এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • অরাজকতা প্রো ম্যাক্স! 

    কিংবদন্তি লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ২০০ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • ২১ নভেম্বর, বাংলাদেশের জাতীয় সশস্ত্র বাহিনী দিবস। আগে পত্রিকায় দেখতাম রঙ্গিন ক্রোড়পত্র বের করত দৈনিক পত্রিকা গুলো। বিমান, ট্যাংক, সৈন্যদের ছবি, সবার উপরে থাকত সাত বীর শ্রেষ্ঠের ছবি। এইটা কেন জানি দেখি নাই। হয়ত বের করে কিন্তু আমি দেখি নাই। সশস্ত্র বাহিনী দিবস সম্পর্কে এই ধারণা ছিল আমার। আর দেখতাম পরেরদিন পত্রিকায় সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানের ছবি, বর্ণনা। এই একদিনে দেখা যেত বিএনপি আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টির নেতারা সবাই এক সাথে হচ্ছে। দুই নেত্রী বা দুই দলের বড় কোন নেতা কথা বলছে এমন ছবি খুব আগ্রহের বস্তু ছিল তখন। সেই দিন বহু আগেই বাসি হয়েছে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে। তবে নোবেল ম্যান এবার তার কিছুটা হলেও ফিরিয়ে এনেছে। এবার সশস্ত্র বাহিনী দিবসে সব দলের মানে আওয়ামীলীগ ছাড়া সব দলের নেতারা সেনানিবাসে হাজির হয়েছিল। আমরা আবার দেখতে পেলাম বিএনপি, জামাতের নেতারা হাসিমুখে সেনানিবাসে। আমরা দেখলাম সমন্বয়কেরা নতজানু হয়ে খালেদা জিয়ার সাথে কথাবার্তা বলছে। হাস্যজ্জল মুখে জামাতের আমির সমন্বয়কদের সাথে কুশল বিনিময় করছে। এমন সৌহার্দপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশই তো আমরা চেয়েছিলাম, তাই না? তো, হয়েই গেল! অবশেষে সবাই সুখে শান্তিতে বসবাস করতে থাকিল! 

    না। তেমন বলার সুযোগ নাই। এদিকে যখন ইনারা সেনাকুঞ্জে নিজেদের সাফল্য উদযাপন করছে তখন রাস্তায় ছিল হাজার হাজার রিকশা চালক। অটো রিকশা। আমাদের এখানে রিকশার বিবর্তন হয়েছে। পায়ে প্যাডেল দেওয়ার রিকশা প্রায় বিদায় নিতে বসেছে। মোটর লাগানো রিকশা এসে গেছে। এই রিকশা ঢাকায় চলবে না চলবে না এই নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল আগে থেকেই। শেখ হাসিনা তার স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে বলে দিয়েছিল রিকশা চলবে! ব্যাস, সব জল্পনা কল্পনা শেষ হয়ে যায়। একটা নিয়ম করে দেওয়া হয় ঢাকার প্রধান সড়ক গুলো বাদ দিয়ে চলবে এই রিকশা। এমনই ছিল অবস্থা। পরিবর্তিত অবস্থায় এই অটো রিকশাকে বাতিল করে দিয়েছে ইউনুস সরকার। প্রতিবাদে মাঠে নামে রিকশা চালকেরা। মহাখালী এলাকায় তাণ্ডব চলে। আর্মির সাথে রিকশা চালকেরা যে লড়াই করেছে তা অবিশ্বাস্য। রেললাইন আটকে রেখে চলে তাদের আন্দোলন। ফলাফল শুরু হয় আর্মির পুলিশের একশন! সারাদিন চলেছে এই লড়াই। এই আন্দোলন কোন মাস্টার মাইন্ডের পরিকল্পনায় করা না। সম্পূর্ণ পেটের দায়। আর আমরা জানি সৌখিন বিপ্লব বিপ্লব খেলা আর পেটের দায়ে আন্দোলন সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস। বেশিদিন লাঠি দিয়ে এদেরকে আটকে রাখা যাবে? কী জানি! 

    কয়দিন ধরেই ঢাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। আগে শুরু করল তিতুমির কলেজ। তাদের দাবি তাদের কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় বানিয়ে দিতে হবে! চাইলেই সব হয়, চাইব না তাইলে? যথারীতি মহাখালী বন্ধ করে আন্দোলন। এবং যেহেতু এইখানে ছাত্ররা নেমেছে তাই নিয়ম করেই অসভ্যতাও ছিল। ট্রেন থামানোর জন্য পাথর ছুঁড়ে মেরে এক বাচ্চার অবস্থা কাহিল করে দিয়েছে। আর্মি পুলিশ মিলে চলেছে সারাদিন। পরেরদিন তিতুমির কলেজ পুলিশ দখল করে বসে রইল। সরকার বলছে তারা তিতুমির কলেজে বিশ্ববিদ্যালয় করা যায় কি না তা খতিয়ে দেখবে। 

    পরেরদিন ঢাকার ঐতিহাসিক দ্বন্দ্বের দুই কলেজের ভিতরে শুরু হয়ে গেল সুপার ডুপার ম্যাচ! ঢাকা কলেজের ছেলেদের সাথে সিটি কলেজের ছাত্রদের। আবার আর্মি পুলিশ! এরা দুইপক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে। আর আর্মি পুলিশ এদের দুইজনের বিপক্ষে। এমন সিনেমা সচারাচর দেখা যায় না। সারাদিন ব্যাপী চলেছে একশন। ঢাকা কলেজ একটা মজার আবদার করেছে, বলেছে সাইন্সল্যাব এলাকা থেকে সিটি কলেজকে সরিয়ে দিতে হবে! অনেক আগে সমানেই বাজত এই দুই কলেজের মধ্যে। এইটা বহুদিন বন্ধ ছিল। এইটা কই থেকে যে এসে হাজির হল আল্লাই জানে! 

    সরকার তথা সমন্বয়কেরা অবশ্য মনে করে যারাই আন্দোলন করে তারাই লীগের দালাল! এই ট্যাগ দিতে দিতে এখন সবাইকেই দেওয়া শুরু করে দিয়েছে। ছাত্র যারা আহত হয়ে হাসপাতালে রয়েছে তাদের চিকিৎসার জন্য সরকারের তরফ থেকে তেমন সাড়াশব্দ না থাকায় তারা রাস্তায় নামে। মহান সমন্বয়কেরা আহত লীগ বলে তাদেরকেও ট্যাগ দিয়ে দিয়েছে! এইটা কিন্তু ভালো বুদ্ধি। যা হবে সব লীগের দোষ। আর বাকি যা থাকবে তা করছি, করব বলে দিলেই হল, সব সমস্যার সমাধান! 

    আমার মার্চেন্ডাইজিং জীবন শুরু হয় আশুলিয়ার একটা ফ্যাক্টরি থেকে, নাম হচ্ছে জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লিমিটেড। ট্রেইনি হিসবে ঢুকেছিলাম। বেশিদিন চাকরি করি নাই। দুই তিন বছর ছিলাম সম্ভবত। খুব ভালো ছিল এই গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিটা। আমি বাইং হাউজে যোগ দিয়ে চলে আসার কিছুদিন পরে শুনেছি বেক্সিমকো কিনে নিয়েছে জেনারেশন নেক্সট। বেক্সিমকো হচ্ছে সালমান এফ রহমানের কোম্পানি। 
    এবার আসি কেন এই আলাপ তুললাম সেই গল্পে। সরকার পতনের পরে বেক্সিমকোর অবস্থা খারাপ। দেশের সবচেয়ে বড় গ্রুপ অফ কোম্পানিকে অপেশাদারের মতো নষ্ট করা হয়েছে। বেক্সিমকোর সাথে জড়িত কত কত মানুষ, সবাইকে হুমকিতে ফেলে দিয়েছে। অথচ এইটার সমাধানের কোন ব্যবস্থাই করছে না কেউ। শ্রমিকেরা বেতন পাবে, কে দিবে? সরকারের তরফ থেকে বলার মতো কোন চেষ্টাই নাই। বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত কার্যকর কোন ভূমিকা রাখছে না। তিন মাস বেতন পায় নাই জেনারেশন নেক্সটের কর্মীরা। রাস্তায় নেমে আসে সবাই। কথিত বিপ্লব পরবর্তী প্রথম শহীদ হয় এখানেই! গুলি করে মেরে ফেলে ইউনুস সরকারের আর্মি পুলিশ। একজন নারী শ্রমিককে মেরে ফেলল গুলি মেরে, কোথাও এইটা নিয়ে কোন উচ্চবাচ্য নাই! ২৩ অক্টোবর গুলি খায়, ২৭ অক্টোবর মারা যায় চম্পা খাতুন!  সরকার, সমন্বয়ক নামের ক্লাউনেরা কেউই চম্পা খাতুনের নামও সম্ভবত জানে না। পত্রিকা টেলিভিশন সব উহ আহ করেই যাচ্ছে, এমন আগে দেখি নাই, এমন কেউ বলে নাই! - 
    "সাহেব কহেন, “চমৎকার! সে চমৎকার!”
    মোসাহেব বলে, “চমৎকার সে হতেই হবে যে!
    হুজুরের মতে অমত কার?”
    চম্পা খাতুন যেমন হারিয়ে গেছে সব জায়গা থেকে তেমনই গাজি টায়ারের ফ্যাক্টরিতে যে ১৭৪ জন আগুনে পুড়ে মারা গেল সেই গল্পও হারিয়ে গেছে! কেউ লেখেও না, কেউ প্রশ্নও করে না কেন কেউ লেখা না! এগুলা নিয়ে কথা বলার উপায় নাই, বাকস্বাধীনতার স্বর্ণযুগে বাস করছি আমরা, এমনটাই বলেছে উপদেষ্টা নাহিদ! 

    মাঝে মধ্যে দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া এই মুহূর্তে কিছুই করার নাই আমাদের। দীর্ঘশ্বাসকেও কবে কে হিসাব করতে বসবে কে জানে! এই দীর্ঘশ্বাসের মধ্যেই বিনোদন হচ্ছে বিনোদন উপদেষ্টা ফারুকি! তিনি নানান সময় নানান বানী দিয়ে আমাদেরকে বিনোদন দিয়ে যাচ্ছে। গতকাল বলেছেন আগে ( অবশ্যই আগে মানে হচ্ছে গত পনেরো বছর! এবং তার কর্মকাণ্ড বাদ দিয়ে সেই পনেরো বছর!) ইসলাম নিয়ে না কি কিছু বললেই জামাত শিবির ট্যাগ খেতে হত! আমাদের সংস্কৃতিতে ইসলামকে ঝেটিয়ে খেদানো হয়েছে! ফারুকি এমন কথা এইটাই প্রথম বলল না। এর আগেও ও বলার চেষ্টা করছে যে কেন ইসলাম বা মুসলিমদের কথা কেউ বলে না! বললে কেন অন্য চোখে দেখে সবাই? 

    এইটার উত্তর কী হতে পারে? বাংলাদেশে এসে বর্তমানে ইসলাম নিজেই গলা টিপে মরে যাচ্ছে! ইসলাম তারস্বরে বলতে চাচ্ছে ভাই, আমার ইজ্জত এমন করে আর কোথাও কেউ লুণ্ঠন করে নাই তোরা যেমন করে করছস! সারাদিন হুজুরেরা জান্নাতের লোভ দেখায় আর আকাম করে, কেউ কোন শব্দ করে না! আর ফারুকি হাদিস শোনায় দেশে ইসলাম নিয়ে কথা বলা যায় নাই এতদিন! ফারুকির কথা শুনে আমার মনে হয়েছে একটা কথাই তা হচ্ছে হোয়াইট সুপ্রিমিস্টদের সমর্থকেরা ব্ল্যাক লাইফ ম্যাটারের বিপরীতে অল লাইফ ম্যাটার নামে একটা মুভমেন্ট শুরু করার চেষ্টা করেছিল, তার কথা। 
    সংখ্যাগুরর দেখা রাখার কিছু নাই। সংখ্যাগুরুর সংস্কৃতি ভেসে চলে যাবে না কোথাও। কারো ঘাড়ে দুই তিনটা মাথা নাই যে সংখ্যাগুরুর ধর্ম চর্চার ওপরে হাত দিবে কেউ। ফারুকি উদাহরণ দিয়েছে সেহেরি নিয়ে যে সেহেরি নিয়ে কোথাও কিছু হয়? আরে হয় না না হয় তা জানতে তো তোমাকে সেহেরির সময় উঠতে হবে! ধর্ম তো কতখানি আপনেরা পালন করেন তা জাতি জানে! 

    গল্প আছে এক মহারাজা আফ্রিকা থেকে জিরাফ আনেন জাহাজে করে। এমন অদ্ভুত প্রাণী কেউ জীবনে দেখনি তখন। মানুষ ভেঙ্গে পড়ল এই প্রাণী দেখতে। আশেপাশে রাজারা কিছুটা ঈর্ষায় মোল্লাদের দিয়ে, পুরোহিতদের দিয়ে বলায় দিল এমন কোন প্রাণীর কথা কোন ধর্ম গ্রন্থেই নাই, কাজেই এইটা কোন স্বাভাবিক প্রাণী না। এইটা নিশ্চয়ই শয়তানের সৃষ্টি কোন প্রাণী, এই প্রাণী দেখা যাবে না। কিন্তু মানুষ মানলে তো? মানুষ প্রথমে একটু ভয় পেয়ে গেলেও আবার ঠিকই দেখতে আসতে লাগল। মহারাজ বুঝলেন কৌতূহলের কাছে কোন ফতোয়াই কাজ করবে না। তিনি চিড়িয়াখানা রাতেও খোলা রাখা শুরু করলেন। দেখা গেল যারা দিনে বেলা জিরাফ দেখা পাপ বলে গলা ফাটাত তারা চুপিচুপি রাতে এই অদ্ভুত প্রাণীটাকে দেখতে আসছে! ধর্মেও আছি, জিরাফেও আছি কথাটা সম্ভবত এই গল্প থেকেই এসেছে। 
    আমাদের সকল তথাকথিত ধার্মিক উপদেষ্টারা সবাই ধর্মেও আছে জিরাফেও আছে। ফারুকি ধর্মের বানী শোনায়, নিজের সিনেমায় লিটনের ফ্ল্যাট প্রোমট করে। রাতে সবাই জিরাফ দেখতে যায় জামাতের সাথে! 

    আশার কথা আছে কিছু। ইউনুস সাহেবের সুর এখন অনেক নরম। সশস্ত্র বাহিনী দিবসে প্রথম মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধাদের কথা স্মরণ করেছেন তিনি। ভারতের একটা পত্রিকায় আওয়ামীলীগকে নির্বাচন করতে দিবে এমনও বলেছেন। ট্রাইব্যুনালের আইন পরিবর্তনের খসড়ায় রাজনৈতিক দলকে শাস্তি দেওয়ার একটা আইন ছিল। খসড়ায় থাকলেও যে আইন পাস হইছে সেখানে এই ধারাটি নাই! এইটা অনেক বড় আশার কথা। ভিতরে ভিতরে কী হচ্ছে জানি না।  সেনাকুঞ্জে যে দৃশ্য দেখা গেল তাতে আমি শুরুতে যে সন্দেহ করেছিলাম তেমন কিছুই হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে এখন। বিরোধিতা করা, একে অন্যকে সমানে খোঁচা দেওয়া, সমন্বয়কেরা উপদেষ্টাদের নিয়ে কথা বলছে, বিএনপিকে নিয়ে কথা বলছে, এই সবই হচ্ছে লোক দেখানো। সব সুনিপুণ পরিকল্পনার অংশ! 

    শেষ করি। আন্দোলনের ট্রেডমার্ক ঘটনা ছিল দুইটা। রংপুরে আবু সাইদের মৃত্যু আর ঢাকায় মুগ্ধের পানি লাগবে পানি বলে ঘুরার ভিডিও এবং পরে মুগ্ধের মৃত্যু। সবাই, প্রধান উপদেষ্টা থেকে শুরু করে এই অ্যামিবা মার্কা মিডিয়া কেউই আবু সাইদকে নিয়ে যত কথা বলে তার সিকিভাগ মুগ্ধকে নিয়ে বলে না কেন? মুগ্ধ হারিয়ে গেল কেন নিউজ ফিড থেকে? আমি বলছি কেন, কারণ মুগ্ধ মারা যাওয়ার আগে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিল - 
    "জামাত-শিবির, ছাত্রদলের উদ্দেশ্য কিছু কথা:
    ছাত্র আন্দোলনে ঢুকে ছাত্র আন্দোলনটাকে রাজনৈতিক দলের আন্দোলন বানাবেন না। হ্যাডম থাকলে আগেই আসতেন আপনারা, সুযোগ সন্ধানী আচরণ করে এই আন্দোলনের উদ্দেশ্যটা নষ্ট করবেন না, জাত চেনাবেন না। আপনি যদি ছাত্র হোন তবে ছাত্র হয়েই আসুন। আমাদের আন্দোলনে ছাত্র প্রয়োজন, কোনো উদ্দেশ্য হাসিলকারী নেতা নয়।" ( ১৮ জুলাই, ২০২৪)

    মুগ্ধ না জেনেই মারা গেছে, সে জানে নাই যে আন্দোলনে তাদেরকে আসতে ওঁ না করেছে সেই আন্দোলনটা ছিল মূলত তাদেরই আন্দোলন। মুগ্ধরা ছিল শুধু তাদের আন্দোলনের রসদ। মুগ্ধের চিন্তা চেতনাই মুগ্ধকে এই সরকারের নজর থেকে সরিয়ে দিয়েছে। ইউনুস সরকার এই সব কথার সাথে একমত না, জামাত হচ্ছে প্রধান সহযোগী তার! তাই মুগ্ধ আউট। মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধকে ইউরোপ পাঠায় দেওয়া হয়েছে, কাজেই তাদের পরিবারেরও কিছু বলার নাই! দারুণ না? 

    আমরা আর কী? হা করে দেখছি শুধু এই সব খেলা! 

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ২০০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | 2601:84:4600:5410:3962:bdf1:4c5d:***:*** | ২২ নভেম্বর ২০২৪ ১০:১৬539559
  • কঠিন সময় sad
  • পাপাঙ্গুল | 103.24.***.*** | ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ০১:২৪539598
  • "ফারুকি ধর্মের বানী শোনায়, নিজের সিনেমায় লিটনের ফ্ল্যাট প্রোমট করে।" - হুঁ 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:9d27:7478:8f2b:***:*** | ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:০৭539608
  • কিংবদন্তীর এই লেখাগুলো, জুলাইয়ে কোটা আন্দোলনের সময় থেকে শুরু, খুবই মূল্যবান দলিল। গুরু বই হিসাবে বার করলে দত্তক নিতে চাই 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন