এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • নৈঃশব্দের পত্রগুচ্ছ

    সুকান্ত ঘোষ লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০২ জুন ২০১৯ | ১৭০৩ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • নৈঃশব্দের পত্রগুচ্ছ
    ----------------------

    আরো অনেক কিছুর মত বহুদিন পর্যন্ত ‘প্রান্তিক যৌনতা’ জিনিসটা কি আমার জানা ছিল না। আর তারপর কি ভাবে এই প্রান্তিক যৌনতার সাথে ‘এলজিবিটিকিউআইএ’ শব্দগুলি মিশে গেছে তাও টের পাই নি। এদের মধ্যে আদৌ কি কোন সংজ্ঞাগত পার্থক্য আছে? আমি জানি না এখনো – আর সেই থেকে থাকা পার্থক্য নিয়ে মাথা ঘামাই ও না তেমন। বরং আমি অনুভব করতে চেয়েছি এই মানুষগুলোর লড়াইয়ের কথা – আর এমন ‘লড়াই’ যে আদৌ করতে হতে পারে কাউকে, সেই কারণটাই আমি ধরতে পারি নি অনেকদিন।

    এই ধরতে না পারার মূল কারণ ছিল আমার দীর্ঘদিনের ইউরোপ বাস। তার আগে আমি যখন গ্রামে বাস করতাম, তখন এমন কিছু মানুষকেই ‘মেয়েন্যাকড়া’ বলা হত (দর্শনগত ভাবে ছেলে হলে), আর দর্শনগত ভাবে মেয়ে হলে তাদের নিয়ে এমন প্রতিশব্দ কিছু ছিল না। এমন ছেলেদের নিয়ে হালকা রসিকতা হত – আমি নিজেও তখন হয়ত ইনসেনসেটিভ ছিলাম – এদের নিয়ে নিজে রসিকতা না করলেও, প্রতিবাদও তো করে উঠি নি কোনদিন! আর আমাদের দিকে এমন মানুষরা জানতও না যে এর প্রতিবাদ করা যায়! কিছুটা উপহাসের পাত্র হওয়া যেন তারা নিজেরাই ভবিতব্য বলে মেনে নিয়েছিল। আমার নিজের কাছে সেটা ছিল তখনকার রিয়েলিটি।

    পরে যখন ইউরোপ বাস শুরু করলাম তখন এমন অনেক মানুষের সাথে আলাপ হওয়া শুরু হল যাদের ওই প্রান্তিক যৌনতার বলা যেতে পারে। প্রথমে অবাক হয়ে দেখলাম তাদের কোন কুন্ঠা নেই, এমনকি তারা যে আলাদা কেউ সেই নিয়েও বিশেষ কেউ মাথা ঘামায় না, তারা নিজেদের আলাদা ভাবেও না – বিশেষ করে হল্যান্ডে। কিছু জাগয়া বাদ দিলে (যেটাকে হল্যান্ডে বাইবেল বেল্ট বলা হয়), সেই দেশ ছিল অনেকটাই বেশী ইনক্লুসিভ। হল্যান্ডই পৃথিবীর প্রথম দেশ যেখানে সমলিঙ্গের বিবাহ আইন সম্মত করা হয় ২০০১ সালে। ইংল্যান্ডেও দেখেছি বেশ ভালোই ইনক্লুসিভনেস – আবার গোঁড়ামোই দেখেছি সামনা সামনি। সেই ম্যাঞ্চেষ্টারে রেষ্টুরান্টে খেতে গিয়ে যখন এমন এক প্রান্তিক ওয়েটার এসে টনি-কে ‘সুইটি’ বলে সম্বোধন করে কি ওর্ডার দেবে জানতে চায়, তখন ‘ফর ফাক সেক’ বলে দুরদার করে উঠে পরে টনি – সে ছিল কনসার্ভেটিভ জায়গা ডার্বির ছেলে।

    হল্যান্ডে চাকুরী করতে আসার পর সেই প্রান্তিক মানুষদের আলাদা করে ভাবার সীমারেখাটা ক্রমশঃ মুছে আসে। সেই দেশে ‘গে প্যারাড’ বলে আগষ্ট বলে এক ফেষ্টিভেল হয় – ক্যানাল দিয়ে নৌকা নিয়ে কার্নিভাল এর মত। এমন মানুষদের সঙ্গে থাকার স্বীকৃতি – তবে আজকাল সেই উৎসব আর আলাদা করে প্রান্তিক জনগোষ্টির নেই – তারা অনেকদিন আগেই মিশে গ্যাছে মূলস্রোতে, স্বীকৃত সেই দেশে – সেই গে প্যারাড আজ তাই নিছক মানুষের মিলন উৎসব মাত্র। আমাদের কোম্পানীর থাকত একটা নৌকা সেই দিনে – আমি অংশগ্রহন করেছি সেই প্যারাডে আরো অনেকের সাথে।

    আমার ফ্ল্যাট ছিল চারতলায় – আর আমার ফ্ল্যাটের ঠিক উপরে পাঁচ তলায় থাকত অ্যান্ড্রূ। সেই ছিল স্টারবাকস কফির ইউরোপীয়ান সেলস হেড – আমার সাথে খুব ভালো বন্ধুত্ব ছিল ওর, আমি অনেক দিন পর্যন্ত জানতাম না যে অ্যান্ড্রু গে। বেশির ভাগ সময়ই ট্রাভেল করত – আমার কাছে রেখে দিয়েছিল তার অপূর্ব সুন্দর সাজানো ফ্যাল্টের চাবি। আমার বন্ধুরা দল বেঁধে কেউ বেড়াতে এলে অ্যান্ড্রু প্রায় জোর করেছিল যে যেন ওর ফ্ল্যাট ব্যবহার করা হয়। আর তার ছিল এক স্পেশাল স্টারবাকস কফি ব্রুয়িং মেশিন। অ্যান্ড্রু মিশে গিয়েছিল আমার জীবনের সাথে। অ্যান্ড্রু আদপে কানাডিয়ান – তবে সে দেশে ফেরায় বিশেষ উদ্যোগী নয়। একদিন এই ভাবেই আলাপ করিয়ে দিল সে এক ফ্রেঞ্চ কালো মানুষের সাথে – সে অ্যান্ড্রুর বয় ফ্রেন্ড। ওদের ভালো বাসা জমে ওঠে – পাঁচতলার ছাদে গ্রীষ্মকালে পার্টি জমে ওঠে, অ্যাণ্ড্রু এবং ওর বয় ফ্রেন্ডের সাথে আমি অনেক রাত পর্যন্ত গল্প করে কাটাই। বেশ কিছুদিন পর অ্যান্ড্রু এসে জানালো যে সে ফ্রান্সের উত্তরে এক শহরে সিফট করে যাচ্ছে, সেইখানেই ওর বয়ফ্রেন্ড চাকুরী করে, আর ও ট্রান্সফার পেয়ে গেছে স্টারবাকস থেকে। অ্যাণ্ড্রু আমার এবং আমাদের কাছে কোন আলাদা মানুষ ছিল না।

    আমার অফিসে ছিল এরিক তেমনি এক মানুষ – ওর সাথে ফেরী পেরিয়ে প্রায়ই হাঁটতে হাঁটতে অফিস যেতাম গল্প করতে। একদিন মার্গারেটের বাড়িতে ডিনারে আলাপ হয়ে গেল এরিকের হাসব্যান্ডের সাথে – তারও নাম এরিক! সে এক বিশাল কনফিউশনের ব্যাপার – এই এরিক বলছে ওই এরিক ভালোবেসে তাকে হীরের আঙটি কিনে দিয়েছে, এই এরিক-কে ডাকলে ওই এরিক সাড়া দিচ্ছে। একটু সময় লেগেছিল অ্যাডজাষ্ট করে নিতে – না, ওদের মানুষ হিসাবে মেনে নিয়ে ইনক্লুসিভ হতে নয়, বরং দুই এরিক-কে আলাদা করে আইডেন্টিফাই করতে। সেই দুই এরিকের সাথেও অনেক সময় কেটেছে।

    আরো অনেক গল্প আছে – তবে ব্রুনাইয়ে আসার পর আবার সেই বোধটা ফিরে আসা শুরু করল যে এখনো অনেক জায়গা আছে যেখানে প্রান্তিক যৌনতা স্বীকৃতি পায় নি। ভারতও তেমন এক দেশ – আমি বুঝতে শুরু করলাম, এদের অনেক লড়াই আছে। আমার হল্যান্ডের রেফারেন্স এই ভারতে এখনো চলে না প্রান্তিক জনগোষ্টীকে নিয়ে।

    এই প্রসঙ্গে বলতে হয় গুরুচন্ডালি ওয়েব সাইট বা গুরুচন্ডালি প্রকাশনার কথা। আমি বেশ কিছু বছর ধরে এদের প্রচেষ্টা দেখে আসছি লেখালিখির মাধ্যমে এদের ওয়েবসাইটে। সেই অনেক লেখা না পড়লে জানতেই পারতাম না এই আমাদের দেশে মানুষ-কে এমন লড়াই ও করতে হতে পারে! গুরুচন্ডালি কর্তৃপক্ষকে আমার অভিনন্দন এই জন্য যে আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মত এই বিষয়কেও তাঁরা প্রাধান্য দিয়ে লেখা লিখি এবং জনসচেতনতা বিস্তারে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছেন।

    এই প্রসঙ্গেই উল্লেখ করতে হয় গুরুচন্ডালি প্রকাশনার বই ‘নৈঃশব্দের পত্রগুচ্ছ’ –র কথা। প্রান্তিক যৌনতা বিষয়ে এমন বই তো আমার জানামতে আমি বাঙলা ভাষায় দেখি নি। অতীব চমৎকার বই – মুদ্রিত বই সম্পর্কে আমার এক প্রায় নীরদ সি জাতীয় খুঁতখুঁতানি আছে (যদিও আমি পেপারব্যাক বইও পড়ি!)। ‘নৈঃশব্দের পত্রগুচ্ছ’ আমার প্রায় সব খুঁতখুঁতানির জবাব দিতে পেরেছে। প্রচ্ছদ থেকে শুরু করে, ব্যবহৃত পাতা, প্রিন্ট কোয়ালিটি সবই খুব সুন্দর। আর কনটেন্ট এর কথা আলাদা করে কি বলব, অর্চন মুখার্জীর তোলা ছবি এবং অভিজিৎ মজুমদারের ভাষ্যের অপূর্ব সমাহার এই বই।

    আমি এই বই বেশ কয়েকবার পড়ি, দুই বার পড়ি পিছনের পাতা থেকে। অর্চনের ছবিতে অযথা আঁতলামো (আঁতলামোর মাপকাঠি আমার নিজের ঠিক করা) নেই, আর অভিজিৎ-এর লেখাতে নেই জোর করে আনা অনাবশ্যকতা। বেশ কিছু জায়গায় ক্যামেরাম্যান এবং লেখক দুই-ই অকপট। আমার তো অর্চনের নিজের লেখাও খুব ভালো লেগেছে – সেই যে সে লিখছে কেমন ভাবে এই ভাবনা মনে মধ্যে ঢুকেছিল – দক্ষিন কলকতার রাজপথে অর্চন অপেক্ষা করছিল অনেকক্ষণ ধরে তার বন্ধুর আগমণের। সেই অপেক্ষা রত অবস্থায় অবাক বিষ্ময়ে সে লক্ষ্য করে, “এই ব্যস্ত নগর কলকাতা কী অসম্ভব একা”! এই বইয়ের অনেক ছবিতে প্রান্তিক মানুষের একাকীত্বের গল্পই যেন ফুটে উঠেছে – কলকাতা নগর কখন মিশে গ্যাছে ‘ওদের’ শরীরেও ঠিক যেমন ভাবে ‘আমাদের’ শরীরেও মেশে।



    অভিজিৎ লিখছে, “ছবি আর লেখা কেউ কারো ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল নয়। কিন্তু কোথাও একটা হাত ধরা ধরি করে রয়েছে তারা”। ভ্যাগিস লিখে দিয়েছে, না হলে আমি ঠিক এই একই কথা লিখতাম বইটা পড়ার পড়ে পাঠপ্রতিক্রিয়া জানাবার সময়। ইনফ্যাক্ট আমি প্রথমে বইটির ছবি গুলো দেখি – চাই নি সাথের লেখা গুলো পড়ে নিজের অনুভূতিকে কনটামিনেট করতে। দ্বিতীয়বার পড়ি লেখা গুলো - তৃতীয়বার ছবি আর লেখা একসাথে। কিছু জায়গায় আমার নিজের ইন্টারপ্রিটেশন থেকে যায় ছবি গুলো নিয়ে – কিছু জায়গায় যেন লেখা আর ছবি হাত ধরা ধরি করে চলে আগে যেমন বলা হয়েছে।

    আমি লেখার মারপ্যাঁচ বুঝতে পারি না অনেক সময় – ওই ১২ নম্বর পাতার সুচরিতাই কি একসময়ের সুজয়? আমি তো সেই ভাবেই পড়লাম, আমার পঠনে সুজয় একসময় প্রবল ভাবে অপর্ণ সেন হতে চেয়েছিল। সময় এগিয়ে গ্যাছে – মনে হয় সুজয় তার হতে চাওয়া সুচরিতাকে পেয়ে গ্যাছে কাছের করে, তার ফেলে আসা স্কুলে কুন্ঠায় নয়, বরং দৃপ্ত ভাবেই পড়বে তার ভালোবাসার চিঠি।



    প্রতিটা ছবিই খুব সুন্দর – বড় বাঙময়। আমার ভালোলাগে জীবনের মাঝে আনন্দ খুঁজে নিতে। দুঃখ কষ্ট তো আছেই – কিন্তু তা বলে জীবনের উৎসব আমরা কেন ভুলে যাব, তা সে যতই প্রান্তিক যৌনতার মানুষ হোক না কেন! তাই আমার একটু বেশী ভালো লেগে যায় ৮ এর পাতার ছবিটা যেখানে দুই মেয়ে বন্ধু গায়ে গা লাগিয়ে সেলফি তুলছে – ওদের হাসি, ওদের একে অপরকে স্পর্শ ই অনেক না বলা কথা বলে দেয়, তাই ৯ এর পাতার সাথের ভাষ্য প্রায় অপ্রয়োজনীয় মনে হয় আমার কাছে।

    ‘নৈঃশব্দের পত্রগুচ্ছ’ – বইতে আছে ছবির সাথে ভাষ্য, আছে প্রায় কিছু আত্মকথন, আছে শেষের গল্প, এবং আছে নৈঃশব্দের নেপথ্য কথা। সব মিলিয়ে মন ভরে যায়।

    বইটার শেষে লেখক লিখেছেন “বিচারের ভার তোদের, তোমাদের, আপনাদের ওপর” – আমি বলব বিচারের তো দরকার নেই! না বিচারের দরকার আছে এই বইয়ের, বইয়ের লেখার, ছবির – না আছে বিচারের দরকার এই বইয়ের প্রয়োজনীয়তার। বিচার তো হয় কেউ অপরাধ করলে! আমরা বরং একসাথে চলার অঙ্গীকার নিই, যদি এখনোও প্রান্তিক যৌনতাকে আমাদেরই মধ্যে স্বাভাবিক না ভাবতে পারি, তা হলে আসুন ভাবা অভ্যাস এবং সেই অভ্যাস কার্যকরী করা শুরু করি। আর সেই খানেই এই বই এবং গুরুচন্ডালির প্রচেষ্টা সার্থক হবে।

    গুরুচন্ডালি প্রকাশনাকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন আবারও এমন এক অপূর্ব বই উপহার দেবার জন্য।

    বইঃনৈঃশব্দের পত্রগুচ্ছ
    লেখকঃ কথা – অভিজিৎ, ছবি/ভাবনা – অর্চন
    প্রকাশকঃ গুরুচন্ডালি প্রকাশনা, ২০১৮
    মূল্যঃ৩০০ টাকা
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০২ জুন ২০১৯ | ১৭০৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • একলহমা | ৩০ মার্চ ২০২০ ০০:০৮91880
  • নাড়া দিয়ে দিলে। পড়তে হবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে প্রতিক্রিয়া দিন