এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • 'স্মৃতির মিনার ভেঙেছে তোমার? 

    কিংবদন্তি লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৬৫৬ বার পঠিত
  • ডাকছে কৃষ্ণপক্ষের রাত- ঘুমিয়ে পড়লে নাকি?
    লুট হয়ে গেল ইতিহাস, স্মৃতি, পতাকা কৃষ্ণচুড়া-
    চেতনায় জ্বলে বৈরী আগুন- ঘুমিয়ে পড়লে নাকি? ”
    - রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ

    এমন ভাবে লুট হয়ে যাবে তা সম্ভবত রুদ্র মুহাম্মদ শহিদুল্লাহর কাছে অকল্পনীয়ই হয়ে থাকত। বাংলাদেশ, বাঙালি, সংস্কৃতি, স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধু এই সব নিয়ে এত বছর যারা কথা বলে আসছে, আমি যাদেরকে জাতির অভিভাবক মনে করি, যে কোন ক্রান্তিকালেই মনে করি এই লোক গুলো যদি থাকত তাহলে এমন পরিস্থিতিতে একটা শক্ত জবাব দিতে পারত। দিন দিনই আমরা অভিভাবক শূন্য হয়ে গেছি। এখন জাতির অভিভাবক হচ্ছে সব মস্ত বড় ভণ্ডরা। এই যে ফেব্রুয়ারির ৫ তারিখ ইতিহাসের অন্যতম কুৎসিত ঘটনা ঘটে গেল, বিবেকবান সমস্ত নাগরিক যার নিন্দা করে যাচ্ছে, সেখানে ফরহাদ মজহারের মতো লোক সূক্ষ্ম সিল্কের ত্যানা প্যাঁচানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে দেখলাম। তিনি বলেছেন, -  “আপনারা যারা নিন্দা করেছেন, বলেছেন যে ভাঙার রাজনীতি চান না। আমি আপনাদের সঙ্গে একমত। কিন্তু আমার একটা কথা আছে- ভাঙার রাজনীতি একই সঙ্গে গড়ারও রাজনীতি।”  কী দারুণ না? এরাই এখন জাতির অভিভাবক। এই সাক্ষাৎকারে তিনি মুক্তিযুদ্ধের পরে ভারতের কাছে মুক্তিযুদ্ধ ছিনতাই হয়ে গেছিল, ৫ আগস্ট তা উদ্ধার হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। এদেরই শিষ্য এরা, অ্যাপেল ডাজেন্ট ফল ফার ফরম ট্রি! যেমন গুরু তেমন শিষ্য! 

    ভিন্ন প্রসঙ্গে যাই একটু। ঘটনা হচ্ছে ২০০৬ সালের ২৬ আগস্টের। ফুলবাড়িতে লাখো মানুষের মিছিল, দাবি হচ্ছে উম্মুক্ত পদ্ধতিয়ে কয়লা উত্তোলন করা যাবে না। এদিকে তৎকালীন বিএনপি সরকার এশিয়া এনার্জির সাথে চুক্তি ফুক্তি করে বসে আছে। এখন লাখো মানুষ মিছিল করে এইটা বন্ধ করে দিতে চাইলেই চলবে? বিএনপি সরকারের জ্বালানি উপদেষ্টা ছিলেন মাহমুদুর রহমান, বলা হয় তিনি সরকারের কম এশিয়া এনার্জির বেশি! দালালি করতে করতে বেহুশ একটা লোক, নির্দেশ দিলেন গুলি চালানোর। তার প্রত্যক্ষ ইশারায় মিছিলে গুলি চলল, মারা গেল তিনজন! আহত, পঙ্গু হয়ে যায় প্রায় দুইশ মানুষ। প্রসঙ্গত বলে রাখি, বিএনপি আজকে খুব দেশপ্রেমিক তো তাই একটু বলে রাখি, বিএনপি এশিয়া এনার্জির মতো ভুঁইফোড় একটা কোম্পানির সাথে যে চুক্তি করে তার মেয়াদ ছিল ত্রিশ বছর, ত্রিশ বছরে উত্তোলনের ৯৪ % কয়লা পাবে এশিয়া এনার্জি আর ৬% পাবে বাংলাদেশ! এই ছিল চুক্তি!  দিনাজপুরের ফুলবাড়ির লোকজনের আপত্তি ছিল কয়লা উত্তোলন নিয়েই। উমুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা তুললে জনবসতির অবস্থা খারাপ হয়ে যেত, জনজীবন হুমকির মুখে পড়ত। কৃষিজমি নষ্ট হত। পানি অনেক নিচে নেমে যেত। এদিকে দালাল টাকা খায়া বসে আছে, উপায়? দাও গুলি চালিয়ে, ঘটনা স্থলেই মারা যায় ষষ্ঠ শ্রেণির আমিন, সালেকিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তরিকুল। আওয়ামীলীগ সরকার এসে এই চুক্তি বাতিল করে, বলা হয় যদি কোনদিন মানুষের ক্ষতি না করে কয়লা উত্তোলনের প্রযুক্তি আবিষ্কার হয় সেইদিন কয়লা তোলা হবে, ভবিষ্যতের জন্য রেখে দেওয়া হল এই কয়লা। এখন পর্যন্ত, এই গত বছর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও ২৬ আগস্ট ফুলবাড়িতে 'ফুলবাড়ি ট্র্যাজেডি দিবস' পালন করা হয়েছে। মূল কালপ্রিট মাহমুদুর রহমান এখন দেশের রক্ষাকর্তা! 

