ডেমোক্রাটরা লিবারাল। 
    ভরতুকিঃ 
    ট্রাম্প চূড়ান্ত বিরুদ্ধে। ডেমোক্রাটরা খানিকটা পক্ষে। 
    ট্যাক্সঃ 
    ট্রাম্প পুঁজির ট্যাক্স কমাতে চান। ডেমোক্রাটরা প্রোগ্রেসিভ ট্র‌্যাকেশন।
    ভুবনীকরণঃ
    ট্রাম্প আমেরিকায় বিদেশী পুঁজির জন্য খোলা বাজার চাননা। এই ব্যাপারে খানিকটা নিয়ন্ত্রিত অর্থনীতি চান।  ডেমোক্রাটরা খোলা বাজার চান। 
    যুদ্ধ এবং দাদাগিরিঃ 
    ট্রাম্প যুদ্ধ চান না। আমেরিকা আধিপত্য বিস্তারের জন্য সারা পৃথিবীতে যে যুদ্ধ টুদ্ধ বাধায় বা লিপ্ত হয়, ডেমোক্রাটরা সম্পূর্ণভাবেই তার পক্ষে। 
    মধ্যপ্রাচ্যঃ ট্রাম্প আরবের থেকে তেল চান, কিন্তু আরবকে তেল দিতে চান না। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে বাড়াবাড়ি করে গোটা মুসলমান জনসমষ্টিকেই গাল দেন। উল্টোদিকে ডেমোক্রাটরা মৌলবাদকে খানিকটা প্রশ্রয় দিয়ে খানিকটা নিয়ন্ত্রণে রেখে, মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ এশিয়ায় নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে চান। 

    এই কটা থেকে ডেমোক্রাটদের মোটের উপর একটা চরিত্রচিত্রণ পাবেন। সেটা কীরকম? খুব লিবারাল। নারী, প্রান্তিক যৌনতা, সংখ্যালঘু, ইত্যাদির অধিকারের পক্ষে। দেশের লোককে কিছুটা রিলিফ দিতে চান, কিন্তু খুব বেশি না। কিন্তু ভদ্রলোক হলেও ব্যবসার ব্যাপারে একদম ধারালো ছুরির মতো। গোটা পৃথিবীর পুঁজি গাঁটছড়া বেঁধে আছে, তারা যেখানে খুশি যাবে। আমেরিকা ব্যবসা এবং আধিপত্যের প্রয়োজনে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গাকে অস্থির করে রাখবে, নিজের স্বার্থরক্ষায় দাদাগিরি চালিয়ে যাবে, ইত্যাদি। এই পুরো চরিত্রচিত্রণটা, যদি খেলায় করেন, একদম হাইটেক কনসাল্টিং ব্যবসার মতো। মিছরির ছুরি একদম। দেশে বিদেশে ব্যবসা চালাতেই হবে, নৈতিক অনৈতিক যেকোনো মূল্যেই হোক, যত সম্ভব কম লোককে চটিয়ে, যত সম্ভব বেশি লোককে সন্তুষ্ট রেখে, কিন্তু ব্যবসার সঙ্গে কোনো আপোস না। মিছরিটা ভারি মিষ্টি, এবং ছুরিটা ততোধিক ধারালো। 

    উল্টোদিকে ট্রাম্প কোম্পানিরও একটা চিত্র পাওয়া যায় এর থেকে। তারাও ব্যবসায়ী। কিন্তু একটু ভোঁতা ধরণের, তার সঙ্গে মিশে আছে পুরোনো জমিদারির ঘরানা। নিজের দেশে জমিদারদের জমিদারি অক্ষত থাকবে, ট্যাক্স ফ্যাক্স দেওয়া যাবেনা। ভরতুকির নামে ফালতু খরচ চলবেনা। অন্য কাউকে এসে মুনাফা করতে দেওয়া যাবেনা। এ অবধি ঠিকই আছে। কিন্তু বিদেশেও, তাঁরা দেখা যাচ্ছে, ফলতু খরচা করে যুদ্ধ করতে রাজি নন। ইংরেজ উপনিবেশের আমলেও এরকম একটা হাওয়া উঠেছিল শেষ দিকে, যে, উপনিবেশ মানে আসলে হাতি পোষা। বিশ্বব্যাপী দাদাগিরির ক্ষেত্রে ট্রাম্প শিবিরের অবস্থান খানিকটা তাইই। এটা অনেকটা পুরোনো পুঁজিপতিদের মতো, যারা নানা ভারি ভারি জিনিস বানাতো এবং বানায়। যে, আমাদের বাজারে আমাদের সংরক্ষণ দাও। নিজেদের মাজারে মুনাফা করব, এমন মাল বানাব, যে, বাইরেও বেচা যাবে। সেখান থেকেও মুনাফা করব। কিন্তু যুদ্ধ করে বাজে খরচা কোরোনা। এছাড়া, ভুবনায়ন অতি ফালতু জিনিস, যদি না নিজের কাজে লাগে। 

    এই তফাতটা দুই শিবিরের বক্তব্য থেকে খুব স্পষ্ট। এদের সমর্থকদের মধ্যে থেকেও খুব স্পষ্ট। এই মুহূর্তের যে প্রযুক্তি-দৈত্যরা, গুগল ফেসবুক বা অ্যাপল, মূলত ডেমোক্রাটদের পক্ষে। মিডিয়ার বড়ো অংশটাই তাই। অর্থাৎ, যারা মূলত সার্ভিস বেচে খায়। আর যারা ঠিক সার্ভিস বেচেনা, গাব্দা গাব্দা জিনিস বেচে, তারা উল্টো দিকে। প্রথমেই আসে ইলন মাস্কের কথা। অ্যামাজন, ওয়ালমার্ট এরা কোন দিকে স্পষ্ট করে জানা যায়না, তবে এদেরকেও ধরে নেওয়া যায় উল্টোদিকেই। বড় বড় কনসাল্টিং কোম্পানি, যারা মূলত যুদ্ধ বেচে খায়, তারা কোনদিকে প্রকাশ্যে জানা যায়না, তবে ডেমোক্রাটদের দিকেই ধরা যায়।

    এই বিভাজনটা, এখনও একদম পাঁচিল দেবার মতো স্পষ্ট না, কিন্তু মাঝের দাগটা দেখাই যাচ্ছে। অকারণে প্রবন্ধ ভারি না করার জন্য নামধাম দিলাম না, এঁদের যারা সমর্থন করেছেন, এবং প্রচুর টাকাপয়সা দিয়েছে যে কোম্পানিগুলো, তাদের তালিকা দেখলেও এই ব্যাপারটা পরিষ্কার হবে। উদারনৈতিক-রক্ষণশীল বিভাজনটা যদি বাদ দিয়ে স্রেফ পুঁজির দিকে তাকান, তাহলে দেখবেন, মোটামুটি সিলিকন ভ্যালি এবং সামাজিক এবং প্রথাগত মিডিয়ার বর্তমান বা প্রাক্তনরা ডেমোক্রাটদের দিকে। ব্যতিক্রম ইলন মাস্ক। তিনি অবশ্য গাড়ি আর স্যাটেলাইট বানিয়েই বেশি উপার্জন করেন। আর পুরোনোপন্থী সিগারেট কোম্পানি, শক্তি-উৎপাদক, ভারি জিনিসপত্র বানায় যারা, তারা ট্রাম্পের দিকে।

    এই পুরোনোপন্থী পুঁজি দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ব শাসন করেছে। কিন্তু এখন তারা নানা শক্তির কারণে একটু কোণঠাসা। যেমন, চিন ম্যানুফ্যাকচারিং এ থাবা বসাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে খুবই হইচই, শক্তি উৎপাদনের পদ্ধতিই বদলে যেতে পারে। জনস্বাস্থ্যের ধারণার বিরাট পরিবর্তন হয়েছে। এখন এরা নিজের স্বার্থ রক্ষা করতে চায়। নিজের বাজারে চৈনিক হামলা চায়না। বিশ্ব উষ্ণায়নকে এড়িয়ে চলতে চায়। সরকার ভরতুকি-টরতুকি না দিয়ে স্রেফ পুঁজিকে তোল্লাই দিক চায়। এরা একটু কোণঠাসা হলেও, কম শক্তিশালী ভাবার কোনো কারণ নেই। এরাও এতদিনের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েছে। ষাট-সত্তরের দশক থেকে আমেরিকা জলের মতো অর্থ খরচ করেছে অস্ত্র প্রতিযোগিতায়, রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারে। সেটা এরা বাজে খরচ মনে করে। সেটা বন্ধ করতে চায়। এবং প্রয়োজনে, তথাকথিত শত্রুদের সঙ্গেও একটু আপোশ করে নিতে চায়। রাশিয়া বা কোরিয়ার সঙ্গে সরাসরি টক্কর মানে অকারণে বাজে খরচ। কিছু কিছু প্রভাব বিস্তারে এদের কোনো আপত্তি আছে মনে হয়না, বিশেষ করে যেখানে কনট্রাক্ট ইত্যাদি পাওয়া যাবে। কিন্তু সেসবই চাপ দিয়ে আদায় করা যায়। যুদ্ধের প্রয়োজন নেই। লক্ষ্য করে দেখবেন, ট্রাম্প অবিকল এই লাইনেই কথা বলে থাকেন। 

    উল্টোদিকে, এই সিলিকন-ভ্যালি ওয়ালা ইত্যাদিরা নবীন পুঁজি। নতুন টেকনোলজি, এবং নতুন প্রকরণ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভারি জিনিস এঁরা তৈরি করেননা, অনেক ক্ষেত্রে কিছুই বানাননা। পুরোটাই সার্ভিস। খুচরো কিছু জিনিস, যেমন ফোন বা হাল্কা গ্যাজেট, সে চিনে হল না ভারতে, তাতে এঁদের কোনো মাথাব্যথা নেই। ভুবনায়নের এঁরা পক্ষে। জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদির কারণে শক্তি উৎপাদনের প্রকরণ বদলে গেলে এঁদের সমস্যা তো নেইই, বরং উদ্ভাবনের এবং মুনাফার নতুন দরজা খুলবে। ফলে জলবায়ু নিয়ে খুবই  সোচ্চার। এবং এঁরা যেহেতু উদীয়মান, রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারে এঁরা প্রবলভাবে আগ্রহী। সেটা শুধু অস্ত্র দিয়ে না। নতুন টেকনোলজি আসার ফলে এঁদের হাতে এসে গেছে নতুন প্রকরণ, যা দিয়ে নির্বিঘ্নে জনমত তৈরি করেই রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার করা যায়। মিডিয়া এবং সমাজমাধ্যমে পুরো নিয়ন্ত্রণ থাকায়, নিপীড়িত মানুষের ক্ষোভকে নিজেদের অ্যাজেন্ডায় পরিণত করার নতুন কিছু প্রকরণ এঁদের হাতে এসে গেছে। তার ব্যবহারও হচ্ছে। এই ধরুন, প্যালেস্তাইন সংকটের মধ্যেই গত তিন-চারদিন ধরে একটি অন্তর্বাস-পরিহিতা ইরানী মেয়ের ছবি দেখা যাচ্ছে, বিদ্রোহের প্রতিমূর্তি হিসেবে। ইরানে মেয়েদের উপর নিপীড়ন কোনো নতুন জিনিস না। কিন্তু হঠাৎ এটা ফোকাসে উঠে এসেছে, কারণ, এই মুহূর্তে ইরানকে ভিলেন প্রমাণ করার প্রয়োজন। এবং জেন্ডারের মতো বিপ্লবী জিগির এই মুহূর্তে আর অন্য কিছু নেই। লক্ষ্য করে থাকবেন, আফগানিস্তান নিয়েও একই ব্যাপার। সেখানে তালিবানরা ক্ষমতায় আসার পরই মেয়েদের দুর্গতির ছবি হঠাৎই  উপরে উঠে আসে। মার্কিনিরা তালিবানদের সঙ্গে একটা বোঝাপড়ায় আসার পর, পুরোটাই আবার হাওয়া। 

    এই যে সুইচ অন এবং সুইচ অফ করে বিপ্লবী চেতনাকে জাগ্রত করার প্রকরণ, এটা নতুন পুঁজি আয়ত্ত্ব করেছে। একদিকে এদের হাতে আছে নতুন টেকনোলজি, যা প্রায় ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, এবং মানুষকে কীকরে একটা দিকে ঠেলে দেওয়া যায়, তার উন্নত প্রকরণ, যেটা এর আগে কখনও ছিলনা। এখন পারসুয়েসিভ টেকনোলজি নামের একটা পাঠ্যসূচিও তৈরি করা হয়েছে, যাতে মানুষকে 'বোঝানো' যায়। অন্যদিকে বিক্ষোভের সুনির্দিষ্ট কিছু অ্যাজেন্ডাও তৈরি হয়ে গেছে। মূলত, জেন্ডার, রেস। এগুলো নিয়ে স্লোগান নতুন পুঁজিকে আঘাত করেনা, মানুষকে 'বিপ্লবী' ভাবায়। এই দুইয়ের যোগফলে তৈরি হয় এক প্রায়-আদর্শ কনসাল্টিং পুঁজির পৃথিবী। যারা 'বুঝিয়ে' গলা কেটে নিতে পারে। লক্ষ্যণীয়, যে, অ্যাজেন্ডা থেকে সবসময়ই বাদ থাকে ধনী-দরিদ্রের তফাত। 

    পুঁজির এই অংশটা এখন মোটামুটিভাবে ডেমোক্রাটদের পক্ষে। এই পক্ষে থাকার লাভ হল, কিছু বাড়াবাড়ি সত্ত্বেও এরা জেন্ডার, রেস, জনস্বাস্থ্য এসব নিয়ে কিছু কাজ করে। উল্টোদিকে সমস্যাটা হল, এর সবকটাই ব্যবহৃত হয়, রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে। আর এর উল্টোদিকে আছে ট্রাম্পের পৃথিবী। একদা নিউক্লিয়ার যুদ্ধেও যাদের কোনো সমস্যা ছিলনা। এখন জলবায়ু পরিবর্তন হয়ে অর্ধেক পৃথিবী ভেসে গেলেও কিছু যায় আসেনা। নেহাৎই ব্যবসায়িক স্বার্থে এরা ভুবনায়নের বিরোধিতা করে। কিন্তু ফাঁকতালে লাভ যেটা, সেটা হল, এরা যুদ্ধেরও বিরুদ্ধতা করে। এবং এরা প্রথাগত আধিপত্যে বিশ্বাস করে। এরা প্রচুর মিথ্যে তৈরি করে, দিনকে রাত করে, কিন্তু মগজের ভিতরে ঢুকে অ্যাজেন্ডা তৈরি করার ক্ষমতা নেই। এরা অনেক ক্ষেত্রেই সেই জন্য আধা-ফ্যাশিস্ত। একই সঙ্গে এরা যে গোদা ন্যারেটিভ তৈরি করে, তার বিরুদ্ধতায় তৈরি হয়, এবং হয়েছে, প্রথাগত বাম ন্যারেটিভ। উল্টোদিকে নতুন যে পুঁজি, তারা অতীব কৌশলী। পৃথিবীর নানা জায়গায় বাম ন্যারেটিভ যে কার্যত উঠে গিয়ে জেন্ডার-রেস-ন্যায়বিচারকারী-পুঁজির-সমর্থক যে একটা খিচুড়ি ন্যারেটিভ তৈরি হয়েছে, সেটা এই নতুন পুঁজির নিখুঁত মস্তিষ্ক প্রক্ষালনের ফল। মার্কিনি পুঁজি ঠিক যা বলে, মার্কিন মিডিয়া দুদিন পরে সেটাই ছাপায়, আর দুনিয়া জুড়ে 'প্রগতিশীল'রা ঠিক তার পিছনেই লাইন দিয়ে দাঁড়ান, সেটা নতুন পুঁজিরই কৃতিত্ব।  

     মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত এই দুই শক্তির তীব্র টক্কর চলছে। কেউই এগিয়ে বা পিছিয়ে নেই কয়েক দশক। ফলে সেনেট বা কংগ্রেসে কয়েক দশক ধরেই প্রায় অচলাবস্থা। এবার যেই জিতুক, দুম করে সেটা কেটে যাবেনা। তবে নতুন পুঁজি যে গতিতে উঠে আসছে, তা উপর উপর অপ্রতিহত মনে হয়। বছর কুড়ি আগে গুগল বা অ্যাপল বিশ্বশাসন করবে, ভাবাই যেতনা। এখন যায়। এই নির্বাচনের মরশুমেই ওপেন-এ-আই বার করেছে জিপিটি-৪, যেটা মানুষের চিন্তাপদ্ধতিকে প্রায় ধরে ফেলেছে বলাই যায়। মানুষের চিন্তন নিয়ে প্রবল গবেষণা না থাকলে এটা হয়না। ফলে আন্দাজ করা যায়, এই নতুন পুঁজি, এবার না হলেও, আগামী কিছুদিনের মধ্যেই বিশ্বশাসন করবে, প্রবল আধিপত্যসহ। ফুকো ক্ষমতার একটা তন্ত্রের কথা বলেছিলেন, যেটা মূলত কেন্দ্রহীন। সেই বয়ানটা বদলানোর সময় দ্রুতই এসে যাবে। কেন্দ্রসহ আধিপত্যের একটা তন্ত্র আমরা হয়তো শীঘ্রই দেখতে পাব। কী আকারে বলা মুশকিল। হয়তো দুই ধরণের পুঁজি যুদ্ধ করে, একদল জিতবে। অথবা কোনো একটা আপোস হবে। 

    এটা নেহাৎই বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা, পক্ষে বিপক্ষে কিছু না।  তবে পুঁজি-বিরোধিতার ক্ষেত্রে যেটা বলার, সেটা হল, পুরোনো ঘরানার পুঁজি-বিরোধিতার একটা বয়ান ইতিমধ্যেই আছে। সেটা ভালই কাজ করেছে, এবং বিরোধিতাটা ওই আকারেই চালিয়ে যাওয়া উচিত। কিন্তু নতুন পুঁজির যে চলন, তাকে প্রতিহত করার কোনো বয়ান এখনও হাতে নেই। এই অবস্থাটা এইভাবেই চললে, পুঁজি হয়তো পৃথিবীতে সম্পূর্ণ মতাদর্শগত আধিপত্য বিস্তার করে নেবে। পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথমবার। 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০৫ নভেম্বর ২০২৪ | ৯৪৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:dd93:982f:ce4c:***:*** | ০৫ নভেম্বর ২০২৪ ০৭:৪৩539121
  • এটা সৈকতবাবুর লেখা? এতোটা খাজা লেখা কমই পড়েছি। গুরুতে ​​​​​​​আজকাল এরকম ​​​​​​​কিছু লেখা ​​​​​​​পড়ি অবশ্য, কিন্তু তাই ​​​​​​​বলে ​​​​​​​সৈকতবাবু ​​​​​​​এরকম ​​​​​​​লিখবেন, ​​​​​​​বিশ্বাস ​​​​​​​হচ্ছে ​​​​​​​না। 
     
    ইয়ে, এই লাইনটার ​​​​​​​মানে ​​​​​​​কি? "এরা প্রচুর মিথ্যে তৈরি করে, দিনকে রাত করে, কিন্তু মগজের ভিতরে ঢুকে অ্যাজেন্ডা তৈরি করার ক্ষমতা নেই"
     
    মগজের ​​​​​​​ভেতর ​​​​​​​ঢুকে ​​​​​​​অ্যাজেন্ডা?!? 
     
     
  • s | 100.36.***.*** | ০৫ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:১৭539122
  • মোটের উপর লেখাটা বেশ সুপারফিশিয়াল মনে হল। টেবিলের বেশ কিছু এলিমেন্ট তলিয়ে ভাবা হয় নি। যেমন ট্রাম্প নাকি যুদ্ধ এবং দাদাগিরির বিরুদ্ধে। ট্রাম্প ইরাক যুদ্ধের বিরোধিতা করেছিলেন এই বলে যে অত কান্ড করে যখন যুদ্ধ করা হল তখন ইরাকের সব তেল নিয়ে আসা হল না কেন। আমি প্যারাফ্রেজ করে লিখছি। প্রেসিডেন্ট হবার পর ট্রাম্পের ন্যাশনাল সিকিওরিটি অ্যাড্ভাইসার হলেন জন বোল্টন, সিআইএ চিফ মাইক পম্পেও। সৈকতের কি জানা আছে এরা কত শান্তিপ্রিয়? ওবামা ড্রোন স্ট্রাইক অনেক কমিয়ে এনেছিলেন। ট্রাম্প আসার পর সেটা অনেক গুণ বাড়ল। ইরানের সাথে চুক্তি ভয়েড করে দেওয়া হল। কাসেম সুলেমানিকে অ্যাসাসিনেট করে অলমোস্ট যুদ্ধ বধিয়ে দিয়েছিলেন। জেরুসালেমে এম্ব্যাসি সরিয়ে নিয়ে প্যালেস্টিনিয়ানদের আরো ক্ষেপিয়ে দিলেন। সিরিয়াতে বম্বিং হল - 'যুদ্ধ না চাইবার' আর কত প্রমাণ চাই? অবশ্য ট্রাম্প ডিকটেটারদের বেশ শ্রদ্ধা ভক্তি করেন। বিবি নেতানিয়াহুকে ক্লিন চিট দিয়ে রেখেছেন। ট্রাম্পের জামাই বাবাজী অলরেডি গাজাতে ওশানফ্রন্ট কন্ডোমিনিয়াম বানানোর প্ল্যান ছকে ফেলেছেন। শান্তির পরাকাষ্ঠা একেবারে।

    আর পুঁজিবাদ নিয়ে লেখাতে অর্গানইজড লেবারের কোনো উল্লেখ নেই! বিগ টেকরা ডেমোক্রাট সাপোর্টার - এটা যাকে বলে সো ইয়েস্টারডে। এখন গুগল বা অ্যাপল উপরে উপরে খানিক নিউট্রাল ভাব বজায় রেখেছে, ইলেক্শানে ট্রাম্প জিতলে পুরো রিপাবলিকান হয়ে যাবে। ইলন আর যত ক্রিপ্টো ব্রো পুরো কাছাখোলা ট্রাম্প সাপোর্টার। মার্কবাবু খানিকটা হেলেছেন। ট্রাম্প আসলে পুরো হেলে পড়বেন। পুঁজিবাদের সবথেকে বড় অসুখ, যার নাম মোনোপলি, তারও কোনো উল্লেখ দেখলাম না। বাইডেন অ্যাডমিনিস্ট্রেশান গত কয়েক দশকের মধ্যে সব থেকে বেশি অরগানাইজড লেবার ফ্রেন্ডলি। NLRB, এফটিসি চেয়ার লিনা খান, ডিওজে অ্যান্টাই ট্রাস্ট ডিভিশনের হেড জোনাথান ক্যান্টর, সিএফপিবির রোহিত চোপরা এদেরো নাম দেখলাম না। এরা সবাই এলিজাবেথ ওয়ারেনের হাতে তৈরি। এলিজাবেথ ওয়ারেনের নামও পেলাম না। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল প্রতি সপ্তাহে লিনা খানকে নিয়ে একটা এডিটোরিয়াল লেখে। সৈকত কি পড়ে দেখেছেন লিনা খান কেমন ভিমরুলের চাকে ঢিল ছুঁড়েছেন? আশা করি সৈকত ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে ডেমোক্রাট বলে মনে করেন না। যাদের নাম করলাম এদে জন্যে সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রি, বিগ টেক, ক্রিপ্টো - সবাই ডেমোক্রাট বিরোধি এখন।
    নতুন পুঁজিকে সামাল দেবার জন্যে যারা কাজ করবার ঠিকই করে যচ্ছেন। ইনসিডেন্টালি এরা সবাই ডেমোক্রাটিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সাথে যুক্ত।
  • s | 100.36.***.*** | ০৫ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:২৪539123
  • ডেইলি শো আর হাসান মিনাজের সাথে লিনা খান-




    আমাজনের কথা বলতে ভুলে গেছি। বাইডেন-্হ্যারিস FTC আমাজনের বিরুদ্ধে কেস এনেছে। আবার জেফ বেজোস ওয়াশিংটন পোস্টের এডিটোরিয়াল বোর্ডকে ওভাররাইড করে কমলা হ্যারিসকে এনডোর্স করতে দেননি। কিছু কার্য কারণ সম্পর্ক আছে বলে মনে হচ্ছে?
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:dd93:982f:ce4c:***:*** | ০৫ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৩৯539124
  • s তো তাও ডিটেলে লিখলেন, আমিও প্রথমে ভেবেছিলাম কিছু পয়েন্ট লিখবো, তারপর দেখলাম শুরু থেকে শেষ অবধি এতো ভুলভাল অ্যানালিসিস যে উৎসাহ হারিয়ে ফেল্লাম। 
     
    সবথেকে বড়ো পয়েন্ট হলো, ম্যানুফাকচারিং ইন্ডাস্ট্রি, যাদের কিনা "পুরনো পুঁজিপতি" বলা হচ্ছে, তারা নাকি গ্লোবালাইজেশানের বিরুদ্ধে?! গ্লোবালাইজেশান ব্যাপারটা শুরুই তো হয়েছিল ম্যানুফাকচারিং আর বিগ অয়েলের হাত ধরে! সৈকতবাবু নিওলিবারালিজমের গোড়ার কথা কিভাবে ভুলে গেলেন জানিনা। আরেকটা ব্যাপার হলো, ফাইন্যান্স গ্লোবালাইজেশানের সবথেকে বড়ো ভূমিকা যাদের, সেই হেজ ফান্ড বা রিস্ক ক্যাপিটাল এর উল্লেখ নেই?  
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:dd93:982f:ce4c:***:*** | ০৫ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৪৮539125
  • আর ট্রাম্পের সো কলড যুদ্ধবিরোধিতা? ট্রাম্পের আস্তাবলের নিওকন ঘোড়াগুলো খুব করে চিঁহি করছে laugh
     
    এটা একটা পুরনো রাইট উইং প্রোপাগান্ডা, এ নিয়ে গুরুতে আগেও অনেক লিংক দেওয়া হয়েছে, তাও আবার দিয়ে দিঃ 
     
     
    Let’s review the record. Despite inveighing against “endless wars,” Trump massively escalated the country’s existing wars in multiple theaters, leading to skyrocketing casualties. In Afghanistan, he substantially upped the amount of airstrikes, leading to a 330 percent increase in civilian deaths. In Yemen, he escalated both U.S. counterterrorism activities and support for the devastating Saudi-led war against the Houthis. According to the United Kingdom’s Bureau of Investigative Journalism, there were 2,243 drone strikes in just the first two years of Trump’s presidency, compared with 1,878 in the entire eight years of the Obama administration.
    Trump also came very close to tweeting the country into a nuclear war with North Korea in late 2017 and early 2018, a completely self-inflicted incident that seems to have been bizarrely memory-holed. Trump “didn’t merely threaten to attack North Korea if it possessed the ability to strike the U.S.,” wrote the Intercept’s Jon Schwarz. “He ordered the Pentagon to develop new plans, over the resistance of then-Secretary of Defense James Mattis, to do so.” According to former Pentagon official and Asia security expert Van Jackson, who wrote a book about the crisis, “The world was closer … to nuclear war, at that time than any time, since the Cuban Missile Crisis. And it was totally avoidable.”
    In 2018, Trump bowed to Washington’s neoconservative hawks and withdrew from a working nonproliferation agreement with Iran, resulting in Iran scaling up both its provocative activities in the region and its nuclear program. According to current U.S. assessments, Iran could now make enough fissile for one nuclear bomb in under two weeks, should it decide to do so. Under the agreement Trump abandoned, it would’ve taken Iran at least a year.
     
    The U.S. drone strike that killed Maj. Gen. Qassem Soleimani, the long-time leader of Iran’s paramilitary Quds Force of the Islamic Republican Guard Corps, comes when the United States is at a dangerous crossroads in the Middle East. Soleimani was responsible for many of Iran’s most important relationships, including with paramilitary groups in Iraq, the Lebanese militant group Hezbollah, and Palestinian terrorist groups like Hamas, among many others. In many countries, he and the Quds Force basically controlled Iranian policy.
     
    Trump the anti-war president was always a myth
    Let the record show: Trump poured fuel on our endless wars and kicked diplomacy to the curb.
     
     
     
  • s | 100.36.***.*** | ০৫ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৫২539126
  • ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রি আবার খানিকটা ফিরে আসছে। তার প্রধান কারণ হল বাইডেনের ইনফ্লেশান রিডাক্শান অ্যাক্ট বা IRA তে অনেক সাবসিডি দেওয়া হয়েছে। ট্রাম্পের সময় ম্যানুফ্যাকচারিং এর নেট লস হয়েছিল। ফক্সকন বিশাল প্ল্যান্ট বানাবে উইসকনসিনে - এই নিয়ে কত নাটক। কেরিয়ার কোম্পানিতে গিয়ে পোজ দিয়ে অনেক ফটো তোলা হল আর তারপরেই কেরিয়ার চাঁটিবাটি গুটিয়ে মেক্সিকো পালিয়ে গেল।
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:dd93:982f:ce4c:***:*** | ০৫ নভেম্বর ২০২৪ ০৯:০৩539127
  • ম্যানুফাকচারিং এর অফশোরিং, অনশোরিং, নিয়ারশোরিং, সাপ্লাই চেন রেজিলিয়েন্স, ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্ট্র‌্যাটেজি ইত্যাদি ইত্যাদি নিয়ে অনেক কিছু লেখা যায়। ট্রাম্প নাকি নাফটা আর চীনের ঘোর বিরোধি, ওদিকে বাইডেন চীনের বিরুদ্ধে কড়া কড়া আইন পাশ করাচ্ছেন, হুয়াওয়েই কে আমেরিকার থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য করছেন, সেদিকে আবার চীন চুপচাপ ফুলে ছাপ দিয়ে মেক্সিকোতে একগাদা ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রি সেট আপ করে সেখান থেকে আমেরিকার বর্ডার পার করছে। এতোসব ফ্যাক্টর ইগনোর করে "পুঁজির চলন" লেখা যায় নাকি? 
  • hu | 2405:8100:8000:5ca1::40a:***:*** | ০৫ নভেম্বর ২০২৪ ০৯:১২539128
  • লেখাটায় মামাটিমানুষের জয় নেই কেন?
  • Pk | 49.207.***.*** | ০৫ নভেম্বর ২০২৪ ১০:০৪539130
  • শারুখ  খানকে  বাঁদর হনুমান এ সবো লেখেন  নি. কেনো ? 
  • | ০৫ নভেম্বর ২০২৪ ১০:০৬539131
  • hu এর মন্তব্য আমাদের হুচির? নাকি নোড মাস্কিং হতেই সক পাপেটিং শুরু হয়ে গেল? 
  • Guru | 2401:4900:735a:c6ce:aa03:b878:67cd:***:*** | ০৫ নভেম্বর ২০২৪ ১২:৩৫539134
  • @s, ট্রাম্পের মূল সমস্যা ইসলামোফোবিয়া l আরেকটা ব্যাপার জো বাইডেন প্রশাসন কেন ইসরায়েলকে ২২ বিলিয়ন ডলার পাঠালো গত একবছরে প্যালেস্টাইনে গণহত্যা করবার জন্যে l স্বয়ং ক্লিনটন আর ওবামা কেন গত সপ্তাহে মিশিগানে ইসলামোফোবিক বক্তব্য রাখলেন আর জেনোসাইড কে সমর্থন করলেন ? দেখুন, আমি খুব সাধারণ তৃতীয় দুনিয়ার গরিব ন্যালাখেপা মানুষ , গুরুর মহারথীদের মত এক্সপার্ট নই , আমার ধারণা পুরোনো পুঁজি , নতুন পুঁজি ট্রাম্প কমলা সব কটাই যুদ্ধবাজ জায়নবাদী ধনকুবেরদের হাতের পুতুল l 
  • X | 2001:67c:2628:647:9::***:*** | ০৫ নভেম্বর ২০২৪ ১২:৪৩539135
  • এসবই মোটাদাগের ন্যারেটিভ। ওই সোভিয়েত স্টাইলে ভাবা ছেড়ে ইতিহাসের বোরিং কনক্লুশন লিখুন।অপর্চুনিস্টিক পলিটিক্স ছাড়া কারোরই কোনো লংটার্ম প্ল্যান নেই। মাগা কমিউনিজম শুনেছেন ? এই হচ্ছে সাইকেল কমপ্লিট হওয়া। বাস্তিল থেকে ক্যাপিটল হিল। মানব সভ্যতার মিড্ লাইফ ক্রাইসিস চলছে।
  • . | ০৫ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:০৩539136
  • 07:25 Uhr
    Erstes Wahlergebnis in Sechs-Einwohner-Dorf
    Die allererste Entscheidung der US-Präsidentschaftswahlen ist gefallen: In dem kleinen Örtchen Dixville Notch im Bundesstaat New Hampshire erzielten die Demokratin Kamala Harris und ihr republikanischer Gegenkandidat Donald Trump mit 3 zu 3 Stimmen ein Unentschieden, wie dort kurz nach Mitternacht (Ortszeit) auf einer handbeschriebenen Tafel verkündet wurde. Die Wahlbeteiligung betrug 100 Prozent.
     
    ট্রান্সলেটরে ফেলে অনুবাদ করে নিন।
    এখানে ছজন ভোটারের ভোটে ড্র হয়েছে 
  • Tirtho Dasgupta | ০৫ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:৩৬539137
  • আইডোয়লজিকাল লেভেলে, মানে মগজে ঢুকে অ্যাজেন্ডা বানায় না ট্রাম্পাইটরা  কে বলল? আসল খেলাটা তো ওখান থেকেই শুরু হয়েছে । কিউ- অ্যানন  , অল্টরাইট , ট্র্যাড ওয়াইভস, বিগ বয়েজ, অ্যান্টি-ডক্সারস , ক্লাইমেট ডিনায়ার, ওয়াইট লাইফ ম্যাটার -  লিখে শেষ করা যাবেনা এত গ্রুপ যারা একটা কাউন্টার-কালচার মুভমেন্ট তৈরি করেছে । ট্র্যাডিশনাল ম্যানোস্ফিয়ারের অংশ এই গ্রুপ গুলো ঘোষিত ভাবে অ্যান্টি-লিবারেল । আমেরিকাতে যে ট্রাম্পিজম তৈরি হয়েছে তার মূল সদস্য এই গ্রুপগুলো ।  এর মধ্যে কিছু লেফট উইং গ্রুপ ও আছে । এই মুভমেন্ট আধুনিক জেন্ডার রেইস  এনভায়রনমেন্ট সংক্রান্ত যে তথাকথিত প্রগতিশীল রাজনীতি তাকে স্যাবাটোজ করছে এবং তার থেকে ও বড় ব্যাপার, আমেরিকান কনজারভেটিভ এলিট অংশটাকে সরিয়ে দিয়ে দক্ষিণপন্থী রাজনীতির প্রধান মুখ হয়ে দাঁড়িয়েছে । সেই কারণে রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে ট্রাম্পের কাছে কেউ দাঁড়াতে পারছেনা । ব্রিটেইন ও নাইজেল ফারাজের পার্টি একই কান্ড করছে । আমেরিকার রাজনীতির আভ্যন্তরীণ মতাদর্শগত সংঘাতে লিবারালিজমের বিরোধিতায় বিরোধিতায় ট্রাম্পিজমের গুরুত্ব অপরিসীম ।
  • আদি hu | 72.24.***.*** | ০৫ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:৩৬539141
  • উপরে hu নামে যিনি লিখেছেন তিনি আমি নই। আমি যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে hu নামে লিখি তাই অনুরোধ রইল অন্য একটি নাম নেওয়ার। 
  • সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় | ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ০৫:৫১539155
  • ওরে বাবা, আমাকে যে আপনারা ধুইয়ে দিয়েছেন। কিন্তু বাদীপক্ষেরও কিছু বলার আছে। কিন্তু এই ইলেকশনের দিনে নয়। angel
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:49cd:6cbb:ea6f:***:*** | ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ০৭:২৪539156
  • অবশ্যই লিখুন :-) ইভোলিউশান অফ ক্যাপিটাল, গত কুড়ি বা তিরিশ বছরের নানা ট্রেন্ড - এসব নিয়ে বিস্তারিত প্রবন্ধ লেখার সুযোগ আছে। বিশেষ করে, এমার্জেন্স অফ হেজ ফান্ড আর প্রাইভেট ইকুইটি আমার মতে আলাদা চ্যাপ্টার হওয়া উচিত। 
  • PRABIRJIT SARKAR | ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৪৩539157
  • আমেরিকায় দুটো দলের মধ্যে বিশেষ পার্থক্য নেই। এখন একটা বড় পার্থক্য হল ট্রাম্প। কোন রাখ ঢাক নেই। মুসলিম বিদ্বেষ আর ইসরাইল প্রেম। ইস্রাইলের শাসক শ্রেণী আশা করেনি জেরুজালেম কে রাজধানী মেনে আমেরিকান এমবাসি ওখানে নিয়ে যাবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন