এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • আরজি কর, শোনা যাওয়া কথা এবং অনিতা অগ্নিহোত্রী 

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ০৮ মার্চ ২০২৫ | ৩৪১ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • "শোনা যাচ্ছে, কর্মরত ডাক্তার মেয়েটি নিহত হয়েছিলেন একরোখা প্রতিবাদ করতে গিয়ে। যে বিপুল দুর্নীতির ঊর্ণাজালে তিনি দুলছিলেন পতঙ্গের মতো, তা একার চেষ্টায় ছিঁড়ে দিতে গিয়ে অত্যাচারিত, নিহত হয়েছিলেন। সম্ভবত একাধিক ব্যক্তির হাতে, যারা কর্মক্ষেত্রে তাঁর পরিচিত। তিনি হয়তো ভাবতে পারেননি প্রত্যাঘাত এই ভাবে, এই চেহারায় আসবে। আর তাঁর হত্যার ঠিক পরেই ঘটনাস্থল থেকে সাক্ষ্যপ্রমাণ নিপুণ ভাবে ঘষে তুলে দেওয়ার অভিযোগও উঠবে শাসকের বিরুদ্ধে।" -- আজ অনিতা অগ্নিহোত্রী এই ​​​​​​​কথাগুলো ​​​​​​​লিখেছেন ​​​​​​​আনন্ন্দবাজারে ​​​​​​​তাঁর ​​​​​​​উত্তর ​​​​​​​সম্পাদকীয়তে। কথাগুলো ​​​​​​​একেবারেই ​​​​​​​নতুন ​​​​​​​নয়। ​​​​​​​গোটা ​​​​​​​আরজিকর ​​​​​​​আন্দোলনপর্বটাই ​​​​​​​তো ​​​​​​​দাঁড়িয়ে ​​​​​​​আছে ​​​​​​​"শোনা ​​​​​​​যাচ্ছে"র ​​​​​​​উপরে। ​​​​​​​শুধু ​​​​​​​আরজিকরই ​​​​​​​বা ​​​​​​​কেন, ​​​​​​​এর ​​​​​​​আগে ​​​​​​​সুশান্ত ​​​​​​​সিং ​​​​​​​রাজপুতের ​​​​​​​মৃত্যু নিয়ে জনতার ​​​​​​​ক্ষোভের ​​​​​​​কেন্দ্রেও ছিল, ​​​​​​​"শোনা ​​​​​​​যাচ্ছে"। ​​​​​​​স্রেফ "শোনা যাচ্ছে"র উপর দাঁড়িয়েই, আস্ত ​​​​​​​বাঙালী ​​​​​​​নারীজাতিকে ​​​​​​​গোবলয়জুড়ে ​​​​​​​দাগিয়ে ​​​​​​​দেওয়া ​​​​​​​হল ডাইনী, ​​​​​​​কালা-যাদু ​​​​​​​করে ​​​​​​​এইসব ​​​​​​​আখ্যায়। ​​​​​​​কখনও ​​​​​​​তার প্রকরণ ​​​​​​​নিয়ে ​​​​​​​কোনো ​​​​​​​নারীচিন্তকের ​​​​​​​সুচিন্তিত লেখা পড়েছি ​​​​​​​বলে ​​​​​​​মনে ​​​​​​​করতে ​​​​​​​পারিনা।

    যাইহোক, আরজিকরের ক্ষেত্রে আমরা মোটামুটি জানি, এই "শোনা যাচ্ছে"র উৎসগুলো কী। আগস্টের ৯ তারিখ ঘটে ঘটনাটা। পুলিশ এবং প্রশাসন ব্যাপারটা কোনোমতে শেষ করে, চাপাচুপি দিয়ে দিতে পারলে বাঁচত। আদালতে সেই নিয়ে, ধমকানিও খেয়েছে তারা। সন্দেহের একটা উৎস সেটা। কিন্তু স্রেফ সন্দেহ থেকেই তো "শোনা যাচ্ছে"র উৎপত্তি হয়না। তার জন্য সুনির্দিষ্ট করে কাউকে কিছু বলতে হয়। বা কিছু মালমশলা তৈরি করতে হয়। এক্ষেত্রে গোটা চারেক এরকম উৎস তো পাওয়া যায়ই।  

    ১। উৎস এক। চিকিৎসক। ঘটনাটা ঘটে ৯ তারিখ। ময়নাতদন্ত হয়ে যাবার পর, তার রিপোর্ট দেখে ডাক্তার সুবর্ণ গোস্বামী আগস্টের ১২ তারিখ আনন্দবাজার অনলাইনে বলেনঃ  "পোস্টমর্টেম রিপোর্টে যা লিখেছে, তাতে একটা হিউজ পরিমান, প্রায় দেড়শো গ্রামের বেশি লিকুইড স্যাম্পল তারা পেয়েছে, সেটা হয়তো কিছুটা রক্তমাখা সিমেন হতে পারে, কিন্তু এতটা ভারি স্যাম্পল, আমাদের যা মনে হয়, এটা একজনের বীর্য হতে পারেনা।"  এর ভিডিও অনলাইনে ছিল এবং আছে। সংবাদের শিরোনাম ছিল "‘এক জনের পক্ষে সম্ভব নয়’, দাবি সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের"।

    দেড়শো-গ্রাম বীর্য এবং কাজটা বহুজনের, এই কথা "শোনা যাওয়ার" মোটামুটি এইটাই সূত্র। যদিও আক্ষরিক অর্থে সুবর্ণ দেড়শো-গ্রাম বীর্যের কথা বলেননি, লিকুইড স্যাম্পলের কথা বলেছিলেন, কিন্তু যেটা বলেছিলেন সেটাও ভুল। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এখন সবার কাছেই আছে, বিশেষজ্ঞরা মতামতও দিয়েছেন, যে, দেড়শো-গ্রামটা কেটে নেওয়া অঙ্গের ওজন, লিকুইড স্যাম্পলের না। 

    ২। উৎস দুই। উকিল। এর পরের দিন, অর্থাৎ ১৩ তারিখ, হাইকোর্টে একটি শুনানি হয়। মৃতার বাবা-মার হয়ে সেখানে সওয়াল করছিলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। সেখানে তিনি খুব স্পষ্ট করে বলেন, কাল (অর্থাৎ ১২ তারিখ) যখন উনি ওই জায়গায় (আরজি করেই হবে) সহমর্মিতা জানাতে গিয়েছিলেন, তখন, ফরেনসিক এক্সপার্টের সঙ্গে কথা হয়। তিনি পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দেখে বলেছেন, এই ধরণের আঘাত একজনের পক্ষে করা সম্ভব না। অনেক লোকের অনেক কাজকর্ম থাকতেই হবে। 
    রাজ্য সরকারের উকিল এই শুনে আপত্তি করেন। কিন্তু বিচারক বলেন, ওরা বলছে প্রাইমাফেসি এভিডেন্স অনুযায়ী এই জিনিসটা একজনের কাজ হতেই পারেনা। সরকারী উকিল তাতেও আপত্তি করেন। বিকাশ উত্তরে জোর দিয়ে বলেন, সরকারি হেল্থ সিস্টেমে কাজ করা এক্সপার্ট, এই কথা বলেছেন। দরকার হলে নামও দিতে পারেন। বিচারক বলেন, দরকার নেই। বিকাশ আবারও জোর দিয়ে বলেন, একাধিক জন জড়িতই। এক্সপার্টের নামটা আর বলেননি, প্রাইমাফেসি এভিডেন্স হিসেবে ব্যাপারটা উপস্থাপিত হয়, এক্সপার্টের নাম-ধাম ছাড়াই।

    বিশেষজ্ঞের নামটা এখানে খুবই জরুরি ছিল, কারণ পরবর্তীতে দেখা যায়, এই 'তথ্য'টাও ভুল। সারা ভারতের সেরা বিশেষজ্ঞরা আঘাতের ধরণ পরীক্ষা করে জানিয়েছেন, একজনের পক্ষে ব্যাপারটা সম্ভব শুধু না, ধরণ দেখে বোঝা যাচ্ছে ওটা সম্ভবত একজনেরই  কাজ। উদ্ধৃতি গুলো হুবহু নয়, প্যারাফ্রেজ করা। তবে বক্তব্যগুলো এরকমই। বিকাশের সওয়াল এবং রায়, সবই অনলাইনে আছে, হুবহু উদ্ধৃতি যে কেউ শুনে নিতে পারেন। 

    ৩। উৎস তিন। ফেসবুক। এর তারিফ নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব না।  তবে বহুজনের কাজ এটা নিশ্চিত হবার পরে ইন্টারনেট জুড়ে অপরাধী 'চিহ্নিত' করে ফেলা হয়। তবে ১৪ই আগস্ট রাতদখলের আগেই একাধিক পোস্টার ছড়িয়ে পড়ে চতুর্দিকে। যেখানে পাঁচজন জুনিয়ার ডাক্তারকে চিহ্নিত করে ফেলা হয়। সেটাও বেশ 'রাজনৈতিক'। 'অপরাধী'দের বেশিরভাগই সংখ্যালঘু। একজন আবার শাসক দলের নেতার ছেলে। পরে জানা যায়, যে, সেই পরিচয়টাও ভুয়ো। এই পোস্টারের নামগুলো ইচ্ছে করেই বললাম না। কিন্তু ইন্টারনেট খুঁজলে এখনও পাওয়া যাবে, বস্তুত সেইসব গণবিচার এবং গণপিটুনির আহ্বান। 

    ৪। উৎস চার। হোয়াটস্যাপ। বহুলোক এর কাজ নিশ্চিত, অপরাধীও চিহ্নিত, এরপর একট মশলা জোগাতে ইন্টারনেট জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে মহিলা কণ্ঠের ধারাবিবরণী। আমি সোমা বলছি। যৌন নিপীড়নকে কীকরে পাবলিকের ফ্যান্টাসিতে সুড়সুড়ি দেবার  মতো করে সরবরাহ করা যেতে পারে, এটা তার চমৎকার উদাহরণ। জানা যায়, এমনকি একটা মেয়েও জড়িত ছিল, পুরো কাজে। ঝপাঝপ ফ্যান্টাসি ছড়িয়ে পড়ে। কীভাবে একটা মেয়ে হাত চেপে রেখেছিল, যখন বাকি ছেলেরা অত্যাচার করছিল। পাবলিক হাঁ করে গেলে। 

    তো, এর বাইরেও খুচখাচ জিনিস আছে। যেমন পরের পর্বে খবরের কাগজের রটানো গুজব আছে। কিন্তু রাতদখলের আগে পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়া গুজব এগুলোই। এর মধ্যে দুটো সরাসরি নাম আছে। বিকাশরঞ্জন কেন বলেছিলেন কথাটা, জানা নেই। হতে পারে, ওই এক্সপার্ট নেই, অথবা তিনি এক্সপার্ট না, কিংবা অন্য কিছু, কিন্তু সেটা জানা নেই। আদালত কেন নাম জানতে চায়নি, সেটাও জানা নেই। সুবর্ণ গোস্বামী কেন ওই কথাটা বলেছিলেন, সেটাও জানা যায়নি। পরে টিভিতে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ১৫০ গ্রাম প্রসঙ্গে বললেন, "...কী দেড়শো গ্রাম, আমার কী দেখেছেন আপনি?  দেড়শো গ্রাম, একশ একান্ন গ্রাম ... অভয়ার পোস্ট মর্টেম রিপোর্টে যে নমুনার কথা বলা আছে, তাতে সাদা চটচটে থকথকে তরল পদার্থ, তা বীর্য হতে পারে, যদি পরীক্ষায় ল্যাবরেটারিতে প্রমাণিত হয়, এবং সেই বীর্যের ডিএনএ টেস্ট করলে দেখা যাবে দলবদ্ধ ধর্ষণ হয়েছে কিনা..." । বিকাশবাবুকে কোনো প্রশ্ন অবশ্য কেউ করেননি। 

    ফলে এগুলো কেন হয়েছিল, আমাদের জানা নেই, কিন্তু আদালতে একজন উকিলের বয়ান (যেটা ভুল), ময়নাতদন্ত দেখে একজন ডাক্তারের বয়ান (যেটা ভুল), ফেসবুক এবং হোয়াটস্যাপের গুজব, আর সঙ্গে উচ্চগ্রামের ইলকেট্রনিক মিডিয়া, সব মিলিয়ে তৈরি হয়েছিল এই "শোনা যাচ্ছে"। এতই শক্তিশালী ছিল এই "শোনা যাচ্ছে", যে আদালতে বিচারক অবধি কোথা থেকে শোনা যাচ্ছে জানতে চাননি। বঙ্গের বুদ্ধিজীবীরা তো না ই। কিছু কিছু সময় আসে, যখন সুশান্ত সিং রাজপুত মারা যান, তখন সব যুক্তি-বুদ্ধিকে, সব প্রশ্নকে শিকেয় তুলে রাখতে হয় - এ ছিল তেমনই এক প্রমাণ। 

    এতে লাভের লাভ এই হয়েছে, যে, সংবাদমাধ্যম এবং বঙ্গের বুদ্ধিজীবীগণ তাঁদের বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পূর্ণ হারিয়েছেন। এটা একেবারেই ভালো ব্যাপার না। এবং তাঁরা যে স্রেফ "শোনা যাচ্ছে"তে গা ভাসিয়েছেন, এটা কোনো সুস্থ বুদ্ধিসম্পন্ন লোকের কাছে প্রত্যাশিতও না। ওরকম তো দাঙ্গা বা গণপিটুনির সময় হয়। সে যা করেছেন করেছেন, কিন্তু ছমাস পরে অন্তত নিজেকে প্রশ্ন করা উচিত। ফিরে তাকানো উচিত। তা না করে অনিতা অগ্নিহোত্রী আবারও সেই "শোনা যাচ্ছে"তে ফিরে গেছেন দেখে আশ্চর্য হলাম। আমি যেগুলো লিখেছি, সবই সর্বজনের হাতের কাছে থাকা তথ্য, এগুলো ওঁর বা ওঁদের এমনিই জানার কথা। তার কোনো প্রতিফলন লেখায় নেই দেখে আশ্চর্য হলাম। হতে পারে কোনো কারণে পড়েননি। হতে পারে, "শোনা যাচ্ছে"র কানাগলিতে ঢুকে পড়ার পর আর বেরোনোর রাস্তা নেই। অন্য কিছুও হতে পারে। সূত্রগুলো বলেই দিলাম। এবার খোলসা করে দিলে জেনে নেব। 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০৮ মার্চ ২০২৫ | ৩৪১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • r2h | 208.127.***.*** | ০৮ মার্চ ২০২৫ ২১:২৬541537
  • অনিতা অগ্নিহোত্রীর লেখা ছোটবেলা থেকে পড়ে মুগ্ধ হয়েছি, গুরুর গল্পপাঠ সংকলনে অনিতা অগ্নিহোত্রীর গল্প যুক্ত হয়েছিল বলে গর্বিত হয়েছিলাম।
    তাঁর মত মানুষ 'শোনা কথা' নিয়ে, আজকের এই শোনা কথা ও সোশ্যাল মিডিয়াবাহিত গুজবের মহামারীর যুগে এত বড় আখ্যান তৈরি করলে... মনে হয় তার মানে অনেক কিছুই কি ভুল ছিল?
    খুবই দুঃখজনক সময়।

    এই লেখার সঙ্গে, একই সঙ্গে, মনে হল এটাও পড়া উচিতঃ নারী দিবসের ভাবনা: অভয়া যদি সে রাতে বেঁচে যেত
    ডঃ সুস্মিতা ঘোষ
  • aranya | 2601:84:4600:5410:9d68:6af7:ebd3:***:*** | ০৯ মার্চ ২০২৫ ০৮:৪৮541546
  • 'বিশেষজ্ঞরা আঘাতের ধরণ পরীক্ষা করে জানিয়েছেন, একজনের পক্ষে ব্যাপারটা সম্ভব শুধু না, ধরণ দেখে বোঝা যাচ্ছে ওটা সম্ভবত একজনেরই  কাজ'
     
    - এটা কি সত্যি? 'সম্ভবত একজনেরই  কাজ' - এটা বিশেষজ্ঞরা বলেছেন? নাকি বলেছেন যে একজনের পক্ষেও করা সম্ভব ? 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:9d68:6af7:ebd3:***:*** | ০৯ মার্চ ২০২৫ ০৯:১১541547
  • আরও একটা প্রশ্ন - সিভিক ভলান্টিয়ারের ইয়ার ফোন গদির নিচে ঢোকে কিভাবে ? 
    গদির উপরে মৃতদেহ, আর গদির নিচে ইয়ার ফোন - এটা কিভাবে সম্ভব, যদি কেউ গদির নিচে না ঢুকিয়ে থাকে ? 
  • চোপ আদালত চলছে | 2405:8100:8000:5ca1::256:***:*** | ০৯ মার্চ ২০২৫ ১১:১৪541551
  • কোনও প্রশ্ন নয়। সরকার মহান। তদন্ত মহান। বিচার মহান।
  • . | ০৯ মার্চ ২০২৫ ১২:১৮541554
  • অরণ‍্য
    ভাগ‍্যিস আপনি লেখক নন। তাহলে গুরু আপনার লেখা বই কখনই ছাপত না।
    (রসিকতা)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন