এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • চাকরি গেল ২৬০০০ 

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ০৪ এপ্রিল ২০২৫ | ২৮০৫ বার পঠিত
  • রায়টা পুরোটা পড়লাম। সারসংক্ষেপ বলতে তিনটে পয়েন্ট। এক, দুর্নীতি এবং বেনিয়ম হয়েছে। এই নিয়ে রায়ে এবং পড়ার পর আমার কোনো সন্দেহ নেই।  দুই,  এই রায়টা ন্যাচারাল জাস্টিসের যে নীতি (নির্দোষরা যেন শাস্তি না পায়), সেই নীতি ​​​​​​​মেনে ​​​​​​​হয়নি। ​​​​​​​এটা ​​​​​​​আগে সমাজমাধ্যমেই ​​​​​​​​​​​​​লিখেছিলাম। তিন, মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলনে যে তথ্যটা দিয়েছেন, যে, কাউকে টাকা ফেরত দিতে হবেনা, সেটা ভুল। 

    এবার, ​​​​​​​আরেকটু ​​​​​​​গভীরে ​​​​​​​ঢুকে ​​​​​​​দেখা ​​​​​​​যাক, ​​​​​​​কেন ​​​​​​​দুর্নীতি। ​​​​​​​২০১৬ সালে এসএসসি পরীক্ষার কোনো ওএমআর শিট পাওয়া যায়নি, ওগুলো নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সেটা নিয়ম মেনেই, এসএসসি বলেছে, আদালতও আংশিকভাবে একমত হয়েছে। এসএসসির সার্ভারে স্ক্যানড কপিও পাওয়া যায়নি। তাহলে দুর্নীতি বোঝা গেল কীকরে? এসএসসির দুই ভেন্ডার, তাদের কাছে আলাদা করে স্ক্যানড কপিগুলো পাওয়া গেছে। মিলিয়েও দেখা হয়েছে। এসএসসিও সেখান থেকেই ডেটা নিত (এটা আইনী না বেআইনী  বলা নেই, ধরে নিচ্ছি আইনী বা ধূসর এলাকায় পড়ে)। এই স্ক্যানড কপি এবং এসএসসির সার্ভারে থাকা নম্বর মিলিয়ে দেখা গেছে, অনেক ক্ষেত্রে গরমিল আছে। এই মেলানোর কাজটা এসএসসিই করে কোর্টে দিয়েছে। এর অনেকগুলো সারণী আছে রায়ে। আমি সারসংক্ষেপটা দিলামঃ 
    ১। প্যানেলের বাইরের ১৪৯৮ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। 
    ২। ৯২৬ জনের র‌্যাঙ্ক বদলানো হয়েছে। 
    ৩। ৪০৯১ জনের ওএমআরে গরমিল ধরা পড়েছে। 
    সব মিলিয়ে ৬২৭৬ জন। এর মধ্যে বেশিরভাগ অংশটাই কিন্তু অশিক্ষক কর্মচারী। যেমন, ওই ৪০৯১ এর মধ্যে ২৫২৩ জনই অশিক্ষক।ফলে ২৬০০০ নিয়োগের মধ্যে ৬২৭৬ টা কেসে, যার বেশিরভাগ অংশটাই অশিক্ষক, দুর্নীতি, বেনিয়ম অবশ্যই হয়েছে। 

    কিন্তু তার পরেও বিচারটা ন্যাচারাল জাস্টিসের নীতি মেনে হয়নি। কেন হয়নি? বিচার এবং তদন্তটা কেমন হবার কথা ছিল? খুবই সাধারণজ্ঞান বলে, ৬২৭৬ টা গরমিল থেকে শুরু করা উচিত। অবশ্য হিসেবটা এসএসসি দিয়েছে, তারা কিছু ঢেকেচেপে দেখাতেও পারে। তদন্তকারী সংস্থার উচিত, ২৬০০০ ওএমআর স্ক্যান ধরে মিলিয়ে দেখা, কোথায় কোথায় গরমিল। তারপর সেটা থেকে কারা এই গরমিলে যুক্ত, তাদের চিহ্নিত করা। কেন খুঁজে বার করা, এবং বিচারপ্রক্রিয়ায় নিয়ে আসা। এটাকেই বলে তদন্ত এবং ন্যাচারাল জাস্টিসের প্রক্রিয়া, যাতে করে প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পায় এবং কোনো নির্দোষ সাজা না পায়। 

    এর কোনোটাই হয়েছে বলে রায়ে দেখলাম না। পুরো আলোচনাটাই হয়েছে, প্যানেল বাতিল করা হবে কি হবেনা, সেটুকু নিয়ে। আদালত বহু পুরোনো কেস নিয়ে আলোচনা করে কয়েকটা নীতিতে পৌঁছেছে, যার ভিত্তিতে এই বিচারঃ 
    ১। যদি নিয়োগে পদ্ধতিগত জালিয়াতি হয়, পদ্ধতিটার ইন্টিগ্রিটি আন্ডারমাইন করা হয়, তাহলে পুরো ফলাফলটাই বাতিল করে দিতে হবে।  যদিও যতটা সম্ভব, স্বচ্ছতার সঙ্গে অসৎ এবং সৎদের আলাদা করতে হবে। (এর কোনো লক্ষণ রায়ে নেই)
    ২। পুরো প্রক্রিয়াটাই বাতিল করে দেবার জন্য স্বচ্ছ এবং পুঙ্খানুঙ্খ তদন্ত করে সন্তোষজনক মালমশলা প্রয়োজন। কিন্তু  পদ্ধতিগত বেনিয়ম যৌক্তিক সন্দেহের ঊর্ধ্বে প্রমাণিত হবার দরকার নেই। মোটামুটি ঠিক হলেই হবে। এবং প্রোবাবিলিটি টেস্ট প্রয়োগ করা যেতে পারে। (সংশয়ের ঊর্ধ্বে উঠে প্রমাণের দরকার নেই, আর প্রোবাবিলিটি টেস্ট, এই দুখানাই ন্যাচারাল জাস্টিসের উল্টো। সংখ্যাতাত্ত্বিক ভাবে গরীব লোকেরাই চুরি করে, অতএব গরীব হওয়াটা চুরির পক্ষের যুক্তি, এটা ন্যাচারাল জাস্টিস নয়) 

    এর পর আরও দুটো নীতি আছে, লিখলাম না। যেটা লিখলাম, সেটাও আমার ভাষায়, আসলটা দরকার হলে রায় খুলে পড়ে নেবেন, ১৭ আর ১৮ পাতা। তা, এই নীতিমালার উপর দাঁড়িয়ে পুরো প্রক্রিয়াটা হয়েছে। সংশয়ের ঊর্ধ্বে উঠে পদ্ধতিগত দুর্নীতি, বেনিয়ম প্রমাণিত হয়নি, বিচারক মোটামুটি একটা ধারণায় পৌঁছেছেন, এবং গোটা প্যানেল বাতিল করেছেন। এটা ন্যাচারাল জাস্টিস নয়। আমি বলছিনা, রায়ের সিদ্ধান্তের ঠিক আগেই বলা আছে, যে, জালিয়াতিকে ভ্যালিডেট করার জন্য, এই কেসে, ন্যাচারাল জাস্টিস প্রয়োগ করা যাবেনা। ইংরিজি বাক্যটা এরকমঃ In light of the facts of this case, we are of the opinion that the principles of natural justice cannot be invoked to validate the fraud that has occurred.  

    এই ঘোষণার পর বিচারক সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন, ১। অসৎ চাকুরেদের চাকরি যাবে, এবং মাইনে ফেরত দিতে হবে। ২। সৎ চাকুরেদের চাকরি যাবে কিন্তু মাইনে ফেরত দিতে হবেনা, এমনকি আগে যদি কোনো সরকারি চাকরি করতেন, সেখানে জয়েনও করতে পারেন। ক'জন অন্য সরকারি চাকরি ছেড়ে ইশকুল মাস্টারি করতে এসেছেন, সেটা অবশ্য জানা নেই। এগুলো সারসংক্ষেপে, এছাড়াও আরও কটা সিদ্ধান্ত আছে,  ইচ্ছে হলে রায়ে পড়ে নিন, কিন্তু মোদ্দা কথা এইটুকুই। সৎ আর অসৎ অবশ্য আমার অনুবাদ। ইংরিজিতে বলা আছে টেইন্টেন্ড অর্থাৎ কিনা কলঙ্কিত এবং অকলঙ্কিত। রায় জানে কারা কলঙ্কিত এবং কারা অকলঙ্কিত, কিন্তু তার পরেও সকলেরই চাকরি গেল। এটা ন্যাচারাল জাস্টিসের নীতি নয়, রায়েই লেখা আছে। তার জন্য প্রচুর পরস্পরবিরোধী রেফারেন্সও দেওয়া আছে। তার থেকে উনি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। সর্বোচ্চ আদালতের রায়, সকলকেই মানতে হবে। কিন্তু তার মানে এই না, যে, সবাই এতে একমত হবেন। এই আমিই যেমন, মনে করি, আইন যেহেতু অন্ধ, তাই প্রিন্সিপল অফ ন্যাচারাল জাস্টিস সমস্ত ক্ষেত্রে অন্ধভাবে প্রয়োগ করা উচিত। আমরা একবিংশ শতকে প্রবেশ করেছি। এখানে একজন নির্দোষও যেন সাজা না পায়। 
     
    মুজতবা আলির দেশে-বিদেশেতে এক অদ্ভুত কয়েদির গল্প আছে। মা খু চিহল পঞ্জম হস্তম। সবাই সেই গপ্পো জানেন, আর বললাম না। এখন সেই গপ্পোটা মনে পড়ছে। ৬২৭৬ জনের বেনিয়ম নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তাতে যারা জড়িত তাদেরকে তদন্তকারী সংস্থা, আদালত চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে পারেনি। দেওয় উচিত ছিল, পারেনি। তার পরিবর্তে পেল অন্য হাজার-কুড়ি লোক। তারা ওই পঞ্জম হস্তম। এই সৎ চাকরিহারাদের প্রতি সম্পূর্ণ সমবেদনা রইল। যদি কোনোভাবে সাহায্য করতে পারি, করব, যদিও কীভাবে জানিনা। 
     
    পুঃ 
    অনেকেই দেখছি, আবার পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতিতে সাহায্য করবেন বলছেন। উদ্দেশ্য সৎ, কিন্তু সেটা সম্পূর্ণ অলীক একটা ব্যাপার। আমাকে তিনমাস পড়ে মাধ্যমিক দিতে বললেও এখন ফেল করব। আট বছর আগে এমএসসি করেছে যারা তাদের আবার দিতে বললে সেই ফল আরেকবার করে দেখাতে পারবেনা। কাজেই ওটা রাস্তা না। অনেকে দেখছি হেবি ফূর্তি পেয়েছেন। বিকাশবাবু বললেন মিষ্টি খাওয়াব, এই শিক্ষকরা পচা আম। সে ফূর্তি ধ্বনিত হচ্ছে টুকটাক। কিন্তু চারদিকে তাকিয়ে দেখুন, আপনাদের চারদিকেই সৎ প্রার্থী দেখতে পাবেন। বেশিরভাগ অংশটাই চুরি করে চাকরি পায়নি। তাদের ঘটি হারিয়েছে। যাঁরা ফূর্তি পেয়েছিলেন, তাঁদের কেউ কেউ আবার হাওয়া ঘুরে গেছে দেখে কাউন্সেলিং-ফেলিং করবেন বলছেন। এও সম্পূর্ণ ঢপের কথা। আসলে চাই প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি এবং ন্যাচরাল জাস্টিসের পক্ষে দাঁড়ানো। যাঁরা এতটুকু দুর্নীতি করেছেন তাঁদের প্রত্যেকের শাস্তি এবং একই সঙ্গে এই দানবিক রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা। তবে কাজ হবে। এতে ডাম-বাম কারোরই আপত্তি থাকার কথা না। 

    এবং মুখ্যমন্ত্রী। কাল তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে সম্পূর্ণ ভুল কথা বললেন। "অসৎ" প্রার্থীদের সমস্ত মাইনে ফেরত সত্যিই দিতে হবে। আদালতের রায় তাইই। এটাও ভয়াবহ, কিন্তু উনি জানেননা। দুর্নীতি তো হয়েছে বটেই, সেটা উনি ঠেকাতে পারতেন, ঠেকাননি। হতেই পারে, এতে রাজনীতি আছে, ত্রিপুরায় এই করেই সরকার বদল হয়েছিল, কিন্তু ব্যাপারটা এই দিকে গড়াতই না, এই বিপর্যয়ের সামনে পড়তেই হতনা, ঠিক সময়ে রাশ ধরলে। এবং এখন এই পরিস্থিতিতেও উনি দিশেহারার মতো মিস ইনফর্মড। আজ থেকে ২৬০০০ লোকের চাকরি নেই, ইশকুলগুলোতে কে পড়াবে তার ঠিক নেই, শিক্ষাব্যবস্থাটাই উঠে যাবার মুখে। স্কুলে ছুটি দিয়ে লাভ নেই, তিনমাস পরে ফিরিয়ে নেব ভেবেও লাভ নেই, ওসব রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। আইনজ্ঞরা কী পরামর্শ দিচ্ছেন জানিনা, একটাই উপায় আছে বলে আমার মনে হয়, দুর্নীতি যতটা হয়েছে, তার দায় নেওয়া, এবং সৎদের আবার চুক্তিতে নিয়োগ করা। তিনমাস দেরি না করে, এখনই। এইটা নিয়ে রাজ্যসরকারকে চূড়ান্ত চাপ দেওয়া উচিত।  
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০৪ এপ্রিল ২০২৫ | ২৮০৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • a | 49.184.***.*** | ১৩ এপ্রিল ২০২৫ ১২:২৮542337
  • ব্রাত্য খুব টেকনিকাল খেলার চেষ্টা করছে। বলছে সিবিআই যে তথ্য বা মিরর ইমেজ দিয়েছে তার ভিত্তিতে এসেসেসি যোগ্য অযোগ্য তালিকা প্রকাশ করবে। এতে দায়ও ঝেড়ে ফেলা হল, পরবর্তীতে ভুল ত্রুটি হলে সেটার স্কেপগোটও রেডি রাখা গেল। 
  • দীপ | 2402:3a80:198b:7ccd:678:5634:1232:***:*** | ১৮ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:৩৮542443
  • নীচে দিলাম সুপ্রিম কোর্টের অর্ডারের কপি।

    রায়টা পড়তে পড়তে ভাবছিলাম। দুপাতায় জাস্টিস সঞ্জীব খান্না ২৮৫ টা শব্দ খরচ করেছেন। ৮টা প্যারা, চারটে শর্ত দিয়ে প্রাক্টিক্যালি নবান্নের কানটা দুমড়ে মূলে দিয়েছেন। 

    আজ সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী মমতা মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে স্ট্রাইকার করে , হাফে এসএসসিকে রেখেছিলেন। ডিফেন্সে ছিল নবান্ন। বিপক্ষের কয়েক জনকে বাদ দিলে ৩৬ জন আইনজীবী দাঁড় করিয়েছিল নবান্ন । কে ছিলেন না সেই তালিকায় ,?
    সঞ্জয় হেগরে, হিমা লরেন্স, পি এস পাটওয়ালিয়া, কপিল সিব্বল, অভিষেক মনু সিংভি, রাকেশ দ্বিবেদী, দেবাঞ্জন মন্ডল, কুণাল মিমানি,জয়দীপ গুপ্তা, মীনাক্ষী অরোরা সহ ৩৬ জন ।
    প্রায় তিন মন (কোটি) তেল খরচ করা নবান্নের লড়াই । 
    কি দাঁড়ালো শেষে ?

    "The State Government, the West Bengal Borard of Secondary Education, the West Bengal School Service Commission shall file affifafits by 31.5.2025 enclosing a copy of the advertisement....."(নিয়োগের বিজ্ঞাপনের) ।
    পর্ষদকে দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে নবান্ন চাইতে গিয়েছিল রিলিফ,  ৯ মাসের রিলিফ চাইতে গিয়ে জুটল নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করার প্রতিশ্রুতির নির্দিষ্ট  মুচলেকা, সেটাও আবার ৩১ মে 'র মধ্যে ।

    এবার কড়কানির পার্টটা দেখুন -

    In case the advertisement is not published by 31.05.2025 and the affidavits are not filed by that date, appropriate orders will be passed by this Court, ( সতর্কীকরণ), including imposition of costs ( জরিমানা ) and vacating of the present order ( না হলে এই রিলিফ প্রত্যাহার করার কথা মনে করিয়ে রাখা হল ) ।

    এরপরের প্যারা আরো মারাত্মক -
     "this order shall not be read as confering any special right or advantage on the aforesaid teachers"

    অর্থাৎ ৯ মাসের জন্য
     teachers not found to be tainted দের যে স্কুলে যেতে দেওয়া হচ্ছে সেটা কেউ যেন advantage বা special right বলে না ভাবেন ।

    ২৮৫ টি শব্দের মধ্যে এভাবে যে পরতে পরতে সতর্কীকরণ আছে সেটার মানে আইনজীবি মমতা ব্যানার্জি কিম্বা অতিবোদ্ধা ব্রাত্য বসু বোঝেননি ?
    আলবাত বুঝেছেন । বুঝেও প্রেস মিট করতে গিয়ে এই রায়কে স্বস্তির রায় বলে পাবলিককে বোকা বানালেন আজ । সব থেকে বেশি ঠকালেন যোগ্যদের, যাঁদের নেতাজি ইনডোরে ডেকে ডায়লগ দিয়েছিলেন । 
    আজ যে অর্ডার বেরোলো, আমি আইনের ছাত্র না হয়েও যেটুকু বুঝেছি সেটা হল রিভিউ পিটিশন কিম্বা কিউরেটিভ পিটিশনের দফারফা করে ছেড়ে দিলেন আজ মমতা ।
    প্ল্যান বি'র শ্রাদ্ধ শান্তি, পিন্ড দান এভাবেই ঘটা করে হল, আজ । 
    এবার প্ল্যান সি দেখার পালা । বাঙালির ।
    সেটা সময়ের অপেক্ষা,
    ধৈর্যেরও পরীক্ষা । বিশেষ করে যোগ্য যাঁরা,
    চাকরি হারিয়েও আজ এই সব কিছু দম বন্ধ করে সহ্য করছেন । 
    ভাষা হীন মুখে, জল হীন চোখে ।

    কে জানে কবে মুক্তি!

    সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় 
    (৯৮৩০৪২৬০৭৮)
  • অঞ্জন | 122.187.***.*** | ১৬ জুলাই ২০২৫ ১৬:০৫732453
  • "হতেই পারে, এতে রাজনীতি আছে, ত্রিপুরায় এই করেই সরকার বদল হয়েছিল" 
    "দিশেহারার মতো মিস ইনফর্মড"
    এই দুটি বাক্য আপনার লেখা থেকেই তুলে দিলাম । ত্রিপুরায় কী হয়েছিল ,সেটা নিয়ে আর কেউ রা কাড়েন না । অন্তত তৃনমুল সমর্থকদের দল । বিজেপি কী কী লোভ দেখিয়েছিল ,কিভাবে ক্ষমতায় এসেছিল সেটা কেউ কেউ জানেন , কেউ না । ক্ষমতায় আসার পর বিজেপি সরকার কিভাবে বেইমানি করেছিল সেটাও অনেকের জানা । কিন্তু সেই সময়ে তৃণমূল দল বা তাদের সুপ্রিমোর বক্তব্য কী ছিল সেটাও তো বলতে হবে । এক রাজ্যে এক রকম ,আর অন্য রাজ্যে অন্যরকম ,এই দ্বিচারিতাটা পরিস্কার করা উচিত ছিল । অন্তত ,এই মামলায় বিচারব্যবস্থার হাত পা ,দুটোই তো বেঁধে দিলেন রাজ্যের প্রধান । কেন ,'দাগী' তালিকা আদালতের হাতে তুলে দেওয়া গেল না ? আইনের পরিভাষায় , একটা কথা আছে , " ফ্রড ভিশিয়েটস এভরিথিং" । সেটাই হল এখানে । আর একটা কথা মনে রাখা ভালো । আদালত বা শীর্ষ আদালত এই মামলায় ২৬ হাজারের চাকুরি বৈধ কি বৈধ নয় ,সেই বিচারে বসেননি ,বিচার করতে বসেছেন ২২ লক্ষের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষিত হওয়া নিয়ে ,যাঁরা ২০১৬ এর পরীক্ষায় বসেছিলেন । 
    দিশেহারার মতো মিস ইনফর্মড ,এই কথাটা বলে মনে হয় অপরাধ লঘু করার চেষ্টা হল । এটা "মিস ইনফর্মড" নয় ,এটা হল কাল্পেব্‌ল হোমিসাইড । 
  • দীপ | 2402:3a80:1989:5228:578:5634:1232:***:*** | ১৯ জুলাই ২০২৫ ১৫:৪৫732569
  • শিক্ষা তুলে লাটে,
    ব্রাত্য পুরীর মাঠে।
    ব্যস্ত কিসে তিনি? 
    হচ্ছে শুটিং জানি।
  • দীপ | 2402:3a80:198b:a258:678:5634:1232:***:*** | ২৩ জুলাই ২০২৫ ১২:১৪732625
  • জুলাই মাস শেষ হতে চলেছে। এখনো পর্যন্ত কোনো কলেজে ভর্তি শুরু হয়নি (স্বয়ংশাসিত ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যতীত)। জয়েন্টের ফল‌ও প্রকাশিত হয়নি।
    রাজ্য সরকার ও শিক্ষাদপ্তর ঠিক কী চাইছেন?
  • দীপ | 2402:3a80:198b:6490:678:5634:1232:***:*** | ৩০ জুলাই ২০২৫ ১৫:৫৫732840
  • তোলামুলের ছাত্র সংগঠন বর্তমান কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে খুউব চিন্তিত! তাঁর কোন প্রায় পেপার ইউজিসি কেয়ার লিস্টে নেই। মানে উপাচার্য হবার যোগ্যতা তাঁর তেমন নেই। তারা এত খবর রাখে জেনে খুব প্রীত হলাম। তা আগের উপাচার্য, যিনি আবার সাহিত্যে অসামান্য কৃতিত্ব দেখাবার জন্য মাননীয়া কে ডিলিট দিয়েছিলেন তাঁর কেমন যোগ্যতা ছিল? উপাচার্য হবার যে মিনিমাম যোগ্যতা লাগে, সেটাই তো ছিলনা। আর তার ওপর পেপার! কোবতে মনে চলে এল, 'উনিশ টি বার ঘায়েল হয়ে'..... তবুও কেমন মুচকি হেসে! এমন জিনিস পত্র নিয়ে নাড়াচাড়া করতে যেও না, যেখানে অন্যের দিকে একটা আঙুল তুললে বাকি চারটে নিজেদের দিকে ঘুরে না যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা পড়াশুনা করতে চায়, ঠিক সময়ে পরীক্ষা দিতে চায়, ঠিক সময়ে রেজাল্ট বের হোক চায়, তারা কোন উপাচার্য বসে আছে দেখে না, কে তাদের এই সুবিধাগুলো দেবে শুধু সেটুকু জানতে চায়। কে কার পা চেটে বসে আছে সে সব ভেবে লাভ নেই। গোটা সিস্টেম পচে গেছে। কারুর না কারুর পা না চাটলে এসব পদে এখন কেউ আসে না।
    #ভেনোচরিতকতা
  • দীপ | 2401:4900:b13d:ae1d:3f47:a20e:6185:***:*** | ০১ আগস্ট ২০২৫ ২২:২৫732894
  • মাননীয়া
    আপনাকে সশ্রদ্ধ নমস্কার! 
     
  • দীপ | 2401:4900:b13d:ae1d:3f47:a20e:6185:***:*** | ০১ আগস্ট ২০২৫ ২২:২৮732895
  • দুঃখিত, ভুল লিংক।
     
     
    মাননীয়া
    আপনাকে সশ্রদ্ধ নমস্কার! 
  • দীপ | 2402:3a80:1989:eb0b:578:5634:1232:***:*** | ০৪ আগস্ট ২০২৫ ১৮:১৫732964
  • মাননীয়া উপাচার্য, আপনাকে সশ্রদ্ধ নমস্কার!
    সর্বত্র স্তাবকবৃন্দের জনারণ্যে আপনি হারিয়ে যাননি, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রেখেছেন।
    আজকের মেরুদণ্ডহীন সমাজে আপনি যথার্থই ব্যতিক্রম!
  • দীপ | 2402:3a80:198d:d343:778:5634:1232:***:*** | ১৫ আগস্ট ২০২৫ ১৭:৩৩733335
  • চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষকের মৃত্যু! আবার নিয়োগ পরীক্ষা দেওয়ার চাপ নিতে পারেননি ওই শিক্ষক

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরিহারা শিক্ষকদের মধ্যে ছিলেন তিনি। আন্দোলনের অন্যতম ‘মুখ’ হয়ে উঠেছিলেন। শুক্রবার কলকাতার বাইপাসের ধারের এক হাসপাতালে মৃত্যু হল সুবল সোরেন নামে সেই ‘যোগ্য’ চাকরিহারা শিক্ষকের। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণের ফলে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
    সুবল পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার বাসিন্দা। দিন কয়েক আগে বছর পঁয়ত্রিশের এই চাকরিহারা শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েন বাড়িতে। তাঁকে ডেবরার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। দিন দুয়েক ধরে বাইপাসের ধারের এক হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। তবে শুক্রবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতে মৃত্যু হয় সুবলের।

    সুবলের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে। তাঁদের দাবি, আবার নিয়োগ পরীক্ষা দেওয়ার চাপ নিতে পারেননি সুবল। সেই থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দিন দুয়েক আগে ‘ব্রেনস্টোকে’ আক্রান্ত হন তিনি।
     আন্দোলনকারীদের দাবি, ‘যোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের সক্রিয় সদস্য ছিলেন সুবল। ‘‘সরকার, বিচারব্যবস্থা এবং রাষ্ট্র চক্রান্ত করে হত্যা করেছে সুবলকে। আজকের স্বাধীনতা দিবসে আমরাই পরাধীন।’’

    -সংবাদসূত্র
  • দীপ | 2402:3a80:1989:8f42:578:5634:1232:***:*** | ১৬ আগস্ট ২০২৫ ১২:১৯733376
  • স্বাধীনতা দিবসের প্রাপ্তি:
    ১. তরুণী নার্সের অস্বাভাবিক মৃত্যু, ময়নাতদন্তে ইচ্ছাকৃত দেরি, শেষমেশ আদালতের দ্বারস্থ হওয়া কোথায় ময়নাতদন্ত হবে । 
    ২. সরকারের নিয়োগদুর্নীতির ফলে চাকরী হারা শিক্ষকের অসুস্থ হয়ে মৃত্যু ।
    ৩. রাষ্ট্রশক্তির প্রতিহিংসায় কোন নির্দিষ্ট ঘটনা ঘটা কালীন দেশের বাইরে ৮০০০ কিলোমিটার দূরে থাকা সত্ত্বেও কোন গবেষককে দেশে ফেরা মাত্র ষড়যন্ত্র মামলায় গ্রেফতার করা এবং তাঁকে উগ্রপন্থীর সঙ্গে তুলনাকরা, যখন সেই ঘটনা ঘটাকালীন ঘটনাস্থলে থাকা অভিযুক্তরা সকলেই জামিনে মুক্ত ।
     
    সত্যিই সারে জাঁহাসে আচ্ছা।
     
    লিখেছেন সুদীপ্ত কিশোর গোস্বামী।
  • দীপ | 2402:3a80:198d:c39c:778:5634:1232:***:*** | ১৭ আগস্ট ২০২৫ ০০:০১733407
  • কয়েকটা জিনিস রেকর্ডে থাকার প্রয়োজন।
     
    ১. যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রাক্তনীকে মার্কিন তথ্যকেন্দ্রে হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী আফতাব আনসারির সঙ্গে তুলনা করে আদালতে সওয়াল করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার।
     
    ২. তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুনাল ঘোষ আরেকধাপ এগিয়ে হিন্দোল মজুমদারকে ওসামা বিন লাদেন এবং ব্রাত্য বসুর ওপর বিক্ষোভকে ৯/১১র বিশ্ব বানিজ্য কেন্দ্রে হামলার সঙ্গে তুলনা করেছে।
     
    ৩. দুটো ঘটনাই আন্তর্জাতিক নাশকতা। ২০০৪ সালে মাদ্রিদে আল কায়দা হামলায় ১৯৩ জনের মৃত্যু হয়। সেই জন্যই ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গ। স্পেনে গবেষণারত হিন্দোলের মামলায় এই ঘটনার উল্লেখ তাঁর পেশায় ক্ষতি করতে পারে।
     
    ৪. এমন নয় সরকার সেটা জানেনা। জানে বলেই করেছে। ঠিক যেমন আরজিকর আন্দোলনের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন প্রতিবাদী ডাক্তারদের বিদেশে যাওয়ায় তিনি সমস্যা তৈরি করতে পারেন চাইলেই।
     
    ৫. এটা একটা বার্তা ছাত্র সমাজকে। প্রতিবাদ করো না। নইলে অনেক মূল্য দিতে হবে।
     
    ৭. এটাই ঠান্ডা সন্ত্রাস। রাষ্ট্রীয় ঠান্ডা সন্ত্রাস। মোদি ঠিক এটাই করেন।
     
    [ Aparna Bhattacharya ]
     
    সর্ববিদ্যাবিশারদ মহাপণ্ডিতরা এখন পিছনে মনুসংহিতা গুঁজে নেচে বেড়াচ্ছে!
  • দীপ | 2402:3a80:198d:c39c:778:5634:1232:***:*** | ১৭ আগস্ট ২০২৫ ১৭:১৬733422
  • 10 বছর আগে আজকের দিনে আপার প্রাইমারির পরীক্ষা হয়েছিল। 
    এখনো নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে,,
    ধন্য Mamata Banerjee !এরাজ্যে সত্যিই শিক্ষিত সমাজ ও শিক্ষা নিয়ে খেলা খেলছেন আপনি চালিয়ে যান!  জয় বাংলা !
  • দীপ | 2402:3a80:1989:ef43:578:5634:1232:***:*** | ১৮ আগস্ট ২০২৫ ১৯:১১733468
  • জামিন পেলেন হিন্দোল মজুমদার!
    আবার আদালতে চড় খেলো রাজ্যসরকার! 
    মহাবিপ্লবীরা এখন নীরব!
     
  • দীপ | 2402:3a80:198b:7216:678:5634:1232:***:*** | ৩০ আগস্ট ২০২৫ ১৪:৪৩733769
  • মাননীয়ার অনুপ্রেরণায় ও মাননীয় ভাইপোর সদিচ্ছায়,
    স্বাধীন ভারতবর্ষের ইতিহাসে সর্বপ্রথম পশ্চিমবঙ্গের স্কুল সার্ভিস কমিশন অযোগ্যদের (অথাৎ যাদের কে মমতা ব্যানার্জি চাকরি বিক্রি করেছেন) তালিকা প্রকাশ করেছে।
    সত্যিই পিসি ভাইপোর নাম ইতিহাসে স্বর্নাক্ষরে লেখা থাকবে।
    এটাই উন্নয়ন!
    এটাই পরিবর্তন!
    জয় বাংলা!!!
  • দীপ | 2401:4900:3fab:9d46:2ded:ee7c:168:***:*** | ৩০ আগস্ট ২০২৫ ২২:০৪733778
  • নতুন করে আর তালিকা বার করবে না - স্কুল সার্ভিস কমিশন । জানিয়েছে ।
    তাহলে লিস্ট ১ লিখলো কেন ? পরবর্তীতে ধরা পড়লে বাঁচার জন্য ?
     
    ১৮০৪ জনের মধ্যে ১৪০০ জন পরীক্ষায় বসছিল ।
    সুপ্রিম কোর্ট না নির্দেশ দিলে তারা পরীক্ষা দিতেন । 
    জানাই যেত না ।
    এখন admit card বাতিল করছে স্কুল সার্ভিস কমিশন । বাধ্য হয়ে ।
     
    যা খবর IX X এর ১১৪৪ জনের admit card বাতিল হচ্ছে । 
    যা খবর XI XII এর ১০২০ জনের admit card বাতিল হচ্ছে।  
     
    অর্থাৎ জালিয়াতদের ৭৭ শতাংশ পরীক্ষায় বসতে গিয়েছিল, সুপ্রিম কোর্টে ধরা পড়ার পর জানা গেল । 
    কল্যাণ সুপ্রিম কোর্টে কি বলেছিল এবার মনে করুন - এক জন দু জন যদি ফাঁক গলে পরীক্ষায় বসে যায় আমরা ব্যবস্থা নেব । এক দুজন গিয়ে দাঁড়ালো ৭৭ শতাংশ !!
     
    জাস্টিস সঞ্জয় কুমার তালিকা বার করার নির্দেশ না দিলে মমতা ব্রাত্য কোম্পানি কোন লেভেলে খেলছিল শুধু ভাবুন । 
     
    তালিকায় চোখ বোলাচ্ছি । বিশদে পরে লিখছি । 
     
    সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় 
    (৯৮৩০৪২৬০৭৮)
  • দীপ | 2401:4900:3fab:9d46:2ded:ee7c:168:***:*** | ৩১ আগস্ট ২০২৫ ০১:৫০733782
  • পানিহাটির বড় বাড়ির বড় ছেলের বৌমা ?

     অনেকে সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করছেন । বিস্মিত হচ্ছেন । আমি অবাক হইনি । 
    এটা আগেও জানতাম । 
    নৈহাটির কোন স্কুলে ঢুকেছিলেন, শুনেছিলাম তাঁর দলের বর্তমান  লোকজনের মুখেই ।
    শুধু এই একটা নয়, পানিহাটির তালিকা কিন্তু দীর্ঘ । স্কুল ছড়িয়ে কলেজেও ।

    এর থেকে অনেক বড় জালিয়াতি বড় কর্তা কিন্তু নিজে করে রেখেছেন ।  নিজের ডিগ্রি নিয়ে।

    বাটপার বাটপারি করবে ।
    ব্রেকার ওয়াগনে মন দেবেন,
    সেটাই স্বাভাবিক ।
    অবাক যাঁরা হচ্ছেন সেটা তাঁদের দোষ। 
    বাটপারের নয় । ব্রেকারেরও নয় ।

    সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় 
    (৯৮৩০৪২৬০৭৮)
  • দীপ | 2402:3a80:198d:3d9f:778:5634:1232:***:*** | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৪:৫৫733816
  • এগিয়ে বাংলা!
     
  • দীপ | 42.108.***.*** | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৬:৫৯733965
  • কতটা নির্লজ্জ হলে "ব্রাত্য" হওয়া যায়!
    এখনো মুখ দেখিয়ে ইন্টারভিউ দিচ্ছে, ডায়লগ দিচ্ছে।
    অথচ এদেরই সীমাহীন পাপের বোঝা বইতে সাড়ে ৫ লক্ষ ছেলে মেয়ে ৩৫ হাজার আসনের জন্য পরীক্ষায় বসছে দু'দিনে ।

    পাক্কা ৩২০০ দিন বাদে একটা রাজ্যে স্কুল শিক্ষার পরীক্ষা হচ্ছে।

     এই দাগীটাই বলেছিল
     "এস এস সি কি দুর্গাপুজো না কি যে বছর বছর হবে ?" 

    এই দাগীটাই বলেছিল না, " তৃণমূল হলেই তবে চাকরি হবে।"
     এই দাগীটাই সামনে পাইলট কার, পেছনে পুলিশ ভ্যান, সঙ্গে চারখানা সাফারি পরা আর্মড বডি গার্ড নিয়ে রাস্তায় ঘুরছে । টিভিতে বাইট দিচ্ছে, 
    দিয়েই যাচ্ছে ।

    আর শিক্ষিত হতভাগ্য ছেলে মেয়ে গুলো পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে, বুম ঠেলে সরিয়ে দিচ্ছে, বৃদ্ধ বাবার বুকে মুখ রেখে, স্বামীর বাড়ানো হাতে হেলে পড়ে অঝোরে কাঁদছে, কেঁদেই যাচ্ছে...

    দেখা যাচ্ছে না দৃশ্য গুলো....

    এই শয়তানটার কোন বিচার হবে না !!!!!! 

    সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় 
    (৯৮৩০৪২৬০৭৮)
  • দীপ | 42.***.*** | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২২:১৬734143
  • বিগত কয়েক দিনে সরকারী নিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন কোর্ট কেস গভীরভাবে পড়তে গিয়ে উপলব্ধি করেছি যে শূন্যপদ ঘোষণা না করেই সরকারী নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা আসলে একেবারেই ব্যতিক্রমী ঘটনা। সাধারণত যেকোনো রাজ্যে বা কেন্দ্রের পরীক্ষায় শূন্যপদের সঠিক সংখ্যা প্রকাশ করেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এর ফলে প্রার্থীরা পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারে কতগুলি পদে প্রতিযোগিতা চলছে। কিন্তু আমাদের রাজ্যে অদ্ভুতভাবে এই প্রথা বারবার উপেক্ষিত হচ্ছে। এমনকি পিএসসি’র বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাতেও শূন্যপদের হিসাব আগেভাগে জানানো হচ্ছে না। WBCS এর মতো বড় পরীক্ষাতে এ যাবত কোনো বছরেই শূন্যপদের সংখ্যা আবেদন শুরু হবার আগে প্রকাশিত হয়নি। শেষ মিসলেনিয়াস ও ক্লার্কশিপ পরীক্ষাতেও একই জিনিস শুরু হয়েছে।  এতে প্রার্থীদের মনে অবিশ্বাস ও বিভ্রান্তি তৈরি হয়। বিচারালয়ও বারবার বলছে যে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা থাকা জরুরি। অথচ এ বিষয়ে জনমঞ্চে তেমন কোনো প্রতিবাদ বা আলোচনার ঝড় উঠছে না। প্রার্থীরা নীরবে এই অন্যায় মেনে নিচ্ছে। অথচ তাদের ভবিষ্যৎ কিন্তু এ ধরনের অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ার হাতেই বন্দী হয়ে পড়ছে। সমাজের বিভিন্ন স্তরে এই প্রসঙ্গে সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন। নাহলে অযোগ্যদের সুযোগ নেওয়ার রাস্তা আরও প্রশস্ত হবে। সঠিক শূন্যপদ ঘোষণা ছাড়া নিয়োগ মানে প্রক্রিয়াটিকে অবিশ্বস্ত করে তোলা। তাই এর বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেওয়া উচিত।
     
    ফেসবুক 
  • দীপ | 2402:3a80:1975:94ff:678:5634:1232:***:*** | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২১:২৯734217
  • ওদিকে চটিচাটা মহাবিপ্লবী অবশ্য  মাননীয়া উপাচার্যকে বিজেপির লোক বলে প্রমাণ করতে বদ্ধপরিকর!
  • দীপ | 2402:3a80:1979:ce96:778:5634:1232:***:*** | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২১:৫৫734281
  • দীপ | 2402:3a80:198f:e96d:878:5634:1232:***:*** | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২০:২০734305
  • সামান্য একটা এস এস সি র পরীক্ষা। তাতে ৫০০ টাকা দিয়ে ফর্ম ফিলাপ! কিছু ছেলে মেয়ে ফিজিক্যাল সাইন্সের আর কেমিস্ট্রির প্রশ্ন পাঠিয়ে উত্তর জানতে চেয়েছে, কোনটা ঠিক। একেবারেই এলিমেন্টারি প্রশ্ন কিন্তু এস এস সি র মডেল উত্তরপত্রে ভুল। জানি না এসব ইচ্ছেকৃত কিনা অথবা কাদের দিয়ে উত্তর করানো হয়েছে। এখন শুনলাম প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর চ্যালেঞ্জ জানাতে গেলে ১০০ টাকা করে লাগছে! যারা চ্যালেঞ্জ করবে তাদেরটা ঠিক হলে নাকি শুধু তারাই নাম্বার পাবে! এত কান্ডের পরেও এসব যদি চলতে থাকে তাহলে তো আবার মামলা হবে। এরা আদৌ কী চায় বুঝি না। এদের সদিচ্ছা কেমন সে তো জানি। এক বিষয়েই যদি একের অধিক ভুল উত্তর থাকে তাহলে বাকি বিষয়ে কি হবে বা হচ্ছে জানি না। এরপর কোন মহানরা ভাইভা, ডেমো নিতে আসবে তাও জানি না। পুজো এসে গেছে, উৎসবে মেতে যান!
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে প্রতিক্রিয়া দিন