    মাহমুদুর রহমানের আমল নামা নিয়ে বসলে কোন কূল কিনারা পাওয়া যাবে না। এই ভণ্ড হুট করেই ধার্মিক হয়ে গেল। প্রচুর আল্লা খোদার নাম নেয়। পত্রিকা বের করল, নাম আমার দেশ। দেশে রাজাকারদের বিচার শুরু হল, আমার দেশ পত্রিকা পবিত্র দায়িত্ব নিয়ে নিলো রাজাকারদের বাঁচানোর। ক্রমাগত মিথ্যাচার করে গেল। এই মিথ্যাচার করতে মাহমুদুর রহমান ধর্মকে ব্যবহার করতেও পিছপা হয় নাই। পত্রিকার প্রথম পাতায় ছাপা হল আলেমদের অন্যায় ভাবে জেলে রাখার প্রতিবাদে সৌদি আরবে, কাবার ইমাম সহ সবাই মিলে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। একটা ছবি দেওয়া, কালো একটা ব্যানারের মতো হাতে ধরা হুজুররা দাঁড়িয়ে আছে। কাবার ইমাম সাহেবও আছে! বাংলাদেশের মতো জায়গায় এই খবর কেমন প্রভাব ফেলতে পারে? মানুষ পাগল হয়ে গেল নিমিষে। সত্য কী? সত্য হচ্ছে কাবার গিলাফ পরিবর্তনের ছবিকে রাজাকারদের বিচারের প্রতিবাদে কাবার ইমাম প্রতিবাদ করছে বলে চালিয়ে দিয়েছে। পরেরদিন ভুল স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে, কিন্তু ততক্ষণে কাজ যা হওয়ার হয়ে গেছে। পরেরদিন ভুল স্বীকারকেও কেউ মানতে রাজি না। একেরপরে লাশ পড়তে থাকল, থানায় ঝাঁপিয়ে পরে মানুষ এই সব খবর দেখে, সাইদিকে চাঁদে দেখা যেতে থাকল। এই মাহমুদুল রহমানই শাহবাগ আন্দোলনে যারা গেছে সবাই নাস্তিক বলে এমন এক রেখা টেনে দিয়েছিল যা আজ পর্যন্ত বিদ্যমান। এই বদের হাড্ডিই মতিঝিলে হেফাজতের উত্থানের পিছনের কারিগর। 

    আজকে কেন এই পিশাচকে নিয়ে বলছি? বলছি কারণ শান্তির পায়রার সরকার এই মহান ব্যক্তিকে একুশে পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে! 

    এর সাথে যুক্ত হয়েছে শহিদুল আলম নামের এক জিনিস। সারা দুনিয়া এই লোকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলনের সময় কিংবা নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় নিজের ফেসবুক আইডি থেকে সমানে গুজব ছড়াতে থাকেন তিনি। শেষ, ছাত্র মেরে শেষ করে দিল ইত্যাদি। সরকার ধরে জেলে নিলো। তিনি নির্যাতিত সাংবাদিক হয়ে গেলেন সবার কাছে। এখন ওই সময়ের এই সব বললে লোকে বলতে পারে ঠিকই করছে, সরকার নামানোর জন্য সব জায়েজ! কিন্তু আমি এই লোককে ঠিক এই কারণে অপছন্দ করি না। এর পাপটা একটু অন্য রকম। তিনি সুকৌশলে মুক্তিযুদ্ধের বিশাল বড় সংখ্যার ছবির সংগ্রহ নিজের নামে পেটেন্ট করে নিয়েছেন! মানে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের বিখ্যাত অনেক ছবিই আপনি ব্যবহার করতে পারবেন না, তিনি মামলা করে দিবে! মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি স্বাধীনতার পরে কয়দিন ছিল আর মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপারে উদাসীন শক্তি কয়দিন ছিল তা আমরা জানি। কোন সময়, কার শাসন আমলে তিনি এই কাজ করে রেখেছেন তা আমার জানা নাই। শুধ জানি ধানমন্ডির মতো জায়গায় খুব পস যে দৃক গ্যালারি আছে মুক্তিযুদ্ধের সমস্ত ছবি এই দৃক গ্যালারির! শহিদুল আলম, ফোটো সাংবাদিক এই মহান কাজটা করে বসে আছেন। ইউনুস সরকার এই মহান চিত্রগ্রাহককেও এবার একুশে পদক দিচ্ছেন! 

    জিয়াউর রহমান ১৯৮০ সালে শর্ষীনার পীরকে স্বাধীনতা পুরস্কার দিয়েছিলেন। যিনি সরাসরি পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সাহায্য করেছিল যুদ্ধের  সময়। এবারও কী তেমন একটা একুশে পুরস্কার পেতে যাচ্ছি আমরা! 

    ৩২ নাম্বার গুড়িয়ে দেওয়ার একদিন পরে সরকারের তরফ থেকে একটা বিবৃতি এসেছে। এগুলা করা ঠিক হয়নি, খুব অন্যায় হয়েছে তবে এর দায় শেখ হাসিনারই! এই হচ্ছে বিবৃতির বক্তব্য। যদিও শেখ হাসিনা বক্তব্য শুরু করার আগেই ধ্বংসলীলা শুরু হয়ে গেছিল, কিন্তু এগুলা বলবে কে? সকলেই ঠিক ঠিক, এইটাই ঠিক নীতিতে আছে এখন। এরপরে দেখলাম নানা জায়গা থেকে বলা হচ্ছে এখন থামা দরকার। গুড়িয়ে দেওয়ার পরে মনে হয়েছে এখন থামা দরকার! কিন্তু থামছে কি? যখন বলা হচ্ছে এমন কাজে আর প্রশ্রয় দেওয়া হবে না তখনও ৩২ নাম্বারে মানুষ রড কাটছে, ইট খুলে নিয়ে যাচ্ছে, সেপ্টিক টেংকির মধ্যে আয়নাঘর খুঁজে বেড়াচ্ছে! কেউ তো থামতে যাচ্ছে না? পুলিশ সেনাবাহিনী নিশ্চুপ হয়ে রয়েছে। অথচ এই বাড়িটা সরকারি সম্পত্তি। সম্ভবত ১৯৯৭ সালেই শেখ হাসিনা বাড়িটাকে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়কে দান করে দেন। বঙ্গবন্ধু ট্রাস্ট এইটা দেখাশোনা করত। 

    মজাটা দেখেন। যখন সকল মানুষ বলা হচ্ছে এই সব করা যাবে না, কোন বাড়িঘরে আক্রমণ সহ্য করা হবে না। তখন যারা উস্কে দিলো ফেসবুকে পোস্ট করে তারাও বলা শুরু করল যে এগুলা বরদাস্ত করা হবে না। একদিকে ইউনুস যখন বলছে আওয়ামীলীগের নেতাদের বাড়িঘরেও আক্রমণ করা যাবে না তখন হাসনাত নামের যে একটা খোদার ষাঁড় আছে সে বলছে সচিবালয় যেন সাবধান হয়ে যায় না হলে তার দশাও ৩২ নাম্বারের মতো হবে! মব উস্কে দেওয়ার জন্য একে এখনই ধরা দরকার না? 

    আমরা বাসই করছি মবের মুল্লুকে, কী বলব আর? এই ভূখণ্ডের কোন কিছুই ঠিক নাই। সব আন্ধাগুন্ধা! কোন একটা নিয়মকে নিয়ম বলে মেনে নেওয়া যায় না। সবাই একই সাথে ধর্মান্ধ এইটাই শুধু নিয়ম মেনে চলে এখানে। কিন্তু এরা ঠিকঠাক ধর্মান্ধও না! এখানেও ভেজাল! সারা দুনিয়ায় নানা জায়গায় ধর্ম নিয়ে নানা ক্যাচাল হয়, বাংলার মানুষ ক্ষেপে গিয়ে মিছিল করে, মন্দির ভাঙে, হিন্দু বাড়ি জ্বলায় দেয়। রাজশাহীতে সাতটা কোরান শরীফ পুড়িয়ে দেওয়া হল, ছাগলদের কোন চ্যাদভ্যাত নাই! কাহিনী কী? কাহিনী হচ্ছে এইটা করছে আল্লার বিশেষ বান্দা! তার নাম মো: ফেরদৌস রহমান ফরিদ (২২)।রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ৫ম সেমিস্টারের ছাত্র! ইসলামের এই মহান সেবকের উদ্দেশ ছিল এমন একটা কাণ্ড করে হিন্দুদের ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়া! বেচারা সিসি ক্যামেরায় ধরা পরে সব গুবলেট করে ফেলছে। মানুষ হিসেবে আমরা আর কত নিচে নামতে পারি? এর নিচে সম্ভবত আর নামার জায়গা নাই, এরপরে মানুষের খাতা থেকে নাম কেটে দেওয়াই বাকি আছে শুধু! 

    আমার আশেপাশের, আমার পরিচিত মুখ সকলেই স্তম্ভিত হয়ে গেছে ৩২ নাম্বারের অবস্থা দেখে। কত বিশাল সংখ্যক মানুষ যে এইটাকে ঘৃণা করছে তা বলে বুঝানো সম্ভব না। আমার যে জেন জি গুলো লাল প্রোফাইল করে আন্দোলনের সমর্থন দিয়ে দুইদিন আগে পর্যন্ত গলা ফাটিয়ে তর্ক করেছে আমার সাথে ওরা সব চুপ। সবার একটাই প্রতিক্রিয়া, এইটা কী হল? এর সাথে সংস্কারের কী সম্পর্ক? দেশ গঠনের কী সম্পর্ক? এই পরিবর্তন দেখতে চেয়ে লাশ পড়েছে দেশে? কত সরল আবেগ বাচ্চাগুলোর! কী ছিনিমিনিই না খেলা হয়েছে এদের আবেগ নিয়ে। এখন শুধুই আফসোস। ট্রাম্প প্রশাসন যে খবর এখন সামনে আনছে তাতে এখন নিশ্চয়ই কারো আর সন্দেহ নাই কীভাবে কী হয়েছে? সরাসরিই বলা হয়েছে ইউএসএইডের মাধ্যমে বাংলাদেশের সরকার উৎখাত আন্দোলনে টাকা ঢালা হয়েছে! আমরা যখন এইটা নিয়া চিৎকার করছি তখন কেউ শুনে নাই, দালাল ডাকছে, আর কত সরকারকে চাটব জিজ্ঞাস করেছে! কোন লাভ নাই, পাঁচটা পাই না, শুধু মাত্র চোখের সামনে দেখতেছিলাম সামনে কী অপেক্ষা করছে তাই বিরোধিতা করে গেছিলাম! 

    মবগিরি করতে করতে গতকাল সম্ভবত প্রথম হোঁচট খেয়েছে এরা। দেশে তো আওয়ামীলীগ নেতার বাড়ি বলে ঝাঁপিয়ে পড়ার অধিকার দিয়েই রাখছে সরকার। ৩২ নাম্বারের মতো বাড়ি খেয়ে দিল, বিনিময়ে শুধু হালকা করে বকে দিয়েছে ইউনুস সাহেব! অন্য ক্ষেত্রে আর কী করবে? এই সাহসেই আওয়ামীলীগ আমলের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের বাড়িতে গেছিল ভাংচুর চালাতে, লুটপাট করতে। গ্রামের মানুষ নিজেরাই একত্রিত হয়ে এদের ওপরে ঝাঁপিয়ে পরে, মসজিদ থেকে মাইক দিয়ে না কি লোক ডাকা হয়েছিল। মানুষ এসে সমন্বয়ক না কি এই সব দেখেনি, বেদুম কেলানি দিয়েছে। ১৫/ ১৬ জন হাসপাতালে। ভিডিও যা পাওয়া গেছে দুই এক পিস নাই হয়েও যেতে পারে। এর জবাবে জনাব সারজিস আলম, মহান সমন্বয়কদের নেতা তিনি কালকে গাজীপুর থেকে আওয়ামীলীগকে নিশ্চিহ্ন করার ঘোষণা দিয়েছে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে। মানে তার পুলাপান এমন করে যেখানে খুশি সেখানে আক্রমণ করে বসবে, লুট করবে, ভাংচুর করবে কিন্তু তাদেরকে জনগণ কিছু করতে পারবে না? কালকে কী হয় এইটা দেখার জন্য অধীর হয়ে বসে রইলাম! প্রচুর সম্ভবনা আছে সেনাবাহিনীর হাতে কেলানি খাওয়ার! 

    আমি যখন ঢাকায় চাকরি করি, থাকতাম ফার্মগেট। মাঝে খুব স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে গেলাম। সকালে উঠি, হেঁটে হেঁটে ৩২ নাম্বারের দিকে যাই। ধানমন্ডি লেক দুইটা চক্কর দেই দৌড়ে। হালকা ব্যায়াম করি, চলে আসি রুমে। তখন নিয়মিত ৩২ নাম্বারে কাছে যাওয়া হয়েছে আমার। সামনে বসে থাকতাম, বঙ্গবন্ধুর ছবিটার সামনে পিছনে, যেখানে বসা যেত আর কী! আমার আফসোসটা চিন্তা করে দেখুন একবার, আমি সাহস করে কোনদিন ভিতরে ঢুকি নাই! প্রচণ্ড আবেগ এসে যেত, কোনদিন ঢোকার সাহস হয়নি আমার। আশেপাশে বসে থেকেছি, আড্ডা দিয়েছি কিন্তু ঢুকি নাই ভিতরে। জাদুঘর ছিল, গেলেই যাওয়া যেত। কিন্তু যা জানি, যা পড়েছি কত সহস্রবার, কত জায়গায় ছবি ভিডিও দেখেছি, ওগুলা দেখেই আমি নিজেকে সামলাতে পারি নাই, ওই সিঁড়ির সামনে কীভাবে যাওয়া সম্ভব আমার পক্ষে? এখন শেষ! 

    একটা বাড়ি একটা জাতির এত এত ঘটনার সাথে জড়িত আর আছে কি না মানব ইতিহাসে বা থাকলেও কয়টা আছে এইটা গবেষণা করা উচিত! কতকিছুর সাথে জড়িয়ে ছিল বাড়িটা। সব এখন অতীত।   

    শেষ করি। ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সালে মিছিলে গুলি হয়ে যাওয়ার পরে ২৩ তারিখ শহীদ মিনার বানানোর পরিকল্পনা করে। রাতেই কাজ শুরু হয় ২৪ তারিখ সকালের মধ্যে তৈরি হয়ে যায় প্রথম শহীদ মিনার, শহীদ শফিউরের বাবা তখনই  অনানুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন। দুইদিন দাঁড়িয়ে ছিল শহীদ মিনার। ২৬ তারিখ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় এই শহীদ মিনার। সেদিন বিকালেই প্রথম শহিদ মিনারকে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। আলাউদ্দন আল আজাদ সেদিন রাতেই ইকবাল হলে বসে লেখেন 'স্মৃতিস্তম্ভ'  নামের একটা কবিতা। সেই কবিতার কয়েকটা পঙক্তি দিয়ে শেষ করি - 
    'স্মৃতির মিনার ভেঙেছে তোমার?
    ভয় কি বন্ধু, আমরা এখনো
    চারকোটি পরিবার
    খাড়া রয়েছি তো!
    যে-ভিত কখনো কোনো রাজন্য
    পারেনি ভাঙতে'

     
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৬৫৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:১৩541016
  • বরবাদ মগবাজার প্রত্যাশিত লাইনেই আছে। 
     
    মেহেদির একুশে পদক পাওয়া খুব চাইতাম। কিন্তু দিল শেষে এই জামাতি সরকার! আনন্দও করতে পারলাম না। ধুর। 
  • কিংবদন্তি | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:৪১541018
  • দিদি, আজকে দেশের অবস্থা আবার ভয়ংকর হয়ে গেছে। এখন সেনাবাহিনী নামছে অপারেশন ডেভিল হান্ট নামে, ধর পাকড় চলবে। কেন? কালকে ওরা গাজীপুরে লুট করতে পারে নাই, করতে গিয়ে মাইর খেয়েছে! মানে দেশে এখন সংঘবদ্ধ হয়ে ডাকাতি করতে চাইলে কেউ প্রতিরোধ করবে না। আপোষে মেনে যেতে হবে! 
     
    মেহেদি হাসানের আরও আগেই পুরস্কার পাওয়া উচিত ছিল। এই লোক কোনমতেই পুরস্কার নিবে না। অনেকেই এর আগে চেষ্টা করেছে। এবারও শেষ পর্যন্ত পুরস্কার নেয় কি না এইটাই দেখার বিষয়। বাংলা ভাষায় লেখালেখ করে এমন ৮০% মানুষই অভ্রর প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি নিজেই কোনদিন হয়ত বিজয় কিবোর্ডে লিখতে পারতাম না! এই ঋণ কোনদিন শোধ করা সম্ভব না। 
  • . | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৬:০২541022
  • একদম সহমত
  • aranya | 2601:84:4600:5410:f027:73:f138:***:*** | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৯:৫০541024
  • 'স্মৃতির মিনার ভেঙেছে তোমার?
    ভয় কি বন্ধু, আমরা এখনো
    চারকোটি পরিবার
    খাড়া রয়েছি তো!
    যে-ভিত কখনো কোনো রাজন্য
    পারেনি ভাঙতে'
     
    - এই পংক্তিগুলো হন্টিং। 
     
    ১৯৫২ য় , ১৯৭১ এ বাংলাদেশের আম জনতার বেশির ভাগ ই মৌলবাদ বিরোধী। ৭১ এ জেনোসাইডের পর তো আরো ই । 
     
    ২০২৫ এ মেজরিটি সাধারণ মানুষ কি ভাবছে, জানতে ইচ্ছা করে। ৩২ নম্বর ধানমন্ডি বাড়ীটি গুড়িয়ে দেওয়া মানে স্বাধীন বাংলাদেশকেও হত্যা করা - এটা কি তারা বুঝছে? 
     
    এমনটা কি সম্ভব যে মানুষ আর্মির ভয়ে, সরকারের ভয়ে পথে নামছে না (১৯৭৫ এ মুজিব হত্যার পরও কিন্তু মানুষ পথে নামে নি ), নিজেদের নিরাপত্তার জন্য, কিন্তু তারা এই মোলবাদী সরকারকে চায় না? 
     
  • aranya | 2601:84:4600:5410:f027:73:f138:***:*** | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৯:৫৩541025
  • 'ওই সিঁড়ির সামনে কীভাবে যাওয়া সম্ভব আমার পক্ষে? এখন শেষ! '
     
    - আবেগ টা বুঝতে পারছি। কখনো বাংলাদেশে যাই নি, কিন্তু এত পড়েছি মুজিব হত্যার বিবরণ 
  • Nahid Ul Islam | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:০৬541026
  • কি বলব বলুন? এটি একটি দীর্ঘ ও সমন্বিত প্রক্রিয়াই ধারাবাহিক ফল। সকল ক্ষেত্রে ক্রিমিনালাইজেসান সিস্টেমের অন্যতম পলিসি। গুড সউল এর জায়গায় ''দুরাত্মা'', ট্রু স্কলারের জায়গায় দুর্জন বিদ্বানকে বসানোর মত ''আমাগের দ্যশে'' মুমিন মুসলমানের পরিবর্তে মুনাফেক (hypocrites) বসবে তাই তো স্বাভাবিক। এগুলো সিস্টেমের অংশ। এতে বিচলিত হবার কি আছে? বিষয়টা এমনই (হবার কথা ছিল) তাই এমনটাই হয়েছে। স্মরণ করুন দুনিয়ার তাবদ উপনিবেশ বিরোধী জাতীয় স্বাধীনতা-মুক্তি আন্দোলনের সময়গুলোকে (স্বপ্ন আর আজকের বাস্তবতা), কম্যুনিস্ট ও সভিয়েট (বিটরেয়াল) -ফেমিনিস্ট বা সিভিল রাইটস মুভমেন্ট ইত্যাদির বাগাড়ম্বর কথার মারপ্যাঁচ, প্রতিশ্রুতি আর আজ তার পরিনতি। যেটা হয়েছে খুব সরল সোজা ব্যাপার। কমিউনিস্ট-ম্যানিফেস্টো/ পরিচ্ছেদ ০২ এর কাজ অনেকটা এগিয়ে গেছে " Abolition [Aufhebung] of the family! Even the most radical flare up at this infamous proposal of the Communists. '' আর হয়েছে বেস কিছুটা The Communists are further reproached with desiring to abolish countries and নশনালিটি এবং ব্যক্তিগত মালিকানা বিলোপের কর্মনীতি। এনিওয়ে ... আল্লাহ ভরসা।
  • বিপ্লব রহমান | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:২৫541028
  • ১) ধানমন্ডি ৩২ নম্বর একই সংগে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং একই সংগে এই ভবনটি মুক্তিযুদ্ধের নেতা থেকে ফ্যাসিস্ট শাসক হয়ে ওঠা শেখ মুজিবের দুঃশাসনের সাক্ষী। ঐতিহাসিক কারণেই এর সংরক্ষণ জরুরি ছিল। 

    ২) প্রচ্ছন্ন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় বাড়ী, চিহ্ন, প্রতীক ভেঙে রাগ দেখানো যায়, ফ্যাসিবাদ যায় না, ফ্যাসিবাদের পুনরুৎপাদন হয়!

    ৩) উন্মত্ত জনতাকে মাঠে নামানো হয়েছে সম্ভবতঃ এনজিও ইউনূস সরকারের তাবৎ ব্যর্থতাসমূহ আড়াল করতে এবং আরও কিছু গুঢ় কারণে, 

    ৪) সরকার অনেক দেরিতে হাসিনা জামানার ভবন রক্ষায়, তথা আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়ার বিষয়ে সোচ্চার হয়েছে দেখে লালন সাঁইয়ের একটি গানের কথা মনে পড়ে, "গাছ কেটে জল ঢাল পাতায়, এ চাতুরী শিখলে কোথায়?" 

    ৫) বিশিষ্ট আলোকচিত্রী শহীদুল আলম সম্পর্কে অহেতুক মিথ্যা প্রচারণা করা হয়েছে। 
     
    আল জাজিরা টিভিতে হাসিনা সরকারকে "বিনা ভোটের ফ্যাসিস্ট সরকার" হিসেবে চিহ্নিত করায় তাকে সে সময় জেলে নেয়া হয়। 
     
    তার প্রতিষ্ঠিত "পাঠশালা" দেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক মানের ফটোগ্রাফির স্কুল। আর "দৃক" একটি আর্ট গ্যালারি মাত্র। 

    সবাইকে ধন্যবাদ 
  • কিংবদন্তি | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৬:৪০541032
  • বিল্পব ভাই, অহেতুক কই মিথ্যাচার করলাম? দৃক গ্যালারির কাছে মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে বেশি কালেকশন নাই? স্বত্ব কিনে সব ছবি নিজের করে এ নেয় নাই? মুক্তিযুদ্ধের ছবির উপরে সবার অধিকার কেন থাকবে না? যেহেতু সত্ত্ব আছে তাই আইনের দৃষ্টিতে সব ঠিকই আছে। কিন্তু প্রশ্নটা তো আইন নিয়ে না, প্রশ্নটা হচ্ছে এইটা নিয়ে ব্যবসা করা কতখানি নৈতিক ভাবে ঠিক? তিনি গণজাগরণ মঞ্চের সময় দুই নাম্বারই করে নাই? পলটি মেরে শাপলা চত্বরবাসি হয়ে জান নাই? ২০১৮ কোটা আন্দোলনে মিথ্যা গুজব ছড়ান নাই? উনার মায়ের একাত্তরের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ না? উনি এর আগে শেখ হাসিনার কাছে থেকে পাওয়া বাপের স্বাধীনতা পুরস্কার মায়ের নামে চালায় দিতে চাইছিলেন কেন? উনার নামে তো এই অভিযোগও আছে যে তিনি এডিট করে ভুয়া জিয়াউর রহমানের কণ্ঠ যুক্ত করেছেন! 
     
    আর শহিদুল আলম সম্পর্কে কইলেন মাহমুদুর রহমানের কথা কিছু কইলেন না? না উনিও পীরসাব! 
     
    এখন আপনেরা যা কবেন তাই হব, ঢাকা থাকেন, সবার সাথে ওঠাবসা, আমরা মফস্বল থেকে আর কতটুকুই জানি। আপনেরা যা কবেন সব ঠিক!  
  • পাপাঙ্গুল | 103.24.***.*** | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:১৮541040
  • নাহিদ ইসলাম তো নতুন দলের নেতা হচ্ছেন। 
     
  • | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:৫৬541041
  • মেহেদি এন্ড টিম একুশে পদক নিচ্ছেন। মেহেদি একা নিতে রাজী হন নি, পুরো টিম অভ্র নিচ্ছেন। এই টিমওয়ার্ক, টিমকে রেক৯গনাইজ কিরা এইটা ওপেন সোর্সের মূল ফিলোজফি। অভ্র আগাগোড়া ওপেন সোর্সের ফিলোজফি মেনে চলেছে।  বিজয়ের জব্বারের সাথে এইটা মূল ফারাক। 
  • বিপ্লব রহমান | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১১:৫৯541045
  • @কিংবদন্তি, 
     
    "কিন্তু প্রশ্নটা তো আইন নিয়ে না, প্রশ্নটা হচ্ছে এইটা নিয়ে ব্যবসা করা কতখানি নৈতিক ভাবে ঠিক? তিনি গণজাগরণ মঞ্চের সময় দুই নাম্বারই করে নাই? পলটি মেরে শাপলা চত্বরবাসি হয়ে জান নাই? ২০১৮ কোটা আন্দোলনে মিথ্যা গুজব ছড়ান নাই? উনার মায়ের একাত্তরের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ না?" প্রশ্নটা তো আইন নিয়ে না, প্রশ্নটা হচ্ছে এইটা নিয়ে ব্যবসা করা কতখানি নৈতিক ভাবে ঠিক? তিনি গণজাগরণ মঞ্চের সময় দুই নাম্বারই করে নাই? পলটি মেরে শাপলা চত্বরবাসি হয়ে জান নাই? ২০১৮ কোটা আন্দোলনে মিথ্যা গুজব ছড়ান নাই? উনার মায়ের একাত্তরের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ না? উনি এর আগে শেখ হাসিনার কাছে থেকে পাওয়া বাপের স্বাধীনতা পুরস্কার মায়ের নামে চালায় দিতে চাইছিলেন কেন? উনার নামে তো এই অভিযোগও আছে যে তিনি এডিট করে ভুয়া জিয়াউর রহমানের কণ্ঠ যুক্ত করেছেন! "
     
    তথ্য প্রমাণহীন মিথ্যাচার।। ধন্যবাদ 
  • কিংবদন্তি | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১১:৫৫541059
  • ভাই, সব মিথ্যাচার বলে শেষ করে দিলে চলব?  এতদিন পরে এইসবের উত্তর দিতে হচ্ছে এইটাই একটু ঝামেলা। চেষ্টা করলে সবগুলার উত্তর দেওয়া যাবে। কিন্তু সম্ভবত তাতেও আপনার ইমান ফিরবে না! আর আমারও এইটার পিছনে সময় নষ্ট করার কোন ইচ্ছা নাই। দুইটার প্রমাণ দেই। 
     
    দৃক গ্যালারিতে প্রায় দুই হাজারেরও বেশি মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত ছবি আছে। ১৯৬৯ থেকে ৭১ সাল পর্যন্ত। শুধু মুক্তিযুদ্ধের ছবিই আছে ২০০০ কপির ওপরে। ফটোগ্রাফার রশীদ তালুকদারের তোলা বেশিরভাগ ছবি। দৃক দাবি করে ( আমি যেটা আগেও বলছি যে তাদের আইন কানুন হয়ত ঠিকই আছে) ফটোগ্রাফার রশীদ তালুকদারের কাছ থেকে তাঁর মৃত্যুর আগে সত্ত্ব কিনে নিয়েছে তারা। এ সম্পর্কে আপনে কিছুই না যদি না জেনে থাকেন তাহলে শুধু শুধু আমি মিথ্যাচার করছি না বলে একটু খোঁজ নিয়ে দেখন। 
     
    শহিদুল আলমের মার কথা আমি বানায় লেখছি না। যদি একাত্তরের দিনগুলি পড়ে থাকনে, তাহলে আপনিও জানবেন তিনি কোন পন্থি ছিলেন। আনোয়ারা মনসুরের বাড়িতে ক্র্যাক প্লাটুন গ্রেনেড কেন ছুড়েছিল?  তিনি কেন খালেদ মোশারফের দুই মেয়ে নিজের বাড়িতে আটকে রেখেছিলেন? গেরিলারা তার বাড়িতে অপারেশন করে খালেদ মোশারফের দুই মেয়ে উদ্ধারের জন্য। শেষ পর্যন্ত এক মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এখন কী এই বিখ্যাত বইয়ের পাতা নাম্বার সহ দিতে হব? পৃষ্ঠা ২৩০, চতুর্দশ মুদ্রণ। 
     
    এইটা নিয়ে আপনের সাথে আর কচলাকচলির ইচ্ছা নাই। আপনে এখন মুড়ি খাইতে পারেন। 
  • বিপ্লব রহমান | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৮:৪৪541068
  • @কিম্বদন্তী,
    "এইটা নিয়ে আপনের সাথে আর কচলাকচলির ইচ্ছা নাই। আপনে এখন মুড়ি খাইতে পারেন।"

    মিথ্যাচার ঢাকতে গিয়ে এইবার কুৎসিত ব্যক্তিগত আক্রমণ, একই সংগে বিতর্কে ভীত ব্যক্তি চরিত্রের উন্মোচনও। 

    "দৃক গ্যালারিতে প্রায় দুই হাজারেরও বেশি মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত ছবি আছে। ১৯৬৯ থেকে ৭১ সাল পর্যন্ত। শুধু মুক্তিযুদ্ধের ছবিই আছে ২০০০ কপির ওপরে। ফটোগ্রাফার রশীদ তালুকদারের তোলা বেশিরভাগ ছবি। দৃক দাবি করে ( আমি যেটা আগেও বলছি যে তাদের আইন কানুন হয়ত ঠিকই আছে) ফটোগ্রাফার রশীদ তালুকদারের কাছ থেকে তাঁর মৃত্যুর আগে সত্ত্ব কিনে নিয়েছে তারা। "

    তো? কিন্তু এতে  নৈতিকতাতেই কোথায় আটকাচ্ছে? এক আর্ট গ্যালারির আর্কাইভে অসংখ্য মূল্যবান ছবি থাকবে, এটিই তো স্বাভাবিক। 

    "শহিদুল আলমের মার কথা আমি বানায় লেখছি না। যদি একাত্তরের দিনগুলি পড়ে থাকনে, তাহলে আপনিও জানবেন তিনি কোন পন্থি ছিলেন।"

    তিনি পাকিস্তানপন্থী হলে তার স্বামী স্বাধীনতা পদক পায় কিভাবে? এছাড়া মায়ের দায়ভার পুত্রের ওপর বর্তাবে কেন? 

    এছাড়া শহীদুল আলম সম্পর্কে বিবিধ মিথ্যাচার স্বপক্ষে কোনো তথ্যপ্রমাণই হাজির হয়নি। যেমন,

    "১) তিনি গণজাগরণ মঞ্চের সময় দুই নাম্বারই করে নাই? পলটি মেরে শাপলা চত্বরবাসি হয়ে জান নাই?

    ২) ২০১৮ কোটা আন্দোলনে মিথ্যা গুজব ছড়ান নাই?

    ৩) উনি এর আগে শেখ হাসিনার কাছে থেকে পাওয়া বাপের স্বাধীনতা পুরস্কার মায়ের নামে চালায় দিতে চাইছিলেন কেন?

    ৪) উনার নামে তো এই অভিযোগও আছে যে তিনি এডিট করে ভুয়া জিয়াউর রহমানের কণ্ঠ যুক্ত করেছেন!"

    ইত্যাদি, ইত্যাদি।। 
     
    ভাল থাকুন, ধন্যবাদ
  • বিপ্লব রহমান | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৮:৪৮541069
  • পুনশ্চঃ "এখন আপনেরা যা কবেন তাই হব, ঢাকা থাকেন, সবার সাথে ওঠাবসা, আমরা মফস্বল থেকে আর কতটুকুই জানি। আপনেরা যা কবেন সব ঠিক! "
     
    অহেতুক হীনমন্যতা মাত্র।  
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন